Wednesday, March 30, 2022

100 দিনে কাজে (MGNREGS) পশ্চিমবঙ্গে গ্রুপ সি তথা গ্রাম রোজগার সহায়ক (GRS) পদে প্রচুর নিয়োগ || WB GRS Recruitment 2022


 


##চাকরি প্রার্থীদের জন্য আমাদের রাজ্যে নতুন সুখবর। রাজ্যে আমার 100 দিনের কাজে গ্রুপ সি তথা গ্রাম রোজগার সহায়ক(GRS) পদে কর্মী হতে চলেছে। রাজ্যের 23 টি জেলার প্রতিটি চাকরি প্রার্থী (পুরুষ ও মহিলা) এখানে আবেদন করতে পারবেন। চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল।  



কোন পদে নিয়োগ হবে: 100 দিনের কাজের (MGNREGS) জন্য গ্রুপ সি তথা গ্রাম রোজগার সহায়ক (GRS) পদে।


শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদন করতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে। তাছাড়া প্রার্থীর সঙ্গে থাকতে হবে কমপক্ষে ছয় মাস কম্পিউটার সার্টিফিকেট।


আবেদন কিভাবে করবেন: অফলাইনের মাধ্যমে এখানে আপনি করতে পারবেন। আপনাকে নীচে দেওয়া অফিশিয়াল নোটিফিকেশন থেকে আবেদনপত্র টি ডাউনলোড করতে হবে। তারপর সেটির প্রিন্ট আউট করে ফর্ম ফিলাপ করে নেবেন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জুড়ে দেবেন এবং সেটি খামে ভরে পোস্ট করবেন নীচে দেওয়া ঠিকানায়।



প্রার্থী নির্বাচন পদ্ধতি:  কোনো লিখিত পরীক্ষা প্রার্থীদের দিতে হবে না। সরাসরি নির্বাচন করা হবে। প্রার্থী দের একটি মেরিট লিস্ট তৈরি হবে সেই লিস্টের ভিত্তি করেই চাকরি দেওয়া হবে। 


আবেদন কারীর বয়স: এখানে আবেদন করার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই 18-35 বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


বেতন: প্রতি মাসে আপনাকে 12,000/- টাকা মাইনে দেওয়া হবে।


তারিখ: আবেদন প্রক্রিয়া শুরু 23-03-2022 তারিখে। আবেদন চলবে 08-04-2022 তারিখ পর্যন্ত।

 

আবেদনপত্র পাঠানোর স্থান: MGNREGA Cell, Gaighata Development Block, North 24 Parganas.



গুরুত্বপূর্ণ কি ডকুমেন্ট জমা করবেন:

1.আবেদনের ফর্ম
2.মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড
3. শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান পত্র
4.পাসপোর্ট সাইজের ফটো
5.আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ড
6. কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
7. কম্পিউটার সার্টিফিকেট




OFFICIAL NOTICE:-



OFFICIAL WEBSITE:-



_________________________________________________




Friday, March 25, 2022

রাজ্যে পোস্ট অফিসে সরাসরি নতুন নিয়োগ || WB Postal Reqruitment 2022 || Indian postal recruitment || Postal agent recruitment


 


 

##পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পোস্ট অফিসে নতুন নিয়োগের সুখবর। সরাসরি কর্মী নিয়োগ হবে পোস্ট অফিসে।
মাধ্যমিক পাশেই কর্মী নিয়োগ করা হবে। তাই আপনি যদি শুধু মাধ্যমিক পাশ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রতিটি প্রার্থী(মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতা) আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নিয়োগ টি হবে পোস্টাল এজেন্ট পদে। নীচে সমস্ত বিবরণ আলোচনা করা হল-



শূন্যপদের নাম : পোস্টাল এজেন্ট ( Postal Agent) পদে নিয়োগ হবে। বিভিন্ন সর্কেল অনুযায়ী।

শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক পাশ বা তার সমতুল্য যোগ্যতায় আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অগ্রাধিকার পাবেন যদি আপনার কম্পিউটার এর জ্ঞান থাকে।


আবেদন কারীর বয়সসীমা :  ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স হতে হবে।


আবেদন পদ্ধতি :
আপনি অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অফলাইন এ কিভাবে আবেদন কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিসিট করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক নীচে দেওয়া আছে তা ক্লিক করুন। তাছাড়া নীচে দেওয়া ইমেইল এড্রেসেও আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলি মেইল করেও আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট :
১) মাধ্যমিক এডমিট বা বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে।
২) মাধ্যমিকের মার্কশিট
৩)পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৪) উচ্চতর যোগ্যতা যদি  থাকে তাহলে তার সার্টিফিকেট দিতে পারেন।
৫)আধার ও ভোটার কার্ড


সমস্ত ডকুমেন্টস উপরে নীচে দেওয়া ঠিকানায় জমা করতে হবে। নিজের সই থাকতে হবে প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস এ।

যোগাযোগ করুন : Govt. Of India, Department Of Post, O/o the SSPOs, North Kolakta Division, 5A Indra Biswas Road, Kolakta-700037


আবেদনের শেষ তারিখ : আবেদন বিজ্ঞপ্তি টি প্রকাশিত হয়েছে ২২-০৩-২০২২ তারিখে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার দিন থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আপনাকে আবেদন করতে হবে।



নিয়োগ প্রক্রিয়া : ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন হবে।

 

আবেদনের জন্য যোগাযোগ করুন :
ফোন নম্বর : (০৩৩) ২৫৫৬ ৭৮৭৭

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট : Click here

আবেদনের ইমেইল : dokolkatanorth.wb@indiapost.gov.in


________________________________________________



Sunday, March 20, 2022

রাজ্যে বনদপ্তরে কর্মী নিয়োগ || Forest department recruitment 2022 || বনদপ্তরে নতুন নিয়োগ || বেতন- ২২ হাজার ৪০০ টাকা




