বেহালা  টু  বেনারস
বেহালা টু বেনারস। এটাকি পাশের পাড়া, যাবো বললেই অমনি হুট ক`রে যাওয়া যায় ? সবেতে বাড়াবাড়ি  । 
ছেলে কুন্তলের মেজাজি মার্কা কথা শুনেও বিনয় বাবু বিনীত সুরে বললেন ,, 
আহা,,রাগ করছিস কেন ? এমন কিছু বিদেশবিভুঁই তো নয় । বেনারস। প্লেনে মাত্র কিছুক্ষণের ব্যাপার। ফস ক`রে চলে যাবো। 
টাকা একটু বেশি খরচ হবে , এ ই যা,,
 
তা যাক। টাকা বড়কথা নয়। আসলে  আমার আর তর সইছে না। 
শিগগির  শিগগির যেতে হবে রে। 
নারায়নী দেবী এতক্ষণ চুপ করেই ছিলেন , এবার তিনি ঝলসে ওঠে বললেন,,, 
তর সইছে না , 
ফস ক`রে চলে যাবো,, আহা রে,, কী সখ,, 
খালি নিজেরটা বোঝে। আরও যে মানুষ আছে , তারও যে ইচ্ছে অনিচ্ছে থাকতে পারে সে দিকে তাকাবার ফুরসৎ নেই ওনার। 
বিনয় বাবু বুঝলেন , টার্গেট তিনিই। 
তাই  খানিকটা অবাক হয়েই বললেন,, মানে,, এ কথার মানে কী? 
নারায়নী দেবী সে কথায় পাত্তা না দিয়ে ছেলে কুন্তলের দিকে এগিয়ে গিয়ে তার নাকের কাছে তর্জনী তুলে তর্জন ক`রে  বললেন,,, খবরদার যদি প্লেনের টিকিট কেটেছিস, দেখিস আমি কী করি। যাওয়া ঘুচিয়ে দেবো। 
বিনয় বাবুর অবাক হবার ঘোর কাটছে না। বললেন ,, আরে বাবা ব্যাপারটা কী ? প্লেনে কী হয়েছে ? অসুবিধে কী? 
নারায়নী আরও ক্ষেপে গিয়ে বললেন,,,, 
ন্যাকামি হচ্ছে ? যেন কিচ্ছুটি জানেনা । আমি হার্টের রুগী । ডাক্তার আমাকে নাগরদোলা চড়তে মানা করেছিল , মনে নেই? 
বিনয় বাবু চোখ কপালে তুলে বললেন ,,, 
বোঝো ঠ্যালা । তারপর নিজের কপালে চটাস ক`রে চাপর মেরে বললেন , 
কী সর্বনাশ,,  নাগরদোলার সঙ্গে প্লেনের কী সম্পর্ক  রে বাবা ! 
নারায়নী ঘুসি পাকানো হাত তুখোড় বিপ্লবীর মতো আকাশে ছুঁড়ে বললেন,,, 
অবশ্যই সম্পর্ক আছে। ডাক্তার বলেছে নাগরদোলা চড়বেন না,,,  এর মানে কী ? 
বিনয় বাবু ভ্যাবাচেকা খেয়ে চোখ গোলগোল ক`রে বললেন,,, কী ? 
নারায়নী দেবী দাপটে উত্তর দিলেন,,, 
মানে,, মাটি থেকে আকাশে , আকাশ থেকে মাটিতে ঘুরপাক খাওয়া যাবে না। নাগরদোলা চড়াও যা, প্লেনে  চাপাও তা , একই। মাটি আকাশ , আকাশ মাটি । আমি নেই। আকাশে দম আটকে মরতে চাই না। যা হবার মাটিতে হোক। এই মাটিতে জনম আমার , যেন এই মাটিতেই মরি।
বিনয় বাবু শুধরে দিতে উচ্চারণ করলেন ,,,
ওটা মাটি নয়,, দেশ। 
নারায়নী হারবার পাত্রী নয় , বললেন,,  
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক আছে। দেশ। আরেবাবা দেশ আর মাটি  একই। দেশের মাটি। দেশ মাটি , মাটি দেশ। বুঝেছ ? 
