Wednesday, August 16, 2023

সরষে ইলিশ' রান্নার প্রনালী || কিভাবে রান্না করবেন 'সরষে ইলিশ'? || 'Sorse Elish' Cooked by Joyiti Banerjee



বিভাগ - রান্নাটাও শিল্প


কলমে - জয়তী বন্দ্যোপাধ্যায় 




সরষে ইলিশ' রান্নার প্রনালী। কিভাবে রান্না করবেন 'সরষে ইলিশ'। 'Sorse Elish' Cooked by Joyiti Banerjee



উপকরণ:ইলিশ মাছের পিস 8 টি, সরষে বাটা 3 টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা, লবন, হলুদ গুঁড়ো, কালো জিরে,সরষের তেল।




প্রনালী:বাজার থেকে আনা ইলিশ মাছ ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন, তারপর লবন ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মাছটি মেরিনেট করে রাখুন।

তারপর কড়াইয়ে সরষের তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে আসলে কম আঁচে মাছ গুলি হালকা করে ভেজে নিন।(ইলিশ মাছ কখনোই কড়া করে ভাজবেন না, কারণ ইলিশ মাছ কড়া করে ভাজলে মাছের স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়।) ভাজা ইলিশ মাছ গুলি একটি পাত্রে তুলে রাখুন। (ভাজা ইলিশ মাছ খিচুড়ির সাথে খেতে বেশ ভালোই লাগে, কিংবা এক থালা গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা ও মাছ ভাজার অল্প একটু তেল দিয়ে খেয়ে দেখবেন বেশ ভালোই লাগবে।) 

মাছ ভাজার তেলের মধ্যেই সামান্য পরিমাণ কালোজিরে ফোড়ন ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে, তারপর পরিমাণ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো ও সরষে বাটা ও সামান্য জল দিয়ে কষিয়ে নিয়ে। পরিমাণ মতো জল দিয়ে,মাছ গুলো কড়াইয়ে ছেড়ে দিতে হবে। জল শুকিয়ে আসলে সামান্য পরিমাণ কাচা সরষের তেল ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে নিন রান্নাটি। পরিবারের সকলকে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করে সরষে ইলিশ উপভোগ করুন।




‌ইলিশ মাছের উপকারীতা:ইলিশে মাছে ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি (ইপিএ ও ডিএইচএ) অ্যাসিড বেশি থাকে, যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে দ্রুত ভালো চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে।ইলিশের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি । ইলিশের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বেশ ভালো কাজ করে। ইলিশের ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ৪০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। ইলিশে থাকা ভিটামিন ‘এ’ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।ইলিশে অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, এটি কোন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ।ইলিশে যে প্রোটিন থাকে, তা কোলাজেনসমৃদ্ধ। এ ছাড়া ইলিশে ভিটামিন সি থাকে, যা ত্বক সুস্থ রাখে। এর কোলাজেন ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ওমেগা ৩ ছাড়াও ইলিশে আছে ভিটামিন বি১২, যা স্নায়ুকোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ইলিশ ভিটামিন ডির ভালো উৎস। ভিটামিন ডি মানবদেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।ইলিশে থাকা আয়োডিন, জিংক ও পটাশিয়ামের মতো বিভিন্ন খনিজ উপাদান রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে ও থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কার্যকর। শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁপানি রোধ করতে পারে ইলিশ। যাঁরা নিয়মিত মাছ খান, তাঁদের ফুসফুস অনেক বেশি শক্তিশালী হয়।

No comments: