Posts

Showing posts from November, 2022

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -29

Image
  নয়  বিকেল বাড়ীর জানালার পাশে বসেছিল দেবীদাস। ছুটির দিন। মুকুলের সাথে সিনেমা যাবে। বাড়ী হতে ফোন করল মুকুলকে। সে সিনেমা যাবে না কারণ ওর মা অসুস্থ। তাহলে বিকেলটা কাটাবে কেমন করে চিন্তা করছিল। হঠাৎ রন্টু উপস্থিত হয়ে, দেবীকে বেরুতে বলল, দেবী রাজী।  দুই বন্ধুতে ট্যাক্সির মধ্যে আলোচনা হলো তাদের গন্তব্য স্থান কোথায়। রন্টুর মনের অভিপ্রায় তার জানা ছিল না। তারা উপস্থিত হলো এক নিষিদ্ধ পল্লীতে, সেখানে দেহের কারবার নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা চলছে। দেবীদাসের জানায় বাইরে ছিল রন্টু এই নোংরা পরিবেশে এনে উপস্থিত করবে।  দেবীদাস ভীষণ অপমান করল রন্টুকে। ঐ পল্লীতে কোন প্রকারে থাকতে মন চাইল না তার। সেই মাত্র ওখান হতে বেরুবার চেষ্টা করল, কোথা হতে এক ডানা কাটা পরী অর্থাৎ অপূর্ব সুন্দরী রমনী তার পথকে অবরোধ করে বলল, আমাদের কুঞ্জে যখন এসেছেন তখন ভেতরে প্রবেশ না করে চলে যাচ্ছেন কেন?  মেয়েটির কোন কথা ভ্রূক্ষেপ না করে আগের মতো পা বাড়াতেই সে তার হাত দুটো ধরে ফেলল, এক কাপ কফি না খাইয়ে কোন মতেই যেতে দেবো না। কোন প্রকারে সুন্দরীর কাছে নিজেকে মুক্ত করতে পারলো না দেবী। বুঝতেও পারলো নন্সা কোন যাদু মন্ত্রের ক্রিয

ছোট গল্প - ভুতুড়ে ট্যাভার্ন || লেখক - বৈদূর্য্য সরকার || Written by Boidurjya Sarkar || Short story - Vuture tavarn

Image
  ভুতুড়ে ট্যাভার্ন বৈদূর্য্য সরকার 'ঋতুপর্নের ফিল্মের ইন্টিরিয়ার কৈশোরে কল্পনা করে , মধ্যতিরিশে যাদের ঘরদোর জীবন হয়ে যায় স্বপন সাহা মার্কা... তারা সব এসে জোটে বন্দুক গলিতে ।' শুনে রে রে করে ওঠে পিনাকি । সে এখনও বুঝতে চায় না, আমাদের মতো এখানকার সবার জীবনের চিত্রনাট্য লেখা শেষ হয়ে গেছে এবং তা চূড়ান্ত ফ্লপ । আমি হেসে বলি, আর তো ক’টা দিন... তারপর তাড়াতাড়ি বুঝে যাবি নিয়তির মানে কী ! আজ পিনাকির জন্মদিন । সব বড় বড় লোকের মতো সে গ্রীষ্মের জাতক । এক আধুনিক জ্যোতিষের কাছে শুনেছি, গরমকালে জন্মানো লোকেদের তাকদ অন্যদের থেকে বেশি হয় । সূর্যের তাপ ওরা ধারণ করতে পারে । সত্যি মিথ্যে জানি না, তবে এটা ঠিক পিনাকির উত্তাপ উদ্দীপনা খানিক বেশি । বড় একটা আলসেমি তাকে মানায় না, বিস্তর দৌড়ঝাঁপের কাজ । সেজন্যে দরকার যথেষ্ট ফুয়েল ফর ইন্টারন্যাল সিস্টেম। আমি অবশ্য ইদানিং ওর সাথে পাল্লা দেওয়ার অবস্থায় থাকি না মধ্যতিরিশে এসে। তাছাড়া বসারও সুযোগ হয় না বিশেষ । দু'বছর অবশ্য লকডাউন আর করোনাতেই কেটে যাচ্ছে । নয়তো ট্যাভার্ণে দু’পাত্তরের ব্যবস্থা হতো । এখন সবার অবস্থা হয়েছে আত্মহত্যাপ্রবন । আগে এ কথা পদ্যেই ব্যবহ

ছোট গল্প - লোনাজলে হাবুডুবু || লেখক - রানা জামান || Written by Rana Zaman || Short story - Lonajole Habudubu

