ছোট গল্প - শূন্যতা || লেখক - সুব্রত নন্দী মজুমদার || Written by Sunnyta || Short story - Subrata Nandi Majumdar


 


      শূন্যতা 

         সুব্রত নন্দী মজুমদার 


                              (এক) 

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে দক্ষিনেশ্বর কালীবাড়ি গিয়ে পূজো দেবে মেয়ের মঙ্গল কামনায়, এই কথাটা রুমেলা স্থির করে রেখেছিল অনেক দিন আগেই। আজ সেই দিন। ঘড়ির কাঁটা পাঁচটা ছুঁতে না ছুঁতেই রুমেলার ঘুম ভেঙ্গে গেল। এলার্ম দেওয়ার দরকার পড়ে না, এটা তাঁর বহুকালের অভ্যাস। তবু সাবধানের মার নেই, তাই ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রেখেছিল। আজ মেয়ে রুবেলার প্রথম জন্মদিন। রুমেলা স্বামী তমনীশকে তার মনের বাসনার কথাটা অনেকদিন আগে থেকেই বলে রেখেছিল যে মেয়ের প্রথম জন্মদিনে সে দক্ষিনেশ্বর কালিবাড়ীতে গিয়ে পূজো দেবে। তমনীশের যদিও দেবদ্বিজে তেমন ভক্তি নেই, কিন্তু পূজো আচ্চার ব্যাপারে রুমেলার অতিভক্তিকে সে বরাবরই মান্যতা দিয়ে এসেছে। যখনই কালীঘাট, দক্ষিনেশ্বর বা বেলুড় মঠ যেতে চেয়েছে সে তাকে নিয়ে গেছে। তাই মাথা নেড়ে সে সম্মতি জানিয়েছিল। 

আগের দিন রাত্রে শুতে যাবার আগে রুমেলা তমনীশকে কথাটা স্মরণ করিয়ে দিতে সে শুধু বলেছিল, “একটু তাড়াতাড়ি করতে হবে, কারণ অফিসে কাল বেলা এগারোটায় একটা জরুরী মিটিং আছে, তার আগে আমাকে পৌঁছতে হবে।“ রুমেলা বলেছিল, “ ঠিক আছে, আমরা সেভাবেই টাইম হিসাব করে বেরোব।“ 

কাজের মেয়ে অনীতাকেও রুমেলা বলেছিল সেদিন একটু আগে আগে আসতে। এলার্ম বাজার আগেই রুমেলার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পাশে মেয়ে রুবেলা গভীর ঘুমে অচেতন। রুমেলা উঠে দেরি না করে তোয়ালে নিয়ে সোজা চলে যায় বাথরুমে। চানটান সেড়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে সে শুনতে পায় অনীতা দরজায় কড়া নাড়ছে। যাক বাঁচা গেল। 

রুমেলা প্রথমে দেখে নেয়, পূজোর সব উপাচার ঠিকমত আনা হয়েছে কি না, না হলে এখনো সময় আছে, অনীতাকে দিয়ে আনিয়ে নিতে পারবে। রুমেলা অনীতাকে বলে, “তুই প্রথমে রুবির দুধটা ফুটিয়ে রেডি করে রাখ। আমি ওকে এক্ষুনি ডেকে তুলব। মেয়ে উঠেই দুধ খাবার জন্য কাঁদতে থাকবে।“ 

তারপর রান্নার ব্যাপারে কি কি করতে বলে আবার বলে, “আমরা বেরিয়ে গেলে তুই ভাল করে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে রাখিস, আমরা সাড়ে দশটার মধ্যেই ফিরে আসব। রুমেলা তখন তমনীশকে ডাকে, “উঠে পড়, বলেছিলে না তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে হবে। অফিসে মিটিং আছে।“ তমনীশ উঠে বাথরুমে যেতে রুমেলা মেয়েকে তুলে ভাল করে মুখহাত ধুইয়ে দুধ বিস্কুট খাওয়ায়। নজর তার সবদিকেই আছে। সে অনীতাকে ডেকে বলে, “দাদাবাবুর চা দিয়ে যা।“ 

কদিন আগে একটা শপিং মল থেকে রুমেলা মেয়ের জন্মদিনের জন্য একটা খুব সুন্দর টুকটুকে লাল রঙের জামা কিনেছিল। ওয়ার্ড্রোব থেকে সে বিয়েতে মায়ের দেওয়া লালপেড়ে গরদের শাড়িটা আর রুবেলার নতুন ফ্রক বের করে মেয়েকে নিয়ে বাথরুমে যায়। ততক্ষনে অনীতা তাকে দুধ বিস্কুট খাইয়ে দিয়েছে।  

