Best Sell on Amazon || Best deal on Amazon || Amazon.in
Sell sell sell : Hurry up!
Best Sell on Amazon || Best deal on Amazon || Amazon.in
Sell sell sell : Hurry up!
উচ্চ মাধ্যমিক যোগ্যতায় স্টাফ সিলেকশনের পরীক্ষার মাধ্যমে কেন্দ্র সরকারের কর্মী নিয়োগ:-
স্টাফ সিলেকশন এর কম্বাইন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল এর পরীক্ষার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ হবে। যে সমস্ত পদে কর্মী নিয়োগ হবে সেগুলি হল--ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়ার সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট
প্রভৃতি পদে।
যে কোন শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাস এবং কম্পিউটারের ডাটা এন্ট্রি কাজে অভিজ্ঞ ঘণ্টায় অন্তত 8 হাজার কি ডিপ্রেশনে গতি থাকলে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
উচ্চতর যোগ্যতার প্রার্থীরা ঐ সমস্ত পদে আবেদনের যোগ্য বয়স হতে হবে 18 থেকে 27 বছরের মধ্যে 01.01.2022 এর হিসাবে অর্থাৎ জন্ম তারিখ হতে হবে 02.01. 1995 থেকে01.01.2004 এরমধ্যে।
তপশিলি জাতির প্রার্থীরাপাঁচ বছরের, ওবিসি সম্প্রদায় প্রার্থীরা তিন বছরের, এবং দৈহিক প্রতিবন্ধীরা 10 বছরের আর বিধবা, বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলারা পুনর্বিবাহ না করে থাকলে 8 বছরের এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন সমর কর্মীরা যথারীতি বয়সের ছাড় পাবেন।
মূল বেতন --ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এবং পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের ক্ষেত্রে 25500/=--81100/=টাকা
যে কোন শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাস ছেলেমেয়েরা কম্পিউটারে ইংরেজি টাইপিং এ মিনিটে অন্তত 35 টি শব্দ তোলার গতি থাকলে পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, সর্টিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়ার সেক্রেটারিয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট প
দের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মূল বেতন-19900/= 63200/-টাকা
বয়স হতে হবে 18 থেকে 27 বছরের মধ্যে অর্থাৎ জন্ম তারিখ হতে হবে 02.01.1995 থেকে 01.01.2004 এরমধ্যে।
ওবিসি সম্প্রদায় প্রার্থীরা তিন বছরের, তপশিলি সম্প্রদায় প্রার্থীরা পাঁচ বছরের, দৈহিক প্রতিবন্ধীরা 10 বছরের, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছিন্না মহিলারা পুনর্বিবাহ না করে থাকলে 8 বছরের এবং প্রাক্তন সমর কর্মীরা যথারীতি বয়সের ছাড় পাবেন।
উভয় পদের ক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাই করবে স্টাফ সিলেকশন কমিশন combined higher secondary level examination 2021
দুটি পর্যায়ে পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থী বাছাই করা হবে। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা হবে কম্পিউটার বেসড আর দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা হবে দেস্ক্রিপটিভ টাইপের প্রশ্নের মধ্য দিয়ে।
পরীক্ষা কবে হবে তা অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা হবে রাচি, গ্যাংটক, কলকাতা, শিলিগুড়ি, আসানসোল, জামশেদপুর, বর্ধমান, কটক, দুর্গাপুর, ভুবনেশ্বর, পোর্ট ব্লেয়ার, উড়িষ্যার বেরহামপুর, গুয়াহাটি, শিলচর, ইটানগর, ইম্ফল, আইজল, শিলং, আগরতলা, ডিব্রুগড়, রাউরকেল্লা, কোহিমা, জোরহাট, ঢেঙ্কানল।
mcq টাইপ এর 200 নম্বরের 100 টি প্রশ্ন দেওয়া থাকবে। প্রশ্ন থাকবে ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ জেনারেল ইন্টেলিজেন্স, কোয়ান্টেটিভঅ্যাপটিটিউড, এই সমস্ত বিষয়ের থেকে।
পরীক্ষার সময় 1 ঘন্টা। নেগেটিভ মার্কিং থাকবে
সফল হলে দ্বিতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় 100 নম্বরের এক ঘন্টার পেন পেপার মোডে পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষায় 33% পার্সেন্ট
নম্বর পেলে সফল হবেন।
তারপর স্কিল টেস্ট বা টাইপিং টেস্ট।
পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন ওয়েবসাইটে --www.Ssc.nic.in
দরখাস্ত করার শেষ তারিখ 7 ই মার্চ 2022
আবেদনকারীদের বৈধ একটি মেইল আইডি থাকতে হবে। প্রথমে ওয়েবসাইটে গিয়ে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই নাম রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। তখন ওই রেস্তরেশন নম্বর প্রিন্ট করে রাখবেন। এছাড়াও পাসপোর্ট মাপে রঙিন ফটো (20থেকে 50 কেবির মধ্যে) আর সিগনেচার জেপিজি ফরমেটে ( 4kb থেকে 12 কেবির মধ্যে) স্ক্যান করে নেবেন।
পরীক্ষা ফি বাবদ 100 টাকা নেট ব্যাঙ্কিং বা ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড বা এসবিআই চালানে জমা দিতে পারবেন। তপশিলি জাতি প্রতিবন্ধী মহিলা প্রার্থী ও প্রাক্তন সহকর্মীদের কোন ফি দিতে হবে না।
স্ক্যান করা ফটো সিগনেচার আপলোড করার পর তা সাবমিট করলেই রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ন হবে আর এরপর ওই কনফার্মেশন প্রিন্ট করে রাখবেন। ওই কনফারমেশন ইমেইল করেও পাঠানো হবে। 11 ই মার্চ থেকে 15 ই মার্চের মধ্যে ফর্ম পূরণে কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে সংশোধন করা যাবে।
__________________________________________________
বিজ্ঞাপন-
শুধু তোমার জন্যে
দ্যাখো মরিস তোমার জন্যে আজ আমি না অফিস পালিয়ে এসেছি।বাব্বা, যা কাজ! যেন শেষ হতেই চায়না। সেই সকাল ৯/৩০টায় ঢুকে বসেছি কাজে: একটাও শেষ করতে পারিনি। জল খাবারেরও সময় করতে পারিনি। ভালো লাগেনা রোজ রোজ ঐ ফাইল চেক করা! আরে বাবা যদি ফাইল চেক করতেই হয় তবে কী দরকার ছিল এত লোক রাখার! তারা ভুল করবে আর আমি চেক করবো! কেন রে বাবা! তার ওপর তুমি একলা ঘরে এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে কী করে একলা আছো সেটা ভেবেই দৌড়ে চলে এসেছি। দাও দাও দাও দেখি তোমার ঐ চাঁদপাড়া মুখটা দাও, তোলো । এ্যাই এ্যাই একটা ঠোঁটের ছোঁয়া দাও দেখি। আমার না কী যে ভালো লাগে! কী করে বোঝাই তোমায়। তোমার ঠোঁট দুটো না কী নরম পাতলা! যাই হোক - মোট কথা তুমি আজ আর রান্নাঘরে যাবে না বলে দিলুম এ্যাঁ! সবসময় আমার মুখে মুখ রেখে শুয়ে থাকবে কেমন! আচ্ছা বাবা আচ্ছা - বললো মরিস।
কিন্তু সৌভিক ,তুমি আজ এমন কেন বলোতো। আমি তো তোমারই, শুধু তোমারই।সারাদিন সারারাত শুধু তোমার। তবে আজ হঠাৎ একী হলো তোমার! মরিস বলেই ফেললো শেষমেশ।
দ্যাখো, বাইরে কত মেঘ, কত বৃষ্টি পড়ছে, কত পাখির ওড়াওড়ি। ভিজে যাচ্ছে তাদের ডানা। আর উড়তে পারছে না। তারা এসময় কাকে চাইবে বলো তো--এক্কেবারে আপনজনের সান্নিধ্য তাই না! ! তাইতো আমিও চাইছি ওদের মতোই। তুমি কোথাও যেওনা আজ প্লিজ। ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে একদমে বলে গেল আজকের সৌভিক। গান ধরলো--
ও কোকিলা তোরে শুধাই রে
সবারই তো ঘর রয়েছে
কেন রে তোর বাসা কোথাও নাই রে!?
ও কোকিলা----
থাক্ থাক্ বুঝতে পেরেছি।আর গাইতে হবেনা।লায়লা আজ বোধহয় আসেনি অফিসে এই বৃষ্টির মধ্যে!? তাই এতো.... না হলে যে একদিন বলতো-- ও পাড়ার বিশুটা না বড্ড বেশি বৌয়ের পিছনে নড়বড় করে- সেই সৌভিক! যে বলতো বোয়েরা বাড়ির ভেতরে থাকবে আর পুরুষরা টাকা রোজগারের আশায় প্রাণ ঢালা খাটবে- সেই সৌভিক।
মরিস তাই অবাক আজকের সৌভিককে দেখে।
আচ্ছা লায়লা কে ডাকলে হয় না- মরিস বললো!
সে কি গো! সৌভিক বললো যদি বস জানতে পারে না তাহলে রোগ রোগী দুটোই যাবে!
মানে? - জিজ্ঞাসু চোখে মরিস বলে।
সৌভিক-- লায়লা যাবে, চাকরি টাও যাবে!
