Posts
Showing posts from August, 2021
Poet Soumendra Dutta Bhowmick's one poems
- Get link
- X
- Other Apps
CRITICAL Alone and alone going down to the den Dark is the destination above the level, Dark is the mind-blowing apprehension, Within me the alive person is sleeping Not apprehending the actual happening. Suddenly who who shouts for assistance And lamenting over his or her own tears? Alone and alone I always forget my way, Try to surpass the valued feelings. Then the demons dance and pounce around Always I hear their remarkable sound. They bring me to the diabolical hell Where the heaven is surely not found.
প্রাবন্ধিক রাম প্রসাদ সরকার -এর একটি প্রবন্ধ
- Get link
- X
- Other Apps
হারিয়ে গেছে ভ্রমণ প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে ছোটদের জন্যে অথবা ছোটদের নিয়ে অনেক দিন কিছু লিখিনি। তাই আজ লিখতে বসে বারবার মনে হচ্ছে আমাদের ছোটবেলা আর আমাদের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনিদের ছেলেবেলার মধ্যে কতো তফাৎ। আমরা অধিকাংশ জন্মেছিলাম, বড় হয়ে উঠেছিলাম গাছগাছালি, নদী-নালা, সোনার ফসল ভরা মাঠ, ডাহুক ডাকা দুপুর, জোনাকি জ্বলা রাত— এই রকম একটা মায়াবী পরিবেশে। ঠাকুমার কোল ঘেঁষে ভূত-পেত্নী, দৈত্য-দানোর গল্প শুনেছিলাম। শীতের রাতে লেপ-কাঁথার তলায় শুয়ে ঠাকুমার কাছেই শুনেছিলাম দুয়োরানি-শুয়োরানির কথা। পরীক্ষাজ ঘোড়া, রাজকুমার-রাজকুমারীর গল্প। গল্প শুনতে শুনতে উত্তেজনায়, ভয়ে, শিহরণে ঠাকুমাকে জড়িয়ে ধরে কখন যে ঘুমিয়ে পড়তাম বুঝতে পারতাম না। সন্ধ্যেবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ দিতে গিয়ে মায়ের কণ্ঠে গুণগুনিয়ে ওঠা ভক্তিগীতি, শঙ্খধ্বনি, তারাভরা আক...
লেখক ডঃ রমলা মুখার্জী -এর একটি গল্প
- Get link
- X
- Other Apps
মা ভূতনী দস্যি অর্কের হঠাৎ পরিবর্তন দেখে ওর স্কুলের ম্যাডামরা তো একেবারে হতবাক। যে ছেলে মোটেই বই ছুঁতো না, একটুও পড়া বলতে পারতো না, সে কিনা সব পড়া একদম বলতে পারছে, বই নিয়ে সবসময় পড়ছে! কি আশ্চর্য কান্ড! অর্কের মা তমা মাসদুয়েক হল গত হয়েছেন, তার প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ কারণ বলা যায় অর্ক। অর্কের অতিরিক্ত দুরন্তপনা আর পড়াশোনা না করার জন্যে অর্কের মা খুবই চিন্তা করত। স্কুলবাসেও অর্ক অন্য বন্ধুদের পেছনে লাগত, ভীষণ দুষ্টুমি করত। ইদানিং তো ইচ্ছে করে দেরি করে ঘুম থেকে উঠত, বেশিরভাগ দিনই স্কুলবাস মিস হয়ে যেত। তাই অগত্যা তমা বাইক চড়া শিখে অর্ককে রোজ বাইকে করে স্কুলে দিয়ে আসত, আবার নিয়েও যেত। অর্কর বাবা সুমন তো অফিস নিয়েই ব্যস্ত- তার মোটেই সময় নেই। অর্কের সব দায়িত্বই তাই তমাকেই পালন করতে হত। কিন্তু অর্ক তো মোটেই পড়াশোনা করে না। তাই এবারের সেমিস্টারেও খুব খারাপ রেজাল্ট করেছে। তমাকে সেদিন অর্কর ম্যাডামরা বলেই দিয়েছেন আর অর্ককে স্কুলে রাখা যাবে না কারণ তার পড়াশোনার বুদ্ধি মাথায় না থাকলে কি হবে দুষ্টবুদ্ধিতে মগজ পুরো ঠাসা। অন্য বন্ধুদের টিফিন খেয়ে নেওয়া, বই লুকিয়ে রাখা...
লেখক অমিত পাল -এর একটি গল্প
- Get link
- X
- Other Apps
অপারেশন 'বুবাই ঘুম থেকে উঠে পড়ো'- রুমকীদেবী নিজের পাঁচ বছরের ছেলেকে বলে উঠলেন৷ 'আমরা আজ ডাক্তার কাকুর কাছে যাব তো মা?'- ঘুম থেকে উঠে বুবাই বলে উঠল৷ 'হ্যাঁ বাবা, এখুনি৷' আসলে বুবাই-এর হার্টে একটা ফুটো আছে৷ তাই বুবাই-এর আজ অপারেশন৷ 'আজকের পর থেকে আমি কি খেলতে পারব তো মা?' বুবাই-এর বাবা রেডি হয়েই ঘরে এলেন এবং ছেলের মুখে এই কথা শুনে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না৷ শুধু বললেন 'নিশ্চয় বাবা, আমি আর তুমি দুজনে একসাথে খেলব৷'
লেখক রানা জামান -এর একটি গল্প
- Get link
- X
- Other Apps
ভালোবাসার শৈল্পিকতা এবি পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন। রোগী শমরিতা হাসপাতালে। রিয়াজুল দেরি না করে বাইকে চড়ে চলে এলো হাসপাতালে। রক্ত দিয়ে কক্ষ থেকে বের হলে এক তরুণী এসে দাঁড়ালো ওর সামনে। রিয়াজুল শাহেদ স্মিত হেসে বললো, নো টেনশন, ডু ফুর্তি। এবি পজেটিভ রক্ত সচরাচর পাওয়া যায় না। যখন প্রয়োজন হবে,কল দেবেন। জিরো ওয়ান সেভেন ওয়ান টেন এইট টু সিক্স জিরো ফাইভ নাইন। তরুণীর কথা বলার অপেক্ষায় না থেকে রিয়াজুল শাহেদ বেরিয়ে এলো হাসপাতাল থেকে। এক মাস পর একটি অপরিচিত নম্বরের ফোনকল গ্রহণ করলে ওদিক থেকে মেয়ে কণ্ঠ বললো, আপনি কি ঢাকায় আছেন? সেদিন আপনার নামটাও জানা হয়নি। রিয়াজুল বললো, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে এর আগেও আপনার সাথে আমার কথা হয়েছে। ঠিক ধরেছেন। মাস খানেক আগে শমরিতা হাসপাতালে রক্ত দিয়েছিলেন। আজও রক্ত লাগবে। আসবেন? কোথায় আসতে হবে বলুন। মগবাজার কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আধা ঘন্টায় রিয়াজুল শাহেদ হাসপাতালে পৌঁছে দান করলো রক্ত। কিন্তু এবার ঐ তরুণীর দেখা পেলো না কোথাও। ঠোঁট উল্টে রিয়াজুল চলে এলো হাসপাতাল থেকে। Unnamed শিরোনামে তরুণীর মোবাইল ফোন নম্বরটা সেভ করে রেখেছিলো বলেই পরদিন ফোনকল আসায় অসুবিধা ...