Image
  লোনাজলে হাবুডুবু  রানা জামান ফিরে যাচ্ছে দুই ছেলে রবিউল আহমেদ ও সায়মন আহমেদ। সাথে বিদেশি স্ত্রী ও সন্তানগণ। নায়লা আহমেদ ওদের বাড়িতে ঢুকতে দেন নি। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে দুই ছেলের কেউ আসে নি জানাজায় অংশ নিতে। এক বছর পরে এসেছে বেড়ানোর মনোভাব নিয়ে বাবার কবর জিয়ারত করতে।  মা নায়লা আহমেদ ওদের বাড়ির ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে বললেন, আহমেদ বাড়ি এখন আর কারো বাড়ি নেই। এই বাড়ি এখন জামশেদ বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধাশ্রমে কোনো জোয়ান ছেলেমেয়ের স্থান হয় না! ওরা বৃদ্ধ হবার পর সন্তান কর্তৃক অবহেলিত হয়ে এখানে এলে আশ্রয় মিলতে পারে! বিদেশি দুই স্ত্রী নায়লা আহমেদের কথা না বুঝে তাকিয়ে থাকলো নিজ নিজ স্বামীর দিকে; আর রবিউল আহমেদ ও সায়মন আহমেদ বিস্মিত হয়ে মার দিকে তাকিয়ে নিস্প্রাণ হাসার চেষ্টা করছে। দুই ছেলের দুই সন্তান মার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে।  রবিউল বললো, মা, তুমি ঠাট্টা করছো আমাদের সাথে। নায়লা আহমেদ বেশ রুক্ষ্ণ কণ্ঠে বললেন, তোদের সাথে কি আমার ঠাট্টার সম্পর্ক?  খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ছুটে এসেছে জামশেদ বৃদ্ধাশ্রমের সামনে। এ বিষয়ে গ্রামের কেহই নায়লা আহমেদের সাথে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।  সায়মন আহমেদ এগিয়ে এসে বললো, তখন আ

ছোট গল্প - অভদ্র || লেখক - সান্ত্বনা ব্যানার্জী || Written by Sawntana Banerjee || Short story - Aovdro

Image
  অভদ্র   সান্ত্বনা  ব্যানার্জী                      কি বাজে জায়গায় বাড়িটা নেওয়া হয়েছে বাবা! ঘরে বসে থেকেই যত সব বাজে লোকের মুখ খারাপ শুনতে হয়!.....খুব বিরক্ত গলায় বলে রিমি।অফিস যাওয়া আসার পথে বাবা মাকে দেখাশোনার সুবিধের জন্যই এখানে বাড়িটা নেওয়া হয়েছে সেটা ভুলে যায়।আর অবাক হয়ে দেখে যে লোকটার বিরুদ্ধে ওর এতো অভিযোগ সেই লোকটাই তরতর করে বাবার ঘরে ঢুকে এলো!.....এই জাম কয়টা রাখেন কাকা, এই মাত্র বাজারে দেখতি পেয়ে কিনে নিলাম।সেদিন খুঁজছিলেন না!বহুত ভালো জেতের জাম গুলো,খুব মিষ্টি!....বলেই জামের ঠোঙা টা বাবার সামনে নামিয়ে দিয়ে আবার তেমনই তরবর করে চলে গেলো। রাস্তার উল্টো দিকেই ওর মনোহারী জিনিসের দোকান।বাবা আমতা আমতা করে বলে......নারে,একটু মুখ খারাপ করে বটে,তবে মনটা ভালো,খুব উপকার করে,খোঁজ খবর নেয়।এটা ওটা বাজার থেকে এনে দেয়।.....আরও রেগে যায় রিমি......তবু একটা ক্লাস নেই!ওই ধরনের লোক যখন তখন বাড়ির মধ্যে চলে আসবে!..... গজ গজ করতে থাকে রিমি।বাবা ওকে থামানোর চেষ্টা করে.....যাক গে, ছাড়, চা খাবি তো?তোর মা চা করছে। বিস্কুটের কৌটো টা বাড়িয়ে ধরে সামনে। আপাতত থেমে যায় রিমি,কিন্তু ম

ছোট গল্প - রিকভারি স্টেজ || লেখক - ডা: অরুণিমা দাস || Written by Arunima Das || Short story - Recovery stage

