Posts

Showing posts from May, 2024

এরা কারা - বিশ্বনাথ দাস || Era Kara - Biswanath Das || পর্ব - ৮ || part - 8 || Era Kara part 8 || Novel - Era Kara || Era Kara by Biswanath Das || উপন্যাস - এরা কারা

Image
  গতস্য শোচনা নাস্তিঃ কিন্তু হিড়িম্ব মহারাজ কোন মতেই অসীম রায়ের অপমানের কথা ভুলতে পারলো না। সর্বদাই কানের মধ্যে বাজতে থাকলো। সর্বক্ষন মনে হচ্ছে বুকের বাম দিক টাতে একটা আলপিন যেন ফুটে আছে। একদিন ওর সাকরেদদের ডেকে পরিকল্পনা করলো, কি ভাবে নীলরতনকে ফাঁদে ফেলা যায়। একমাত্র পথ হলো স্কুলের হেডস্যারকে হাত করতে হবে। রাজনীতির প্রভাবে হেডস্যারকে সহজেই হাত করা সহজ হবে। তার চামচারা একমত। নেতাকে থাপ্পড় মারা মানে তাদের ও ল্যাজ কেটে দেওয়া। হঠাৎ হিড়িম্বর পোষাগুন্ডা গনশা এক সময় বলে উঠলো - টেন্সন নিওনা গুরু, তুমি বললে খালাস করে দেবো। হিড়িম্ব ও তার গোপাল বন্ধুরা মিলনদার দোকানে মাল ও কচি পাঁঠার মাংস খাচ্ছিল। হঠাৎ দাঁতের খাঁজে এক টুকরো হাড় আটকে যাওয়াতে মুখের ভেতরে পুরো কব্জিটা ঢুকিয়ে বের করতে করতে বললো - পারবি খালাস করতে? গনশা বললো- পারবো গুরু পারবো, হুকুম করলে দেখবে কাজ হাসিল। হঠাৎ গনশা বিকট চিৎকার করে বললো, -এই জোগা, একটা ট্যাংরা নিয়ে আয় নেশাটা জমাতে হবে। এমন সময় হিড়িম্ব বললো- উঠে পড় গনশা, একটা নয়া চিজ খেয়ে আসি। বলা মাত্র ট্যাংরী না খেয়ে উঠে পড়লো। এবার আপনাদের কাছে দু লাইন বক্তব্য রাখছি, এই গনশা কে? কি তা

এপ্রিল সংখ্যা ২০২৪ || April Sonkha 2024

Image
সম্পাদকীয়: নদীর বুকে নিজেকে জড়িয়ে নিন। বিকেলের পড়ন্ত রোদের বিকেলে দুদন্ড শান্তি নিন নদীর প্রান্তে। এ এক অমায়িক সুখ। হৃদয়ে প্রেমের সঞ্চার হোক‌। জানি সে প্রেম তাৎক্ষণিক। তবুও এই দুদন্ড শান্তি প্রত্যেক প্রহরের অক্লান্ত পরিশ্রম দূর করার এক নিবিড় প্রয়াস মাত্র। পৃথিবীর বুক ফেটে বের হয়ে আসে লাভা, এই তপ্ত দুপুরের পরিশ্রম যেন ঐ গলিত লাভাকে স্পর্শ করেছে। তাই সুখের খোঁজে বের হোন। নদীর প্রান্তে শীতল বাতাস খুঁজে নিন। সঙ্গে নিন সাহিত্য চর্চার সমস্ত সামগ্রী। অন্তত নিজের মোবাইল সাথে রাখুন। প্রশান্তির আদলে শুরু করুন সাহিত্য চর্চা। লেখালেখির জগতে প্রবেশ করাতে শিখুন। ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা ব্লগ ম্যাগাজিন আপনার সুদৃঢ় প্রয়াসকে অবশ্যই কুর্নিশ জানাবে। আসলে বিনামূল্যে সাহিত্য চর্চায় প্রশান্তি আনতে পারে একমাত্র ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা ব্লগ ম্যাগাজিন। তাই নিজের মোবাইল এর স্পর্শে ঘেঁটে ফেলুন আপনার প্রিয় লেখক এর লেখা গুলো। নদীর প্রান্তে শীতল বাতাসের প্রশান্তি আর সাহিত্য চর্চার প্রশান্তিকে করে ফেলুন এককার। ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা ব্লগ ম্যাগাজিন সর্বদা সকলের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাই সাহি

