ছোট গল্প - ভিখারী || লেখক - তনিমা সাহা || Short story - Vikari || Written by Tanima Saha


 


ভিখারী

তনিমা সাহা 



মনু রোজ ভিখারীটিকে দেখে বাড়ির উল্টো দিকে গাছটির নিচে বসে থাকতে। সবসময় কিছু যেন আড়াল করে রাখে সে। মনুকে দেখলেই সেই জিনিসটা লুকিয়ে ফেলে। মনুর বাবা-মা নেই। সে তার দাদু-দিদার সঙ্গে থাকে। দাদু বলে মনুর বাবা শিলাদিত্য একজন সামরিক বাহিনীর পদাতিক সৈনিক ছিলেন। মনুর মা বসুন্ধরা একটি আঞ্চলিক খবরের চ্যানেলে কাজ করতেন। 'সীমান্তে সৈন্য সৈকত' নামে অনুষ্ঠানের জন্য বসুন্ধরা যখন কাজ করছিলেন তখন তার শিলাদিত্যের সাথে পরিচয় হয়। সেই পরিচয়টা প্রথমে প্রণয় এবং পরে পরিণয়ে পরিনত হতে খুব বেশি একটা সময় নেয়নি। বছরখানেক বেশ ভালভাবেই কাটে ওদের। বছরখানেক পর পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিল শিলাদিত্য। শিলাদিত্য অনাথ আশ্রমে মানুষ। তাই বসুন্ধরার বাড়িতেই সে থাকতো। ছুটিতে এসে অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে, বসুন্ধরার পরিবারকে নিয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করে বেশ ভাল সময় কাটছিল। কিন্তু হঠাৎই সেসময় সীমান্ত পাড়ে কোন একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় শিলাদিত্যকে অতিসত্ত্বর ছুটি বাতিল করে ফ্রন্টে ছুটে যেতে হয়। কিন্তু তারপর থেকে শিলাদিত্যের কোন খবর নেই। ততদিনে বসুন্ধরার ঔরসে চলে এসেছে বসুন্ধরা ও শিলাদিত্যের ভালবাসার চিহ্ন মণীশ মানে মনু। পাগলের মতো শিলাদিত্যের দেওয়া নম্বরে ফোন করতো বসুন্ধরা। কিন্তু কেউ ফোন ধরতো না। বসুন্ধরার বাবা অর্থাৎ মনুর দাদু তা-ও চেষ্টা করেছিলেন সীমান্ত পাড়ের সেনাবাহিনী থেকে শিলাদিত্যের খোঁজ নেওয়ার। কিন্তু নাহ্! সব চেষ্টাই যেন বিফল হয়ে গেল। একটা জলজ্যান্ত মানুষ যেন হঠাৎ হাওয়ায় উড়ে গেল। বসুন্ধরাও আস্তে আস্তে কেমন যেন চুপ মেরে গেল। মনুকে জন্ম দিতে গিয়ে ভীষণ রকম অসুস্থ হয়ে পড়ল সে। যখন মনুর ছয় বছর বয়েস তখন বসুন্ধরা ইহলোকের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে গেল সেই না ফেরার দেশে। 


এই সবকিছুই মনু তার দাদু-দিদা থেকে শুনেছে। এমনিতে দাদু-দিদা মনুকে ভীষণ ভালবাসে। তার কোনরকম প্রয়োজন কখনও অপূর্ণ রাখেন না। কিন্তু তবুও যখন মনু দেখে যে স্কুলে স্পোর্টস-ডে বা প্যারেন্ট-টিচার মিটিংয়ে সবার বাবা-মা আসে তখন তার খুউউব কষ্ট হয়। কিন্তু সে কাউকে বুঝতে দেয় না। শুধু বাড়ি ফিরে বাবা-মায়ের ছবিটা নিয়ে লুকিয়ে কাঁদে। দাদু-দিদা যদি জানতে পারে যে মনুর মনে এত কষ্ট জমা আছে তাহলে তো ওরাও খুব কষ্ট পাবে! মনু ওদের খুব ভালবাসে। তাই নিজের কষ্টটাকে লুকিয়ে রাখে।