Image
  রিকভারি স্টেজ ডা:  অরুণিমা   দাস ডা: রায় নিজের চেম্বারে বসে পেশেন্ট প্রোফাইল গুলো চেক করছিলেন। পেশায় একজন বড়ো সাইকিয়াট্রিস্ট ডা: সুশান্ত রায়। রোগীদের মানসিক স্বাস্থের প্রতি খুবই যত্নবান তিনি।খুব মন দিয়েই ফাইল গুলো দেখছিলেন। হঠাৎ দরজায় কেউ নক করলো, মে আই কাম ইন ডক্টর। ফাইল থেকে মুখ তুলে দেখলেন সিস্টার অহনা চেম্বারে ঢোকার জন্য অনুমতি চাইছেন। একগাল হেসে ডা: রায় বললেন ইয়েস,প্লীজ কাম ইন অহনা। অহনা এগিয়ে গিয়ে একটা ফাইল তুলে দেয় ডা: রায়ের হাতে, আর বলে স্যার এটা মোনালিসার ফাইল, ও এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ আছে। মেডিসিন গুলোও সময় মত খাওয়াচ্ছি। স্যার ওকে কবে নিয়ে যেতে পারবো বাড়ী, সময় এলেই নিয়ে যেতে পারবেন,বললেন ডা: রায়। বলেই চট করে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন ফাইলটাতে। হেসে বললেন অহনা ইট ওয়াস নট পসিবল উইদাউট ইউ। অহনা বলল স্যার আমি তো শুধু কেয়ার নিয়েছি ওর, আর আপনি তো ওকে অ্যাসাইলামে আনা থেকে শুরু করে প্রপার মেডিসিন আর রেগুলার কাউন্সেলিং করে রিকভারি স্টেজে নিয়ে এসেছেন। ডা: রায় হেসে বললেন এটাই তো আমার কাজ সিস্টার। আর এই কাজের মধ্যে এক অদ্ভুত প্রশান্তি খুঁজে পাই আমি। একগাল হে

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -28

Image
  দেবীদাসের সাক্ষাৎ ডায়েরীতে ভদ্রলোকের নামতো নেই-ই, এই প্রথম দেখল ভদ্রলোককে। তবে কি তার বাবার সাথে পরিচয় আছে! হতে পারে, বাবার সাথে বহুজনের পরিচয় আছে যেহেতু তিনি একজন বিগ ইন্ডাষ্ট্রিয়ালিষ্ট।  ওর পরিচয় জানতে চাইলে পর প্রথম প্রশ্নের উত্তর চাইলেন ড্রাইভার। উত্তর দিয়ে জিজ্ঞেস করলে দেবী রায়, বাবাকে আপনি চেনেন? না। কিন্তু আপনার সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনে ফেলেছি। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি।  ব্যাকগ্রাউন্ডের তথ্য? চমকে উঠলাম ওর কথা শুনে। দেবীদাসের অতীত নোংরামীতে পরিপূর্ণ তার অজানা নয় ।  মুকুলকে জানতেন ?  মুকুল অর্থাৎ মুকুল বক্সী এই শহরের খ্যাতনামা এ্যাডভোকেট তারাপদ বক্সীর একমাত্র আদুরে কন্যা। কি মনে পড়েছে?  ট্যারা চোখে তাকিয়ে পুনরায় বলতে শুরু করলেন, গভীর ভালোবেসে কেনই বা আপনাকে ত্যাগ করল।  অন্তর্যামী ভদ্রলোকের কথা গুলো শুনেই ঘামতে শুরু করলো। ও মনে মনে চিন্তা করতে থাকলো মুকুলের কথা কোন দিন কোন মুহুর্তের জন্য ভুলতে পারেনি সে। ওর সাথে কি করে ভালোবাসা হয়েছিলো তা আজ অবধি মনে আছে। সে একজন এমন স্মার্ট মেয়ে ছিলো যে কোন ইয়ং ছেলে ওর কাছে ঘেঁসতে পারতো না। মেলামেশা তো দূরের কথা,

ছোট গল্প - বদ || লেখক - অলভ্য ঘোষ || Written by Alabhya Ghosh || Short story - Bod

Image
      বদ   অলভ্য ঘোষ  আমি তখন স্কুলে পড়ি একটি ছেলে বখে গিয়েছিল।লুকিয়ে লুকিয়ে বিড়ি সিগারেট খেত কেবল না গঞ্জিকা সেবন ও করতো।আমাকে অনেকে বারণ করতো ও খারাপ ছেলে তুই ভালো ছেলে ওর সাথে মিশিস কেনো।খারাপ হয়ে যাবি।আমার ভালো ভালো ছেলে গুলোর চাইতে খারাপ ছেলেটাকেই বেশি ভালো মনে হতো।কারণ তার ভালো সাজার কোন দায় ছিলনা।কে তাকে খারাপ বলবে তাতে তার কিছুই যেত আসতো না।আর আতু আতু পাতু পাতু ভালো ছেলে গুলোর ছিল সর্বদা লোকের কাছে ভালো হবার চেষ্টা।গজ-দম্ভ মিনারে বাস!আমার মনে হত একটা খারাপ ছেলে যদি একটা ভালো ছেলেকে খারাপ করেদিতে পারে তবে একটা ভালো ছেলে একটা খারাপ ছেলেকে কেন ভালো করতে পারবে না।যদি সে সত্যিই ভালো হয়।যদি ভালো ছেলেটা খারাপ ছেলেটার ভালো না করতে পারে তবে ভালো ছেলেটার ভালো গুণে খামতি আছে।অমন ভালো হওয়ার চাইতে না হওয়া ভালো। আমি ছেলেটার সাথে স্কুলে যেতাম।ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী ,নেতাজি সুভাষ-চন্দ্র বসু,মাস্টারদা সূর্য সেন, বাঘা যতীন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার,মাতঙ্গিনী হাজরা, রবিনহুড প্রতিদিনই এক একটা গল্প শোনাতাম। "উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে,  তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে !" ছেলেটা আমাকে একদি

