এরা কারা - বিশ্বনাথ দাস || Era Kara - Biswanath Das || পর্ব - ৪|| part - 4 || Era Kara part 4 || Novel - Era Kara || Era Kara by Biswanath Das || উপন্যাস - এরা কারা


 


মিনিট কয়েকের মধ্যে ওঁরা সকলে অভিরামের আঙিনায় গিয়ে হাজির হলেন। মোদিনী বাবু সাঁড়া হাঁসের গলায় চিৎকার করে ডাকলেন- অভিরাম বাড়ীতে আছিস? অভিরাম বুক ফুলিয়ে বেরিয়ে হুংকার দিয়ে বললে- এতো চিৎকার করার কি প্রয়োজন, বলুন কি চাইছেন? তিনি অগ্নি স্ফুলিঙ্গ হয়ে বললেন, তোর মতো প্যাঁটার কাছে কি চাইতে আসবো রে বদমায়েসটা, তোর গালে এমন একটি চড় মারবো প্যান্টে পাঁচ বার পেচ্ছাপ করতে বাধ্য হবি। বিধবা ভাতা কি তোর পয়সা? কমলাদেবীর বিধবা ভাতা পাবার হান্ড্রেন পারসেন্ট হক আছে। চোখের সামনে দেখছিস, পাশে দাঁড়াতে শিখেছিস? যে মহানুভব ব্যাক্তিটি কমলাদেবীর বিধবাভাতার ব্যবস্থা করেছেন। তাকে কলঙ্কিত করে কুকুর তাড়া করলি। শোন আমার কথা, যদি ষড়যন্ত্র করে কমলাদেবীর বিধবা ভাতা বন্ধ করার চেষ্টা করিস্ তাহলে মনে রাখবি সব কটা শুয়োরকে প্রকাশ্যে কুকুরের মতো গুলি করে মারবো। আমি ভারত মাতার সন্তান বহু কস্টে ভারতকে স্বাধীন করেছি। তোদের মত জানোয়ার নই আমাকে ভারত সরকার পিস্তল দিয়ে সম্মানিত করেছেন। তোদের পার্টির আদর্শবান নেতা হিড়িম্ব অর্থাৎ হাড় হাঞ্জাকেবলবি এই মেদেনী সরকার

প্রকাশ্যে বলেছেন এই এলাকায় কোন মানুষের যে কেউ পার্টির লোক যদি ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে এই মেদিনী সরকার তাদের সব কটাকে মায়ের ভোগে পাঠিয়েদেবে। কথাটা মনে থাকে যেন। মেদিনী বাবু নিভারানীকে বললেন- তোমার কোন ভয়নেই মা। আমাদের দল সর্বদাই তোমার বা তোমার পরিবারের পাশে থাকবে।


এরপর হতে কোন রূপ ঝঞ্ঝা বিদ্ধস্ত এর মুখে পড়তে হয়নি। তবে যাই বলুন না, এরা লিপিতে বেহায়া শত অপমানে জর্জরিত হলেও নোংরামী করতে ছাড়ে না। হয়তো মেদিনী বাবুর এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে। অবশ্য প্রশাসন এদের ধারে পাশেই থাকে। তাই এরা ভাবে এদের বিশাল ক্ষমতা। এদের মলাটের নীচে প্রচুর নোংরা জমে আছে। ধীরে ধীরে পড়তে থাকুন আর মানবিকতার দিক দিয়ে কি করা


কর্তব্য মনকে জিজ্ঞেস করুন। শুধু হাড়হাঞ্জা নয়, বহু ব্যাক্তি দাদাগিরি করে, বেইমানী করে সমাজে কেউটে হয়ে বসে আছে।


অবশ্য হিড়িম্ব হাজরার গপ্পো শুরু করছি। ওকে সহজে ছাড়া যাবে না; ঐ সব অমানুষদের কত কাহিনী যে জমে আছে, একটু ধৈর্য্য ধরুন জানতে পারবেন। হাজরা বাবুর গপ্পো আরেক টা শুরু করা যাক।


বৈশাখ মাস্ প্রখর রোদের তাপে মানুষের জীবন অতীষ্ট হয়ে উঠেছে। মাসের শেষ হতে চললো, না হোল কালবৈশাখী ঝড় ও কয়েক পশলা বৃষ্টি। বেলা সাড়ে তিনটা হবে হাজরা মশায় অটোতে বসে বারংবার তাগাদা করতে শুরু করলো- আরে ভাই একটু জোরে চালাও, নইলে গরমে শরীর ঝলসে যাচ্ছে। আসলে শরীর ওর ঝলসে যাচ্ছে না, মহুয়ার আকর্ষনে সে অতীষ্ট হয়েছে, ভেতরটা ওর টবগ টগ্‌ করছে কখন মহুয়ার কাছে পৌঁছুতে পারে এবং মহুয়ার মধুখাবার জন্য ভ্রমর হয়ে চিটিয়ে থাকতে পারে। মহুয়ার কাছে গেলে মহুয়া থর থর করে কাঁপতে থাকে। ঘন্টার পর ঘন্টা ওকে অতীষ্ট করে তুলে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়েই এই নরপশুটার কাছে আত্ম সমর্পণ করতে হয়েছে।


যথা সময়ে হাজির হলো ১০ নং অফিস কোয়াটারে, কলিং বেলটা বেজে উঠতেই মহুয়া চমকে উঠলেন। সে জানতে পেরেছে ঐ পশুটাই এসেছে। কপাট খোলতেই শোবার পালঙ্কে টান হয়ে শুয়ে পড়লো। একটু পর পাশ ফিরে শুয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললো- জানো মহুয়া তোমাকে কাছে পেয়ে আমার প্রানের উচ্ছ্বাস, প্রানের উদ্মাদনা কত গভীরে চলে গেছে আমি একজন উচ্চপদস্থ সরকারী অফিসারের বৌ এর পাশে শুয়ে প্রতিদিন কামনা চরিতার্থ করছি। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো কবে তোমার পাশে শোব। সেইদিন আমার এসে গেছে। জানো মহুয়া, পিয়াসা আমাকে তৃপ্তি দিতে পারে

না। মহুয়া খুবই ভদ্র, এবং বনেদী বাড়ীর মেয়ে। কোন দিন অন্যায়কে প্রশয় দেয় নি। সর্বদাই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছে। কিন্তু (একমাত্র) স্বামীর জন্য হিড়িম্ব হাজরার পাশে শুতে বাধ্য করেছে। কেন বাধ্য করেছে এ ঘটনা পাঠক/পাঠিকাদের কাছে এখন প্রকাশ করবো না। একটু ওয়েট করুন আপনাদের সামনে ঐ ঘটনা ছায়াছবির মত তুলে ধরবো। তার পূর্বে যে ঘটনা এখানে প্রকাশ করা জরুরী বা প্রযোজ্য সেটাই করছি।



Part - 5 || পর্ব - ৫


পর্ব -৩ || part -3

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024