আজ মনুর রেজাল্ট বেরোবে। মনু অষ্টম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণীতে উঠবে। রেজাল্ট নিয়ে মনুর মনে কোন ভয় নেই। সে মোটামুটি ভালই রেজাল্ট করে। কিন্তু সমস্যাটা হল অন্য জায়গায়। আজকাল স্কুলে যাওয়ার পথে কিছু ছেলে তাকে বেশ বিরক্ত করে। ছেলেগুলো বিজাপুর বস্তির। মনু দেখেছে ওই ছেলেগুলো সিগারেট খায়। ওদের হাতে সবসময় একটা ছোট আকারের বোতল থাকে। ওইসব বোতলে সাদা সাদা কী যেন ভরা থাকে সেগুলোও খায়। বড়ো দুর্গন্ধ বেরোয় তা থেকে! মনুর ওদেরকে খুব ভয় করে। অন্য কোন ঘুরপথে যে সে স্কুলে যাবে তারও উপায় নেই। স্কুলে যাওয়ার এই একটাই রাস্তা। স্কুলের সবাই মনুকে 'ভীতু, ভীতু' বলে প্রচণ্ড খ্যাপায়! আসলে মনু ভয়টা একটু বেশীই পায়। এখনও রাতে দাদু-দিদার সঙ্গেই ঘুমোয়। দাদু-দিদা এমনিতেই তাকে নিয়ে যথেষ্ঠ চিন্তায় থাকেন। এই নতুন উৎপন্ন উপদ্রবটির কথা বলে মনু ওদেরকে আর ব্যতিব্যস্ত করতে চায়নি। আর তাছাড়া আরেকটি কারণও আছে। মনু আসলে চায় যে তার নাম থেকে এই 'ভীতু'র তকমাটা মুছে যাক। তাই আরকি….। 




অষ্টম শ্রেণীর রেজাল্টও বেশ ভাল হয়েছে। রেজাল্ট নিয়ে মনু বেশ ভয় ভয় মনে বাড়ির দিকে পা বাড়ালো। রাস্তায় সেই মোড়ে যেখানে ছেলেগুলো আড্ডা দেয় সেখান মনু যাওয়ার আগে মোড়ের কোনাটা থেকে একবার উঁকি দিয়ে দেখলো যে ছেলেগুলো নেই। মনু নিশ্চিন্তে মোড়ের দিকে পা বাড়ায়। মোড়ের রাস্তাটা যেমাত্র পেরোতে যাবে ঠিক সেইসময়ই কোত্থেকে যেন ভুঁইফোড়ের মতো ওরা সামনে চলে এল। মনু বেশ জোরে আঁতকে উঠল! ওর ভয় পাওয়া মুখটা দেখে বস্তির ছেলেগুলো জোরে জোরে হাসতে লাগল। 




ওদের একজন বলল, 'দেখ, দেখ নামটা হেব্বি দিয়েছে, এক্কেবারে ম্যাচিং...কী 'ভীতু'... ভীতু কী ভয় খেল নাকি।' বলে ছেলেগুলো হাসতে লাগল। 




মনু এবার সত্যিই চমকে গেল। 'ভীতু' নামে তো তাকে স্কুলে ডাকা হয়। এই নামটা ওরা কিভাবে জানলো? ঠিক তখনই ওদের পেছন থেকে শয়তানের মতো হাসতে হাসতে বেড়িয়ে এল রাতুল। 




মনুর ক্লাসের সবচেয়ে বখে যাওয়া ছেলে রাতুল তাকে প্রথম 'ভীতু' নামটা ধরে খ্যাপাতো। তারপর রাতুলই ক্লাসে ছড়িয়ে দেয় এই 'ভীতু' নামটা। রাতুল পরপর দুবছর ফেল করে এবার মনুদের ক্লাসে আছে। হেডস্যার যদিও রাতুলকে ওয়ার্নিং দিয়েছেন যে এবারও যদি সে ফেল করে তাহলে তাকে স্কুল থেকে রাস্টিগেট করে দেওয়া হবে। যদিও রাতুলের সে ব্যাপারে কোন ভ্রুক্ষেপই নেই! সে অকারণে মনুকে বিরক্ত করেও বেশ মজা পায়। যেমন ক্লাস ফাঁকা থাকলে বিকট আওয়াজ করে মনুকে চমকে দিয়ে বা গলার আওয়াজ বিকৃত করে ভয় পাইয়ে খুব মজা পায়। তাছাড়া স্কুলে ঢোকার মুখে ল্যাং মেরে ফেলে দেওয়া বা ক্লাসে মনুর বসার জায়গায় চুইংগাম চিবিয়ে চিটকে দেওয়া বা অফপিরিওডে মনুর ঠিক পেছনের বেঞ্চে বসে কলম দিয়ে ক্রমাগত খোঁচা দিতে থাকা। রাতুলের বিরুদ্ধে একবার শিক্ষকের কাছে নালিশ জানিয়েছিল মনু। ওই এক/দুদিন ঠিক ছিল। আবার যেই কে সেই! কিন্তু এবার মনু ভেবেছিল এসবের প্রতিবাদ সে করবে। এই তো সেদিনের কথা। টিফিন পিরিয়ডে মনু সবেমাত্র টিফিনবক্সটা খুলেছিল। সঙ্গে সঙ্গে রাতুল ছোঁ মেরে অর্ধেকটা টিফিনটা তুলে নিলো। এটাও প্রায় রোজেরই ঘটনা। কিন্তু এবার মনু করল কী, টিফিন বক্সের ঢাকনাটা দিয়ে রাতুলের হাতের উপর জোরে চেপে ধরল। এদিকে টিফিনবক্সের মধ্যে রাতুলের হাত এবং ওই অবস্থায় ঢাকনাটা দিয়ে মনু এতো জোরে চাপা দিয়ে আছে যে হাতটা বেশ ব্যথা করছে। এরকম বেকায়দায় রাতুল কখনও পড়েনি। মনুর দিকে তাকাতেই দেখে সে মিটিমিটি হাসছে। 