 
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বন দপ্তরে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথোরিটি- এর তরফ থেকে। অফলাইন এবং অনলাইন দুই ভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল-


West Bengal Zoo Authority Research Assistant Recruitment




আবেদনের মাধ্যমঃ অফলাইন এবং অনলাইন।


পদের নামঃ রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট (Research Assistant)

বেতনঃ 22 হাজার 400 টাকা প্রতি মাসে বেতন পাবেন।

বয়সসীমাঃ ৩৫ বছরের নীচে।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কমপক্ষে ৫৫% নম্বর পেয়ে Zoology/ Wildlife বিষয়ে M.Sc করা থাকতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে ভালো অ্যাকাডেমিক রেকর্ড।


শুন্যপদঃ 1 টি 

নিয়োগ প্রক্রিয়াঃ  ইন্টারভিউয় দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন হবে।
ইন্টারভিউ স্থান ও তারিখ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ জানোনো হবে।

চাকরির ধরনঃ কন্ট্রাকচুয়াল।



আবেদন প্রক্রিয়াঃ 

অফলাইন এবং অনলাইন সব মাধ্যমে ই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অফলাইন এর ক্ষেত্রে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিন। অফিসিয়াল নোটিশ এ ফর্মটি পাবেন।



অফলাইনে আবেদন পত্র কোথায় জমা করবেন-

পূরন করা ফর্ম সহ অন্যান্য ডকুমেন্টের জেরক্স এই ঠিকানায় পাঠাবেন
- Director, North Bengal Wild Animal Park.

অনলাইনে আবেদন পত্র কোথায় জমা করবেন-

পূরন করা ফর্ম সহ অন্যান্য ডকুমেন্টের পিডিএফ বানিয়ে নিতে হবে। পিডিএফ ফাইলটিকে এই ইমেলে পাঠিয়ে দিতে হবে- dirnbwap@gmail.com.  

আবেদন ফিঃ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন করুন ।


আবেদন শুরু - 14.03.2022
আবেদন শেষ - 21.03.2022



Official Website -

Official notice -



--------------------------------------------------------------------------



Tuesday, March 15, 2022

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে স্থায়ী পদে গ্রুপ-ডি পিয়ন নিয়োগ || punjab national bank recruitment 2022 || মাসিক বেতন 14,500 টাকা

 




##পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জেলায় জেলায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সাব অর্ডিনেট ক্যাডারে পিয়ন (Peon) পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে নদীয়া জেলার সার্কেলের ব্যাংক গুলি তে পিয়ন পদে কর্মী নিযুক্ত করা শুরু হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল-


Permanent Group D Peon Recruitment in PNB Nadia


পদের নামঃ  পিয়ন (Peon)

মাসিক বেতনঃ  প্রতিমাসে 14,500 থেকে 28,145 টাকা বেতন পাবেন ‌ এছাড়া পাবেন অন্যান্য ফেসিলিটি।


বয়সঃ বয়স অবশ্যই 18 থেকে 24 বছরের মধ্যে হতে হবে। ST, SC, OBC সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।

 
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ  উচ্চমাধ্যমিক পাশ। এছাড়া ইংরেজি পড়া এবং লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে। 


নিয়োগের স্থানঃ নিয়োগ হবে নদীয়া জেলার বিভিন্ন শাখায়। তাই আবেদনকারীকে হতে হবে নদীয়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। 


শুন্যপদঃ  15 টি (SC-3, ST-1, OBC-3, UR-7, EWS-1) 


আবেদন প্রক্রিয়াঃ

 দরখাস্তের আকারে একটি ফর্ম বানিয়ে নিতে হবে। দরখাস্তে তে সমস্ত তথ্য দিতে হবে তা নীচে দেওয়া হল। এই দরখাস্তের দরকারি নথিপত্র সেঁটে দিতে হবে। একটি খামে ভরে খামটি নিচের দেওয়া ঠিকানায় পাঠাতে হবে।  


দরখাস্তে যেসমস্ত তথ্য দিতে হবেঃ

PNB Nadia Peon Application

খামের উপর লিখতে হবে- ‘‘সাব অর্ডিনেট ক্যাডারে পিওন পদের জন্য দরখাস্ত’ ।

পাঠানোর ঠিকানাঃ
চিফ ম্যানেজার, এইচআরডি ডিপার্টমেন্ট, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, সার্কল অফিস নদীয়া, ১/৪, এল কে মৈত্র রোড, কৃষ্ণনগর, পশ্চিমবঙ্গ, পিন-৭৪১১০১।  


শেষ তারিখঃ  20 মার্চ 2022




 

  Official Website: 


Official notice Download:

Sunday, March 13, 2022

পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পাশে 16000 শূন্যপদে Axis Bank কর্মী নিয়োগ || WB Axis Bank Recruitment 2022 || Axis Bank recruitment 2022





##পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পাশে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে Axis Bank এ। আপনি যদি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকেন এবং আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য বড় সুখবর এটি। আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।  প্রায় 16000 এর বেশি কর্মী নিযুক্ত হবে এখানে । আপনাকে কোনোরকম লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না, নিয়োগ হবে সরাসরি ইন্টারভিউ এর  মাধ্যমে এটা একটা বড় সুখবর। নীচে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল।


কোন কোন পদে নিয়োগ: এখানে যোগ্যতা অনুযায়ী  বিভিন্ন রকম পদ আছে। কিছু পদের নাম নীচে দেওয়া হল-

Business loan officer
Banking unit RO
RB-LL
Regional business officer
Officer sales SA
Relationship officer RO
Branch relationship officer
CSO
Regional business manager
Assistant manager
RL
Customer sales manager
Officer sales
Unit management officer
SBB





মোট শূন্যপদ: এখানে মোট 16000 টি শূন্য পদ রয়েছে । 

 


শিক্ষাগত যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক পাস এবং গ্রাজুয়েশন পাশ থাকলেই আবেদন করতে পারবেন।