কেননা, লায়লা শুনেছি বসের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়া। তাই সে কি চাইবে আমার মতো ছেলের সাথে----
সৌভিক একদমে বলে কেমন যেন হয়ে গেল হঠাৎ। অথচ লায়লা এখন আফোঁটা কুঁড়ি। তার স্তন নিতম্ব বড়ই লোভনীয়। এখনও রঙ ধরেনি তাতে। আর বৃষ্টিতে ভিজে তার টপের ওপর অংশটা সামান্য ভিজে আজকে যা দেখাচ্ছে তা কোনও পুরুষের কাছেই বোধহয় চোখ থেকে সরতে চাইবে না। সৌভিক ও পারেনি।কিন্তু সৌভিক তার নরম বৌয়ের পিছনে" আর কেউ আসুক " সেটাও যে চায়না। যদিও আজ ভ্যালেনটাইন ডে বলেই নাকি লায়লা সৌভিককে একটা গোলাপ ফুলের 'তোড়া' উপহার দিয়েছে। ।
মরিস শুনেই তো অবাক! কৈ সেটা কৈ গো! দেখাও না। প্লিজ্।
সৌভিক-- অফিস ব্যাগের ভেতরে আছে। অনেক যত্নে তোমার জন্যে এনেছি; তোমাকে দেব বলে।
মরিস- বারে, অপরের দেয়া জিনিস আমি নেব কেন! একটু ধরা গলায় বললো-- মরিস।
তবে লায়লা যখন দিয়েছে দেখতে হবেই আমায়। এই বলে ছুটে অফিসের ব্যাগটা খুলেই মরিস বললো-- এতে তো আবার কী সব লেখা দেখছি। কী বলোনা গো।
লায়লা বুঝি দিয়েছে তোমায়!
সৌভিক হতবাক। মনে মনে বললো লায়লা আবার এসব কখন দিলো!
সে তো জানতে পারেনি। লায়লার কি তবে মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে! নাকি লুকিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়েছে কখন !
মরিস বললো-- ও, আজ তাকে কাছে না পেয়েই বুঝি আমার কাছে এসেছো ! তা যদি তাকে এতই ভালোবাসো তবে তাকেই তো ঘরে ডেকে নিয়ে আসতে পারতে। আমি তো পুরোনো হয়ে গেছি তোমার কাছে। মরিসের স্টাটেসটিক্সটা তো তোমার কাছেই শুনেছি খুব বেশি মোহনীয়। যেমন চেহারা তেমন মুখের আদল আর চোখদুটো যেন রাতের শুকতারা। গালে দুটো ডিম্পল। কাছে এলেই শরীরের মধ্যে শিহরণ লাগে। আর তুমি , বা তোমার মতো ছেলেরা তো সবসময় নতুনভাবে নতুন কেই কাছে ডাকতে ভালোবাসো তাই না।
তাদের বৌ তো পুরোনো হয়ে যায় । তাই তারা, নতুনকে চায় সবসময়। তাদের ভালোবাসা মানে তো ঐ মুসলমানদের মুরগি পোষার মতোই ! মরিস রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে কেঁদে কেঁদে বলেই ফেললো একটা সময়। বুকের মাঝে দুটো বিল্বফলের অংশটা তখন তার হাওয়ায় দুলে দুলে মনে হচ্ছে কিছু বলতে চায় সৌভিককে।
কাগজ খুলে মরিস দেখে-- "ভিকি' বলে অনেক লেখা। কে গো! এই ভিকি আবার কে! মেয়েটা কিন্তু সুবিধের নয় বুঝলে। তলে তলে আরও ছেলে জুটিয়েছে। সাবধানে থেকো বাপু। যাই ,বাবা মায়ের জন্যে কিছু খাবার দিয়ে আসি বরং। ওনাদের অনেকক্ষণ কিছু খাওয়া হয়নি। তারপর তোমার সাথে --- সারাক্ষণ....
আমি কিন্তু নোংরা কাপড় পরে থাকতে পারবো না এই বলে দিলুম হ্যাঁ।। তাছাড়া তুমি "ওটা" আননি তো! রোজ ভুলে যাচ্ছো! আমি এত তাড়াতাড়ি সন্তান চাই না বুঝলে! শরীরের সৌন্দর্য এত শীগগির নষ্ট হোক আমি চাই না।। যাও ভিজে ভিজেই নিয়ে এসো --যাও। যেমন কর্ম তেমন ফল ভোগো। যাও। কবে থেকে বলছি-- কানেই নিচ্ছো না কথাটা।
সৌভিক কোন্ উত্তরটা আগে দেবে বুঝতে না পেরে বললো ডার্লিং, ভিকি আমারই নাম। অফিসে লায়লা ঐ নামেই ডাকে আমায়। এই বলে একপ্রকার ছুটেই রাস্তায় বেরিয়ে আনতে ছুটলো ()জিনিস টা(!)! আমি ও তো তাকে ডাকি চুটকি বলে। কেউ রাগ করেনি তো!
হায়রে কী দুর্দান্ত শাস্তি রে বাবা। এমন মেয়ে ছেলের পাল্লায় পড়ে আজ একী দুর্দশা আমার। চুটকি হয়তো এসব করতোই না-- সৌভিক ভেবেই চলে।
বৃষ্টির বেগ কমেনি তখনও কিন্তু সৌভিকের 'ইচ্ছাটা' আর তেমন জোরালো নয় আগের মতো।
মেয়েদের বুক আর নিম্নাঙ্গ দুটোই বড়ো কাজের। কিন্তু ছেলেদের! ----
ধুর আর ভাল্লাগছে না। তার চেয়ে চুটকির পাশে পাশে গায়ে গা ঠেকিয়ে বসি বরং। এই বৃষ্টির মধ্যে না পাবার ইচ্ছাটা তখন জমে ক্ষীর হয়ে যেত । বরং সেটাই ভালো ছিল। আর লায়লা কত কিছু শোনাতো, কোথাও বেড়াতে নিয়েও যেতো হয়তো। মরিসের কাছে ফিরতে দেরি হলে কোনও বাহানায় নাহয় এড়িয়ে যেতাম। । আরে বাবা, প্রেমে পড়লে একটু আধটু এরকম মিথ্যে তো বলতে হয়ই। তাছাড়া ও ভীষণ জমা টি। অন্ততঃ মরিসের মতো তো নয়। এখনও ওর দিকে তাকালে শরীরের সবটুকু দেখার জন্যে মনটা বড়ই উসখুস করে। যাই অফিসে ফিরে যাই। কেউ জিগ্যেস করলে যা হোক কিছু বলে এড়িয়ে যাব নাহয়।
মরিসের কাছে আজ আর পাবোনা। পেলেও সুখ হবে না ততটা। যাই অফিসে ফিরে। সৌভিক এরকম নানান চিন্তায় কী করবে ঠিক করতে পারছে না। যাঃ বাব্বা, হিত করতে বিপরীত! কোথায় একটু বেশি করে পাব তা নয় শুধু ফরমাস।
ঐ চুটকিই বরঞ্চ ভালো। অফিসে বসে যেটুকু পাই সেটাই অনেক।। কিন্তু আমাকে এতক্ষণ না দেখে ও আবার বাড়ি চলে যায়নি তো আজ! যাই দেখি।
সৌভিক অফিসের ব্যাগ ছাড়াই চললো লায়লার সান্নিধ্যে। ঘরে মরিস তখনও সময় গুনছে। আহা বেচারা!
আচ্ছা চুটকিকে আগে একটা ফোন করলে হয় না-- সৌভিক ভাবে। কিন্তু মোবাইলটা তো বাড়িতে ব্যাগের মধ্যে রয়ে গেছে। কী করবে ভাবছে সৌভিক। ফোন নম্বরটাও মুখস্থ নেই। কাউকে যে অনুরোধ করবে তারও উপায় নেই। দেখাই যাক অফিসে গিয়ে। লায়লা হয়তো আমাকেই খুঁজছে এতক্ষণে। যদি ফোন করে! নাঃ। আর ভাবতে পারছি না। অফিসে গিয়েই দেখি। সৌভিক চললো একটা 'ওলা' ডেকে অফিসে। ঘরে মরিস একা একা তখন কাঁদছে।
হায়রে বিধি!
বিধি রে তোর লীলা বোঝা দায়!
যে উড়ে যায় তারে বাঁধিস খাঁচায়!!
পটলার কবিতা চর্চা
পটলা বেশ কিছুদিন ধরে কাজে বেরোচ্ছে না। আগে সকাল সকাল অটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ত। এখন একদম ওর অটো রাস্তাতে দেখা যায় না। পটলার হলটা কি? সৃজাও বেশ কিছুদিন ধরে দেখছে পটা কাকুকে অটো নিয়ে চৌরাস্তার মোরে কম দাঁড়াতে দেখা যায়। একদিন রাস্তাতে দেখা হতেই সৃজা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়,"কি ব্যাপার বলত তোমার, অটো নিয়ে আজকাল আর রাস্তা ঘাটে দেখি না তোমাকে?"
"না না তেমন কিছু নয়।কদিন একটু....."
"কদিন কি? শরীর খারাপ?