রুবেলাকে চান করিয়ে, ড্রেস করিয়ে রুমেলা অনীতাকে বলে, “তুই একটু রুবিকে দেখ, আমি ততক্ষনে শাড়ি পরে নিচ্ছি।“ 

শাড়ি পরে রুমেলা ড্রইংরুমে এসে দেখে তমনীশ চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে খবরের কাগজ পড়ছে। সে বলে, “সাতটা প্রায় বাজে, আমাদের হয়ে গেছে, তুমি তৈরি হয়ে নাও। পরে আমি দেরি করিয়ে দিয়েছি বলে দোষ দেবে না।“ তমনীশ আড়চোখে রুমেলার দিকে তাকিয়ে বলে, “ বাঃ! এই শাড়িটা পরে তোমাকে ভারী সুন্দর দেখাচ্ছে।“ একটু হেসে রুমেলা বলে, “যাও, রেডি হয়ে নাও ।“ 

তখন ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ ,বসন্তের আগমনের বার্তা নিয়ে মন কেমন করা মৃদুমন্দ হাওয়া বইছে। সূর্যদেব পূব আকাশে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। তমনীশ সম্রতি গাড়ি কিনেছে, সে নিজেই গাড়ি চালায়, তার পাশে রুমেলা মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে মনের আনন্দে গুন গুন করে গাইতে লাগল ‘ আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে….’। তমনীশ মাঝে মাঝে তাকে দেখছে। 

আগের দিনের উদবেগপূর্ণ রাত্রির ভাঙ্গা ভাঙ্গা ঘুম, রাত না ফুরোতেই জেগে ওঠা আর সেই সঙ্গে প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে রুমেলার চোখে ঘুম জড়িয়ে আসে। মেয়ে ততক্ষনে তার কোলে ঘুমে অচেতন হয়ে পড়েছে।          

                                                                 (দুই) 

“এই ছেলে, অনেক বেলা হয়ে গেছে, ওঠ,” রুমেলা তাগাদা দেয় ছেলে রুবেলকে, “ আজ তোর জন্মদিন, মনে নেই দক্ষিনেশ্বর যেতে হবে। এক্ষুনি তোর বাবা এসে তাগাদা দিতে থাকবে।“ জন্মের প্রথম বছর থেকে রুমেলা নিয়ম করে প্রতি বছর ছেলেকে নিয়ে দক্ষিনেশ্বর কালীবাড়িতে যায় কালীপূজো দিতে। এবছর ছেলে পনেরো পেরিয়ে ষোলতে পড়বে। কিছুদিন বাদেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই এবছর পূজোর বিশেষ আয়োজন। রুমেলা চান করে এসে ছেলেকে ঠেলে তুলে বাথরুমে পাঠায়। এখনো ওইদিন সে বিয়েতে মায়ের দেওয়া সেই লালপাড় গরদের শাড়িটা পরে। 

রুমেলার ও বয়স বেড়েছে। মাথার দু’পাশের চুলে অল্প স্বল্প রূপোলী রেখা দেখা বা চোখের নিচে সামান্য কুঞ্চন দেখা গেলে ও তার যৌবন অটুট। তমনীশ বলে,” এই শাড়িটা পরলে তোমাকে এখনো মনে হয় বিয়ের কনে। “ কৃত্রিম কোপ দেখিয়ে রুমেলা বলে, “হয়েছে, থাক। এখন যাও গাড়ি বের কর। দেরি হয়ে যাচ্ছে।“ 

ওঘর থেকে ছেলে চেঁচিয়ে ডাকে, “মাম, কোন শার্টটা পরব? আমি খুঁজে পাচ্ছি না। “ 

“জ্বালাতন করে মারল,” বলে রুমেলা ছুটে গিয়ে ছেলেকে জন্মদিনের জন্য নতুন কেনা শার্টটা বের করে দেয়। 


                                                                  (তিন) 

সামনের ট্রাফিক কন্ট্রোলে লাল আলো জ্বলে উঠতে তমনীশ তাড়াতাড়ি ব্রেক চাপে। গাড়িটা ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যেতে রুমেলার তন্দ্রা ভেঙ্গে যায় আর রুবেলা ও জেগে উঠে কাঁদতে থাকে। রুমেলা তাড়াতাড়ি ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে মেয়েকে খাওয়ায় এবং নিজেও এক ঢোঁক খেয়ে তমনীশকে জিজ্ঞেস করে জল খাবে কি না। তমনীশের দিকে সে জলের বোতলটা এগিয়ে দেয়। 

