বিভাগ- রান্না টাও শিল্প
*রেশমি কাতলা*
উপকরণ : পরিমান মত বড় সাইজের কাতলা মাছের পিস নিতে হবে। অবশ্যই এটা নিজেদের পরিবারের সদস্যসংখ্যা হিসেব করে নিতে হবে।
প্রথমে মাছ পরিষ্কার জলে ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে ঘন্টাখানেক ।
আনুষঙ্গিক উপকরণ হিসেবে লাগবে দুটো বড় সাইজের পেঁয়াজ, আদা, চার কোয়া রসুন, কাজুবাদাম, চারমগজ, টকদই এবং গোটা গরম মসলা যেমন [এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ] কিছু পরিমাণ ধনেপাতা আর সর্বোপরি বড় বড় কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা ।
রান্নার প্রণালী : প্রথমে কড়াইয়ে সরষের তেল দেওয়ার পর তেল গরম হয়ে গেলে বড় সাইজের কাতলা মাছ গুলি একে একে কড়াইয়ে দিয়ে বাদামি রং ধরলে ভেজে তুলে নিতে হবে।
( ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে গ্যাসের ফ্লেম টা থাকবে যাতে মাছগুলো খুব একটা কম ভাজা না হয় আবার যাতে খুব কড়া লালচে না হয় )
এরপর আমাদের মিক্সার গ্রাইন্ডার মেশিন এ আদা, রসুন কাজুবাদাম, চারমগজ কাঁচালঙ্কা(দুটি ) , দুটো এলাচ একটা দারচিনি কাঠ এবং দুটো লবঙ্গ ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে।
পরবর্তী ধাপে আমরা পুনরায় কড়াইয়ে কিছু পরিমাণ সরষের তেল গরম হতে দেব। এবং তাতে সরু সরু করে কুঁচিয়ে রাখা পেঁয়াজ বেরেস্তার মতন ভেজে নেবো।
এরপরে যে মসলার পেস্ট বানিয়ে রেখেছি সেটি কড়াইয়ে দিয়ে ভাল ভাবে কষাতে হবে।
মশলা কষানোর মিনিট পাঁচেক বাদে দু চামট সচ টক দই তাতে আমরা দিয়ে দেব এবং পরিমাণমতো নুন হলুদ তাতে অ্যাড করব যদি কেউ রান্নায় চিনি ব্যবহার করেন সে হাফ চামচ চিনি দিতে পারেন।
(অবশ্যই বাচ্চাদের কথা ভেবে যে যেমন ঝাল খায় ঠিক সেই মত ঝাল দেওয়াটাই শ্রেয়)।
ভালোভাবে মসলা কষানো শেষ হলে পরে আমরা কিছু পরিমান জল তাতে যোগ করব।
পরবর্তীতে মিনিট পাঁচেক পরে জল এবং মসলা ভালোভাবে মিশে গ্রেভি তৈরি হয়ে গেলে তাতে ধীরে ধীরে ভেজে রাখা মাছগুলি দিয়ে দেব।
রেশমি কাতলা তৈরি প্রায় শেষের দিকে এরপরে সমস্ত রেসিপিটি কড়াইয়ে গরম অবস্থায় 2 মিনিট মতো সময় নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে এবং তাতে আগে থেকে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা এবং ধনেপাতা উপর থেকে মিশিয়ে দেব,
তারপরে আমরা গ্যাস বন্ধ করে করাই একটি পাত্র ঢাকা দিয়ে রাখব যতক্ষণ না পর্যন্ত রান্নাটা ঠিকঠাক ভাবে সেট হয় গ্যাস বন্ধ করে দেব।
রেশমি কাতলা আইটেম আমাদের অলরেডি তৈরি গরম ভাতে পরিবেশনের জন্য এক্কেবারে রেডি।
হেলথ টিপস:
*কাতলা মাছ স্বাদু জলের মাছ এবং ভীষণ উপকারী মাছ আমাদের শরীরের বায়ু-পিত্ত এবং কফ এই তিনটির পরিমাণ কাতলা মাছ কমায় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে*
দ্বিতীয়তঃ কাতলা মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের দৃষ্টিশক্তি ভীষণভাবে বাড়ায়।
*আজকের ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব,টিভি, মোবাইল ইত্যাদির ব্যবহার দিনে দিনে বেড়ে চলেছে,সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এইগুলি আমাদের নিত্যসঙ্গী কিন্তু এর পাশাপাশি উপকারিতা হিসাবে যদি কাতলা মাছের রেসিপি সপ্তাহে তিন দিন রাখা যায় তাহলে তার উপকার অনস্বীকার্য*
*আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর পুষ্টি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মস্তিষ্ক সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর অর্থাৎ সেল মেমব্রেন গঠন করতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এই কাতলা মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি আসিড এবং ভিটামিন থাকে যা আমাদের প্রত্যেকের দেহ কোষ এবং মস্তিষ্কের কোষ গঠনে আলাদা আলাদা ভাবে উপকারী*
________________________________________________
বিজ্ঞাপন-
No comments:
Post a Comment