ছোট গল্প - বাতাসে বারুদের গন্ধ || লেখক - সামসুজ জামান || Short story - Batase baruder gondho || Written by Samsuz Zaman


 


বাতাসে বারুদের গন্ধ

          সামসুজ জামান



আমার পাগল সুবর্ণ, বাতাসে বারুদের গন্ধ ভেসে আসে। আমি ঘুমের মাঝে আতকে উঠি। এমন তো হবার কথা নয়। এই ঘরে আমি ছাড়া দ্বিতীয় প্রাণী নেই তাহলে কি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হল? বিছানা ছেড়ে সারাঘর ঘুরে বেড়াই। সুইচ অন করি দুটো ঘরেরই। ডাইনিং স্পেসের আলো জ্বালি। বাথরুমে পরীক্ষা করে দেখি বিদ্যুতের পোড়া গন্ধ ওখানে তো নয়? তাহলে এই পোড়া গন্ধ রোজ রোজ আসে কেন আসে কেন? আর আসেই বা কোথা থেকে?

আসলে সুবর্ণ জানো, আমি অনেক চিকিৎসা করিয়েছি। তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি আমার সারা ঘরে ছড়ানো। এ ঘরের প্রত্যেকটা অনুতে পরমাণু তে তুমি ঘুরে বেড়াও সুবর্ণ। তুমি কি আমার কাছে থাকো? দেখো, আমি তো এত চিকিৎসা করালাম। কতজন আমায় পরামর্শ দিলেন মনোবিদ এর পরামর্শ নিতে। তাই শেষ পর্যন্ত আমি তো ডক্টর অনিল চ্যাটার্জীর কাছেও ছুটে গেলাম। তাঁর মত সুপ্রসিদ্ধ মনোবিদ পাওয়া খুব দুষ্কর ব্যাপার। তিনিও তো আমার সাথে কথা বললেন। আমার বাড়ির লোকেদের তিনিতো জানিয়েছেন যে আমি কোন অসুস্থ অবস্থায়ই নেই। 

কিন্তু জানো সুবর্ণ, ঘরের মধ্যে আমি যখনই থাকি তখন আমি শুধু তোমারই ছায়া দেখি। চোখটা একটু বন্ধ করলেও আজও আমি প্রতি মুহূর্তে তোমার অস্তিত্ব টের পাই। বিছানায় মাঝে মাঝে হাঁতড়ে দেখি আমার মন তো বলে পরিষ্কার তুমি আমার পাশে শুয়ে আছো। কিন্তু বিশ্বাস করো সুবর্ণ, তৌঋঋৎঋআমি অন্ধকারে তোমাকে স্পর্শ করার জন্য হাত পর্যন্ত বাড়াই। কিন্তু কিছুই খুঁজে পাইনা। সুবর্ণ, আমার চোখ ফেটে জল আসে। আমি একথা কাকে কিভাবে বলব বলো তো? তুমি কি আমায় একটু বোঝো না? তুমি কি এখনো সেই অবিশ্বাস মনের মধ্যে ভরে রেখে দিয়েছে সুবর্ণ? আমি কি করলে বাঁচব বলতো একটু সুস্থ হয়ে?