 


বয়স:  18 থেকে 40 বছরের মধ্যে  আপনার বয়স হতে হবে।


আবেদন মূল্য : বিনামূল্যে আবেদন করতে পারবেন।


বেতন: চাকরি পাওয়ার প্রথম দিকে 19500 টাকা পাবেন তারপর আপনার বেতন ধীরে ধীরে  বৃদ্ধি পাবে।
সাথে থাকবে প্রমোশন।

নিয়োগ পদ্ধতি : সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে এবং  পার্সোনালিটি টেস্ট মাধ্যমে আপনাদের নিয়োগ করা হবে। 
ইমেইল বা sms এর মাধ্যমে আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে তাই আপনাদের বৈধ ইমেইল থাকতে হবে।


আবেদন পদ্ধতি:   অনলাইনের মাধ্যমে এখানে‌‌ সরাসরি আপনাকে আবেদন করতে হবে। সুন্দর একটি বায়োডাটা বানিয়ে রাখবেন। যেটি আবেদন করার সময় আপলোড করতে হবে।


আবেদনের শেষ তারিখ :  নেই কোনো শেষ তারিখ। এখানে সবসময়ই আবেদন চলছে।


Official website-


APPLY NOW: 



________________________________________

চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

Telegram group-


Whatsapp group-













______________________________________________



Wednesday, March 9, 2022

পশ্চিমবঙ্গে বন্ধন ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগ || WB Bandhan Bank Recruitment 2022 @bandhanbank.com


 


 
 
পশ্চিমবঙ্গে বন্ধন ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগ || WB Bandhan Bank Recruitment 2022 @bandhanbank.com


##রাজ্য জুড়ে বন্ধন ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগের হবে। বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। তাছাড়া এখানে চাকরি পাওয়া সোজা। শুধু বায়োডাটা ও ডকুমেন্ট জমা মাধ্যমেই আপনার চাকরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় না এখানে। সরাসরি নিয়োগ হয়। বর্তমানে বন্ধন ব্যাংকে কর্মীর প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে। তাই নিয়োগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধুমাত্র মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেই এই ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আবেদন করলেই  এখানে চাকরি হয়ে যায়। বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল--


কোন কোন পদে নিয়োগ হবে:

বিভিন্ন যোগ্যতায় বিভিন্ন পদ রয়েছে। পদ গুলি হল-


1. Analytics/BIU/Corporate Strategy

2.Agri Business

3.Administration

4.Banking Operations & Customer Services

5.Audit

6.Branch Banking

7.Compliance

8.Corporate Salary

9.Corporate Services

10.Digital Banking

11.Housing Finance

12.Finance & Accounts

13.Human Resources

14.IT

15.Legal/Vigilance

16.Marketing

17.Micro Banking

18.Outdoor Collector

19.Indoor Staff

20.Retail Assets

21.SME & MSME Banking

22.Risk

23.Trade Finance

24.Treasury

25.Wholesale Banking

26. RO(Relationship Officer ) এবং

27. RO-SS(Relationship Officer - Super Server)


শিক্ষাগত যোগ্যতা:  অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক পাস বা গ্রাজুয়েশন পাস হতে হবে। তাছাড়া মাধ্যমিক পাসেও পোস্ট রয়েছে। 


কাজের ধরন: এটা একটি পার্মানেন্ট চাকরি। 



আবেদন পদ্ধতি:  অনলাইনের মাধ্যমে বা অফলাইন দুটি মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন। অফলাইনে আবেদন করলে একটু সুবিধা বেশি চাকরি হওয়ার।

 

  কীভাবে আবেদন করবেন :
Online-  আপনি নিজেই মোবাইল এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ গিয়ে সরাসরি আবেদন করার সুযোগ পাবেন।



Offline-
  আপনি যদি অফলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে আপনার একটা বায়ো ডাটা তৈরি করবেন। সঙ্গে দেবেন এক কপি ফটো, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও প্যান কার্ডের জেরক্স ও মাধ্যমিক মার্কশীট, মাধ্যমিক এডমিট কার্ড, উচ্চ মাধ্যমিক মার্কশীট ও গ্র্যাজুয়েশনের মার্কশীট এর জেরক্স করে জমা করতে হবে।  নিকটবর্তী কোনো ব্রাঞ্চের ব্যাংকিং ইউনিটে সমস্ত ডকুমেন্ট জমা করে আসবেন। পোষ্টের মাধ্যমে এই ডকুমেন্ট পাঠাতে পারবেন না। বায়ো ডাটা মধ্যে আপনার ফোন নাম্বার লিখবেন এবং জমা দেওয়ার কিছুদিন পরেই আপনার সেই ফোন নাম্বারে ফোন করা হবে ইন্টারভিউ এর জন্য। কোনরকম লিখিত পরীক্ষা এখানে আপনাকে দিতে হবে না।




নিয়োগ পদ্ধতি: নিয়োগ করা হবে বায়োটাডেটার উপর ভিত্তি করে । আপনি যদি ইন্টারভিউয়ে সিলেক্ট হন তাহলে আপনাকে সরাসরি ট্রেনিংয়ের জন্য ডাকা হবে। 
 ট্রেনিংয়ের চান্স পাওয়া মানে কনফার্ম চাকরি পাওয়া। ট্রেনিং শেষে আপনাকে সরাসরি জয়েনিং করানো হবে। 
এছাড়া যাদের বাইক আছে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।


বয়স: 18 থেকে 40 বছর।

আবেদন মূল্য: সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন করুন


OFFICIALWEBSITE: 


APPLY NOW: https://bandhanbank.com/join-our-team

_________________________________________________



Monday, March 7, 2022

Photography || Amit pal


 

Photography || Sohini shabnam

 

Composition || A FEW TRUTHS! || Kunal Roy

      A FEW TRUTHS!

