Posts

Featured Post

জুলাই সংখ্যা ২০২৪ || July Sonkha 2024

Image
  সম্পাদকীয়: যে প্রেম নদীর বুকে আঁকিবুঁকি কাটতে শেখায়, যে প্রেম মোহনার দোলনায় আপন খেয়ালে ভাসাতে চাই, যে প্রেম গাছের পাতায় পাতায় শিহরণ তোলে, যে প্রেম তারায় তারায় লিখে দেয় এক উন্মাদনার চির ইতিহাস সেই প্রেম কোনো সমুদ্রে তীরে স্থগিত হয় না, সেই প্রেম একটা ইতিহাস সৃষ্টি করে, সেই প্রেম শুধু নিরন্তর ভাসতে থাকে একটা রঙিন খেয়াতরী নিয়ে অতল সমুদ্রের ঢেউ খেলা বুকে। সেই প্রেমের রঙ গাছের পাতার মত চির সবুজ। ভালোবাসা, ভালোলাগা এই দৈনন্দিন বিষয় নিয়ে প্রতি দিন লেখালেখি চলে। ভালোবাসার অতল গভীরে ডুব দিয়ে কোনো কবির কলমে নতুন ভাবে ফুটে উঠছে না এই চিরসবুজ প্রেমের মাহাত্ম্য। সবাই রেড লাইট, ডিস্কো, বারের প্রেমে মশগুল। এই নিয়ে লেখালেখি সমাজের চোখে একদিক দিয়ে যেমন ভালো, তেমন অন্যদিকে বিপজ্জনক, তাই শুধু এই আধুনিক যুগে এসবের সাথে যদি কেউ দুকলম ঐ পুরাতন চির সবুজ প্রেম নিয়ে লেখালেখিতে মন দেন, তাহলে এক নতুন দিশার জন্ম হয়। চিন্তা নেই এবার থেকে আমরা লেখকদের পাশে আছি, আপনারা লিখুন চির সবুজ প্রেমের রঙিন বাস্তবায়নের কাহিনী। আমাদের ওয়েবসাইট ম্যাগাজিন ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা ব্লগ আপনাকে সেই সুযোগ করে দিচ

No one kept promises - Bhaskar Sinha || English Story || Short Story || English short story

  No one kept promises             Bhaskar Sinha The night was advancing alarmingly, and Ravi's worry intensified. He stepped out onto the balcony again, surveying his surroundings. All he saw was a drenched street dog lying miserably near the gate. Beyond that, the area was deserted. Rainwater pooled in the alleys, and the lampposts stood like bare masts stripped of their sails. A gust of wind shook the mango tree in the courtyard, causing a few twigs to snap and fall. In the distance, thunder rumbled ominously. Was that a soft knock at the door? He turned around swiftly... only to be greeted by a blast of cold wind. Ravi muttered to himself in dismay. No, it couldn't be. She couldn't deceive him now, not after he had traveled so far and settled into this unremarkable guesthouse for one last attempt. He had carefully orchestrated all his plans... Things were markedly different nearly a quarter of a century ago. Life was filled with songs, melodramas, butterflies, and flowe

মৃণাল ও একটি অনবহিত সিনে সংবাদ - শাশ্বত বোস || Mrinal o ekti Onobohito Sine Sangbad - Saswata Bose || Short Story || prose || Story || অনুগল্প || ছোট গল্প