"না রে। আসলে একটু অন্য কাজে সময় কাটাচ্ছি। তাই আমাকে এই কদিন দেখতে পাসনি।"
"বিষয়টা ঠিক পরিষ্কার হল না।"
"পরে ঠিক বলব।"
সৃজা কনভেন্ট স্কুলের বারো ক্লাসের ছাত্রী। ভীষণ স্মার্ট আর বুদ্ধিমতী। পটলার অটোতে যাতায়াত করে। পটলার সাথে ভীষণ সখ্যতা। পটলার সব খবরাখবর রাখে। এমনকি পটলার নতুন বান্ধবী হলেও অজানা থাকে না।
দুদিন পরেই সৃজা রহস্যের সমাধান করল। পটাকাকুকে দেখল পার্কে অটো চালিয়ে এক বৌদিকে নিয়ে ঢুকছে। বৌদি দুদিন হল পটলার পাড়াতে ভাড়া এসেছে। দেখতে ভীষণ সুন্দরী। কবিতা লিখতেও যেমন পারেন। তেমনি ভাল আবৃত্তির গলা। বৌদির কাছে আধুনিক কবির কবিতার বইয়ের ভাল কালেকশান আছে।
একদিন সৃজা পটলার অটোতে দু একটা ঐ রকম বই দেখে চমকে ওঠে। অনেক জোরাজুরির পর পটলা ওকে জানায় যে ঐ বৌদি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ভাল আবৃত্তিও করেন। পটলা নিজে আগ বাড়িয়ে বলতে গেছে যে সে একটু আধটু কবিতার চর্চা করে। একটা সময় ভাল আবৃত্তিও নাকি করতে পারত। এখন কাজের মধ্যে ঢুকে আর তেমন সময় দিতে পারেনা। তবে চর্চাটা বজায় আছে। আর তাতেই বৌদি বেশ গদগদ।
সব শুনে সৃজার মাথা গেছে ঘুরে। এমনিতেই পটলার লোক হাসানোতে জুরি নেই। একবার সখ করে নাটক করতে গিয়ে কেলোর কীর্তি করে বসে। আর একবার কোন এক পার্টির জনসভা হচ্ছিল। জোর করে ওকে মঞ্চে তুলে দেয়। সবাইকে বলে বেড়িয়েছে ও না কি ভাল বক্তৃতা দিতে পারে। তা সে পার্টির মিটিং হলে তো কোন কথায় নেই। সেখানে মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠেই আর এক কাণ্ড! এমন ভাঁট বকেছে যে মার খায়নি এই যা ভাগ্য ভাল।
যাই হোক আন্তর্জাতিক কবিতা দিবসে পটলার আবৃত্তি শোনার জন্যে ভিড় উপচে পড়েছে। ক্লাবের মাঠে। ঐ বৌদিও ভাল তালিম দিয়েছে। যাতে পটলা সাবলীল ছন্দে স্টেজে উঠেই বাজিমাত করতে পারে। তার আগে বেশ কিছু মহড়াও হয়ে গেছে। তাতে পটলা ভালই পারফরম্যান্স করেছে। যদিও বৌদি ভীষণ টেন্সড্। উনি সব বিষয়ে একটু খুঁতখুঁতে। পটলা পাঞ্জাবী পরে মঞ্চে উঠতেই হাত তালির ঝড়। বয়ে গেল।
এত লোকের সামনে পটলা এই প্রথম স্টেজে উঠছে। ওর বুকের ভিতর ছোট্ট "ভিসুভিয়াস"টা মনে হচ্ছে যেন দপদপ করছে। একটু নার্ভাস মনে হল ওকে। চোখে একটা চশমাও লাগিয়েছে। চশমাটা একটু তুলল। তারপর কপালের ঘামটা মুছে, মঞ্চে উপবিষ্ট গুণীজনদের প্রণাম ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে নিজের পরিচয় পর্বটা সারল।
কথা শেষ হতেই আবার হাততালির সুনামী আছড়ে পড়ল। পটলা খুশীতে ডগমগ করছে। জীবনে ওকে নিয়ে এত আবেগের ঝলকানি ও আগে কখনো দেখেনি। তাই....
পটলা অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের একটি বিখ্যাত কবিতা চয়ন করেছে পাঠ করবে বলে। প্রথমে ঠিক ছিল "ঘুষ" কবিতাটি পাঠ করবে। পরে ঐ বৌদিই ওটা বাদ দিয়ে অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্তের কবিতাটি বলার জন্যে ওকে অনুরোধ করে। পটলা বেজাই খুশী। পটলার এত ট্যালেন্ট আছে লোকে জানত না।
একবার দম নিয়েই পটলা বলতে শুরু করল। মাঝে দু একবার থেমেও গিয়েছিল। তারপর আবার সেই চেনা কণ্ঠস্বর মাইক্রোফোনে ঝলসে উঠল। সবাই বলছে পটলা ফাটিয়ে দিয়েছে। এতে ওর ঘ্যাম আরো বেড়ে গেছে। তবে আবৃত্তির মঞ্চে হাসির রোল উঠল। হাততালি প্রথম দিকে হলেও পরে তা থিতিয়ে পড়ে।
পটলা কিন্তু ঠিক আবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে। গলার উচ্চারণটা বেশ স্পষ্ট। মাঝে মাঝে দর্শক আসন থেকে চিৎকার ভেসে আসছে।
"সাবাস পটলা! সাবাস!"
........... ......... ...........
"জিও কাকা! চালিয়ে যাও....।
"........ ফাটিয়ে দিয়েছ গুরু....."
কেউ কেউ আবার একটু অন্য ঢঙে, রঙ চড়িয়ে বলতে শুরু করল......
"জয়! পটলা বাবাজীবনের জয়!
"জয় বাবা পটলকুমার! জয়......"
পটলা কিন্তু বিষয়টা স্পোর্টিংলি নিচ্ছে। ও নিজেই জানে না কি হতে চলেছে। ও বেশ অনুপ্রাণিত হয়েছে দর্শকের উচ্ছ্বাসে। একটা কবিতা আবৃত্তি করার পর আর একটা কবিতা পাঠ করবার জন্যে প্রস্তুতি নিল। সবাই তাতে আরো উল্লাসে ফেটে পড়েছে। পটলা বার বার বিজ্ঞের মতন চশমাটা তুলছে আর কাচটা মুছছে।
এদিকে ঐ বৌদির আর দেখা নেই। পটলার আবৃত্তির শুরুর দিকে কিছুটা সময় থাকলেও পরে উনাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। উনি মোবাইলে প্রথম কিছু সময় ক্যামেরা বন্দি, ভিডিও রেকর্ডিং করার পর আর উনাকে অনুষ্ঠান চত্বরে দেখা যায়নি। পটলাও অনুষ্ঠান শেষে দেখা করার জন্যে ছুটে গেলেও দেখা পায়নি।
স্টেজ থেকে নামার পর পটলা দেখল অনুষ্ঠান কমিটির অনেকের মুখ বেশ থমথমে। ও নিজেই জানে না কি ঘটতে চলেছে। অথচ স্টেজে যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ তো ঠিকই ছিল। কেউই আর ওর সাথে তেমন কথা বলছে না।পটলা ভাবছে আবৃত্তির পর তার হয়ত পার্সোনালিটি অনেকটাই বেড়ে গেছে।তাই হয়ত কেউ চট করে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
একটু রাত করে বাড়ি ফিরল পটলা। দেখে পাড়াতে অনেকেই ওকে দেখে মুখ টিপে হাসছে। পটলাও একগাল হাসি উপহার দিল।
.......... ......... ...........
