সাত
টেলিফোন ভবনে ঢোকার মুখেই পর পর তিন-চারটে কয়েন-বুথ। এক টাকার কয়েন ফেলে ঋজু টপাটপ বোতাম টিপল কণিকার মোবাইলে— আমি এসে গেছি।
— কে বলছেন?
থমকে গেল ঋজু। এত দিন কথা বলার পরেও ওর গলার স্বরটা কণিকা চেনে না! — আমি।
— ও।
— কখন নামবে?
— আমি বেরিয়ে পড়েছি।
আর এক বার ধাক্কা খেল ঋজু। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত ও প্রায় রোজই ঠিক এই সময়ে আসত। এসে, ফোন করলে কণিকা নামত। কোনও কোনও দিন পাঁচ-দশ মিনিট, আবার কখনও সখনও আধ ঘণ্টাও দাঁড়িয়ে থাকতে হত ওকে। কিন্তু কণিকা তো কোনও দিন পাঁচটার আগে বেরোয় না! তা হলে কি পাঁচটা বেজে গেছে! ও কোনও দিন ঘড়ি পরে না। সামনে দিয়ে একটা লোক যাচ্ছিল। ও তাকে জিজ্ঞেস করল, ক’টা বাজে? লোকটা বলল, পাঁচটা পঁচিশ।
মাত্র দু’দিন আসেনি সে। তাতেই এই! একটু অপেক্ষা করতে পারল না!
মুক্তাঙ্গনের ওই অনুষ্ঠানে ঋজুর অনেক বন্ধুবান্ধব এসেছিল। যাদের সঙ্গে ওর নিয়মিত যোগাযোগ আছে, তারা যেমন এসেছিল, এসেছিল তারাও, যাদের সঙ্গে ওর দেখা হয় ছ’মাসে ন’মাসে এক-আধ বার। এসেছিল বারুইপুরের হাননানও। তার সঙ্গে এসেছিল বীরেন্দ্র পুরকাইত নামে একজন। উনিও বারুইপুরে থাকেন। বারুইপুরের লোক শুনেই, অত ব্যস্ততার মধ্যেও ঋজু তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, বারুইপুরের কোথায় থাকেন?
উনি বলেছিলেন, সুবুদ্ধিপুরে।
— সুবুদ্ধিপুরে? আমি তো আগে ওখানে পড়াতে যেতাম।
— অত দূরে?
— না না, ওখানে আমাদের একটা বাড়ি আছে।
— কোথায়?
— সালেপুরে।
— তাই নাকি? আগে ওখানে থাকতেন?
— না না। আসলে, সানন্দায় আমি একটা গল্প লিখেছিলাম। সেটা নিয়ে খুব ঝামেলা হয়েছিল। সে সময় মা বললেন, যতই পুলিশ প্রোটেকশন দিক, রাজনীতির লোকেরা তো ভাল হয় না। অত রাত করে ফিরিস। কে কখন পেছন থেকে কী করে দেবে, কী দরকার? জায়গা যখন আছে, ক’টা দিন বারুইপুরে গিয়ে থাক না... তখন তিন-চার মাস ছিলাম। সকালে উঠে কী করব! সময় কাটত না। সেই সময় ওই টিউশুনিটা করতাম।
— কাকে পড়াতেন?
— তার নাম কি আর মনে আছে? ছেলেটার বাবা পুলিশে কাজ করত। ওরা তিন ভাই। ওদের বাড়িতে তিন-চারটে বকফুল গাছ ছিল।
— ও, বুঝে গেছি, বুঝে গেছি। শীতলদের বাড়ি। আমার পাশেই থাকে।
— তাই নাকি? ওরা ভাল আছে?
— হ্যাঁ হ্যাঁ, শীতলের বড় ছেলে, যার নাম লালু, সে তো এখন এল আই সি করে। মেজোটা বোধহয় উচ্চ মাধ্যমিক দেবে... কি দিয়েছে। আর ছোটটা মনে হয় এইট না নাইনে পড়ে।
— বাবা, এত বড় হয়ে গেছে? কত দিন ওদের দেখিনি!
