লাভার্স পার্ক - দেবাংশু সরকার || Lovers park - Debanshu sarkar || গল্প || ছোট গল্প || Story || Short story ||

         লাভার্স পার্ক

            দেবাংশু সরকার





       বছর পাঁচেক আগে পার্কটা তৈরী হয়েছিল। স্থানীয় বিধায়ক নিজের বিধায়ক ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে পার্কটা তৈরী করে দিয়েছিলেন। তিনিই পার্কটার নামকরণ করেছিলেন 'সবুজ পার্ক'। অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই স্থানীয় মানুষজন দাবি করে আসছিল যে পাড়ার বাচ্চাদের খেলার জন্য একটা খেলার মাঠ বা পার্ক তৈরী করা হোক। কিছুদুরে একটা খেলার মাঠ আছে। সেখানে ক্রিকেট, ফুটবল খেলা হয়। পাড়ার বাচ্চাদের পক্ষে অতদুরে খেলতে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বাড়ন্ত বাচ্চাদের খেলাধুলা, দৌড়াদৌড়ি খুবই প্রয়োজন। পড়াশোনার সাথে খেলাধুলার ঠিকঠাক সুযোগ পেলে তবেই বাচ্চারা শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে সম্পুর্ণ ভাবে বেড়ে ওঠে। সেইজন্য দিনের পর দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে একটা পার্ক বা খেলার মাঠের দাবি উঠতে থাকে।


      স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন বিধায়ক। তাদের অনুরোধ রাখেন। ভেবে দেখেন বেশ বড় আর জনবহুল পাড়া। প্রচুর মানুষের বাস। মানে প্রচুর ভোটার। এদের অনুরোধ রাখলে ভোট বাক্সে তার ফল পাওয়া যাবে। পরবর্তী ভোটের ঠিক এক বছর আগে তিনি পার্কটা তৈরী করেন। বেশ বড় পার্ক তৈরী করা হয়েছে। পার্কের সামনে একটা সুন্দর গেট বানানো হয়েছে। পার্কের ভেতর দোলনা এবং অন্যান্য খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্ক জুড়ে রয়েছে বেশ কয়েকটা কংক্রিটের তৈরী বেঞ্চ। গেটের সামনেও দুটো বেঞ্চ বসানো হয়েছে। পার্কের ভেতরে বেশ কিছু গাছ বসানো হয়েছে। বিধায়ক অনেক ভেবেচিন্তেই এত বড় পার্ক তৈরী করেছেন। তিনি ভেবেছেন যে কেবল শিশুদের কথা অর্থাৎ ভবিষ্যতের নাগরিকদের কথা অর্থাৎ ভবিষ্যতের ভোটারদের কথা ভাবলে চলবে না। বর্তমান নাগরিকদের কথা অর্থাৎ বর্তমান ভোটারদের কথাও ভাবতে হবে। তরুণ তরুণী, যুবক যুবতীদের কথাও ভাবতে হবে।


      সবুজ পার্কের উদ্বোধন করলেন স্বয়ং বিধায়ক। বক্তৃতা দিতে উঠে বেশ কিছুক্ষণ নিজের দলের গুনকীর্তন করার পর একটু থামলেন, দম নিলেন। তারপর ঘোষণা করলেন, "এত বড় পার্ক কেবল শিশুদের জন্য নয়। শিশুরাতো আসবেই, সেইজন্য এত দোলনা এবং অন্যান্য খেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও যে কেউ এই পার্কে আসতে পারবে। একা আসতে পারবে, বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে আসতে পারবে। পার্কে বসে গল্প গুজব করতে পারবে। বিশ্রাম নিতে পারবে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলের জন্য সবুজ পার্কের অবারিত দ্বার।"


      কিছুদিনের মধ্যেই সবুজ পার্কের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লো। প্রত্যেক দিন বিকালে বাচ্চাদের ভিড় হতে লাগলো। তারা দোলনায় চড়ে, ঢেঁকিতে চড়ে, অন্যান্য খেলার মজা নেয়। সন্ধ্যা হওয়ার আগেই তারা বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু তারপরেও পার্কের গেট বন্ধ হয় না। বাচ্চারা ছাড়াও ভিড় করে আসতে থাকে বিভিন্ন বয়সের মানুষজন। বিশেষ করে, সন্ধ্যা হতে না হতেই চ্যাংড়া চেংড়ি থুড়ি যুবক যুবতীদের ভিড় চোখে পড়ে। তারপর হা হা হি হি হো হো কত রকমের হাসি গান ভেসে আসতে থাকে পার্ক থেকে।


