Posts

Showing posts from May, 2023

দহন - সুদীপ্ত বিশ্বাস || Dohon - Sudipta Biswas || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  দহন   সুদীপ্ত বিশ্বাস   ধুলোর ঝড় উঠেছে মরুরাত্রিতে চাপচাপ অন্ধকার বিষাদ নদীর শীতল স্রোতের আবর্ত ঘুটঘুটে মধ্যযুগীয় অন্ধকারে পেঁচারা ওড়াউড়ি করছে আমার দু'হাতে শুধু সূর্য পোড়া ছাই তুমি নেই তোমার আমার মধ্যে অনন্ত গ্যালাক্সির ব্যবধান। আরও দূরে সরে যাচ্ছি আমরা আমার চারিদিকে দাবানল আমার বুকের ভিতরে জ্বলন্ত ভিসুভিয়াস আমার চারিদিকে পাথর ভাঙার শব্দ আমার হৃদয়ের স্ফটিকটা ভেঙে কাচের টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মেঝের ধুলোয় কান্নারা বোবা হয়ে গেছে অশ্রুরা স্তম্ভিত ভাঙা মাস্তুল হাতে নিয়ে আমি একলা দাঁড়িয়ে আছি।

তবে যাও তবে যাও - তন্ময় দাস || Tobe jaou Tobe jaou - Tanmoy Das || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  তবে যাও তবে যাও তন্ময় দাস   রক্তে মাখা অতিথকে যদি দেখতে চাও তবে যাও তবে যাও। সপ্ন টাকে ভালো করে যদি দেখতে চাও তবে যাও তবে যাও। ওই নদীর প্রান্ত শেষে যদি নিজেকে দেখতে চাও তবে যাও তবে যাও। আমার অপেক্ষায় দারিয়ে না থেকে নিজের লক্ষে এগিয়ে যাও এখনি যাও এখনি যাও । অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজের লক্ষে এগিয়ে যাও তবে যাও তবে যাও। যদি নিজের লরাইয়ে তুমি যদি হেরে যাও তবে লরাই ছরে দাও কেনো । ওই ধানে খেতের মধ্যে যদি সপ্নকে খুজে পাও তাহলে যাও দৌড়ে যাও। ওই সপ্নকে হাতে পেতে যদি আমায় ভুলে যাও তবে যাও তবে যাও । ওই করা রোদ্দুরের মাঝে যদি সফলতা দেখতে পাও তবে আমায় ভুলে গিয়ে তুমি যাও তুমি যাও

বৃষ্টি - সায়ন তরফদার || Brishti - Sayan Tarafdar || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  বৃষ্টি সায়ন তরফদার বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিল আমায় আজ তবে দেখা না হওয়াই থাক বৃষ্টিতে তোর আজও অনেক ভয় মুহূর্তগুলো বদলে গেলে, যাক... প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকুক যেমন ছিল  আদর্শগত অমিলও কিছুটা থাক মুখে মুখে বলা মানুষের কবিতায় সব প্রেম শুধু অধিকার খুঁজে পাক মানুষের অধিকারে কী লাভ? যদি না তারা বাঁচার শিক্ষা পায় ভালোবাসাটা অপূর্ণই থেকে গেলে রাজনীতিটাও বেরঙীন হয়ে যায় বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিক আবার যেভাবে ঠিক ভিজিয়ে দিত আগে এক জীবনে কাউকে না পেলে বৃষ্টির মতো আরেকটা জীবন লাগে

শেষ দৃশ্যে - পীযূষ কান্তি সরকার || Ses Drishe - Pijus kanti Sarkar || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  শেষ দৃশ্যে         পীযূষ কান্তি সরকার জঠরের জ্বালা, হৃদয়ের জ্বালা -- সকল জ্বালার শেষ করে  দেহটা চিতার আগুনে জ্বলে যায়। হাজার হাজার মুক্তো যেন মাটিতে ঝরে পড়ে পলকে হারিয়ে যায়। শোকস্তব্ধ শ্মশান ঘাটে রয়ে যায় শুধু ফুল, ফুলের মালা আর নীরবতা আর  ধূপ-চন্দন-কস্তুরির সৌরভ। সেই শেষদৃশ্যে চলে তখন হিসেবনিকেশ -- শিল্পী আর তাঁর শিল্পের বিজ্ঞানী আর তাঁর আবিষ্কারের কবি আর তাঁর কবিতার ... ... ... ... স্রষ্টা আর তাঁর সৃষ্টির।

