Monday, October 24, 2022

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -24


 


আট



 যখন আমরা বাড়ীতে ফিরলাম, অনেক রাত হয়েছে। শ্যামলীদি পোষাক-টোষাক না বদলে বিছানায় লুটিয়ে পড়লো। মনে হয় আজ শান্তিতে ঘুমুবে। প্রায়ই দেখেছি গভীর রাত পর্যন্ত জেগে কি এক চিন্তায় মগ্ন থাকতো। ঘুম তো তার কাছ থেকে এক রকম বিদায়ই নিয়েছিল। গায়ে চাদরটা ঢাকা দিয়ে ওর মুখপানে তাকিয়ে থাকতে চলচ্চিত্রের মতো কয়েকটা দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কেউ কি জানতো শ্যামলীদি খুনী হবে? কি প্রয়োজন ছিল খুন করার? ইচ্ছে করলে কি সে ক্ষমা করতে পারত না? না। শ্যামলীদি একরোখা মেয়ে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বদলা নিতে পিছুপা হয় না । কখনো বজ্রের মতো কঠিন আবার কখনো কুসুমের মতো কোমল ৷ জানি না, খুন করে সে কতখানি অন্যায় করেছে। তবুও সে খুনী! তাই করজোড়ে ঈশ্বরের কাছে প্ৰাৰ্থনা করলাম, সে খুনী হলেও তার যেন শাস্তি না হয়। সে যেনপুলিশের কাছে ধরা না পড়ে। শ্যামলীদি ছাড়া কোন প্রকারেই এখানে থাকতে পারবো না বাবুগুণ্ডা আর আদরী মাসীর অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ হয়ে উঠব। কিন্তু ঐ শয়তানী আদরী মাসী যদি জানতে পারে শ্যামলীদি খুনী, তাহলে কি হবে তার আগে উভয়ে এই নরককুণ্ড থেকে যেমন করে হোক পালিয়ে যাবো। কেউ আমাদের নাগাল পাবে না। হঠাৎ এক সময় এসব ভাবনার মধ্যেই তন্দ্রালু অবস্থায় শ্যামলীদির পাশে শুয়ে পড়লাম। পরদিন যখন ঘুম ভাঙলো, তখন অনেক বেলা গড়িয়ে গেছে।

নিত্যকার পদ্ধতিতে আমার সখীরা তখন তাদের সংসারের কাজে মন দিয়েছে। কেউ নোংরা জামা-কাপড়ে সাবান দিচ্ছে। আবার কেউ বা উনুনে আঁচ দিচ্ছে। দশটার মধ্যে রান্না-বান্নার কাজ ও আহারাদির পর টানা চার পাঁচ ঘন্টা ঘুম দেবে। কারণ সখীদের নব নব আগন্তুকের জন্য নিশিযাপন করতে হয়। সমস্ত রজনী কেটে যায় প্রেমলীলায়। সকাল পর্যন্ত সেই ঘরে রজনীগন্ধার সৌরভ, আতরের উগ্র গন্ধ ও ফুলের ছিন্ন মালা পড়ে থাকতে দেখা যাবে।

এক সময় দেবীবাবুর গাড়ীর আওয়াজ পেলাম। কোন প্রকারে মুখে জল নিয়ে শ্যামলীদিকে উঠতে বললাম। কারণ সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। নিদ্রিত শ্যামলীদির চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছল সে যেন চরম প্রশান্তি লাভ করছে, দীর্ঘদিনের ব্যথিত মন যেন তার শান্তি পেয়েছে।

অন্যদিন সকালেই ঘুম থেকে উঠে পড়ে। আজকে কোন তাড়া নেই, আমি শ্যামলীদিকে উঠাবার আগে দেবীবাবু দরজার কাছে হাজির হয়েছেন। শ্যামলীদি আমার ডাক শুনে ঘুমের ঘোরে বলে উঠল, বিরক্ত করিস কেন? শান্তিতে কি ঘুমুতে দিবিনি ?

দেবীবাবুর আগমন বার্তা বললাম, তবুও সে অনড়। দেবীবাবু দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকাতে ভেতরে প্রবেশ করতে বললাম। কোন দ্বিধা না করে ভেতরে প্রবেশ করে একটা কাঠের চৌকির উপর বসলেন। আমি কয়েক মিনিটের মধ্যে সাজগোজ করে শ্যামলীদিকে বলে দেবীর সাথে বেরিয়ে পড়লাম ।

ময়নার কাছ হতে ফিরতে বেশ দেরী হলো। ট্যাক্সির মধ্যে বসে আমার অতীতের ব্যর্থতা ও নৈরাশ্য পীড়িত জীবনের হাহাকার আমাকে উতলা করে তুলল। খুনী শ্যামলীদির কথা, দেবীবাবুর কথা সর্বোপরি ময়নার কথা আমার জীবনের চিন্তাধারাকে এলোমেলো করে দিলো। আর কটা দিনই বা ময়নার কাছে থাকবো। নদীর স্রোতের মত দিন বয়ে যেতে থাকে। আর বেশীদিনের মেয়াদ নেই। কয়েকদিন পরেই দেবীবাবু আমাকে ছুটি দেবেন। ময়নাকে ভুলে যেতে কি পারবো ?

হঠাৎ গলাটা আর্দ্র হয়ে গেলো। মনে হলো ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠি। কিন্তপারিনি। ততক্ষণাৎ কে যেন আমাকে স্মরণ করিয়ে দিলো আমি একজন বারবণিতা, আমার এতো মায়া কেন? নেহাত তার মেয়েকে বাঁচানোর জন্য দেবীবাবুর মত একজন গণ্য মান্য লোক বারাঙ্গনালয়ে পা ফেলেছে। নচেৎ তার সঙ্গে আমার যোগাযোগই ঘটতো না।

 ট্যাক্সির জানালায় মুখ বাড়াতেই চোখ দিয়ে টপ্ টপ্‌ জল পড়ছিলো। গভীর ভাবে আমি অতীতের চিন্তায় মগ্ন ছিলাম। এমন সময় আচম্বিতে কয়েকটা কথা কানে প্রবেশ করতেই আমার চোখ পড়লো একটা ভিখিরির প্রতি। পরিধানে শতছিন্নবস্ত্র, মুখখানি খোঁচা-খোঁচা দাঁড়িতে পরিপূর্ণ, কংকালসার দেহ, হাড়ের সাথে যেন দেহের চামড়া লেগে আছে। ঘাড়ের গলায় চাপ চাপ ময়লা জমে আছে। চোখ দুটো কোটরাগত। চোখের পাতা দুটো শুধু মিট মিট করছে।

 একটা মেয়ের দিকে হাত বাড়িয়ে বলছে অত্যন্ত ক্ষীণ কণ্ঠে - দুটো পয়সা দাও। অন্ধকে দান করো বাবু, দুদিন পেটে কিছু পড়েনি। ভিখিরির দিকে তাকিয়ে থাকতে পারলাম না, সে আর কেউ নয়, আমার পিতা। বাবা বলে ডাক দেবার আগে মেয়েটা বলে উঠল কড়া মেজাজ নিয়ে, এই নোংরা পাড়ায় কেন আস বল দিকি? এখানে কি পাবে বলতে পারো ?

 আর থাকতে পারলাম না। কণ্ঠ আমার রুদ্ধ হয়ে গেলো। কে যেন প্রবল শক্তি দিয়ে আমার গলাটা চেপে ধরলো। তবুও জোর করে কয়েকটা কথা দেবীবাবুকে বললাম, আপনি বাড়ী যান, আমি এখানে নামবো। দেবীবাবু আমার মানসিক দুর্বলতা বুঝতে পারলেন, কিছু কথা বলার সুযোগ না দিয়ে বললাম, বিকেলে আসুন আলোচনা করবো।

 দেবীবাবু বাক্যব্যয় না করে ট্যাক্সি নিয়ে প্রস্থান করলেন। আমি ঐ স্থানে না দাঁড়িয়ে মুখে কাপড় গুঁজে শ্যামলীদির কাছে উর্দ্ধশ্বাসে হাজির হয়ে বাবার কথা বললাম। এরপর বল দিদি কি করে বাবাকে আমার পরিচয় দেব? বাবা বলে একটি বার ডাকতে পারলাম না। নোংরা বস্তীতে হাজির হয়েছে বলে বস্তী ত্যাগ করে শহরের দিকে পা বাড়িয়েছে। বাবা যদি জানতে পারে আমি পতিতা বৃত্তি গ্রহণ করেছি, তাহলে বাবা আর বাঁচবে না। তাই আমি বাবা বলে ডাকতে পারিনি। বাবার কাছে আমার এই ঘৃণ্য পরিচয় দিতে পারিনি। মনের দুঃখ চাপা রাখতে না পেরে দেওয়ালে মাথাকে আঘাত করে ক্ষত বিক্ষত করার চেষ্টা করলাম। আমার বাবাকে আমার পরিচয় দিতে না পারায় আমি আমার অদৃষ্টকে ধিক্কার দিলাম।

Sunday, October 23, 2022

ছোট গল্প - রাজার ঠিকানা || লেখক - চৈতালী রায় || Written by Chaitali roy || Short story - Rajar thikhana


 

