Posts

Showing posts from 2023

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

Image
  সম্পাদকীয়:- শারদ প্রাতে নরম তুলার মেঘ, কাশে কাশে ঘন দাবদাহ, কোথাও ফ্যাকাসে আলো, কোথাও মুষলধারার অগ্নি স্নান। এমতাবস্তায় মায়ের দর্শন, মায়ের আশিষ লাভ ভাগ্যের ব্যাপার। যদি ঘরে ফিরে আসি, খাঁচার পাখি সোনার খাচায় কিংবা রুপার খাজায় বন্দী হই সেখানে শুধু দুদন্ড শান্তি দেয় সাহিত্য চর্চা। বিশেষত শারদ শুভেচ্ছার শারদ সংখ্যা গুলি। কল্পনা পিয়াসী কবি হৃদয়, আশায় ডুবে থাকা মধ্যবিত্ত পাঠক শুধু মুক্তির পথ খোঁজে যন্ত্র চালিত জীবনে থেকে পালিয়ে বাঁচার একটা নতুন আবেগ নিয়ে। এ শুধু তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ সার্বজনীন। বাঙালির আবেগ দুর্গাপূজা। দেশ দেশান্তরের আকুল আকাঙ্ক্ষা হলো শারদ উৎসব‌। মা সবার। মায়ের আশিষ সবার প্রাপ্য। সাহিত্য চর্চার অমোঘ টান নিয়ে কেটে উঠুক দুর্গা পূজার আনন্দ। ভরে উঠুক বাঙালি তথা সমগ্র ভারতবাসীর হৃদয়। পরপর দুটি বছরের সন্ধিক্ষণ পেরিয়ে ২০২৩ এর শারদ শুভেচ্ছা নিয়ে হাজির হচ্ছে আমরা- আপনাদের সকলের কাছে। তাই সকলেই এর স্বাদ নিন। সাধ মিটিয়ে আত্মসাৎ করুন প্রতিটি গল্প, প্রতিটি কবিতা। পুরাতন গ্লানিকে ছুটি দিন। সাহিত্য চর্চায় মজে উঠুন। ওয়াল সাহিত্য আড্ডা আপনাদের কাছে এক আনন্দময় মা

অঙ্কন শিল্প - মৈত্রেয়ী মুখার্জী || চিত্র শিল্পী - মৈত্রেয়ী মুখার্জী || Photography

Image
 

মাতৃরূপেণ - তিলোত্তমা চ্যাটার্জি || Matrirupeno - Tilottama Chatterjee || মুক্ত গদ্য || রম্যরচনা || Rommo rochona

মাতৃরূপেণ   তিলোত্তমা চ্যাটার্জি দূরে ঢাকের শব্দ ভেসে আসছে ,বাইরের মাঠে দুলতে থাকা কাশগুলোর দিকে জানলা দিয়ে তাকিয়ে ছিল দেবদত্তা ।এমনিতে সব গুরু চেলাদের মধ্যে সে মানিয়ে নিয়েছিল একপ্রকার, আগে ভয় পেত বালিশে মুখ চেপে কাঁদতো কয়েক রাত ...কিন্তু এখন সে সব হয় না। হয়তো জীবনের এত ওঠা পডাতে নার্ভগুলো ওর স্ট্রং হয়ে গেছে। পুজো এসে গেছে নিঃসন্দেহে, চারিদিক আলোর রোশনাইতে সেজে উঠেছে এটাও ঠিক, কিন্তু ওর জীবনে আলো আসেনি এখনো বলা ভাল ওদের জীবনে..। হঠাৎ করে দমকা হওয়ার মত পুরনো স্মৃতিগুলো ভিড় করে দাঁড়ায় চোখের সামনে। ওর জন্মটা কিন্তু আমার আপনার মতই স্বাভাবিকভাবে হয়েছিল, এমনকি দুর্গাপূজা ওর খুব ভালোই কাটতো একসময় ,ব্রাহ্মণ বাড়ির প্রথম ছেলে সন্তান হলে যা হয় অবস্থা ।ওর স্মৃতিরা কথা বলতে চায় তারা মনে করিয়ে দেয় ওদের পরিবারে মা দূর্গার আশীর্বাদে এই প্রথম পুরুষ সন্তান এসেছিল ঘর আলো করে ঠাকুরমা তাই নাম রেখেছিলেন 'দেবদত্ত'। কিন্তু জীবন তো আর ওয়াই ইজ ইকুয়াল টু এম এক্স ফলো করা সরলরেখা নয় ,সমস্যাটা ধরা পরল আদরের দেবদত্ত যখন বড় হল ।প্রকৃতির আলো বাতাসে এই মায়ার সংসারে বেড়ে ওঠা দেবদত্ত পরি

