Posts

Showing posts from March, 2022

100 দিনে কাজে (MGNREGS) পশ্চিমবঙ্গে গ্রুপ সি তথা গ্রাম রোজগার সহায়ক (GRS) পদে প্রচুর নিয়োগ || WB GRS Recruitment 2022

Image
  ##চাকরি প্রার্থীদের জন্য আমাদের রাজ্যে নতুন সুখবর। রাজ্যে আমার 100 দিনের কাজে গ্রুপ সি তথা গ্রাম রোজগার সহায়ক(GRS) পদে কর্মী হতে চলেছে। রাজ্যের 23 টি জেলার প্রতিটি চাকরি প্রার্থী (পুরুষ ও মহিলা) এখানে আবেদন করতে পারবেন। চাকরি সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল।   কোন পদে নিয়োগ হবে: 100 দিনের কাজের (MGNREGS) জন্য গ্রুপ সি তথা গ্রাম রোজগার সহায়ক (GRS) পদে। শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদন করতে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক পাশ হতে হবে। তাছাড়া প্রার্থীর সঙ্গে থাকতে হবে কমপক্ষে ছয় মাস কম্পিউটার সার্টিফিকেট। আবেদন কিভাবে করবেন: অফলাইনের মাধ্যমে  এখানে  আপনি করতে পারবেন। আপনাকে নীচে দেওয়া অফিশিয়াল নোটিফিকেশন থেকে আবেদনপত্র টি ডাউনলোড করতে হবে। তারপর সেটির প্রিন্ট আউট করে ফর্ম ফিলাপ করে নেবেন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জুড়ে দেবেন এবং সেটি খামে ভরে পোস্ট করবেন নীচে দেওয়া ঠিকানায়। প্রার্থী নির্বাচন পদ্ধতি:  কোনো লিখিত পরীক্ষা প্রার্থীদের দিতে হবে না। সরাসরি নির্বাচন করা হবে। প্রার্থী দের একটি মেরিট লিস্ট তৈরি হবে সেই লিস্টের ভিত্তি করেই চাকরি দেওয়া হবে। 

রাজ্যে পোস্ট অফিসে সরাসরি নতুন নিয়োগ || WB Postal Reqruitment 2022 || Indian postal recruitment || Postal agent recruitment

Image
    ##পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পোস্ট অফিসে নতুন নিয়োগের সুখবর। সরাসরি কর্মী নিয়োগ হবে  পোস্ট অফিসে। মাধ্যমিক পাশেই কর্মী নিয়োগ করা হবে। তাই আপনি যদি শুধু মাধ্যমিক পাশ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রতিটি প্রার্থী(মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতা) আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নিয়োগ টি হবে পোস্টাল এজেন্ট পদে। নীচে সমস্ত বিবরণ আলোচনা করা হল- শূন্যপদের নাম : পোস্টাল এজেন্ট ( Postal Agent) পদে নিয়োগ হবে। বিভিন্ন সর্কেল অনুযায়ী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক পাশ বা তার সমতুল্য যোগ্যতায় আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অগ্রাধিকার পাবেন যদি আপনার কম্পিউটার এর জ্ঞান থাকে। আবেদন কারীর বয়সসীমা :  ১৮ বছর বা তার বেশি বয়স হতে হবে। আবেদন পদ্ধতি : আপনি অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অফলাইন এ কিভাবে আবেদন কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিসিট করুন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক নীচে দেওয়া আছে তা ক্লিক করুন। তাছাড়া নীচে দেওয়া ইমেইল এড্রেসেও আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলি মেইল করেও আবেদন করার সুযোগ পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট : ১) মাধ্যমিক এডমিট বা বয়স

রাজ্যে বনদপ্তরে কর্মী নিয়োগ || Forest department recruitment 2022 || বনদপ্তরে নতুন নিয়োগ || বেতন- ২২ হাজার ৪০০ টাকা