                   


As I was preparing to leave the college after a hectic day's schedule, I was faced by the dark, black clouds that really looked sullen and it was thought for a while that they would melt into rains, bringing a sense of relief not only to Georgians but to the rest of the city dwellers. But the mere wish was not translated into reality. However, there was a strong, cold wind to serve as a consolation! Truly at times, what we think or nurture, mostly latent desire at the corner of our heart , is either partially fulfilled or not at all and therefore leaving us at the lurch! However, the most tormenting moment crops us when we really fall prey to the web of a horrendous make - believe world! No matter how much we have got or achieved, a single pit fall seems to tear apart this soul. We shed tears. We scream, hurt ourselves or at the most blame others blatantly without any reason as such. What an unscrupulous act indeed! Little we do realise the root cause of such a kind of mental disruption. It is nothing but the hope which was once a blessing turns into a curse of restlessness. Hope gives rise to positivity but hoping against hope fetches trauma if not a disaster! Let us restrain ourselves from any dicey situation. There may be clouds spreading across the sky but the rain gods don't promise to drench us to our feet. People may give you words but it is not necessary they are to be kept. In fact if we bank on His choice, the best gift is assured. A truth I realized as I read the poem 'Weaver' in the wee hours of the morning!!   

                                       


রম্যরচনা || অন্ধকারের উৎস হতে || সামসুজ জামান

 অন্ধকারের উৎস হতে

                  


 “ অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো...” এই আলোর গুরুত্ব আমাদের জীবনের জন্য নেহাত কিছু কম নয়। বরং বলা ভালো সময়ে সময়ে সেই আলো স্বর্গীয় দীপ্তিতে আমাদের জীবন যৌবনের প্রতিটা প্রতিটা মুহূর্ত কে আরো অনেক বেশি উদ্ভাসিত করে দেয়।

                       আমার আন্দামানের শিক্ষকতা জীবনের সামান্য একটা ঘটনা। এমনিতে সম্পূর্ণ শিক্ষকতা জীবনে হাতেগোনা দু-একদিন মারধর করেছি। কিন্তু সেদিন দয়াল নামের অত্যন্ত দুরন্ত একটি ছাত্রকে মারার ফল খুব বিপদজনক হবে সেই চ্যালেঞ্জের মুখে এক সহকর্মী খানিকটা বাজেভাবে আমায় ঠেলে দিয়েছিল। ক্লাসে পড়াচ্ছিলাম জীবনানন্দের কবিতা। ঠিক সেসময় খুব ঔদ্ধ্যত্যের সঙ্গে ক্লাসের বাইরে থেকে দুলালের আগমন। দুম করে বিঘ্ন ঘটানোয় অসহ্য হয়ে বেধড়ক মার দিয়েছিলাম দয়ালকে। দুলাল নাকি খুব বাজে ছেলে? কিন্তু মাথা নত করে আমার মার আশ্চর্যভাবে নীরবে সহ্য ক’রে আমার মনের অন্ধকারে দুলাল আলো উৎসারিত করেছিল সেদিন। কোন ঔদ্ধত্যের প্রকাশ' নয় বিনয়ের সঙ্গে দুলাল মাথানত করে বলেছিল "স্যার, আর কোনদিন এরকম ভুল করবোনা স্যার!"

  সঙ্গে সঙ্গে আমার উপলব্ধিতে নিজেকে ঠিক সেই মুহূর্তে একটা পশুর মত মনে হয়েছিল। ছি: ছি: ছি:! লজ্জায় কেঁদে ফেলেছিলাম আর ভেবেছিলাম এত বড় ভুল করলাম ছেলেটাকে ওভাব মেরে? কত কিছু শিখতে আমাদের বাকি আছে এখনো আমাদের। মন থেকে কেউ যেন দেখিয়ে দিয়েছিল 'অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো' সত্যিই কখন কিভাবে যে আমাদের মনে সাড়া জাগায় তা অকল্পনীয়।

                     জীবনে উপলব্ধি করেছি আসলে খুঁজে নিতে জানলে তবেই কালো মায়ের পায়ের তলায় আলোর নাচন দেখা যায়। মন বিক্ষিপ্ত থাকলে শান্ত সংযত না হলে সেই আলো দেখা যায় না, দেখা যায় শুধু অন্ধকার। সেইজন্যেই কবি বলেছেন "কেউ নয়ন মুদে দেখে আলো, কেউ দেখে আঁধার"। আসলে অন্ধকারের উৎসেই লুকিয়ে থাকে বিদ্যুতের ঝলক। কালো অন্ধকারময় রূপের আড়াল থেকে ভুবনমোহিনী হাসি নিয়ে আলোয় আলোকিত হয়ে আবির্ভূত হন ভালবাসাময় পরম সিদ্ধপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ। তাই সন্তান বিয়োগব্যথার পাথার বুকে করেও নজরুল চাঁদের আলোয় ভেসে যাওয়া পৃথিবীর রূপে নিজেকে হারিয়ে ফেলে সেই মুহূর্তে পৃথিবীর রূপ সুধা আকন্ঠ পান করতে পারেন। অগনিত স্বজনবিয়োগ অগ্রাহ্য করেও কবিগুরু তাই অন্ধকার নয়, আলোর হাতছানি উপলব্ধি করেন। আর শান্ত মনে পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণ করেন– "আনন্দধারা বহিছে ভুবনে....।”

        

রম্যরচনা || গল্প লিখতে হবে || সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

 গল্প লিখতে হবে 


 


 নাটক, গল্প আমার দ্বারা সম্ভব নয় জেনেই কি এই আব্দার! যেমন শিশু জেনে বা না জেনেই বোধহয় তার বুড়ো দাদুর কাছে আব্দার করে ঘাড়ে ক'রে বেড়াতে নিয়ে যাবার। বায়না ধরে। দাদু তখন নিজের শরীরের বিভিন্ন ধরনের অসুখে জেরবার! তাতে কী! শিশুর আব্দারের মূল্য কি নেই! তবু দাদু ছুটি পায় না। আমারও বোধহয় সেই অবস্থা। কিন্তু অগত্যা--