      এপাড়া ওপাড়া বেপাড়া থেকে ছেলে মেয়েরা সন্ধ্যার পর হাত ধরাধরি করে আসে। কি সুন্দর কচি কচি আদুরে আদুরে মুখ সব! দেখলে মন ভরে যায়। বেশ রাত অবধি প্রেম পর্ব চলে এখানে। অবশ্য এই প্রেমাঙ্গনে শুধু যে প্রেম ভালোবাসা চলে তা নয়। অনেকের রুজি রুটি জড়িয়ে আছে এই প্রেমাঙ্গনে। প্রেমিক প্রেমিকাদের কুহুতানের সঙ্গে বাদামওয়ালা, ঝালমুড়িওয়ালা, ঘটিগরমওয়ালাদের হ্রেষাধ্বনি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। যত দিন যায় তত জোড়ায় জোড়ায় ভিড় বাড়তে থাকে। এখন আর সন্ধ্যার পর নয়। দুপুর থেকেই রোমিও জুলিয়েটদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। তাদের চাপে বাচ্চারা কোনঠাসা হতে হতে পার্কে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।


      এতদিনে সবাই জেনে গেছে, বুঝে গেছে এই পার্কটা আর বাচ্চাদের খেলার জন্য নয়। এটা এখন প্রেমের পীঠস্থান। পার্কটাকে সবাই এখন 'লাভার্স পার্ক' বলে।


      ইদানিং আবার গবুকে লাভার্স পার্কে দেখা যাচ্ছে। গবু এই পাড়ারই ছেলে। দুবছর আগে বি.এ পাশ করে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাজারের মধ্যে বাবার সোনার দোকান। অতয়েব চিন্তার কিছু নেই। বেলা দশটার সময়ে ঘুম থেকে উঠে হেলতে দুলতে বাবার দোকানে যায়। তিনটে অবধি দোকানে থাকে। তারপর একদম ফ্রি। যাকে বলে মুক্ত বিহঙ্গ। প্রত্যেক দিন বিকালে গবু লাভার্স পার্কে হাজির হয় তার নতুন কালেকশন অর্থাৎ নতুন প্রেমিকা লিপিকে নিয়ে। পার্কটা অবশ্য গবুর কাছে নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে সে বিভিন্ন জনকে নিয়ে এসেছে এই পার্কে, প্রেমগ্রন্থ পাঠ করার জন্য। গবুর প্রেম বড়ই ক্ষণস্থায়ী। খুব বেশিদিন টেকে না। নিয়মিত বদল হতে থাকে তার প্রেমিকার মুখ। কিন্ত তার প্রেম করার গন্তব্য একই থাকে, লাভার্স পার্ক। বলতে গেলে লাভার্স পার্কের বেশ পুরানো কাস্টোমার গবু।


      লিপিদের বাড়ি অবশ্য এ পাড়াতে নয়। বেশ কিছুটা দুরে। লিপির বাবার বদলীর চাকরি। দিল্লীতে থাকেন। লিপির মা আর লিপি নিজেদের বাড়িতেই থাকে।


      এমনই এক বিকেলে গবু লিপির হাত ধরে পার্কের দিকে চলেছে। দুজনে দুজনের হাত শক্ত করে ধরে বেশ জোরে দোলাতে দোলাতে চলেছে। দুজনেরই বেশ হাসি হাসি মুখ। মনে স্বর্গ সুখ। খুব জোরে নয়। একটু দুলকি চালে হাঁটছে দুজনে। গবু, লিপি দুজনেই বেশ লম্বা। সকলের নজরে পড়ছে। হাঁটতে হাঁটতে প্রায় পার্কের কাছে এসে পড়েছে। হঠাৎই মুখোমুখি দেখা হারু কাকার সঙ্গে। হারু কাকা গবুর বাবার ছোটবেলার বন্ধু। চাকুরিজীবি মানুষ। অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর গবুর বাবার দোকানে এসে গল্প গুজব করেন। গবুর বাবা যখন কোনো দরকারে দোকান ছেড়ে কোথাও যান, তখন হারু কাকার ওপর দোকানের দায়িত্ব দিয়ে যান। গবুর বাবা যথেষ্ট ভরসা এবং নির্ভর করেন হারু কাকার ওপর।