Image
  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বন দপ্তরে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথোরিটি- এর তরফ থেকে। অফলাইন এবং অনলাইন দুই ভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে দেওয়া হল- West Bengal Zoo Authority Research Assistant Recruitment আবেদনের মাধ্যমঃ অফলাইন এবং অনলাইন। পদের নামঃ রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট (Research Assistant) বেতনঃ 22 হাজার 400 টাকা প্রতি মাসে বেতন পাবেন। বয়সসীমাঃ ৩৫ বছরের নীচে। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কমপক্ষে ৫৫% নম্বর পেয়ে Zoology/ Wildlife বিষয়ে M.Sc করা থাকতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে ভালো অ্যাকাডেমিক রেকর্ড। শুন্যপদঃ 1 টি  নিয়োগ প্রক্রিয়াঃ  ইন্টারভিউয় দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন হবে। ইন্টারভিউ স্থান ও তারিখ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ জানোনো হবে। চাকরির ধরনঃ কন্ট্রাকচুয়াল। আবেদন প্রক্রিয়াঃ  অফলাইন এবং অনলাইন সব মাধ্যমে ই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অফলাইন এর ক্ষেত্রে ফর্মটি ডাউনলোড করে নিন। অফিসিয়াল নোটিশ এ ফর্মটি পাবেন। অফলাইনে আবেদন পত্র কোথায় জমা করবেন- পূরন করা ফর্ম সহ অন্যান্য ডকুমেন্টের জেরক্স এই ঠিকানায় পাঠাবেন - Director, North Beng

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে স্থায়ী পদে গ্রুপ-ডি পিয়ন নিয়োগ || punjab national bank recruitment 2022 || মাসিক বেতন 14,500 টাকা

Image
  ##পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে জেলায় জেলায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের সাব অর্ডিনেট ক্যাডারে পিয়ন (Peon) পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। বর্তমানে নদীয়া জেলার সার্কেলের ব্যাংক গুলি তে পিয়ন পদে কর্মী নিযুক্ত করা শুরু হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল- Permanent Group D Peon Recruitment in PNB Nadia পদের নামঃ   পিয়ন (Peon) মাসিক বেতনঃ   প্রতিমাসে 14,500 থেকে 28,145 টাকা বেতন পাবেন ‌ এছাড়া পাবেন অন্যান্য ফেসিলিটি। বয়সঃ বয়স অবশ্যই 18 থেকে 24 বছরের মধ্যে হতে হবে। ST, SC, OBC সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।   শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ   উচ্চমাধ্যমিক পাশ। এছাড়া ইংরেজি পড়া এবং লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে।  নিয়োগের স্থানঃ নিয়োগ হবে নদীয়া জেলার বিভিন্ন শাখায়। তাই আবেদনকারীকে হতে হবে নদীয়া জেলার স্থায়ী বাসিন্দা।  শুন্যপদঃ   15 টি (SC-3, ST-1, OBC-3, UR-7, EWS-1)  আবেদন প্রক্রিয়াঃ  দরখাস্তের আকারে একটি ফর্ম বানিয়ে নিতে হবে। দরখাস্তে তে সমস্ত তথ্য দিতে হবে তা নীচে দেওয়া হল। এই দরখাস্তের দরকারি নথিপত্র সেঁটে দিতে হবে। একটি খামে ভরে খামটি নিচের দেওয়া ঠিকানায় পাঠাতে হবে।   দরখাস্তে যেসমস্ত তথ্য দিতে হবেঃ PNB Nad

পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পাশে 16000 শূন্যপদে Axis Bank কর্মী নিয়োগ || WB Axis Bank Recruitment 2022 || Axis Bank recruitment 2022

Image
##পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে  উচ্চ মাধ্যমিক পাশে  কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে Axis Bank এ। আপনি যদি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকেন এবং আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য বড় সুখবর এটি। আবেদন প্রক্রিয়া  ইতিমধ্যেই  শুরু হয়েছে।  প্রায় 16000 এর বেশি কর্মী নিযুক্ত হবে এখানে । আপনাকে কোনোরকম লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না, নিয়োগ হবে সরাসরি ইন্টারভিউ এর  মাধ্যমে এটা একটা বড় সুখবর। নীচে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল। কোন কোন পদে নিয়োগ : এখানে যোগ্যতা অনুযায়ী  বিভিন্ন রকম পদ আছে। কিছু পদের নাম নীচে দেওয়া হল- Business loan officer Banking unit RO RB-LL Regional business officer Officer sales SA Relationship officer RO Branch relationship officer CSO Regional business manager Assistant manager RL Customer sales manager Officer sales Unit management officer SBB মোট শূন্যপদ : এখানে মোট 16000 টি শূন্য পদ রয়েছে ।    শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চমাধ্যমিক পাস এবং গ্রাজুয়েশন পাশ থাকলেই আবেদন করতে পারবেন।   বয়স :  18 থেকে 40 বছরের মধ্যে  আপনার বয়স হতে হবে। আবেদন মূল্য : বিনামূল্যে আবেদ