   কলম ধরেছি।হয়তো কিছু একটা দাঁড়াবে শেষমেশ। সেটা গল্প কিনা বলতে পারবো না। প্রত্যাশা বেশি হলে সেখানে ত্রুটি থাকবেই। সেই ত্রুটিমুক্ত কিছু লেখা বাংলা সাহিত্যের পক্ষে বর্তমানে প্রচুর গল্পকারের কাছে নিন্দনীয় হতে পারে।কিংবা মঙ্গল বা অমঙ্গলও হতে পারে। যদিও সেটার বিচার করার ভার অবশ্যই আপনার। 

  একদিন এক অল্পবয়সী ছেলে বাবার কথায় সাড়া দিয়ে সব ফেলে নামলো জীবন নদীর তীরে নৌকো না পেয়ে। লাভ হয়েছে। 

    অনেকেই পেরিয়ে গেছে কিন্তু সে পেরোতে পারেনি। 

     পৃথিবীর মাঝে সে একা বিবর্ণপ্রায় দিন কাটায় আজও। তার কথা ভুলেও কেউ মনে রাখে না আর। তার নাম কী দেব বলোতো! সেতু নাকি তক্তা হীন কাঠের পোল।! বিধাতা পুরুষ নাকি নারী সে দ্বিধা দ্বন্দ্ব যেমন থাকবে বা আছেও। তবুও আমি যে কথা চলে আসছে বহু বছর ধরে সেটাই লিখছি-- "বিধাতা পুরুষ"! 

 হ্যাঁ বিধাতা পুরুষ আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে সেতুর মতো শুইয়ে সকলের পারাপারের ব্যবস্থা করেছে। আমি কিন্তু সেই আগের মতোই রয়ে গেছি আজও এখনও। ওপারে যাবার উপযুক্ত হতে পারিনি। 

     সেতুর ওপর দিয়ে যারা পেরিয়ে ওপারে গেল তারা আর খোঁজ রাখেনি আমার। আমি তাহলে সেতু নাকি অন্য কিছু!? এ ক্ষুদ্র পৃথিবীর অতি পুরোনো এক মাধ্যম যেমন! 

     বাঁশঝাড়ে যেমন অনেকরকম শব্দই হয় একটুখানি হাওয়া দিলেই। সেতুও পুরোনো বলেই হয়তো নানান উদভৎ শব্দ করে।। কখনো চিৎকার করে আবার মড়মড় শব্দে ভেঙে যাচ্ছি বলতে চেয়ে সাবধান করে সকলকে। যাই হোক্ যারা পারাপারের যাত্রী তারা কিন্তু কেউ কি খেয়াল করে এটা! 

 বোধহয় না।

এই গল্প তো একটা শিশুও লিখিতে পারে। তাই না! । আর আমি কি আর নতুন লিখলাম! বিড়ম্বনা লাঞ্ছনা বিদ্রুপ নাজেহাল ক'রে কয়েকটা বানী উচ্চারণ করেছি মাত্র। আমি তো এখন পড়ে আছি সেই আগে যেমন ছিলাম এখনও সেই পারাপারের মাধ্যম সেতুর মতোই। আমার ব্যথা আমার পাপ ঐ বাল্মীকি বা দস্যু রত্নাকর এর মতোই। কেউই কষ্টের ভাগ নিতে চায় না। 

     নদী বড় বা ছোট যাই হোক সেতুর কাজ রোদ্দুর দেখিয়ে বা পেয়ে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পথ দেখিয়ে দেয়া। আমি সেই কাজটা হয়তো ভালোই করেছি মনে হয়। 

    তোমরা ও শেষে শিশুর মতোই শুনে বলবে হয়তো ধুর এটা কী গল্প হলো! যত্ত সব আবোল তাবোল! তবুও এই গল্প টার মধ্যে সহজ সরল কিছু বক্রোক্তি আছে। নেই উপাদান। তাই এটা গল্প নয়। এটা শেষের শুরু বলা যেতে পারে। মাথা মুন্ডু কিচ্ছু নেই। সূখ দুঃখ হাসি কান্নার লেশমাত্র নেই। অতএব আমি ডাহা ফেল। 

    তার চেয়ে যাই দেখি ওদিকে রোদ্দুর উঠেছে কিনা। 

বর্ষা শেষ। বসন্ত ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে চাইছে, কিন্তু কেউ যেন বাধা দিচ্ছে নিম্নচাপের ভঙ্গিতে। 

   হয়তোবা পুষ্টি উপাদানের সাথে ভেজাল নেই এতে-- তাই এটা গল্প হয়নি। হয়েছে কিছু অনাবশ্যক কঠিন বাক্য বিন্যাস মাত্র। 

   এটা না পড়াই বোধহয় ভালো।। 

   আমি এখন একটু নিস্তার চাইছি। আবার পরে বলবো যদি কিছু পারি।।

গল্প|| অবিকল || আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস


                         অবিকল


              


   আমার এক বন্ধুর নাম মজিবুর। একটা সেকেন্ডারি স্কুলে সে শিক্ষকতা করে। বিরাট এক বড়লোকের মেয়ের সাথে তার বিয়ে হচ্ছে। অনেক টাকা পয়সা এবং সোনা দানা তাকে উপহার দিচ্ছে। বিয়েতে সে আমাকে বরযাত্রী বলেছে। আমি তার বিয়ের বরযাত্রী এসেছি। বউ দেখতে খুব সুন্দরী। নাম নার্গিস। খেতে খুব ভালো দিয়েছে। খাওয়াদাওয়া সেরে সবাই একটু ঘুরতে বেরিয়েছে। কিন্তু আমি না বেরিয়ে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমার সাথে কেউ নেই। আমি আর আমি ছাড়া। দাঁড়িয়ে আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে টানছি। সিগারেট, বিড়িতে যদিও আমার সেরকম কোন নেশা নেই। তবু বন্ধু দিয়েছে বলে।

   আর এইসময় হঠাৎই একটা টোকা পড়ে আমার পিঠে---আমি ওদিকে খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছি, আর তুমি এখানে---

   কণ্ঠটা একটা নারীর। ফলে আমি চমকে উঠে তাড়াতাড়ি তার সোজা হয়ে দাঁড়ালাম।

   নারীটির ঠোঁট লাল আর পরনে লাল শাড়ি। যাকে বলে ঝলমলে পোশাকে সে সুসজ্জিতা।

   অমনি সে ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেল---সরি! আপনাকে দূর থেকে আমার স্বামী ভেবেছিলাম। আপনি অবিকল আমার স্বামীর মতো দেখতে।

   ---তাই?