মৃণাল ও একটি অনবহিত সিনে সংবাদ           শাশ্বত বোস খুব ভোরের জেদী একগুয়েঁ ধোঁয়া আর ছেঁড়া ছেঁড়া বাক্স পুঁটুলি থেকে ভেসে আসা ভ্যাপসা গন্ধের মিশেলে, ভিজে যাওয়া সংস্কৃতিশূন্য সকালটার একটা নিজস্ব গন্ধ আছে| গরম ভাতের ফ্যান, ডাস্টবিনে ফুলে ওঠা মাছ কিংবা সারা রাত জেগে বাজারটার এক কোনায় পরে থাকা মুটে মজুরের গায়ের তেঁতো ঘামের গন্ধ, সব কিছু মিলে মিশে গিয়ে একটানা পচা একটা গন্ধ তৈরী হয় এই সকালটার গায়ে| মশলা বাজারটা খুলতে এখনো দেরী আছে, এখন শুধু মাছের বাজারটা ঘিরে শব্দের আনাগোনা| ভারী বরফের চাঁই মাটিতে আছড়ে ভাঙার শব্দ, মুটে মজুরদের লরি থেকে মাছ খালাস করার সময় দেহাতী হিন্দি আর বাংলা মেশানো খিস্তির বলিষ্ঠ বিস্ফোরণ, স্বস্তার ঠেলাঠেলি আর মাছ বাজারে দর হাঁকাহাঁকির শব্দ| হারানিধির এসবে অভ্যাস হয়ে গেছে| এই শব্দটা তার কানের কাছে শ্লেষ্মা মিশ্রিত ঘড়ঘড়ে গলায় বাজে ঘন্টির মতন| একটানা বেজে চোখের বাসি ঘুমটাকে তাড়িয়ে দেয়, অ্যালার্ম ঘড়ির আর দরকার পরে না| এখন তার তক্তপোষ ছেড়ে উঠে গিয়ে লবির গায়ে ঝুলন্ত বাল্বটা নেভানোর কথা| তারপর আস্তে আস্তে হারান কে তুলে পায়খানা বাথরুম সেরে বাজারের পথ ধরতে হবে| বাজারের মধ্যেই হোটেলট

আস্থা যখন ভাঙে - পার্থ প্রতিম দাস || Astha jokhon Vange - Partha pratim das || Short Story || prose || Story || অনুগল্প || ছোট গল্প

  আস্থা যখন ভাঙে         পার্থ প্রতিম দাস    রুক্ষ লাল মাটির দেশ হলো সতেড়গড়। আশে পাশের ছয়টি ছোটো ছোটো গ্রাম নিয়ে এই সতেড়গড় গঠিত। এই সতেড়গড়ের মধ্যে সামন্ত পরিবারের নাম ডাক সবচে বেশী। বীর সামন্তের এখন তার পাঁচ ছেলে আনন্দ, বলরাম, শ্রীদেব, অর্ণব ও ধনঞ্জয় বিয়ে করে আলাদা আছে। তবে বীর সামন্তের স্ত্রী অলকাসুন্দরী এখনও বেঁচে আছে।       তাদের পুরাতন ঐতিহ্যের মধ্যে পাথর বাঁধানো ঘাট আর তার পাশের প্রকান্ড বকুল গাছ। বিরাট খামারটা শূন্য পড়ে আছে। বসন্ত পূর্ণিমার দুদিন আগে। ফুটফুটে জোছনা উঠেছে। বলরাম অনেক রাত করে বাড়ি ফিরে দেখে বকুল গাছ থেকে একটা সাদা জামা পরা লম্বা লোক মাটিতে নেমে ঘাটে পা ধুয়ে আবার গাছে উঠে মিলিয়ে গেল।       বলরাম সকালে উঠে ভয়ে ভয়ে অলকাসুন্দরীকে সবটা বলল। অলকাসুন্দরী সবটা শুনে বলল, "এতো ঘোর অমঙ্গলকর কথা। বাড়িতে অমঙ্গল দেখা দিলে এভাবে মহাপুরুষ বের হয়।"      তখন সবাই বলল, "তাহলে উপায় কি?"       অলকাসুন্দরী বলল, "পুজো করতে হবে ওই বকুল তলায়।"       কথা শুনে আনন্দ বকুল তলা পাকা দিয়ে বাঁধিয়ে দিল। অর্ণব রেলে চাকরী করে, তাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাইরে থাকে। তাকেও ড

তসলিমা নাসরিন - শংকর ব্রহ্ম || Taslima Nasrin - Sankar brahama || Article || Essay || প্রবন্ধ || নিবন্ধ

তসলিমা নাসরিন   (বিতর্কিত কবি-সাহিত্যিক )       শংকর ব্রহ্ম                      তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) ময়মনসিংহ শহরে ১৯৬২ সালের ২৫শে আগস্ট তসলিমা নাসরিন জন্মগ্রহণ করেন। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার মা ঈদুল ওয়ারা ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান গৃহিণী এবং পিতা রজব আলী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৭৬ সালে তিনি ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) পাস করেন। ১৯৭৮ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচ.এস.সি) পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৮৪ সালে এম.বি.বি.এস পাস করেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল তিনি সরকারী গ্রামীণ হাসপাতালে এবং ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মিটফোর্ড হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিভাগে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢা.মে.ক.হা)- এ অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।             তেরো বছর বয়স থেকে তসলিমা কবিতা লেখা শুরু করেন। কলেজে পড়ার সময় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি 'সেঁজুতি' নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। ১৯৭৫