দু সপ্তাহ অতিক্রান্ত। পটলা এখন বাড়ি থেকে কম বেরোচ্ছে। অটো নিয়েও বেশী রাউণ্ড দিচ্ছে না। সৃজাও পটাকাকুকে কম দেখতে পাচ্ছে রাস্তা ঘাটে। পটলার হোলো টা কি? তাহলে কি সৃজা যা ভাবছে সেটাই ঠিক।
তবে ঐ বৌদিকে টানা দুই সপ্তাহ দেখা যায়নি। উনি ঘর থেকেই বেরোন নি। শরীর খারাপ হয়নি উনার। আসলে মন ভাল নেই। কোন কারণেই হোক......।
আসল সত্যটা সৃজা জানল অনেক পরে। জানার পর থেকেই সৃজার হাসি আর থামছে না।এতবড় একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে পটলা যে এইভাবে কিস্তিমাত করবে কে জানত? তবে সবাই একবাক্যে বলছে, পটলার দম আছে।
পটলার কবিতার আবৃত্তির মোবাইলে তোলা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।আর পটলা তাতেই রীতি মত ফেমাস। সেইজন্যেই ও ঘর থেকে বেরোতে চাইছে না। এটা ঠিক পটলা পার্সোনালিটি মেনটেন করতে জানে।
ঐ দিন আবৃত্তি করতে গিয়ে জগা খিচুড়ি করেছে। প্রথমে ঠিকই ছিল শুরুতে। পরে অচিন্ত্য সেনগুপ্তের কবিতার মধ্যে জীবনানন্দের "বনলতা সেন" বেলাইন হয়ে ঢুকে পড়েছে। মাঝে আবার জয় গোস্বামীর "নুন" কবিতার দু একলাইনও নিজের অজান্তেই বলে ফেলেছে। জীবনানন্দ দাশ নোবেল পেয়েছেন সেটা কবিতা পাঠের শুরুতে বলতেও ভোলেনি। আর তখনই হাততালির দাপট আরো বেড়ে যায়। ঐ হাততালির শব্দ যে ওকে বিদ্রূপ করা হচ্ছে সেটা পটলা ধরতে পারেনি।
যাইহোক পাড়াতে এখন ওর কদর বেড়েছে। ও এখন কবিতা লিখতেও শুরু করেছে। তারজন্যে আজকাল বেশ পড়াশোনাও করছে বলে মনে হল। সপ্তাহন্তে কলেজ স্ট্রীটের ধ্যানবিন্দুতে একবার করে যায়। আর সেখান নামী, গুণী লোকেদের সাথে আড্ডা জমায়। নিজেকে সমৃদ্ধ করে।
ভাল প্রকাশনীর খোঁজে আছে ও।বইমেলাতে নিজের একক বই, একটা সংকলন প্রকাশের বহুদিনের ইচ্ছে মনের মধ্যে সুপ্ত ছিল।
আজ তা মনে হচ্ছে ডাল পালা ছড়িয়ে বাস্তবের আলো দেখতে চলেছে।
বন্ধু
রীতার মেয়ে তানিয়া বিয়ে করে বিদেশ চলে গেল, রীতার স্বামীও গত হয়েছেন বছর দুই হল। রীতার ছেলে তো বউ নিয়ে কলকাতায় আলাদা ফ্ল্যাটে থাকে। মেয়েটাই ছিল রীতার একমাত্র সঙ্গী। মেয়ের অভাবে রীতার বুকটা ব্যথায় টনটন করে। একাকীত্বের বোঝায় ক্লান্ত তানিয়ার চোখের জল বাধা মানে না।
তানিয়ার বিয়ের পাহাড়-প্রমাণ উপহার-সামগ্রী গোছানোর শেষে রীতা দেখে মাত্র পাঁচটা বই তানিয়া উপহার পেয়েছে, অথচ রীতা তার বিয়েতে পেয়েছিল বাষট্টিটা বই। রীতা বই পড়তে ভীষণ ভালোবাসতো বলে রীতার মা বইগুলো রীতাকে দিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সব বই তখন পড়া হয়ে ওঠে নি।
সংসারের সব কাজকর্ম, দুই ছেলেমেয়েকে ভালোভাবে মানুষ আর স্বামীর ফাইফরমাস খাটতে খাটতে বই পড়ার অভ্যেসটাতে রীতার ভাটা পড়তে পড়তে ক্রমশ শূণ্যে মিলিয়ে গিয়েছিল।
একাকিত্বের গ্লানি মুছতে রীতা আঁকড়ে ধরল আলমারিতে সযত্নে রাখা তার সেই বিয়েতে পাওয়া বইগুলোকে। বইগুলো পড়তে পড়তে রীতার বুকের ফাঁকাটা কখন যে ভরাট হয়ে যায় রীতা বুঝতেই পারে না। চুঁচুড়ায় রীতার বাড়ি থেকে জেলার গ্রন্হাগারটা খুব দূরে নয়। একদিন গিয়ে রীতা সদস্য হয়ে এল। প্রায়ই সে গ্রন্থাগার থেকে নানান বই নিয়ে এসে পড়তে থাকে। রীতা মনে মনে বলে, "বই, তোমার মত বন্ধু আর পৃথিবীতে কেউ নেই। এত কষ্ট করে ছেলেমেয়ে মানুষ করলাম, কিন্তু কেউই তো আর সেরকম খোঁজখবর নেয় না। বই, আমার সই, তোমার জন্যে আমি সব দুঃখ ভুলে নতুন আলোয় বাঁচার দিশা পেলাম।"
বি. এ. পড়তে পড়তে রীতার বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের পর অসুস্হ শাশুড়ির সেবা করতে গিয়ে আর পরীক্ষাটা দেওয়া হয় নি। রীতা মনস্থ করল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে সে গ্র্যাজুয়েশনটা করে নেবে। চুঁচুড়ার একটি কলেজের বিশেষ বৈকালিক বিভাগে ভর্তি হয়ে শনি আর রবিবার ক্লাশ করতে যেতে শুরু করল। তাদেরই প্রতিবেশী তানিয়ার বন্ধু পর্ণা, রীতাকে এ ব্যাপারে অনেক খোঁজখবর এনে দিয়েছিল আর সহযোগিতাও করেছিল। অভাবী ঘরের মেয়ে পর্ণাকে পড়া ছেড়ে একটা চাকরিতে যোগ দিতে হয়েছিল বলে সে ওপেন থেকে গ্র্যাজুয়েশনটা করে নিচ্ছিল। রীতা পর্ণাকে গরীব বলে কখনও দূরে সরিয়ে রাখে নি বা তানিয়ার সঙ্গে মিশতেও বাধা দেয় নি, উপরন্তু যতটা পেরেছে রীতা মেধাবী পর্ণাকে সাহায্যই করে এসেছে এতকাল। সেই উপকারের প্রতিদান দেবার একটু সুযোগকে পর্ণা হাতছাড়া করলো না। জীবনের পড়ন্ত বেলায় রীতার এতটা উৎসাহ দেখে পর্ণা অবাকও হয়ে যায়! কিন্তু ছেলে সুজয় ভাবল তার মায়ের বোধহয় বুড়ো বয়সে ভীমরতি হল, তানিয়া অবশ্য খুবই মাকে অনুপ্রেরণা দিল বিদেশ থেকে।
অবশেষে বাষট্টি বছর বয়সে রীতা যখন বি এ পাশ করল প্রতিবেশীরা সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল। রীতার সাফল্যের আনন্দে পর্ণাই মিষ্টিমুখ করালো সবাইকে রীতার দেওয়া সুন্দর দামী শাড়িটা পরে।
প্রপোজ
বছর কুড়ির মেয়েটি তার বান্ধবীকে মোবাইলে বলতে বলতে যাচ্ছিল, এত বড় হয়ে গেলাম... আমাকে একটা ছেলেও এখন পর্যন্ত প্রপোজ করল না। ভেবে দ্যাখ... আমি কি এতটাই কুৎসিত?
এই কথা শুনতে পেয়ে বছর চল্লিশের লোকটা ভাবল, এই তো সুযোগ। মেয়েটার কাছে গিয়ে বলল, আই লাভ ইউ।
সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি বলল, এটা কি ধরনের অসভ্যতামি?
লোকটি বলল, অসভ্যতামি মানে? তুমিই তো ফোনে কাকে যেন বলছিলে, এখনও পর্যন্ত তোমাকে নাকি কোনও ছেলে প্রপোজ করেনি। তাই আমি করলাম।
মেয়েটি বলল, আমি ছেলে বলেছি। কাকু বলিনি।
BLIND DATE
Love, being one of the finest emotions in the world is manifested through some modern concepts of date, courtship, engagement and often a blind date. In fact we, all are pretty aware of the first three expressions, but the last one carries a special ripple of interest and curiosity as well! " Blind date", the term itself evokes a question:' How can a date be blind?' No, actually here there is nothing to do with the blindness, but yes the date matters to the young hearts which often skip a beat at the sight of the opposite gender! Actually a blind date is being arranged by someone between a boy and a girl, without any prior planning or arrangement as such. Simply the two hearts meet at an affordable zone, accompanied by light humour, soft teasing and a few snacks to tease the taste buds. Blind dates are very interesting by nature. One doesn't know the other, yet the madness rules the heart to meet that person and often with the hope of blossoming this first date and eventually, if possible into a steady current of relationship! Moreover at this very hour, blind date has become very popular among the youngsters and this very factor has encouraged even the media to give it a hype! I simply don't know how long this concept will survive? The reason is obvious. It is not easy to love anyone, to sacrifice everything at the altar of love. Thus mere gratification of the visual lust turns out to be a pointless exercise in the long run!! Any explanation?
When Death Comes
When there is no any hope for life,
Death comes in that time.
When greed to live is vanished,
Death comes in that moment.
Death is of two kinds: physical and mental.
সারাদিনে একটু কিছু খুঁটে খেতে পেলেই হল
আমার শরীরে রয়েছে কবেকার পুরনো জামা
হাজার সেলাই মারা
আমাকে দেখলেই চিনে নেয় রাস্তার পাগলেরা
আমি যে তাদেরই দলের একজন লোক
কোনদিন দেখেছ কোন পাগলের গায়ে নতুন পোশাক, চকচকে কোন জিনিস
আসলে পাগলদের কোন শখ থাকেনা
সারাদিনে একটু কিছু খুঁটে খেতে পেলেই হল...
এ যুগের একলব্য
ত্রিনয়ন নাইবা থাকলো কপালের মধ্যখানে
তাতে কিবা যায় আসে শুভক্ষণ কখনো দাঁড়াবে না হেসে জানি বলেই অলক্ষ্মীর ছায়া তলে রাখি উজ্জ্বল উপস্থিতি।
শুনো কৃষ্ণ কান খুলে শোনো
ধনাচার্যের ষড়যন্ত্রে কাটব না কিছুতেই কাটব না বৃদ্ধাঞ্জুলি
আমি এ যুগের একলব্য
সম্মুখে সমরে দেখিয়ে দেব
আমি অর্জুনের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর।
জীবনের রূপ
এ জীবন নাট্যশালা
আমরা তার কুশীলব ।
ঘাত-প্রতিঘাতে ভেঙে যায় মঞ্চ
সাক্ষী মহাকাল ।
আঘাতের ওপর আঘাত সয়েছে
যে বুর্জোয়া জাতি
আজ তারা ইতিহাসের অধ্যায় :
সারাজীবনই আসে আঘাত
আসে বেদনা... নিষ্ঠুর হয়ে ।
যে নক্ষত্ৰটি কয়েক যোজন দূরে রয়েছে
সেও নক্ষত্ৰ----
মনে হয় ভেসে আসা বিন্দু
মনে হয় হারিয়ে যাওয়া বিন্দু ।
কিছু যায় হারিয়ে....