ফুঁক্যে দিব্য বাঁশি - চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী || Fukhhe dibba banshi - Chiranjit bhandari || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  ফুঁক্যে দিব্য বাঁশি     চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী   তাড়ির লেশায় মাত্যে ফাগুন মাসের রাত্যে ফুঁক্যে দিব্য বাঁশের বাঁশি তুর নামটা ধরে জল আইনবার লছনাতে মাটির কলসি লিয়ে হাতে আসবি ছুটে রাধার মতো ঐ লীল শাড়িটা পরে। মাতাল করা সুরে তুই থাকত্যে লারবি ঘরে পরত্যে যাইঞে কাজল ভুল্যে পরে ফেলবি ঠোঁটে তুর আসার পথ ভাল্যে মহুল ফুল রাখব্য তুল্যে সারা রাতটা কাটায় দিব পড়্যে পেম সুহাগের মাঠে। জল আয়নায় দ্যাখবি মুখ বুকের ভিতর পরম সুখ সারারাতটা থাকব্য ডুবে পেমের মালা গাঁথ্যে কমরে দিব্য ঝিঙা ফুল বাঁধ্যে দিব মাথার চুল বুকের উপর মহুল মালা রইবেক লেশায় মাত্যে। তুর ঐ নাভি পদ্মে পড়বেক শিশির ছিটকে  পায়ে দিব্য পরায়েঁ কলমি লতার লুপুর  হাতে দিব্য ফুলের তড়া দ্যাখত্যে লাগবি লজর কাড়া যেন আষাঢ় মাসের জল কুমুদের পুকুর। চড়চড়াঞ্যে বাড়বেক রাত রাখব্য হাতে হাত ডাগর খোঁপায় জোনাক ধরে দিব্য আনে গুঁজে সুহাগ ভরে আসব্য কাছে যেমন ময়ূর লাচে বুকের উপর মাথা রাখ্যে মরবি বেদম লাজে। তুর আমার পিরিত কথা হিয়ার মাঝে কাব্যগাঁথা  দ্যাখবেক বনলতা পাকপাখুড়ি দুচোখটা ভরে  তাড়ির লেশায় মাত্যে ফাগুন মাসের রাত্যে ফুঁক্যে দিব্য বাঁশের বাঁশি তুর

কোথাও ডাকে না কেউ ,পাখি ডাকে - সোহরাব পাশা || Kothaou Dake na keu, pakhi Dake - Shorab pasa || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা||

  কোথাও ডাকে না কেউ ,পাখি ডাকে সোহরাব পাশা মেঘের পাতায় ঢাকা স্মৃতির ভ্রমণ আকাঙ্ক্ষার কারুকাজ উন্মাদ দুপুরে বিশ্বাসের ছায়া বৃক্ষে ভাঁজ করা নৈঃশব্দ্যের বিরহ যাপন , দীর্ঘ উপেক্ষার অন্ধ নদী জল নেই ধূলিক্ষেতে হাওয়ার সিম্ফনি; বিভ্রান্ত মানুষ শুধু ছোটে দূরের স্টেশনে যায় ফিরে আসে স্বপ্নঘড়ির নিশ্চুপ শব্দে কোথাও ডাকে না কেউ অমিয় সন্ধ্যায় মুখোমুখি একা নিবিড় ভাষায় রাত্রির আড়ালে যেতে; তোমাকে আবৃত্তি করে বিঁধেছে বেভুল অন্ধ চোখে তীব্র বিষাদের -নিঃস্বতার নীল কাঁটা কোথাও ডাকে না কেউ ,দূরে পাখি ডাকে ; তবুও যেতে হয় যদি তুমি ফিরে যাও বিষণ্ণ একাকী ।

পারি - সুশান্ত সেন || Pari - Susanta Sen || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  পারি সুশান্ত সেন শুধু কবিতার জন্য সব পারি এত বড় সাহস ত ছিল না। তাই গা বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে , দাবি গুলো মেটাতে মেটাতে  যত টুকু পারা যায় , ততটুকুই --- এখন সাঁঝ বেলাতে  তাই যত টুকু পারা যায় , ততটুকুই --- ততটুকুই --- এর বেশি কিছু পারিনা , সে জানে তাই কবিতা কে রেখে দিই সামনের                       ফুলভরা বাগানে ।

প্রেমে আছি, যুদ্ধেও আছি - নাসির ওয়াদেন || Preme achi, Juddheu achi - Nasir Oaden || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  প্রেমে আছি, যুদ্ধেও আছি             নাসির ওয়াদেন কতটা রাত কাটলে তবে একটা ভোর আসে ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি ঘুম নয় মৃত্যুই আচ্ছন্ন করে রাখে এসবই মনের কল্পনা বা আলো-আঁধারী জীবনকে জয় করতে গিয়ে পুঁথি খুঁজছি কোনো সরলসূত্র থাকলে জানাবেন বৈকি প্রেম শুধু ভালবাসা নয় আবর্জনা নিষ্কাশন আবর্জনা আর স্তূপ মেখে জড়িয়ে থাকা খাবারের স্বাদ পেতে লড়াই চলছে সমানে লড়াইয়ে হারজিত থাকবে কি থাকবে না সেই বিচারের দায় যাদে‌র তারা জেগে ঘুমায় আমার কাজ ক'জন সৈন্য মারা গেল দেখা মৃত্যুর আগে প্রেম সলিলে ঝাঁপ দেয় রাধা আমার পড়শি খোনার বউ বড্ড খুনসুটে শাশুড়ির সাথে নিত্য যুদ্ধ জানালায় আঁটা সাদা-চোখে দেখি কেউ কম নয়,ঝগড়ুটে         