দিদিমণি - দেবাংশু সরকার || DidiMoni - Debangsu Sarkar || মুক্ত গদ্য || রম্যরচনা || Rommo rochona

        দিদিমণি               দেবাংশু সরকার      কয়েক বছর হলো শ্যামা সুন্দরী বালিকা বিদ্যালয় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে বেশ ভাল ফল করেছে স্কুলের ছাত্রীরা। বড় দিদিমণি কমলিকা রায়ের কঠোর পরিশ্রমের জন্যই এই সাফল্য এসেছে। কমলিকা রায়ের বড় দিদিমণি হওয়ার আগে স্কুলটা যথেষ্ট এলোমেলো ছিল। পড়াশোনা একেবারেই হত না। বিভিন্ন পরীক্ষার ফল হত বেশ খারাপ। দুর্নাম ছড়িয়ে পড়েছিল স্কুলটার। অভিভাবকরা তাদের মেয়েদের এই স্কুলে পাঠাতে চাইতেন না। ক্রমশ ছাত্রী সংখ্যা কমতে শুরু করেছিল।       ঠিক এই সময় এক সঙ্গে কয়েকজন দিদিমণি অবসর গ্রহণ করলেন। তাদের জায়গা নিলেন কয়েকজন কমবয়সী দিদিমণি। প্রমোশন পেয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে লাগলেন বড় দিদিমণি কমলিকা রায়।       প্রথম জীবনটা কমলিকার বেশ কষ্টে কেটেছিল। বিধবা মায়ের সামান্য পেনশনের টাকায় সংসার চলতো না। পিতৃহীনা কমলিকা ছাত্রাবস্থাতেই প্রচুর টিউশনি করে নিজের এবং তার ভাইয়ের পড়ার খরচ চালাতেন। সেই সঙ্গে সংসার খরচের অনেকটা সামাল দিতেন। এইভাবে লড়াই করতে করতে কলেজ, ইউনিভার্সিটির গন্ডি টপকানোর কিছুদিন পরে স্কুলের চাকরি পেতে হাল ফেরে তাদের সংসার

চোখের জল - শিবানী বাগচী || Chokher Jol - Shibani Bagchi || Muktogoddo || মুক্ত গদ্য || রম্যরচনা || Rommo rochona

  চোখের জল       শিবানী বাগচী এক ফোঁটা চোখের জলের দাম বুঝতে, বড়ো দেরী হয়ে গেলো ! অভিমানে গুমড়ানো চোখের জলে পেলাম যেন সাগরের নোনা স্বাদ ! কখনও তা চিকচিক করে চোখের কোনে, কখনওবা ঝরে পড়ে অনাদরে ; নয়তো বিরহে উদ্বায়ী হয়ে গুমড়ে মরে বুকের মাঝে ; আবার বাঁধ ভাঙা উল্লাসে সাঁতার কাটে ছলাৎ ছলাৎ চোখের আড়ে !         একদিন ঢেউয়ের কাছে জানতে চেয়ে ছিলাম ভালো থাকার মানে। সে তো অপেক্ষাতেই দোল খেতে থাকলো, অসংলগ্ন ঢেউ হয়ে চোখের জলে ? যদি কোনদিন তোর কাছে মেঘ চাই আমায় দিবি ; বৃষ্টি জমাবো ওতে ! দুফোঁটা চোখের জল আর স্নান ঘরে উপচানো বাষ্পীয় শোক, যেখানে চশমার কাঁচ মন খারাপের কুয়াশা মাখবে রোজ ! আর আমি নির্জনে জল ছপছপ চোখে লিখবো আমার যাপন ছোঁয়া কবিতা !        গোধুলি হলেই নতুন করে কিছু হারিয়ে ফেলার বড়ো ভয় হয় রে ? যদিও হারাতে হারাতে, হারানোর আজ আর কিছু নেই । তবু খোলা চোখের জমা জলে দেখি কিছু অপ্রত‍্যাশিত ইচ্ছে, যা ঝাপসা কাঁচের আবছা আলোয় মেঘ হয়ে জমে, আর ঝরে পরে অঝোরে চোখের জল হয়ে !        সর্বনাশ জেনেও প্রাক্তনের হাত ধরে সেদিন ছেড়েছি ঘর, আগুনে সঁপেছি দেহ, হয়েছি লুট ! মান অভিমান আর চোখের জল মিশিয়ে পাষান হৃদয় গলিয়েছি ; ভ