কিছু পাওয়ার জন্য ।
মন গোঁসাই
মন গোঁসাই তরে বসে রই পথ চেয়ে
কাল গণি আর এগোই শুধু দাঁড় টেনে
অকুল দরিয়ায় নাই যে তীরের খোঁজ
মিছে আশায় সাজি রোজ রোজ
জড়িয়ে পথ ছড়িয়ে রয়েছে মধুর মায়া
নত হয়ে তাই তো রই ধুলার পথতলে
এ হৃদয় ভরাও জুড়াও ওগো দখিন হাওয়া
আগুন পলাশ হৃদয় পোড়ায় ফাগুন মাসে ।
প্রকৃতির জুড়ে রয়েছে নরম জোছনা
আজীবনের স্বপ্ন ছুড়ে দিলাম তোমার বিছানা
জাগবো সবুজ মোড়া হৃদয় অঙ্গনাতে
আসবে নতুন জোছনা চন্দন সুবাসেতে
মন গোঁসাই আবার ফিরবে কিগো
সবুজ ঘেরা আমার ভাঙা আবাস জুড়ে ।
সুরের জলসা ঘর
সকাল থেকেই অবসাদ মন
সুরের আকাশে ইন্দ্র পতন
লতা থেকে সন্ধ্যা
সুরের জগত বন্ধা।
সুরের জগতের যাদুকর
নিজেই তিনি রত্ন আকর
অমৃত ধামে বসেছে আসর
ত্রয়ী দের নিয়ে জলসা ঘর।
ঝড়ের কাছে রেখেছিলাম হৃদয়টারে
ঝড়ের কাছে রেখেছিলাম হৃদয়টারে!
কি পাপ করেছি মোরে।
বেগবতী বাতাস তারে,
দিল চুরমার করে।
রঞ্জিনী হলাম কোথায়,
বাজে কানে কিঙ্কিণী শব্দ যে।
রেখেছিলাম পিঞ্জরে,
তার হৃদয় টারে।
হয়তো পারিনি সুরভী দিতে ,
উপনীত হতে ।
এখনও রাতের আকাশ ভাবে ,
কখন ভোর হবে।
তবু তো স্বপ্ন দেখে,
এখনো বারে বারে।
ঊষার পাখি ডেকে বলে যাবে।
নিঝুম রাতের গভীর তন্দ্রা।
কেন স্বপ্ন ও ভাঙবে এবার।
বৃদ্ধ ইজিচেয়ার
দেওয়ালের পলেস্তরা খসে পড়ছে
সেখানে আঁকা হচ্ছে টিকটিকির রমনের
ছায়া চিত্র এক বাধ্য ধারাবাহিকতায়
আমার চিলে কোঠা থেকে উড়ে যাচ্ছে পথহারা চিলের কান্না ধূসর রঙ মেখে
আমি কী খুঁজছি না জেনেই ছিপ ফেলছি
বারবার যদি ধরা দেয় সুখ
বৃদ্ধ ইজিচেয়ার বসে আছে শূন্যতায় চোখ রেখে নতুন কেউ এহে বসার অপেক্ষায় দহন মেনে নিয়ে
পরস্পর
দূরের মানুষটার কোনও সুখবর পাই নি বহুকাল হল
খবর নিয়ে আসেনি ডাক পিওন,
শুকনো মুখে টেবিল ঘিরে বসে আছে ঘরের মানুষ
দূরের মানুষটা হয়তো হাঘরের মতন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, একটা চিঠি পাওয়ার আশায়
বহুকাল আমার উঠোনের বকুলের ডালে রোমাঞ্চ নেই, অনেক দিন দাওয়াত শুয়ে থাকা বেড়াল ঘর ছাড়া, কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন বছরের পর বছর
কেটে যাচ্ছে বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে
তেতে উঠেছে গরমে শরীর, আবার কুঁকড়ে যাচ্ছে ঠান্ডায়, এই ভাবে বদলে যাচ্ছে সময়
হয়তো ভালো আছে দূরের মানুষ
যেমন এখানে ভালো আছি আমি
ভালো আছে আমার ঘরের মানুষ।
ভালোবাসার একটি গোলাপ
তোমার আমার ভালোবাসার একটি গোলাপ
দাম যদিও হোক না মাত্র কুড়ি।
ক্ষতি নেই আমার তাতে।
তোমার আমার ভালোবাসার একটি গোলাপ
কুড়ি লক্ষ লাল গোলাপের থেকেও হয়
যেন চিররঙীন চির উজ্জল।
গোলাপের একটি পাপড়ি হয় যেন আমাদের
এই ভালোবাসার চিরসঙ্গী।
গোলাপের এক - একটি পাতাতে লেখা থাকুক
তোমার আমার ভালোবাসার সূত্রগুলি।
ভালোবাসার ওই সূত্রতে থাকবে না কোন বিয়োগ
থাকবে না কোন ভাগ।
থাকবে শুধু ভালোবাসার নিবিড় যোগাযোগ ।
গোলাপের প্রতিটি শিরায় শিরায় থাকবে
শুধু ভালোবাসা অনেক চিহ্ন।
প্রতিটি চিহ্ন দেবে তোমার আমার ভালোবাসার প্রমাণ
তোমার আমার ভালোবাসার একটি গোলাপ
কোন দিন হবে না গো পুরোন।
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত হবে গো
তোমার আমার ভালোবাসার মতো হবে চির নতুন।
এগিয়ে যেতে হবে
এলোমেলো পথ , আঁকাবাঁকা জ্যামিতি
কখনো চড়াই বা কখনো উতড়াই -
তবু এগিয়ে যেতে হবে
মুঠোয় নিয়ে প্রাণ , বিপদের ঝুঁকি
সামনে আরো সামনের দিকে ক্রমাগত।
আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা
ঝড় আসছে ; উত্তাল নদী , সমুদ্র
মাঝে মাঝে অশনি সংকেত
পদে পদে মৃত্যুভয় , বাড়ছে শঙ্কা
জানি এ পথ বড় কঠিন , দুর্গম!
তবু আমাদের এগিয়ে চলতে হবে
জোরে , আরো জোরে সামনের দিকে।
বন্ধুর এ পথে পিছনে তাকানো যাবে না -
পিছন ফেরা মানেই পরাজয় নিশ্চয়।
রুগ্ন শরীরে , পেটে বুরুণ্ডির ক্ষুধা -
হৃদয়ের ভিসুভিয়াস জ্বলছে দপ দপ করে।
বিপ্লবের আঁচ পড়ছে ছড়িয়ে চোখে মুখে
মুঠোয় ভরে প্রাণ ছুটতে হবে দুর্নিবার গতিতে
তবেই আসবে জয়, ফুটবে শুকনো মুখে হাসি।
আসবে রক্তিম ভোর , উড়বে বিজয় কেতন।
রক্ত দিয়ে বাঁধা রাখী
বাংলা ভাষার গর্বের দিন একুশে ফেব্রুয়ারী।
আর যা কিছু ভুলিনা কেন তাকে কি ভুলতে পারি?
মাতৃভাষার স্বীকৃতিতে সেদিন মানুষজন
ঢাকা শহরটাকে গড়ে তুলল রণাঙ্গন।
অত্যাচারী পাকিস্তানী শাষক-পুলিশ মিলে
তরতাজা পাঁচ ছেলের রক্তে গঙ্গা বইয়ে দিলে।
বরকত,জব্বার,রফিক,সালাম,সফিউর তাদের নাম।
শহীদ হয়েই বোঝাল তারা বাংলার কী সম্মান।
ভাষাযুদ্ধে সামিল হল পদ্মার এ পার,ও পার,
আজিমপুরের গণকবরে সাক্ষ আছে তার।
মাতৃভাষার নামে মানুষের এতখানি দরদ!
তাইতো মনে প্রাণ উৎসর্গের আসে শুভবোধ।
কেউ মরেনি, কেউ মরেনি, সবাই শহীদ হল।
তাদের নামে মাতৃভাষার জয়ধ্বনি তোল।
ইউনেস্কো শ্রদ্ধায় তাই করল মাথা নত।
স্বীকৃতি দিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ব্রত।
মাতৃভাষার মর্যাদা কেউ দিতে ভুলোনা ।
রক্তের বিনিময়ের রাখী কখনও খুলোনা।
সেই আগের মতো..
