ভীমরতি - অমিত কুমার রায় || Bhimrati - Amit Kumar ray || অনুগল্প || Shorts story || Story || Bengali story || Bengali Short story

 ভীমরতি 

অমিত কুমার রায়


সত্যেনকে প্রায়ই অনেকে এসে মুখর জিজ্ঞেসু স্বরে বলে -- সত্যেন তোমার লেখা রেডিওতে শুনলাম। বেশ ভালই লেখ, তো নজরানা পাও?

সত্যেন সংক্ষেপে না বলে আবার খবরের কাগজ পড়তে থাকে। সেই ব্যক্তি বলেই চলে -- তবে লিখে লাভ কী? সত্যেন হাসতে হাসতে বলে -- সেই কথাই এবার আমার অণুগল্পে লিখবো, বাঁদর করে কলার আদর, মুক্তা চেনে ঝিনুক বৌ!

ওপাড়ার মণি কা একদিন সত্যেনকে বলল -- সত্যেন, তোমার লেখা উদ্বোধন এ পেয়ে পড়লাম, বেশ ভাল লেখা ! তো কিছু নোট টোট পেলে?...... সত্যেন শান্ত ভাবেই বলল-- না। ভীমরতি ধরেছে লিখেটিখে ফেলি ওই আর কি!

পাশদিয়ে নয়না কলেজ যাচ্ছিল সে থমকে দাঁড়ালো, মণি কা চলে যেতে সত্যেনের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল-- সতুদা, এক রতি. দেড় রতি, দুরতি..... পাঁচ রতি দশ রতি শুনেছি ভীমরতি কতো রতিতে হয় গো ! সত্যেন এবার একটা অণুগল্প লেখার চেষ্টা করছিল সে বিরক্ত হয়েই বলল -- লেখার ক্ষতি যে করে তার মধ্যে হয়। 

নয়না চোখ বড়ো করে বললো, রাগছো কেন সতুদা রতি মানে তো মিলন, তাহলে ভীমরতি মানে ভীমের ওজন যতো ভরি তাই না সতুদা! সত্যেন বললে-- থামবি? নয়না বললে, থামবো কেন সতুদা, তুমিই তো আমার অগতির গতি, দশরতি হাজার রতি রত্ন গো! 

সত্যেন বলল দেখাচ্ছি, আমি ক'রতি, আজই তোর বাবা মায়ের কাছে যাব।

নয়নার বাবা সত্যেনকে বললেন, তোমার লেখা যদি ভীমরতি হয় তো আমার মেয়ে নয়না আ-রতি, কষ্ঠিপাথরে যাচাই করে নিয়েছো তো আগেই।

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র