বন্ধুত্বের বন্ধনই সম্প্রীতির বীজমন্ত্র - সামসুজ জামান || Article || Essay || প্রবন্ধ || নিবন্ধ

  বন্ধুত্বের বন্ধনই সম্প্রীতির বীজমন্ত্র     সামসুজ জামান বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি বিষয়ে দুকথা বলতে গিয়ে হলপ করে যে কথাটা বলতে চাই তা হল মানুষে মানুষে আজ বন্ধুত্বের বন্ধনের বড় প্রয়োজন। “বন্ধু বিনে প্রাণ বাচে না...”। কিন্তু তা কি সত্যি নাকি? দেখা যাক -- ।  একেবারেই আমাদের ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করছি। আমাদের ফ্ল্যাটের পাশেই থাকে আরেকটি পরিবার, যাদের বাড়িতে আম গাছে আম ফলে রয়েছে। ইতিপূর্বে দু-তিনদিন গাছের আম দিয়েছিলেন তারই সূত্র ধরে গতকাল যখন আমার স্ত্রী কিছু কলা দিতে গিয়েছিল তখন ঐ পরিবার আঁতকে উঠলেন। - না না না, আপনাদের দেওয়া ফল তো আমরা নিতে পারবো না। - কারণ কি? আসলে বাড়িতে বয়স্ক শাশুড়ি আছেন, আপনাদের ছোঁয়া নিলেই উনি খুব অসন্তুষ্ট হবেন। জিজ্ঞাসা করা হল আপনাদের ছোঁয়া মানে? আমরা মুসলিম বলে? খুব অকপটে স্বীকার করলেন ওই পক্ষ - হ্যাঁ। তারপরেও আমাদের পক্ষ থেকে বলা হল- আরে, এ তো ঘরে রান্নাকরা কোন জিনিষপত্র নয়, বাজারের কেনা ফল। এতে আবার আপত্তির কী আছে? গিন্নীর মাথায় কিছুতেই ঢুকলনা এই সাদা-মাটা ব্যাপারটা- বলল আচ্ছা, সামান্য এই ব্যপার নিয়ে আমাদের বন্ধুত্ব কেন নষ্ট হবে? কিন্তু ভবি ভুলব

শৃংখলা - সত্যেন্দ্রনাথ পাইন || Srinkhola - Satyendranath pain || Article || Essay || প্রবন্ধ || নিবন্ধ

  শৃংখলা     সত্যেন্দ্রনাথ পাইন  ‌‌   শৃংখলা একটা মশলা। যা দিয়ে নতুন বসন্তে নতুন করে সাহিত্যের নবজীবনের লক্ষণ প্রস্ফুটিত হয়।।    শৃংখলা শিখতে হয়। সেটা একেবারে গোড়ায় পরিবারের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করে। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকেও শৃংখলা জন্মগ্রহণ করে। সেই শৃংখলা, বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যদি না থাকে তাহলে সৈন্য বাহিনী যেমন ছন্নছাড়া তেমনি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো শৃংখলা। সেটা ভুললে চলবে না।    শৃংখলাবদ্ধ প্রাণী হিসেবে আমরা মানুষ কে বেছে নিয়েছি। সেই মানুষ যদি শৃংখলা বদ্ধ না হয় তাহলে কিসের সমঝোতা এবং কিসের সমাজের মধ্যে প্রয়োজনীয়তা? আমরা তাই শৃংখলাবদ্ধ‌ হয়ে যদি না চলি তবে পদে পদে বিপদ মাথা চাড়া দেবেই।    আমাদের দেশে শৃংখলা বাহিনীর মধ্যে নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর নাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।    বিশাল ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আজাদ বাহিনী যে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল সেটা শৃংখলার ই প্রকৃষ্ট উদাহরণ নয় কি! আমরা বর্তমানে যে পরিমান উচ্ছৃঙ্খল আচরণের প্রকাশ লক্ষ্য করছি সেটা আমাদের নৈতিক পরাজয় বলেই মেনে নিতে হবে।।।      বর্তমানে শৃংখলা শিখতে গিয়ে আমরা যেটা করছ