রাজার ঠিকানা

চৈতালী রায় 




সামনের টেবিলটাতে একগোছা রজনীগন্ধা। সদ্য গাছ থেকে ছিঁড়ে আনা। রজনীগন্ধা আমি ভালোবাসি। ওর গন্ধ আমায় পাগল করে তোলে। হঠাৎ -ই মনে হলো সমস্ত রজনীগন্ধাকে মুঠো মুঠো করে ছড়িয়ে দিই -- ঘরের মেঝেতে, দেওয়ালে, ছাতে - সর্বত্রই। 
সেদিন পড়তে বসেছি - রাজা এলো। একগোছা রজনীগন্ধা নিয়ে। আমি তাকালাম। দেখলাম। ও ভীষণ খেয়ালী। কেমনভাবে যেন তাকালো। আমি জানতাম - ও ভুলে যাবে। ঠিক ভুলে যাবে।অথচ ওগুলো আমাকেই দিতে এসেছে।
কি যেন ভাবছিলাম। পরিস্কার নয়। জটপাকানো। - আমি রাজাকে ভালোবাসতাম। রাজাকে দেখেছিলাম। একদিন নয়। আঙুলে গোনা দিন নয়। অসংখ্য অসংখ্য দিনের অনেক মুহূর্তে। কি বললাম - ভালোবাসতাম ? না - না এখনও বাসি।
রাজা আমাকে ভালোবাসে কিংবা বাসে না। ও আমায় এয়ারপোর্ট নিয়ে যাবে বললো। আমি রাজি হলাম। যেদিন গেলাম - ও কি ভীষণ গম্ভীর থাকলো। একসময় বলে দিলো - আর কখনো আসবে না। আমি নিয়ে যেতে পারবোনা। অহেতুক জার্নিতে কষ্ট হয়। কথাগুলো বলার সময় ওর ঠোঁটদুটো একটুও কাঁপলো না ।
কলেজ থেকে ফেরার সময় রাজাকে দেখলাম। আকাশের দিকে মুখ তুলে কি যেন দেখছে। বললাম - রাজা, ভালো আছো তো ? চমকে উঠলো। মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বললো - আমি রাজা নই। অথচ মনে হলো - এই তো রাজা। ওর চেহারার দিকে একপলক তাকালেই সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাবে। তবু ভালো করে খুঁটিয়ে দেখলাম - না , এ রাজা নয়।
" সংসার - সীমান্তে " দেখার সময় - আমার পাশে বসে ছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম - রাজা আমার পাশে বসে আছে। ইচ্ছে হলো - ওর হাতদুটো চেপে ধরি। বই শেষ হলে জিঞ্জেস করলাম - রাজা, কেমন দেখলে ? গম্ভীর হয়ে বললো - আমি রাজা নই। বুঝতে পারলাম - আবারও ভুল করলাম।
আমি রাজাকে ভালোবাসি। মন - প্রাণ দিয়ে। মন খারাপ করলে ওর সঙ্গে দেখা করি। কথা বলি। সুস্থ - অসুস্থতার খবর জিঞ্জেস করি। ইচ্ছে হলেই চিঠি লিখি।
রাজা হাঁটে , কথা বলে,খায়, ঘুমোয়, স্নান করে, বই পড়ে, ছবি আঁকে, সিনেমা দেখে ----
রাজা বলেছিল - রাজা বেড়াতে ভালোবাসে । ফুল ভালোবাসে। সিনেমা দেখতে ভালোবাসে। বই পড়তে ভালোবাসে । মনুমেন্টের চূড়ায় দাঁড়িয়ে কলকাতাকে দেখতে ভালোবাসে। গরীব - দুঃখীদের মুঠো মুঠো পয়সা দিতে ভালোবাসে।গান শুনতে ভালোবাসে। শিল্পীদের ভালোবাসে । সাহিত্যিকদের শ্রদ্ধা করে। আরো কতো কি ---

রাস্তার ধার ধরে হাঁটতে হাঁটতে অরার সাথে দেখা হলো। ওকে জিজ্ঞাসা করলাম - রাজাকে দেখেছিস ? বললো - আমি তো তার সাথেই দেখা করতে যাচ্ছি। বললাম - রাজাকে তুই ভালোবাসিস ! ও দ্বিধাহীনভাবে বললো - বাসি বইকি । আমি অবাক হলাম।
দিন সাতেক পরে - রাজাকে দেখলাম ছবি আঁকছে। আপনমনে। ছবির মুখটা ঠিক অরার মতো। জিজ্ঞেস করলাম - অরা এসেছিল ? বললো - অরা বলে কাওকে ও চেনেই না। উদগ্রীব হয়ে বললাম - যার মুখটা তোমার ঐ ছবির মতো। হেসে বললো - ও তো আমার শিল্পী মনের কল্পনা। আমি নিশ্চিন্ত হলাম।
দক্ষিণেশ্বরে বাস থেকে নেমে দেখলাম - স্মৃতি দৌড়চ্ছে। বললাম - অত ব্যস্ত হয়ে কোথায় যাচ্ছিস ? স্মৃতি বললো - রাজার সাথে দেখা করার কথা। ভীত হলাম । জিজ্ঞেস করলাম - তুই রাজাকে ভালোবাসিস ? অনেকদিন থেকে - বলে চলে গেলো ।
বেশ কিছুদিন বাদে রাজার সাথে দক্ষিণেশ্বরে গেলাম। ওর পাশে পাশে হাঁটলাম। কথা বললাম। বাদাম ভাজা খেলাম । গঙ্গার ধারে বসে জলের ঢেউ গুনলাম। নৌকার যাতায়াত দেখলাম। বাচ্চাদের সাঁতার থেকে জল ছিটানো দেখে হাততালি দিলাম। ফেরার সময় বললাম - স্মৃতি এসেছিল ! রাজা বললো - স্মৃতিকে ও কখনো দেখেইনি।
২৯শে মে আমি হাওড়া গেলাম। কলকাতার বাইরে যাবো । কয়েক দিনের জন্য। রাজা এলো - ট্রেনে তুলে দিতে। ট্রেনে উঠে আমার বসার জায়গাটা ঠিক করে দিলো। আমার পাশে বসলো। হাসলো। কথা বললো। ট্রেন ছেড়ে দিতে রাজা নেমে গেলো। আমি হাত নাড়লাম। রাজাও --
ফিরে এসে মিষ্টুর সাথে দেখা হলো। আমি ভয় পেলাম। ও নিজেই এসে বললো - আজ রাজার সাথে দেখা করতে যাবো । সেই যেদিন হাওড়া স্টেশনে গেছিলো - সেদিনই ওর সাথে দেখা হয়েছিল। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম - তুইও রাজাকে ভালোবাসিস ? ও হেসে ফেললো।
এরপর একদিন রাজাকে দেখলাম - বালি ব্রীজের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। আপনমনে জলের চেহারা দেখছে অথবা গভীরতা মাপছে। ওর কাছে গেলাম। বললাম - মিষ্টুকে সেদিন আসতে বলেছিলে ? রাজা উদাস হয়ে বললো - ও নামের কাওকেই সে কখনো দেখা করতে বলেনি। আমি চুপ করে গেলাম।
সেদিন মধুমিতা বললো - রাজাকে ও চেনে । রাজা ওকে ভালবাসে। ওর নামে ডাকে চিঠি আসবে। আমি কোন উত্তর দিলাম না।
এরকমভাবে আরো কতজন কত কথা বললো। শুনলাম। কোন উত্তর দিলাম না।

একদিন অরাকে জিজ্ঞেস করলাম - রাজার চোখদুটো কেমন বল তো ? ও যা বললো - চমকে উঠলাম।
স্মৃতিকে জিজ্ঞেস করলাম - ওর কথা বলার ভঙ্গিটা তোর মনে আছে ? স্মৃতি সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলো - একদম স্পষ্ট ভাবে। নির্জনে বসে থেকেও আমি শুনতে পাই।
মধুমিতা বললো - রাজার চুলের গন্ধটা ওর নাকে এখনও লেগে আছে।
এইভাবে একে একে সকলকে জিজ্ঞেস করলাম- রাজার হাত, পা , নোখ, মাথার চুল, হাঁটার কায়দা - সব নিয়ে। সকলেই এক একটি বিষয়ের বর্ণনা দিলো অথবা আমিই শুনলাম।
দেখলাম, সবাই রাজাকে চেনে। ওর হাত চেনে, পা চেনে, কথা বলার ভঙ্গি চেনে , ঠোঁটের কোণে চাপা হাসি চেনে, হাঁটার কায়দা চেনে, চোখ চেনে, নাক চেনে , মাথার চুল চেনে ---
আগে জানতাম, রাজা শুধু আমার পরিচিত। এবার বিরক্ত হলাম। ঠিক করলাম - ওর সাথে আর যোগাযোগ রাখবো না। ওর দেওয়া ফুলগুলো মাটিতে ছিটিয়ে দিলাম। ভাবলাম - ফুলগুলো শুকিয়ে যাবে। রোজ একটু একটু মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলাম। বেশ কতগুলো দিন বাদেও লক্ষ্য করলাম - ফুলগুলো থেকে গন্ধ বেরোচ্ছে। ঠিক আগের মতই। অর্থাৎ ওর গন্ধটা কিছুতেই হারিয়ে যাচ্ছে না। আবার চঞ্চল বোধ করলাম - ওকে দেখার জন্য।

একদিন অরার সাথে দেখা হলো। বললাম - রাজার ঠিকানা জানিস ? অনেকদিন দেখা হয়নি। একবার দেখা করতাম। অরা হাতের চেটো উল্টে বললো - ভুল হয়ে গেছে। বললাম - তুইও কি ঠিকানা খুঁজছিস ! অরা ব্যাকুল হয়ে বললো - পেলে জানাস। আমিও একবার দেখা করবো।
আবার একদিন শ্যামবাজার ট্রামডিপোর কাছে স্মৃতির সাথে দেখা হলো। ওকে রাজার ঠিকানাটা জিজ্ঞেস করলাম। কিরকম উদভ্রান্তের মতো বলে উঠলো - আমিও তো ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি।
এভাবে একে একে আবার সকলের সাথে দেখা হলো। সবাইকেই রাজার ঠিকানা জিজ্ঞেস করলাম। সকলেই বললো - ওর ঠিকানা নিতে ভুলে গেছে।

আমরা এখন সবাই রাজাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। ওর ঠিকানা খুঁজছি। পা খুঁজছি। চোখ খুঁজছি। মাথার চুল খুঁজছি। নোখ খুঁজছি। আঙুল খুঁজছি। ভ্রূ খুঁজছি। আর মনে মনে ভাবছি - ঠিকানা পেলে সে হবে সম্পূর্ণ আমার।।

Saturday, October 22, 2022

ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে কয়েক হাজার লোক নিয়োগ || IOCL Recruitment 2022 || IOCL Trade Apprentice Recruitment 2022 || https://www.iocrefrecruit.in/


 


প্রত্যেক দেশবাসী জানেন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড একটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে পাবলিক সেক্টর। যেটি ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ পেট্রোলিয়াম এন্ড ন্যাচারাল গ্যাস দপ্তরের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় 56,000 এর বেশি গ্রাহকদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণায় জ্বালানি সরবরাহ করে চলেছে এই কোম্পানি।


সম্প্রতি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড তরফ থেকে কয়েক হাজার অ্যাপ্রেন্টিস শূন্যপদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই অ্যাপ্রেন্টিস প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং ট্রেনিং চলাকালীন প্রতিটি প্রার্থীকে পর্যাপ্ত অর্থের স্টাইপেন্ড প্রদান করা হবে। ট্রেনিং শেষে পাবেন স্থায়ী চাকরি।


এখানে আবেদন পদ্ধতি, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি, বয়স, বেতন, শূন্যপদ, নিয়োগ পদ্ধতি প্রভৃতি বিস্তারিত ভাবে নীচে আলোচনা করা হলো -



নোটিশ নম্বরঃ HR/RECTT/01/2022(APP)


নোটিশ প্রকাশের তারিখঃ 24.09.2022


আবেদনের মাধ্যমঃ শুধু মাত্র অনলাইনের মাধ্যমে।


নিয়োগের তথ্য (Post Details)