পুরীর উল্টো রথ - অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় || Purir ulto roth - Ashok Bandopadhyay || Muktogoddo || মুক্ত গদ্য || রম্যরচনা || Rommo rochona

  পুরীর উল্টো রথ             অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় পুরীর রথ দেখার শখ ছিল যুবক বয়স থেকেই। কিন্তু এতো ভীড়ের মধ্যে রথ দেখার মতো কঠিন কাজ আর হয় না। তাই আগে কখনো সাহসে কুলায়নি। শেষ পর্যন্ত একদিন সেই পুরীর জগন্নাথদেবের রথ দেখলাম, তবে উল্টো রথে।       গত ২০১৯ সালে দুই ছেলের সঙ্গে সস্ত্রীক বাঁকুড়া স্টেশনে চেপে বসলাম বৈদ্যনাথ ধাম পুরী এক্সপ্রেস ট্রেনে। ট্রেনটা খুব যে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন তা নয়। কিন্তু বাঁকুড়া থেকে সন্ধ্যা নাগাদ ছাড়ায় সুবিধা হয়েছিলো। ঘটনা চক্রে ঐ ট্রেনের কামরায় এমন একদল মহিলা যাত্রীর সঙ্গ ( সঙ্গে ওদের দুয়েক জন পুরুষ সহযাত্রীও ছিলো ) জুটলো যারা আসানসোলে চেপেছেন। ওনারা কেউ আসলে কলকাতার, কেউ আসানসোলের কেউ বা দুর্গাপুরের। প্রায় জনা পাঁচেক ঐ মহিলারা প্রত্যেকে পরস্পরের ভীষন বন্ধু। এবং ওরা এমন একটা ট্যুরিস্ট টিম যারা এই ভাবে একসাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান ছুটি ছাটা বা সুযোগ পেলেই। ওদের কেউ প্রোফেসর, কেউ শিক্ষিকা, কেউ বা সরকারি কর্মচারী। তবে সবচেয়ে অবাক হলাম জেনে যে ওরা প্রতি বছর এই সময়ে পুরী যান শুধুমাত্র উল্টো রথ দেখতেই। প্রায় এক সপ্তাহ সেখানে থাকেন। ওদের অবশ্য প

লাইমলাইট - মধুরিমা ব্যানার্জ্জী || limelight - Madhurima Banerjee || অনুগল্প || Short story || Prose

    লাইমলাইট               মধুরিমা ব্যানার্জ্জী             কালিকাচরনের আজ একদম শেষ অবস্থা। এককালের ডাকসাইটে ব্যান্ডের লিড সিঙ্গার কালিকাচরন। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন নয়নাজুলিতে। গাড়ি উল্টে গিয়ে ব্যান্ডের অনেকেই মারা যায়। নিজেকেই দোষ দিয়ে নেশার মৌতাতে ডুবে থাকেন তিনি। আজকাল জ্ঞান গলা দিয়ে সেরকম একটা আসেনা, তিনি চেষ্টাও করেননা। বুকে ব্যাথাটা মাঝে মধ্যে শোয়ের মাঝেই জানান দেয়। আগে কালিকাচরনের সাথে সেলফি তোলার ভিড়, নাহলে সই চাওয়ার। সেই ভিড় ক্রমশ পাতলা। আসলে লাইমলাইট থেকে সরে এলে মানুষ তো ক্রমশ ভুলতে থাকে। এখন শো অনেক কমে গেছে। তবে দলে গোপাল বলে নতুন ছেলেটি আসার পর একটু যা বায়না হয়। আজ এই শোয়ে নিজে গাইতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কালিকাচরন। জাত শিল্পীর লাইমলাইট চলে গেলে যা হয়।

