Posts

Showing posts from October, 2024

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩১ || Sarod sonkha 1431 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

Image
           সম্পাদকীয়:  শারদ প্রভাতে ভ্রমণের আশায় বের হয়ে আসা মানুষ সাদা কাশে ঢাকা মেঘ মল্লার এর দোলায়িত আভা পার হয়ে যখন শশ্মানের কিনারায় পৌঁছে যায় তখন মানুষের উপলব্ধি অন্য বাস্তবায়নের দিকে মোড় নেয়। মনে পড়ে যায় সব কিছু আড়ালে, সব কিছুর শেষে জ্বলন্ত চিতা যেমন সত্য, তেমনি সত্য মানুষের বিবর্ণ জীবন, দোলাচল প্রবৃত্তি। মানুষ তবুও জেগে ওঠে নতুন ভাবে। চেষ্টা করে নতুন ভাবে বাঁচার।  হৃদয়ের এই সমস্ত জড়তা তথা সংকোচ বোধ কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে উৎসব। কর্ম ব্যস্ততার আড়ালে সব কিছুকে পাশে রেখে মানুষ যেন নতুন ভাবে বাঁচার চেষ্টা করে। আসলে প্রতিটি মানুষের জীবনেই এই উৎসব দরকার। মেকি সভ্যতার লাঞ্ছিত স্বভাব থেকে দুদন্ড শান্তি দেয় উৎসব। কর্ম ব্যস্ত আপা মো বাঙালি জাতির কাছে দূর্গা পূজা তথা শারদীয়ার আগমণ যেন এক উচ্ছ্বাস, আবেগের চরমতম উৎফুল্লতা। এই আবেগ গুলোকে নতুন রঙ লাগায় শারদীয়া সংখ্যা গুলি। সব কিছুর পাশে থেকে বাঙালি হৃদয়কে রসময় করে তোলে। নিয়মিত পাঠক, নিয়মিত লেখক, কিংবা অন্য সাধারণ মানুষ এই শারদীয়া সংখ্যাগুলিকে আঁকড়ে ধরে নতুন স্বপ্ন দেখে।  সমাজের এক নতুন মোড় নিয়ে প্রতিবারের ন্যায়

উৎপাদিকা - তপন তরফদার || Utpadika - Tapan tarafder || Novel || উপন্যাস || উপন্যাসিকা || Bengali Novel

  উৎপাদিকা তপন  তরফদার     পৃথিবী তার জন্ম লগ্ন থেকেই উৎপাদিকা হয়ে প্রতিনিয়ত প্রকৃতির অমোঘ বিরূপ রূপ কে মোকাবিলা করতে শক্তি জোগায়। এই জগত পরির্বতনশীল গতিশীল হলেও  মূল শিকড় কিন্তু অপরিবর্তনীয়। অতীত থেকে আজও পর্যন্ত একই নিয়ম নীতি পথ ও কার্যক্রমের গতি একইভাবে দৃঢ়তার সাাথে অপ্রতিরূদ্ধ বলেই এই পৃথিবীতে জল ও স্থলের পরিমাণ বা পৃথিবীর গতিবেগ কক্ষপথ থেকে কমবেশি আজও হয়নি। জীবন ও  জীবনের দৃশ্য পট পরিবর্তনশীল হলেও তা শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। মানুষ সর্বদাই তার জীবনদর্শনের সততা, সাধনা ও সুন্দরতার শিকড়ের সাথে নাম বদলে গেলেও শিকড় কিন্তু বদলায় না। উৎপাদিকারাই  পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলে এবং চালিকা শক্তি হয়ে থাকে।          গ্রামের  নাম ছিল ইচ্ছাপূরণ। এখানকার গ্রামের আরাধ্য দেবতা তার ভক্তদের মন্স্কামনা পূরণ করে। সেই  গ্রামের নাম এখন মুখে মুখে ইছাপুর হয়ে গেছে।  এখন এই গ্রাম বেশ কয়েকবার সংবাদপত্রের শিরোনামে এসেছে এক অদ্ভুত কারণে। এই গ্রামের অনেক মানুষের মধ্যে এক উদ্ভট আচরণ দেখা যায়। এদের আত্মহত্যার প্রবণতা খুব বেশি। গোটা দুনিয়ায় এক বছরে যত মানুষ আত্মহত্যা করে  তার সংখ্যা আট লাখ। ভারতে এক