(1) পদের নামঃ ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস অ্যাটেন্ডডেন্ট অপারেটর (Attend Operator)


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ফিজিক্স বা ম্যাথমেটিক্স বা কেমিস্ট্রি বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি বিষয়ে 3 বছরের B.Sc কোর্স পাশ থাকতে হবে।


মোট শূন্যপদঃ 386 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 12 মাস।



(2) পদের নামঃ ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস ফিটার (Fritter)


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ মাধ্যমিক পাশ এবং সংশ্লিষ্ট পদের উপর 2 বছরের ITI কোর্স।


মোট শূন্যপদঃ 161 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 12 মাস।


(3) পদের নামঃ ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস বয়েলার (Boiler)


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ফিজিক্স বা ম্যাথমেটিক্স বা কেমিস্ট্রি বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিস্ট্রি বিষয়ে 3 বছরের B.Sc কোর্স পাশ।


মোট শূন্যপদঃ 54 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 24 মাস।


(4) পদের নামঃ টেকনিসিয়ান অ্যাপ্রেন্টিস কেমিক্যাল (Chemical)


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পেট্রোকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে 3 বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ ।


মোট শূন্যপদঃ 331 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 12 মাস।


(5) পদের নামঃ টেকনিসিয়ান অ্যাপ্রেন্টিস মেকানিক্যাল (Mechanical)



শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে 3 বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ করে থাকতে হবে।


মোট শূন্যপদঃ 161 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 12 মাস।


(6) পদের নামঃ টেকনিসিয়ান অ্যাপ্রেন্টিস ইলেকট্রিক্যাল (Electrical)


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে 3 বছরের ডিপ্লোমা পাশ।


মোট শূন্যপদঃ 188 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 12 মাস।


(7) পদের নামঃ টেকনিসিয়ান অ্যাপ্রেন্টিস ইন্সট্রুমেন্টেশন (Instrumentation)


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে 3 বছরের ডিপ্লোমা কোর্স পাশ।


মোট শূন্যপদঃ 84 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 12 মাস।


(8) পদের নামঃ ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (Data Entry Operator)  


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ।


মোট শূন্যপদঃ 41 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 24 মাস।



(9) পদের নামঃ ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস ডাটা একাউন্টেন্ট (Accountant)   


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ B.A/B.Sc/B.Com পাশ।


মোট শূন্যপদঃ 39 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 12 মাস।


(10) পদের নামঃ ট্রেড অ্যাপ্রেন্টিস ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (Data Entry Operator)  


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ উচ্চ মাধ্যমিক পাশ।


মোট শূন্যপদঃ 41 টি।


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ 24 মাস।



বয়সসীমাঃ 18 থেকে 24 বছরের মধ্যে হতে হবে। 

সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।



আবেদন পদ্ধতিঃ

শুধু মাত্র অনলাইনের মাধ্যমে।

নীচে দেওয়া অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে থেকে আবেদন করার সুযোগ পাবেন ।



অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ”What’s New” বাটনে ক্লিক করে ” go to Engagement of Appreciate Under Refineries Division ” এ যেতে হবে।


তারপরে সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তিটি ভালোভাবে দেখে নিন- তারপর ”Apply Online ” বাটনে ক্লিক করতে হবে।


এরপর সম্পূর্ণ তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।



গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট-

1)রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

2)বয়সের প্রমাণপত্র।

3)দশম শ্রেণীর মার্কশিট।

4)উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট।

5)ITI সার্টিফিকেট।

6)বাসস্থানে প্রমাণ পত্র।

7)কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।



গুরুত্বপূর্ণ তারিখ (Important Dates):-


নোটিশ প্রকাশ - 24.09.2022

আবেদন শুরু - 24.09.2022

আবেদন শেষ - 23.10.2022






 Official Website-

Click here 🔴


Notice Download-

Click here 🔴


Apply Now-

Click here 🔴



Thursday, October 20, 2022

রাজ্যে নতুন আশা কর্মী নিয়োগ || কয়েকশো নতুন আশা কর্মী নিয়োগ || asha karmi recruitment 2022 || www.wbhealth.gov.in


 


##রাজ্যের মহিলাদের জন্য একটা বড় সুখবর। জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলায় আশা কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে প্রায় 13 হাজার, মুখ্যমন্ত্রীর নিজে ঘোষণা করেছেন বর্তমানে দুটি জেলার বিভিন্ন ব্লকে আশা কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে যার বিবরণ নিচে দেয়া হল।





পদের নাম - আশা কর্মী।


শিক্ষাগত যোগ্যতা--- 
মাধ্যমিক পাশ বা মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ বিবাহিতা, বিধবা বা, বিবাহবিচ্ছিন্না মহিলারা আবেদন করতে পারেন। আবার উচ্চতর যোগ্যতার ব্যক্তিরাও আবেদন করতে পারবেন তবে মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বর দেখে বিবেচনা করা হবে।

 



বয়স--- বয়স 30 থেকে 40 বছরের মধ্যে হতে হবে
 সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়ম অনুসারে ছাড় পাবেন। যেমন তফসিল উপজাতিরা 22 থেকে 40 বছরের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।



শূন্য পদ - কয়েকশো। কোন ব্লকে কতগুলো শূন্য পদ তা পাবেন নীচে দেওয়া সংশ্লিষ্ট জেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ। অবশ্যই মনে রাখবেন যিনি মে ব্লকে ফর্ম ফিলাপ করছেন, তাকে সেই এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।


আবেদন পদ্ধতি--- শুধু মাত্র অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পত্র সম্পূর্ণ পূরণ করে নিজ নিজ এলাকার বিডিও অফিসে জমা করবেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি যোগ করে একটি মুখ বন্ধ খামে ভরে তারপর বড় হাতে লিখতে হবে ‘APPLICATION FOR THE POST OF _______’ (কোন পদের জন্য আবেদন করছেন)।



কি কি ডকুমেন্ট লাগবে---

1) শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ পত্র।

2) স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র রেশন কার্ড ভোটার কার্ড।

3) বয়সের প্রমাণপত্র (জন্ম সার্টিফিকেট কিংবা মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড)।

4) বিধবাদের ক্ষেত্রে স্বামীর ডেট সার্টিফিকেট।

5) বিবাহিতদের ম্যারেজ সার্টিফিকেট।
6) ডিভোর্স সার্টিফিকেট কাস্ট সার্টিফিকেট।
8) দুটি পাসপোর্ট ছবি।



আবেদনের শেষ তারিখ--- দক্ষিণ দিনাজপুরে 4/11/ 2022 এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা 29/10/2022

নিয়োগের স্থান --

 দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (সদর) মহকুমা ও গঙ্গারামপুর বিভিন্ন ব্লকের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ।
 দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ ও ক্যানিং-২, মগরাহাট-১, ডায়মন্ডহারবার, বারুইপুর, মথুরাপুর ২ ব্লকের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ।




Official website-


দক্ষিণ দিনাজপুর official website -


দক্ষিণ ২৪ পরগনা official website -


Tuesday, October 18, 2022

মাধ্যমিক পাশে ভারতের রেলে নিয়োগ || মোট শূন্যপদ - 3154 জন || Indian Railways Recruitment 2022



দীর্ঘ বিরতির পর ফের ভারতীয় রেলওয়েতে নিয়োগ হতে চলেছে। ইতিমধ্যে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় 31,54 জনের এর মত স্থায়ী শূন্যপদ নিয়োগটি হবে। যে সমস্ত প্রার্থীরা সবেমাত্র মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে তাদের কাছে এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ।


ভারতীয় রেলওয়ের অন্তর্গত দক্ষিণ রেল বিভাগের টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টে অ্যাপ্রেন্টিস হিসেবে নিয়োগ টি করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা থেকে আবেদন করার সুযোগ পাবেন চাকরি প্রার্থীরা।


 সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। কিভাবে আবেদন করবেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, মোট শূন্য পদের সংখ্যা কত ইত্যাদির সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে আলোচনা করা হল- 


Southern Railway Act Apprentice Recruitment

Southern Railway Madhyamik Pass Act Apprentice Recruitment



নোটিশ নম্বরঃ SR-HQ0MECH(WS)/868/2022-PB-REC


নোটিশ প্রকাশের তারিখঃ 01.10.2022


আবেদনের মাধ্যমঃ শুধু মাত্র অনলাইন।


নিয়োগের তথ্য (Post Details)

পদের নামঃ অ্যাক্ট অ্যাপ্রেন্টিস (Act Apprentice)


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ আবেদন কারী প্রার্থীকে কমপক্ষে 50 শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস সহ সংশ্লিষ্ট ITI কোর্স করে থাকতে হবে।


বয়সসীমাঃ 15 বছর থেকে 24 বছর। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।



মোট শূন্যপদঃ সবমিলিয়ে 3,154 জন


প্রশিক্ষণের সময়সীমাঃ

 নির্দিষ্ট ট্রেড অনুযায়ী প্রার্থীদের 1 থেকে 2 বছর ট্রেনিং দেওয়া হবে।


আবেদন পদ্ধতিঃ

শুধু মাত্র অনলাইন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।



সবার প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।


এরপরে নির্দিষ্ট ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে অনলাইনে আবেদনপত্রটি সঠিক ভাবে পূরণ করবেন।



গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট-


১)রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

২)সেল্ফ এটেসটেড করা মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট।

৩)ITI ট্রেড সার্টিফিকেট।

৪)আবেদনকারী স্বাক্ষর।

৫)কাস্ট সার্টিফিকেট। (যদি থাকে)



গুরুত্বপূর্ণ তারিখ (Important Dates)

নোটিশ প্রকাশ 01.10.2022

আবেদন শুরু 01.10.2022

আবেদন শেষ 31.10.2022 




Official Website-


Click here 🔴



Official notice-


Click here 🔴


Apply Now-

Click here 🔴

Monday, October 17, 2022

রাজ্যে আবার ব্যাঙ্ক অফ বরোদা তে বিপুল পরিমাণে কর্মী নিয়োগ || Bank Of Boroda recruitment 2022 || WB BOB Recruitment 2022


 


দেশে বেকার সমস্যার সমাধান করতে বিভিন্ন সংস্থা কাজের সুযোগ নিয়ে এসেছে। বিভিন্ন দফতরে বিজ্ঞপ্তি প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। এইরকম একটি নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা। ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এর তরফ থেকে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ আগামী 30 সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করা হয়েছে।
 শূন্য পদ কত, পদ গুলি কি কি, কোন পদের জন্য কি শিক্ষাগত যোগ্যতার দরকার, বয়সসীমা, আবেদন পদ্ধতি, নিয়োগ পদ্ধতি,  নিয়োগ স্থান, আবেদন করার শেষ সময়, এইসব সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে আলোচনা করা হল।