স্বর্ণমণি - সিদ্ধার্থ সিংহ || Sawarna moni - Sidhartha singha || Story || Short Story || Bengali Story || Bengali Short Story || গল্প || ছোট গল্প || অনুগল্প

  স্বর্ণমণি সিদ্ধার্থ সিংহ বাগানবাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে পা রাখতেই সৌম্য বুঝতে পারল, স্বর্ণমণিকে কত লোক ভালবাসত। না হলে এইটুকু সময়ের মধ্যে এত লোক এসে জড়ো হয়! গোটা বাড়ি জুড়ে থিকথিক করছে লোক। তার মধ্যে আশপাশের মেয়ে-বউই বেশি। ও যে সবাইকে চেনে বা ওকেও যে সবাই চেনে, তা নয়। তবে স্বর্ণমণিকে নিশ্চয়ই এরা সবাই চেনে। ও তখন মেজদির বাড়িতে রাখী পরতে গেছে। জামাইবাবুর আনা মটন বিরিয়ানি খেতে খেতেই শুনল মেজদির ফোনে রিং হচ্ছে। মেজদির কথা শুনেই বুঝতে পারল মাধুকাকা ফোন করেছে। মা মারা যাওয়ার পর তাদের এই অকৃতদার কাকাই তাদের বারুইপুরের বাগানবাড়িতে থাকেন। পঁচাত্তর পেরিয়ে গেলেও শরীর এখনও যথেষ্ট সুঠাম। কিন্তু তিনি ওখানে একা থাকবেন কী করে! রান্নাবান্না কে করে দেবে! তাই খুব ছোটবেলা থেকেই তাদের সংসাররের যাবতীয় কাজকর্ম যে দু'হাতে একাই সামলাচ্ছে, সেই স্বর্ণমণিকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওখানে। খুব ছোটবেলায় বাপ-মা মরা পলাশীর এই মেয়েটিকে তার বৌদি এত অত্যাচার করত যে, সে একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতার ট্রেনে চেপে বসেছিল। সেই ট্রেনে ছিলেন সৌম্যর মা। সে বহু যুগ আগের কথা। সৌম্য তখন ফাইভ কি সিক্সে পড়ে। ওর ম

বৈশালী পাড়ার প্রতিমারা - শাশ্বত বোস || Baishali parar protima ra - Saswata Bose || Story || Short Story || Bengali Story || Bengali Short Story || গল্প || ছোট গল্প || অনুগল্প

বৈশালী পাড়ার প্রতিমারা       শাশ্বত বোস মফস্বলের ঝিম ধরা বিকেলের চলন্তিকা রোদ, প্রিজম তর্জনীর বর্ণালী ছাড়িয়ে, রাহুরেখা বেয়ে তির্যক ভাবে আলো আঁধারির মায়াজাল বুনেছে পাড়াটায়| আদুর গায়ের ছায়া শরীর আর গলনাঙ্কে ফুটতে চাওয়া তেঁতুল বিচির আঠার রং, যেন কুলহারী বেদব্যাসের স্বমেহ পিন্ডদানের আবহে, খড় –মাটি-রোদ-বৃষ্টির গল্প বলে চলেছে নিরন্তর| গলিটার গা বেয়ে তখন উদলা কাঠামো, নিটোল স্তন আর উর্বীমুখি নিতম্বের সারি| এটা স্থানীয় “কুমোরপাড়া”| আশেপাশের প্রায় তিন চারটে ছোটোখাটো শহরের মাঝে, প্রান্তিক, ক্লেদাক্ত, কস্তুরীয়, ম্রিয়মান প্লবতার নামাবলী গায়ে জড়িয়ে, রক্তাভ ঈশানে, এখানে এক শ্রেণীর মনুষ্যসম জীব, খড়কুটো দিয়ে কাঠামো বাঁধে, সেই বৈরী নগ্নতার গায়ে মাটি চাপায়, বানায় “প্রতিমা”| শাড়ি-গহনা-ডাকের সাজের আড়ালে, নিজের শিল্পসত্তার ফ্যালাসিকে কবর দিয়ে, মূর্তি বিক্রির মৈত্রী চুক্তিতে সায় দিয়ে, দূরে দাঁড়িয়ে যন্ত্রনার সুরহারীর ছেঁড়া তারে, আগমনীর সুর তোলে, আর অনাড়ম্বর সম্যক দৃষ্টির স্থিতিস্থাপকতায় অনুভব করে, সেই প্রতিমার পৃথু দেহজুড়ে লেপন হতে চলেছে, নির্জিত প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনশ্বর অসিয়তনামা| আমাদের গল্পটা শুরু হয় এই পাড়া