      গবু লিপিকে রাস্তায় ঘনিষ্ঠভাবে দেখেও না দেখার ভান করে মুখ ঘুরিয়ে নিলেও, সন্ধ্যার পর গবুর বাবার দোকানে গিয়ে যথারীতি রং চড়িয়ে গবুর বাবার কাছে সব কিছু বর্ননা করলেন হারু কাকা। শুনে একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন গবুর বাবা। রাগে গর্জন করতে করতে বললেন, "কি বলছো হারু! আমার ছেলে রাস্তা ঘাটে মেয়ে বন্ধু নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! তারমানে এরমধ্যে 'লভ' করতে শিখেছে! দোকানে না বসে 'লভ' হচ্ছে রাস্তা ঘাটে! দেখাচ্ছি মজা। কাল একটা হেস্তনেস্ত করবো। কাল ওর একদিন কি আমার একদিন!"


      পরের দিন বিকেল হতে না হতেই গবুর বাবা বেরিয়ে পড়লেন। সোজা হাজির হলেন পার্কের সামনে। একটা সিমেন্টের বেঞ্চে বসে চারিদিকে নজর রাখতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরেই গবু হাজির হলো লিপির হাত ধরে। দুর থেকেই গবু দেখতে পেল তার বাবাকে। ভুত দেখার মত চমকে উঠে গবু লিপিকে বললো, "ওরে লিপি, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। পালা পালা, যেদিকে পারিস পালা, কেটে পড় এখান থেকে।"


      - "কেন, কি হলো আবার?"


      - "ঐ দ্যাখ গেটের মুখে আমার বাবা বসে আছে। নির্ঘাত হারু কাকা পিন মেরেছে।"


      লিপি গেটের দিকে তাকালো। গবুর বাবাকে দেখলো। ততক্ষণে গবু গা ঢাকা দিয়েছে। লিপিও তাকে খুঁজে পেল না। এরপর গবু বা লিপিকে আর কোনোদিন পার্কের আসে পাশে দেখা যায়নি।


      গবুর বাবা বেঞ্চে বসে দেখছেন জোড়ায় জোড়ায় কপোত কপোতীরা হাত ধরাধরি করে পার্কে ঢুকছে। একজন মাঝবয়সী ভদ্রমহিলা এদিকে ওদিকে তাকাতে তাকাতে গবুর বাবার সামনে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, "গোলাপি চুড়িদার পরা একটা লম্বা মেয়েকে এদিক দিয়ে যেতে দেখেছেন?"


      - "না তো।"


      - "আমার মেয়ে লিপি। কলেজে পড়ে। শুনলাম একটা বাজে ছেলের পাল্লায় পড়ে রোজ বিকালে এদিকে আসে। সত্যি কিনা দেখতে এসেছি। দেখতে পেলে ঠাস ঠাস করে চড়াবো।"


      - "আমার সরল সাদাসিধে ভালো ছেলেটাও শুনলাম একটা বাজে মেয়ের পাল্লায় পড়েছে। আমার বন্ধু কাল ওদের এদিকে আসতে দেখেছে। আমি ওদের ধরার জন্য এখানে বসে আছি। দেখতে পেলে পিঠের ছাল তুলে দেবো।"


      - "এখান থেকে চারিদিকে নজর রাখা যায়। আপনার পাশে বসবো?"


      - "হ্যাঁ হ্যাঁ বসুন।"


      - "এই পার্কটার ভেঙে দেওয়া উচিৎ।"


     - "এই পার্কটার জন্য ভবিষ্যত প্রজন্ম উচ্ছন্নে যাচ্ছে।"


      - "বাচ্চাদের জন্য এই পার্কটা তৈরী হয়েছিল। আর আজ একটা বাচ্চাকেও এই পার্কে দেখতে পাবেন না। এখন কেবল বখে যাওয়া ছেলে মেয়েরা এই পার্কে আসে।"


      - "এইসব পার্ক, ক্লাব যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। আমি স্থানীয় পুরসভায় অভিযোগ জানাবো।"


      - "আমিও খবরের কাগজে এসবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখবো।"


      গবুর বাবা আর লিপির মা প্রত্যেক দিন পার্কে আসেন। লক্ষ্য রাখেন তাদের ছেলে মেয়েরা পার্কে আসছে কিনা। পার্কে আসা যুবক যুবতীদের দেখে গবুর বাবা রাগত স্বরে বলেন, "দেখেছেন এদের লাজলজ্জা বলে কিছু নেই। আমরা দুজন বয়স্ক মানুষ বসে আছি, ওদের খেয়াল নেই! কিরকম মুখের সামনে দিয়ে হ্যা হ্যা করতে করতে যাচ্ছে। কি অদ্ভুত সব মুখের ভাষা! আমাদের সময়ে একে অপরকে 'হ্যাঁগো", 'ওগো', 'শুনছোগো' বলে ডাকতো। কি মিষ্টি লাগতো শুনতে। আর এরা একে অপরকে কি বলে ডাকছে শুনুন - 'জানু', 'ঝুনু', 'চুনুমুনু'। কি অদ্ভুত ভাষা! বাপের জন্মে শুনিনি।"