পদের নাম :- এই নিয়োগে মোট চারটি ভিন্ন ভিন্ন পদ রয়েছে। এই চারটি ভিন্ন পদে শূন্য পদ রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন। পদ গুলি হল :-

1. সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার

2. ই রিলেশনশিপ ম্যানেজার

3. গ্রুপ সেলশ হেড

4. অপারেশন হেড ওয়েলথ



প্রতিটি পদের বিবরণ-

1. সিনিয়র রিলেশনশিপ ম্যানেজার :-

শিক্ষাগত যোগ্যতা :- আপনাকে অবশ্যই স্নাতক বা গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি থাকতে হবে।


বয়স সীমা :-  24 বছর থেকে 40 বছর এর মধ্যে হতে হবে।

শূন্যপদ :-  মোট 320 টি।



2. ই রিলেশনশিপ ম্যানেজার :-

শিক্ষাগত যোগ্যতা :-  স্নাতক বা গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি।


বয়স সীমা :-  23 বছর থেকে 35 বছর মধ্যে থাকতে হবে।

শূন্য পদ :- মোট 24 টি।


3. গ্রুপ সেলস হেড :-

শিক্ষাগত যোগ্যতা :-  স্নাতক বা গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি থাকতে হবে।


বয়স সীমা :-  31 থেকে 45 বছর এর মধ্যে হতে হবে।


শূন্যপদ :- মোট - ১টি।


4. অপারেশন হেড অয়েলথ:-

শিক্ষাগত যোগ্যতা : -  স্নাতক বা গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি কমপ্লিট থাকতে হবে সাথে এমবিএ ডিগ্রী কমপ্লিট করে থাকতে হবে।


বয়স সীমা :-  35 থেকে 50 বছর এর মধ্যে হতে হবে।


শূন্যপদ :- মোট ১টি।



আবেদন পদ্ধতি:-
শুধু মাত্র অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে সেগুলি হল:-

1. সর্বপ্রথম ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে

2. রেজিস্ট্রেশন করতে হবে

3. সমস্ত নির্ভুল তথ্য দ্বারা ফরমটি পূরণ করতে হবে

4. আপনার একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে

5. আপনার স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে

6. ফাইনাল সাবমিট করতে হবে

7. পেমেন্ট করতে হবে

8. তাদের দেওয়া রেফারেন্স নাম্বার টির একটি প্রিন্ট আউট বের করে নিতে হবে



আবেদনের ফী:- জেনারেল দের জন্য ৬০০ টাকা এবং অন্যান্য সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য ১০০ টাকা।


টাকা প্রদানের মাধ্যম:- অনলাইন


নিয়োগ পদ্ধতি:- লিখিত পরীক্ষা, দলগত আলোচনা, ব্যক্তিগত ইন্টারভিউ।


আবেদন শুরু - 30 সেপ্টেম্বর 2022

আবেদন শেষ -  20 অক্টোবর 2022 




নিয়োগ স্থান :-

 আমাদের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতাতে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এর শাখাগুলিতে।



OFFICIAL NOTICE: 



APPLY NOW: 


Sunday, October 16, 2022

ছোট গল্প - হাঁস নিয়ে হইচই || লেখক - চিরঞ্জিৎ সাহা || Written by Chirenjit Saha || Short story - Hans niye khela



                   হাঁস নিয়ে হইচই

                           চিরঞ্জিৎ সাহা 



সকাল থেকেই কৈলাস জুড়ে আজ মহাকেলেঙ্কারি। স্নান সেরে নিজের বই, খাতা সযত্নে ব্যাগে গুছিয়ে নিয়ে স্কুলে যেতে প্রস্তুত সরস্বতী কিন্তু খোঁজ নেই তার বাহন হাঁসের। একেই আগামীকাল মাঘ-পঞ্চমী তিথিতে মামাবাড়ি যাওয়ার কথা মেয়েটার , স্কুলটা কামাই হবে দু'দিন ; তার ওপর আজও যদি স্কুলে যেতে না পারে , বড় দিদিমণি রাগ করবেন ভীষণ। মেজাজ খারাপ থাকলে গার্জেন কলও করে দিতে পারেন। সবমিলিয়ে মুখেই বীণা বাজিয়ে ভ্যাঁ করে কান্না জুড়ে দিল চিন্তিত সরস্বতী। 





হাঁসের হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ঘন্টাদুয়েক আগে সর্বপ্রথম নজরে আসে মা দুর্গার। তিনি তখন সবে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাচ্ছিলেন। রোজকার অভ্যেসমতোই একবার উঁকি দেন পাখিদের থাকার ঘরে। সেখানে পেঁচাকে বেঘোরে ঘুমোতে দেখলেও ময়ূর কিংবা হাঁসের দেখা পাননি তিনি। অবশ্য ব্যাপারটিকে তেমন আমলও দেননি। আসলে এ ঘটনা আজ নতুন নয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার তোয়াক্কা না করে ফিগার কনসাস ময়ূর নিয়ম করে রোজ মর্নিং ফ্লাইটে যায় ভোর পাঁচটায়। তারপর কয়েক কিলোমিটার এদিক ওদিক উড়ে ফিরতে ফিরতে বেলা আটটা। হাঁসটাও ময়ূরকে সাথ দেয় মাঝেমধ্যেই ; তবে ভারী ডানা নিয়ে বেচারি উড়তে পারে না বেশিদূর , এক ঘন্টার মধ্যেই ফিরে আসতে বাধ্য হয় মর্নিং ফ্লাইট থেকে। এসব ঊষাকালের ওড়াওড়িতে অবশ্য পেঁচা নেই কোনোকালেই ; সারারাত ধরে গোটা ভূ-কৈলাস চষে বেরিয়ে সে ঘুম থেকে ওঠে বেলা এগারোটায়। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা আজ আটটা ছুঁলেও হাঁসের দেখা নেই। ময়ূরটাও ফেরেনি এখনও। এদিকে সরস্বতীর কান্নার স্বর ডেসিবেল আইন ভাঙার মুখে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মা দুর্গাও বেজায় বিরক্ত। সোজা পাখিদের ঘরে গিয়ে ডানা ধরে টেনে তুললেন পেঁচাকে ---



--- "ওই পেঁচা! ওঠ! ওঠ! গায়ে জল ঢেলে দেব কিন্তু! দিদিমণি স্কুলে যেতে পারছে না, আর উনি নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছেন। "


--- " কিঃ! কিঃ! কি হয়েছে? " --- দুড়দাড় করে ঘুম থেকে ওঠে পেঁচা। 


--- " কি হয়নি সেটা বল! বেলা বাজে আটটা। হাঁসের দেখা নেই। সরস্বতী স্কুল যাবে কি করে? ময়ূরটারও তো দেখছি আজ ফেরার নাম নেই। "


--- " সে কি! ওরা ফেরেনি এখনও? "


--- " তা কি আমি তোকে মিরাক্কেলের জোকস শোনাচ্ছি? ভোরবেলা ওরা কি তোকে কিছু বলেছিল? ঠিক করে মনে করে বল! "


--- "না কত্তামা! কোনো কথা হয়নি। কাল রাতে তো আমার নামের আগে চন্দ্রবিন্দুই পড়ে যাচ্ছিল। একটা সাপকে ধরতে গিয়ে উড়তে উড়তে ভুল করে সোজা ঢুকে পড়েছিলাম মর্ত্যে। আসলে গাছগাছালির মধ্যে ঠিক খেয়াল করে উঠতে পারিনি কিনা! হঠাৎ দেখি সামনে মর্ত্যের ওই চোরা শিকারিগুলোর জাল। অনেক কষ্টে ডানাটাকে স্টিয়ারিংয়ের মতো মোচড় মেরে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে এসেছি। উফফ! বাপ রে বাপ! "


--- " তার সাথে কথা বলার কি সম্পর্ক রে হতচ্ছাড়া? তোর ভোকাল কর্ড তো এখনও খসে যায়নি , দেখছি। "


--- "ওরে বাবা রে বাবা! তারপর ওদের পাশ কাটিয়ে ইউটার্ন নিয়ে কাঁপতে কাঁপতে কৈলাসে ফিরে সোজা বিছানায়। " 


---" ওরা তখন ঘরে ছিল? "


--- "হ্যাঁ। বিলক্ষণ। ময়ূরটা ভসভসিয়ে নাক ডাকছিল আর হাঁসটা বেজার মুখে পড়েছিল ঘরের এক কোণে। "


--- " হাঁস কাল রাতে ঘুমোয়নি? "


--- " তাই তো ! এটা তো আগে ভেবে দেখিনি। ঘুমকাতুরে হাঁস কাল রাতে জেগে বসেছিল কেন কত্তামা? "







ইতিমধ্যেই উড়তে উড়তে হাজির ময়ূর। তাকে দেখেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন মা দুর্গা --- " হতভাগা! কটা বাজে? ওনার এখন ফেরার সময় হল! কোন রাজকাজে ছিলেন আপনি? "


--- " ফেরার পথে শনিদেবের বাহন শকুনের সাথে হঠাৎ দেখা । একথা সেকথায় দেরি হয়ে গেল । আর আগে ফিরেই বা করবটা কী ? আপনার হিরের টুকরো ছেলে কার্তিক বারোটার আগে কোনদিন ওঠে ঘুম থেকে ? আমার আর কাজ কী সকালে, শুনি ! কাজে ফাঁকি পেলে কৈফিয়ৎ চাইবেন, দেব । তার আগে নয় ! "


নিজের রূপের রংবাহার আর পাখিদের রাজা হওয়ার কারণে ময়ূরের ঠাঁটবাট আসলে একটু বেশিই । ইঁদুর , পেঁচা বা হাঁস দেবদেবীদের ভয়ে তটস্থ থাকলেও ময়ূর চলে তার নবাবি চালে , পক্ষীকুলের রাজা বলে কথা ! দেবী দুর্গাও তাকে ঘাটান না খুব একটা । 


" তোর ঘোরা তুই ঘোর বাবা ! আমি কি বারণ করেছি ? কিন্তু হাঁসটাকে তো আগে আগে পাঠিয়ে দিবি । সরস্বতীর মর্নিং স্কুল । হাঁসটার জন্য আজ স্কুলটা কামাই হয়ে গেল । ওকে তো তোর আটটার মধ্যে পাঠানো উচিত ছিল, নাকি ! " --- বিনয়ী শোনায় দেবী দুর্গার গলা । 