কবি গোবিন্দ মোদক -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
প্রত্ন-কথা প্রতিটি তিন-পঙক্তি শেষে একবার অল্প-থামা, তারপর আবার সনিষ্ঠ উচ্চারণ গলার ওঠানামা... স্বরক্ষেপণ ... স্বর-যুক্তি ... স্বর-মুক্তি ... আর বিষাদ ... এভাবেই একসময় শেষ হয় ত্রিপদী কবিতা ... ফুরায় একলব্যের কাহিনী ... তখন জনপদ জুড়ে শুধুই অর্জুনের আস্ফালন। তবু ইতিহাস দাগ রেখে যায়। পৃথিবীটা জানে -- প্রকৃত সত্য কোথায় প্রোথিত আছে !
কবি জয়তী দেওঘরিয়ার -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
প্রতীক্ষা এ কোন্ বিশ্ব দেখে জাগে সংশয়! সারা দেহ ধূলি-ধূসরিত। তোমার ঐ অপরূপ রূপ কে করিল হরণ,কালিমালিপ্ত? কে সেই হানাদার-বর্বর! তুমি কি করেছো তারে ক্ষমা? নিজ শক্তি আস্ফালনে লিপ্ত সারাক্ষণ। 'আমিই শ্রেষ্ঠ, আমিই বীর'-- প্রমাণ করতেই ব্যস্ত। এ ভাবে চলতে চলতে একদিন লুপ্ত হবেই তোমার বুক থেকে আস্ফালনকারীর অস্তিত্ব। ভয়ঙ্করের কলোমেঘ সরে যাবে একদিন, সুন্দর সুষমায় পূর্ণ হবে এ বিশ্ব, তারই প্রতীক্ষায়।
কবি স্বপ্না বনিক -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
তুমি তো এলে না অনেক বসন্ত কেটে গেছে শরতের মিঠে হাওয়াই এসেছে, তুমি তো এলে না প্রিয় দেখা তো দিলে না আমায়। দীর্ঘ প্রতিক্ষায় বয়ে যায় বেলা আর কেন লুকোচুরি খেলা এখনও বাজে বাঁশরী হৃদয়ে বৃথাই খুঁজে মরি। শুনেছি জলে স্থলে আকাশে সূর্যালোকে অনন্ত মহাকাশে তোমার পরিক্রমণ দশ- দিগন্তে দেখা দিও প্রিয় জীবনের অন্তে। জানি তুমি আছো জীবন তরঙ্গে সুখে দুখে আমারই সঙ্গে, আমারে ছেড়ো না প্রিয় কভু সংসারের সকল কাজে থেকো প্রভু।
কবি অভিজিৎ হালদার -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
বর্ষণ প্রকৃতির মাঝে চলতে চলতে পাখিদের গান শুনতে শুনতে ফসলের খেত দেখতে দেখতে হঠাৎ কখনো জানতে পারিনি! আকাশের কোণে গভীর মেঘ ধীরে ধীরে কালো হতে লেগেছে, চারিদিকে অন্ধকার হয়ে এসেছে মনে হয় এখনই গভীর বর্ষণ আকাশ হতে নেমে আসছে। শান্ত প্রকৃতির বুক থেকে ঝরতে চলেছে গভীর বর্ষণ ঠিক এই মূহুর্তে ভেসে আসছে দূরে দূরান্তের পশুদের আর্তনাদ শুরু হতে লাগলো গভীর বর্ষণ থেকে থেকে বিদ্যুতের চমকানি , উত্তরের জানালাটার দীর্ঘ শব্দ; বাইরের দিকে তাকিয়ে আছি এখনও ভেসে আসছে আর্তনাদ! ধীরে ধীরে বর্ষণ কমতে চলেছে একটু পরে বুঝি থেমে যাবে। উত্তরের জানালা দিয়ে শীতল হাওয়া প্রবেশ করছে কপাটের ফাঁক দিয়ে। ঠিক এই মূহুর্তে বর্ষণ পুরো কমে এসেছে বাইর...