এবার হিটলার ভঙ্গিতে কোমরে হাত রেখে বললেন ,,, 
দ্যাখো , বেশি চালাকি করবার দরকার নেই। খালি কথা ঘোরানোর ধান্দা । 
তারপরেই ছেলের দিকে ঘুরে , তাকে সাক্ষী রাখার মতো ক`রে বললেন ,,, 
কুনু  ( কুন্তলের ডাক নাম )  তুই বল , ডাক্তারের কথা অমান্য করা কি উচিৎ ? হার্টের ব্যাপার । কিছু কি বলা যায় , যদি একটা খারাপ কিছু হয়ে যায় ?  তখন তোদেরই তো হ্যাপা পোহাতে হবে বল,,। 
হাসপাতাল,, ঘর,, হাসপাতাল,, ঘর,,, টাকার শ্রাদ্ধ , অশেষ ভোগান্তি ,,,, 
বিনয় বাবু আর বিনয় রাখতে পারলেন না। চিৎকার ক`রে বললেন ,, 
মূর্খতার একটা সীমা পরিসীমা থাকা উচিৎ । ডাক্তারের পরামর্শ । নিকুচি করেছে ডাক্তারের । ডাক্তার না ছাই। পরামর্শ তো তোমার হোমিওপ্যাথি হেঁপো মামার। উনি নাকি ডাক্তার ! দূর দূর,,,  হোমিওপ্যাথি আবার ডাক্তার । 
আগুনে ঘৃতাহুতি । রণং মূর্তি । 
এই,, খবরদার বলেদিচ্ছি, মামা তুলে কথা বলবে না। 
ডাক্তার ইজ ডাক্তার । হোমিওপ্যাথি বলে হ্যালাফ্যালা করবেনা একদম। 
> একশোবার করবো । বেশ করবো। আমিও হাজারটা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম গড়গড় করে বলে যেতে পারি। ডাক্তারি ফলাচ্ছে। 
বুড়িধারি মেয়েকে  বলছে ,, নাগরদোলা চাপবে না , আইসক্রিম ছোঁবে না  , ফুচকা খাবে না। ডাক্তার হয়েছে,,  দূর দূর,, সামান্য একটুখানি সুগার বেড়ে গিয়েছিল সারাতে পারেনি ,, আবার বড়ো বড়ো কথা । 
>সামান্য একটুখানি ? কি মিথ্যুক রে,,। দ্যাখ দ্যাখ  কুনু,, তোর বাবা কিরকম মিথ্যেবাদী দ্যাখ একবার। চারশো পাঁচশো সুগার নাকি একটুখানি ! 
