ছোট গল্প - নষ্ট মেয়ের সাত কাহন || লেখক - সুব্রত নন্দী মজুমদার || Short story - Nosto Meyer Satkahon || Written by Subrata Nandi Majumdar
নষ্ট মেয়ের সাত কাহন
সুব্রত নন্দী মজুমদার
আমি মোটেও জন্মেই নষ্ট মেয়ে হয়ে যাই নি, আমার মাও নষ্ট মেয়ে ছিল না। শুনেছি আমি খালাস হতেই আমার বাবাটা নাকি আর এক মেয়েছেলের হাত ধরে চলে গিয়েছিল কোথায়। আর ফিরে আসেনি। সেই বাপটাকে আমি কোনদিন চোখেই দেখি নি।
রেল কলোনীর বস্তির একটা ঝুপড়িতে আমরা থাকতাম। মায়ের কাছে শুনেছি আমার বাপটা রেলস্টেশনেই কি সব কাজ করে যা রোজগার করত তাতে আমাদের দু’বেলার খাওয়া হয়ে যেত। কিন্তু বাপ রোজ সন্ধ্যেবেলা চুল্লু খেয়ে বাড়ি এসে মাকে পেটাত। আমি মায়ের পেটে এসে যাবার পর সে কিছুদিন শান্ত ছিল, তারপর আমি খালাস হতেই একদিন আরেকটা মেয়েছেলেকে নিয়ে সেই যে উধাও হয়ে গেল আর পাত্তা নেই।
মা আগে কোন কাজ করত না। বাপের রোজগারেই আমাদের পেট চলত। বাপ চলে যেতে মা পড়ল অথৈ জলে, দেড়খানা পেটের সংস্থান চাই তো। রেল কলোনির এক বাবুর বাড়িতে মা রান্নার কাজ পেয়ে যাওয়াতে আমাদের চলে যেত। তা ছাড়া মাকে ওদের বাড়ি থেকে কিছু খাবার ও দিত। তাই পেটের ভাবনা আমাদের ছিল না।
মা আমাকে কোলে নিয়ে বাবুদের বাড়ি যেত আর পাশে বসিয়ে নিজের কাজ করত। এমনি করে দিন চলতে লাগল বটে, কিন্তু বয়সটা তো চুপচাপ বসে থাকে না? বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমি ও গায়ে গতরে বাড়তে লাগলাম।
কিন্তু ঐ গতরটাই হল আমার কাল। তাছাড়া আমি দেখতেও সুন্দরী, বাবুদের বাড়ির মেয়েদের মতই ফর্সা গায়ের রঙ। এই নিয়েও পাড়া পড়শিদের মধ্যে ফিসফিসানি চলত। মায়ের দিকে আঙ্গুল তুলে বলত রেল কলোনীর বাবুদের কারো সঙ্গে মা হয়তো লটর ফটর করত। তাই বাপটা পালিয়ে গেছে। আমার কিশোর বয়সে আমি যখন গায়ে গতরে লোকের চোখে পড়ার মত, তখন ঐসব কথা শুনতাম, কিন্তু ভাল করে বুঝতে পারতাম না।
বড় হয়ে আমি বাবুদের বাড়িতে মায়ের কাজে সাহায্য করতাম। বাবু যে যখন তখন রান্নাঘরে এসে মায়ের সঙ্গে কথা বলার ছলে চেখে চেখে আমার বাড়ন্ত শরীরটাকে খেত, আমি না বুঝলেও মা সেটা বুঝতে পেরেছিল।
বাড়ন্ত গড়নটাই আমার কাল হল। আমার বয়স সবে তেরো পেরিয়েছে। তখনি পুরন্ত আপেলের মত গোল গোল স্তন দুটো যেন গায়ের জামা ভেদ করে বেরিয়ে আসতে চায়। সব বয়সের পুরুষরা জুল জুল করে আমার গোল স্তনের দিকে তাকিয়ে থাকে কেন বুঝবার মত বয়স আমার হয় নি। মা আমায় সেটা বুঝিয়ে দিল আর বাবুর বাড়িতে না যেতে বলে।
যেদিন মা আমাকে বাবুর বাড়ি যেতে বারণ করল, সেদিনই বাড়ি ফিরে মা আমাকে প্রায় চ্যালাকাঠ দিয়ে মারতে আসে, ‘হতভাগীটা মরে গেলে আমার জ্বালা জুড়োত। একদিন না দেখেই বুড়ো হামড়া বাবুটা ছুক ছুক করতে থাকে। ইনিয়ে বিনিয়ে বলে, ‘কই গো, তোমার মেয়েকে দেখছি না আজ।‘ হতভাগী, গা টা একটু ঢাকা দিয়ে রাখবি তো?’