পশ্চিমবঙ্গে বন্ধন ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগ || WB Bandhan Bank Recruitment 2022 @bandhanbank.com

Image
      পশ্চিমবঙ্গে বন্ধন ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগ || WB Bandhan Bank Recruitment 2022 @bandhanbank.com ##রাজ্য জুড়ে বন্ধন ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগের হবে। বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। তাছাড়া এখানে চাকরি পাওয়া সোজা। শুধু বায়োডাটা ও ডকুমেন্ট জমা মাধ্যমেই আপনার চাকরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় না এখানে। সরাসরি নিয়োগ হয়। বর্তমানে বন্ধন ব্যাংকে কর্মীর প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে। তাই নিয়োগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধুমাত্র মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেই এই ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। আবেদন করলেই   এখানে  চাকরি হয়ে যায়। বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল-- কোন কোন পদে নিয়োগ হবে: বিভিন্ন যোগ্যতায় বিভিন্ন পদ রয়েছে। পদ গুলি হল- 1. Analytics/BIU/Corporate Strategy 2.Agri Business 3.Administration 4.Banking Operations & Customer Services 5.Audit 6.Branch Banking 7.Compliance 8.Corporate Salary 9.Corporate Services 10.Digital Banking 11.Housing Finance 12.Finance & Accounts 13.Human Resources

Photography || Amit pal

Image
 

Photography || Sohini shabnam

Image
 

Composition || A FEW TRUTHS! || Kunal Roy

      A FEW TRUTHS!                     As I was preparing to leave the college after a hectic day's schedule, I was faced by the dark, black clouds that really looked sullen and it was thought for a while that they would melt into rains, bringing a sense of relief not only to Georgians but to the rest of the city dwellers. But the mere wish was not translated into reality. However, there was a strong, cold wind to serve as a consolation! Truly at times, what we think or nurture, mostly latent desire at the corner of our heart , is either partially fulfilled or not at all and therefore leaving us at the lurch! However, the most tormenting moment crops us when we really fall prey to the web of a horrendous make - believe world! No matter how much we have got or achieved, a single pit fall seems to tear apart this soul. We shed tears. We scream, hurt ourselves or at the most blame others blatantly without any reason as such. What an unscrupulous act indeed! Little we do realise th

রম্যরচনা || অন্ধকারের উৎস হতে || সামসুজ জামান

  অন্ধকারের উৎস হতে                     “ অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো...” এই আলোর গুরুত্ব আমাদের জীবনের জন্য নেহাত কিছু কম নয়। বরং বলা ভালো সময়ে সময়ে সেই আলো স্বর্গীয় দীপ্তিতে আমাদের জীবন যৌবনের প্রতিটা প্রতিটা মুহূর্ত কে আরো অনেক বেশি উদ্ভাসিত করে দেয়।                        আমার আন্দামানের শিক্ষকতা জীবনের সামান্য একটা ঘটনা। এমনিতে সম্পূর্ণ শিক্ষকতা জীবনে হাতেগোনা দু-একদিন মারধর করেছি। কিন্তু সেদিন দয়াল নামের অত্যন্ত দুরন্ত একটি ছাত্রকে মারার ফল খুব বিপদজনক হবে সেই চ্যালেঞ্জের মুখে এক সহকর্মী খানিকটা বাজেভাবে আমায় ঠেলে দিয়েছিল। ক্লাসে পড়াচ্ছিলাম জীবনানন্দের কবিতা। ঠিক সেসময় খুব ঔদ্ধ্যত্যের সঙ্গে ক্লাসের বাইরে থেকে দুলালের আগমন। দুম করে বিঘ্ন ঘটানোয় অসহ্য হয়ে বেধড়ক মার দিয়েছিলাম দয়ালকে। দুলাল নাকি খুব বাজে ছেলে? কিন্তু মাথা নত করে আমার মার আশ্চর্যভাবে নীরবে সহ্য ক’রে আমার মনের অন্ধকারে দুলাল আলো উৎসারিত করেছিল সেদিন। কোন ঔদ্ধত্যের প্রকাশ' নয় বিনয়ের সঙ্গে দুলাল মাথানত করে বলেছিল "স্যার, আর কোনদিন এরকম ভুল করবোনা স্যার!"   সঙ্গে সঙ্গে আমার উপলব্ধিতে নিজে

