Posts

জুলাই সংখ্যা 2023 || সম্পাদকীয় || July Sonkha 2023

Image
  বিকেলের নির্লিপ্ত রোদ্দুরে মেখে নেওয়া রক্ত স্নান প্রতিটি দেহান্তর উদ্ভাসিত করে। বেঁকে বসা হৃদয় অঙ্কুর একটু বিশ্রামের আশা রাখে। নরম কোলে বালিশ খোঁজা পাঠক বর্গ -- একটা প্রেমের খোঁজ করে। কল্পনার দর্শনে আগন্তুক নারী ফিকে হাসি দিয়ে অল্প সময়ে আরাম দেয়। প্রাণ সখীর সম্ভাষণ কিছুটা স্বস্তি দেয়। আসলে বন্ধুহীন পাঠকের জীবনে একটা সঠিক প্রীতিপূর্ণ মানুষের আগমন ঘটুক -- এটাই সাহিত্যের চাওয়া পাওয়া। ভালোবাসার আবেশ দিয়ে সাহিত্য নিজেকে গুছিয়ে নিক। তুমি পাঠক আমি লেখক। শ্রোতার অপেক্ষা নেই। শুধু তুমি থেকো পাশে। সাহিত্যের বুলি এটুকুই। পাশে থাকুন। সাহিত্য চর্চায় মজে উঠুন। অল্প একটু স্বস্তি নিন। আমাদের ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা সকল লেখক পাঠককে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে। তাই আমাদের সাথে জুড়ে থাকুন। সুস্থ থাকুন, সাহিত্যে থাকুন।                                                       ধন্যবাদান্তে         ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা সম্পাদকীয়

চিনের কবিতা - শংকর ব্রহ্ম || Chiner Kobita - Sankar Brhama || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article

চিনের কবিতা শংকর ব্রহ্ম               চিনা সাহিত্যের প্রধান ঐতিহ্য তার সুদীর্ঘ কালের ব্যাপ্তি ও অভিজ্ঞতা, অভিন্নতা এবং যুক্তিগ্রাহ্যতা।       খ্রীষ্টপূর্ব ছয়শো বছর আগে চিনের যে কবিতা বা গদ্য সাহিত্য পাওয়া গেছে তা (প্রকাশের ভাষার ও ভঙ্গির ভিন্নতা ছাড়া) মূলতঃ অভিন্ন রয়ে গেছে আজও। ধ্বনির পরিবর্তে ভাবমূলক লিপি পদ্ধতি ও ব্যাকরণের সল্পতায় তা সম্ভব হয়েছে।           চিন যুগে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে একতাবদ্ধ করার পর প্রকাশের একতার প্রচেষ্টা হান যুগে (২০৬ খ্রীস্ট পূর্ব- ২২০ খ্রীষ্টাব্দ) আরও দৃঢ়মূল হয়েছে। এই সময় তারা বহির্জগত বিচ্যুত হওয়ায় সাহিত্যের স্থিতবস্থা থেকে গেছে। দ্বিতীয় শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারে তার কিছুটা পরিবর্তন হয়।     বিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্যের সংস্পর্শে এসে এখন অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে।     প্রাচীন কনফুসীয় সাহিত্য এবং পাঁচ ও সাত অক্ষরে লেখা 'শিহ্ কবিতা' (জাপানী হাইকু কবিতার মতো) এদের প্রাচীন সাহিত্যের সম্পদ।        প্রাচীনতম যুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত চিনের কাব্য রচনা মূখ্যত রাজকর্মচারীর ব্যাপার ছিল, একমাত্র ব্যতিক্রম তাং যুগের শ্রেষ্ট এবং বিশ্বের অন্যতম কবি 'লি পো&#

কবি ও অকবি - দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায় || Kobi oo Okobi - Darpana Gangapadhyay || Short Story || ছোটগল্প

  কবি ও অকবি দর্পণা গঙ্গোপাধ্যায় হিপ্রোটিজম বোঝো ? হিপ্রোটিজম করে করে মানুষকে কিভাবে মেরে ফেলা যায় । আজ তোমাদের তারই এক কাহিনী শোনাবো ‌। বধির  করে দেওয়া যায় অনায়াসে। পাড়ায় জগা আর সোমেন দুই ভাই খেলা করে। হাজার বন্ধু বান্ধব, জগা সবার সঙ্গে মেশে, সোমেন সব সময় বন্ধুদের বলে ওর সাথে বেশি খেলার দরকার নেই ও ভালো ছেলে না।    নম্বর আমি ক্লাসে বেশি পাই সুতরাং আমি ভালো--- তোমরা আমার সঙ্গে মেশো আমার সঙ্গে খেলো ওর সাথে না, --- এভাবে বন্ধুদের থেকে আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জগা । সব বন্ধুরাই জগাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা তামাশা করে সকলেই অ্যাভয়েড করে এভাবে জগা মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । বাড়িতেও সবাই জগা যেহেতু বড় ছেলে বাবা রিটায়ারের পর জগার ওপরই সব দায়িত্ব পড়ে। ছোট বলে সোমেন গা বাঁচিয়ে বাড়ির বাইরে দূরে পড়াশোনার জন্য চলে যায়। একদল টিউশনি এবং কোচিং এ পড়িয়ে বোনেদের পড়াশোনার দায়িত্ব বড় বোনের বিয়ের দায়িত্ব সব গ্রহণ করার পরেও নিজের লেখাপড়া পাশাপাশি চালিয়ে যায় । তার সঙ্গে নিজের লেখা লিখি ও চালিয়ে যায়। কলকাতার বিভিন্ন বড় বড় জায়গায় সে কবিতা পাঠে ডাক পায় । বড় বড় পত্রি