— একদিন আসুন না গরিবের বাড়ি। ওদের সঙ্গেও দেখা করে যাবেন।
না। বীরেনবাবুর আমন্ত্রণ রক্ষা করার জন্য নয়, তার ক’দিন পরেই ঋজু তাঁর বাড়ি গিয়েছিল, শুধুমাত্র ওই সুযোগে তার এক সময়ের ছাত্র লালুদের বাড়িতে ঢু মারার লোভে।
লোভই তো। ছাত্রের মা, যাঁকে ও বউদি বলে ডাকত, তিনি তখন বেশ ডাগরডোগর। কেউ বলবে না, উনি তিন-তিনটে বাচ্চার মা। গায়ের রং একটু মাজা ঠিকই, কিন্তু মুখখানা খুব ঢলোঢলো। প্রথম দর্শনেই ওই মুখের মোহে পড়ে গিয়েছিল ও।
তাই, উনি যখন বলেছিলেন, আমার তিনটে ছেলেকেই পড়াবেন। বড়টা থ্রি-তে পড়ে। মেজোটা টুয়ে। আর ছোটটা তো এখনও স্কুলেই ভর্তি হয়নি। সামনের বছর হবে। ওদের পড়ার ফাঁকে ফাঁকে ওকেও একটু অ আ ক খ, এ বি সি ডি, এক দুই শিখিয়ে দেবেন, ব্যাস। কত দিতে হবে?
ও তখন বলেছিল, আপনার যা মনে হয়, দেবেন। আপনি যদি এক টাকাও দেন, আমি পড়াব।
উনি কী বুঝেছিলেন, কে জানে! হয়তো ভেবেছিলেন, দৈনিক এক টাকা হিসেবে পেলেও তাঁর ছেলেদের ঋজু পড়াবে। তাই পরের মাসে মাস্টারের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ঝকঝকে তিনটে দশ টাকার নোট।
পড়ানোটা ছিল অজুহাত, আসলে সকালবেলায় ও ওই বাড়ি যেত শুধু বউদির মুখখানা দেখার জন্য। রবিবারও বাদ দিত না। সকাল সাতটার মধ্যে ঢুকে পড়ত। যতক্ষণ না ওদের মা, স্কুলে যাবার জন্য ওদের তাড়া লাগাতেন, ও পড়িয়ে যেত।
ছাত্রের বাবা শীতলবাবু কাজ করতেন পুলিশে। এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর টানা ছ’দিন করে তাঁর নাইট ডিউটি পড়ত। অতটুকু-টুকু বাচ্চাদের নিয়ে বউ একা থাকবে! তাই, পাশের বাড়ির একটা ছেলেকে তাঁর বাড়িতে রাতে থাকার জন্য বলেছিলেন উনি। ছেলেটা থাকত।
একদিন বোধহয় একটু বেশি সকালেই চলে গিয়েছিল ঋজু। গিয়ে দেখে, দরজা দেওয়া। ঠক্ ঠক্ করতেই খুলে গিয়েছিল সেটা। ভিতরে ঢুকে দেখে, বারান্দার চকিতে, যেখানে ও বাচ্চাদের নিয়ে পড়াতে বসে, সেখানে শুয়ে আছে ওই ছেলেটা। আর তার পাশে বউদি। ও তড়িঘড়ি ভিতর-ঘরে চলে গিয়েছিল। সে ঘরে মশারির ভিতরে তখন তিন-তিনটে বাচ্চাই ঘুমে কাদা।
হাত কামড়েছিল ঋজু। আহা! শীতলবাবু যদি তাকে রাতে থাকার জন্য বলতেন! কিন্তু না। কোনও দিনই তার ভাগ্যে শিকে ছেড়েনি। তাই বউদি স্নান সেরে ভিতর-ঘরে ঢুকলেই, ওই ঘর আর বারান্দার মাঝখানে যে জানালাটা ছিল, তার নীচে ছিল বেশ খানিকটা ফাঁকা। ও সেখান দিয়ে বউদির শাড়ি ছাড়া দেখত। ব্লাউজের বোতাম আটকানো দেখত। এবং বেশির ভাগ দিনই দেখত, উনি বোতাম লাগাতে গিয়ে বারবারই ভুল করছেন। উপরের হুকটা নীচের ঘরে। নীচের হুকটা উপরের ঘরে। তাই বারবার খুলছেন আর আটকাচ্ছেন।
চেতলায় ফিরে আসার পর কার কাছে যেন ঋজু শুনেছিল, ওই ছেলেটার সঙ্গে বউদির অবৈধ সম্পর্কের কথাটা নাকি জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। তাই ওই ছেলেটার বাড়ির লোকেরা রাতারাতি একটা মেয়েকে ধরে তার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। সেই কবেকার কথা! তার মানে বউদি এখন ফাঁকা!