রম্যরচনা || গল্প লিখতে হবে || সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

  গল্প লিখতে হবে      নাটক, গল্প আমার দ্বারা সম্ভব নয় জেনেই কি এই আব্দার! যেমন শিশু জেনে বা না জেনেই বোধহয় তার বুড়ো দাদুর কাছে আব্দার করে ঘাড়ে ক'রে বেড়াতে নিয়ে যাবার। বায়না ধরে। দাদু তখন নিজের শরীরের বিভিন্ন ধরনের অসুখে জেরবার! তাতে কী! শিশুর আব্দারের মূল্য কি নেই! তবু দাদু ছুটি পায় না। আমারও বোধহয় সেই অবস্থা। কিন্তু অগত্যা--    কলম ধরেছি।হয়তো কিছু একটা দাঁড়াবে শেষমেশ। সেটা গল্প কিনা বলতে পারবো না। প্রত্যাশা বেশি হলে সেখানে ত্রুটি থাকবেই। সেই ত্রুটিমুক্ত কিছু লেখা বাংলা সাহিত্যের পক্ষে বর্তমানে প্রচুর গল্পকারের কাছে নিন্দনীয় হতে পারে।কিংবা মঙ্গল বা অমঙ্গলও হতে পারে। যদিও সেটার বিচার করার ভার অবশ্যই আপনার।    একদিন এক অল্পবয়সী ছেলে বাবার কথায় সাড়া দিয়ে সব ফেলে নামলো জীবন নদীর তীরে নৌকো না পেয়ে। লাভ হয়েছে।      অনেকেই পেরিয়ে গেছে কিন্তু সে পেরোতে পারেনি।       পৃথিবীর মাঝে সে একা বিবর্ণপ্রায় দিন কাটায় আজও। তার কথা ভুলেও কেউ মনে রাখে না আর। তার নাম কী দেব বলোতো! সেতু নাকি তক্তা হীন কাঠের পোল।! বিধাতা পুরুষ নাকি নারী সে দ্বিধা দ্বন্দ্ব যেমন থাকবে বা আছেও। তব

গল্প|| অবিকল || আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস

                          অবিকল                   আমার এক বন্ধুর নাম মজিবুর। একটা সেকেন্ডারি স্কুলে সে শিক্ষকতা করে। বিরাট এক বড়লোকের মেয়ের সাথে তার বিয়ে হচ্ছে। অনেক টাকা পয়সা এবং সোনা দানা তাকে উপহার দিচ্ছে। বিয়েতে সে আমাকে বরযাত্রী বলেছে। আমি তার বিয়ের বরযাত্রী এসেছি। বউ দেখতে খুব সুন্দরী। নাম নার্গিস। খেতে খুব ভালো দিয়েছে। খাওয়াদাওয়া সেরে সবাই একটু ঘুরতে বেরিয়েছে। কিন্তু আমি না বেরিয়ে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি। আমার সাথে কেউ নেই। আমি আর আমি ছাড়া। দাঁড়িয়ে আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে টানছি। সিগারেট, বিড়িতে যদিও আমার সেরকম কোন নেশা নেই। তবু বন্ধু দিয়েছে বলে।    আর এইসময় হঠাৎই একটা টোকা পড়ে আমার পিঠে---আমি ওদিকে খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছি, আর তুমি এখানে---    কণ্ঠটা একটা নারীর। ফলে আমি চমকে উঠে তাড়াতাড়ি তার সোজা হয়ে দাঁড়ালাম।    নারীটির ঠোঁট লাল আর পরনে লাল শাড়ি। যাকে বলে ঝলমলে পোশাকে সে সুসজ্জিতা।    অমনি সে ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেল---সরি! আপনাকে দূর থেকে আমার স্বামী ভেবেছিলাম। আপনি অবিকল আমার স্বামীর মতো দেখতে।    ---তাই?    ---হ‍্যাঁ।    নারীটি এরপর চলে গেলে আমি মুগ্ধ হয়ে তার চলে যাওয়াটা তাকি