Parallel - Pratik Mitra || English poetry || poem || English poem

  Parallel   Pratik Mitra From the forgotten avenues of oblivion one or two sparks of anecdotes stretch its tongue to touch rings of time perhaps to check whether your ring befits or the terms tend to be a failure. Your engagements fill your ring to the full. In stead of soul-searching you have chosen to drool. In stead of some creative endeavour you are preoccupied with the pain in the chest you are after some enzyme. you chance to look through the window into the cacophonic busy traffic below and think yourself to be thoroughly blessed. The tryst with the past will soon be dusted off and the life moves on evading that ultimate test beefing up the backdrop and bonding in scoff.

Do Not Worry Tilottama -Trishita Mitra || English poetry || poem || English poem

  Do Not Worry Tilottama   Trishita Mitra   In the streets of strife, where class lines blur, A revolution brews, a people's fury pure- Tilottama's voice, a clarion cry echoes  Through the barricades, reaching the sky. The haves and have-nots, a chasm wide, A system rigged, the masses denied. Their rights, their dignity, their fair share Fueling the fire, that burns with no care. The revolution rages, a force so bold, Challenging the status quo, young and old For a world where all, can live with pride, Where class and caste, no longer divide. Tilottama's dream, a future in sight Where equality and justice, shine so bright The barricades, a symbol of the fight For a world that's fair, where all can unite.

What I want - Ananda Gopal Garai || English poetry || poem || English poem

  What I want Ananda Gopal Garai Let my prayer to God be Not for money not for wealth Not for fame not for health Let my prayer always be Make a man of me. Let my prayer to God be Not for fair love not for car Not for crown not for star Let my prayer always be Make a man of me. Let my prayer to God be To achieve one goal Make a man of me On the whole!

Surviving By Fighting Every Moment - Samir Kumar Dutta || English poetry || poem || English poem

  Surviving By Fighting Every Moment           Samir Kumar Dutta                   He, who has none arround and never was Has to survive anyhow by struggling Since his birth. It is true, no realisation of life Can be achieved without struggle, It is somewhat difficult for one To perceive his life even if He is born with a golden spoon in his mouth. The destination of life is just the front line It is acclivity to one And declivity to some other. Someone fights to defend himself Some other one for victory, They, who have no security from early life Fight to defend themselves unarmed They retreat by fighting without arms, Continuously retreating their backs At one-time they touch the boundary wall Where there is no space to retreat further Then comes the final blow The sinful life that is an effect   Of the desire of someones Express the severe pain speechlessly for the last moment  Till the soul departs, The burden-like body  Falls down on the ground  In a pool of blood  By which mather

The Hollow Echo of War - Prabir Basak || English poetry || poem || English poem

  The Hollow Echo of War               Prabir Basak In halls of power, whispers ignite,   A spark of greed, ambition’s blight.   Borders drawn with sharpened blade,   Where peace once stood, shadows invade.   Voices of reason drown in cries,   Of conquest’s lust, deceitful lies.   Steel-clad tongues in fiery speech,   Turn brother’s hand to foe’s cold reach.   The cannons roar, the earth trembles deep,   Innocence lost where blood rivers seep.   Flames kiss the skies in a crimson glow,   Cities crumble under war’s savage show.   Children weep in silent screams,   Torn from the cradle of fragile dreams.   Ashen winds carry the toll,   Of shattered hearts, broken souls.   The banners wave in a hollow cheer,   As mankind’s heart succumbs to fear.   The fields of valour rot with decay,   Where once stood men, now ghosts in grey.   Humanity’s pulse grows faint and slow,   Under the weight of grief and woe.   Can conquest’s crown, forged in strife,   Resurrect the deadened breath of life?  