--- " সে কি ! হাঁস ঘরে নেই ? ও তো আজ বেরোয়ইনি আমার সাথে । "


-- " কি বলছিস কি তুই ? ও যায়নি ? " 


--- " না । "


--- " কাল রাতে কি ও তোকে কিছু বলেছিল ? "


--- " না । তবে মন খারাপ করে বসেছিল মাটিতে । আমাকে একবার ডেকেছিল বটে কিন্তু আমি তেমন পাত্তা দিইনি । আসলে ওর ওই এক ডিপ্রেশনের গল্প আমার আর ভালো লাগে না । হাঁসের যুক্তি --- ওর না আছে আমার মতো রূপ , না পারে পেঁচার মতো উড়তে । তাই এই পক্ষীকুলে ও নাকি অপাংক্তেয় । ওর নাকি নিজেকে শেষ করে ফেলা উচিত । ওর জন্যই নাকি এই পক্ষীকুলের শ্রী কমছে । "


--- " ও কবে থেকে এসব বলা শুরু করেছে তোকে ? "


--- " অত মনে নেই মা । তবে বলে তো প্রায়ই । বিশেষ করে যেদিন রাতে নন্দীদা ভিঙ্গিদার ছিলিমে চুপিচুপি টান দিয়ে আসে , সেদিন আরও বেশি বেশি করে বলে আর ফিচফিচ করে কাঁদে । "


--- " কিঃ ! হাঁস তামাক খায় ? " 


--- " ওই মাঝেসাঝে । বাদ দিন । আমাকে ছাড়ুন । আপনাদের ঝামেলা আপনারা বুঝুন । আপনাদের হাঁসকে খুঁজুন আপনারাই । আমি ফেদার শেভ করতে একটু সেলুনে যাব । রাতে শকুনের বাড়ি নেমন্তন্ন আছে । চললাম । "--- দম্ভের সাথে ঝাঁঝিয়ে ময়ূর বেরিয়ে গেল ঘর থেকে । 





ওদিকে সরস্বতীর কান্নার বৈচিত্র্য ও বাহুল্য --- দুই-ই সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে পেঁয়াজের দামের চেয়েও বেড়ে চলেছে দ্রুতবেগে । উপচে পড়া বাঁধের জলের মতোই অশ্রুধারাও ছিটকে পড়ছে এদিক ওদিক । তারই ফলশ্রুতিতে মর্ত্যে সেদিন প্রবল বৃষ্টি । প্রখ্যাত শিল্পী রমেন পাল নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের ঠাকুর নিয়ে পড়েছেন মহাফ্যাসাদে । আজ বাদে কাল সরস্বতী পুজো কিন্তু ঠাকুরের কাঁচা রং যেন শুকোতে চাইছে না কিছুতেই । একথা তিনি নিজেও অস্বীকার করতে পারেন না যে প্রতিমা তৈরির কাজে এবার হাত দিয়েছেন খানিক দেরিতে ; কিন্তু বিগত দিনে সাতদিনের মধ্যে দুর্গামূর্তি গড়ার অভিজ্ঞতা তার রয়েছে আর এ তো সামান্য স্কুলের সরস্বতী । বাইরে বৃষ্টির তোড় বেড়ে চললেও ড্রায়ার আর হিটারের নিখুঁত ব্যবহারে রমেনবাবু শুকিয়ে ফেললেন গোটা ঠাকুরের কাঁচা রং কিন্তু শাড়ি পরিয়ে শোলার গয়নায় মাকে সাজাতে গিয়েই মনটা গেল খারাপ হয়ে । মায়ের চোখের কাছের ভেজা ভাবটা কেটেও যেন কাটছে না কিছুতেই । ড্রায়ার , হিটারের পর ব্লটিং --- আস্তিনের সর্বশেষ তাসটি ব্যবহারের পরও রয়েই গেল সেই জলের ছাপ , জায়গাটা যে পুরোপুরি ভেজা --- দূর থেকে দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট । বেলা পাঁচটা নাগাদ ঢাক-ঢোলসমেত হিন্দু স্কুলের ছেলেরা নাচতে নাচতে এসে হাজির হল রমেন পালের বাড়িতে । উৎসাহের আতিশয্যে তারা খেয়ালই করল না প্রতিমার চোখের নীচের ভেজা অংশ , আসলে মৃৎশিল্পীর পর্যবেক্ষণে প্রতিমা গঠনের যে ত্রুটি ধরা পড়ে অনায়াসে , সাধারণ মানুষের চোখ তা এড়িয়ে যায় অতি সহজেই । স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে কোনোরকম অতৃপ্তি না দেখে বেশ খুশিই হলেন রমেনবাবু ; যদিও কাল সকালে রোদ উঠলেই এই খুঁতটুকু মুছে যাওয়ার ব্যাপারে একশো শতাংশ আশাবাদী তিনি । 







পাখিদের ঘর থেকে বেরিয়ে মহাদেবের কাছে যাওয়ার পথে চক্ষু চড়কগাছ মা দুর্গার । রান্নাঘরের সামনে চাপ চাপ রক্তের ছাপ ! দেখামাত্রই চন্দ্রযানের বেগে ছুটে প্রেসার কুকারের চেয়েও তারস্বরে গর্জন করে দেবী দুর্গা এসে থামলেন দেবাদিদেব মহাদেবের সামনে --- " ময়ূর , ইঁদুর , পেঁচা --- ওরা তো আর হাঁসকে মারবে না । আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি , এ কাজ সিংহেরই । তাছাড়া মর্ত্যে থাকতে ও তো মাংস খেতে অভ্যস্তই ছিল । নিরীহ হাঁসটাকে একা পেয়ে আর লোভ সামলাতে পারেনি । রান্নাঘরের সামনেই ব্যাটা দিয়েছে হাঁসের ঘাড় মটকে । " সকাল থেকে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নিজের বরের কাছে পেশ করার পর শেষ পাঁচটি লাইন এক নিঃশ্বাসে শেষ করে থামলেন দেবী পার্বতী । পার্বতীর চিৎকারে কেঁপে উঠলেন স্বয়ং দেবাদিদেব , হাতের ছিলিম ছিটকে ভেসে গেল মহাশূন্যে । নন্দী সবেমাত্র স্পেশাল করে সেজে দিয়েছিল তামাকটা ; তামাক হাতছাড়া হওয়ার রাগে মহাদেব ত্রিশূল হাতে এলোপাথাড়িভাবে পেটাতে শুরু করলেন সিংহকে । বেচারা তখন ঘুমিয়েছিল দেবাদিদেবের হাত তিনেক দূরে । কাল রাতে ভালো ঘুম না হওয়ায় সকালের চা টা খেয়ে এসেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে সে। পার্বতীর গর্জনে ঘুম না ভাঙলেও ধড়মড়িয়ে ওঠে সে মহাদেবের মারে --- " কিঃ ! কিঃ ! কি হয়েছে প্রভু ! অমন মারছেন কেন ? "


--- " মারবে না তো কি আদর করবে ? বল, হাঁসকে মারলি কেন ? " -- রক্তচক্ষু নিয়ে প্রবল হুংকার দেবী দুর্গার । 


--- " হাঁস ? কোন হাঁস ? কিসের হাঁস, মা ? কোন হাঁসকে মেরেছি আমি ? হ্যাঁ , মর্ত্যে থাকতে মেরেছি কয়েকটাকে । কিন্তু সে তো প্রায় বছর তিরিশ আগের কথা । স্বর্গে আসার পরীক্ষায় পাশ করার পর থেকে আমি ফুল ভেজ । " 


--- "শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করিস না সিংহ ! সত্যি করে বল , সরস্বতীর হাঁসকে মারলি কেন ? " 


--- " সে কি বলছেন মা ? সরস্বতী দিদির হাঁস বেঁচে নেই ? " --- কেঁদে ফেলে সিংহ । 


--- " স্টপ ! স্টপ ! স্টপ ! এটা যাত্রাপালার মঞ্চ নয় । গুল দিয়ে ভুল ঢাকা যায় না সিংহ । এতে শাস্তি বাড়বে বই কমবে না । " 


--- " বিশ্বাস করুন মা , আমি হাঁসকে মারিনি । হাঁস তো আমার ছোটো ভাইয়ের মতো । কেন মারব আমি হাঁসকে ? "--- কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে গড়াগড়ি দেয় সিংহ । 







ইতিমধ্যেই ভুঁড়ি দোলাতে দোলাতে গণেশ হাজির সেখানে --- " কি হচ্ছে কি মা ? এত চেঁচামেচি কিসের ? বেলা বাজে বারোটা । এখনও সকালের খাবারটা অবধি পেলাম না আর তুমি এখানে দাঁড়িয়ে মাথামোটা সিংহটার সঙ্গে বকে চলেছো ? খালি পেটে কি আর ভালো কাজ হয়, মা ? মহাভারত পার্ট টু-টা সবেমাত্র লিখতে বসেছি । তার মধ্যেই যদি এমন হইচই , অনাহার , চিৎকার চলে; আগের বারের মতো হিট স্টোরি লিখব কি করে আমি ? "


--- " চুপ কর তুই । রান্নাবান্না সব বন্ধ এবার থেকে কৈলাসে । সিংহ সরস্বতীর হাঁসকে খুন করে খেয়ে ফেলেছে । " --- কড়া ধমক পার্বতীর ।


--- " কিঃ ! " -- রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে ছোট্ট গণেশ ।


--- " বিশ্বাস করো গণুদাদা , আমি সরোদিদির হাঁসকে মারিনি । দাদা , তুমি তো পড়াশোনা করো ; তুমিই বলো , আমি মারলে তো আমার হাতে গন্ধ থাকত । " --- সিংহের কেশর দোলানো কান্না যেন থামছে না কিছুতেই । 


--- " হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুলে কি আর গন্ধ থাকে বাপু ! "-- সিংহের গালে সজোরে থাপ্পড় পার্বতীর ।


--- " মা , তুমি বুঝলে কি করে যে সিংহ হাঁসকে খেয়ে নিয়েছে ? হাঁস তো কোথাও বেড়াতে গিয়েও থাকতে পারে । "--- শুঁড় দুলিয়ে প্রশ্ন করে গম্ভীর গণেশ । 


--- " হাঁস ওর ভারী ডানা নিয়ে বেশিদূর উড়তে পারে না রে গণু । তাছাড়া এর আগে তো কখনও হয়নি এমন , আর ও তো তেমন বেরোয়ও না । আমি নিজের চোখে রান্নাঘরের সামনে রক্তের ছাপ দেখেছি । পেঁচা , ইঁদুর বা ময়ূর তো আর হাঁসের মাংস খায় না । এ কাজ আসলে সিংহেরই , এ বিষয়ে সংশয়ের কোনো অবকাশই নেই । "