অনুগল্প || সম্ভব না || সিদ্ধার্থ সিংহ

  সম্ভব না ---- শোনো না, জরুরি দরকারে তোমাকে ফোন করলাম। আমার পক্ষে তোমাকে বিয়ে করা সম্ভব না। প্রেমিকা হতবাক। সে বলল, কেন? আমি কী করলাম? প্রেমিক বলল, আমি তোমাদের বাড়ি গিয়েছিলাম। --- বাবা কিছু বলেছে? প্রেমিক বলল, না না, তোমার বোনকে দেখলাম।

কবিতা || দূষণ || অভিজিৎ দত্ত

  দূষণ   ঘরে,বাইরে দূষণ আজ  ছড়িয়েছে সর্বত্র  দূষণের প্রভাবে মানুষ আজ জেরবার  বেঁচে থাকাটাই অনেকের কাছেই  মুশকিল হয়ে পড়েছে আজ।  দূষণকে যদি নিয়ন্ত্রণ  করতে না পারো  সভ‍্যতার সেরা জীব মানুষ  নিজেদের নিয়ে তোমরা  গর্ব করতে কী পারো? মনের দূষণ সবচেয়ে ভয়ঙ্কর  একে আগে করতে হবে পরিষ্কার  মহাপুরুষদের জীবনি এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে অনেকখানি  মনকে যদি আলোকিত করতে পারো দূষণ পরাজিত হবে এবারও ।

কবিতা || আজ ফাগুনে || বদ্রীনাথ পাল

  আজ ফাগুনে আজ ফাগুনের রঙ্ লেগেছে পলাশ বনে বনে- মলয় বাতাস দোল দিয়েছে সবুজ সবুজ মনে। আয় ওরে আয় , আয় রে সবাই আজকে নতুন প্রাতে- রঙে রঙিন করবো ভুবন হাত মিলিয়ে হাতে। রঙ লেগেছে কৃষ্ণচূড়ায়, রঙ শিমুলের ডালে, ডাকছে কোকিল মধুর সুরে ঘোর লাগা সকালে। মৌমাছিরা গুনগুনিয়ে বলছে রসাল-কানে, "বিশ্ব ভুবন মাতিয়ে দেবো উতল প্রাণের গানে"। শিরিষ নাচে নূপুর পায়ে ঝুমুর ঝুমুর সুরে- মঞ্জরীদের কাছে ভ্রমর বেড়ায় উড়ে উড়ে ! এলো ফাগুন রঙ্ ছড়িয়ে বসন্ত হিল্লোলে- নতুন পাতায়, নতুন সাজে, নতুন প্রাণের দোলে।

কবিতা || তবে একটা কথা || নবকুমার

  তবে একটা কথা   আমি তোমাকে এক তাল মাটি দিচ্ছি  তুমি তা দিয়ে যা খুশি বানাতে পারো । তবে, একটা কথা - ভুলেও যেন মানুষ বানিও না -। একটু বড় হলে সে ফন্দি খুঁজবে  তোমাকে বের করার হয়তো হত্যাও করতে পারে  বেশির ভাগ মানুষই বেইমান ইতিহাস তার প্রমাণ । তার চেয়ে একটা কুকুর গড়ো- কুকুররা বড় বিশ্বাসী  শেষ জীবন পর্যন্ত তোমাকে ছেড়ে যাবে না  তোমাকে ভালোবাসবে -। মানুষেরা ভালোবাসা জানে না  মুখে শুধু বুলি আওড়ে যায়  একেকটি কৃতঘ্ন ।