   ---হ‍্যাঁ।

   নারীটি এরপর চলে গেলে আমি মুগ্ধ হয়ে তার চলে যাওয়াটা তাকিয়ে দেখলাম।

                        

অনুগল্প || সম্ভব না || সিদ্ধার্থ সিংহ

 সম্ভব না




---- শোনো না, জরুরি দরকারে তোমাকে ফোন করলাম। আমার পক্ষে তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব না।
প্রেমিকা হতবাক। সে বলল, কেন? আমি কী করলাম?
প্রেমিক বলল, আমি তোমাদের বাড়ি গিয়েছিলাম।
--- বাবা কিছু বলেছে?
প্রেমিক বলল, না না, তোমার বোনকে দেখলাম।

কবিতা || দূষণ || অভিজিৎ দত্ত

 দূষণ 






ঘরে,বাইরে দূষণ আজ 


ছড়িয়েছে সর্বত্র 


দূষণের প্রভাবে মানুষ আজ জেরবার 


বেঁচে থাকাটাই অনেকের কাছেই 


মুশকিল হয়ে পড়েছে আজ। 




দূষণকে যদি নিয়ন্ত্রণ 


করতে না পারো 


সভ‍্যতার সেরা জীব মানুষ 


নিজেদের নিয়ে তোমরা 


গর্ব করতে কী পারো?




মনের দূষণ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর 


একে আগে করতে হবে পরিষ্কার 


মহাপুরুষদের জীবনি এক্ষেত্রে


সাহায্য করতে পারে অনেকখানি 


মনকে যদি আলোকিত করতে পারো


দূষণ পরাজিত হবে এবারও ।

কবিতা || আজ ফাগুনে || বদ্রীনাথ পাল

 আজ ফাগুনে




আজ ফাগুনের রঙ্ লেগেছে পলাশ বনে বনে-


মলয় বাতাস দোল দিয়েছে সবুজ সবুজ মনে।


আয় ওরে আয় , আয় রে সবাই আজকে নতুন প্রাতে-


রঙে রঙিন করবো ভুবন হাত মিলিয়ে হাতে।




রঙ লেগেছে কৃষ্ণচূড়ায়, রঙ শিমুলের ডালে,


ডাকছে কোকিল মধুর সুরে ঘোর লাগা সকালে।


মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে বলছে রসাল-কানে,


"বিশ্ব ভুবন মাতিয়ে দেবো উতল প্রাণের গানে"।




শিরিষ নাচে নূপুর পায়ে ঝুমুর ঝুমুর সুরে-


মঞ্জরীদের কাছে ভ্রমর বেড়ায় উড়ে উড়ে !


