Posts

Showing posts from September, 2022

ছোট গল্প - ঈশ্বর কেন সৃষ্টি করলো মানুষ || লেখক - অষ্ট দেয়াশী || Short story - Iswar Keno sristi korlo manush || Written by Asto deayshi

Image
  ঈশ্বর কেন সৃষ্টি করলো মানুষ     অষ্ট দেয়াশী ঈশ্বর যখন পৃথিবী সৃষ্টি করলো তখন পৃথিবী শুধু জল আর জল। ঈশ্বর ভাবতে লাগলো ঈশ্বর সৃষ্টি করলাম পৃথিবী কিন্তু শুধু জল হলে চলবো না স্থল ভাগ করতে হবে। তাই তিনি পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর একভাগ স্থল সৃষ্টি করলো।  ঈশ্বর ভাবতে লাগলো স্থল ভাগটি কেমন যেন মরুভূমি। কি করা যায় ভাবছেন ঈশ্বর তাই তিনি উদ্ভিদ দের সৃষ্টি করলেন। উদ্ভিদ তো সৃষ্টি করলেন ঈশ্বর কিন্তু এই উদ্ভিদ কিভাবে বাঁচবে ঈশ্বর কে ভাবিয়ে তুললো তাই তিনি একদিন পশুদের সৃষ্টি করলেন পৃথিবীর বুকে। পশুরা সারা জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে লাগলো। একদিন ঈশ্বর পৃথিবীর বুকে এলেন তিনি ভাবলেন পশুদের বনে বানায় কিন্তু বাকি জায়গা যেন কেমন বেমানান। ঈশ্বর ভাবতে লাগলো কি করা যায়। তাই তার ভাবনা দিয়ে তিনি মানুষ সৃষ্টি করে ফেললেন। কিন্তু তারা বন মানুষ ঘুরে বেড়ায় শিকার করে। এই বন মানুষ দের নিয়ে ও চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি কি ভাবে তার গড়া পৃথিবী সুন্দর হবে। তাই ধীরে ধীরে বন মানুষ গুলো কে মানুষের পরিনত করলেন। তবুও ঈশ্বরের চিন্তার আর শেষ নেই। কিভাবে তার গড়া পৃথিবী সুন্দর হবে দিনরাত তাকে ভাবিয়ে তোলে। তাই তিনি মানুষ কে ঘর বা

ছোট গল্প - বাতাসে বারুদের গন্ধ || লেখক - সামসুজ জামান || Short story - Batase baruder gondho || Written by Samsuz Zaman

Image
  বাতাসে বারুদের গন্ধ           সামসুজ জামান আমার পাগল সুবর্ণ, বাতাসে বারুদের গন্ধ ভেসে আসে। আমি ঘুমের মাঝে আতকে উঠি। এমন তো হবার কথা নয়। এই ঘরে আমি ছাড়া দ্বিতীয় প্রাণী নেই তাহলে কি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হল? বিছানা ছেড়ে সারাঘর ঘুরে বেড়াই। সুইচ অন করি দুটো ঘরেরই। ডাইনিং স্পেসের আলো জ্বালি। বাথরুমে পরীক্ষা করে দেখি বিদ্যুতের পোড়া গন্ধ ওখানে তো নয়? তাহলে এই পোড়া গন্ধ রোজ রোজ আসে কেন আসে কেন? আর আসেই বা কোথা থেকে? আসলে সুবর্ণ জানো, আমি অনেক চিকিৎসা করিয়েছি। তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি আমার সারা ঘরে ছড়ানো। এ ঘরের প্রত্যেকটা অনুতে পরমাণু তে তুমি ঘুরে বেড়াও সুবর্ণ। তুমি কি আমার কাছে থাকো? দেখো, আমি তো এত চিকিৎসা করালাম। কতজন আমায় পরামর্শ দিলেন মনোবিদ এর পরামর্শ নিতে। তাই শেষ পর্যন্ত আমি তো ডক্টর অনিল চ্যাটার্জীর কাছেও ছুটে গেলাম। তাঁর মত সুপ্রসিদ্ধ মনোবিদ পাওয়া খুব দুষ্কর ব্যাপার। তিনিও তো আমার সাথে কথা বললেন। আমার বাড়ির লোকেদের তিনিতো জানিয়েছেন যে আমি কোন অসুস্থ অবস্থায়ই নেই।  কিন্তু জানো সুবর্ণ, ঘরের মধ্যে আমি যখনই থাকি তখন আমি শুধু তোমারই ছায়া দেখি। চোখটা একটু বন্ধ করলেও আজও আমি প্