মায়ের কথা বুঝতে না পেরে আমি হা করে থাকি, তারপর নিজের বুকে হাত বুলিয়ে দেখি আপেলের মত গোলগাল বুকে স্তনবৃন্তের উপর হাত পড়তে গাটা কি রকম শির শির করে ওঠে। মা অবশ্য চ্যালা কাঠের সৎব্যবহার করে আমার বাড়ন্ত গড়নের ব্যাপারটা বোঝায় নি, কিন্তু বুঝতে আমি পারলাম পরের দিনই।
বাবুর বাড়ি যাবার আগে সেদিন মা আমাকে পই পই করে বারণ করে গেল আমি যেন একদম বাড়ি থেকে না বেরোই। মা রোজ সকাল আটটায় বেরিয়ে যায় আর ফিরে আসে দুপুর দু’টোয়। বাড়িতে অবশ্য ঘড়ি নেই, সময় ঠিক করি আসা যাওয়া ট্রেনের হুইসেল শুনে। সেদিন মা বেরিয়ে যাবার পর আমি দরজা ভেজিয়ে ঘর গোছ গাছ করছিলাম। একটু পরে মা যেভাবে বলে গেছে রান্নার ব্যবস্থা করব।
এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি বাবু মানে যাদের বাড়িতে মা কাজ করে, দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে। আমি চমকে গিয়ে মায়ের কথামত শাড়ির আঁচল ঠিক করে আমার পুরন্ত বুকদুটো ঢাকা দিই। বাবু ভেতর থেকে ছিটকিনি বন্ধ করে দিতে আমি মৃদুস্বরে বলি, ‘দরজা বন্ধ করছেন কেন?’
তিনি তেমনি হাসিমুখে আমার কাছে আরও এগিয়ে এসে আমার পিঠে হাত দিয়ে বলেন, ‘দুদিন যাস নি, তাই ভাবলাম দেখে আসি শরীর টরীর খারাপ হয় নি তো।‘
আমি আমার পিঠ থেকে তাঁর হাত সরিয়ে দেবার চেষ্টা করতে তিনি আমাকে আরো কাছে টেনে এনে গালে একটা চুমু খেয়ে বলেন, ‘আহা, ফুলের মত মেয়েটা, আর একটু যত্ন পেলে একেবারে পরীর মত দেখতে হত। ‘
আমি কি রকম ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই। বাবু আমাকে টেনে বিছানার উপর বসিয়ে দিয়ে একেবারে আমার গা ঘেঁসে নিজে বসে একহাতে আমার কোমর জড়িয়ে ধরেন। আমার কি রকম অস্বস্তি হতে থাকে। তিনি বলেন, ‘ভয় কিসের? কেউ আসবে না, দরজা বন্ধ আছে।‘ বলে বাবু আমার ব্লাউজ খুলে দিয়ে আমার স্তনের চুচিতে মুখ দিয়ে কামড়ে ধরেন। আমি এই প্রথম বুঝতে পারলাম আমার বাড়ন্ত গড়নের জন্য মায়ের এত চিন্তা কেন। আমার বুকে শির শিরানি আর সেই সঙ্গে একটা ভাল লাগার অনুভূতি দেখা দিল।
বাবু আমার সায়ার দড়ি খুলে দিতে আমি প্রথম আমার কুমারীত্ব হারালাম। যোনিতে সামান্য ব্যথা অনুভব করলেও একটা আনন্দের শির শিরানি আমার সমস্ত অঙ্গে ছড়িয়ে গেল। জোরে জোরে আমার নিঃশ্বাস পড়তে লাগল। বাবু আমার দু’টো স্তন আঁকড়ে ধরে কামড়ে খিচরে রক্ত বের করে দিলেন।
আমি কোনমতে উঠে বসে ব্লাউসের বোতাম আটকাই। বাবু আমার পিঠে হাত দিয়ে বলেন, ‘ভয়
পাচ্ছিস কেন, কিচ্ছু হবেনা, ‘ বলে তিনি পকেট থেকে একশ টাকা বের করে আমার হাতে দেন। তিনি বলেন, ‘রাখ, তোর যা ইচ্ছে কিনিস, মাকে কিছু বলিস না, আমি যে এসেছিলাম একথা ও না। দেখবি আমি তোকে কত কিছু দিই। মা যেন কিছু জানতে না পারে।‘
সেদিন আমি বুঝতে পারলাম কিছু কথা আছে যা গোপন রাখতে হয়।
কিন্তু কাউকে কি কিছু বলতে হয়? ধরা একদিন পড়ে গেলাম প্রথমে মায়ের কাছে তারপর রতনের কাছে। বাবু এর মধ্যে আরও দু’তিন দিন এসেছিলেন, আমাকে অনেক আদর আহ্লাদ করলেন, আঁচড় কামড় ও দিলেন। তারপর যাবার আগে বেশ কিছু টাকা আমার ব্লাউজের ফাঁকে বুকের মধ্যে গুঁজে দেন। মা যাতে দেখতে না পায়, আমি টাকাগুলো লুকিয়ে রাখি কুলুঙ্গিতে। মাঝে মধ্যে কিছু কিনে খাই। আমার কৈশোরুত্তীর্ণ মন এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখতে পায় না।
একদিন মা কুলুঙ্গিতে রাখা টাকা দেখতে পেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে, ‘এ টাকা কোথা থেকে এল?’