The Festival of Joy - Raja Debroy || English poetry || poem || English poem

  The Festival of Joy         Raja Debroy   The air is filled, with vibrant hues, As Durga Puja, our spirits renews, The scent of flowers, and incense sweet, Invites the goddess, to our humble seat. The pandal's grandeur, a work of art, A tribute to Durga, a loving heart, The dhakis' beat, a rhythmic delight, As we dance and sing, through day and night. With every puja, a story unfolds, Of Durga's bravery, and her heart of gold, A symbol of strength, in a world of strife, Durga Puja, a celebration of life.

My dear evening - Anjali Denandee || English poetry || poem || English poem

  My dear evening         Anjali Denandee I am walking on a beach of a sea. I see and see....... Waves touch my feet. .......Wet...Wet....Wet...... Also touch my every knee. I love the sea with my every heart beat. From too far sky which is speechless, Yes, from it's lap, the full moon says, Hey, Dear! Poet! You the sea-lover! Welcome to my rays? Only for you, at whole night I will be sleepless. I say, Yes, I love your cool-light. Say my eyes, Really, this evening is like paradise. The wind blows and blows.... Water flows and flows...... On the endless sky, there stars are bright. They write and write..... The love-letters to the moon-lover. Their relations are forever. My breaths say, Oh! My dear evening! I feel you now. How beautiful you are, how, how, how! You are so romantic. Fantastic.

A nightmare - Bijankumar sengupta || English poetry || poem || English poem

 A nightmare Bijankumar sengupta A pack of wolves was loitering at dead of night,   forest was enjoying night withsound sleep. Everything was going on well at night as forest thought . A wolf or a packof wolves.was lying in wait.to plunder chastity. A grave night came down ;wolf.tore chastity into pieces ,  The knave ,the disdainful wolf murdered thebeautiful flower After plundering chastity. This murderer should be sentencedto Stern punishment. A bell of justice will be ringing ; We pray ,such a nightmare shouldnot comeback anymore.

Journal - Santanu Ghosh || English poetry || poem || English poem

  Journal Santanu Ghosh Rights, Rights, Rights . Give it Back,Give it Back, Give It Back, Humans.... Rights, Rights, Rights ? Snatch, Snatch, Snatch It Is a Fundamental Right To Eat May The Bus Be In His Hell.

Flower - Md Mazharul Abedin || English poetry || poem || English poem

Flower Md Mazharul Abedin Some flowers are symbol of love And endless joy, Some symbolise death scene Coffin's convoy. Some usher hope in us Some despair, Some in a garland make A conjugal pair. Some please gods In time of worship, Some are trodden After a sniff. But all are symbol Of innocence and purity They teach mankind To realize their gravity.

জলাতঙ্ক - সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায় || Jolatanko - Sushil Bandopadhyay || রম্যরচনা || Ramayarochona

জলাতঙ্ক সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায় গ্ৰীষ্মকাল এলেই মনে পড়ে যায় কলতলার ঝগড়া কাকে বলে।এখনকার মানুষ সেই দৃশ্য চিন্তাও করতে পারবে না।বিশ শতকের শেষ দশকে তখনো শহরাঞ্চলেও ঘরে ঘরে জলের সংযোগ ছিলো না,রাস্তার টাইম কলই একমাত্র ভরসা।গ্ৰীষ্ম শুরু হতে না হতেই জলের জন্য হাহাকার।রাস্তার কলগুলো ভোর থেকে কিরকম ফ্যাকাশে মেরে পড়ে থাকতো,যেন কিচ্ছুটি জানে না,অথচ একটু পরে এই নির্জীব বস্তুটিই কিরকম বিপ্লব ঘটাবে।তার উপর একটা কাক বসে আবার 'কা কা' করে যেন তার সাময়িক নিঃস্বতাকেই প্রকাশ করে যাচ্ছে।কলের সামনে নানা রঙের নানা সাইজের জল সংগ্ৰহের পাত্র লাইন দিয়ে নামানো।বালতি,হাড়ি,কলসী,জারিকেন,বোতল,মগ কিছু বাকি নেই।এগুলো সিম্বলিক।কাছাকাছি কোনো মানুষজন নেই, কিন্তু এগুলো তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে।কে কোথা থেকে নজর রাখছে বোঝার উপায় নেই।লাইন একটু এদিক হওয়ার জো নেই,কুরুক্ষেত্র লেগে যাবে।কেউ হয়তো হাঁড়ি কড়াই কিছু খুঁজে পায়নি তো একটা আধেলা ইট দিয়ে রেখেছে, তার আইডিন্টিটি নিয়ে পরে অবশ্যই বচসা হবে।আপাততঃ সবাই ঘরে ঘরে আসন্ন লড়াই এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।মহিলারা ওড়না খুলে নাইটির উপর কোমরে শক্ত করে বেঁধে নিয়েছে,ছেলেরা লুঙ্গি দ