এইবার মোক্ষম যুক্তির ঠ্যালায় , বিনয় বাবু চুপসে গিয়ে চুপ ক`রে গেলেন ।  সত্যিই তাই। দুবেলা ইনসুলিন নিতে হয়। খাওয়ার খুব ঝামেলা। এটা বাদ , সেটা বাদ। যাচ্ছেতাই জীবন। সবচেয়ে মুশকিল হলো , ডাক্তার যেগুলো খেতে বারন করেছে , সেই গুলোই বেশী ক`রে  খেতে ইচ্ছে করে। অথচ উপায় নেই। নারায়নীর ত্রিনয়ন এড়িয়ে কিচ্ছুটি করার উপায় নেই । সর্বক্ষণ নজরদারি চালু আছে। আর সেই কারণেই স্ত্রী এখন স্বামীর চক্ষুশূল। অথচ তাকে ছাড়া চলে না। এ এক মহা গেড়ো। কাছে থাকলেও জ্বালা , না থাকলে মহাজ্বালা। 
কুনু,, আমি বলছি ,, এক্ষুনি যা, বেনারসের টিকিট নিয়ে আয় , প্লেনেই যাবো। 
বিদ্রোহিণী নারায়নী ঝংকার দিয়ে বললেন ,, 
কখনোই নয়। তুই ট্রেনের টিকিট নিয়ে আয়। সারারাত কুউউ ঝিক ঝিক ক`রে শুয়ে শুয়ে দুলতে দুলতে  যাবো , আহঃ কী মজা ,, যা কুনু বেরিয়ে পড়। দেরী হয়ে গেলে টিকিট ফুরিয়ে যাবে বাবা। আর শোন ভালো কথা,, আজকের ট্রেন যদি না পাওয়া যায় , কালকের নিবি,, যা যা বেরিয়ে পড়,,।
বিনয় বাবু শেষ চেষ্টা করার জন্যে বললেন ,, 
আমার কিন্তু কোমরে স্পন্ডালাইটিস আছে ।  সারারাতের ট্রেনের ঝাঁকুনি তে যদি ব্যাথা বেড়ে যায় , দেখাবো তখন মজা । 
নারায়নী মুখ ভেংচে বললেন,,,,, ওরে আমার স্পন্ডালাইটিস রে। বয়সকালে অমন ব্যাথা সকলেরই হয়।ও জিনিস যাবার নয়। চিরসঙ্গী স্পন্ডালাইটিস । 
__ কেন , তোমার ডাক্তার মামা কে বলোনা,, ঐ সর্বরোগ হরণকারী সাদা সাদা ঝাঁজালো গুলি গুলি মহৌষধি সাপ্লাই দিক। 
কুন্তলের এসব দেখা অভ্যেস আছে। সারাদিন , সারারাতেও এর মীমাংসা  হবে না। তাই ঠান্ডা গলায় বললো৷,, 
তোমরা আগে নিজেদের মধ্যে ফয়সালা ক`রে নাও , কী করবে,,, তারপর আমাকে বোলো। 
কুন্তল চলে গেল। 
বিনয় বাবুদের একমাত্র মেয়ে ইন্দ্রাণীর বিয়ে হয়েছে বেনারস এ। গতকাল রাতে জামাই ফোন ক`রে সুসংবাদটি দিয়েছে। 
ইনুর (ইন্দ্রাণীর আদুরে নাম ) মেয়ে হয়েছে । এইমাত্র। 
সেই সংবাদ শোনা মাত্রই বিনয় বাবু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন তিনি যাবেন বেনারস।  নাতনীর মুখ দেখবেন। সুতরাং নারায়নীও গোঁ ধরলেন , তিনিও যাবেন। 
মেয়ের তিন মাসের গর্ভাবস্থায় গিয়েছিলেন। সেবার অবিশ্যি ছেলেও সঙ্গে ছিল। ট্রেনেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সেবার অবস্থা ছিল অন্যরকম। হার্ট কিংবা সুগার  নামক কোনও রোগ বালাই  ছিলনা। হঠাৎই এই ছ মাসের ভেতর কেমন যেন সব গোলমাল হয়ে গেল। মেয়েটার অতদূরে বিয়ে হবার কারণেই হয়তো। কি আর করা। ভালো মনমতো সুপাত্র পেলে , বাবা-মা এমন স্যাকরিফাইস তো করেই থাকেন। নতুন কথা কিছু নয়। তবু , মন মানে না। সেই পুরনো কথা মনে পড়ে। স্নেহ অতি বিষম বস্তু । 
এ যাতনা মেয়ের বাবা মায়ের একান্ত পাওনা।
জয় হলো তোমার ভোলা । কার সাধ্য তোমায় হারাবে। 
নাহ,,, এক্ষেত্রে ভোলার জয় হয়নি।  বরঞ্চ উল্টোটাই হলো। জায়া র জয় জয়কার । 