অনুভব‌‌ - রমা খাঁ || Onuvab - Rama Khan || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  অনুভব   রমা খাঁ  নিজেকে লুকাবে কি করে  আমার অতল নির্জনতায় ভেজা তোমার আড়াল  তোমার না বলা কথা আমার ঠোঁটে,  আমার পলকে তোমার চোখের ইশারা  তোমার প্রতিটি অনুভূতি আমার অনুভবে,  তোমার সৃষ্টির আমি বুদবুদ, দাবার দানের বোরে তোমার আনন্দের ঝরনা আমার বুকে   তোমার ভ্রূর ভাঁজে ধরে রাখা - ফেলে আসা  বিকেল আমার গোধূলিতে  তোমার আশায় আমার স্বপন,  তোমার উন্মুক্ত চলাচল আমার সম্মুখে  তোমার নৈঃশব্দে আমার ধূসর রিক্ততা,  তোমার জীবন - সলিলে আমি তরঙ্গ।                              

অনুকম্পা - অসীম কুমার সমাদ্দার || Onukompa - Ashim Kumar Samadar || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

 অনুকম্পা  অসীম কুমার সমাদ্দার উড়ে যাব একদিন প্রমিথিউসের নাম করে  কোন চৈতালি রাতে , তোমার জানালার কাছে । তুমি থেকো জোনাকি হয়ে আলো ধরে , ইঙ্গিতে ভুলিয়ে দিতে দুঃখের গল্পগুলো হাসিমুখে , ঝরে পড়বে তখন তারাদের অনুকম্পা  চারদিকে তোমার অশ্রু-ডানা ভর করে ।

ভালবাসার টীকা - কাজল মৈত্র || Valobasar Tika - Kajal maitra || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

ভালবাসার টীকা       কাজল মৈত্র   কে পরিয়েছে তোমার কপালে ভালবাসার অমোঘ টীকা , কিসের টানে তুমি নেমেছ পৃথিবীর ছায়াময় পথে , তোমার চোখের শুকনো জলে একটা ভিসুভিয়াসের জন্ম নেয় , তোমার ওষ্ঠে নামুক বৃষ্টি বৃষ্টি হল প্রেম আর প্রেম মানে নতুন জীবন।

গুণধরের বিয়ে - চন্দন চক্রবর্তী || Gunodhorer Biye - Chandan Chakraborty || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  গুণধরের বিয়ে চন্দন চক্রবর্তী কি হে ভায়া,কেমন আছো ? হঠাৎ করলে বিয়ে ! তাকেই করলে,ওই যার সাথে ছিল ইয়ে টিয়ে ? না না দাদা,কি আর বলি,সেই মেয়েটার কথা, ভাবলে বুকে ব্যাথা জাগে,ঘুরতে থাকে মাথা । কেন,কেন ? কি হয়েছে ? ব্যাপারটা কি শুনি, মেয়ে তো বেশ ফর্সা,লম্বা,তাছাড়া সে গুণী, গড়ন তাও ভারি মিষ্টি,মায়াবী চোখ দুটো, চলন,বলন সবই ভালো,কিছু ছিল ঝুটো ? সে কথা নয়,সে কথা নয়,শুনুন তবে বলি, শ্বশুর মশাই কিপটে হলে কেমন করে চলি ? দুলাখ আগাম দিলেই দাদা চাকরি আমার পাকা, টাকা চাইতেই,গেলেন চটে,মানুষ এমন বাঁকা ! সেতো হবেই,শিক্ষক তিনি,বিদ্বান মানুষ বটে, ঘুষের চাকরি শুনেছেন যে,তাই গিয়েছেন চটে, তাছাড়া ভাই তোমার চাকরি,তুমি খাবে দাবে, তিনি কেন টাকা দেবেন ? কেন চাইতে যাবে ? শুনুন দাদা,আমি হলাম মাধ্যমিক ফেল ছেলে, তাতে করে কি এসে যায় নইতো এলেবেলে ! ছেলে মানে সোনার আংটি,সেতো সবাই জানে, হোক না বাঁকা তবু তাকে সবাই সোনা'ই মানে । বেশ ভায়া,তারপর বল,ঘটেছিল কি পরে, টাকা দিতে শ্বশুর রাজি ? বউ আনলে যে ঘরে ? চাকরি তোমার হয়ে গেছে ? মুখটা হাসি হাসি ! মনিকাঞ্চন যোগ হয়েছে,মনে খুশির রাশি ! কি যে বলেন,শুনুন তবে ঘটলো