এর মানে কিন্তু অপব্যাখ্যা করোনা। এর মানে আমি এটা বোঝাতে চাইনি যে তোমাকে আমি ভুলতে চাইছি। তোমাকে ভুলে আমি বাঁচবো কিভাবে বলতো? তুমি সেদিন তো সম্পূর্ণ অভিমান নিয়ে চলে গেলে আমার কাছ থেকে। তুমি কি সত্যিই জানো না. আমি তোমায় কতখানি ভালবাসতাম? সুবর্ণ, যেদিন কলেজে নবীনবরণে তোমায় প্রথম দেখেছিলাম সেদিনই তো আমি জানতে পারলাম যে তুমি আমার প্রতি কতখানি আকৃষ্ট ছিলে? যখন আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম আমি মনে করার চেষ্টা করলাম আমি কি তোমায় এর আগে কোনদিন কলেজের ক্যান্টিনে অথবা ছাত্রসংসদ হলে দেখেছি? আমার মন বলল আমি দেখিনি। কিন্তু আমি অবাক হলাম, দেখলাম. তুমি আমার নাড়ি-নক্ষত্র, প্রতিটা চালচলন অদ্ভুতভাবে যেন মুখস্ত করে নিয়েছো। আমি অবাক হলাম। লজ্জা পেলাম। কিন্তু অবাক হলাম এইজন্যে যে একটা ছেলে আমার মত এরকম একটা মেয়েকে এভাবে ভালোবেসেছে? সেই দিনই আমি নিজেকে তোমার প্রতি সমর্পণ না করে পারিনি সুবর্ণ। তবুও পরের দিন তুমি যখন ক্যান্টিনের টেবিলের নিচে দিয়ে আমার হাতটা ধরার জন্য হাতটা বাড়িয়ে ছিলে আমি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম সে তো একটা নারীর সাধারণ লজ্জায়। আবার তুমি নিজেকে কী অদ্ভুতভাবে সংবরণ করে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলে যখন বারবার, তখন আমার নিজেকেই ধিক্কার দিতে ইচ্ছে যাচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল কি জানো, মনে হচ্ছিল হাত ধরে নয়, তোমাকে জড়িয়ে ধরে তোমার কপালে একটা আলতো চুমু দিলেও আমার মনের আশা এক কণাও মিটবে না। সুবর্ণ, তুমি বিশ্বাস করো, আমার ইচ্ছেটা আমার মনের ভেতরটা কুড়ে ফেললেও আমি তা পারিনি, কারণ আমি একেবারেই সেই মানসিকতার ছিলাম না। শুধু সেই মনোভাবের জন্য আমি নিজেকে অনেক কষ্ট করে ধরে রেখেছিলাম।কিন্তু আমার মন প্রাণ. আমার শরীরের প্রত্যেকটা অনু-পরমানু তোমাকে সেই দিনই আমি দিয়ে দিয়েছিলাম সুবর্ণ!

সুবর্ণ, এই দেখো তোমার যে ছবিটা আমার বেডরুমের শো কেসে উপস্থিত থেকে সব সময় আমার সাথে কথা বলে, তাকে নিয়ে আমি যে বুকের মধ্যে চেপে রেখেছি। তুমি বুঝতে পারছ সুবর্ণ, তুমি এই অনুভূতি টের পাচ্ছো? আমার উষ্ণতা তোমাকে কি একটুও ছুঁতে পারছে না সুবর্ণ? তুমি সত্যি বলতো, তুমি আছো কিনা আমার পাশে পাশে? আর তুমি যদি দুষ্টুমি করে বল যে, আমার পাশে নেই, সে কথাটা কি আমাকে বিশ্বাস করতে হবে? পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্যবাদিও যদি আমার পাশে দাঁড়িয়ে এই কথা বলে তা হলেও মেনে নেব না। আসলে তারা দেখবে কিভাবে বল তো? তোমাকে তো আমি রেখে দিয়েছি আমার হৃদয়ের কন্দরে কন্দরে। সেই অন্তস্থলের গোপন কথাটা জেনে নেয় কার সাধ্য? তোমার মনে পড়ে সুবর্ণ যেদিন তুমি সত্যিই আমায় ছাড়লে না, জোর করে একটা গান গাইতে বাধ্য করালে, সেদিন সকলের উপস্থিতিতে আমি তোমার উদ্দেশ্যেই গেয়েছিলাম রবীন্দ্র নাথের সেই ভালবাসার গান -- 'ও যে মানে না মানা। আঁখি ফিরাইলে বলে না না না'। তুমি সেদিন পড়তে পেরে ছিলে তো সুবর্ণ আমার মনের না বলা বাণীর সেই অনুরণন? তোমাকে আপ্লুত করতে পেরেছিল তো সেদিনের আমার মনের অব্যক্ত হাহাকার? আমার ভিতরটা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া সেই যন্ত্রণার অনুভূতি ছুঁতে পেরেছিল তোমায়?

সুবর্ণ, যেদিন তুমি সেনাবাহিনীতে যোগদানের খবর দিয়ে আমার কোলের কাছে নামিয়ে দিলে একরাশ লাল গোলাপ, সেদিন আমি মেলাতে পারছিলাম না তোমার দুটো অনুভূতিকে। একজন সেনা হিসেবে ইউনিফর্মে তোমার ছবির কল্পনা করে আমার মনে হচ্ছিল যে এটা আমাদের ভালবাসার পথের বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা! তখনই লাল গোলাপ গুলো যেন অন্য অনুভূতি জাগিয়ে তুলে আমাকে আবার ভিজিয়ে দিচ্ছিল মনের ভেতর থেকে। আমি ভাবছিলাম গোলাপের পাপড়ির মত তোমার মন সত্যিই কি পারবে তোমাকে তোমার কর্মস্থলে যোগ্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে? আমি আসলে নানাভাবেই বুঝতে পারছিলাম তোমার মনটা একেবারেই ফুলের পাপড়ির মত নরম।