অন্নের চেয়ে বড় যা - দিলীপ পণ্ডা || Onner cheye boro Jaa - Dilip Ponda || অনুগল্প || Short story || Prose

  অন্নের চেয়ে বড় যা           দিলীপ পণ্ডা      সব্জী কুটতে কুটতে বটিটা একদিকে ঠেলে ফেলে দিয়ে হেঁশেল থেকে একটা দা হাতে নিয়ে ছুটল নমিতা।হুট করে কিছু করে বসবে, তা হয়না।মাঠের আলপথে দৌড়াতে দৌড়াতে সে দেখল একটা গরু ঢুকে পড়েছে বেড়া ভেঙে।কী অবাক করা কাণ্ড! লাল ডাটাগুলো পরপর মুড়িয়ে দিল? ভাগ্যিস তো ডাটা নিতে এসেছিল,নইলে কত্তার এত সাধের চাষ সব তছনছ করে দিত।জন্তুটাকে তাড়িয়ে বেড়াটা তুলে সোজা করে দিল নমিতা।    রান্নাঘরে ঢুকে একটা পোড়া গন্ধ নাকে আসতে একঘটি জল ঢেলে দিল হাড়িটায়।ভাতটা হয়ত রক্ষা পেল কিন্তু ওর রক্ষা হবে কি?একটা বুদ্ধি খেলে গেল মাথায়।নিজের গোয়ালঘরের একটা গাই এনে সে বাঁধল রান্নাঘরের কাছে পেঁপে গাছটায়।    কত্তা জমি পরিদর্শন করে একেবারে স্নান করে ফিরেছেন।রান্নাটা ভারী সুন্দর হয়েছে আজ,যেন মহোৎসবের খাবার---বলে অফিসে যাওয়ার সাইকেলের স্ট্যাণ্ডটা তুললেন।নমিতা হাঁ করে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।চোখজুড়ে নতুন প্রেমের উন্মাদনা কিছুটা ঠিকরে পড়েছিল কত্তার পাঁজরের  গভীরে।

ভালোবাসা ডট কম - সুপ্রিয় ঘোষ || Valobasa Dot com - Supriyo ghosh || অনুগল্প || Short story || Prose

  ভালোবাসা ডট কম               সুপ্রিয় ঘোষ  ভালোবাসা যেকোন কিছুই মেনে চলে না তা আমরা জানি," মন চায় মিলতে মিশে হয় খুশি মন গাছের সাথে গাছ হয় নদীর সাথে নদী"। ঠিক এই লাইনটা আমাদের হৃদয়ের প্রতিরূপ ঠিক তেমনই ঘটনা রূপম ইসলাম ও দেবপ্রিয়ারমধ‍্যে। রূপম সেন্ট্রাল পাবশিকেশন স্কুলে টিচার আর দেবপ্রিয়া এগ্রিজকালচারের ছাএী লাস্ট ইয়ার। তাদের মধ‍্যে প্রেম হয় এক বাসে যাতায়াত থেকে একদিন বাসে ওঠৈ দেবপ্রিয়া দেখে তার কাছে টাকা নেই তখন পাশের সিটে বসা রূপমকে বলে আপনি টাকাটা দেবেন আর আপনার ফোন নং দেবেন বাড়ি ফিরে অনলাইন টাকা পাঠিয়ে দেব। তারপর রূপম বলে নাহ নাহ ঠিক আছে বলে তার ভাড়া দিয়ে দেয়। তারপর বাড়ি ফিরে দেবপ্রিয়া টাকা পাঠিয়ে দেয় এবং ওয়াটস অ‍্যাপে এসএমএস করে। এরপর তাদের প্রতিদিন কথা হতে থাকে এবং বাসে মাঝে মাঝে দেখা হয় এইভাবে চলতে চলতে কখন যে দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলে তা তাদের অজানা। একদিন রূপম মনের কথা দেবপ্রিয়াকে বলে সে তাকে ভালোবাসে ও বিয়ে করতে চায়।দেবপ্রিয়া বলে আপনি আমার চেয়ে অনেক বড়ো তাছাড়া আমাদের বিয়ে কি কেও মানবে? রূপম বলে ভালোবাসা ধর্মহীণ বর্ণহীণ তা কখনই ধর্মকেন্দ্রিক হতে পারেনা আর কেও না মানল