কবি ক্ষুদিরাম নস্কর -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
শেষ বয়সের ছুটি মায়ের পিঠে ঢুলছে খোকা ঝুলছে ঘুমের মজা পেটের জ্বালায় মায়ের মাথায় মস্ত ইটের বোঝা ঘাম ঝরা সেই দিনের শেষে যে টুক পয়সা মেলে সব চলে যায় চালে-ডালে লঙ্কা,লবণ,তেলে। তার থেকেও বাঁচায় কিছু শিখবে পড়া ছেলে মানুষ মতো মানুষ হবে হয়তো সুযোগ পেলে। থাকবে না আর অভাব তাদের ফুরাবেনা রুটি চাকরিজীবীর মত পাবে শেষ বয়সে ছুটি। স্বপ্ন সবার সত্যি হয় না কষ্টো আরো শেষে খোকার চাকরি মস্ত বড় ফিরতে দেয় না দেশে।
কবি মিঠুন রায় -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
রম্যগাঁথা মন চায় আমার দুহাতে ধানের শীষকে জড়িয়ে ধরতে আবেগ যে জড়িয়ে আছে এখনো, চারদিকে কলমীর শাকের মতো লতানো ঘ্রাণ আমাকে গ্রাস করতে চায় আমি পিছিয়ে যাই শুধু ইচ্ছে করেই। কেননা,ভালোবাসার ব্যাকরণ যে আমি বুঝিনা। ভালোবাসা যে আমার কাছে ছেঁড়া পোষ্টারের মতো, যার কোনো অভিমান নেই। শুধু বহন করে অতীতের ধূসর সাক্ষ্য, কানে কানে যেন বলে দেয় অভিমানের ঝরা বকুলের রম্যগাঁথা।
কবি সুব্রত মিত্র -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
মর্ম কথা একদিন সব কোলাহল থেমে যাবে হয়তো সেদিন আমি থাকবো না; একদিন আবার হঠাৎ করে কোলাহল শুরু হবে হয়তো সেদিন আমি থাকবো না, একদিন আবার সকলে নীরব হতে হতে সমবেত কণ্ঠে বলবে কারুর নাম হয়তো সেদিন আমি থাকবো না; একদিন সব দেয়া-নেয়া মিটে যাবে পড়ে রবে এই আপন ভুবন হয়তো সেদিন আমি থাকবো না, একদিন পৃথিবীর আকাশে কবিদের ছায়া হয়ে মায়া গুলো পড়ে রবে হয়তো সেদিন আমি থাকবো না; একদিন স্বার্থের বিনিময়ে ভালবাসার বড় অভাব হবে হয়তো সেদিন আমি থাকবো না, একদিন এই মায়ার পাথরগুলো ফুল হতে গিয়েও ফল হয়ে ধরা দেবে হয়তো সেদিন আমি থাকবো না; একদিন হয়তো তোমরা ভুলতে গিয়েও ভুলতে পারবেনা আমায় হয়তো সেদিন আমি থাকবো না, যদি কোনদিন কেউ করো আমায় নিয়ে সমালোচনা হয়তো সেদিন আমি থাকবো না; পৃথিবীর গায়ে আমি খোদাই করা বিরম্বনা আমি মরচে পড়া শব্দের ধাতু, আমায় সকলে চিনলো না।
কবি সত্যেন্দ্রনাথ পাইন -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
তোমার সঙ্গে যাব আমি যাব তোমার সঙ্গে যাব কোথায় গিয়ে কী যে খাব আমি খাব সেথায় যদি হয় গো দেখা ঐ বাংলার মাঠ জলাজমি অরন্য আর নদী পুকুর ঘাট শালিক ডাকবে কিচিরমিচির সুরে বনলতা ঘেরা বনপলাশি নাচবে অচিন পুরে কোকিল ডাকবে কুহু কুহু রবে কোকিলা আসবে ছূটে আপন সগৌরবে সেথা আমি যাব গাইবো নতুন গান ভাদ্রের নীল আকাশের ছেঁড়া মেঘের টান। তবুও সোঁদা গন্ধের গন্ধ লাগবে নাকে শরৎ আসবে শিউলি ঝরবে তাল পড়বে ঢাঁকে এমন পুজোর শারদীয়া কেন যে আজ মনমরা বাঙালি হৃদয় তবুও কেমন সুধারসে ভরা। যাব আমি যাব সেথা পুজোর সাজ পরে আনন্দে মাতবে যেথায় মানুষ থরে থরে।।
কবি তীর্থঙ্কর সুমিত -এর দুটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
ভালোবাসার জলাশয় হাতে হাত --- উড়ে বেড়ায় স্বপ্ন চোখ খুললেই পৃথিবী জেগে ওঠে কিছু বাকি রয়েই যায় বিবর্তন শুধু শরীরের ___ হাত,পা,মুখ এবার একটা ইতি টানতে হয় হাঁস ভেসে যায় ভালোবাসার জলাশয়। ----------------------------------------------------------------------- স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কত স্বপ্ন বিক্রি হয়ে যায় সকাল বিকেল প্রতিনিয়ত ... ধূসর স্বপ্ন গোধূলি আঁকে ঝাঁকা ভরে ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে চিকন হাওয়া অনন্ত যাত্রাপথে সঙ্গীহীন নৌকা একাকী ফিরে আসে তার গন্তব্যে এভাবেই কেটে যায় কত জীবনের ট্যাজেটি।
কবি তৈমুর খান -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
ভবিষ্যৎ বেলা বাড়ছে বেজে যাচ্ছে ধৈর্যের সংগীত বিপ্লবের মঞ্চ বেঁধে স্বপ্নের নীলরাষ্ট্র ছড়াচ্ছে উদ্বেগ সময়ের তরঙ্গ এসে ছুঁয়ে যাচ্ছে আমাকে বিকেলে আলোর চিঠি আকৃষ্ট করেছে এখানে অন্ধকারের পাহাড়ে দু একটি সুড়ঙ্গ গিরিখাতে ভবিষ্যৎ উঁকি মারছে : কী সুন্দর মাজা, পুলক মাখা পলক ঠোঁটে ঠোঁটে নতুন চুমুর অভিঘাত ধৈর্যের স্বরলিপি আর দূরের দর্শক আমি যদিও অভিযাত্রী, যদিও বশংবদ সময়ের কাছে রেখেছি সমর্পণ নিঃস্ব ঝরনায় ধুয়ে নিয়েছি হাত মুখ
সপ্তম সংখ্যার সম্পাদকীয়
- Get link
- X
- Other Apps