কবিতা || তমসার পারে জ্যোতির্ময় || চাঁদ রায়

  তমসার পারে জ্যোতির্ময় আলোয় কালোয় মেশানো পথের অনেক টা আজ পেরিয়ে এসে পেলাম তোমার আশিস্ প্রভু পথ হারানোর পথের শেষে।  আমার মধ্যে ছিলাম আমি ভাঙালে ঘুম তুমিই এসে জেগেই হলাম তোমার আমি তোমাকেই আজ ভালোবেসে।  আলোর পথে দৃষ্টি আমার যেখানেই আজ যাচ্ছে মিশে সেই সীমানার পারেও তুমি আমার 'আমি' তোমার পাশে।  যে গানে আজ যে সুর শুনি মিলছে তোমার সুরে এসে সব সুরই যে বাঁধা দেখি সেই সুরের আদি মধ্য শেষে।  মন্দ ভালো আঁধার আলোর পেরিয়ে সবের প্রান্তে এসে  তুমিই দেখি আমার জ্যোতি  তমসার পারে আলোর দেশে।

কবিতা || নিভন্ত প্রতিবাদী || রাজীব দত্ত

  নিভন্ত প্রতিবাদী আমারও কিছু চাওয়ার আছে, আমি হতে চাই অন্ধ, আমি হতে চাই বোবা, আমি হতে চাই কালা, এই ছলনাময় সমাজের, আমিও একটা জড় পদার্থ। শিরদাঁড়া গুলো কবে যে ভেঙ্গে গেছে কবে যে হারিয়ে গেছে মনুষত্ব। চারিদিকে শুধু মিথ্যে আর বঞ্চনা চারিদিকে শুধু অসহায়ের কান্না। প্রতিটা রাতে প্রতারিত হয়, মানুষ নামক জন্তুর বিবেক আর চেতনা। হ্যাঁ আমি চাই বোবা কালা অন্ধ হতে, যাতে শুনতে না পাই সব অন্যায়, যাতে শুনতে পাই খুনখারাপি আর ধর্ষণ, সবকিছুতেই অর্থের প্রলোভন। প্রতিবাদীরাও মরে যায়, অর্থের ক্ষমতায়। আমি তো কেবল চুনোপুটি হারিয়েছি শিরদাঁড়া আর দাঁত কপাটি। তাই আমি আবারও চাই, বোবা কালা আর অন্ধ হতে, যাতে আবার না সামিল হই ঐ রক্তমাখা প্রতিবাদে।

কবিতা || দরজা বন্ধ || আশীষ কুন্ডু

  দরজা বন্ধ   আজ শুধু ভাবনারা ভালবেসে বলে- দেখো চেয়ে- দরজাটা বন্ধ, ওপারে ভিড় কথার, শব্দের প্রজাপতির  ব্যঞ্জনাময় ,এ বেপথু মনের  আলো ফাঁক চুঁয়ে আবেগের ! দরজা বন্ধ, এপারে অভ্যাস  সময় থমকে , মনের দাস তমসায় হয়ে গেছি নিমগ্ন বাদী করাঘাতে,মনটা বিপন্ন ! ওপারে অনড় অতীত পড়ে  বন্ধ মন রেখে বিকল করে শব্দের খাঁচায়, নেই জানলা বিবর্ণ চিঠি রয়েছে খোলা!  এখন পৃথিবী হয়নি শীতল গভীরতা অসীম,মনের তল ভেঙ্গে যাক এই মনদুয়ার,  জীবন, যৌবন সব অসার।

কবিতা || ছলছল অমর পাথর || সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক

  ছলছল অমর পাথর   আততায়ী চাঁদ বিছানার ওপর লুটোপুটি খায়  অসংযমী ভদ্রতায়  অসুখের ছায়া আরো গভীর,গভীরতর  বিরল প্রতারকের এমন  অপার মধুর হাসির বন্যায়।  সুন্দর প্রাকৃতিক দান তাই বিবর্ণ,  মৃত্যুখাদে জীবন্ত প্রতিছব্বি প্রতিদিন  ঘোলাটে হৃদয়ের অস্পষ্ট কর্নিয়ায়।  ছলছল ভাষা অবিরাম কথায় কথায়  বিষন্ন পামরের ভূমিকায়। 

