ইশারায় কি বলে - উৎপল মুখার্জী || Onugoddya || অনুগদ্য || মুক্তগদ্য

 ইশারায় কি বলে? 

                      উৎপল মুখার্জী


   যামিনীর খেয়ালের পার্থিব সুখের মোহে স্বামী ছেড়ে স্বাধীন দিগন্তের দিশে হারা মানবী, ভালোবেসেছে চাহিদা নিরিখে, কখনো প্রজাপতি, নতুবা ভালোবাসার চায়না, গোলাপ ও জুঁই। পাখিরা আকাশ সীমানার ধারে করে কিচিমিচি, আপন আপন জগতে মনে ও দেহে মশগুল মানব - মানবী। পাহাড়িয়া সামতলিকে করে ইশারা, নদী সাগরের জোয়ার- ভাটায় করে খেলা। যামিনী নিশি -ভোর জেগে থাকে নিজের বলে কিছু পাবার? -রূপের অপ্সরা সৌন্দর্যে চোখের ও দেহের তৃষ্ণা ভরা মৌসুমের আগরবাতি, দুবছর স্বামী র ঘন চাহিদার ঘোলাটে আবরন আচরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে হঠাৎ বাংলাদেশের রাঙামাটি অঞ্চলে হাজির, কেননা সেখানে ই তাঁর জন্মস্থান। 

 কর্ণফুলির নদের কোপ্তা শাখার তীরে যামিনী র বাস, লাল মাটির দেশে মহুয়া বনের তলে চট্টগ্ৰামের ছেলে আবীর, দোল পুর্নিমার দিনে রঙীন হয়েই যামিনী র প্রেমে জড়িয়ে মধুমাখা রাতে তাদের কুঠিতে মহুয়া র আরকে বন মোরগের রোস্ট খেয়ে সন্ধ্যায় জোনাকির আলো তে লাল লন্ঠনের বাতি তে দুজন উন্মত্ত যৌবনে অধরা মাধুরী সৌন্দর্যের 

নেচেছিল, সাক্ষী ছিল চাকমা পরিবার, আকাশের অভেদ চন্দ্রের কিরন, ইশারা ছিল প্রত্যুষের দিগন্তে হরিনীর মত কোপ্তা নদীর স্নান ও রবির কিরনের উদ্ভাসিত প্রেম যূগলের মুর্তি। 

যামিনী দেহের আবরন খুলে নরম স্পর্শে স্পর্শকাতর হয়ে বলে ছিল- তুমিই কৃষ্ণ আমি ভোগী, - ভালোবেসেছিল গভীরে আবীর কে, চেয়েছিল দুর্দাম কেশর অঙ্গের একটা সুমধুর আবেদন, হ্যাঁ গো, ছেড়ে যাবে না বলো! আমি তোমার নয়নমণি হয়েই থাকতে চাই। 

আবীর বাংলার চট্টগ্ৰামের কাপড় কলে কাজ করতো। পরে সুতোর আঁশে তার ফুসফুসের রক্তক্ষরণ। আজ,যামিনীর সব আছে, নেই শুধু দেহের সুখ, চেয়েছিল আবীর তাকে জড়িয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে মর্দনের ডান বামের অঙ্কীয় পাঁজরের নরম সূঁচালো মাংসল খন্ড গুলি নিয়ে খেলা করুক, না - তা- আর হয় নি, 

ভালোবেসেছিল আরো অন্য পুরুষ কে, পার্থিব চাহিদা ঘিরে, ক্লান্ত মনের কিনারায় জন্মের ভ্রুণ এসেছিল, আজ সে পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা, স্বীকারের বাহিরে আবীর, ফিরে এসেছে সেই রাঙামাটিতেই, মনের শান্তি, দেহের ক্লান্তিতে সারা গায়ে লাল মাটি মেখে কানা ব্যোষ্টমী নীড়ে, পালক মাতা। 

আবীর জরা জীর্ণ শরীরে এসেছিল, বসন্তের শেষের ঠিকানায়, ঝুলন্ত সেতুর উওর - পশ্চিমের বাংলাদেশের সীমান্তের চাকমা অঞ্চল ঘিরে সেই পাহাড়ী উপত্যকা য়, বলেছিল- মৌচাকে রানী মৌ এর রেশম কীটের গুটির নীড়ে শিশুর দায়িত্ব নিতে পুরুষ মৌ য়ের চালিকা শক্তির উপাসক হয়ে, রানীর কাছের খবর -, চলো সেই বাড়ি যেটা তোমার- আমার, 

না - হলে ওরা আমাদের মেরে রেশমের কাপড় বানাবে!

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024