ফকির দাদু - অমিত কুমার রায় || Fakir Dadu - Amit Kumar Ray || অনুগল্প || Short story || Prose

  ফকির দাদু  অমিত কুমার রায় ভোর সাড়ে চারটেয় বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়িতে রওনা দিয়েছিল সুদেষ্ণা তার স্বামীর সঙ্গে। সম্বিতের বাইক নদীর দুপারের কুয়াশা ঠেলে বাড়ির গন্তব্যে পৌছালো যখন তখন ভোর সাড়ে পাঁচটা। সুদেষ্ণা বাইকে করে যখন শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিল তখন তার মধ্যে সামান্য কিছু অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করেছিল সম্বিত। বাড়ির উঠোনে এসে সম্বিত সুদেষ্ণাকে জিজ্ঞেস করল--- অমন করে পিছনদিক থেকে কাঁকড়ার মতো জড়িয়ে ছিলে কেন, ব‍্যাপারটা কি বলবে। সুদেষ্ণা ব‍্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে ঢকঢক করে হিমেল আবহে জল খাচ্ছিল!তারপর সম্বিতকে বললে, জামাকাপড় বাইরে ছেড়ে হাতমুখ পা ধুয়ে তবেই ঘরে ঢুকবে বুঝলে তারপর কথা বলব। সম্বিত হাসতে হাসতে বলল ---আরে কবে আবার শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে ড্রেস চেঞ্জ করেছি। সুদেষ্ণা হাফ ঝাঁঝে বলল ---- যা বলছি তাই করো। আমি বাইরের কলতলায় ড্রেস ছেড়ে এলেই তুমিও যাবে, একদম ঘরে ঢুকবে না। সম্বিত দ্বিরুক্তিমাত্র করল না। যথারীতি সম্বিত আর সুদেষ্ণা পোশাক বদল করে ঘরের ভেতরে গেল। এবার তো বলো কি হয়েছিল তোমার সম্বিত বললে। সুদেষ্ণা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললে ---রথতলার স্নান পুকুর ঘাটে ফকির দাদুকে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে

হরেন দাস - কাহার মল্লিক || Haren Das - Kahar Mallik || অনুগল্প || Short story || Prose

      হরেন দাস             কাহার মল্লিক হরেন দাস একজন ডাহা মাতাল। মাতাল হলেও অত্যন্ত সরল মনের মানুষ। সে অন্ধকারকে খুব ভয় পায়। অন্ধকারে পড়লেই সে বিকট কান্না শুরু করে দেয়। সে নেশাবস্থায় থাকুক বা সাধারণ অবস্থায় থাকুক, অন্ধকারে তার খুব ভয় হয়। সে অন্ধকারে পড়ে অনেকবারই মূর্ছা গিয়েছে। তার একট বিশেষত হল, রাস্তায় চলাকালীন কোনও গাড়ির হর্ন বাজলে তার কাছে অসহ্য হয়ে উঠে। হরেন হর্ন বাজানোকে ড্রাইভারদের চরম ঔদ্ধত্য ভাবে। তখন সে গাড়ির সম্মুখেই থাকে, মধ্য রাস্তা থেকে একটুও সরে দাঁড়ায় না। গাড়ি থামলে হরেন দাস বুক চাপড়ে বলে- “আমার নাম হরেন, আর কে রে আমার সামনে হরেন বাজাস। তোর সাহস তো কম নয়।” এই উদ্ভট কীর্তিকলাপের জন্য ড্রাইভারদের হাতে কত যে প্রহার খেয়েছে তার কোনও ইয়ত্তা নেই। এই নিয়ে তার সহকর্মিরাও অনেকবার অনেক ঝামেলায় জড়িয়েছে, এমনকি দু-একদিনের জন্য জেল ভোগও করেছে।                      হরেন দাস ছত্রিশগড়ে হরেক মালের ব্যবসা করে। সাইকেলে হরেক মাল ফেরি করে বেড়ায়। প্রতিবছরই হরেন দাসরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে রোজগারের উদ্দেশ্যে সুদূর ছত্রিশগড়ে পাড়ি দেয়। একদিন হরেন দাস মদ পান করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বে

বাবা বেঁচে আছেন - সুনির্মল বসু || Baba Beche achen - Sunirmol basu || অনুগল্প || Short story || Prose