তারপর তুমি আমাকে অনেক কাঁদিয়ে সেদিন চলে গেলে। গতবছরের প্রায় এই সময়। আজকের এই সেনা দিবসের হিসেবে সঠিকভাবে বললে ১১ মাস ২২ দিন। তোমার পোস্টিং হলো ভারত-চীন সীমান্তে। সুবর্ণ, আমরা কি এর আগে জানতাম এভাবে ভারত চীন সীমান্তের এত খুঁটিনাটি? তুমি জানালে সীমান্তের কাছে দৌলত বেগের কথা। তুমি জানালে আলভি সামরিক ঘাঁটির কথা। আমরা তোমার কাছ থেকেই জানতে পারলাম যে লাদাখের গাল ওয়ান সীমান্ত চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত লাইন অফ কন্ট্রোল এর পাশাপাশি দু শো পঞ্চাণ্ন কিলোমিটার সড়ক বানানোর কথা। সুবর্ণ তুমি তোমার কাজের অবসরে যখন আমায় জানাতে যে এই সড়ক বানানোর ফলে লেহ থেকে দৌলতবেগ পৌঁছতে আগে দুদিন লাগতো কিন্তু এখন নতুন রাস্তা ব্যবহারের ফলে মাত্র ছয় ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে, তখন একজন ভারতীয় হিসেবে আমাদের কত গর্ব হতো। আর তুমি সেই সীমান্ত প্রদেশে তোমার একনিষ্ঠ সেবা দিয়ে আমাদের রাতের নিদ্রাকে কেমন অটুট রেখেছ! 

কিন্তু সেদিন হঠাৎই তোমার সুরের মধ্যে কেমন চঞ্চলতা ছিল। তুমি সেদিন হঠাৎই বললে আকসাই সীমান্ত চীন নিয়ন্ত্রিত হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে আছে অথচ এটা ভারতের সীমান্ত থেকে মাত্র নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর ওখানেই কেমন যেন একটু বেশি মাত্রায় উত্তেজনার ভাব। চীন এবং ভারত দুপক্ষের সেনাদের মধ্যেই অতিরিক্ত সতর্কতামূলক প্রস্তুতি চলছে। সেদিন তোমার কথাবার্তা শুনে বুঝতে পারছিলাম সুবর্ণ, তুমি অনেক কিছু গোপন করে যাচ্ছ। তোমার উত্তেজনা তুমি হয়তো ঠিক চেপে রাখতে পারছিলে না। আমি তোমার কথা বলার ছন্দের মধ্যে খুঁজে পাচ্ছিলাম একটা লালবাতির সতর্কতার মতো চিহ্ন। আমার চোখ থেকে জল ঝরে পড়লেও আমি গলার মধ্যে উত্তেজনা আনতে দিচ্ছিলাম না তবুও বোধহয় তুমি ধরে ফেললে সে উত্তেজনা। তুমি আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে যে ভারতের হাতে অতিরিক্ত আধুনিক এবং উন্নত মানের একশ চারটে ক্ষেপণাস্ত্র আছে। আরো কত কি কথাবার্তা তুমি বলে যাচ্ছিলে কিন্তু আমি বোধহয় নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ককিছুক্ষণ পর তুমি হঠাৎ আমাকে তোমার দেওয়া সেই গোপন নাম ধরে ডেকে উঠলে। সুবর্ণ, কী ছিল তোমার গলায়? আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। সেদিন আমি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেছিলাম। তারপর তুমি আমায় কত আদর করলে। আমার সেল ফোনের মধ্যে সেদিন সুবর্ণ তোমার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি পুরোমাত্রায় টের পেয়েছিলাম। আমি জানিনা এমন অবাস্তব ঘটনা মানুষের জীবনে কখনো ঘটে কিনা! লোকে হয়তো বলবে এটা অলৌকিক কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম -- সুবর্ণ, তুমি ষোলআনা আবির্ভূত হয়ে আমাকে সেদিন আদরে আদরে ভরিয়ে দিয়েছিলে। আমার চোখের জল তুমিই তো মুছিয়ে দিয়েছিল সেদিন তোমার দুটো হাত দিয়ে। সত্যি করে বলতো সুবর্ণ তুমি কি অস্বীকার করতে পারো সেদিনের সেই উপস্থিতির কথা?