ছোট গল্প - যমজ || লেখক - অমিত কুমার জানা || Written by Amit Kumar jana || Short story - Jomoj

Image
    যমজ অমিত   কুমার   জানা অনুপ এবং অজিত দুই যমজ ভাই। দুজনকে দেখতে হুবহু একই রকম এবং হাঁটা চলার ধরনও প্রায়ই একই। তবে ছোটবেলা থেকে পাঁচ মিনিটের ছোট  অজিত অনুপের চেয়ে বেশ দুষ্টু। অজিতের এই দুষ্টুমি বড় হওয়ার সাথে সাথে কমলো না,বরং বদমায়েশিতে পরিণত হলো। সে বিভিন্ন ধরনের অকাজ কুকাজ করে আনন্দ পেতে শুরু করলো। এদিকে অনুপ কলেজের পড়াশোনা শেষ করে পুলিশের চাকরি পেল। অবশ্য এর জন্য তাকে নিয়মিত অনেক পরিশ্রম এবং পড়াশোনা করতে হয়েছে।  অজিত কলকাতার একটা কলসেন্টারে কাজ করতো। এতেও তার ধৈর্য্য ছিল না। মাঝেমধ্যেই কারণে অকারণে বাড়ি চলে আসতো। ইতিমধ্যে কলকাতা সহ সারা পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সংকট রেখা অতিক্রম করলো। কলকাতায় শয়ে শয়ে মানুষ সংক্রামিত হলো এবং মারা যেতে লাগলো। করোনার ভয়ে অজিত বাড়ি ফিরে এলো, মেদিনীপুর শহরে। এদিকে অনুপ করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ গৃহে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। সে বাড়ির বাইরে সচরাচর বেরোয় না। অনেক দিন পর অজিতকে দেখে মা উলপীদেবী ভালো মন্দ রান্না করে খাওলেন এবং তাকে সাবধানে থাকতে বললেন। কারণ ভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার না করলে নির্ঘাত করোনা

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -27

Image
  দেবীবাবু ধীর কণ্ঠে বললেন, আমার সাথে আসুন। তিনি পাশের রুমে গিয়ে একটা বড় আয়নার কাছে গিয়ে নিজের চেহারাকে দেখিয়ে বললেন, ঐ লোকটাই আপনার দাদাকে খুন করেছেন।  দেবীবাবু - । আপনি আমার দাদাকে খুন করেছেন? হ্যাঁ।  আপনাকে ছাড়বো না দেবীবাবু। আজ হত্যাকারীর রক্ত দিয়ে ভ্রাতৃহত্যার তর্পণ করবো। ছুরিখানা উপরে তুলে দেবীবাবুর বক্ষে বিদ্ধ করতে যাবো এমন সময় দৈববাণীর মত ময়নার কণ্ঠস্বর আমায় ওপথ থেকে বিরত করলো। মনে হল ময়না যেন বলছে, মা, বাবাকে হত্যা করছ - মা, বাবাকে খুন করছ - মা তুমি ; ওকথা শুনে ছুরি হাতে নিয়ে নিথর হয়ে স্টাচু হয়ে পড়লাম। পারলাম না। দেবীবাবুর বুকে ছুরিখানা বসিয়ে দিতে। আমার সমস্ত প্রতিহিংসা ক্রোধ এ মুহুর্তে অগ্নিতে জল ঢালায় শীতল হয়ে গেল। কে যেন জোর করে আমার হাত হতে ছুরিটা ছিনয়ে নিলো। পিছন হতে ময়নার ঐ কণ্ঠস্বর আবার যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ‘মা বাবাকে মেরো না ওখানে না দাঁড়িয়ে টলতে টলতে বারান্দয় এসে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকলাম। দাদাকে উদ্দেশ্য করে বললাম, আমি পারলাম না দাদা, তোমার শত্রুকে শেষ করতে পারলাম না। আমার এই সাময়িক হৃদয় দৌর্বল্যের জন্য তোমার আত্মার নিকট