বীরেনবাবুর বাড়িতে এক কাপ চা খেয়েই সেই বউদির বাড়িতে ছুটেছিল ও। বাড়িতে তখন কোনও ছেলে ছিল না। এত দিন বাদে ওকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন বউদি। আসুন আসুন বলে ভিতরে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভিতরে ঢুকে ঋজু অবাক। ঘরদোর সব পাল্টে গেছে। অনেক জিনিসপত্র হয়েছে। কথায় কথায় ও জেনেছিল, লালু এখন আর সেই ছোট্টটি নেই। অনেক বড় হয়ে গেছে। এল আই সি করে। শেয়ার কেনাবেচা করে। বাড়ির দালালিও করে। এই জমির পাশেই একটা প্লট কিনেছে। লোন নিয়ে বাড়ি করছে। ঋজু বলেছিল, আপনি কিন্তু আগের মতোই আছেন।
উনি বলেছিলেন, তাই নাকি?
তখন বইপ্রকাশ করার জন্য তরুণ কবি-লেখকদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক অনুদান দিত। সে বার ঋজু পেয়েছিল। পুরো দু’হাজার টাকা। অষ্টআশি সালের দু’হাজার টাকা মানে প্রচুর টাকা। চার ফর্মার একটা বই করতে কি অত টাকা লাগে! হাতে টাকা ছিল। টাকা থাকলে বেড়ালের বাচ্চাও কেনা যায়। তাই ঋজু যখন শুনল, তার ছাত্ররা খুব কাছ থেকে কোনও দিন প্লেন দেখেনি, তখন লালুকে ও বলেছিল, তোমাকে একদিন দমদম এয়ারপোর্টে নিয়ে যাব। ওখানে মুহুর্মুহু প্লেন নামে আর ওঠে। একদম সামনে থেকে দেখতে পারবে।
শীতলবাবু সে কথা শুনে বলেছিলেন, তা হলে ওদের মাকেও নিয়ে যান না... ও-ও তো সামনাসামনি কখনও প্লেন দেখেনি। দেখে আসতে পারবে। আমি ভাড়া দিয়ে দেবো।
ঋজু বলেছিল, আমার কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু ওদের মা যদি যায়, তা হলে ওর ওই দুই ভাই কার কাছে থাকবে? শীতলবাবু বলেছিলেন, কেন? আমার কাছে। আমার তো নাইট ডিউটি। আটটার আগে তো বেরোব না। তার আগেই তো আপনারা চলে আসবেন, না কি?
মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে দাদা যাচ্ছে শুনে, মেজো আর ছোটটাও যাবার জন্য বায়না ধরেছিল। শীতলবাবু বলেছিলেন, এখন কিছু বুঝবি? বড় হ। পরে যাবি।
ট্রেনে করে শিয়ালদায় নেমে ফর্টি ফাইভ বাস ধরে সোজা দমদম বিমান বন্দরে গিয়েছিল ওরা। দশ টাকা করে টিকিট কেটে ভিতরে। সব জায়গা ঘুরে দেখেছিল। উপরে উঠে অনেকক্ষণ ছিল। সেখানে আরও লোক। কেউ সি অফ করতে এসেছে। কেউ নিতে। ওদের মতো শুধু প্লেন দেখার জন্য বোধহয় কেউই যায়নি। যাদের ছাড়তে এসেছে, তারা দেখতে পাচ্ছে কি পাচ্ছে না কে জানে, এরা হাত নেড়ে যাচ্ছে। প্লেন উড়ে গেছে আকাশে। তখনও হাত নাড়ছে কেউ কেউ। যেন ওরা জানালা দিয়ে তাকিয়ে রয়েছে এ দিকে।
ঋজু একদম সামনের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল লালুকে। কয়েক জনের পেছনে ও। ওর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বউদি। হঠাৎ ও বলে উঠল, ওই যে, ওই যে দেখুন, ওই প্লেনটা, ওটা এখন ল্যান্ড করবে। দেখুন কী ভাবে নামছে... দূরে ছোট্ট চিলের মতো উড়তে থাকা প্লেনটাকে আঙুল দিয়ে দেখাতে গিয়ে একটু ঝুঁকে পড়েছিল ঋজু। ইচ্ছে করেই বউদির শরীরের সঙ্গে নিজের শরীর একেবারে লেপটে দিয়েছিল।
প্লেনটা যখন ল্যান্ড করে গেছে। এয়ার বাস লাগানো হয়ে গেছে। যাত্রীরা একে একে নেমে আসছে সিঁড়ি দিয়ে। তখনও ও ওই একই ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল।
পেছন ফিরে ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসেছিল বউদি। হাসিটা দেখেই ও বুঝেছিল, বউদি টের পেয়েছে।
তাই সে দিন রাস্তা পার হওয়ার সময় এক হাতে লালু আর অন্য হাতে বউদির হাত ধরেছিল অনায়াসে। রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়ার শেষে, হাত ধোয়ার পরে বউদির দিকে এগিয়ে দিয়েছিল নিজের রুমাল। কথা বলতে বলতে এক ফাঁকে ও বলে দিয়েছিল, আপনার হাসিটা কিন্তু মারাত্মক। যে কোনও পুরুষকে ঘায়েল করার পক্ষে যথেষ্ট।
— তাই বুঝি?
— কেন, আপনি বুঝতে পারেন না?
— না। বলেই, হেসে ফেলেছিলেন তিনি। সেই হাসির মধ্যেই উত্তর লুকিয়ে ছিল।
তার পরেও অনেক কথা হয়েছিল ওদের। কখনও সখনও আকার-ইঙ্গিতেও। যাতে লালু বুঝতে না পারে।
অথচ ফেরার সময় যখন শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে উঠতে যাবে, বউদি বললেন, এটায় না, এটায় না। এর পরের, পরেরটায় উঠব।
— কেন? এটা তো ফাঁকা আছে।
— না, ফাঁকার জন্য না। ও আসবে বলেছে।
— কে?
— ওই যে, আমাদের পাশে থাকে না... তুমি দেখেছ তো। ওই যে গো, যে আমাদের বাড়িতে রাতে শুতে আসে, সেই ছেলেটা।
কথাটা শুনে ওর সারা শরীর কেমন যেন শীতল হয়ে গেল।
সেই বউদি এখনও একই রকম। এতটুকু বদলাননি! ঋজু তাকিয়ে আছে।
— কী দেখছ?
— কই, কিছু না তো।
— কিছু না বললে হবে? আগে তো জানালার তলা দিয়ে খুব দেখতে। মনে আছে?