পুতুলের অন্নপ্রাশন - সান্ত্বনা ব্যানার্জী || Putuler Onnoprasan - Santwana Banerjee || Short Story || ছোটগল্প|

    পুতুলের অন্নপ্রাশন                 সান্ত্বনা ব্যানার্জী      "আরে অনু দাঁড়িয়ে পড়লে কেন? এসো  এসো, হারিয়ে যাবে কিন্তু!" বলতে বলতে ওর হাতটা ধরে হাঁটতে থাকে তপতী। এই প্রথম কলকাতায় দুর্গাঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে অনু বন্ধুদের সঙ্গে। ওরে বাপরে!কি সুন্দর!!! যেমন প্যান্ডেল, তেমন লাইট, তেমন থিম! আলোয় আলোয় একেবারে ইন্দ্রপুরী। তার ওপর কি নেই! নানা রকমের খাবারের স্টল, সেরামিকের বাসন, ঘর সাজানোর রকমারি শোপিস, পোশাক , সাজের জিনিস কত কি!গ্রামেই জন্ম কর্ম, শহরের সঙ্গে এভাবে মেশার সুযোগ এই প্রথম। তাই যা দেখে তাই দেখেই অবাক হয়ে হাঁ করে দাঁড়িয়ে পড়ে অনু।              ছেলের চাকরির সূত্রে মাস ছয়েক কলকাতায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে এসেছে,আর পার্কে হাঁটতে গিয়ে কয়েকজন বন্ধু পেয়েছে। নিজের ভাগ্যকে কুর্নিশ জানায় অনু। ওর মত সাধারণ গ্রামের মেয়েকে ওরা খুব অল্প দিনেই বড়ো আপন করে নিয়েছে। সামান্য একটু খালি গলায় গান যে ওদের এত ভালো লাগবে কে জানতো!ওদের আগ্রহেই পার্কে, কারও না কারও বাড়ীতে গান,কবিতার আসর বসে যায়। তপতী, সুমনা তো ওকে ছাড়া কোথাও যায় না। ওদের দৌলতে বেশ কয়েকটা ভ

বিশ্ব নিখিল - দেবাংশু সরকার || Biswa Nikhil - Debanshu Sarkar || Short Story || ছোটগল্প

    বিশ্ব নিখিল             দেবাংশু সরকার       "শুধু বিঘা দুই, ছিল মোর ভুঁই,        আর সবই গেছে ঋণে।       বাবু বলিলেন ...।"       আবৃত্তি করছে তেরো বছরের ছোট্ট মধু। বেশ মন দিয়ে শুনছে মেজো বাবু। আবৃত্তি করতে করতে আটকে যাচ্ছে মধু। বারে বারে ভুল হচ্ছে। মেজো বাবু নিজেই ধরিয়ে দিচ্ছে,      "...বুঝেছো উপেন, এ জমি লইব কিনে..."       আবার আবৃত্তি করতে শুরু করলো মধু। এক নিঃশ্বাসে আবৃত্তি করলো বড় কবিতাটা।       আবৃত্তির শেষে খুব প্রশংসা করলো মেজ বাবু। বললো, "এত টুকু বয়সে এত বড় কবিতা আবৃত্তি করা চট্টিখানি কথা নয়। একটু আধটু ভুল হতেই পারে। আর কবিতাটাও দারুন। শুনলে মন ভরে যায়। অসাধারণ লিখেছেন আমাদের রবি ঠাকুর।"         - "জ্যাঠা বাবু আমরা স্কুল থেকে দার্জিলিং যাচ্ছি।"       - "বাঃ খুব ভালো। কবে যাচ্ছিস মধু।"       -"পরশু।"       - "রাম, তোরাও সঙ্গে যাচ্ছিস নাকি?"        - "রাম উত্তর দেয় - "না, কেবল মধু বন্ধুদের সঙ্গে, স্যারেদের সঙ্গে যাচ্ছে।"       - "তোরাও এই সুযোগে ঘুরে আসতে পারতিস। আমি যদি আগে জানতাম, তোদের