Posts

কবিতা || যথোচিত কর্ম || পাভেল রহমান

  যথোচিত কর্ম “দিবসে চন্দ্র সূর্যের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল” -সম্মান বা বাঁচার লোভে এ কথা না বল। খানিক ক্ষণে মিথ্যা বলায় বহু প্রাণ রক্ষা পায়; কিন্তু হালাল নহে সকল মিথ্যা সবসময়। প্রিয়কে নয়, নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যা বলা না যাবে কোনো মতে; তবে বন্ধু, প্রিয়কে বাঁচাতে মিথ্যা বলো নির্দ্বিধায়।

কবিতা || আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে || আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস

  আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে, বৈকালি হাওয়ায় সবুজ ঘাসে? নীচে নদী প্রবহমান ক্ষতি কী, যদি ঘটে যায় কোন অঘটন; তোমার বাদামি চুল আর নীল চোখ শুষে নিতে পারে আমার সব শোক। আমার যত কাতরতা যত আর্তনাদ, তুমিই চেপে রাখতে পারো বুকের খাদ। তোমাকে আমার মনে হয়েছে সেই নারী তাইতো আমি তোমাকে নিয়ে এইসব কল্পনা করি। আমি একটু বসতে পারি তোমার পাশে, বৈকালি হাওয়ায় সবুজ ঘাসে?

কবিতা || গুটি পোকা তবু স্বাপ্নিক || চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী

  গুটি পোকা তবু স্বাপ্নিক আমি নিজেই নিজের সামনে দাঁড়াই এর চেয়ে স্বচ্ছ আয়না বাজারে কোথায়? যে দগ্ধ হতে হতে শিখেছে হাসির সোহাগ তাকে দেখাতে এসো না দানবীয় ভয়। কষ্টের নদী জলে সাঁতারে পেরোনোর সাহস হাতের তালুতে নাচায় না পাওয়া বেদনার শোক। মনের ভেতর গুটি পোকা তবু স্বাপ্নিক প্রজাপতি হবার বিমুগ্ধ বাসনায় একবিন্দু মধু যদি পাই সেই তো জীবনের সার্থকনামা। 

কবিতা || পুরুষ তুমি || বন্দনা বিশ্বাস

  পুরুষ তুমি আমি নারী, আমি প্রকৃতি, আমি সর্বংসহা আমার আছে অফুরন্ত ধন ভান্ডার পুরুষের অহমিকা আমাকে দগ্ধ করে পুরুষ, একবার আমার দিকে তাকাও আমি নিঃস্ব হতে চাই ,সম্পুর্ন নিঃস্ব একবার আমাকে তোমার পাশে নাও মুহুর্তে আমার সব আভরণ উন্মোচিত হবে রানীরূপ খোলস ছেড়ে হবো সেবাদাসী প্রকৃতি পুরুষের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পায় যে প্রকৃতি, নারী, মা, কণ্যা, সেই  পত্নী পুরুষ তুমি আমাকে চিনতে শেখো নারী সব উজাড় করে দিতে জানে তুমি এসো হৃদয় দিয়ে গ্রহন করো সেদিন আগুনে , অ্যাসিডে, মর্মদাহে পুড়বে না নারী ।

কবিতা || চিরনিদ্রায় ডিসকো কিঙ্ || রানু রায়

  চিরনিদ্রায় ডিসকো কিঙ্   বাপ্পীর গানে কোমর নাচানো সবাই কে করেছে মাত বস্তি থেকে পানের দোকান এলিট সমাজ ও কুপোকাত। তবলার তালে ঠোকা মেরে গানের জগতে আজ রক সঙ্গীতে পা রাখলে তুমি নিয়ে নতুন সাজ। পূজো হোক বা পার্টীর কোলাহল সব জগতেই আছো তুমি হয়নি তাই বিফল। ডিসকো ডানসার থেকে কলকাতার রসগোল্লা, অসম সব স্থানেই তোমার সাবলীল পদচারণা। চলে গেলে তুমি আমাদের ফেলে সঙ্কটে সঙ্গীত জগতে অমৃত ধামে বসেছে কি আজ গানের জলসা ঘর । শেষ কথাই তো তুমি বলেছিলে কভি আলবিদা না কহে না----- মৃত্যুই এক চরম সত্য বিচার করে না  রাজা না ভৃত্য।

কবিতা || কথা দিলাম || জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

  কথা দিলাম তোমার আমার মাঝের সাঁকোটা নড়বড়ে হয়ে গেছে দীর্ঘ অবহেলায়, তাই হয়তো পৌঁছতে পারছি না তোমার কাছে, যেদিন সব উপেক্ষা নির্মূল হবে সব দুঃখ, অভিমন ভেসে যাবে নদীর জলে সেদিন অনায়াসে তোমার কাছে পৌঁছে যাবো সমস্ত জঙ্গল ভেঙে, কাঁটাগাছ পেরিয়ে বন্যার জল উপেক্ষা করে খরায় ক্লান্ত হয়ে নিশ্চয়ই প্রিয় তোমার কাছে পৌঁছে যাব।

কবিতা || ফিরিয়ে দাও শৈশব || অশেষ গাঙ্গুলী

  ফিরিয়ে দাও শৈশব              ফিরিয়ে দাও শৈশবের ওই হাশিখুশি দিনগুলো। যখন ছিল না মনে জটিলতা আর হিংসার অবশেষ। ফিরিয়ে দাও শৈশবের খোলা মাঠের প্রন্তর আমার যেখানে প্রানখুলে নিতে পারতাম নিঃশ্বাস। ফিরিয়ে দাও সহজ - সরল মন যা বুঝত না সমাজ জটিলতা আর কঠিন মনোভাব। ফিরিয়ে দাও ছোটবেলা র অবুঝ মনকে জীবন এত কঠিন তা বুঝত না। জানত না জীবনের চরম দুঃখ গুলো শিশু মন শুধু জানত আনন্দ নিয়ে বয়ে চলে যে সবার জীবন। ফিরিয়ে দাও শৈশবের হাসি আর আনন্দের দিন গুলি যা পরিস্থিতি র দূর্বিপাকে হয়েছে মলিন। ফিরিয়ে দাও শিশু মনে কুঃসংস্কার হীন মনগুলো আজ সংস্কারে চাপে হয়েছে বন্দি অন্ধকারে।   যে মনে ছিল না হিংসা - বিবাদ আর অহংকারের চিহ্ন। যে মনে সন্দেহ বলে ছিল না ছিল না অন্ধকারাচ্ছন্ন মনোভাব। সে জীবন আমি ফিরে পেতে চাই গো বারবার।