একগুচ্ছ - প্রিয়াংকা নিয়োগী || Eekgucho - Priyanka Niogi || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  একগুচ্ছ প্রিয়াংকা নিয়োগী অম্র পল্লব প্রয়োজনে ব‍্যাবহার হয়, একসাথে সব পাতাই ঠিক হতে হয়। কল্পনা গুচ্ছগুলো মুখরিত হয়, যখন বাস্তব ছুয়েও ছোয়া যায়না। একগুচ্ছ গোলাপ শোভা পায়, যখন মর্যাদা পায়! গোলাপের কদর থাকেনা, যদি প্রত‍্যাখান করা যায়। একগুচ্ছ "আশা" আকাঙ্খায় পরিণত হয়, আশা যখন বাস্তব রুপ নেয়। গল্পগুচ্ছ পরিণত হয়, যখন গল্প সাজানো হয় গুচ্ছাকারে। প্রতিটি ফুটে ওঠা ফুল পূর্ণতা পায়, পূর্ণাকারে ব‍্যবহার করা হয়,  বিন্দু বিন্দু দুঃখ হতে হতে, বাসা হয় কষ্টের, ছোটো ছোটো খুশি থেকে, বড়ো হয় সুখ।                                

বুনে দিই শাল সেগুন - বিশ্বনাথ মাঝি || Bune di sal segun - Biswanath majhi || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  বুনে দিই শাল সেগুন  বিশ্বনাথ মাঝি এক অরণ্য শাল সেগুন বুনে দিই আবহাওয়ার তাগিদে এসো মেঘ এসো বৃষ্টি শ্রাবণ বুকে নিই আমাদের বৃষ্টির খিদে। জলবায়ু সরে যায় গাছেদের বিহনে সামঞ্জস্য প্রয়োজন বড়ই এমন আগুন তপ্ত নিদাঘ সূর্য কিরণে জীবনে অসহ্য দাহ খরই। বনানী সবুজ হোক গাছের সৃজনে দূর হোক যত দূর্বৃত্তায়ন এক অরণ্য বুনে দিই শাল সেগুনে  গাছের আজ বড়ো প্রয়োজন। মাটি জল হাওয়া আজ বিষাক্ত দূষণ জীবনে প্রাণ ওষ্ঠাগত বুনে যাই শাল সেগুন করুক পূরণ চন্দন হাওয়া আজ বিগত।

নব আনন্দে জাগো - শুভ্রা ভট্টাচার্য || Naba anande jago - Suvra Bhattacharya || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  নব আনন্দে জাগো   শুভ্রা ভট্টাচার্য নববর্ষ জীবন চলমানতায় প্রচলিত উৎসব একটি বছর পার করার সাজো সাজো রব, নতুনের প্রতি সদাই বিশেষ আগ্রহ উদ্দীপনা নতুনত্বেই নিহিত সুপ্ত বীজে অমিত সম্ভাবনা। পুরাতনের ব্যর্থতা নৈরাশ্য গ্লানি ক্লেদ ভুলে নব উদ্যমে নতুন আশায় বাঁচার উন্মাদনা, পুরনো সব না পাওয়ার হিসাব নিকাশ ছেড়ে  নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণের ব্যাকুল প্রার্থনা। লালিত ইচ্ছেদের উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখে মনেতে সাজাই কত আশা প্রত্যাশার স্বপ্ন, আনমনে গোছানো আগামী ভবিতব্যেরা নতুনত্বের স্বাদ আস্বাদনের আগ্রহে মগ্ন। পুরনো বছর হতে অনিচ্ছার ভুল শুধরিয়ে পাই ভবিকালের শক্ত খুঁটি নির্মাণের দীক্ষা, লক্ষ্য পূরণের কঠিন পথটিকে সুগম করে দৃপ্ত পদক্ষেপে সম্মুখে এগিয়ে চলার শিক্ষা। পুরানের রেখে যাওয়া স্মৃতিবিস্মৃতির আলোড়ন ঘটায় প্রকৃতি পরিবেশ মনুষ্য সভ্যতার বিবর্তন, বর্ষবন্দনায় অনাবিল আনন্দে উদ্ভাসিত জীবন সোনালি পাখা মেলে নতুন স্বপ্নের জাল বুনন। সুস্থ রুচিতে সুশৃঙ্খলে এ উৎসব সুস্বাগতম আশাবাদী প্রাণে জাগে সম্প্রীতির মেলবন্ধন, প্রকৃতি প্রাণের সখ্যতায় স্থবিরতা কাটিয়ে জৈব অজৈব সম্মিলনে মননসত্তায় বর্ষবরণ।

ক্ষুধা - শ্যামল রক্ষিত || Khuda - Shamal Rakshit || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  ক্ষুধা  শ্যামল রক্ষিত   প্রতিদিন ধুলো ঝাড়ি আকাশের  ঘরের জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে  ঋতুকে কাছে ডাকি  ক্ষুধার জামাকাপড় পরে  সময়ের গাছ থেকে নক্ষত্রগুলো পেড়ে আনি আলো খাই  অন্ধকার খাই  খাই সমগ্র বিশ্বকে ৷