--- " ওই সস তো আমি সকালে ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুটে মাখাতে গিয়ে ফেলেছি রান্নাঘরের সামনে আর সেটাই পরে পায়ে লেগে মেঝেতে ছড়িয়ে গেছে রক্তের মতো । " --- হো হো করে হেসে ওঠে গণেশ । 






চতুর্দিক চৌচির করা চিৎকার আর হরেনডাস হইচইয়ের চোটে কার্তিক , গণেশ , লক্ষ্মী ---- সবাই বাহন সমেত হাজির হয়েছে মহাদেবের পর্বতের সামনে । সরস্বতীও এসেছে কাঁদতে কাঁদতে । তবে ও এখন বাহনহারা । স্বর্গের সেরা রিপোর্টার নারদও মাইক হাতে উপস্থিত সেখানে ।






হঠাৎ এক প্রবল প্যাঁকপ্যাঁক শব্দে মহাদেবের হেলান দেওয়া পর্বত থেকে দুটো পাথর গেল ছিটকে আর বেরিয়ে এল একজোড়া চ্যাপ্টা ঠোঁট । দেখামাত্রই চোখের জল মোছা থামিয়ে তড়িঘড়ি ঘাড় ধরে হাঁসকে সেখান থেকে টেনে বের করে আনল সিংহ --- " আমি এখানে উনার জন্য এত অপমান সহ্য করছি আর উনি বরফে ঘাপটি মেরে বসে মজা দেখছেন । আজ তোকে আমি মেরেই ফেলব । " --- হাঁসের হার্টবিট তখন সিংহের হাতে । 






--- " ছাড় সিংহ ! ওকে ছাড়! আমি যমরাজকে ডাকছি । ওকে গরম তেলের কড়াইতে ফেলে ভাজা হোক । " --- হাঁসের ঠোঁটে ট্রিমেন্ডাস টোকা দেবী দুর্গার । 


--- " তুই এতদিন ঠিকই বলতি রে… তুই সত্যিই পক্ষীকুলের লজ্জা । "--- বলতে বলতে হাঁসের ডানার কয়েকটা পালক উপড়ে ফেলে ময়ূর । 


--- " অনুমতি দেন তো এটাকে অসুরের ডেরায় পাচার করে দিই । " --- ফিসফিসিয়ে ফোড়ন কাঁটে নারদ । 


--- " আমি কিছু বলতে চাই । "--- ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদতে কাঁদতে নিচুস্বরে বলে হাঁস । 


--- " কি বলবি কি তুই ? " --- ত্রিভুবন কাঁপানো মহাদেবের তান্ডব শুরুর মুখে । 


--- " অপরাধ নেবেন না , কাল রাতে আমি ময়ূরদাকে সবটা খুলে বলতেই গেছিলাম । কিন্তু পাত্তা পাইনি । পরশু ইউটিউবে নারদ নিউজে শুনলাম যে মর্ত্যে নাকি বার্ড ফ্লু চলছে ! হাঁস-মুরগির মড়ক লেগেছে । এবার তাই আমি মাঘ পঞ্চমীতে মর্ত্যে যাব না, ঠিক করেছি । কিন্তু কাল রাতে ময়ূরদা আমার কথা না শুনেই শুয়ে পড়েছিল , শেষমেষ আর কোনো উপায় না পেয়ে মর্ত্যে যাওয়া এড়াতে আজ ভোরে চুপিসারে লুকিয়ে পড়ি বরফের মধ্যে । আরও দু'দিন লুকিয়েই থাকতাম । কিন্তু এই হাঁচিটা এসেই সব গোলমাল করে দিল । "





পিনড্রপ সাইলেন্স ভূ-কৈলাস জুড়ে । 





--- " আমি আমার দোষ মেনে নিচ্ছি । আসলে পক্ষীকুলের রাজা হিসেবে এত অন্যায় দাবিদাওয়ার মুখোমুখি রোজ হতে হয় আমাকে , দু-একটা ন্যায্য আবদারও চোখ এড়িয়ে যায় মাঝেসাঝে । হাঁস মর্ত্য থেকে ভাইরাস নিয়ে ফিরলে কেবল ও নিজেই নয় ; আমি , পেঁচা , শকুন , গরুড় --- দেবলোকের সকল পাখিই প্রাণসংশয়ে পড়ব । সুতরাং, হাঁসের দাবি ন্যায়সংগত । আমাকে ক্ষমা করিস ভাই হাঁস । আমি তোর পাশে আছি । "--- পেখম দুলিয়ে ঘোষণা করে ময়ূর । 


--- " এবার তবে তোর আর মর্ত্যে গিয়ে কাজ নেই সরস্বতী মা । " --- চিন্তান্বিত দেখায় দেবী দুর্গাকে । 


--- " ভুলেও না মা । মর্ত্যে মানুষ এমনিই এখন পড়াশোনাবিমুখ । ওখানকার নেতারা চপ, পকোড়া বেচতে বলছে শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের । বাজার এখন লক্ষ্মী-গণেশের । এর মধ্যে সরস্বতী ডুব দিলে ওর ব্র্যান্ডভ্যালু পড়ে যাবে আরও ; যেমনটা হয়েছে আমার সাথে --- কার্তিকটা হ্যাংলা , একবার আসে মায়ের সাথে আর একবার একলা । যদি সসম্মানে বাঁচতে চাস , ভুলেও মামাবাড়ি যাওয়া মিস করিস না বোন । "--- মাথা নিচু করে বিবৃতি দেয় কার্তিক । 


--- " কিন্তু যাবটা কিসে ?" -- ভ্যাঁ করে কেঁদে ওঠে সরস্বতী । 


--- " আমার ঢেঁকিটা নিয়ে যেতে পারে সরস্বতী । তবে মর্ত্যের বর্ডারেই সরস্বতীকে নামিয়ে দেবে ঢেঁকি । বাকি রাস্তাটুকু ও না হয় হেঁটেই পার হবে । অল্পই তো ! বর্ডারের পরীগুলো খুব বদমাশ । ভিসা-পাসপোর্টের চক্করে একবার ফেললে ছয়-সাত ঘন্টা কাটিয়ে দেয় অনায়াসে । কাল দুপুরে ইন্দ্রের সভায় আবার মহালুডো যজ্ঞ আছে । সরস্বতীকে নামিয়ে দিয়ে এসে ঢেঁকি আমাকে নিয়ে যাবে সেখানে । " --- বীণার তারে হাত বোলাতে বোলাতে প্রস্তাব দেন নারদমুনি । দেবাদিদেব সম্মত হন তাতে । 





মর্ত্যে, 



ঘড়ির কাঁটায় সরস্বতী পুজোর সকাল সাতটা । হিন্দু স্কুলের হেডমাস্টার হরিপদ হুই স্কুলের পুজোর ঘরে ঢুকেই খেয়াল করলেন , সরস্বতীর মূর্তির পাশে হাঁস নেই । ইলেভেন সায়েন্সের সমস্ত ছাত্রকে ডেকে যাচ্ছেতাইভাবে অপমান করলেন তিনি । তার ধারণা ছিল যে , ছেলেরা হাঁস আনতে ভুলে গেছে কুমোরবাড়ি থেকে । কিন্তু প্রতিমা টলিতে তুলতে গিয়ে হাঁস ফেলে দেওয়ার ঘটনা শুনে রাগ গেল চড়ে সপ্তমে । সবার সামনেই দুটো ছেলের গালে বসালেন চূড়ান্ত চড় । বন্ধ করে দিতে চাইলেন পুজো । অবশেষে পুজোর দায়িত্বে থাকা বিনয় বটব্যালের হস্তক্ষেপে শান্ত হন হেডমাস্টার । শেষমেষ পুজো তো বন্ধ হয়ইনি । উপরন্তু উদ্ভূত প্রতিকূল পরিস্থিতি দারুণ বুদ্ধিমত্তায় সামলে নেন বিনয়বাবু । 






হিন্দু স্কুলের পুজোর থিমের গল্প এবার এক দুপুরেই ছড়িয়ে পড়েছে গোটা শহর জুড়ে । সন্ধ্যা হতেই নেমেছে দর্শনার্থীর ঢল । আছেন প্রধানশিক্ষক হরিপদ হুই । ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমসিম অবস্থা বিনয় বটব্যালের নেতৃত্বে ইলেভেনের ছাত্রদের । প্রতিমা দর্শনে এসেছেন মৃৎশিল্পী রমেন পালও । মাফলার জড়িয়ে অধোবদনে লাইনে দাঁড়িয়ে তিনি । একে সরস্বতীর চোখ ভেজা , তার ওপর হাঁস নেই --- নিজের কোনো দোষ না থাকলেও একটা অজানা অপরাধবোধ ভোগাচ্ছে শিল্পী রমেনবাবুকে । সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে লাইন শেষ করে পুজোর ঘরে ঢুকতেই চক্ষু ছানাবড়া তার । মায়ের মুখের সেই ভেজা ভাবটা তো আর নেই-ই , উপরন্তু ফুটে উঠছে ভুবনমোহিনী এক অদ্ভুত হাসি যা তার তুলিরও অসাধ্য । আসলে হাজার ঝঞ্ঝাট-ঝামেলা পেরিয়ে মামাবাড়িতে আসার পর থেকে সরস্বতী মায়ের মনে আনন্দের যে অমরাবতী বয়ে চলেছে --- তা রমেন পালের পক্ষে অনুমান করা সত্যিই অসম্ভব । 






চমকের শেষ এখানেই নয় । ঘরের একপাশে প্রজেক্টরে চলছে বার্ড-ফ্লুর বিশ্লেষণ । ঘর জোড়া বার্ড-ফ্লুর কাট আউট আর মা সরস্বতীর প্রতিমার পায়ের কাছে লাল কালিতে বড়ো করে লেখা --- " বার্ড ফ্লুর দরুন হিন্দু স্কুলে এসে এবার পৌঁছতে পারেননি দেবী সরস্বতীর বাহন রাজহংস । আমরা তাই একান্ত ক্ষমাপ্রার্থী সকল দর্শনার্থীর কাছে । "







                  


                  

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -23


 


শ্যামলীদি মুখ গম্ভীর করে বলল, আজ আর কারো বাপের হিম্মৎ নেই যে আমার পথে কাঁটা ফেলবে। আর কেউ যদি সে চেষ্টা করে, তাহলে সে যোগ্য জবাব পাবে। সন্ধ্যায় আমাকে বেরুতেই হবে। তাই সাত ঘন্টা আগে বলে রাখছি, যদি কেউ কোন রকম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তাহলে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবো। আদরী মাসী ভয়ে পিছিয়ে গেলো।