রুবেলা আবার ঘুমিয়ে পড়তে রুমেলা ভাবতে থাকে এতক্ষন ধরে কি একটা অদ্ভুত স্বপ্ন ও দেখছিল। পনেরো ষোল বছর পরের ঘটনা। এরকম হয় নাকি? আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই স্বপ্ন মেয়ে রুবেলাকে নিয়ে নয়, ছেলেকে নিয়ে। সে ভাবে, তবে কি সে তার অবচেতন মনে মেয়ের বদলে সে ছেলে চাইছিল? এ কিছুতেই হতে পারে না, অসম্ভব। রুমেলা দু’হাতে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে বিড়বিড় করতে থাকে মেয়েই তাদের কাছে সোনার খনি, ছেলে চাই না। তমনীশ বলে, “কি বলছ?” 

“না, কিছু না”, বলে রুমেলা মেয়েকে আরো কাছে টেনে নেয়।           

“তুমি কি কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন?” তমনীশ জিজ্ঞেস করে, “নিজের মনে কথা বলে যাচ্ছ।“ 

রুমেলা রুমাল দিয়ে মুখ মুছে বলে, “ না, তন্দ্রার মধ্যে কি সব অদ্ভুত স্বপ্ন দেখছিলাম।“ ততক্ষনে ওদের গাড়ি দক্ষিনেশ্বর মন্দির চত্বরে ঢুকে পড়েছে। তমনীশ পার্কিং লটে গাড়ি দাঁড় করিয়ে নেমে ওপাশের দরজা খুলে রুমেলাকে নামতে বলে। রুবেলা তখনও মায়ের কোলে ঘুমোচ্ছে। 

গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে খানিকটা এগিয়ে তমনীশ হঠাৎ দাঁড়িয়ে আঙ্গুল তুলে রুমেলাকে দেখায়, “ঐ দেখ কে যাচ্ছেন?” 

“কে যাচ্ছেন?” রুমেলা ঘুরে দাঁড়িয়ে বলে। 

“ তোমার মনে নেই,” তমনীশ বলে, “ যে নার্সিং হোমে রুবেলা জন্মেছিল তার মালিক পবন বাজোরিয়া। “ 

রুমেলা এবারে চিনতে পারে পবন বাজোরিয়াকে। খুব ভাল মানুষ, একেবারে নিটোল ভদ্রলোক। নিজে ডাক্তার নন, নার্সিং হোমটির মালিক। রোজ সকালে একবার এসে প্রত্যেকের কাছে গিয়ে খোঁজ নিতেন, কে কেমন আছে। রুমেলা বলে, “ হ্যাঁ এবার মনে পড়েছে। সঙ্গের ভদ্রমহিলা নিশ্চয় তাঁর স্ত্রী। তাঁর কোলে কি সুন্দর একটি ফুটফুটে বাচ্চা।“ 

“হ্যাঁ,” তমনীশ বলে, “তুমি তো জাননা, যেদিন রুবেলার জন্ম হয়, সেদিনই পবনবাবুর স্ত্রীর একটি ছেলে হয় ঐ নার্সিং হোমেই। “  

“তাই নাকি? আমিতো জানতাম না”, রুমেলা বলে। 

“ কি করে জানবে? তোমার অবস্থা তখন খুব খারাপ,” তমনীশ বলে, “যাই বল ভদ্রলোক কিন্তু খুব ভাল লোক। একটা ঘটনার কথা আমি তোমাকে বলিনি।“ 

“কি ঘটনা গো?” রুবেলা জিজ্ঞেস করে। 

“ যেদিন তোমাকে রিলিজ করে দেবে,” তমনীশ বলতে থাকে, “ তার আগের দিন রাতে তোমাদের দেখে ফিরে আসার সময় হেড নার্স সিস্টার নিবেদিতা আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন যে ওটা বিল। পরদিন সকালে আমি যেন বিলে লেখা টাকাটা পেমেন্ট করে দিই তোমাকে নিয়ে যাবার আগে। বিল দেখে তো আমার চক্ষু চরকগাছ।“ 