আধুনিক সাহিত্য সভা - অরবিন্দ সরকার || Adhunik Sahitya sobha - Arabinda Sarkar || রম্যরচনা || Ramaya rachana

    আধুনিক সাহিত্য সভা                                   অরবিন্দ সরকার  সেদিন বহরমপুর শহরে,এক পাড়ার মোড়ে মঞ্চ বানিয়ে লেখা বড়ো বড়ো অক্ষরে "আধুনিক সাহিত্য সভা"। মঞ্চে উপবিষ্ট যারা আছেন তারা বেশির ভাগ শহরের কঞ্জুস ঘৃণিত ব্যক্তি। পাড়ার সুদখোর রাধে গোবিন্দ চন্দ্র অনুষ্ঠানের সভাপতি। মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে বিশিষ্ট সমাজসেবী তিনি। ভোম্বল দাস ওই রাস্তায় তার যাতায়াত। পাশের দোকান থেকে এক কাপ চা নিয়ে একটি ফাঁকা চেয়ারে বসে পড়লো। মঞ্চে বসে শহরের টাকা পয়সা ওয়ালা গুণীজন, তাঁদের কপালে তিলক এঁকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হলো। সামনে বসার জন্য মাইকে চিৎকার সত্বেও আনাচে কানাচে লোক দাঁড়িয়ে। চেয়ারগুলো ফাঁকা বেশীরভাগ। পাড়ার কয়েকটি নব্য কবি তারা উপহার পাবার আশায় এখানে হাজির হয়েছে। ভোম্বল দাস সামনে বসে আছে দেখে মাইকে তাকে মঞ্চে আসার জন্য আহ্বান জানানো হলো। ভোম্বল দাস - সবাই যদি মঞ্চে যাই তাহলে দর্শক আসন যে শূন্য। তাছাড়া ওই স্থানে বসার আমি অযোগ্য। মোটকথা আমি সমাজসেবক কিন্তু সুদখোর নই? মানুষকে সাহায্য করি তার বদলে তার কাছ থেকে অনুদান নিই না। কারো উপকার করতে না পারলেও অপকার ব

Life’s syllabus for Alex: in retrospect - Bhaskar Sinha || English story || Short story || English short story

Life’s syllabus for Alex: in retrospect             Bhaskar Sinha Today, I am filled with excitement. My childhood friend is in town. For the past few months, we've been in close contact through social media, and now those warm conversations are finally bearing fruit. Accustomed to traversing the globe, he has a brief window of time to spend in this unremarkable town. I am incredibly fortunate to have many special friends, yet not all of them are equal. Some are indeed more special than others, and Alex definitely falls into this extraordinary category. My childhood narrative would be incomplete without mentioning the significant role of Alex. He was not only a close friend but also a formidable competitor. Whether it was in academics or sports, we were always pushing each other to greater heights. Initially, I assumed that his interests leaned more towards sports than studies, giving myself a false sense of superiority in academics. However, a stark reality check came with the Gra