দাঁতখিঁচিয়ে রাতুল বলল, 'কাজটা ভাল করলি না মনু। এর ফল একদিন তোকে ভুগতে হবে।'




এরপর রাতুল আর মনুকে বিরক্ত করতো না। মনুও খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়ে গেল। এরই মাঝে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় মনুও পড়াশোনা আর প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।




আজ এই বস্তির ছেলেগুলোর সাথে রাতুলকে দেখে মনুর মনে এক অশনি সংকেত দেখা দিলো। 




মনুকে দেখে রাতুল বলল, 'কি রে সেদিন তো খুব হম্বিতম্বি করছিলি! আজ হঠাৎ চুপসে গেলি কেন, অ্যাঁ?'




বস্তির ছেলেগুলোর মধ্যে একজন বললো, 'এএ, সুনলাম নাকি এই হেঁদোটার মা-বাপ নাকি ফুঁকে গেছে,অ্যাঁ, ঠিক।' 




দ্বিতীয়জন বলল, 'শাল্লা! অনাথের বাচ্চা হয়ে বসের সঙ্গে মাতব্বরি করছি্স।'




এবার মনু মুখ খুলল। 


বলল, 'মুখ সামলে কথা বলো। অনাথ কাকে বলছো তোমরা।'

দ্বিতীয় ছেলেটি রাতুলকে বলল, 'বস! বাচ্চার মুখে দেখি কথা ফুটেছে।' 




রাতুল ফস করে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে বলল, 'তবে আর বলছিলাম কি! এইজন্যই তোদেরকে এর পেছনে লাগিয়েছিলাম।' 




মনুর কাছে এবার ধীরে ধীরে সবকিছু পরিস্কার হতে শুরু হল যে, কেন এই বিজাপুর বস্তির বখাটে ছেলেগুলো অকারণে তাকে যাতায়াতের পথে বিরক্ত করতো। মনু দেখলো রাতুলসহ ছেলেগুলো হাতে মোটা লাঠি নিয়ে তার দিকে এগোচ্ছে। মনু বিপদের গন্ধ পেয়ে একপা দুপা করে পিছিয়ে ছুট লাগাল। ছুটতে ছুটতে মোড়ের রাস্তাটা প্রায় পেরিয়ে আসায় ছোটার গতি কমিয়ে দিল মনু। আর সেখানেই হল বিপত্তি! রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রাখা একটা ইটের উপর হোঁচট খেয়ে মনু পড়ে গেল রাস্তায়। হোঁচট খেয়ে পড়ায় মনু দু'হাটুঁতেই বেশ চোট পেল! একটু সামলে উঠতেই দেখে সবকটি ছেলে তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। 




রাতুল একটি চুকচুক শব্দ করে বলল, 'এখন কোথায় পালাবি রে ভীতু! এখন তোকে বাঁচাবে রে ভীতু।' 


বলেই লাঠি উঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠল, 'মার শালাকে ধরে।' 




মনু আগাম ভবিষ্যতে কথা ভেবে হাত দিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করল। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পরও যেমনটা ভেবেছিল তেমন কিছুই হল না। শুধু 'উহঃ', 'আহঃ', 'স্যাত', 'ধুপ্' এই জাতীয় কিছু শব্দ ভেসে আসতে লাগল কানে। মুখের ওপর থেকে হাত সরিয়ে মনু মিটিমিটি চোখে তাকিয়ে দেখে যে, মনুদের বাড়ির সামনের সেই ভিখারীটি কোথা থেকে এসে ওদের লাঠি দিয়েই ওদেরকে মারছে। মার খেয়ে ওরা সবাই রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। 




