কবিতা || ভয়ার্ত পুরুষ অথবা ক্লোনাজিপাম || নিমাই জানা
ভয়ার্ত পুরুষ অথবা ক্লোনাজিপাম
আমি এক শৃঙ্গ বিশিষ্ট কাঁকড়ার দেহ ভাঙতে ভাঙতে স্বরচক্র পুকুরের উনত্রিস টি লাল শ্বেতপ্রবাল দানা রাখি মুখগহ্বরের ভেতর অক্ষয় পুরুষেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নৌকাটি গিলে খায় প্রদেশহীন গভীর রাতের ফার্নিচার দোকানটিকে
এক অদ্ভুত আলো বেরিয়ে আমাকে নিয়ে যায় ধান জমির পরিচ্ছন্ন শ্বাপদের কাছে , এখানের অলংকারটি অজৈব ও অভিমান মেশানো পাটি গণিতের তৃতীয় পরিচ্ছেদের শেষ বর্ণমালার পা দুটি গণিতের মতো বাঁকানো
এক লম্বা ক্রুশ রঙ মাখানো কাঠের উপর দাঁড়িয়ে আমি আলৌকিক জালক ভেঙে ভেঙে নিভৃতি পদ্মের কুঁড়ি বের করি
সর্পগন্ধা ফুলের নিরাময় ক্ষতস্থানটি কখনোই কাউকে দেখাতে নেই
একাকী মার্কসল নামক হোমিওপ্যাথিক নিরাময়টি প্রচ্ছন্ন মায়াবী হয়ে আমার বিছানার তলায় কেঁচোর খোলস ফেলে যায়
আমার জন্ম ঘরের দাঁড়িয়ে থাকা দাইমা আমার নামে অনেক তেতো স্বাদের চারাগাছ পুঁতে দেয়
আমি ক্রমশ যমদূতের কাছ থেকে ভয়ার্ত কৌণিক দূরত্বে বসবাস করছি অথচ শীতকাল এলেই খুব দশমিকের কাছে বসে থেকে ধরে ফেলি এক উষ্ণ প্রস্রবনের তালপাতা ঘুম
আমি এখন রোজ রাতে মনোরোগীর কম্বাইন্ড কালারের ক্লোনাজিপাম চুমু খাই
Comments