মানসিক উত্তেজনায় বিকারগ্রস্থ মানুষের হৃদয় থেকে কবিতা বের হতে পারে। ভাববার বিষয় তার কাছে প্রেম ও আছে আবার বেকারত্বের আর্তনাদ আছে। তাই কবিতার কাঁচামাল হিসেবে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে! এক আকাশ ভাষান্তরে জর্জরিত না করে একটি গাছের পাতা গুণতে থাকার সমান শব্দ প্রয়োগে কবিতা গুচ্ছ হয়ে ওঠে আরও বেশি উজ্জ্বল এবং বেদনাদায়ক। ভালোবাসার আর অন্তর্নিহিত আর্তনাদ বলেও একটি কথা আছে। সেই নিয়ে কবি মন আরও বেশি উৎসুক। তাই লিখুন নতুন নতুন প্রেম। ভালোবাসার নরম ও বেদনাদায়ক চাদরে ভরে উঠুক আমাদের সকলের প্রিয় পত্রিকা World Sahitya Adda. ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। পাশে থাকুন আমাদের। ধন্যবাদান্তে world sahitya adda ---------------------------------------------------------------------------
সপ্তম সংখ্যার সূচিপত্র(২১ জন)
- Get link
- X
- Other Apps
সম্পূর্ণ সূচিপত্র বাংলা কবিতা ও ছড়া--- তৈমুর খান, তীর্থঙ্কর সুমিত, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, মায়া বিদ, সুব্রত মিত্র, মিঠুন রায়, ক্ষুদিরাম নস্কর, অভিজিৎ হালদার, সুনন্দ মন্ডল, স্বপ্না বনিক, জয়তী দেওঘরিয়ার, গোবিন্দ মোদক। বাংলা গল্প-- রানা জামান, অমিত পাল, ডঃ রমলা মুখার্জী বাংলা প্রবন্ধ--- রামপ্রসাদ সরকার। ইংরেজি কবিতা-- Soumendra Dutta Bhowmick. Photography---- Amit Pal, ARISHNA SARKAR.
Poet Soumendra Dutta Bhowmick's one English poems
- Get link
- X
- Other Apps
UNDERNEATH Under the ground you and I Try to purchase The forbidden diabolical love. Don’t care at all then, Who cares for this insignificance Than to look our ugly bluff? Under the ground you and I Have no slightest shy! To be sincerely unfold We freely think and drink. Who cares for such unaccounted meal Than to lose our pure gold?
কথাসাহিত্যিক সুদীপ ঘোষাল -এর উপন্যাস (অন্তিম পর্ব)
- Get link
- X
- Other Apps
ইউরেকা ইউরেনাস (৬) নাটুবাবু বললেন, আমি বামুনের ছেলে। ভূত আছে বুঝলেন। শুনুন আমি বলি, শিবের অনুচর দেবযোনিবিশেষ (ভূতনাথ)। অশরীরী প্রেত বা পিশাচ জীব, প্রাণী (সর্বভূতে দয়া)। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুসমূহের মূল উপাদান পঞ্চভূত।পরিণত দ্রবীভূত, বাষ্পীভূত বিদ্যমান, রয়েছে এমন ̃ .কাল বি. অতীত কাল ̃ ভূতপ্রেতের দ্বারা আক্রান্ত বা আবিষ্ট। ̃ .চতুর্দশী. কার্তিক মাসের কৃষ্ণাচতুর্দশী তিথি। ভূত হলো অশরীরি পুরুষ আত্মা, আর পেত্নী অশরীরি মেয়ে আত্মা। অপঘাত, আত্মহত্যা প্রভৃতি কারণে মৃত্যুর পর মানুষের অতৃপ্ত আত্মা ভূত-পেত্নী হয়ে পৃথিবীতে বিচরণ করতে পারে। অন্যান্য জীবজন্তু বা প্রানীও তাদের মৃত্যুর পরে ভূতে পরিণত হতে পারে। বাংলায় ভূতকে মাঝে মাঝে প্রেতাত্মা হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। প্রেতাত্মার নারীবাচক শব্দকে পেত্নী হিসেবে এবং পুরুষবাচক শব্দকে প্রেত বলা হয়ে থাকে। বাংলার সংস্কৃতিতে অনেক ধরনের ভূতের বিশ্বাস রয়েছে; তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো ----- আর হলো নারী ভূত যারা বেঁচে থাকতে কিছু অতৃপ্ত আশা ছিল এবং অবিবাহিতভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। পেত্নী শব্দটি সংস্কৃত প্রেত্নী শব্দ থেকে এসেছে এসব ভূত সাধারনত যে কোন আক...
লেখিকা ডঃ রমলা মুখার্জী -এর একটি গল্প
- Get link
- X
- Other Apps
ভূতের গিফট গরমের ছুটিতে ছেলেদুটিকে নিয়ে গেলাম কালিংপঙ। আমার স্বামী গভঃ অফিসার, বাংলার বিভিন্ন স্থানে পোস্টিং হয়। এবারে পোস্টিং নর্থ বেঙ্গলে। আমি পশ্চিমবঙ্গের হুগলীতে ছেলেদের নিয়ে থাকি। আমি ঐখানেই একটি স্কুলে শিক্ষকতার কারণে ছুটি কাটাতেই কেবল স্বামীর কাছে ছেলেদের নিয়ে দেখা করতে আসি। দেখাও হয় আবার বেড়ানোও হয়। ছেলেদেরও খুব মজা হয়। ওরা তো বেড়াতে পেলে আর কিছু চায় না। কালিংপঙের কালিঝোরার পিডব্লুডির বাংলোতে আমরা পৌঁছালাম বেলা এগারোটা নাগাদ। বাংলোটা পাহাড়ের ওপর, সামনে বেশ কিছুটা বাঁধানো রাস্তা। দুপাশে সুন্দর ফুলের বাগান। আমি লক্ষ্য করলাম এখানকার লজ্জাবতী গাছের পাতাগুলো সমতলের লজ্জাবতীর গাছের তুলনায় বেশ বড় আর বেশ বড় বড় বেগুনী ফুলও হয়ে আছে গাছগুলোতে। ছেলেদের দেখাবো বলে যেই পাতা ছুঁয়ে পাতার মুড়ে যাওয়া দেখাতে গেছি দেখি ফুলের মধ্যে থেকে একটা অচেনা সাপ ফনা তুলেছে। ছেলে দুটোকে নিয়ে ছুটছি সেই বাঁধানো রাস্তা ধরে বাংলোর দিকে। সাপটাও হিস হিস আওয়াজ করতে করতে ছুটছে সেই বাগান ধরে, তারপর বাগানে মিলিয়ে গেল। হাঁপাতে হাঁপাতে বাংলোতে এসে ঘটনাটা বলতেই বাংলোর নেপালী কুক কাম চৌকিদার বাহাদুর বলল ...