আমি বেমালুম বলে দিলাম ’কই, জানি নাতো। ‘
মা আমার চুলের মুঠি ধরে বলেন, ‘ বল শীগগিরই, নয়তো মেরে আমি তোর হাড় মাস এক করে দেব।‘ এই কথা বলে মা আমাকে একটা হ্যাঁচকা টান দিতে আমার গায়ের আঁচল সরে গিয়ে বুকেতে বাবুর কামড় ও আঁচড়ের দাগ বেরিয়ে পড়ে। দেখে মা থ’ হয়ে যায়। গায়ের কাপড় সরিয়ে গায়ে পিঠে সব দাগ দেখে বলে, ‘ হারামজাদী, কাকে ঘরে ঢুকিয়েছিস বল।‘
মার খেয়ে খেয়ে আর না পেরে আমি মাকে সব বলে দিলাম। মা রেগে উনুন থেকে চ্যালাকাঠ তুলে আনে আমাকে মেরে ফেলার জন্য। কিন্তু হল উল্টোটা। মা নিজেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে মরে গেল। বস্তির লোক সবাই ছুটে এল। আমি কিছু বুঝতেই পারলাম না। রতন গিয়ে রেল কলোনীর সেই বাবুকে ডেকে নিয়ে এল।
বাবু আমাকে খুব সাহায্য করলেন। মায়ের কাজ করা থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুর ব্যবস্থা তিনি করে দিলেন। কাজ কম্ম শেষ হয়ে যেতে বাবু আমাকে আদর করে বলেন, ‘ কিচ্ছু ভাবিস না, আমি আছি। যখন যা দরকার হবে আমায় বলবি। আমি ও রোজ একবার তোর খোঁজ নিয়ে যাব।‘ ‘
তখন থেকেই আমি পুরোপুরি নষ্ট মেয়েমানুষ হয়ে গেলাম। বাবু আমাকে দখল করে নিলেন, আমাকে মানে আমার শরীরটাকে।
ও, হ্যাঁ, রতনের কথা বলছিলাম না। ছেলেটা আমাদের পাড়ায় থাকে। ছোটবেলা থেকেই আমরা একসঙ্গে খেলাধূলা করেছি। মা চলে যাবার পর সে একদিন আমার কাছে এসে বলে, ‘স্বপ্না, ও বলতেই ভুলে গেছি, যদিও মা আমাকে হতচ্ছারী, পোড়ারমুখী এইসব নামে ডাকত, আমার একটা সুন্দর পোষাকী নাম ছিল,স্বপ্না আর মায়ের নাম ছিল সীমা। । ভুলেই গেছি সেটা। রতন এসে বলে, ‘স্বপ্না, তোকে অনেকদিন ধরে একটা কথা বলব ভাবছি। তোর মায়ের সামনে বলতে ভরসা পাই নি। এখন তো তোর মা নেই, তাই বলছি।‘
আমি জিজ্ঞেস করি, ‘কি কথা রে?’