রাজ্যে ICDS এ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা পদে নিয়োগ || WB ANGANWADI Helper, Worker Recruitment 2022 || ICDS Recruitment 2022 || ICDS Worker New Recruitment in Hooghly

Image
  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য আবার নতুন সুখবর। ICDS তথা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা পদে নতুন নিয়োগ হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপনি যদি মাধ্যমিক পাশ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। নিয়োগ টি হবে পশ্চিমবঙ্গের কিছু ব্লকের শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের অধীনে। চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল। পদের নাম: অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা। মোট শূন্য পদ: 435টি। নিয়োগ হবে হুগলি জেলায়। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নীচে দেওয়া আছে, সেখান থেকেই অনলাইন এ ফিলাপ করে নিন। শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক পাশ করে থাকলেই আপনি এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। বয়স: 18 থেকে 45 বছর। তবে এখানে 65 বছর পর্যন্ত আপনি চাকরি করার সুযোগ পাবেন। নিয়োগ পদ্ধতি: এই পদের জন্য 50 নম্বরের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে। *লিখিত পরীক্ষা হবে 35 নম্বরের- গণিত – 10 নম্বর ইংরেজি – 10 নম্বর জনস্বাস্থ্য এবং সমাজে নারীর স্থান এবং মর্যাদা – 10 নম্বর সাধারণ জ্ঞান – 5 নম্বর *মৌখিক পরীক্ষা হবে 5 নম্বরের। (3) 5 বছরের অভিজ্ঞতার ঊর্ধ্বে প্রতি 3 বছরের জন্য 5 নম্বর এই ভিত্তিত

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -20

Image
সাত  শ্যামলীদি ও আমি ময়নাকে দেখাশুনা করে বাড়ী ফিরছি । শ্যামলীদি গুম হয়ে বসে আছে । আমিও ট্যাক্সির জানালা পথে তাকিয়ে শ্যামলীদির ময়নার প্রতি স্নেহ ভালোবাসার কথা ভাবছি । দেখেছি ময়নাকে কাছে পেয়ে শ্যামলীদি গভীর ভালোবসায় তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছে , যেন তারও মধ্যে মাতৃত্ব উদ্বেল হয়ে উঠেছে । সেই সময় আমার মনে হয়েছিল শ্যামলীদি যেন তার নিরুদিষ্টা মেয়েকে ফিরে পেয়েছে । মনে মনে কি যেন বিড় বিড় করে বলার সময় এই ফুটফুটে মেয়েটির মা হবার অধিকার চেয়েছিলো । এই রূপ কথা চিন্তা করার পর যেন বাহ্যজ্ঞান লোপ পেয়েছিলো ।  ওর অবস্থা প্রত্যক্ষ করে এক সময় শ্যামলীদিকে বলে উঠলাম , এই শ্বাসরূদ্ধকর বিষাক্ত পরিবেশের মধ্যে থেকে কি কোন দিন মুক্তি পাবো না শ্যামলীদি ?  না । গম্ভীর গলায় বলল শ্যামলীদি । যদিও কদাচিৎ পেয়ে থাকিস , এই মেকানিক্যাল রং করা সভ্য সমাজ আমাদের মতো পতিতাদের নারীত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবে না , নোনা ধরা দেওয়ালের মতো আমাদের জীবন ধীরে ধীরে এইভাবে ধসে যাবে । এই ড্রাইভার ট্যাক্সি রূকো ?  ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে যেতে শ্যামলীদি বলল , পদ্মা দেখতো , তোর রন্টুদাকে মনে হচ্ছে না?  রন্টু নামটা শুনতেই শ