  বাবা বেঁচে আছেন       সুনির্মল বসু কথাটা প্রথম কোথায় কার কাছে শুনেছিলেন, আজ আর মনে করতে পারেন না, অথচ, কথাটা মনে ধরেছিল তাঁর, সেই থেকে লেখালেখির শুরু। কথাটা ছিল, প্রকাশ কি ঔর। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে কবিতা লিখতো লোকটা। তাঁর ডাইরি খাতা ভরে যেত অজস্র লেখায়। আকাশের রঙ, নদীর ঢেউয়ের জল তরঙ্গ, অরণ্য পাখির গান, বন শিরীষের মর্মর ধ্বনি , সমুদ্রের দূরাগত ধবনি, লোকটার লেখায় উঠে আসতো। সংসারের প্রতি ক্ষেত্রে পরাজিত লোকটা পাতার পর পাতা অজস্র লিখে যেত। সবাই বলতো, লিখে কি হয়। কেউ কেউ বলতো, আপনার লেখায় বাস্তবতার ছোঁয়া নেই। একসময় লোকটার নিজের মনে হয়েছিল, সত্যি সত্যি লেখার জন্য তাঁর এই আত্মত্যাগের হয়তো কোনো মূল্য নেই। শুধু শুধু কালি কলমের অপব্যবহার। তবুও না লিখে উপায় ছিল না তাঁর, রক্তের মধ্যে সৃষ্টির নেশা জেগে থাকলে, বারবার লেখার টেবিলে ফিরে আসতে হয়, সেভাবেই প্রতিদিন সৃষ্টির নেশায় মগ্ন চৈতন্যে জেগে থেকেছেন তিনি। সংসারে অভাব ছিল, দারিদ্র প্রতিদিন সকালে দরোজায় এসে দাঁড়াতো, টালমাটাল সংসার, প্রতিদিনের জীবনধারণের গ্লানি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতো, এসব আপনার জন্য নয়। তাহলে লিখে লাভ কি, থেমে যাওয়াই

দশ টাকার নোট - পার্থ প্রতিম দাস || Dash takar Note - Partha protim Das || অনুগল্প || Short story || Prose

  দশ টাকার নোট       পার্থ প্রতিম দাস  একটা সময় ছিলো যখন মোবাইল ফোন ভারতে আসেনি। টেলিভিশনে কেবল ডিডি বাংলা দেখাতো। সেই সময় বিভিন্ন জেলা থেকে কোলকাতায় পড়তে যাওয়া ছেলেমেয়েরা সবাই কফি হাউসে আড্ডা দিতো।          মেদিনীপুর থেকে পড়তে যাওয়া মৃদুল আর তার তিন বন্ধু মিলে বিকেলে কফি হাউসে এসে আড্ডা দিচ্ছে। গরম কফির ধোঁয়ায় রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে প্রেম, সব বিষয়ে গসিপ করছে তারা। তাদের মধ্যে থেকে একজন, নাম তার বিধু, সে হঠাৎ করে জিগ্যেস করে, "কি রে চিন্ময়, তোর প্রেম কতদূর? "         চিন্ময় ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, "ব্রেকাপ হয়ে গেছে। বাদ দে। যে যাওয়ার সে আসে না। "       মৃদুল তখন বলল, "যে আসার সে ঠিক আসবে। "      চিন্ময় বলল, "কেমন করে সম্ভব? " মৃদুল বলল, "এখন একটা ট্রেন্ড চলছে, টাকার নোটে নিজের নাম লিখে বাজারে ছেড়ে দিলে সেই নোট ফিরে আসছে। তাই বললাম।"      বিধু কথাটা শুনে অবাক হলো। সে উৎসাহিত হয়ে মৃদুলকে বলল, "ঠিক আছে তুই কফির টাকাটা পেমেন্ট করার সময় একটা দশ টাকার নোটের উপর আমাদের চার বন্ধুর নাম লিখে ওয়েটারকে টিপস দিয়ে দে। "         সে