এলো ফাগুন রঙ্ ছড়িয়ে বসন্ত হিল্লোলে-


নতুন পাতায়, নতুন সাজে, নতুন প্রাণের দোলে।

কবিতা || তবে একটা কথা || নবকুমার

 তবে একটা কথা 




আমি তোমাকে এক তাল মাটি দিচ্ছি 


তুমি তা দিয়ে যা খুশি বানাতে পারো ।




তবে, একটা কথা -


ভুলেও যেন মানুষ বানিও না -।


একটু বড় হলে সে ফন্দি খুঁজবে 


তোমাকে বের করার


হয়তো হত্যাও করতে পারে 


বেশির ভাগ মানুষই বেইমান


ইতিহাস তার প্রমাণ ।




তার চেয়ে একটা কুকুর গড়ো-


কুকুররা বড় বিশ্বাসী 


শেষ জীবন পর্যন্ত তোমাকে ছেড়ে যাবে না 


তোমাকে ভালোবাসবে -।




মানুষেরা ভালোবাসা জানে না 


মুখে শুধু বুলি আওড়ে যায় 


একেকটি কৃতঘ্ন ।

কবিতা || তমসার পারে জ্যোতির্ময় || চাঁদ রায়

 তমসার পারে জ্যোতির্ময়





আলোয় কালোয় মেশানো পথের


অনেক টা আজ পেরিয়ে এসে


পেলাম তোমার আশিস্ প্রভু


পথ হারানোর পথের শেষে। 


আমার মধ্যে ছিলাম আমি


ভাঙালে ঘুম তুমিই এসে


জেগেই হলাম তোমার আমি


তোমাকেই আজ ভালোবেসে। 


আলোর পথে দৃষ্টি আমার


যেখানেই আজ যাচ্ছে মিশে


সেই সীমানার পারেও তুমি


আমার 'আমি' তোমার পাশে। 


যে গানে আজ যে সুর শুনি


মিলছে তোমার সুরে এসে


সব সুরই যে বাঁধা দেখি


সেই সুরের আদি মধ্য শেষে। 


মন্দ ভালো আঁধার আলোর


পেরিয়ে সবের প্রান্তে এসে 


তুমিই দেখি আমার জ্যোতি


 তমসার পারে আলোর দেশে।

কবিতা || নিভন্ত প্রতিবাদী || রাজীব দত্ত

 নিভন্ত প্রতিবাদী




আমারও কিছু চাওয়ার আছে,


আমি হতে চাই অন্ধ,


আমি হতে চাই বোবা,


আমি হতে চাই কালা,


এই ছলনাময় সমাজের,


আমিও একটা জড় পদার্থ।


শিরদাঁড়া গুলো কবে যে ভেঙ্গে গেছে


কবে যে হারিয়ে গেছে মনুষত্ব।


চারিদিকে শুধু মিথ্যে আর বঞ্চনা


চারিদিকে শুধু অসহায়ের কান্না।


প্রতিটা রাতে প্রতারিত হয়,


মানুষ নামক জন্তুর বিবেক আর চেতনা।


হ্যাঁ আমি চাই বোবা কালা অন্ধ হতে,


যাতে শুনতে না পাই সব অন্যায়,


যাতে শুনতে পাই খুনখারাপি আর ধর্ষণ,


সবকিছুতেই অর্থের প্রলোভন।


প্রতিবাদীরাও মরে যায়,


অর্থের ক্ষমতায়।


আমি তো কেবল চুনোপুটি


হারিয়েছি শিরদাঁড়া আর দাঁত কপাটি।


তাই আমি আবারও চাই,


বোবা কালা আর অন্ধ হতে,


যাতে আবার না সামিল হই ঐ রক্তমাখা প্রতিবাদে।



কবিতা || দরজা বন্ধ || আশীষ কুন্ডু

 দরজা বন্ধ 




আজ শুধু ভাবনারা ভালবেসে বলে-


দেখো চেয়ে-



দরজাটা বন্ধ, ওপারে ভিড়


কথার, শব্দের প্রজাপতির 


ব্যঞ্জনাময় ,এ বেপথু মনের 


আলো ফাঁক চুঁয়ে আবেগের !




দরজা বন্ধ, এপারে অভ্যাস 


সময় থমকে , মনের দাস


তমসায় হয়ে গেছি নিমগ্ন


বাদী করাঘাতে,মনটা বিপন্ন !




ওপারে অনড় অতীত পড়ে 


বন্ধ মন রেখে বিকল করে


শব্দের খাঁচায়, নেই জানলা


বিবর্ণ চিঠি রয়েছে খোলা! 




এখন পৃথিবী হয়নি শীতল


গভীরতা অসীম,মনের তল


ভেঙ্গে যাক এই মনদুয়ার, 


জীবন, যৌবন সব অসার।

কবিতা || ছলছল অমর পাথর || সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক

 ছলছল অমর পাথর 




আততায়ী চাঁদ বিছানার ওপর লুটোপুটি খায় 

অসংযমী ভদ্রতায়


 অসুখের ছায়া আরো গভীর,গভীরতর 


বিরল প্রতারকের এমন 


অপার মধুর হাসির বন্যায়। 

সুন্দর প্রাকৃতিক দান তাই বিবর্ণ, 

মৃত্যুখাদে জীবন্ত প্রতিছব্বি প্রতিদিন 


ঘোলাটে হৃদয়ের অস্পষ্ট কর্নিয়ায়। 

ছলছল ভাষা অবিরাম কথায় কথায় 

বিষন্ন পামরের ভূমিকায়। 

কবিতা || নাগপাশ ফেলে || বলাই দাস

 নাগপাশ ফেলে  


 




বাঁকাচোরা পথ জোয়ারের ঢেউয়ে নিঃস্ব হলেও স্বাগত 


তুমিতো একাই মাতিয়ে রাখো ধরিত্রীর হৃদয়, আবার কাঁদাতেও---


প্রেমের মাঝে লুটোপুটি-- তখন খিল্ খিল্ হেসে ওঠে বাতাস কৃষ্ণচূড়ায়। 


চৈত্রের পোড়ামাঠ, মরুস্থলি, থরেরও থাকে একটা সৌন্দর্য-- মাধুর্য---


এতকিছুর পরেও হৃদয়তো পেতে চায় একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ


প্রিয় ভালোবাসার কাছে সবকিছুই হারমানে বসন্তের ছোঁয়ায়। 




ওই সরমিন্দা চাঁদও মেঘের কোলে ডুবতে ডুবতে বেঁচে ওঠে 


সত্য--সুন্দরকে ভালোবেসে--    


যে দিয়েছে হাজার আঘাত তবুও তার জন্য প্রার্থনা, বৃষ্টির একফোঁটা স্বচ্ছ ফটিকজল, অথবা সঙ্গতিপূর্ণ বাষ্পীভূত শিশির পড়ুক ঝরে...

কবিতা || মুখ বদলায় না || উদয়ন চক্রবর্তী

 মুখ বদলায় না 





মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি


আর প্রতিশ্রুতির সুনামিতে


ভেসে যাচ্ছে ইতিহাস -



মৃত্যু সেতো একটা ভাগশেষ


মেমরিতে সংখ্যা হয়ে শুয়ে থাকে


সেখানে খুঁজে দেখা সত্যটা ধূসর


ক্ষমতার জীবাষ্মের বালুচরে




বর্তমান সমুদ্রের আস্ফালন বারংবার


বলে চলে অতীত চিত্রনাট্য রামধনু এঁকে আকাশ রূপ বদলায় বারবার


রাজা বদলায়-মুখ বদলায়


রাজনীতি তার মুখ বদলায় না


রাজার পোষা সরীসৃপ শ্বাপদেরা


পাল্টে নেয় শিবিরের ছাউনি।

কবিতা || ফুল ছিলো না, ছিলো না কবিতাও || ওমর খালেদ রুমি

 ফুল ছিলো না, ছিলো না কবিতাও



দু’জনে অনেক হাঁটলাম

এই প্রোগ্রামটা ইঠাৎই হলো


সবটুকু তোমার দয়া

কখনও ভাবিনি এভাবে সকাল সকাল ডেকে নেবে

এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি


অতোটা প্রেমিক আমি 

যতোটা সড়কের লোকজন ভাবে


মূলত মানুষ যতোটা না সুখ


তার চেয়ে বরং অন্যরা একটু বেশীই ভাবে

কল্পনায় সুখ অনেক




কিন্তু আজ ব্যাপারটা অন্যরকমই হল


তুমি ডেকে নিলে তাই

আশা ছিলো একদিন আমিই তোমায় ডাকবো


আমার হাতে থাকবে কবিতার বই


তোমার খোপায় গোঁজা গোলাপ


তারপর নিরবচ্ছিন্ন হেঁটে চল


এ নগর দেখবে একবিংশ শতাব্দীর শেষ প্রেমিককে


অবলীলায় হেঁটে যেতে


এতো কথা বলার কি দরকার?