পরের দিনই রাতের ট্রেনে জায়গা পাওয়া গেল। তবে এ সি তে নয়। সেসব অনেক আগেই নো ভ্যাকান্সি হয়ে বসে আছে। অগত্যা সেকেন্ড ক্লাস। 
সেকেন্ড ক্লাস , থ্রি টায়ার । একটা আপার,  একটা মিডল বার্থ।
নারায়নী ব্যাজার মুখে বললেন ,,, 
হ্যাঁরে কুনু,,, এই নিচে একখানা পেলিনা, এতখানি ওপরে ওঠা , ওফঃ,, কী যন্ত্রণা  বলো দেখি। 
এইতো ফাঁক পাওয়া গেছে। আরকি ছাড়া যায়। লোপ্পা ক্যাচ। বিনয় বাবু  কথাটা টুক করে লুফে নিয়ে বললেন ,, 
এখন এসব কথা আসছে কেন ? আমার কথা তো তখন তেতো লেগেছিল , এবার কী মনেমনে আক্ষেপ হচ্ছে ? নাও, এবার গাছে চড়া প্রাকটিস করো। 
নারায়নী চুপ করে রইলেন বটে , কিন্তু তার চোখ মুখের চেহারায় অতৃপ্তির ছায়া স্পষ্ট । 
কুন্তল বাবাকে ওপরে ,  আর মাকে মিডল সিটে শোবার পরামর্শ দিলো। বিনয় তৎক্ষনাৎ সেই প্রস্তাব খারিজ ক`রে বললেন,, 
অসম্ভব , আমি সুগার পেসেন্ট । বারবার উঠতে হয়। আমার লোয়ার হলেই ভালো হতো। যাক , হয়নি যখন , ঐ মিডিল দিয়েই চালিয়ে নেব। 
এবার ভোলার জয় হলো। অকাট্য যুক্তি। জজে মানবে। সুতরাং হাঁচড়পাঁচড় ক`রে নারায়নী মগডালে চড়ে গেলেন। 
চড়ে গেলেন নাকি চড়িয়ে দেওয়া হলো। 
কুন্তল বয়সের তুলনায় লম্বা বেশি। সিক্স ফুট প্লাস। সে মা কে খানিকটা বাস্কেট বল খেলায় ঝুরিতে বল ফেলে গোল করার ঢং-এ টং য়ে তুলে দিয়ে বাবার উদ্দেশ্যে বললো,, 
সাবধানে নামিয়ে নিও। ওখান থেকে পড়লে আর দেখতে হবে না। দেখো,, কেলেংকারী বাধিও না। 
বিনয় বাবু  ছেলেকে আস্বস্ত ক`রে বললেন,, 
না না । চিন্তা  নেই । 
জামাই কে হোয়াটসঅ্যাপ ক`রে কোচ নাম্বার , সিট নাম্বার  সব দিয়ে দিয়েছি। সেই এসে শাশুড়ি কে পাঁজাকোলা ক`রে নামিয়ে দেবে। কোনও চিন্তা নেই। 
ট্রেন  ছাড়ার সময় হয়ে আসছে। কুন্তল এ যাত্রায় যাবে না। ওর ফাইনাল ইয়ার পরিক্ষা আছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। ও ফিরে গেল। গাড়ি ছেড়ে দিলো। 
মাঝরাত্তির হবে তখন। অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে উর্ধশ্বাসে ট্রেন ছুটে  চলেছে গন্তব্যে। কামরার  সাদা আলো গুলো সব নিভিয়ে দিয়ে যাত্রীরা ঘুমোচ্ছে। নীল বাতির আবছা আলোয় কামরার এমাথা থেকে ওমাথা যেন মৃত্যুপুরী। 
আপার বাঙ্কে নারায়নী নাক ডাকছে। বিনয় বাবু মনে মনে গজরাচ্ছেন ,,, আশ্চর্য মহিলা যাহোক। এই দুলুনি খেতে খেতে কেমন নাক ডাকছে,,, 
ওফ্ফ বলিহারি যাই বটে,,। 
এই আক্ষেপের কারণ আছে।
 সব্বাই ঘুমোচ্ছে , শুধু ওনার চোখে ঘুম নেই । এই নিয়ে বার পাঁচেক মিডল বার্থ থেকে নেমেছেন আর উঠেছেন। 
ওনার সিটের নিচেই লোয়ার বার্থের যাত্রী ওনার এই বারংবার ওঠা নামায় যথেষ্ট বিরক্ত। তিনি আবার অবাঙালি। কিছুক্ষণ পরেই আবারও বিনয় বাবু নিচে নামলেন। এবার সেই অবাঙালি যাত্রী বিরক্ত স্বরে হিন্দি তে  বললেন ,,, 
বারবার উপর নিচ কর রহে হেঁ আপ , কেয়া বাত হ্যায় জী। চ্যায়েন নেহি হ্যায় কা,,! 
বিনয় বাবুর হিন্দি তেমন আসেনা। তাই চ্যায়েন শব্দের অর্থ বুঝতে পারলেন না। 
তিনি সরল মনে প্রায় কাঁদোকাঁদো হয়ে পরিস্কার বাংলায় বললেন ,,, 
না না,, চেন তো আছে কিন্তু খুলছেনা। 
বিচ্ছিরি ভাবে আটকে গেছে । তারপর অনুনয় ক`রে বললেন ,, 
আপনি একটু হেল্প করতে পারেন ? আর যে পারছি না। 
ভদ্রলোক , জয় রামজি কী, ব`লে পাশ ফিরে শুলেন। 
হঠাৎ চোখ গেল ওপরে। নারায়নী উঠে বসে ড্যাবড্যাব ক`রে তাকিয়ে আছে। বিনয় বাবু অসহায় গলায় বললেন,,, 
এয়ারহস্টেস রা  এব্যাপারে যথেষ্ট এক্সপার্ট। 
নারায়নী কোনও কথা না বলে গুটিগুটি ওপর থেকে নিচে নেমে আসার চেষ্টা করলেন। তাই দেখে বিনয় বাবু হা হা ক`রে বললেন,,,,,, 
আরে আরে করছো কী,,, পড়ে যাবে যে,,, 
কে কার কথা শোনে। নারায়নী তার জেদ বজায় রাখবেই। বিশেষ ক`রে ঐ এয়ারহস্টেস  শোনার পরেই তার মাথায় আগুন জ্বলে গেছে । শয়তান ব্যাটাছেলে , সারাটা জীবন ধরে যার সেবা নিয়ে গেল , সে কিছু নয়,,,? বিমানসেবিকা ? বেইমান। 
যে ভয় করা হচ্ছিল ঠিক সেটাই ঘটে গেল এবার । নামতে গিয়ে বেসামাল হয়ে একেবারে গড়িয়ে গেলেন। 
বিনয় বাবু কোন রকমে দুহাত বাড়িয়ে জাপটে ধরতে গেলেন। কিন্তু  পারলেন না। দুজনেই জরামরি করে ধরাস ক`রে মেঝেতে পরলেন। 
নারায়নী  মা গোওও বলে আর্তনাদ করে উঠলেন। বিনয় বাবু হতবুদ্ধি হয়ে মেঝেতে ঠ্যাং ছড়িয়ে বসে অনুভব করলেন , তার শরীর থেকে গরম জলস্রোত  বেরিয়ে এসে তার প্যান্ট ভিজিয়ে দিচ্ছে । 
সকালে বেনারস ষ্টেশনে জামাই বাবাজী এলেন বটে কিন্তু শাশুড়ী কে আর ওপর থেকে পেড়ে আনতে হলোনা । কেননা তিনি নিজে থেকেই খসে পরেছেন। আর খসে পরেছে নারায়নীর দুপাটি বাঁধানো দাঁত। সিটের নিচ থেকে অবিরাম হেসে চলেছে।