আমি শ্যামলীদির কথা শুনে ঠোঁট টিপে হাসতে লাগলাম। ভেবেছিলাম যদি শ্যামলীদির সাথে তেমন দক্ষযজ্ঞ হয়ে ওঠে তাহলে মহাদেবের সাঙ্গ-পাঙ্গর মতো আমিও ঝাঁপিয়ে পড়বো। কিন্তু এতদূর যখন গড়ালো না, তখন অনর্থক কথা খরচ করে কি লাভ। আদরী মাসী পালিয়ে যেতেই হেসে উঠলাম।


সেদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শ্যামলীদির চঞ্চলতার সীমা রইলো না । কেন যে চঞ্চলতা তা বুঝতে পারলাম। শুধু কারণ একটাই, প্রতিশোধ নেবার সুযোগ এসেছে। শ্যামলীদি আমাকে তৈরী হতে বলে পাশের রুমে চলে গেলো। আমি উৎফুল্ল মনে গুঞ্জরণ করতে করতে শাড়ী বদলে শ্যামলীদির রুমে প্রবেশ করতেই আমার চোখ দুটো বিস্ময় বিস্ফারিত হয়ে গেলো। এ যে অকল্পনীয় ! আমার চোখকে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এ কি স্বপ্ন না বাস্তব! শ্যামলীদি তখন সুরাপান করে চলেছে। পুরুষের পোষাকে সজ্জিত হয়েছে। পরণে চোস্ত প্যান্ট ও সার্ট। চল্লিশ মিলিমিটার চওড়া চামড়ার বেলটে কোমরটা শক্ত করে বাঁধা। কোনদিন ঐ অবস্থায় বা ঐ পোষাকে দেখিনি শ্যামলীদিকে।


আমাকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতে দেখে বলল, কি রে পুরুষ বলে মানিয়েছে তো? আজ পুরুষের কাজ করতে হবে বুঝলি ?


পুনরায় বোতলটা মুখের কাছে নিয়ে যেতে ওকে বাধা দিয়ে বললাম - এ কি করছো শ্যামলীদি, এভাবে তোমাকে মদ খেতে তো দেখিনি?


মদ আমি খাই, তোকে জানতে দিইনি কখনো। ভেবেছিলাম আমার ঠোঁট কোনদিন মদ স্পর্শ করবে না, কিন্তু কেন খাই জানিস? মদে ভীরু সাহস পায়, দুর্বল শক্তি পায়, দুঃখীর দুঃখ-যন্ত্রণার লাঘব হয়। বোতলটা দে, আজ আর বাধা দিস না।


আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নিলো বোতলটা। এক নিঃশ্বাসে বোতলটা শেষ করে গম্ভীর মুখে বলল, ঠিক মতো তাকে আয়ত্তে আনতে না পারলে প্রতিশোধ নিতে পারব না পদ্মা। ঐসব নিম্নগামী, হীন পথাবলম্বী মানুষদের শিক্ষা দিতে গেলে স্বাভাবিক অবস্থায় পারা যায় না। চল আর দেরী করব না, সন্ধ্যা প্রায় হলে এলো


তখন ধরণীর বুকে সন্ধ্যার ঘন তমিস্রা ঘনিয়ে এসেছে। বস্তী হতে বেরিয়ে ফুটপাতে


এসে ট্যাক্সী ধরলাম। আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে বেশী সময় লাগলো না। শিবাজীদার


নির্দেশমত উপস্থিত হলাম বচন সিংয়ের ভাড়া বাড়ীতে। আমরা উপস্থিত হতেই সেলাম করে একজন নেপালী চাপরাসি বলল, আপনার নাম শ্যামলী হ্যায় ?


শ্যামলীদি ঘাড় নেড়ে তার নিজের পরিচয় দিলো।


সে আমাদের উপরে যেতে বলল। উপরে গিয়ে দেখলাম শিবাজীদা বারান্দায় পায়চারি করছে। আমাদের দেখে শশব্যস্তে হয়ে বলল, পাশের রুমে আমাদের হিতৈষী বন্ধু বন্দী অবস্থায় আছে।


শ্যামলীদি ও আমি পাশের রুমে প্রবেশ করতেই রন্টুর সাথে দৃষ্টি বিনিময় হলো। শ্যামলীদির মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, মুখটা তার সিঁদুরের মত হয়ে গেছে। চোখ


দিয়ে যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বেরুচ্ছে।


শ্যামলীদি ওর দিকে তাকিয়ে বলল, কেমন আছো ?


রন্টুর মুখে কোন বাক্য নেই। হাত দুটো তার শক্ত দড়িতে বাঁধা। শ্যামলীদি আবার বলল, কথাটা শুনতে পাওনি বুঝি ? আমাদের দেখে বোবা হয়ে গেলে নাকি?


রন্টু তবুও নিরুত্তর। মনে হলো আমাদের দেখে ওর শরীরের রক্ত প্রায় শীতল হয়ে গেছে।


শ্যামলীদির ঢল ঢল চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, ঠিক ভিলেনের অভিনয়ের মতো ওর কাছে গিয়ে বলল, আ-হা, পরোপকারী যুবক, একেবারে বোবা হয়ে গেলে যে! তখনি শ্যামলীদি গর্জন করে বলে উঠল, আমার প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে মিঃ পল্টু বিশ্বাস। আমাকে চিনতে পেরেছো? বলতো আমি কে? কি আমার পরিচয় ?


কোন উত্তর নেই। যেন একটা জড় পদার্থ স্তম্ভের সঙ্গে রজ্জুবদ্ধ হয়ে আছে। রন্টুর মুখে কোন কথা বেরুচ্ছে না দেখে শ্যামলীদি বজ্রকণ্ঠে বলল, এখন আর বোবা সেজো না বন্ধু, বোবা সাজলেও আর রেহাই নেই। তোমার মুখে কিভাবে কথা ফোটাতে হয় তার ওষুধ আমার কাছে আছে। বলো, কত টাকার বিনিময়ে পদ্মাকে আদরী মাসীর কাছে বিক্রি করেছো?


তবুও সে নিরুত্তর। কোন কথা মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে না দেখে সজোরে তার তলপেটে এক লাথি মারলো শ্যামলীদি। এই তো শুভারম্ভ এখনো অনেক পাওনা বাকী আছে। আমার প্রশ্নের উত্তর না দিলে মেরে তোমার হাড়-পাঁজরা সব গুঁড়িয়ে দেবো। উত্তর দাও, কার প্ররোচনায় কিসের লোভে সমস্ত ন্যায়-নীতি বিসর্জন দিয়ে তুমি আমাকে বারাঙ্গনায় পরিণত করেছো? এতো সাহসই বা কোথায় পেয়েছিলে?


শ্যামলীদির রুদ্ধ কণ্ঠস্বর শুনে রন্টুর হাত-পা যেন শিথিল হয়ে আসছিলো। মনে হতে লাগলো মৃত্যুর অশুভ ইঙ্গিতে সে যেন তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার বিয়োগান্তক পরিণতি কি করুণ!


মেয়েদের নারীত্ব নিয়ে সে ছিনিমিনি খেলেছে। মনে হয় শ্যামলীদির কাছ হতে সে এবার চরম শাস্তি পাবে। ওকথা চিন্তা করা মাত্রই শ্যামলীদি বেতের চাবুকটা চালালো রন্টুর শরীরে। রন্টু চাবুকের আঘাতে মুখটা একটু উঁচু করে চোখ দুটো বন্ধ করল।


শ্যামলীদি ওর ঠোট নেড়ে বলল, বড্ড আরাম লাগলো না ? আর একটা দি তাহলে ? বলা মাত্রই চার পাঁচ বার চাবুক চালিয়ে বলল, কতগুলো মেয়েকে এই কদর্য পথে ঠেলে দিয়েছো? উত্তর দাও পল্টুবাবু। কি ভাবছো, দেবে না? উত্তর তোমাকে দিতেই হবে, নয়তো...


শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির ধারার মতো চাবুকের আঘাত পড়তেই রন্টুর মুখ দিয়ে কথা বেরিয়ে এলো - আর মেরো না শ্যামলী, তোমার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। শ্যামলীদি একটু থেমে বলল, এবার তাহলে কথা বেরুলো? পদ্মা, ওষুধে আমার


কাজ করেছে রে। বলো, আমাকে বিক্রি করে কত টাকা পেয়েছো? ৫০ হাজার।


মোটেই পঞ্চাশ হাজার! তাহলে আরো অধিক টাকার বিনিময়ে আমার নারীত্বকে পূর্ব মর্যাদায় ফিরিয়ে দিতে পারবে?


রন্টু নীরব। তীক্ষ্ম কণ্ঠে শ্যামলীদি বলল, যারা দশের কাছে কুমারীর কুমারীত্বকে জোর করে বিলিয়ে দিতে পারে, যারা নারীর নারীত্বকে ধূলায় মিশিয়ে দিতে পারে, তারা কেন পারবে না কুমারীত্বকে ফিরিয়ে দিতে? একে চিনতে পারছো? যে মেয়েটা সরল মনে বিশ্বাস করে দুমুঠো অন্নের সন্ধানে তোমার সাথে এই মহানগরীতে এসেছিল, সেই পূজনীয় দাদার কৃপায় শেষ পর্যন্ত এই নিষ্পাপ মেয়েটা লালসা ও প্রবঞ্চনার শিকার হলো? তোমার মতো জানোয়ারকে আমি সহজে ছাড়বো না। তোমার একমাত্র শাস্তি।


চাবুকের আঘাতে তাকে ক্ষত বিক্ষত করে তুলল। কাটা ছাগলের মতো ছটপট করতে থাকল আমাদের পূজনীয় দাদা। শ্যামলীদি তবুও ক্ষান্ত হয় না। প্রতিশোধের আগুন তখন তার শিরায় উপশিরায় ছড়িয়ে পড়েছে, রন্টুর গগনভেদী আর্তনাদে দেওয়াল যেন ফাটতে শুরু করল। একটু পরে শ্যামলীদি আমার দিকে ছুরিটা এগিয়ে দিয়ে বলল, পদ্মা, এই ছুরিটা ধর, তারপর -


ছুরিটা দেখে রন্টু ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, আমাকে মেরো না শ্যামলী। আমায় ক্ষমা করো, আমি আর কখনো অন্যায় করবো না।


শ্যামলীদি অট্টহাসি হেসে বলল, পাগল নাকি! তোমার মতো মহাপুরুষকে বলি দিয়ে আমার পাপের বোঝা বাড়াতে যাবো কেন? তাছাড়া তোমাদের মতো ব্যক্তি শত শত মেয়ের উপার্জনের পথ করে দিচ্ছে, তাহলে কেন তোমাদের মতো উপকারী বন্ধুকে পৃথিবী হতে সরিয়ে দেবো?