প্রাবন্ধিক রামপ্রসাদ সরকার -এর একটি প্রবন্ধ
- Get link
- X
- Other Apps
রমাপদ চৌধুরী (জন্ম ১৯২২, প্রয়াণ ২০১৮) (বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক প্রয়াত রামপাদ চৌধুরী গত মাসের ২৯ জুলাই, ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে পদার্পণ করেছেন। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করছি একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে) প্রথম উপন্যাস পড়ার অনুভূতি রেলওয়ে শহর খড়গপুরে স্কুল-জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে তাঁর। পিতার কর্মসূত্রে খড়গপুরে থাকা। আমারও জন্ম, শিক্ষাদীক্ষা সবই সেই রেলওয়ে শহরে। রেলওয়ে কলোনিতে যে বাংলোয় (তখন ওঁদের বাংলোটিই একমাত্র দোতলা ছিল) ওঁরা থাকতেন তার ক’টা বাড়ির পরেই ছিল আমাদের রেলওয়ে কোয়ার্টার। উনি যে রেলওয়ে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন— আমার অগ্রজ, আমিও সেই স্কুলে পড়াশোনা করেছি। তখন আমাদের যৌবনের সন্ধিক্ষণ। হাতে এলো তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘প্রথম প্রহর’। বইটি পেয়ে সে কী উন্মাদনা। পাতা উল্টে দেখি এ যে আমাদেরই নিয়ে লেখা— রেলওয়ে শহর খড়গপুরের একটা ছোটখাটো ইতিহাস। তারপর সে বই পড়ে দু’-তিন রাত ঘুমোতে পারিনি। আনন্দ-বেদনার আতিশয্যে ছটফট করেছি। এক অনন্য অনুভূতিতে মন ভরে উঠেছে। ।।দুই।। রমাপদ চৌধুরী তাঁর প্রথম উপন্যাস “প্রথম প্রহর” লেখেন ১৯৫৪ সালে। সেটি আমি...
লেখক অমিত পাল -এর একটি গল্প
- Get link
- X
- Other Apps
গরীবের ভূত একদা একটা গ্রামের ঘটনার কথা আজ বলব৷ ঘটনাটি শুনেছিলাম অবশ্য ঐ গ্রামের কিছু বয়স্কদের কাছ থেকে৷ গ্রামটির নাম লাভপুর৷ বীরভূম জেলার অন্তর্গত এই গ্রামটি খুব একটা বড়োও নয়, আবার খুব একটা ছোটও নয়৷ মোটামুটি একটা বটে৷ এই গ্রামে কিছু ধনী পরিবার, কিছু মাঝারি পরিবার এবং কিছু দরিদ্র পরিবারও ছিল৷ প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী গ্রামের ধনী ব্যক্তিরা সর্বদায় পদতলে অবদমন করে রাখত, অত্যাচার করত গরীবদের উপর৷ এমনকি তখন জমিদারী প্রথাও প্রচলন ছিল৷ ফলে ধনীরা আরও ধনী ও গরীবরা আরও গরীব হতে লাগল৷ এই গ্রামেই বাস করত এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ৷ তার নাম কানু চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি ছিলেন খুবই দরিদ্র এক ব্রাহ্মণ৷ তার কোনো বউ, ছেলে-মেয়ে ছিল না৷ ফলে সে একা অতি দারিদ্রতার সঙ্গে জীবন যাপন করত৷ ঐ গ্রামে একটা বড় এবং পুরাতন কালী মন্দির ছিল৷ সেখানেই সে নিত্য কালীপূজায় রত থাকত৷ আর সঙ্গে কিছু যজমানগিরি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করত৷ ব্রাহ্মণটি অবশ্য সবার সাথেই ভালো ব্যবহার করত৷ সবার সাথে সৎ...
লেখিকা স্বপ্না বনিক -এর একটি গল্প
- Get link
- X
- Other Apps
স্বার্থপর পৃথিবী বাবাকে দাহ করে শশ্মান থেকে ফেরার পথে মিতালী ভাবলো এবার সে কি করবে? বাবার পেনসনের টাকা কটাতেই ওদের সংসার চলতো। মিতালীও দুটো বাচ্চাকে পড়াতো। ওর হাতখরচটা উঠে আসতো। একা নিঃসঙ্গ তরুণী মেয়ে বাড়িতে কি করে থাকবে? এবার বাবাও চলে গেল, Family Pension তো আরও কমে যাবে। মিতালী আর ভাবতে পারছেনা। পাশের বাড়ির কাকিমা-জেঠিমারা ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। কিন্তু রাত হলেই তো যে যার বাড়ি চলে যাবে। রাত্রিতে কি করে থাকবে মিতালী? দু’চোখ ভরে নেমে আসে অশ্রুর বন্যা। সবাই মিলে মিতালীর বাবার শ্রাদ্ধ সমাধা করে দিলো। মিতালীর এক মামা বর্ধমান থাকে। ছোটবেলায় মিতালীকে খুব ভালবাসতো। এই দুঃসময়ে মামার কথা মনে পড়লো, অনেক চেষ্টা করে মামার ফোন নং জোগাড় করে মামাকে ফোন করলো। কিন্তু মামা কোন আগ্রহ দেখাল না। দশ দিনের মাথা মিতালী মামার কাছ থেকে ৫০০ টাকার Money Order অর্ডার পেলো। অনেক ভেবে মিতালী বর্ধমান যাওয়া ঠিক করলো কিন্তু সেখানে পৌঁছে মিতালী অবাক হয়ে গেল। মামী ওকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। মামাতো বোন রিন্ধি ওর বাবাকে বললো— ‘কাজের এই মেয়েটাকে কোথা থেকে আনলে বাবা? ভালোই হয়েছে, মায়ের খাটুনী কি...