চোদ্দো শাকের ঔষধিগুণ - কালী শঙ্কর মিত্র || স্বাস্থ্য বিভাগ

  চোদ্দো শাকের ঔষধিগুণ           কালী শঙ্কর মিত্র কার্তিক মাসে অমাবস্যার দিন কালীপুজো হয়। শাস্ত্রমতে কালীপুজোর আগের দিন ভূতচতুর্দশী হিসাবে পালন করা হয়। এই দিন যম-তর্পনও করা হয়। তাই এই দিনটি যম-চতুর্দশী হিসাবে পালিত হয়। আবার এই দিনটি নরক-চতুর্দশী হিসাবেও পালন করা হয়। এই দিনে দেবগৃহাদিতে চতুর্দশ দীপদান করা হয়। শাস্ত্রমতে এই দিনে চোদ্দো শাক খাওয়া হয়। চোদ্দো শাক খেলে যমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এইসব হল শাস্ত্রমত। কিন্তু কার্তিক মাস হল ঋতু পরিবর্তনের সময়। এই সময়ে হেমন্তের হিমেল হাওয়া বয়। তাই সর্দি,কাশি বৃদ্ধি পায়। কার্তিক মাসে বেশি খাওয়া-দাওয়া করলে পেটের অসুখ হয়,বায়ু কফও বৃদ্ধি পায়। তাই,এই সময় চোদ্দো শাক শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী।               এই সময় চোদ্দো শাক নিয়মিত খেলে নানারকম রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে এই চোদ্দো শাক খাওয়া প্রায় উঠেই যেতে বসেছে। তবুও বর্তমানে কিছু মানুষ ভূত-চতুর্দশীর দিনে চোদ্দো শাক খেয়ে থাকেন। তাঁরা চোদ্দো শাক বাজার থেকে কিনে খান। কিন্তু,বাজারে চোদ্দো শাক বলে যা পাওয়া যায় তা আসলে চোদ্দো শাক নয়। চার-পাঁচরকমের শাক মিলিয়ে চোদ্দো শাক তৈরি করে বাজা

আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি - শংকর ব্রহ্ম || Ami kirokom vabe beche achi - Sankar brahama || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article

    আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি         শংকর ব্রহ্ম                   “ আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ এই কী মানুষজন্ম? নাকি শেষ পরোহিত-কঙ্কালের পাশা খেলা! প্রতি সন্ধ্যেবেলা আমার বুকের মধ্যে হাওয়া ঘুরে ওঠে, হৃদয়কে অবহেলা করে রক্ত; আমি মানুষের পায়ের পায়ের কাছে কুকুর হয়ে বসে থাকি-তার ভেতরের কুকুরটাকে দেখবো বলে। আমি আক্রোশে হেসে উঠি না, আমি ছারপোকার পাশে ছারপোকা হয়ে হাঁটি, মশা হয়ে উড়ি একদল মশার সঙ্গে; খাঁটি অন্ধকারে স্ত্রীলোকের খুব মধ্যে ডুব দিয়ে দেখেছি দেশলাই জ্বেলে- (ও-গাঁয়ে আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই!) আমি স্বপ্নের মধ্যে বাবুদের বাড়িরে ছেলে সেজে গেছি রঙ্গালয়ে, পরাগের মতো ফুঁ দিয়ে উড়িয়েছি দৃশ্যলোক ঘামে ছিল না এমন গন্ধক যাতে ক্রোধে জ্বলে উঠতে পার। নিখিলেশ, তুই একে কী বলবি? আমি শোবার ঘরে নিজের দুই হাত পেকেরে বিঁধে দেখতে চেয়েছিলাম যীশুর কষ্ট খুব বেশি ছিল কিনা; আমি ফুলের পাশে ফূল হয়ে ফূটে দেখেছি, তাকে ভালোবাসতে পারি না। আমি ফুলের পাশে ফূল হয়ে ফূটে দেখেছি, তাকে ভালোবাসতে পারি না। আমি কপাল থেকে ঘামের মতন মুছে নিয়েছি পিতামহের নাম, আমি শ্মশানে গিয়ে মরে যাবার বদলে, মাইরি, ঘুমিয়ে পড়েছিলা