শ্যামলীদি চকচকে ছুরিটা নিয়ে ধীরে ধীরে ওর কাছে গিয়ে জামাটা কেটে শরীর থেকে সরিয়ে দিতে সাদা ধবধবে পিঠটা মুক্ত বাতাসে বেরিয়ে এলো। চাবুকের অস্পষ্ট দাগ দেখে শ্যামলীদি সান্ত্বনা দেওয়ার মত করে বলল, সত্যি, সাদা ধবধবে পিঠটা সিঁদুরে মেঘের মতো হয়ে গেছে। বড্ড লেগেছে প্রিয়তমের! না না, আর মারবো না। তবে তোমাকে যাতে ঐ পথে না এগোতে হয়, তোমার জন্য আরো মেয়ে নষ্ট না হয় তার ব্যবস্থা করে মুক্তি দেবো। কি, মুক্তি নেবে ?


রন্টু নীরব। মুক্তি কি দেবে শ্যামলীদি ওকে? সত্যি বলছি, বড় মায়া হয়েছিল ওর অবস্থা দেখে। জানি, সে আমাদের কতখানি সর্বনাশ করেছে। তবুও আমার কোমল হৃদয় ওকে মুক্তি দিতে চাইছিলো। শ্যামলীদির রক্তচক্ষু দেখে ভরসা পাচ্ছিলাম না। ওকে ক্ষমা করবে। কিন্তু ওর মুখে মুক্তি উচ্চারণ শুনে মনকে ধাক্কা দিলো। তাহলে তোমাকে মুক্তি দিই, কেমন?


রন্টু মুখটা একটুখানি উঁচু করতেই প্রবল বেগে ছুরিটার পুরো অংশটাই ওর পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে এক পাক ঘুরিয়ে দিলো। তৎক্ষণাৎ পিচকারী ফোয়ারার মতো রক্ত বেরিয়ে এলো ক্ষতস্থান থেকে। রন্টু প্রচণ্ড বেগে চিৎকার করে উঠল। আমি ভয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে চিৎকার করে উঠলাম।


এ কি করলে শ্যামলীদি! আমি যে বিশ্বাস করতে পারিনি তুমি ওকে খুন করবে!


শ্যামলীদি একটু শ্বাস নিয়ে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে বলল, এতো দিন পর একটু শান্তি পেলাম রে পদ্মা। যে যন্ত্রণায় আমার ভেতরটা মর্মে মর্মে দগ্ধ হচ্ছিল তা হতে আজ আমি নিষ্কৃতি পেলাম। একটু পরে দৃঢ় কণ্ঠে বলল, ভাবছিস অন্যায় করলাম ? না রে পদ্মা, কোন অন্যায় আমি করিনি। ওর বেঁচে থাকার অধিকার নেই। ও বেঁচে থাকলে আমাদের মতো বহু নিষ্পাপ মেয়ের সর্বনাশ করতো।


একটু পরেই শিবাজীদা হাঁস-ফাঁস করে আমাদের কাছে হাজির হয়ে বলল, উসকো খুন কর দিয়া।


শ্যামলীদি ঘাড় নাড়লো।


তব জলদী চলো। য়্যাহা রহনা ঠিক নেহী হ্যায়। পুলিশকো মালুম হো চুকা কি


হম য়্যাহা হ্যায়।


এক রকম জোর করেই আমাকে আর শ্যামলীদিকে বাইরে নিয়ে এলেন শিবাজীদা।


পুলিশ খবর পেয়েছে শিবাজী সিং তার পুরানো আড্ডায় ফিরে এসেছে। তাই ওকে


ধরবার জন্য নিখুঁত পরিকল্পনা তৈরী করেছে।

Saturday, October 15, 2022

ফ্লিপকার্ট (Flipkart) এ কর্মী নিয়োগ || বেতন ১৫ হাজার টাকা প্রতি মাসে || Flipkart Recruitment 2022 || Flipkart Supply Chain Operations Free Training and Internship 2022


 


আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ও ভরসা যোগ্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ফ্লিপকার্ট (Flipkart) নিয়ে এসেছে একটি ফ্রি ট্রেনিং এবং পেইড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম। এটি পরিচালনা করবে ফ্লিপকার্ট, যা একটি সাপ্লাই চেইন অপারেশন একাডেমি প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে ই-কমার্স শিল্পের সম্পূর্ণ ডিটেলস তথা ওভারভিউ পাবেন। এর সাথেই দেওয়া হবে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের জন্য ট্রেনিং। এই প্রোগ্রামের দ্বারা প্রতিদিন পাবেন 500 টাকা করে। 


এই ফ্রি ট্রেনিং এবং পেইড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য সব থেকে সুবিধা হল এখানে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর প্রয়োজন হয় না, সরাসরি মোবাইল ফোন এর মাধ্যমেই এই ফ্রী ট্রেনিংটি নিতে পারবেন। প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে, আবেদন কিভাবে করবেন ইত্যাদি নীচে সম্পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে, দেখুন -




পদের নাম - 

Flipkart Supply Chain Operations Free Training and Internship 2022






বর্তমান এ এই ট্রেনিং কেন দরকার -


আমরা প্রত্যেক মানুষই জানি Flipkart একটি ভারতীয় ই কমার্স কোম্পানি এবং সিঙ্গাপুরের একটি pvt লিমিটেড কোম্পানি। বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, ইলেকট্রনিক, ফ্যাশন, মুদি এবং লাইফস্টাইল বিভিন্ন আইটেম এছাড়া অন্যান্য পণ্য বিভাগগুলি এখানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে Flipkart সংস্থাটি সর্বপ্রথম অনলাইনে বই বিক্রির মাধ্যম ছিল। আজ সেই flipkart কোম্পানির নেট ওয়ার্থ $ 37 বিলিয়ন।


বর্তমানে ফ্লিপকার্ট কোম্পানি সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী যারা ই-কমার্স শিল্পে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাদের জন্য নিয়ে এলো Flipkart সাপ্লাই চেন অপারেশন একাডেমি ট্রেনিং প্রোগ্রাম।


এটি সম্পূর্ণ ফ্রি ট্রেনিং। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ই-কমার্স শিল্পের পুঙ্খানুপুঙ্খ বোঝানোর পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন অপারেশন ম্যানেজমেন্টের একটি ব্যাপক ওভারভিউ প্রদান করা হবে। এছাড়াও ইন্টার্নশিপ সময়কালে ইনডাইরেক্টিভ ভিডিও, সিমুলেশন, ডিজিটাল হ্যান্ডসআউটস, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং অত্যাধুনিক সুবিধা যুক্ত হ্যান্ডস-অন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের সুদক্ষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।


এই ট্রেনিং এর সময়সীমা হবে সর্বমোট 61 দিন, যার মধ্যে প্রথম 16 দিন ডিজিটাল লার্নিং ট্রেনিং দেওয়া হবে এবং 45 দিন ইন্টার্নশিপ চলবে। এই ট্রেনিং টি সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেওয়া হবে। 




শিক্ষাগত যোগ্যতা - 


কমপক্ষে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে। এছাড়াও ITI, গ্রাজুয়েশন, ডিপ্লোমা সহ অন্যান্য উঁচু শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।




বয়সসীমা -

18 থেকে 57 বছর বয়স্ক সকলেই এখানে আবেদন করতে পারবেন।



প্রয়োজনীয় তথ্য -


 ট্রেনিং চলাকালীন পোর্টাল নির্দিষ্ট অবস্থানে উপস্থিত হওয়ার জন্য উপলব্ধ হতে হবে।

Flipkart সাপ্লাই চেন ট্রেনিং প্রোগ্রামের শর্ত

প্রার্থীর অবশ্যই একটি 2 GB RAM এবং 64 internal Storage যুক্ত মোবাইল ফোন থাকতে হবে।

ফোনের ব্যাটারি ক্ষমতা 5000 mAh হতে হবে।

এছাড়াও ভালো ইন্টারনেট স্পিড এবং প্রতিদিন ১ জিবি ডাটা উপলব্ধ থাকতে হবে।




Flipkart সাপ্লাই চেন ট্রেনিং প্রোগ্রামের সুবিধাঃ

(1) এই প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দক্ষতা বিকাশে শিক্ষার্থীকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সহায়তা করবে।


(2) 45 দিনের ইন্টার্নশীপের পর সকলকে একটি উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিদিন ৫০০ টাকা।




(3) পুরো 61 দিনের প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেলে, ট্রেনিং শেষে একটি শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যা বিভিন্ন ই-কমার্স কোম্পানি বা ব্যবসায় কাজে লাগবে।




 ট্রেনিং তথা ইন্টার্নশিপের বিবরণ -


16 দিনের ডিজিটাল লার্নিং শেষ হবার পর অংশগ্রহণকারীদের 45 দিনের একটি ইন্টার্নশিপের জন্য নিবন্ধিত করা হবে। তারা SMS, ইমেল বা ফোন কলের মাধ্যমে তাদের যোগদানের বিবরণ, যেমন অবস্থান, যোগদানের তারিখ, রিপোর্টিং সময় এবং রিপোর্টিং ম্যানেজার সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য পেয়ে যাবে।



ইন্টার্নশিপে চলাকালীন, অংশগ্রহণকারীদের অবশ্যই নিম্নলিখিত নথিগুলি থাকতে হবে -


১)বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য (Bank Account)

২)আধার কার্ড (Aadhaar Card)

৩)ঠিকানা এবং পরিচয় প্রমাণ

৪)প্যান কার্ড (Pan Card)



 নির্বাচন পদ্ধতি -

একটি ফ্রি অ্যাসেসমেন্ট নেওয়া হবে। এই অ্যাসেসমেন্টে বেসিক ইংলিশ, ম্যাথমেটিক্স এবং লজিক্যাল টাইপের প্রশ্ন থাকবে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সিলেবাস অপশন থেকে সিলেবাসটি দেখে নিতে পারেন।


এই ফ্রী অ্যাসেসমেন্টে কমপক্ষে 80% নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হলে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে।


অ্যাপটিটিউড লার্নিং এবিলিটি এবং আপনি কেন এই ট্রেনিংটি করতে চান সেই বিষয়ের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউ নেওয়া হবে এবং সেখানে উত্তীর্ণ হলে আপনাকে ট্রেনিং এর জন্য কল করা হবে।


আবেদন পদ্ধতি - শুধু মাত্র অনলাইন এ।

নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে পারবেন।




Official Website-

Click here 🔴


Notice -

Click here 🔴


Apply Now-Now-

Click here 🔴