কবি সম্রাট দে -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
গুটিয়ে রাখা নদী একটা আস্ত নদী গুটিয়ে রেখেছি বুকপকেটের ভেতর। ভাঁজ ক'রে রাখিনি পরতে পরতে ক্ষয়ে যাওয়ার ভয়, কেটে যাওয়ার ভয় পিছু ছাড়েনি ব'লে। ধীর বহতা সেই নদীর উচ্ছ্বলতা বড়ই ম্লান, নিস্তরঙ্গ প্রায়। তবে যে সম্পদ নদীর গভীরতা বিদীর্ণ করেছে তাতেও তো কম নয় তার সম্মৃদ্ধি। তাই আজও মাঝেমাঝে গুটিয়ে রাখা নদী খুলে টানাটান ক'রে চোখজুড়নো স্বাদ নিয়ে মোহিত হই দীর্ঘদিনের অভ্যেসবশে। গুটিয়ে রাখা নদী খুললেই তার স্বভসবসিদ্ধ বৈশিষ্ট্যে ভিজিয়ে দেয় বুকপকেট, ভিজে যায় অন্তহীন সময়ের প্রবেশদ্বার। কোনও এক কৃষ্ণগহ্বরের গ্রাস হবার ভয়ে গুটিয়ে রাখি নদী, সামলে রাখি বুকপকেটের উন্মুক্ত মুখ এবং পকেটের সীমাহীন জঠর...
কবি অভিজিৎ হালদার -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
কি দোষ ছিল আকাশে ঘন মেঘ চারিদিকে ঘন অন্ধকার বাতাসের ঘনঘটা বয়ছে, মেঘের নীচে চাঁদ ঢাকা ধীরে ধীরে বৃষ্টি নামছে, মেঘেদের আনাগোনা বাড়ছে থেমে থেমে শীতল হাওয়া বয়ছে। উত্তরের জানালার কপাট টা নড়ছে ঠিক এই মূহুর্তে একটা বিশাল শব্দ! আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। বাহিরের নিম্ গাছটা নিত্তেজ বাজ পড়ে গাছটি শেষ? বেঁধে ছিল একটা পাখি বাসা মরে পড়ে আছে পাখিটি গাছের তলায়! এলোমেলো খড় ছিটিয়ে আছে মনে হচ্ছে পাখিটি কাঁদছে। গাছের তলায় তাকিয়ে দেখি সবে ফোটা সদ্য বাচ্চা দুটি মরে শক্ত কাঠ হয়ে গেছে। কি কারণে জানিনা তাদের দোষ? বিধির বিচার চেয়ে। নীরব সেই ভোরের সকালটা- ভোর হলে যে পাখিটা রোজ এসে বসতো আমার এই নিম গাছের ডালে। হঠাৎ একদিন বেঁধে ছিল সে আমারই গাছেতে বাসা; জানিনা কি কারণে এমন হলো! প্রতিদিন ভোর আসে আজও খালি আছে সেই জায়গা!
কবি সুমিতা ঘোষ -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
স্বামী জীবন পথের সাথী তুমি অগ্নি সাক্ষী রেখে করেছ স্বীকার স্ত্রীর গৌরব, সন্মান তুমি করেছ সাথে থাকার অঙ্গীকার। তুমি শক্তি,, তুমি মুক্তি গভীর অন্ধকারে আলোর কিরণ। তুমি অলংকার, তুমি অহংকার, সঙ্গীত মুখর রঙিন জীবন। তুমি আশা, ভালবাসা জন্মান্তরের সাথ। হৃদয় সাম্রাজ্যের সম্রাট তুমি আমরণ ধরে রেখো হাত। স্বামী হলো স্ত্রীর অর্ধাঙ্গ সপরিবারেই নারী সম্পূর্ণ যেমন রাধিকা বিহীন কৃষ্ণ কৃষ্ণ বিহীন রাধা অসম্পূর্ণ।
কবি সুজিত রেজ -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
পুরুলিয়া ঝালদা-হাঁড়িতে দু'টাকা কিলো চাল ফুটছে অন্নপূর্ণা মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতে গড় পঞ্চকোটের ভগ্ন স্তম্ভ চোঁয়া লাল জলে আদিবাসী নৃত্যের তালে তালে মহুয়া মাতালের পদক্ষেপে দুর্গা ফলস্ ঝরে পড়ছে অস্ট্রিক শব্দমালায় গরম পিচচুমায় বান্দোয়ানের দলছুট হাতির পায়ে ফোস্কা-জ্বালা রাঁচি-হাতিয়া এক্সপ্রেস থেকে পিলপিল করে নেমে আসছে শালপ্রাংশু দেশোয়ালি অযোধ্যা পাহাড়ের পদচাতালে ঝুঁকে পড়া রোদ শুষে নিচ্ছে রামের ছৌমুখোশ
কবি রানা জামান -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
ভালোবাসার অন্তর্নিহিত উত্তাপ ভালোবাসায় অন্তর্নিহিত একটা উত্তাপ আছে সেই অমোঘ উত্তাপে আবালবৃদ্ধবণিতা হতে চায় উত্তপ্ত; নিষিদ্ধ গন্ধমের চেয়েও অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ তাতে; আভাষ পেলেই শত শত লালপরী নীলপরী চোখের পাতায়; রংধনুর সকল রং তুলিতে কলমে রাবিন্দ্রিক জীবনানন্দীয় ছন্দ আর কল্পনায় বৃন্দাবন আপন গায়ের রক্তে লিখে ফেলা যায় অনায়াসে শত শত প্রেমপত্র; ভেবে ভেবে মজনু, বা অষ্টম এডওয়ার্ড হওয়া মামুলি ব্যাপার; তুড়িতে পাহাড় কেটে রাজপ্রাসাদে দুধের গঙ্গা বইয়ে দেয়া যায়; কয়েনের এপিট ওপিট পার্থক্যটা বুঝে না কাব্যিক মন; ভালোমন্দের ব্যালান্সসিট মগজে পায় না ঠাঁই; একমাত্র ইচ্ছে বুনো ষাঁড়ের মতন ধায় সামনে; মরা গাছে পুস্প ফুটলে মধুরেণ সমাপায়েত এবং শান্ত জলে কোনো ঢেউ এলে ইতিহাসের সেলিম।