ছোট গল্প - ইন্দুবালা হত্যা রহস্য || লেখক - আশিস চক্রবর্তী || Short story - Indubala Rohosyo || Written by Ashis Chakrabarti

Image
  ইন্দুবালা হত্যা রহস্য আশিস চক্রবর্তী আমার নাম হৃষিকেশ রক্ষিত ।আমি একজন রিটায়ার্ড সরকারী গোয়েন্দা। দীর্ঘ তিরিশ বছর লাল বাজার হেড কোয়ার্টারে ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশ্যাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত থাকা কালীন, বিশেষ কিছু মার্ডার কেস এর সমাধান করার পর, ঘটনা গুলি ডাইরী তে লিখে রাখি। আজ যে ঘটনা আপনাদের শোনাতে যাচ্ছি সেটা হলো ইন্দুবালা হত্যা রহস্য। ঘটনাটি ঘটেছিল মৌলালীর বিখ্যাত স্বর্ণ ব্যবসায়ী জয়চাঁদ বড়াল এর বাড়ি। হত্যার খবরটা পাওয়ার পর , আমার সহকারী ইন্সপেক্টর পঞ্চানন সিকদার কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে গিয়ে দেখি বাড়ির পরিবেশ একে বারে থমথমে । বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতেই প্রথমে যেটা আমার চোখে পড়ল সেটা হল ডাইনিং এর দেয়ালে টাঙানো একটা গোপালের ছবি। বিরাট বাড়ির , তিন তলার ঠাকুর ঘরের সামনে সকলে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে । ঠাকুর ঘরের ভেতর মুখ থুবড়ে পরে রয়েছে জয়চাঁদ বড়াল এর মা ইন্দুবালা বড়াল। মুখের ভেতর থেকে সাদা ফেনা বেরিয়ে মেঝেতে গড়িয়েছে খানিকটা। দেখলেই বোঝা যায় ইন্দুবালা দেবী কে বিষ দেয়া হয়েছে। ঠাকুর ঘরের পূজার উপকরণ সব ওলট পালট হয়ে আছে। অর্থাৎ মৃত্যুর আগে ইন্দুবালা দেবী ছটপট করেছেন খানিক ক্ষন। ডেডবডি ঠান্

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -19

Image
 অবশ্যই দেখুন, কিন্তু আমার অনুরোধ জুতো পরে ভেতরে প্রবেশ করবেন না । পতিতালয় হলেও আমাদের এই ভগ্ন কুটিরে দেবতা বিরাজ করেন ।  ভেরি সরি । ঠিক আছে আমি এখান থেকে টর্চ জ্বালিয়ে দেখে নিচ্ছি ।  সে আপনার ইচ্ছে স্যার । অফিসার টর্চের আলোতে ভেতরটা লক্ষ্য করতেই উনি বললেন , ভেতরে একজন শুয়ে আছে উনি কে আপনার ?  আমার পঙ্গু স্বামী , তিনি রোগ শয্যায় আছেন । প্লিজ ওকে জাগাবেন না । বহু কষ্ট করে ওকে ঘুম পাড়িয়েছি । জাগিয়ে দিলে সারারাত ঘুমাতে পারব না ।  অফিসার বললেন , ওকে জাগাবার দরকার নেই । আপনি অতি ভদ্র , আপনার ব্যবহারে অত্যন্ত খুশী । কিছুক্ষণের জন্য আপনার ঘুম নষ্ট করলাম বলে আমাকে ক্ষমা করবেন। এখন আসি ওরা যাবার পর কপাটের খিল লাগিয়ে পাঞ্জাবীর কাছে এসে বলল , এবার উঠে পড়ুন দাদা । পুলিশ চলে গেছে । লোকটা তক্তাপোষের উপর বসে বলল , বহুত আচ্ছা কাম করেছিস বহেন । হামার নাম শিবাজী সিং আছে । এ এলাকার বহুত বড়া গুন্ডা আউর মাফিয়া আছি । লেকিন হামি সচকা পূজারী আছি । কোই আদমী বুরা কাম করলে বেইমানী করলে হামি তাকে বাঁচতে দেবে না । এক বড়া বেইমানি অফিসার কো জানসে মার দিয়া , ইসলিয়ে হামাকে জানসে মারনেকে অর্ডার দিয়া উঁচা

