গুণধরের বিয়ে - চন্দন চক্রবর্তী || Gunodhorer Biye - Chandan Chakraborty || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা
গুণধরের বিয়ে
চন্দন চক্রবর্তী
কি হে ভায়া,কেমন আছো ? হঠাৎ করলে বিয়ে !
তাকেই করলে,ওই যার সাথে ছিল ইয়ে টিয়ে ?
না না দাদা,কি আর বলি,সেই মেয়েটার কথা,
ভাবলে বুকে ব্যাথা জাগে,ঘুরতে থাকে মাথা ।
কেন,কেন ? কি হয়েছে ? ব্যাপারটা কি শুনি,
মেয়ে তো বেশ ফর্সা,লম্বা,তাছাড়া সে গুণী,
গড়ন তাও ভারি মিষ্টি,মায়াবী চোখ দুটো,
চলন,বলন সবই ভালো,কিছু ছিল ঝুটো ?
সে কথা নয়,সে কথা নয়,শুনুন তবে বলি,
শ্বশুর মশাই কিপটে হলে কেমন করে চলি ?
দুলাখ আগাম দিলেই দাদা চাকরি আমার পাকা,
টাকা চাইতেই,গেলেন চটে,মানুষ এমন বাঁকা !
সেতো হবেই,শিক্ষক তিনি,বিদ্বান মানুষ বটে,
ঘুষের চাকরি শুনেছেন যে,তাই গিয়েছেন চটে,
তাছাড়া ভাই তোমার চাকরি,তুমি খাবে দাবে,
তিনি কেন টাকা দেবেন ? কেন চাইতে যাবে ?
শুনুন দাদা,আমি হলাম মাধ্যমিক ফেল ছেলে,
তাতে করে কি এসে যায় নইতো এলেবেলে !
ছেলে মানে সোনার আংটি,সেতো সবাই জানে,
হোক না বাঁকা তবু তাকে সবাই সোনা'ই মানে ।
বেশ ভায়া,তারপর বল,ঘটেছিল কি পরে,
টাকা দিতে শ্বশুর রাজি ? বউ আনলে যে ঘরে ?
চাকরি তোমার হয়ে গেছে ? মুখটা হাসি হাসি !
মনিকাঞ্চন যোগ হয়েছে,মনে খুশির রাশি !
কি যে বলেন,শুনুন তবে ঘটলো গিয়ে শেষে,
ঘটক ঠাকুর খবর পেয়ে চুপি চুপি এসে,
সরেস মেয়ের খবর দিতেই নিলাম বিয়ে করে,
গায়ের রংটা বেজায় কালো,কে আর সেটা ধরে ।
পাঁচ লাখ নিলাম এক তো যাবে,সাবান কিনবো দাদা,
ভালো রকম ধোলাই দিলেই বউ তো তখন সাদা,
দু লাখ দিলে চাকরি হবে,বাকি দুলাখ হাতে,
ব্যাংকে রাখলে সুদও আসবে,থাকবো দুধে ভাতে ।
বেশ ভায়া,ভালো ভালো,গুণধর তুমি বটে,
হিসেব তোমার খুবই পাকা বুদ্ধি আছে ঘটে,
বলার ধরন কেমন কেমন ভাবতাম হাবা গোবা,
ভুল ভেঙ্গেছে,তোমায় চিনে,আমি এখন বোবা ।
Comments