সে একটা ঢোঁক গিলে বলে, ‘ বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করেছি, রেল কলোনীর সেই বাবুটা তোর বাড়িতে খুব যাতায়াত করে।‘
আমি ‘ ও কিছুনা’ এইরকম ভাব দেখিয়ে বলি, ‘হ্যাঁ, বাবু মায়ের খোঁজ নিতে আসত।‘
‘দেখ, আমি বোকা নই,’ রতন বলে, ‘সব বুঝি। তোর মা নেই, এখন তোকে রোজগার করতে হবে। শুধু একটা বাবুতে চলবে কেন, আমি তোকে অনেক বাবু জোগাড় করে দেব। প্রচুর টাকা পাবি। আমি সামান্য কমিশন নেব। ‘
আমি বুঝলাম ধরা পড়ে গেছি, তাও বলি,’ তুই কি বলছিস আমি বুঝতে পারছি না। বাবু একটু খোঁজ খবর নিয়ে যান, এতে কি হয়েছে। ‘
রতন বলে, ‘দেখ আমাকে এইসব বলে ভোলাতে পারবি না। আমাদের বস্তিতে আরও দু’চারজন তোর মত মেয়ে আছে আছে যারা এই ব্যবসা করে ভাল কামায়। তুই আমাকে সঙ্গে রাখলে তোর লাভ হবে। ‘
আমি ততদিনে বুঝতে পেরে গেছি যে আমি কোথাও শরীর না বেচে কাজ করতে পারব না। তাছাড়া রতনের মত কেউ থাকলে সুরক্ষাও হবে। আমি চুপ করে আছি দেখে রতন বুঝতে পারে আমি রাজি। সে উঠে চলে যাবার আগে বলে, ‘বিকেলের দিকে একটু সেজে গুজে থাকবি, আমি আসব। একটা ভাল দেখে গন্ধ কিনে দেব, গায়ে মাখবি, বাবুরা গন্ধ খুব পছন্দ করে।‘
আম রতনকে বলেছিলাম যে আমি রোজ একজনের বেশি বাবু নেব না। আমার শরীরটা দেখেই বাবুরা হামলে পড়ে, সেই গতরটাই আজ আমার রোজগারের উপায়। রেল কলোনীর সেই বাবু ও মাঝে মাঝে আমার জন্য শাড়ি, ব্লাউস সাবান, স্নো, পাউডার গন্ধ নিয়ে আসেন। তারপর আমার শরীরটাকে উপভোগ করে চলে যান।
আমার নষ্ট হওয়ার পথ মসৃন হয়ে গেল। বুঝতে পেরে গেছি, আমি শুধু একা নই, এরকম অনেক মেয়েই আছে শরীর বেচে খায়। একটু সমস্যা হত যারা প্রচুর মদ খেয়ে আসত। তারা শরীরটাকে খাবলে খুবলে শেষ করে দিত। অবশ্য তারা যেমন ভোগ করত তেমনি আদায় ও করে নিতাম সেই রকম। কেউ যদি হোটেলে নিয়ে যেত, টাকা অনেক বেশি দিত। অনেকে আবার অন্ধকারে গাড়ির মধ্যে বসে কাজ সেরে নিত। বেশির ভাগই আমার ঘরে আসত।
ভেবেছিলাম এইভাবে গতর দেখিয়ে দিন গুজরান করব, কিন্তু আমার কপালে লেখা ছিল অন্য রকম। একদিন সন্ধ্যেবেলা রতন এক শাঁসালো খদ্দের পাকড়াও করে আমাকে ডেকে তার গাড়ির কাছে নিয়ে এল। বাবুটি মনে হল প্রচুর মদ খেয়ে এসেছে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আমার হাত ধরে প্রথমেই আমার বুকে একটা চুমু খেয়ে নিজের আঙ্গুল থেকে একটা আংগটি খুলে আমার হাতে পরিয়ে দিয়ে বলে, ‘চল তোর ঘরে যাব।‘
রতন তার হাত ধরে এগিয়ে যায় আর আমি আস্তে আস্তে পেছনে আসতে থাকি। আমার ঘরের কাছাকাছি আসতে রতন হাত দেখিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি দাঁড়িয়ে আবছা অন্ধকারে দেখি কে একটা লোক আমার ঘরের দাওয়ায় বসে আছে। রতন কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে, ‘এখানে কি চাই।‘
লোকটা মুখ তুলতে দেখি বয়স্ক মত লোক, মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, ময়লা পোষাক রতনকে বলে, ‘আমি সীমার কাছে এসেছি।‘
‘সীমা?’ রতন বলে, ‘সেতো নেই’।
‘কোথায় গেছে?’
‘সে মারা গেছে।‘
শুনে লোকটা উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে বলে, ‘মারা গেছে? তার কোন ছেলে বা মেয়ে নেই?’ রতন আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘কি দরকার আপনার?’
কৌতুহলবশে আমি এগিয়ে আসি। বুড়ো লোকটা হা করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমি ভাবলাম বুড়ো বয়সে শরীর চাখবার শখ হয়েছে । আমি জিজ্ঞেস করি, ‘আপনার সীমার সঙ্গে কি দরকার ছিল? ‘
‘সীমার কোন ছেলে মেয়ে নেই?’ সে আবার জিজ্ঞেস করে।
‘আমি সীমার মেয়ে,” আমি বলি।
‘তুমি সীমার মেয়ে?’ বলে লোকটা আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। রতন গিয়ে তার মাথাটা তুলে বলে, ‘কি হয়েছে? আমি তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে এক গ্লাস জল নিয়ে আসি। সেই বাবুটা গতিক বুঝে চলে যায়। আমি লোকটার চোখেমুখে জল ছিটিয়ে দিতে সে চোখ খুলে আমার হাত দুটি ধরে বলে, ‘আমি তোমার বাবা।‘
Comments