ওরে ওই সই
চল না যায় আবার
সেই সবুজ ঘেরা মাঠের পাড়ে
জংলা নদীর ধারে।
সেথায় গিয়ে আবার খেলি
খেলাম পাতি খেলা,
সেই ছোট ছোট পাথর বাটি নিয়ে
আর পায়ে ঘাসের নূপুর পড়ে।
আর আমি সেই আগের মতই
বলবো না হয় তোকে আবার
কাজ থেকে ফেরার ভান করে,
-"কি রে খাবার হলো।"
ওমনি তুই বলবি আমায়
"দাড়াও, একটু আগেই ভাত চড়িয়েছি
হাত পা তো ধও দেবো ,
ছাড়ো না হয় এখন জামা গুলো।"
আর আমিও তাই ব্যস্ত মতো
ভান করে ওই
সারা গায়ে জল ছিটিয়ে
বসবো আসন পেতে।
আর তুই কচুর পাতায়
জল গড়িয়ে
ঘেটু পাতার থালা করে
দিবি আমায় খেতে।
আর আমিও খাবো তাই
দিব্যি মনের সুখে
খাওয়ার মত
ভান টি করে মুখে।
আর তুই পিছুন হতে কলা পাতার বাতাস দিয়ে
বলবি আমায় -" আর দেবো"
আমি বলব -" না না,
এই টুকু তো পেট বলো আর কতো ঢুকে।"
ভালোবাসায় বসন্তের ছোঁয়া
বসন্তের ওই ছোঁয়া লেগে হৃদয় ওঠে দোলে
সবুজ বনে রাঙা দেখে দখিন দুয়ার খোলে,
আম্র কুঞ্জে কুঞ্জে সদা মুকুল ভরে থাকে
মনের সুখে কোকিল সদা কুহুকুহু ডাকে।
ফুলের গন্ধে সকল অলি গুনগুনিয়ে আসে
শিমুল পলাশ উঁকি দিয়ে রাঙা ঠোঁটে হাসে,
শোভা দেখে বায়ু শুধু ঘেঁষে ঘেঁষে বয়ে
ধীরে বয়ে বহু দূরে ফুলের সুবাস লয়ে।
কেমন করে সবুজ বনে লাগছে যেন আগুন
জীর্ণ পাতা শত ঝরে এলো বুঝি ফাগুন,
সবুজ শাখে শাখে যেন ফুটল প্রেমের কলি
ফুলের বাহার কত দেখে মাতাল হলো অলি।
প্রজাপতি ডানা মেলে দেখে ফুলের মেলা
কুসুম বাগে শোভা দেখে কাটায় সারা বেলা,
সবুজ বনে শিমুল পলাশ রাঙে রঙে রঙে
প্রকৃতি বেশ খুশির সুরে সাজে নানা ঢঙে।
হৃদয় ঘরে প্রেমের কলি ফোটে নতুন সুরে
শত বাধা পায়ে দলে খুশির পরশ পুরে,
বসন্তে ওই ছোঁয়ায় প্রকৃতি বেশ ছবি আঁকে
মধুর শোভা সবে দেখে হাসিখুশি থাকে।
কিস ডে স্পেশাল
যেদিন ভালোবেসে একটা ছোট্ট চুম্বন এঁকে দিলে আমার অধরে
সেদিন থেকেই ভালোবাসার অনুভূতি জাগ্রত হলো, শরীরে, মননে, চিন্তনে।
কি অপূর্ব অবশ করা পরশ ছিল সেই পবিত্র চুম্বনে!
বুকের মাঝে চেপে ধরে সেদিন তুমি বলেছিলে---তুমি আমার--আমার--শুধু আমার...
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত নিজেকে সঁপে দিলাম তোমার বলিষ্ঠ বাহুযুগলের মধ্যে।
নিজেকে মুক্ত করতে পারিনি, হয়তো বা চেষ্টাও করিনি--ইচ্ছে হয়নি সেই মধুর মিলনের স্পর্শ থেকে বেরিয়ে আসতে।
তারপর তুমি বললে, আজ আমি আসি....আমি আবার আসবো, ভালোবাসবো, ঘর বাঁধবো,
ছোট্ট একটা আঙ্গিনা থাকবে, এক কোণে থাকবে হাস্নুহানার ফুল ভর্তি ছোট্ট গাছ, আর এক কোণে মাধবীলতা।
আমরা দুজনে জ্যোৎস্না রাতে সেই আঙ্গিনায় বসে চাঁদ দেখবো, ভালোবাসবো, তুমি গান শোনাবে আর আমি
সেই মিষ্টি মধুর গানে বিভোর হয়ে তোমাকে এরকম অনেক অনেক চুম্বনে ভরিয়ে দেবো তোমার সমস্ত শরীর!
দেখবে আমাদের সেই ভালোবাসা হবে সবার থেকে আলাদা, লোকে দেখে হিংসে করবে, শিরি-ফরহাদ, লায়লা-মজনুকেও হার মানাবো আমরা, তুমি দেখো, দেখো.........
হায়! আজ!
হায়! --সেদিনের চুম্বনের স্নিগ্ধ পরশ আর সেই ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির কথা সম্বল করে বসে আছি সেই মোহময়ী চাঁদের দিকে তাকিয়ে.......
ওগো চাঁদ, তুমি তো ছিলে সেদিনের সাক্ষী--সে সব কি ছিলো শুধুই ছলনা? প্রবঞ্চনা? নাকি ক্ষণিক ভোগের লিপ্সা?
বলো, চাঁদ! বলো! সেদিনের সেই চুম্বনের ভাষায় কি কোনো সততা ছিলো না?
সে কি ছিলো শুধুই বিষাক্ত.....
শোক আর
শোকের পরমায়ু কতদিন?
হাসির সময়কাল কত?
উত্তর খুঁজছিলাম অলস দুপুরে!
একটা জ্বলন্ত সিগারেটের সময়কাল
সকালের উঁকি মারা দরজায় কড়ানাড়া রোদ!
---- এর চেয়ে সামান্য বেশী
শোক কি সাময়িক নয়?
সময় তাকে হরণ করে নেয়!
হাসি যেন শরতের আকাশে তুলোমেঘ!
শোক নিয়ে বসে থাকে না জীবন
এগিয়ে চলার নাম জীবন
শোক আসে রেড সিগন্যাল হয়ে
সাময়িক থেমে যাওয়া
আবার সবুজ হাসি জনস্রোতে টেনে নিয়ে যায়।
আগাছার স্তুতি
যে পৃথিবীর কালগর্ভে হারিয়ে যায় না নকশালবাড়ি
যে সমাজের আঙুল চুষেও নিমেষে উৎখাত হয় জমিদারী
সেখানেই জন্মেছিল আমাদের মতো বুনো ঘাস
প্রতিপালনের দায়িত্ব না নিলেও যে নিজের গরজে
বাড়তে থাকে, ক্রমশঃ বাড়তেই থাকে
সাধ্যমতো বিস্তার করে নিজের সাম্রাজ্য
তবুও লোকে তাকে আগাছাই বলে।
পায়ে মাড়াতে মাড়াতে তারই ওপর দিয়ে তৈরি হয় পথ
সে পথে সবুজ শহীদ হয়, তবু টিকে থাকে আগাছা
খটখটে শুকনো হয়ে তখন অপেক্ষারত, আর
সেই অন্তিমকালে আমি বারুদ মাখবো আঙুলে।
আগাছা বেঁচে থাকে সূর্যের পথ চেয়ে।
শব্দরা ঘুমোবে এবার
দিনান্তের ম্লান আলো গায়ে নিল নভেম্বর মাস
প্রকৃতিতে এসে গেল হেমন্ত ঋতু
টুপটাপ ঝরে পড়ে শিশিরের জল
দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে 'রূপসী বাংলা' থেকে।
ওই দেখো কবি শুয়ে আছেন মৃত ঘাসে
নির্জনতা চাইছেন তিনি, স্থিতিশীলতা চাইছেন
আশ্রয়ের খোঁজে নরম মাটিতে বুক পাতা
উদাসীন মনকেমন তাঁকে আরও গভীরে নিয়ে যায়।
অবসন্ন সন্ধ্যা নামে জরাগ্রস্ত আমাদের পৃথিবীতে
হেমন্তের মিহিস্পর্শে শব্দরা ঘুমোবে এবার
কবির সাথে।
কী যেন দেখি
ভেবে দেখি,
অতীতের কত কথা স্মৃতির আয়না থেকে
যা কিনা মুখর আজ অনাদি সত্যের ওপর
নিঃশব্দ বালুকণার মাঝে রেখেছে আমায়
নতুন নক্ষত্রের আলেয়া থেকে
বেছে নিতে নিজ আচ্ছাদন।
আরও দেখি ,
বন্ধুর পথ
কত বিষময় আজ কুতুহলে
কালের অন্তিম নিঃসহায়
নীরবে নিভৃতে ধোঁয়ার কুন্ডলীসম
এঁকে চলে এক অমূল্য রতন।
যে ছবিতে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান
করছে আমায় বিদ্রুপ
অহর্নিশ,
উপেক্ষার বানী হতে
সম্মান কে দিয়েছে মুছে
কালের যাত্রাপথে।
হে পৃথিবী, হে অনাদি অনন্ত
অন্ধকারের পাতাল থেকে
কেন তুলে এনেছো আমায় তবে
এ চলাচলের মাঝখানে!
নাম কেউ করেনা আর
দেয়না মর্যাদা এতটুকু
নিরালায় নির্মল সুশীল বাতায়নে
বিরোধী আবহাওয়ায়।
সেই আঁধারের প্রান্তদেশে
কেন এগিয়ে নিয়ে যাও তবে
নিরর্থক বহ্ণিছায়ায়
অপূর্ণতার সংশয়ে!