কর্মী - দীপঙ্কর বেরা || Karmi - Dipankar bera || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  কর্মী দীপঙ্কর বেরা   এ সমাজে কিসের জন্য কামার কুমোর চাষা তাঁতি জেলে মেথর ছিল কাজে যাওয়া আসা, এখন পাল্টে জীবন যাত্রা লোকের সংখ্যা কত কাজগুলো সব যাচ্ছে কাজে যে যার ইচ্ছে মত। কাজ বাড়ন্ত এ সংসারে সবাই কাজের খোঁজে কিছু ইনকাম হবে জেনে আরামে চোখ বোজে, গায় গতরে খাটার কাজে নেই আর ছোটো বড় দিন ফুরালে খেতে হবে, যতই দেখাও দড়।    কামার যে সে হয়তো গড়ে মাটির কোনো পাত্র কুমোর বানায় অস্ত্র শস্ত্র এলিয়ে তার গাত্র, জেলে বুনছে হয়তো বস্ত্র মাছ ধরছে এক তাঁতি ব্যবসা করছে ধোপা নাপিত ধরে আছে যাঁতি।   জাতের নামে ভাগাভাগি বন্ধ হলেই ভালো সব মানুষই সমান হবে ঘুঁচবে যত কালো,  শিক্ষা নিয়ে বুদ্ধি জোরে আয় উপায়ে অন্য করলে পরে সমস্ত কাজ হবে সবার জন্য।  পরস্পরের হাত বাড়ানো সুন্দর কাজে যাবে দেশ জুড়ে এই এত মানুষ কাজ কত আর পাবে? উৎসাহে আর ভালোবাসায় কাজ করে যাও তুমি এই পৃথিবী ভোগ্য হবে সবার স্বর্গ ভূমি।

Lap of nature - Sunanda Mandal || || English poem || Poetry

    Lap of nature            Sunanda Mandal   An undying peace is found in the lap of nature. That trees, bird A crowd of flowers and leaves, I want to build a new house. But that house is no longer built. Nature is not so close these days, In fact, the number of trees and birds has decreased. No flower smell, No leaf tremors.

A RIVER IS NOT ONLY WITH ITS WATER - SUBIR GHOSH || English poem || Poetry

  A RIVER IS NOT ONLY WITH ITS WATER   SUBIR GHOSH   For those the path is measured they cann’t move any further. Even an express horse has to stop. From an upperfloor balcony a cunning kite comes down with a smile. My scripts and syllabi cannot withstand any more the torturous teeth of the printing devil. The well that once used to overflow with water even there the mirror of cloud got broken long back. To supersede me the jockies mercilessly whip their horses. But I cann’t proceed further Neither anyone can supersede me too.   My shadow is not Myself. The stones of a hill are not the hill as such. A river is not only with its water, else any water could have been called in the name of ‘river’.

The Deserted House - Ananda Gopal Garai || English poem || Poetry

    The Deserted House Ananda Gopal Garai Oh no! nobody lives there!  The house is deserted.  Only the sparrows twitter,  The night owls hoot,  The cockroaches have made it Their safe abode!  The neighbors still hear the lament Of the Old Rich Man, 'oh! stab me not'.  They robbed him of his jewells They robbed him of his life, too.  When the midnight stars Raise their heads and look upon The dreamy shades---  A spirit cries in fear---  'Oh! stab me not, stab me not Please let me live, let me live. '

বিংশ-শতাব্দীর ফরাসী কবিতা - শংকর ব্রহ্ম || Binsha satabdir Farshi kabita - Sankar Brhama || প্রবন্ধ || Article

  বিংশ-শতাব্দীর ফরাসী কবিতা             শংকর ব্রহ্ম                উনিশ শতকের ফরাসী সাহিত্যের বিশেষ ঘটনা হল 'প্রতীকিবাদ'। প্রতীকিবাদের মধ্যে দেখা যায় বিভিন্ন প্রবণতা। ১৮৮৬ সালে মোরেআ-র 'প্রতীকিবাদের' ঘোষণা পত্র প্রচারিত হয়। কিন্তু 'প্রতীকিবাদী' কবিদের মধ্যে সকলের কাছে এটা কাব্যতত্বের আদর্শ হিসাবে গৃহীত হয়েছিল বলে মনে হয় না। এই কবিদের মধ্যে, এক দলের লেখার মধ্যে অবক্ষয়, বক্রোক্তি,আক্রমণাত্বক ভঙ্গির সঙ্গে এক ধরণের গীতিময়তার রোমান্টিকর রেশ, আর এক ধরণের কবিদের মধ্যে পার্নাসিঁয়াসদের  সহমর্মিতা লক্ষ্য করা যায়। তবে এদের সবারই স্বীকৃত গুরু ছিলেন বোদলেয়র, রঁ্যাবো, ভের্লন, মালার্মে। এই সূত্রেই তাদের মধ্যে যা কিছু সহমর্মিতা।                বিশ শতকে প্রতীকিবাদের বিবর্তন ঘটে 'শুদ্ধ কবিতা'র আদর্শে। তাদের মধ্যে পল ভালেরি,পল ক্লোদেল, ফ্রাঁসিস জাম, মিলোজ, স্যাঁ-জন-পের্স প্রমুখ। এই ধারা বয়ে নিয়ে চলেছেন- জঁ-জুভ্, পিয়ের এমানুয়েল, পাত্রিস দ লা তুর দ্যু প্যাঁ, জঁ ক্লোদ রনার,জোএ বক্সে, ইভ বনফোয়ার প্রমুখ।          এর পাশাপাশি, প্রথামুক্ত লেখার প্রয়াসও লক্ষ্যণীয়। তারা প্রাত্যহিক

