ভালোবাসা ভালোবাসা
পার্থ প্রতিম দাস
নীহারিকা আর হাসি প্রতিবেশী দুই মেয়ে। তাদের যেই দেখে সেই বলে, "এরা একই মায়ের পেটের যমজ বোন। "
স্কুল পাশ করে দুজনে কলেজে ভর্তি হয়েছে। নতুন পরিবেশ। তবে দুজনে এক মেশ বাড়িতে থাকে তাই বিশেষ সুবিধে হলো।
সেদিন সরস্বতী পুজো। তাদের কলেজ জীবনে এই প্রথম বড় উৎসব বলতে হয়। কিন্তু কলেজ বাথরুমে নীহারিকার সোনার দুল ভেঙে গেল। কথাটা জানাজানি হতে হাসির মা একদিন হাসিকে ফোন করে জিগ্যেস করে, "হ্যাঁ রে, নীহারিকার কানের দুল কেমন করে ভাঙলো? "
হাসি বলল, "জানি না। নীহারিকা এখন সব কথা মুখ ফুটে তো বলে না। তবে দেখেছি কলেজের পুজোর দিন একটা ছেলের সাথে বাথরুমে ঢুকেছিল। তারপর এই ঘটনা। "
এদিকে হাসির মায়ের পেটে কথাটা হজম হল না। পুকুর ঘাটে বাসন মাজতে বসে হাসির মা সব কথা নীহারিকার মাকে বলে দেয়। তাই নিয়ে দুই পরিবারে ভীষণ ঝগড়া। কেউ কারুর মুখ দেখে না। নীহারিকার বাবা চারিদিকে রটিয়ে দিল, "ওরা নিন্দুক, অন্যের নিন্দা করা ওদের অভ্যাস। "
থার্ড ইয়ার হতে না হতেই হাসির বিয়ে হয়ে গেল।আর নীহারিকা কলেজ পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হল। এখন সে একা মেশে থাকে।
শীতের ভোর। মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে অনেকে দেখল এক মেয়ের বিবস্ত্র মৃতদেহ রাস্তার ওপর পড়ে আছে। পুলিশ আসে। বিকেল বেলায় জানা যায় মৃতদেহটা নীহারিকার ছিল।
No comments:
Post a Comment