মেঘের গর্জন
নীল মিত্র
অমিত সরকার ডাক্তার, রাচীর মানসিক হাসপাতালে পোস্টিং। আজ ট্রেন ধরে কলকাতা থেকে ফিরছে। ওর পাশের সীটে অসিতবাবু, ওনার স্ত্রী শুক্লাদেবী আর ১৮ বছরের মেয়ে তনিমা যাচ্ছে। বাইরে ভীষণ মেঘলা করে রয়েছে, কাল থেকেই মেঘলা দিন বলা যায়। বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
তনিমা খুব প্রাণবন্ত মেয়ে, হাসিখুশি স্বভাবের। কিছুক্ষণের মধ্যেই অমিত এর সাথে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। অনেক রকমের গল্প করতে লাগল। বাইরে মেঘলা আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, হঠাৎ গর্জন করে উঠলো। মেঘের গর্জনে তনিমা চিৎকার করে উঠলো। অমিত দেখলো তনিমার সারা শরীর কাঁপছে। ও মাকে জড়িয়ে ধরলো ভয়ে।
সকাল হতেই ট্রেন পৌঁছালো, যে যার গন্তব্যে রওনা দিল। অমিত হাসপাতালে গিয়ে শুনলো একটি নতুন মানসিক রুগী এসেছে। কেবিনে গিয়ে দেখলো আরে এ তো কালকের ট্রেনের তনিমা। তারপর কেস স্টাডি করে জানতে পারলো যে তনিমা ছোটবেলায় একটা মেঘলা দিনে স্কুল থেকে ফিরছিল, তখন রাস্তায় দুটি যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায় আর ওর শ্লীলতাহানি করে। তখন থেকেই ও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়েছে। মেঘের গর্জন শুনলেই তনিমার সেই ঘটনাটা মনে পড়ে যায় আর ও পাগলামি শুরু করে।
No comments:
Post a Comment