অদ্ভুত কর ব্যবস্থা ও মুলাকরম - ঋভু চট্টোপাধ্যায় || Odvut kar babostha o mulakorom - Rivu Chattyapadhay || নিবন্ধ || Nibandha

  অদ্ভুত কর ব্যবস্থা ও মুলাকরম     ঋভু চট্টোপাধ্যায়   পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা যদিও ৩০০০-২৮০০ খ্রীষ্টপূর্বে একদিকে যেমন ইজিপ্টে, অন্যদিকে মনুস্মৃতি বা অর্থশাস্ত্রেও কর ব্যবস্থার কথা জানতে পারি, তবে বিভিন্ন অদ্ভুত বিষয়ে কর ব্যবস্থার কথা কিন্তু খুব একটা পুরানো নয়।সাল ১৬৯৬ ইংল্যাণ্ডে তৃতীয় উইলিয়ামের রাজত্বকালে একটা অদ্ভুত ধরনের করের ব্যবস্থা করা হয়,যা পরবর্তীকালে অন্যতম কুখ্যাত ‘উইনডো ট্যাক্স’ নামে প্রচলিত ছিল।এই ট্যাক্সে বলা হয় যার বাড়িতে যত বেশি জানলা সে তত বেশি কর দেবে।বিশেষ করে যে বাড়িতে দশটার বেশি জানলা তার অতিরিক্ত দশ সিলিং কর পড়বে।এর পরিণতি হিসাবে অনেকেই ইট দিয়ে নিজেদের বাড়ির জানলা এক্কেবারে বন্ধ করে দেন।এই উইনডো ট্যাক্স ছাড়াও বিভিন্ন দেশে বাড়ির গরু মোষ, এমনকি গোপ রাখবার ওপরেও ট্যাক্স নেওয়ার প্রথা প্রচলন ছিল। তবে এইসব কিছুকে ছাড়িয়ে যায় এই ভারতের কেরালায় এক সময়কার প্রচলিত ‘মুলাকরম’ বা ‘ব্রেস্ট ট্যাক্স।’ ‘মুলাকরম’ কর ট্রাভাঙ্কর রাজ্যে সেই সময় কার নীচু জাতের মহিলাদের থেকে নেওয়া হত।এই ট্যাক্স প্রায় ১৯২৪ সাল পর্যন্ত প্রচলিত ছিল, এমনকি রাজ্য সরকারের এই ট্যাক্স আদায়ের সাথে যুক্ত কর্মচারীরা বা

খুঁতখুঁতে গিন্নি - প্রদীপ কুমার দে || khut khute ginni - Pradip Kumar de || রম্যরচনা || Rammyarochona

  খুঁতখুঁতে গিন্নি    প্রদীপ কুমার দে ব্যাগটা সবে নামিয়েছি, গিন্নি দৌড়ে এল, সুদুর রান্নাঘর থেকে নাইলনের মোটা বাজারের ব্যাগ দেখেই উনি বুঝে গেছেন যতসব রদ্দিমাল,মানে সবজি আমি মহামুল্যে কিনে এনেছি। ও রেগে লাল, মাথার চুল এলোমেলো করে চিৎকার -- এসব কি এনেছো যাচ্ছেতাই? সবে বাজার থেকে এলাম, করোনার আবহে মুখের মাস্কটাও পর্যন্ত খুলতে পারিনি, হাত পা ধোওয়া দুরে থাক, কিছু না দেখেই মাথা আমার খারাপ করে দেওয়ার পালা। আর আমি সত্যিই বোকা প্রায়শই মুখ খুলে ফেলি আর সেই একই উৎপত্তি শুরু হয়ে যায়, কচ্ছপের গল্পের মতোই। তাই বলেই ফেললাম -- -- আরে চেঁচামেচি করছো কেন? আগেতো থলি থেকে সব বার করে দেখো। সমস্ত মাল বেছে বেছে এনেছি। -- দেখো মাথা গরম করো না আমার, বুঝলে? আমি একবার দেখলেই বুঝতে পারি। আর সব বেশি বেশি দাম দিয়ে এনেছো এই সব ফেলে দেওয়া সব্জিগুলো?  -- আরে না না, সব দামী এবং টাটকা! -- ঠিক আছে। ঠিক আছে! যা সব এনেছো - ওগুলো দিয়ে তুমিই রান্না করবে, আমি ছুঁয়েও দেখবো না, এই বলে দিলাম। যত্তোসব! আমি তাড়াতাড়ি ব্যাগ উল্টে দিলাম। আনাজ গুলো গড়াগড়ি খেয়ে দিক-বেদিক বেমালুম হয়ে গেল। দু একটা হাতে তুলে বৌয়ের উদ্দেশ্যে নাড়ালাম -

অদৃশ্য - সাহানাজ ইয়াসমিন মুনমুন || Odrishya - Sahanaj Yasmeen moonmoon || Short Story || ছোটগল্প