আল মাহমুদ - শংকর ব্রহ্ম || Aal mahamud - Sankarbrahama || প্রবন্ধ || Article || নিবন্ধ

আল মাহমুদ   (আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি) শংকর ব্রহ্ম                          আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ই জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মন। তাঁর পিতৃদত্ত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তাঁর দাদার নাম আব্দুল ওহাব মোল্লা; যিনি হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।                           বাবা মীর আবদুর রব। মা রওশন আরা মীর। রব ও রওশন পরস্পর চাচাতো ভাই-বোন ছিলেন। মীর আবদুর রব সংগীত-অনুরাগী ছিলেন। পিতামহ মীর আবদুল ওহাব ছিলেন কবি। জারি গান লিখতেন। আরবি-ফার্সি ভাষায় সুণ্ডিত ছিলেন। সংস্কৃত ভাষাও জানতেন। আবদুল ওহাব স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা ও কেরানির চাকরি করতেন।                            ১৯৪২ সালে দাদি বেগম হাসিনা বানু মীরের কাছে বর্ণপাঠ দিয়ে শিক্ষাজীবন শুরু। তাঁর কাছ থেকেই বিশাল বৈচিত্র্যময় আকাশের বিস্তার অবলোকনের প্রথম পাঠ গ্রহণ। ওই সময়ে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে গ্রহণ করেন ধর্মীয় শিক্ষা। ১৯৪৩-৪৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এম.ই স্কুলে ২য় থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। ১৯৪৮ সালে ৬ষ্ঠ জর্জ হাইস্কুলে পড়েছেন ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত। ৮ম শ্রেণিতে পড়েছেন কুমিল্লার দাউদকান

কুমুদ কথায় অজয় - তন্ময় কবিরাজ || Kumud Kothay Ajay - Tanmay Kabiraj || প্রবন্ধ || Article || নিবন্ধ

  কুমুদ কথায় অজয়         তন্ময় কবিরাজ "ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে, বলো কোথায় তোমার দেশ তোমার নেই কি চলার শেষ ও নদীরে..."হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই কালজয়ী গানের কথাই মনে এলো কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের সঙ্গে অজয় নদ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে। কারন কবি কুমুদ রঞ্জনের জীবনে মিশে গেছে অজয়ের স্রোত। রূপসী বাংলার মাধুর্য্য খুঁজতে গিয়ে কবি জীবনানন্দ দাশ পেয়েছিলেন গাঙ্গুর- বেহুলা, জীবন সংগ্রামের ইতিকথার জীবন্ত দলিল হয়ে রয়েছে মানিক বন্দোপাধ্যায়ের পদ্মা, বা কখনও তারাশঙ্করের হাঁসুলি বাঁকের উপকথা। কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের কাছে নদী কেবল চলমান স্রোতের গতিধারা নয়,তিনি অজয়ের মধ্যেই গ্রামীণ জীবনের উঠানামার গল্প রচনা করেছেন। অজয় কবি কুমুদ রঞ্জনের সুখের কাব্যিক মেটাফরে সীমাবন্ধ থাকেনি, বরং পথচলতি জীবনের সাক্ষ্য বহন করা বন্ধু। তাই হাজার বিপত্তি কাটিয়ে তিনি বলেন,"অভয় মাগি মনের কথা বলতে পারি কি/উজানি আর অজয় আমার প্রাণের সামগ্রী।"কবিতায় আমার শব্দের অর্থ শুধু ব্যক্তি কবিই নন, বরং তার সঙ্গে জড়িত নদী তীরবর্তী জীবন। নদীর বাধা থাকলেও নদী মাত্রিক বাংলাদেশে নদীকে ছাড়া জীবন কল্পনা