 আর পনেরোই জুনের কথা কি আর বলব বল তোমায়? টিভির সুইচ অন করলাম। টিভি চ্যানেলে সংবাদ শুনতে গিয়ে আঁতকে উঠলাম। তখন বড় বড় অক্ষরে দেখানো হচ্ছিল ভারত চীন সীমান্তের সেই আকসাই-এ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পনেরো জনের শহীদ হওয়ার খবর! জানো সুবর্ণ, আমি তখন ছুটে গিয়ে শোকেস থেকে তোমার ছবিটা তুলে আনতে গিয়েই হঠাৎ হাত ফস্কে ছবিটা পড়ে গেল একেবারে মেঝেতে। আর সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। জানো, আমি তখন উত্তেজনায় কাঁপছিলাম থর থর, থর থর করে। আর তখনই সেলফোনটা বেজে উঠলো। তাকিয়ে দেখি তোমার মায়ের ফোন। মা ফোন করে কোনো কথা বলতে পারছেন না শুধু কাঁদছেন। হাউমাউ করে শুধু হাহাকার ধ্বনিই শোনা যাচ্ছে,কোন কথা নয়। মায়ের এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়ার কারণটা তখন আমার কাছে আর বিন্দুমাত্র অস্পষ্ট নয়। 

সুবর্ণ আজ তো সেনা দিবস। দেশজুড়ে সেনাদের জয়গান গাওয়া হচ্ছে। কত বড় বড় ভাষণ দেয়া হচ্ছে সেনাদের জয়ধ্বনী দিয়ে। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সেনাদের উদ্বুদ্ধ করে কত ভালো-মন্দ স্তোক বাক্য দিচ্ছেন। কিন্তু সুবর্ণ এসবের বাইরে তুমি শুনতে পাচ্ছ কি আজকের দিনে মায়ের প্রাণ ছেড়া সেই আর্তনাদের শব্দ? সুবর্ণ, তুমি দেখতে পাচ্ছো, এই হতভাগিনীর বুক ফাটা আফসোসের আর হা-হুতাশ এর ছবিটা!

জানো সুবর্ণ, আমি পরদিন মায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মা আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে কী যে বলেছিলেন সে কথা আমি বলে বোঝাতে পারবো না তবে তিনি আমায় অনুমতি দিয়েছেন যখনই আমার ইচ্ছে আমি তার কাছে যেতে পারি। আর সেই দিনই আমি আমার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি সুবর্ণ। 

ইদানিং একটা সমস্যা হয়েছে আমার। জানো. সব সময় আমি বাতাসে বারুদের গন্ধ পাই। কিছুতেই সে গন্ধ আমায় ছাড়ে না। আমার শয়নে,স্বপনে, জাগরণে সেই বারুদের গন্ধ আমার ভিতরের সবকিছু কুড়ে কুড়ে খেয়ে নিতে চায় সুবর্ণ। আর ইদানিং আমার মুখের ভাষা হারিয়ে গেছে। কথা বলতে আমার একেবারেই ইচ্ছে করে না। আজকে তোমায় লিখে জানাচ্ছি তাই এই খোলা চিঠিতে। আমার মনের জমানো অনেক দুঃখ বেদনার কাহিনী --- খুব পরম ভক্ত যেমনভাবে ঠাকুর দেবতার কাছে নিজের মনের পরম শ্রদ্ধা বিশ্বাসের অঞ্জলি দেয়, ঠিক সেইরকম ভাবে তোমাকে উজাড় করে দিলাম সুবর্ণ আমার মনের না বলা কত কথা এই খোলা চিঠিতে। আমার এই খোলা চিঠির প্রত্যেকটা কথা ভগবান কি তোমার কাছে পৌঁছে দেবে না? দেবে, দেবে, নিশ্চয়ই দেবে। এটুকু পবিত্র বিশ্বাস আমার অন্তত আছেই। আর আজ এই সেনা দিবসে চোখের জলে চিঠিখানি লিখে তোমাকে আর একবার প্রণাম করে আমি পাকাপাকিভাবে মায়ের কাছে চলে যাচ্ছি ; তুমি যেন আমায় ফিরিয়ে দিও না সুবর্ণ!

চোখ ভরা জল আর একবুক ভালবাসার হা-পিত্যেশ নিয়ে অধীর অপেক্ষায় রইলাম তোমার জন্যে। 

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024