  অদৃশ্য সাহানাজ ইয়াসমিন মুনমুন একদা এক সময় নিশ্চিন্তপুর গ্রামে, সুন্দরলাল নামে এক জমিদার বাস করতেন। তিনি অত্যন্ত দয়ালু ও সৎ ব্যক্তি ছিলেন। অন্যদিকে জমিদার বাবুর একমাত্র ভাই অমরলাল যেমন খুব লোভী আর হিংসাপরায়ন তেমনই অত্যাচারী ও দুশ্চরিত্র ছিলেন।জমিদার বাবু ও তাঁর স্ত্রী সত্যবতি ও তাদের দুই ছেলে,রতন,সনাতন এবং তাদের একমাত্র কন্যা সুতপাকে নিয়ে তিনি খুব সুখেই ছিলেন। জমিদারবাবু তার ছেলে মেয়েদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন।তিনি সবসময় তাদের হাসি,খুশি আনন্দে রাখার চেষ্টা করতেন। মেয়েকে তিনি একটু বেশিই আদর,যত্ন করতেন। মেয়েও বাবা অন্তপ্রাণ!  রতন ও সনাতন দুই ভাইও তাদের বোনকে খুব ভালোবাসতো। অন্যের বিপদে জমিদার বাবু সবসময় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। কখনো কোনো অন্যায়কে তিনি প্রশ্রয় দিতেন না।  গ্রামের সকলেই জমিদার বাবুকে খুব সম্মান করতেন এবং সকলে তাঁর কথার মান্যতা দিতেন।অমরলাল জমিদার বাবুর ভাই হলেও আচার,আচরণে সম্পূর্ণ তার দাদার বিপরীত। অমরলাল সবসময় তার দাদার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে তার দাদার ক্ষতি করার চেষ্টা করতেন। জমিদার বাবুর বিপুল সম্পত্তি নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ফন্দি কষতেন।দাদার সামনে এমন মিষ

মনুষ্যত্ব - সংযুক্তা পাল || Manusatta - Sanjukta pal || Short Story || ছোটগল্প

  মনুষ্যত্ব সংযুক্তা পাল ......টিং টং। বেলা সবে কাজকর্ম সেরে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ভাত-ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করছে এ.সি.তে শুয়ে। বৈশাখের মাঝামাঝি গরমটা অসহ্য লাগছে এই পাঁচতলার উপরে। বিশেষ করে যখন ও রান্নাঘরে থাকে তখন গলগল করে ঘামতে থাকে। তখন শখ করে এই ফ্ল্যাটটা কিনেছিল। এখন আর ভালো লাগছে না। এ.সি.তে সব সময় তো আর থাকা যায় না। আর দুটো ঘরেই শুধু এ.সি. লাগানো।ওই ঘুমোবার সময়'টুকুই শুধু আরাম।এখন ছেলে-মেয়েরা স্কুলে। বর অফিসে। এ.সি.র মধ্যে একটু আয়েস করা যেতেই পারে। চোখটা লেগে এসেছিল ঠান্ডার আরামে। কলিং-বেলের আওয়াজে ঘুমটা ভাঙল। 'উফ' বলে অস্পষ্ট আওয়াজ করে বেলা উঠে বসল।মনে মনে ভাবল এখন আবার কে! শান্তিতে একটু শুতেও দেবে না! আবারও একবার বেলটা বাজল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেলা বিছানা ছেড়ে নামল। দরজার আইহোল দিয়ে দেখল। একটা সেলসগার্ল মনে হল দাঁড়িয়ে আছে। দু'কাধে অনেকগুলো ব্যাগ। মনে মনে কেয়ারটেকারটার গুষ্টির ষষ্ঠীপুজো করে দরজা খুলল। যতীন পইপই করে বলে দিয়েছে অচেনা কাওকে দেখলে দরজা খুলবে না। এই কেয়ার-টেকারের ওপর ভরসা নেই। নিজের চেয়ারে কম, আর অন্য জায়গায় বেশি সময় বসে থাকে। ফালত

ভুত নাকি অদ্ভূত - রিকু দাস || Vut naki Odvut - Riku Das || Short Story || ছোটগল্প

  ভুত নাকি অদ্ভূত             রিকু দাস কে ..... কে ওখানে ? কি হলো উওর দিন কে ওখানে? এই বলে সুজিত এগিয়ে যেতে থাকে সামনের আলো আঁধারি তে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়া মুর্তি টার দিকে। সুজিত উপলব্ধি করে সে যতোই এগিয়ে যাচ্ছে ছায়া মুর্তি টিও ততোধিক পিছিয়ে যাচ্ছে একটা সময় সুজিত যখন এসে পৌঁছায় এই সেকেন্ড ফ্লোরের এক দম শেষে তখন সে দেখে কোথায় কেউ তো কোথাও নেই। তবে... তবে কি সে ভুল দেখছিলো? কিন্তু সেটাই বা কি ভাবে সম্ভব এক পলকের জন্য হলেও মেনে নেওয়া যেত কিন্তু। এই সকল নানান চিন্তা করতে করতে সুজিত রুমে যাওয়ার জন্য যখনি পিছনে ঘুরেছে ওমনি একটা অস্ফুট স্বরে চিতকার করে মাটির উপর উল্টো পড়ে যায়।। সুজিত সদ্য কলেজে উঠা এক তরুণ যুবক বয়স সবে কুড়ি , সুঠাম চেহারা, গায়ের রং ফর্সা, তবে ওর সবথেকে আকর্ষণীয় অঙ্গ টি হলো ওর চোখের মণি দুটি হালকা নীলচে রঙ্গের মণী বিশিষ্ট মায়াবী চোখের অধিকারি সে । সুজিত এর বাড়ি  পুরুলিয়ার উঁদা তে সেখানে ভালো কোনো কলেজ না থাকার কারণে সুজিত এর বাড়ির লোকেরা ওকে ভর্তি করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখানের হস্টেলেই তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। আজ সুজিত এই হস্টেলে এসে উঠেছে প্রায়