হাতের লাঠিটা রাস্তায় ঠুকে ভিখারীটি রাগতঃ দৃষ্টিতে মনুর দিকে তাকিয়ে বলল, 'পেত্তিবাদ কইরতে পারিস না? নিজের জন্য এখন পেত্তিবাদ যদি কইরতে না পারিস তবে কবে আর পারবি? আমার পোলাটাও তোর মতোই হ্যাদাব্যাদাই ছিল। পড়াশুনাটা জানতো ভাল। তাই তো গতর খেটে পোলাটাকে বড়ো ইস্কুল পর্যন্ত পড়িয়েছিলাম। কিন্তু কী লাভ হল! ওই বড়োলোকের পোলাগুলো অন্যায়ভাবে মেরে ফেলল আমার পোলাটাকে। ওর মা তো সঙ্গে সঙ্গে শেষ। এই আমিই শুধু তার কাছে যেতে পারিনি। এই দুনিয়াটা বড্ড নিষ্ঠুর রে বাপ। নিজের ঘাড় শক্ত করে মাথা উঁচু করে যদি চলতে না পারিস তবে এই দুনিয়া তোকে দুমড়েমুচড়ে শেষ করে দিতে সময় নেবে না।' 




মনুর চোখ দিয়েও জল গড়িয়ে পরছে তখন। এদিকে হয়েছে কি রাস্তার উপর এতো আওয়াজ শুনে বিশেষ করে মনুকে রাস্তায় পরে থাকতে দেখে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এল। 


একজন বললেন, 'কী হয়েছে মনু? এরা কারা?' 




মনু মাথা ঘুরিয়ে ভিখারীটিকে কোথাও দেখতে পেল না। মনুকে ওরা ধীরে ধীরে উঠিয়ে দাঁড় করালে সে একে এক সব বলল। 


অন্য একজন বলল, 'আরে এরা তো সেই বস্তির ছেলেগুলো। কদিন ধরেই দেখছি এদের এই পাড়ায় আনাগোনা বেড়েছে। আর এ তো বিশ্বাস ব্যবসায়ীর ছেলে। আমার ছেলেমেয়েকেও সে প্রচণ্ড বিরক্ত করে। আজ এর হচ্ছে! একে আজ ছাড়বো না আমি।' 


এরমধ্যে কেউ পুলিশকে খবর দিয়েছে। পুলিশকে দেখে ছেলেগুলোর মুখ পাংসুবর্নের হয়ে গেল। এতদূর যে ব্যাপারটা গড়াবে ওরা ভাবতে পারেনি। মনুকে পাড়ার লোকেরাই ফার্স্টএইড করিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। ওদিকে বিশ্বাস ব্যবসায়ী পাড়ার লোকের কাছে প্রায় হাতেপায়ে ধরে ছেলের তরফ থেকে ক্ষমা চাইলেন। বাড়িতে বসে গরম গরম হলদি-দুধ খেতে খেতে মনু তার দাদু-দিদাকে রাস্তায় এবং স্কুলে ঘটা সমস্তকিছু খুলে বলল। ভিখারীর কথা শুনে মনুর দিদা বললেন, 'কয়েকমাস আগে খবরের কাগজে পড়েছিলাম বটে এমন একটা ঘটনার কথা। কলেজের প্রথম বর্ষের একটি ছাত্রকে তৃতীয় বর্ষের দুজন ছাত্র শুধু গায়ের জোর দেখাতে গিয়ে মেরে ফেলেছিল। ওই দুজন খুব বড়োলোকের ছেলে ছিল। তাই কেসটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল।'




প্রায় এক সপ্তাহের পর আজ মনু স্কুলে এসেছে। বাড়ি থেকে বেড়োনোর সময় সে ওই ভিখারীটিকে অনেক খুঁজেছিল। কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়নি তাকে। যেই গাছের তলায় ভিখারীটি বসতো সেখানে গিয়ে একটু খুঁজতেই মনু একটা খবরের কাগজের কাটিং দেখতে পেল যাতে লেখা ছিল 'মেধাবী ছাত্রের নৃসংশ হত্যা। টাকার জোরে পেল অপরাধীরা ছাড়া'। শিরোনামটির নিচে একটি বছর কুড়ির ছেলের ছবি। মনু বুঝতে পারল এইটাই ছিল সেই ভিখারীটির ছেলে। ছেলেটির কথা ভেবে মনুর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। মনে মনে মনু একটি সিদ্ধান্ত নিলো। 




স্কুলে এসে জানতে পারল রাতুলকে তার বাবা টি.সি. দিয়ে নিয়ে চলে গেছে। তাকে নাকি কোন একটা বোর্ডিং স্কুলে দেবে। ক্লাসের সবাই তাই বেশ স্বস্থিতে আছে। আজ প্রথমদিনের ক্লাস বেশ ভাল হল। বাড়ি ফিরে মনু তার দাদুকে বললো, 'দাদু আমি ভেবেছি আর ভয় পেয়ে আমি চলবো না। তোমরাও আমার জন্য এতো চিন্তা করো না। যার বাবা-মা ফাইটার ছিল সে কী আর দুর্বল হতে পারে।'




মনুর কথা শুনে উঁনার বুকটা আজ বহুবছর পর আবার গর্বে ফুলে উঠল।




Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024