হে পাখি, হে মেঘে ঢাকা আকাশ
দাও না শিখিয়ে তোমাদের লাগি
গান্ডীবের পূর্ণ ব্যবহার এবার
সত্য বলে যা চিহ্নিত রয়েছে
সবটুকুর মাঝে।
যেন বলতে পারি প্রত্যক্ষ ব্যবহারের
নির্ভেজাল বাষ্পীয় সন্ধানে
আমার নামের আসল পরিচয়।
সত্য যে সত্য সদাই
দূরবীনেও যাকে যায় না দেখা
তারই জন্যে আমার
এই নিত্য পরিচয়।।
কে যেন আড়াল থেকে ডেকে নেয় তখনই আমায়
ফেলে যায় এক আদিম বিশ্বাস
ভুলে যেওনা পৃথিবীর সবচেয়ে গূঢ়
রহস্যের বেদনা।
তুমি কেউ নও, কেউ যায়নি ভুলে তোমায়
এ মহাদেশের একটি কণামাত্র তুমি
অসংখ্য গিরিখাত রয়েছে ভিতরে তোমার
তরল পদার্থের মতো নির্বাক নিশ্চিত
অবুঝ প্রকাশের অন্তরালে।
সেই আঁধারের বিচ্ছিন্নতায় তোমার স্থান
ঐ কাঁপন ধরানো
পৌষের শীতে শিউলির মতো
চঞ্চলতায়
নকশার ঢংয়ে।
ভেঙে যেও না--
প্রতিজ্ঞা থাক অন্তরে
আস্তিনের সাপ
হাতের আঙুলে ঘি না দেখে
ভ্রু কুচকালেন মহারাজা; কাদায় বাহারি
একপাটি জুতো ফেলে এসেছেন
মনে নেই; চোখ তুলে চারিদিকে
দেখতে পেলেন শূন্যতা মুখ ব্যাদান করছে
একটা লম্বা নিঃশ্বাস গিলে করে
আস্তে আস্তে চোখ বুজলেন; রক্তে বিষের
ভাইরাস ঢুকেছে মুকুট মাথায় দেবার
দিন; আস্তে আস্তে পুরো দেহে
গ্যাংগ্রিন; দুই একটা হিমোগ্লোবিন
কণিকা আত্মাহুতি দিতে পেরেছে মাত্র
এ সময় তলোয়ার এলো
বাগিয়ে; কাঁটার সিংহাসনে হারিয়ে
গেলো অস্তিত্ব; শেষে চরম ছোবল
দিলো আস্তিনের সাপ।
ইচ্ছে যেমন
বয়সের ভার যত বাড়ে
বাড়ে তত জটিলতা,
একটার ও ছাড় নেই
নেই কোনো দায়বদ্ধতা।
সম্পর্ক এখন বড় বাধা
সব কিছুর মাঝে '
যেমন ইচ্ছে তেমন চালাও
যেটা যার সাজে ৷
বলারও নেই করারও নেই
শুধু দিন যাপন,
যাচ্ছে চলে সুখে থাকার জীবন।
চিন্তাও নেই ভাবনাও নেই
নেই কোনো ধরাধরি,
যেমন ইচ্ছে চালাও তেমন
যখন যেটা যার প্রয়োজন৷
জন্ম নেওয়ার নেই সার্থকতা
দিন যাপনের দাড়িপাল্লায়,
সব কিছু যেন বড় প্রাঞ্জল
এই সমরাঙ্গনে সংঘাত স্বার্থের লড়ায় এ৷
ঈক্ষণ
আমি মানুষেরই মাঝে দেখেছি ভগবান
আমি মানুষেরই মাঝে দেখেছি শয়তান
আমি মানুষেরই মাঝে দেখেছি মিলনের কলতান
আমি মানুষেরই মাঝে দেখেছি---
মন ভাঙ্গা বিচ্ছেদ আর প্রাণ ভাঙ্গা অভিমান।
মানুষেরই মাঝে দেখেছি---
আমি মিলন বিরহের মায়াজাল
মানুষেরই মাঝে দেখেছি---
কত অগোছালো অ-শোভনীয় জঞ্জাল।
আমি দেখেছি দুর্বৃত্ত;মানুষেরই মাঝে নৃত্য
দেখেছি কত জেদ; কত ভেদাভেদ;
দেখেছি কত সহস্র বিচ্ছেদ---
তবুও মানুষের সাথে নিজের সম্পর্কের---
হতে দিইনি এতোটুকু ছেদ।
প্রতি বিধান
ভালবাসি যারে তারে, রাগ উপহার
রাগ থাকবে না সেকি? কি উপসংহার,
বিধি বিধান আইনে অভিমান সার
গঞ্জে গ্রামে চারিদিকে বিধানের ভার।
সাহিত্য রসে সমৃদ্ধ পঃ লোকসংস্কৃতি
বঙ্গের বাইরে খ্যাতি তার জনপ্রীতি,
সংস্কৃতির ধারক ও বাহকে মতি
একচ্ছত্র অংশীদার কবি অধিপতি।
উপবিষ্ট আসনের মহা দিকপাল
তার অঙ্গুলি হেলনে বহেনা বেচাল,
শেষ অব্দি অনুষ্ঠান লয়ে ছন্দ তাল
সবার তিলক জোটে সম্বর্ধনা ভাল।
আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের যাদু
তাঁর ছোঁয়ায় জীবন্ত ধন্য তুমি সাধু!
আওয়াজ
একটা আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি
ভয়ংকর বাজে আওয়াজ...
জীবনে কখনো শুনিনি,জানি না
মরে গিয়েও শুনবো কিনা।
আওয়াজটা আগে হতো না,
ইদানিং হচ্ছে,হচ্ছে আর ভাবাচ্ছে...
এটা জানি,যত গর্জায় তত বর্ষায় না,
বেশি মেঘ ডাকলে বৃষ্টি হয় না।
আসলে মেঘ গুমরে থাকলে
আচমকা বর্ষা আসতে পারে,
বহুদিন থেকে একটা চাপা গুমোট
সমূহ পরিস্থিতিকে বিপর্যস্ত করছে।
যেটা হওয়ার কথা নয় সেটাই হচ্ছে
এমনটা হওয়ার কথাই ছিল না,
মেঘ দুর্বল হলে আওয়াজ দুর্বল হবে-
আসলে সবই ভবিতব্যের খেলা।
খেলা শুরু হলে শেষ হবেই
কেউ হারবে,কেউ জিতবে...
অবশ্য খেলায় হার জিৎ বড় কথা না
বড় কথা হলো আওয়াজ বন্ধ হবেই।
এসো চোখ কান খোলা রাখি,
আওয়াজ প্রতিহত করে লড়ি;
এসো,লড়ি আওয়াজের বিরুদ্ধে...
আওয়াজ বন্ধ হলে শান্তি,মৈত্রী ফিরবে।
অবনত জীবন
অশান্তির ক্ষুব্ধ ছায়ায়
আমাদের বিশ্রাম মরে যেতে থাকে
জেগে জেগে ঘুম শুধু
ঘুমে ঘুমে তেতো বিষ জমে
দেশ উঠে গেছে
মানুষও মানুষ নেই
শহর জুড়ে যান্ত্রিক অরণ্য
উৎপাত খেচরের ডাক
আততায়ী সিংহের গর্জন
কার সন্তান আমি ?
ভুলে যাচ্ছি —নিরুত্তর
ভুলে যাচ্ছি —এই অবনত জীবন আমার।
Photography by Amit pal
সম্পাদকীয়:
পরিচয় টা নিজের কাছে, নিজ ব্যবহার দ্বারা প্রাপ্ত করতে হয়। কিছু অশিক্ষিত মানুষ এর কাছে আপনি পরিচয় পেলেন কিনা সেই নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই। আপনি যদি সৎ হন তাহলে আপনি প্রকৃত যুক্তিবাদীদের কাছে উচ্চ মার্গের পরিচিতি লাভ করবেন। তাই অতসত না ভেবে নিজের জ্ঞান কে বিস্তৃত করে সমাজকে আলোকিত করুন। ভাবতে থাকুন সমাজের কথা। লিখতে থাকুন। আগুন ঝরে পড়ুক অক্ষরে অক্ষরে। আমরা আপনার পাশে আছি আপনাদের সকলের প্রিয় পত্রিকা world Sahitya Adda blog magazine নিয়ে।
অঙ্কন শিল্পী- মৌসুমী চন্দ্র
সম্পূর্ণ সূচিপত্র:
বাংলা কবিতা ও ছড়া---
তৈমুর খান, মহীতোষ গায়েন, অরবিন্দ সরকার, সুব্রত মিত্র, দীপান্বিতা পান্ডে দীক্ষিৎ, রানা জামান, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, রবীন বসু, রথীন পার্থ মণ্ডল, আশীষ কুন্ডু, নীতা কবি মুখার্জী, মঞ্জুলা বর, চাতক পাখি, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, সামসুজ জামান, রঞ্জিত মল্লিক, অশেষ গাঙ্গুলী, জয়িতা চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন চক্রবর্তী, শ্যামল চক্রবর্ত্তী, রানু রায়, বন্দনা বিশ্বাস, দিলীপ কুমার মধু, চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী,
আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস।
বাংলা গল্প---
সিদ্ধার্থ সিংহ, ড: রমলা মুখার্জী, রঞ্জিত মল্লিক।
বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা---
সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, সামসুজ জামান।
Composition---
Kunal Roy
Poem---
Pavel Rahman.
Photography---
Amit pal, Nilanjan de, Sohini Shabnam, Dr Atef kheir, Moushumi chandra.