ঝড়ঝঞ্ঝার আন্দামানে - সামসুজ জামান || Jharjonjhar Andamane - Samsuz zaman || Short Story || ছোটগল্প

                    ঝড়ঝঞ্ঝার আন্দামানে                                   সামসুজ জামান একেবারে ছোট্টবেলার ঝড়ের যে ছবি মনে আঁকা আছে তা বাড়ির খুব কাছেই মসজিদ তলার আম গাছের আম কুড়োনোর সাথে যুক্ত হয়ে আছে। আরেকটু বড় হয়ে সেই ছবি কিভাবে, কোথায় অপু আর দুর্গার আম কুড়ানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে তা বোঝার উপায় নেই। আরেকবার ঝড় হল আচমকা। আশেপাশের গ্রামে তেমন কিছুই হলো না কিন্তু আমাদের বর্ধমান জেলার কালনা থানার টোলা গ্রামের উপর দিয়েই যেন তার যাবার ইচ্ছে হল। আর সে দানব যাবার সময় গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে পশ্চিম ডাঙ্গার বটতলার পুরনো বটগাছ আর গ্রামের উত্তরপ্রান্তে খন্দকার পীরের আস্তানার বিশাল বটগাছের দুটো গাছেরই বেশিরভাগ ডালপালা ভেঙে, গাছ উপড়ে একেবারে তছনছ করে দিয়ে গেল। তারপর কর্মসূত্রে চলে গেলাম আন্দামানে। আর আন্দামানে থাকবো অথচ ঝড়ের অভিজ্ঞতা হবে না তা তো আর হয় না। সাধারণভাবে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের কালবৈশাখীর মতো হঠাৎ ঝড় ওখানে নেই। কিন্তু আবহাওয়ার দুর্যোগের কারণে বিশেষ করে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে যখন তখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়ংকর আকার ধারণ করে। আর সেই প্রচন্ড ঝড়ে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার অবস্থা

উত্তর ছাড়া অঙ্ক - দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায় || Uttar Chara onko - Dorpona Gangapadhyay || Short Story || ছোটগল্প

  উত্তর ছাড়া অঙ্ক দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায় এখন আমি এসে পড়েছি একজন পুরনো আমলের জজের বাড়ি। পেল্লায় উঁচু পেল্লায় বড় কিন্তু সব ঘর গুলোই ভীষণ অ যেস্বাস্থ্যকর।উঠোন ভর্তি আগাছায় ভরা,--- ড্রেনগুলো বুঝে গিয়ে ময়লা জমে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে : বাঁ পাশ দিয়ে পরপর দুটো ঘর তালা বন্ধ ।জানলা গুলো ভাঙা,পাল্লা নেই, দেয়াল গুলো প্লাস্টার খসে দাঁত বার করে একেবারে বীভৎস । ওরই একটা ঘরে বন্দী আছে সুতপা। তারপরের পশ্চিম দিকের ঘরে ভাড়াটে বহু বছর ধরে ভাড়া না দিয়েই রয়ে গেছে, উত্তরে দুটো ঘর ছোট বড় সে ঘর গুলোও তালা মারা প্রমোটিং হলেই ছুটে আসবে পুরনো উঠে যাওয়া ভাড়াটিয়া। উপরে থাকে বাড়ির মালকিন। সিঁড়িগুলো বেখাপ্পা ,আর কোন জানলা নেই, অন্ধকার ঘুট ঘুট করছে, ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে লেফট রাইট করতে করতে ওপরে উঠেই দেখি ওরে বাবা,! খোলা বারান্দা ! ঝুলছে ---সেখানেই প্রবেশ করতে দেখি ,এখানে আলো আছে ,কিন্তু ভুল পদক্ষেপে একেবারে নিচে পড়ে যেতে পারি। ভয়ে খুব ধীরে ধীরে এগোতে লাগলাম। মালকিন এগিয়ে এসে বললেন," এই আমার রান্নাঘর ", দেখলাম! বিশাল বড় একটা ঘর, চারিদিকে প্লাস্টার খসে পড়ছে , মেঝে গুলো ওদোল খোদল ,জানলার একট