কবি মিলি দাস -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
বিশ্বাস ছন্দপতন হবে না কখনো এমন কি আর সবসময় তে হয়? শোকের ছায়া পড়বে না জীবনে এমনটা সুখ কজনার বা সয়? জীবনটা যে ভাঙা গড়ার খেলা ভালো মন্দ সবটা মিলে মিশে, খারাপ যদি কেউ বলে কখনো ভোরের আলো অন্ধকারের শেষে। বহু ক্ষত অন্তরেতে জমে জোয়ার ভাটার মত ছন্দমিলে রাত্রিবেলা হয়তো ধূসর লাগে স্পষ্ট হয় ভোরের শুকনো বিলে। দুঃখ পোষা মুখ কি লাগে ভালো? একটুখানি সুখের ছোঁয়া নাও রঙিন হবে রুক্ষ্ম মধুর জীবন ক্ষত মুছে শিশিরে পা দাও। ছন্দপতন হবে না কখনো শুন্য তুমি পুণ্য হবে গুনে সম্পর্কে বেঁধে আছি দুজন শুনতে পাচ্ছ শব্দ করছে ভ্রূণে।
কবি মিঠুন রায় -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
তটভূমি জোৎস্নায় জেগে ওঠে উন্মুক্ত বধ্য তটভূমি, হৃদয়-বিভূতি জুড়ে লেগে আছে অমৃতের অম্লান ঘ্রাণ। প্রাণহীন দেহ থেকে নেমে আসে স্তব্দতার তরঙ্গরাশি, সেই সকল অনুপম ঐশ্বর্যের সাক্ষী হয়ে থাকুক এই উপল ভূমিখন্ড। বিদায় মুহূর্তের শুকনো পাতার মতো খসখসে শব্দের বাতাবরণ নিয়ে, অপেক্ষার শব্দ ঘনিয়ে আসে কালপুরুষের মায়াবী বীণা থেকে। জীবন দ্রুত অতীত হয়ে থাকে মায়াবী স্বপ্নের মতো, শ্মশানের পোঁড়াকাঠে লেগে থাকে বৈরাগ্যের অনুভূতি।
কবি স্বাগতা দাশগুপ্ত -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
ওগো মাছ ইলিশের আঁচলেতে সর্ষে ফেলেছে ছায়া তেলে আর পাতুড়িতে জড়ানো সে কত মায়া। মুখ ভার কাতলার;তার নাকি নেই দম.. দই দিয়ে রাঁধলে সে যে স্বাদে হয় উত্তম। ডিম ভরা ট্যাংরা-ভীষণ গুমোর তার ঝাল ঝোল যাই করো, তাইই হবে চমৎকার। বাঙালী কাঙালী আজ, পারে না সে কিনতে- গলদার হেঁড়ে মাথা চিতলের চিলতে। তোপসে ফ্যাকাসে পড়ে, পাবদার জুলুসে .. পাতেতে আসে না সেতো দাম যে আকাশে! পাতে-তে ভাতে-তে মেখে নাও যদি পারি খেতে- ওগো মাছ এসো তবু বাঙালীর স্বপ্নেতে।
কবি সুব্রত মিত্র -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
অহরহ দর্শন পৃথিবীর বুক চিরে যখন কোন নদী এগিয়ে যায় তার ভাঙ্গা কান্না কেউ শুনতে নাহি পায়, পৃথিবীর জনকৌশল মাখা রৌদ্র দ্বারে; মানবের কুল রাখিয়াছে তারে, তার ভাঙ্গা সেতারের বিহঙ্গী সুর-মায়া ভুলাইবে তাহারে। পরশের মায়া খেলার স্বাদ হইবে বাদ আজি অগ্রজ পথিক হইয়া মিলিবে অবসাদ অপছন্দের কারুকার্যে কেন আজ এত সাজ ভুল পথে ধাবিছে প্রজন্ম পথ ভাঙ্গা পথে হেঁটে চলে নতুন সমাজ দখলদারির মনোভাব ভারী, আগ্রাসী ভূমিকায় তেজিয়া আসিতেছে ঐ কান্ডারী। কার হাত ধরিয়া জাগিবে পৃথিবী? তেজ আর লোভে মোড়া ঐ কান্ডারীর মুখে-- কলম ছুঁড়িয়া মারিবে কোন কবি? বিদ্বেষী মনোভাব নিবে কাড়ি সংযম বিনোদনের হাটে যাবে ভাসি আমার মা-বোনের শাশ্বত সম্ভ্রম।
কবি সত্যেন্দ্রনাথ পাইন -এর একটি কবিতা
- Get link
- X
- Other Apps
দান করো যত খুশি প্রতিদান আশা কোরোনা তুমি তো বিখ্যাত তুমি তো মানবিক মানবিকতা তোমার উজ্জ্বল যারা যা বলছে বলুক-- স্রষ্টা আগেই এরকম ফরম্যাট তৈরি রেখেছিলেন এটা ঘটেছে স্রষ্টার নির্দেশে নয় এটা নাটকের একটা অঙ্গ প্রত্যাশা, প্রতিদান চাইলেই দুঃখ বাড়বে-- স্রষ্টা যেন বলছেন স্ব আছে অধীনতা নেই! মানুষ আছে মানুষের জবাবি মানবিকতায় । না না-- জল আলো বাতাস সবই তো গ্রহন করেছো তুমি। প্রতি দানে ফেরত দিতে পারোনি কিছুই তাতে কী? সবকিছুই মেনে নিতে শেখো। এটা ঘটছে স্রষ্টার নির্দেশেই। তুমি কর্মী মাত্র। কাজে করো-- প্রতি দান আশা কোরোনা। দিনও তোমার জন্য আলাদা কিছু ভেবে রেখেছে। তাকে সময় দাও। যত পারো দান করো প্রতিদান আশা কোরোনা।।
ষষ্ঠ সংখ্যার সম্পাদকীয়
- Get link
- X
- Other Apps