দরকার একটু আছে বটে


প্রত্যহ সকাল হয় প্রত্যহ বিকাল




প্রতিটি রাতে যদিও পূর্ণ জ্যোৎস্না হয় না




তবু আজকাল বুকের ভেতর জ্যোৎস্নার বড় আকাল




তোমার সুগন্ধি মাখানো চুলের ঘণ অরণ্যে




যে বাতাস খেলা করে ফেরে




তারপর যখন তারা মাতাল হয়




একশো একটা প্রেমিক ছুটে আসে




পৃথিবীর প্রথম প্রেম

কানায় কানায় ভরে দেয় তার পেয়ালা


আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ

অন্ধ কবি হোমার বীরদের গাঁথা গাইতে গাইতে

এইমাত্র বাংলা একাডেমীর চত্বর অতিক্রম করল


আর আমরা তখন ও


টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পায়ের কাছটাতে বসে

একদল পিঁপড়াকে মিছিল সহকারে যেতে দেখছি


নুন আর লবণ একই বস্তু কিনা

আজকাল এসব নিয়ে বড়ই তর্ক হচ্ছে


একজন দারুণ জ্ঞানী এইমাত্র ছিড়ে ফেললো

একজন বয়স্ক লোকের কোট


সেই কোটের বোতামগুলো সোনার ছিলো

মার্কস এঙ্গেলস লেনিন হাহাকার করে উঠল


সাম্যবাদের তবে এই চেহারা

কোথাও পতন নেই


তবু ভাঙ্গনের শব্দ শুনি কান পাতলেই

যারা ওপারে গেলো তারা বাঙ্গাল হলো বটে


বিহারীরা তো তবে একটা কিছু না হয়েই রয়ে গেল

পরাজয় আর দুর্ভাগ্য কখন যে কাকে তাড়া করে


সে কথার কিছুই আগাম বলা যায় না


আমি সহস্র পাতার একটি কবিতা লিখতে চেয়েছিলাম


এখন দেখছি সহস্র লাইন জোগাড় করাই কঠিন

মাটির টুকরোগুলোকে যারা অমৃতে ভরা বিস্কুট ভেবে খায়


তাদের ক্ষুধার চেয়ে নির্বুদ্ধিতাকেই বড় করে দেখা হয়


সবাই হাততালি দিলো


কারণ এইমাত্র একজন নেতা


একটি ছোট্ট বক্তৃতা শেষ করলো ... ঠিক তার পরই অন্তর্হিত হলো


একটি বুলেট তাকে শহীদের মর্যাদা এনে দিলো


আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখলাম


তোমার খোপায় গোলাপ নেই


আমার হাতে নেই কবিতার বই


সাপ আর বিচ্ছুদের রাজত্বে


একটি মৃত হরিণের শরীর


ঠিক ততক্ষণই পড়ে থাকে


যতক্ষন সময় লাগে ব্যাক্টেরিয়ার তাকে পঁচাতে

এ লাশ জানি কেউ নেবে না

না এ মাটি


না এ জল


সাহসী যারা তারা চলে গেছে সেই কবে


আমি শুধু তাদের গোঙানিটাই শুনেছিলাম


যারা অসহায় যারা মলিন যারাবিবর্ণ


খুশী হওয়ার মতো কোন উপলক্ষ্য তাদের জীবনে আসেনি


আজকাল জিডিপি নিয়ে খুব কথা বলা হয়


ভাবনা চলছে মাথা পিছু আয় নিয়েও


এসব যে শুধু সংখ্যা তা কে কাকে বোঝাবে


আমাদের যেতে হবে বহুদূর


অনেকগুলো সুন্দর সকাল


অনেকগুলো আনন্দঘণ বিকেল


এক সুঁতোয় বাঁধতে পারলে তবেই না স্বাধীনতা

আমাদের কাঙ্খিত সকালগুলো এখনও আসেনি


আমাদের সোনালি বিকেলগুলো এখনও অধরা


তোমার বাহুর বন্ধনে বাঁধা পড়ার প্রত্যাশী

অজ যুবককে  আমি দেখলাম চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে


তোমার আগুনে পোড়ার জন্যে প্রস্তুত


অনেকগুলো পতঙ্গকে আমি দেখলাম এক জায়গায় জড়ো হয়েছে


আহা! কতোই না ভালো হতো


যদি আমিও তাদের একজন হতাম


তাহলে হয়তো এরকম একটা আস্ত নগরী


আমার হাঁটতে হতো না তোমাকে পাশাপাশি নিয়ে

প্রেমিক না হওয়ার শর্তেই তো


তুমি আমায় বিশ্বাস করেছিলে


তারপর কতো দুর্ভোগ পোহাতে হল


আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে


আমরা এক একজন তীব্র দার্শনিককে


পেছনে ফেলে সামনে আগালাম


খসরুর কবিতা, গালিবের শের


হাফিজের গান আর খৈয়ামের রুবাই


আহা কতো মধুর ছিলো তানসেনের সু

পৃথিবীর প্রথম পাথর যেদিন

মাটি ফুঁড়ে বাইরে বেরিয়ে এলো


সেটাই ছিলো তার প্রথম চোখ


সেই চোখে সে যা কিছু দেখেছে


একে একে সব হয়েছে পাথর


আমাদের ভরসাগুলো ক্লান্তিতে