ছোট গল্প - মাসির বাড়ি || লেখক - দীপঙ্কর সাহা || Short story - Masir Bari || Written by Dipankar saha

Image
  মাসির বাড়ি দীপঙ্কর   সাহা -এক- মাঝরাতে কাজলদিঘী স্টেশনে রাত বারোটায় স্টেশনে নামতেই ঝুপ করে লোডশেডিং হয়ে গেল। গা টা ছমছম করে উঠলো আমার, জায়গাটা শুনেছি ভালো নয়। আগে যতবারই এসেছি, সব বারই দিনের বেলায়। কিন্তু এই বার সব কিছু কেমন যেন গোলমাল হয়ে গেল।  কাজলদিঘী স্টেশন একটা অত্যন্ত ছোটো গ্রাম্য রেল স্টেশন, সারাদিনে গুটি কয়েক প্যাসেঞ্জার ট্রেন মাত্র দাড়ায় এখানে। আমার ট্রেনটা ছিল সাড়ে আট ঘন্টা লেট। পথে এক জংশন স্টেশনে ট্রেনটা দাড়িয়ে আছে তো দাড়িয়েই আছে। কোন একটা ট্রেন নাকি আগে কোথাও ডিরেইলড হয়েছে, ফলে দুর্ভোগ যাত্রীদের। তার উপর আমার ট্রেনটা হলো প্যাসেঞ্জার ট্রেন, অন্যান্য সব ট্রেনের শেষে ওটার গতি হলো।  পৌছবার কথা ছিল দুপুর সাড়ে তিনটেয়, পৌছলাম রাত বারোটায়। রাত সাড়ে নটার ট্রেন ধরে আমার ফেরার কথা ছিল, কিন্তু আজ সব কিছু উল্টো পাল্টা হয়ে গেল।  আমি যাচ্ছি রমা মাসির বাড়ি, এই কাজলদিঘী রেল স্টেশন থেকে সাত আট কিলোমিটার দূরে মাসিদের গ্রাম, নারায়ণপুর। কিন্তু এই অজ পাড়াগাঁয়ের স্টেশনে এত রাতে কি আর গাড়ি ঘোড়া কিছু পাবো! এই হতচ্ছাড়া গ্রাম্য স্টেশনে তো ওয়েটিং হল বা রুমের কোনও অস্তিত্ব

উপন্যাস - তান্ত্রিক পিসেমশাই ও আমরা দুজন || সুদীপ ঘোষাল || Tantrik Pisemosay oo Amra by Sudip Ghoshal || Fiction - Tantrik Pisemosay oo Amra Dujon Part -7