কবিতা || নাগপাশ ফেলে || বলাই দাস

  নাগপাশ ফেলে     বাঁকাচোরা পথ জোয়ারের ঢেউয়ে নিঃস্ব হলেও স্বাগত  তুমিতো একাই মাতিয়ে রাখো ধরিত্রীর হৃদয়, আবার কাঁদাতেও--- প্রেমের মাঝে লুটোপুটি-- তখন খিল্ খিল্ হেসে ওঠে বাতাস কৃষ্ণচূড়ায়।  চৈত্রের পোড়ামাঠ, মরুস্থলি, থরেরও থাকে একটা সৌন্দর্য-- মাধুর্য--- এতকিছুর পরেও হৃদয়তো পেতে চায় একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ প্রিয় ভালোবাসার কাছে সবকিছুই হারমানে বসন্তের ছোঁয়ায়।  ওই সরমিন্দা চাঁদও মেঘের কোলে ডুবতে ডুবতে বেঁচে ওঠে  সত্য--সুন্দরকে ভালোবেসে--     যে দিয়েছে হাজার আঘাত তবুও তার জন্য প্রার্থনা, বৃষ্টির একফোঁটা স্বচ্ছ ফটিকজল, অথবা সঙ্গতিপূর্ণ বাষ্পীভূত শিশির পড়ুক ঝরে...

কবিতা || মুখ বদলায় না || উদয়ন চক্রবর্তী

  মুখ বদলায় না  মিথ্যে কথার ফুলঝুড়ি আর প্রতিশ্রুতির সুনামিতে ভেসে যাচ্ছে ইতিহাস - মৃত্যু সেতো একটা ভাগশেষ মেমরিতে সংখ্যা হয়ে শুয়ে থাকে সেখানে খুঁজে দেখা সত্যটা ধূসর ক্ষমতার জীবাষ্মের বালুচরে বর্তমান সমুদ্রের আস্ফালন বারংবার বলে চলে অতীত চিত্রনাট্য রামধনু এঁকে আকাশ রূপ বদলায় বারবার রাজা বদলায়-মুখ বদলায় রাজনীতি তার মুখ বদলায় না রাজার পোষা সরীসৃপ শ্বাপদেরা পাল্টে নেয় শিবিরের ছাউনি।

কবিতা || ফুল ছিলো না, ছিলো না কবিতাও || ওমর খালেদ রুমি

  ফুল ছিলো না, ছিলো না কবিতাও দু’জনে অনেক হাঁটলাম এই প্রোগ্রামটা ইঠাৎই হলো সবটুকু তোমার দয়া কখনও ভাবিনি এভাবে সকাল সকাল ডেকে নেবে এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি অতোটা প্রেমিক আমি  যতোটা সড়কের লোকজন ভাবে মূলত মানুষ যতোটা না সুখ ী তার চেয়ে বরং অন্যরা একটু বেশীই ভাবে কল্পনায় সুখ অনেক কিন্তু আজ ব্যাপারটা অন্যরকমই হল তুমি ডেকে নিলে তাই আশা ছিলো একদিন আমিই তোমায় ডাকবো আমার হাতে থাকবে কবিতার বই তোমার খোপায় গোঁজা গোলাপ তারপর নিরবচ্ছিন্ন হেঁটে চল এ নগর দেখবে একবিংশ শতাব্দীর শেষ প্রেমিককে অবলীলায় হেঁটে যেতে এতো কথা বলার কি দরকার? দরকার একটু আছে বটে প্রত্যহ সকাল হয় প্রত্যহ বিকাল প্রতিটি রাতে যদিও পূর্ণ জ্যোৎস্না হয় না তবু আজকাল বুকের ভেতর জ্যোৎস্নার বড় আকাল তোমার সুগন্ধি মাখানো চুলের ঘণ অরণ্যে যে বাতাস খেলা করে ফেরে তারপর যখন তারা মাতাল হয় একশো একটা প্রেমিক ছুটে আসে পৃথিবীর প্রথম প্রেম কানায় কানায় ভরে দেয় তার পেয়ালা আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ অন্ধ কবি হোমার বীরদের গাঁথা গাইতে গাইতে এইমাত্র বাংলা একাডেমীর চত্বর অতিক্রম করল আর আমরা তখন ও টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পায়ের কাছটাতে বসে একদল পিঁপড়াকে মিছিল