      - "এদের মুখের ভাষা শুনলে কানে আঙুল দিতে হয়।" উত্তর দেন লিপির মা।


      মানুষ অভ্যাসের দাস। গবু, লিপি আর পার্কে না এলেও, গবুর বাবা, লিপির মা রোজ বিকালে পার্কে আসেন। গল্প, গুজব, হাসি, গানে কখন বিকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে রাত গড়িয়ে যায় কারো হুঁশ থাকে না।


      এমনই এক সন্ধ্যায় লিপির মা আকাশের দিকে তাকিয়ে উচ্ছসিত হয়ে বলে ওঠেন, "কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে। ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলো পার্কটাকে ভাসিয়ে দিচ্ছে।"


      - "পূর্ণিমার চাঁদ দেখলে আমার ডিভাইন কাপলের কথা মনে পড়ে। যমুনা তীরের বাঁশি নূপুরের যুগলবন্দির কথা মনে পড়ে।"


      কথা বলতে বলতে গান গেয়ে ওঠেন গবুর বাবা, 


      - "তাই বলি কোনো বাঁশি 

         সুর খুঁজে পেতো কি,

        কারো নূপুর না থাকলে?"


      গলা মেলান লিপির মা,


      - "কোনোদিন বলাকারা

         অত দুরে যেত কি,

        ঐ আকাশ না ডাকলে?"


      জোৎস্না মাখা সন্ধ্যায় গানে, গল্পে মেতে ওঠেন দুই মধ্য বয়স্ক নরনারী। সন্ধ্যার পর একরাশ খুশি নিয়ে বাড়ি ফেরেন দুজনে। এভাবেই কেটে যায় দিন। কাটতে থাকে মাস। লাভার্স পার্কের নব্য যুগলদের মাঝে আলাদা করে চোখে পড়ে গবুর বাবা আর লিপির মাকে।


      এরমধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে গবুর বাবার মধ্যে। আগে স্থানীয় দর্জির দোকান থেকে তৈরী করা ঢলঢলে প্যান্টুল পরতেন। এখন তার বদলে পরেন স্কিন টাইট জিন্স। সেইসঙ্গে মানানসই রং বেরঙের টি-শার্ট। পায়ে দেন রঙিন বাহারি স্পোর্টস স্যু। কোনোদিন গোঁফ দাড়ি না রাখলেও, গবুর বাবার দুকানের দুপাশে মোটা ঝুলফি শোভা পেত। এখন সেগুলো উধাও হয়ে গেছে। তার বদলে ঠোঁটের নিচে দেখা যাচ্ছে হালকা দাড়ির ছোপ। মোটা ফ্রেমের চশমাটা খুব প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার করেন না। এখন তার দুচোখের নিত্য সঙ্গী রে ব্যান। পুরানো দিনের অ্যাংলো সুইস অদৃশ্য হয়ে গেছে গবুর বাবার বাঁ হাতের মণিবন্ধ থেকে। তার জায়গা নিয়েছে হাল ফ্যাশনের স্মার্ট ওয়াচ। মাঝে মাঝে লিপি অবাক হয়ে আবিষ্কার করে তার লিপস্টিক, আই লাইনার এবং অন্যান্য সাজের জিনিষগুলো যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে!


      দু দিন হলো লিপির মা পার্কে আসছেন না। গবুর বাবার একা একা, ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। পকেট থেকে ফোন বের করে ম্যাসেজ করলেন, "কি হলো জানু, দু দিন ধরে দেখা দিচ্ছো না? তোমার দিবানাকে ভুলে গেলে?"


      কয়েক মিনিটের মধ্যেই ম্যাসেজের উত্তর এলো, "কি করবো চুনুমুনু। দুদিন ধরে জ্বরে ভুগছি। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছি না। আমার জ্বর হয়েছে বলে লিপিও বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তাই ফোন করতে পারছি না। কাল পরশু পার্কে যেতে পারবো না। আগামী সপ্তাহ থেকে ঠিক যাবো। রাগ কোরো না লক্ষীটি।" 


                         

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024