সিগারেট - কাজল মণ্ডল || cigarate - কাজল মন্ডল || অনুগল্প || Short story || Prose

          সিগারেট                   কাজল মণ্ডল              আজ অফিসে অনেক কাজ জমে ছিল।সেই সব সেরে সুরে বেড়াতে বেড়াতে রাত ন'টা বেজে গেল।পাহাড়ী অঞ্চলে এটা বেশ রাতই।আশেপাশের দোকানের সব ঝাঁপ পড়ে গেছে।বন্ধ হয়ে গেছে সব বাড়ীর দরজা জানলাও।রাস্তা একদম শুনশান।কুয়াশার চাদরে মুড়ে গেছে সব।সঙ্গের সেলফোনটার টর্চ এদিক ওদিক মেরে দেখলাম।যদি কোনো গাড়ী টারী পাই আর কী।না-কোনো কিছুই চোখে পড়ছে না।ঘন কুয়াশার কারণে ভালো দেখাও যাচ্ছে না।তাই গাড়ী-গাড়ী-বলে কয়েকবার হাঁকলাম।না কাউরির কোনো সাড়া টাড়া নেই।একেই পাহাড়ী মফঃসল অঞ্চল।তার ওপর শীতের রাত। গাড়ী না পাবারই কথা। তাই আর দেরি না করে হাঁটতে শুরু করে দিলাম।এখান থেকে আমার কোয়াটার্স তাও কিমি দুই হবে।এমনিতে আমি হেঁটেই ফিরি।কিন্তু আজ এত রাতে এই নির্জন রাস্তায় একা একা হাঁটা।একটু কেমন কেমন লাগে আর কী।মেন রোডটা শেষ করে বাঁদিকের পায়ে চলা পথটা ধরতেই গন্ধটা নাকে এলো।সেই পোড়া সিগারেটের গন্ধটা।বিদেশি নামি ব্যান্ডের দামি সিগারেট।যেটা কেবল আমি রাণাদাকেই স্মার্টলি টানতে দেখছি।যখন রাণাদা লণ্ডন থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ী আসতো।তো সেই রাণাদা বছর দু'য়েক থেকে নিঃখোঁজ।পুলিশ দিয়ে,গোয়েন্দা

ছাতা - অনিন্দ্য পাল || Chata - Anindapal || অনুগল্প || Short story || Prose

  ছাতা  অনিন্দ্য পাল  তপন অটোটাতে উঠে বসলো। মিনিট দশেক আছে হাতে। সাত মিনিট লাগে এখান থেকে স্টেশন। হঠাৎ হাতটা খালি খালি লাগে তপনের। কী ছিল হাতে? ওহ্ ছাতাটা! এই জন্যই নেয় না, বুড়ি মা কে মনে মনে কুকথা বলে নেমে এল অটো থেকে। ওষুধের দোকানে ফেলে এসেছে নিশ্চয়ই। সেদিকে পা চালালো দ্রুত। ছাতাটা পেয়ে গেল, দোকানদার হেসে বলল, মিষ্টি পাওনা রইলো! তপন অটোর দিকে কয়েক পা বাড়িয়েছে মাত্র, হঠাৎ বিকট আওয়াজ! দ্যাখে, একটা ফুল পাঞ্জাব লরি আছড়ে পড়েছে অটোটার উপর। পিষে গেছে চালক আর এক সহযাত্রী।     কেমন একটা অস্বস্তি হয় তপনের। বুক ফেটে কান্না বের হয়ে আসতে চায়। মা, মাগো-- দ্বিতীয় বার জন্ম দিলে মা! কালো রঙের ছাতাটা বুকে জড়িয়ে ফুটপাতের উপরেই বসে পড়ল তপন।  

Algal Biofuel : a Viable Option or NOT - Saikat Das || Scientific Article || Article ||

  Algal Biofuel : a Viable Option or NOT                   Saikat Das   The awareness that fossil fuels are rapidly exhausting, may be accelerated the need for an alternative energy source that is renewable, cost effective, and eco-friendly . The condition has been impaired by global warming which has brought it home to all that there is an urge to reduce man’s carbon foot print and conservation of energy on the other hand. The unsteadiness in the regions from which the fossil fuels are obtained is the reason for worry. High prices may reject it in some economically weak countries so better alternative is required. In addition to algal biofuel , other option for alternative and renewable source of energy do exist and they include wind and solar energy. But, there is no exact replacement of current fossil fuels but in future there may be some better alternative like algal biofuels which may be an exact replacement for the purpose. The planktons and microalgae are preferred generally for