Image
  ১৫ পিসেমশায় বললেন, চৈতন্যময়ী প্রকৃতিরূপী নারীবাদী তন্ত্রের দেবী দূর্গা- কালী- বাসুলী - তারা- শিবানী। কিন্তু তন্ত্রের কেন্দ্রে রয়েছেন (আমি আগেই একবার ইঙ্গিত দিয়েছি) অনার্য দেবতা শিব। তন্ত্রমতে শিব তাঁর শক্তি পেয়েছে কালীর কাছ থেকে। আবার শিব- এর রয়েছে পৃথক নিজস্ব শক্তি। তন্ত্রমতে পুরুষ শক্তিলাভ করে নারীশক্তি থেকে। শিব শক্তি লাভ করেছেন তাঁর নারীশক্তির প্রকাশ- গৌড়ীর শক্তি থেকে। তবে শিবের নিজস্ব শক্তিও স্বীকৃত। তন্ত্রসাধনার মূল উদ্দেশ্যই হল- (প্রাকৃতিক) শক্তি দেবীর সাধনা করে "শিবত্ব" লাভ তথা শক্তিমান হওয়া।এখানেই বলে রাখি যে- প্রাচীন ও মধ্যযুগের বঙ্গবাসী পরবর্তীকালে নগর গড়ে তুললেও সে তার আদিম পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য কখনও পরিত্যাগ করেনি কিংবা বিস্মৃত হয়নি। এই বাঙালি মননের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। নগরেও পূজা হয়েছে। উপচার হল পূজার উপকরণ।  রতন বললো, আমার বাবা বলেন এমন কী, পূজার উপচারেও দেখা যায় নিষাদ উপকরণ। আপত চাল, তিল, জল, দুধ, কুশাগ্র, দই, যব, শ্বেতসরিষা, চন্দন, বিল্বপত্র বা বেলপাতা, কচু, হরিদ্রা, জয়ন্তী, ডালিম, বেল, অশোক, মানকচু, ধান, কলাগাছ, গম, মাষকলাই, তিসি। এ সবই প্রাচীন বাংলার লোকজসমাজে

ছোট গল্প - জোনাকি ও দীর্ঘশ্বাস || লেখক - রোকেয়া ইসলাম || Short story - Jonaki oo Dirghaswas || Written by Rokeya Islam

Image
  জোনাকি ও দীর্ঘশ্বাস  রোকেয়া ইসলাম  বেবিট্যাক্সি থেকে নেমে তিন বছরের ছেলে হাত বাড়িয়ে বাড়ির দরজায় দাঁড়ালো। তখন সন্ধ্যা রাতের দুয়ারে জোরেশোরে  কড়া নাড়ছে। অন্য বেবিট্যাক্সি থেকে মামা ও দেবর তড়িঘড়ি করে নামলো। জোনাকির স্বামী আহাদ বেবিট্যাক্সি ভাড়া মেটাতে না মেটাতেই দরজা খুলে দিলো আহাদের চেয়ে একটু বয়েসী এক ভদ্রলোক। তার নাম আবদুল মতিন ।  জোনাকি আকাশ ছোঁয়া খুশি আর নব অঙ্কুরিত আনন্দের ডালি নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। আজ থেকে এই বাড়িটা ওদের নিজেদের। কোনো ভাড়া নেই, ভাগ নেই, ভাড়া দেবার তাগাদা নেই,ভাড়াটিয়া নামক "উঠুলি" পরিচয় নেই, ওরাই মালিক। অপার আনন্দে আপ্লুত জোনাকি।  সবাই ড্রয়িং রুমে বসে। মাঝারি ধরণের চাকুরিজীবীর ড্রইং রুম বলতে যা বোঝায় তেমনি এটা। পাঁচজনের বসার মতো ব্যাবস্থা। তবে মতিন সাহেব   ভাড়ায় বেশ কয়েকটি ফোল্ডিং চেয়ার এনে রেখেছেন।  জোনাকি জানে ওরা ভেতরের ঘরে থাকবে। বারান্দা ধরে ভেতরের ঘরে চলে যাওয়া যায়।  এই রুমটি বেশ বড়সড়। বসা বা শোয়ার মত কোন ফার্নিচার নেই।  ধোয়ামোছা রুমটায় আহাদ সকালেই লেপ-তোশক চাদর-বালিশ-পাটি কিনে রেখে গিয়েছিল।  দেবর আর ছোটমামা মিলে বিছানা বিছিয়ে দেয় পাটপাট করে। বাইর