“ কেন, কি ছিল সেই বিলে?” রুমেলা জিজ্ঞেস করে, “ অনেক টাকার বিল বুঝি।“ 

“ অনেক মানে, আশী হাজার টাকা। আমি ভাবতেও পারিনি এত টাকার বিল হবে, “ তমনীশ বলে, “অবশ্য তোমার সিজারিয়ান হয়েছিল আর কিছু জটিলতা ছিল, যার জন্য তোমাকে নার্সিং হোমে বেশ কিছুদিন থাকতে হয়েছিল।“

রুমেলা হা করে তার স্বামীর কথা শুনতে থাকে। তমনীশ বলে, “তারপর কি হল জান? আমি বিল হাতে নিয়ে সাতপাঁচ ভাবছি। কি করে এত টাকা রাতারাতি জোগাড় করব। ব্যাঙ্কে সেই মুহূর্তে আমার বড়জোর পঞ্চাশ হাজার টাকা আছে। ঠিক সেই সময় পবনবাবু এসে ঢুকলেন নার্সিং হোমে। আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করেন, ‘সিস্টার আপনাকে বলেছেন আপনি আপনার স্ত্রীকে কাল সকালে নিয়ে যেতে পারেন। ‘ তারপর আমার হতভম্ব অবস্থা দেখে বলেন, ’এনি প্রব্লেম?’ আমি কি বলব।“ 

এমন সময় রুবেলা জেগে উঠে কাঁদতে থাকে। রুমেলা ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে তাকে খেতে দিলে সে শান্ত হয়। তখন রুমেলা জিজ্ঞেস করে, “ তারপর কি হল?” 

তমনীশ বলে, “ আমি তখন নিরুপায়। শেষ পর্যন্ত লজ্জার মাথা খেয়ে বলেই ফেললাম আমার সমস্যার কথা যে কিছু টাকা শর্টেজ আছে। মিস্টার পবন বাজোরিয়া তখন আমার হাত থেকে বিলটা নিয়ে বললেন,’আপনি কত দিতে পারবেন?’ আমি বললাম যে আপাততঃ হাজার পঞ্চাশের ব্যবস্থা করতে পারি। আমার কথা শুনে তিনি কয়েক সেকেন্ড আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। তারপর পকেট থেকে কলম বের করে বিলের এমাউণ্ট আশী হাজার কেটে পঞ্চাশ হাজার লিখে সই করে আমার হাতে বিলটা দিয়ে বললেন,’এবার ঠিক আছে?’ আমি কি বলব, কৃতজ্ঞতায় আমার মাথা নুয়ে এল। পবনবাবু একটু হেসে আমার পিঠ চাপড়ে বললেন,’ উইশ ইউ বোথ বেস্ট অব লাক’। বলে তিনি চলে গেলেন। “ 

তমনীশের কথা শুনে রুমেলা বলে, “ উনি তো একজন মহান ব্যক্তি। চল ওকে একবার রুবেলাকে দেখিয়ে নিয়ে আসি। তিনি নিশ্চয় খুশি হবেন।“ 

তমনীশ উৎসাহিত হয়ে বলে,” ওরা চলে যাবেন, আগে চল ওদের সঙ্গে দেখা করে আসি, তারপর মন্দিরে যাব।“ বলে সে এদিক ওদিক তাকায় কিন্তু তাঁদের দেখতে পায় না। সে বলে, “ মনে হচ্ছে ওরা চলে গেছেন। আর দেরি করে লাভ নেই, ভিড় বাড়ছে, চল মন্দিরে যাই।“ 

রুমেলার মন আনন্দে ভরপুর। সুষ্ঠুভাবে আজ পূজো দিয়ে আসতে পেরেছে। কিন্তু তার মনটা তখনো খচখচ করছে গাড়িতে বসে সেই স্বপ্নটার কথা ভেবে। সে ছেলের স্বপ্ন দেখল কেন? 

                                                                 (চার)  

যেদিন রাতে রুমেলা এবং পবন বাজোরিয়ার স্ত্রী সেই নার্সিং হোমে প্রায় একই সঙ্গে দু’টি সন্তানের জন্ম দেন, সেদিন নার্সিং হোমের ডাক্তার অপলক বসু পেয়েছিলেন তিন লাখ টাকা আর হেড নার্স সিস্টার নিবেদিতা পঞ্চাশ হাজার টাকা যার বিনিময়ে সন্তান দু’টো বদল হয়ে গেল। রুমেলার ছেলের স্থানে এল বাজোরিয়ার মেয়ে আর পবন বাজোরিয়ার স্ত্রী জানলেন তিনি জন্ম দিয়েছেন এক পুত্র সন্তানের। 

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024