নও সার্বজনীন
সিক্তা পাল
ঢাকের কাঠি বোল তুলেছে
ঢ্যাঙ কুরাকুর কুর,
আয়রে তোরা সবাই ছুটে
মায়ের পুজার সুর।
মা আমাদের জগৎ জননী
দশ হাতে ধরেন অস্ত্র,
অসুর যতো করেন নিকাশি
করি পুজা গলদ-বস্ত্র।
চারটি দিনে মায়ের পুজায়
সবাই মাতে আনন্দে,
বাঁধ ডাঙা জনরাশির বন্যায়
ভাসছে নগরী স্বানন্দে।
শহর গ্রামে রকমারি প্যান্ডেলে
চোখ হচ্ছে ছানা বড়া,
জন- প্লাবন ঠেলতে ঠেলতে
হচ্ছি শুধু দিশে হারা।
আলোর রোশনাই তে মুখরিত
পথ ভূমি মাঠ প্রান্তর,
আঁধার বুঝি আজ শিহরিত
মুখ লুকাতে গুহান্তর!
মলিন মুখের শুষ্ক দৃষ্টি-ধারা
ইতি উতি কেবল চায়,
তাদের আপন নয় শালঙ্কারা
দিনান্তে 'মা কষ্ট সাজায়।
জীবন নদী অঙ্গারের পথে বায়
শারদীয়ায় শুকছে টাকা,
'তারই স্রোত যত্রতত্র ভেসে যায়
স্বপ্ন যে তার শূণ্যে ঢাকা।
চারটি দিনে বইছে কতো সম্ভার
পেসাদের অধীর অপেক্ষা,
আধা খাওয়া পরিত্যক্ত খাবার
কুড়ায় তড়া, করি 'উপেক্ষা।
দিনান্তে ঝুপরিতে সারে আহার
পরম তৃপ্তির ঢেকুর ওঠে,
সারমেয়র সাথে উচ্ছিষ্ট খাবার
ভাগে খায় হাসি ঠোঁটে।
উদরের জ্বালায় নেই তো অমিল
দুপেয়ে আর চারপেয়ে তে,
সার্বজনীন মা মানতে কষ্টে 'নীল
তাই আঁধার মন দুঃখেতে।
No comments:
Post a Comment