সম্পাদকীয় শুভক্ষণ রাখি পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে প্রকাশিত হয়েছে আমাদের সকলের প্রিয় পত্রিকা World Sahitya Adda। নিন্দুকেরা নিন্দা করবেন। ভাবুকেরা আরও ভাববে নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে। সমালোচনা হবে, পর্যালোচনা হবে। কিন্তু লেখা নেওয়া, লেখা ছাপা এবং লেখা পড়া তথা সাহিত্য চর্চার মধ্যে একটা অটুট বন্ধন চিরকাল থাকবে। লেখার প্রতি যদি ভালোবাসা সঠিক হয় তবেই পাঠকের মন জয় করা যায়। তাই শুধু ভালো লিখলেই হবে না সেই প্রকাশিত লেখা গুলি পৌঁছে দিতে হবে সমস্ত পাঠক বন্ধুদের কাছে। পত্রিকা কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পত্রিকা নিজস্ব লেখার লিংক সমস্ত পাঠক বন্ধুদের কাছে শেয়ার করুন। লিখুন। পড়ুন। এগিয়ে চলুক আমাদের সকলের যাত্রা। ধন্যবাদান্তে World Sahitya Adda Team
ষষ্ঠ সংখ্যার সূচিপত্র(২৬ জন)
- Get link
- X
- Other Apps
সম্পূর্ণ সূচিপত্র বাংলা কবিতা ও ছড়া--- তৈমুর খান, তীর্থঙ্কর সুমিত, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, মায়া বিদ, সুব্রত মিত্র, স্বাগতা দাশগুপ্ত, আবদুস সালাম, মিঠুন রায়, মিলি দাস, রফিকুল রবি, রানা জামান, সুজিত রেজ, সব্যসাচী মজুমদার, সুমিতা ঘোষ, অভিজিৎ হালদার, সুনন্দ মন্ডল স্বপ্না বনিক, সম্রাট দে। বাংলা গল্প-- স্বপ্না বনিক, অমিত পাল, ডঃ রমলা মুখার্জী বাংলা গদ্য- সুমন সাহা । বাংলা প্রবন্ধ--- রামপ্রসাদ সরকার। বাংলা উপন্যাস--- সুদীপ ঘোষাল। ইংরেজি কবিতা--- Soumendra Dutta Bhowmick, Sunanda mondal. Photography---- Amit Pal, ARISHNA SARKAR.
Poet Sunanda Mandal's one English poem
- Get link
- X
- Other Apps
Unhappy The stone of pride Has accumulated in the chest. Long years have passed The wait is over. Night comes Pride leads to depth At least you would be relieved Life is a dream come true. In this life his hopes are in vain One sky difference between the two. You are on the verge of death, I am dying.
Poet Soumendra Dutta Bhowmick's one English poems
- Get link
- X
- Other Apps
UNMANLY APPETITE Unbelievable frenzy roused hunger in front of An unknown nubile beauty. No ban on such agitation, No feeling for becoming guilty Put any required caution. Enchanting the internal sphere vigorously All snakes of all types began to envenom, No want of food, cloth or shelter Now prepared that intruder of awful eyes To reign brutally in the mind. Sole appetite for bloody soft flesh Made him cruel and also blind. That way of special effects That way of unfurnished sets Turned him nothing but a weakest child!
কথাসাহিত্যিক সুদীপ ঘোষাল -এর উপন্যাস (পঞ্চম পর্ব)
- Get link
- X
- Other Apps
ইউরেকা ইউরেনাস বারান্দায় তিনি ছিলেন। তখন তোতন বলল, ঠিক আছে আসুন ভদ্রলোককে তোতন বললেন, কী অসুবিধা?তোতন ভদ্রলোককে অনেক্ষণ আটকে রেখে তার গ্রাম এবং পরিবেশ সম্পর্কে জেনে নিল। ভদ্রলোক বললেন, আমার নাম নাটুবাবু। এই নামেই সকলে চেনে। লোকগুলো আমাদের ওখানে একটা ভূতের উপদ্রবের গুজবে ভয় পাচ্ছে। লোকজন খুব ভয় পাচ্ছে। এটা তো আমি মানি না,কোনও মতেই। তাই আপনার সাহায্য নিতে চাই সুমন্ত বাবু আর আপনি গেলে এই রহস্যের সমাধান নিশ্চয়ই হবে তোতনন খুব উৎসাহিত হয়ে সুমন্তবাবুকে বললেন এবং ডাকলেন। তিনি এলেন। তিনি আরো বললেন ঠিক আছে আমরা যাব আগামীকাল। সন্ধ্যার মধ্যেই আমরা আপনার বাড়ি পৌঁছে যাব। আপনি ঠিকানা আর এখানে সবকিছু আপনার পরিচিতি দিয়ে যান। সুমন্তবাবু ও তোতন পরের বিকেলে ট্রেনে চাপলেন। কলকাতা থেক দূরে এক অজ পাড়াগাঁয়ে তাদের যেতে হবে। তোতন বলছে সুমন্তবাবুকে আমি গ্রামের ছেলে। ট্রেনে যেতাম স্কুলে। তারপর পায়ে হাঁটা।তোতন বলে চলেছে তার কথা, ট্রেনে যাওয়া আসা করার সময় কিছু লোক দেখতাম ট্রেনের মেঝেতে বসে থাকতেন স্বছন্দে।তাদের মত আমারও সিটে না বসে মেঝেতে বসার ইচ্ছে হতো।কিন্তু পারতাম না লোকলজ্জার ভয়...