ও ঝট করে বউদির মুখের দিকে তাকাল। দেখল, বউদি ঠোঁট কামড়ে হাসছেন।
সন্ধ্যা নেমে গেছে। তবু ফেরার সময় ছেলে যে বাড়িটা করছে, সেটা দেখানোর জন্য ওকে প্রায় জোর করেই নিয়ে গেলেন বউদি। দু’তলা অবধি হয়েছে। তিন তলার কাজ চলছে। দেখে মনে হচ্ছে একটু আগেই মিস্ত্রিরা গেছে। তিন তলা দেখাতে দেখাতে একটা দেয়ালের আড়ালে যেতেই ও ঝপ করে বউদিকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খেয়ে ফেলল। বউদি বললেন, ভারী দুষ্টু হয়েছ তো। কেউ দেখে ফেললে?
— কেউ দেখবে না।
— না, কিচ্ছু বলা যায় না।
— চলুন, আমরা বরং ওই সিঁড়িতে গিয়ে বসি।
— ভীষণ ময়লা।
— তাতে কী হয়েছে? রুমাল আছে তো।
সিঁড়ির একটা ধাপে পাশাপাশি বসল ওরা। এখানে কারও চোখ পৌঁছবে না। বউদিকে ও জাপটে ধরল। ঘুটঘুটে অন্ধকারে বউদির শরীরের নানান জায়গায় হাত চলে যেতে লাগল ওর।
ট্রেনে আসতে আসতে ওর মনে হয়েছিল, ধ্যাৎ, কণিকা কিছুই না। তার থেকে এ অনেক ভাল। সপ্তাহে অন্তত এক বার করে যদি আসা যায়! সপ্তাহ মানে তো সাত দিন। বাকি ছ’দিন কী হবে! এত দূরে এসে পোষাবে না। তা ছাড়া এঁর তিন-তিনটে ছেলেই এখন বড় হয়ে গেছে। তারা যদি টের পায়! কণিকার মেয়েদের মতো অতটা লিবারেল তো এরা নাও হতে পারে! তখন? তার চেয়ে অফিসে ঢোকার আগে এক ফাঁকে কণিকা, মন্দ কী! কিন্তু সেই কণিকা যে তার জন্য অপেক্ষা না করে অফিস থেকে বেরিয়ে যাবে, তার গলার স্বর চিনতেই পারবে না, ঋজু ভাবতে পারেনি।
রাতে যখন বাড়িতে ফোন করল, ছোট বাবি বলল, মা খাবার গরম করছে। পরে আবার যখন করল, শুনতে পেল, মা আলমারি গোছাচ্ছে। অনেক রাতে ফের যখন করল, কণিকাই ধরল— হ্যাঁ, কী হয়েছে? বারবার ফোন করছ কেন?
— এ ভাবে কথা বলছ!
— তা হলে কী ভাবে বলব? ক’টা বাজে এখন? কেউ কোনও ভদ্রলোকের বাড়িতে কি এত রাতে ফোন করে?
— আমি আগে কয়েক বার করেছিলাম। তুমি তখন ব্যস্ত ছিলে, তাই...
— তাই কী? রাত সাড়ে এগারোটায় ফোন করতে হবে?
— তুমিই তো বলেছিলে...
— না। একদম করবে না। বলেই, লাইনটা কেটে দিল কণিকা।
পর মুহূর্তেই ফোন করল ঋজু। দেখল এনগেজড। তার পর আবার। দশ মিনিট পর আবার। এক ঘণ্টা পরেও দেখল, সেই একই। এনগেজড। এনগেজড। এনগেজড। মোবাইলে যে কথা বলবে, তারও উপায় নেই। ওটা অফ।
ক্রমশ...
_____________________________________________
ষষ্ঠ পর্ব টি পড়তে নীচে দেওয়া লিংক টি ক্লিক করুন -
অষ্টম পর্ব টি পড়তে নীচে দেওয়া লিংক টি ক্লিক করুন -
No comments:
Post a Comment