_______________________________________
বিজ্ঞাপন-
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে পার্টটাইম সুইপার নিয়োগ:---
----------------------------------------------
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের কলকাতার উত্তর সার্কেলে পার্টটাইম সুইপার পদে 28 জন কর্মী নিয়োগ করা হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নেই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য ছেলেমেয়েরাও আবেদন করতে পারবেন।
এমনকি নিরক্ষর প্রার্থীরাও আবেদনের যোগ্য।
বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে ০১.০১.২০২২ এর হিসেবে।
তপশিলি জাতির প্রার্থীরা পাঁচ বছরের আর ওবিসিরা তিন বছরের বয়সের ছাড় পাবেন।
মূল বেতন 14500 টাকা -- 28145 টাকা । এছাড়াও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন। হাওড়া ও কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হতেহবে প্রার্থীদের।
মোট শূন্যপদ 28 টির মধ্যে জেনারেল প্রার্থীদের জন্য বারোটি, তপশিলি জাতির প্রার্থীদের জন্য 6টি,তপশিলি উপজাতি প্রার্থীদের জন্য একটি, ওবিসি প্রার্থীদের জন্য 6টি,ইডব্লুএস প্রার্থীদের জন্য তিনটি পদ।
প্রাথমিকভাবে দরখাস্ত বাছাইয়ে মনোনীত হলে প্রার্থীদের জানানো হবে। প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কোন ইন্টারভিউ হবে না, লিখিত পরীক্ষা হবে না। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে ও বয়স দেখে প্রার্থী বাছাই হবে।
প্রার্থীদের দরখাস্ত করতে হবে সাদা কাগজে ।অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
আবেদনকারীরা দরখাস্তের সাথে দেবেন বয়স , শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাস্ট সার্টিফিকেটের প্রত্যয়িত নকল।
স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেটের প্রত্যয়িত নকল , প্যান কার্ড বা আধার কার্ডের প্রত্যয়িত নকল, স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেটের প্রত্যায়িত নকল, এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের কার্ড থেকে থাকলে তার প্রত্যয়িত নকল, এখনকার তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ফটো দরখাস্তের সাথে নির্দিষ্ট জায়গায় জুড়ে দেবেন, নিজের নাম ঠিকানা লেখা ডাকটিকিট সাটা একটি খাম দরখাস্তের সাথে জুড়ে দেবেন।
________________________________________________
বিজ্ঞাপন-
**ছানার ভালনা রেসিপি:
উপকরণ : দেড় কেজি দুধ, ছানা কাটা পাওডার কিংবা লেবু সামান্য একটু নুন, চিনি এবং হাফ চা চামচ বেকিং পাউডার, সিদ্ধ করে রাখা কয়েকটি আলু, আদা- জিরে বাটা এলাচ, দারচিনি,লবঙ্গ এবং কোঁচানো টমেটো আর কাঁচা লঙ্কা, খাঁটি ঘি।
প্রস্তুতি : প্রথমে দেড় কেজি দুধ ভালো করে ফুটিয়ে নেবো, ফোটানো দুধের মধ্যে কিছু পরিমাণ ছানা কাটা পাওডার কিংবা পাতি লেবু দিয়ে ছানা কেটে নেবো। ছানা কাটা হয়ে গেলে সেই ছানার জল ভালো করে ঝড়িয়ে শুকনো করে নেবো। তারপর তার মধ্যে 1 চামচ চিনি এবং হাফ চামচ নুন এবং 1 চা চামচ বেকিং পাউডার দিয়ে সেটিকে আলতো হাতে ভালো করে মেখে নেব। (অবশ্যই চিনি দেওয়াটা নিজের টেস্ট অনুযায়ী ডিপেন্ড করে।) ছানা মাখা হয়ে গেলে একটি চওড়া থালায় মাখা ছানাটি নিয়ে একটি বড় সাইজের বল তৈরি করে নেব এবং সেটিকে হাতের সাহায্যে ভালো করে চ্যাপ্টা করে একটি ছুরি দিয়ে প্রত্যেক টা চৌকো আকারে পিস পিস করে কেটে নেব।
রন্ধনপ্রণালী : একটা কড়াইয়ে বেশ কিছু পরিমাণ তেল গরম হতে দেবো। তেল গরম হয়ে এলে তার মধ্যে পিস করা ছানা গুলি হালকা আঁচে ভেজে তুলে নেবো। ভাজার সময় অবশ্যই আপনারা কিছু পরিমাণ নুন দিতে পারেন তবে স্বাদমতো। এরপর সেই তেলেই ফোড়ন হিসাবে দু'টো দারচিনি, লবঙ্গ এবং একটা এলাচ গুঁড়ো করে দিয়ে দেব। এরপর তাতে মিশিয়ে দেব আদা জিরে বাটা এবং টমেটো কুচি। যে মশলা হবে সেটা খুব ভাল করে কষিয়ে নেবো। মসলা কষানো হয়ে গেলে পরে ভেজে রাখা ছানা এবং আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা আলু কড়াইয়ে দিয়ে দেবো। আলু এবং ছানা ভাজার মধ্যে মসলা ভালো করে মাখানো হয়ে গেলে তাতে আমরা কিছুটা জল দিয়ে দেবো। এরপরে আমরা যে জিনিসটি এতে অ্যাড করব সেটি হল খাঁটি ঘি এই ঘি আমাদের ছানার দালার জন্য অনবদ্য খাদ্যের গুনাগুন এবং টেস্ট দুটোই বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
এবারে আমরা স্বাদমতো নুন এবং হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দেবো। আমাদের রান্না প্রায় শেষের দিকে চার থেকে ছটা কাঁচালঙ্কা চিরে রান্নায় দিয়ে দেবো।এরপরে আমরা কড়াই এর মধ্যে একটা পাত্র ঢাকা দিয়ে সেটিকে ফুল ফ্লেমে ফুটিয়ে নেব। আমাদের ছানার ডালনা রেডি। নিরামিষ রান্না হিসেবে আমরা এটি কে গরম ভাত কিংবা পরোটার সাথেও ভালোভাবে পরিবেশন করতে পারি।
_________________________________________________
বিজ্ঞাপন-
পশ্চিমবঙ্গে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার দপ্তর কর্মী নিয়োগ:
পশ্চিমবঙ্গে 'বেঞ্চ ক্লার্ক' পদে নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার দপ্তরের অধীনে কর্মী নিয়োগ হবে। এই পদে আবেদনের জন্য প্রার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে এবং কম্পিউটার চালনায় ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ২১থেকে ৪০বছরের মধ্যে ০১.০১.২০২২ তারিখ অনুসারে।
চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। শূন্যপদ একটি। তবে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ হলেও কাজের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে।
নিয়োগের স্থল পূর্ব বর্ধমান জেলা।
চাকরিপ্রার্থীদের ৮০ নাম্বারের একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। কম্পিউটার টেস্ট 10 নম্বরের নেয়া হবে এবং ইন্টারভিউ 10 নম্বরের মোট 100 নম্বরের একটি চাকরি পরীক্ষা নেওয়া হবে। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেওয়া আছে।
আবেদনকারীরা অনলাইনে ইমেইলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেটা দেওয়া আছে তার ডাউনলোড করতে হবে তারপর নোটিশের 4 নাম্বার পেইজে দেওয়া আবেদন করার ফরম টি এ ফোর সাইজের পেজে প্রিন্ট করতে হবে এবং তা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
এরপর পূরণ করা আবেদন পত্র এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দরকারি নথিপত্র গুলি স্ক্যান করে নিয়ে একটি পিডিএফ ফাইল বানাতে হবে। তারপর ওই পিডিএফটি কে
jjbpbdnrecruitment22@gmail.com এই ইমেইলে পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ 15 ফেব্রুয়ারি 2022
Official website link-
https://purbabardhaman.nic.in/bn/
ফর্ম সহ নোটিশ টি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্ক টি ক্লিক করুন--
https://cdn.s3waas.gov.in/s3cf67355a3333e6e143439161adc2d82e/uploads/2022/01/2022013164.pdf
________________________________________________
বিজ্ঞাপন-
স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিতে কর্মী নিয়োগ--
রাজ্যে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে। নিয়োগ করা হবে ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। রিসার্চ' অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইনসেক্ট কালেক্টর এই সমস্ত পদে নিয়োগ করা হবে।
রির্সাচ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে যে কোন ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাণিবিদ্যা বা এই সম্পর্কিত কোন বিষয় নিয়ে এম .এস .সি তে ফার্স্ট ক্লাস পেতে হবে । তার সাথে এক বছরের গবেষণা করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
মাসিক বেতন 30000 টাকা শূন্যপদ একটি।
ইনসেট কালেক্টর পদের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে যে কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে বি.এস.সি পাশ হতে হবে। শূন্যপদ একটি। মাসিক বেতন 15000 টাকা।
চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।
আবেদন করতে হবে অফলাইনে, ফর্ম ফিলাপ করে তা ডাকযোগে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা টি হল --
ডাইরেক্টর, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, কলকাতা, 108, সি আর এভিনিউ, কলকাতা 700073
আবেদনপত্র পাঠানোর শেষ তারিখ 15 ই ফেব্রুয়ারি 2022
প্রার্থীদের প্রথমে অফিশিয়াল নোটিশের তিন নম্বর পেজে আবেদন করার জন্য একটি ফর্ম দেওয়া আছে। সেটি এ ফোর পেজে প্রিন্ট করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ফর্ম ফিলাপ করা হয়ে গেলে তার সাথে দরকারি নথিপত্র জেরক্স করে জুড়ে দিয়ে একটি খামে ভোরে ডাকযোগে পাঠাতে হবে।
________________________________________________
বিজ্ঞাপন-