Posts

Showing posts from September, 2021

গীতিকার বদরুদ্দোজা শেখু -এর একটি গান

  পাখি গেছে উড়ে পাখি গেছে উড়ে-- তার জন্য হৃদয়ারণ্য মিছে যায় কেন পুড়ে ?। পাখি গেছে উড়ে।। ওরে ও পাখি কেমনে থাকি আজ এতো দূরে দূরে ?? আমার আকাশ জুড়ে ছিল যে নীলিমা মনে হতো সে আমার মানস-প্রতিমা, মহিমা অপার তার  দিয়েছে এ দায়ভার  ওই লাবণ্য হলো অনন্য আমার বিরহ-পুরে।। আমি কাঁদি আনমনে একলা আঁধারে মন বাঁধি বিয়াকুল বিজন বাদাড়ে , যতো স্মৃতিসুখভার রয়েছে বুকে আমার,  হয়েছি ধন্য তার প্রসন্ন গত ভালবাসা জুড়ে ।।

Photography by Moushumi chandra

Image

Poet Amit Bid's one poem

  Father    My father is my super hero, my father is my charm, He is the only person who safeguards me form harm. He is like God to me, he inspired me the more, I want to be like him from the heart and its core. Sometimes he scolded me, sometimes he loved, Sometimes he became my friend and tightly me hugged. My success is his success, My faiture is his won, He behaves like a king on my victory - which never be shown. Father is not just a word, he is like a world in him., He is the only sun who gifts its day all his sunbeam.

Poet Sunanda Mandal's one poem

  The eyes of knowledge    ‎   The sun is shining  on my face,  Bright sky.  There are happy air,  in the circle of the earth. I'm looking for you around.  Autumn smell in the nose,  Advent calls for songs.  Revealed in the light of dawn, Mahamaya's eyes.  One or two idols will wake up!  Just do not open the eyes of human knowledge!

Poet Soumendra Dutta Bhowmick's one poem

  A Floral DREAM   While flying over the white clouds               I dreamt of an elegant fairy-queen, She had no wavy wings but Beauty was overwhelming,                What’s then a charming scene! Her close brownish were a magic, Her silent appeal aroused a wave- Gradually it paralysed me With an aromatic arrow When loneliness seemed to be blessing, When I was free from anger, horror And cheerfulness with its natural art Overcast my limited sky. Thus thy name I knew as Love— Loving moments were the message of Life, Speedily I woke up, I woke up Not to be far from her tidy-tie.

নাট্যকার রাজা দেবরায় -এর একটি ছোট নাটক

সচেতনতাই আদর্শ ওষুধ! গজাঃ এত দ্রুতবেগে কোথায় ছুটছিস ভজা? তুই তো এখন অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেলি রে! ভজাঃ টুথপেস্ট প্রায় শেষ হয়ে গেছে, টুথব্রাশও কিনতে হবে। তাই কিনতে যাচ্ছি দোকানে। তাছাড়া মোবাইল রিচার্জও করাতে হবে। এখন অমাবস্যার চাঁদ হলে নিজেরও মঙ্গল আর সমাজের জন্যও মঙ্গল! গজাঃ আরে ভাই এত ভীতু কেনো তুই? আমাদের দ্যাখ আমরা আগের মতোই বিন্দাস আড্ডা দিচ্ছি, ঘুরছি, খাচ্ছি সব করছি। এত ভয় পেলে চলে? ভজাঃ ব্যাপারটা ভয়ের থেকেও অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সচেতন থাকাই আসল। তাহলে আমি নিজেও যেমন ভালো থাকবো, অন্যেরও ক্ষতি করবো না। আর আড্ডা, ঘোরাঘুরি ইত্যাদি তো সারাজীবনই করা যাবে। এখন একটু সবকিছুর থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলে আপত্তি কিসের? আর এখন সামাজিক মাধ্যমের যুগে তো বাড়ি থেকেই আড্ডার মজা নেওয়া যায়। গজাঃ এত লিখবে কে! ভজাঃ আর লিখতে সমস্যা হলে ভয়েস রেকর্ডিং এর সাহায্যও নেওয়া যায়। এখন অন্তত মাস দুয়েক যথাসম্ভব সচেতন হয়ে থাকাই উচিত। তাতে আখেরে আমাদেরই লাভ হবে। খুব প্রয়োজন না হলে ভিড় উপেক্ষা করাই এখন কর্তব্য। মোদ্দা কথা, যথাসম্ভব সতর্ক, সাবধান এবং সচেতন থাকাই শ্রেয়। গজাঃ ঠিক বলেছিস রে ভাই। সামনেই পুজো। ঘোরাঘুরি করলেও খুবই

লেখক ও ডাঃ প্রভাত ভট্টাচার্য -এর একটি রোগ বিষয়ক আলোচনা

  সি আর পি                  এখন অনেক সময় ই রোগীদের সি আর পি (CRP) পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। আসলে এই জিনিসটা কি আর এর তাৎপর্য ই বা কি, তা নিয়ে আলোচনা করছি।       এটি হল একরকমের প্রোটিন যা আমাদের যকৃৎ বা লিভারে তৈরী হয়। আমাদের শরীরে যে কোন  প্রদাহ বা inflammation হলে রক্তে এর মাত্রা বেড়ে যায়। যেমন, কোনো সংক্রমণ বা ইনফেকশন ,ক্রনিক অসুখ, যেমন এস এল ই,রিউম্যাটয়েড আরথ্ররাইটিস ,ইনফল্যআমেটরি বাওয়েল ডিজিস প্রভৃতি তে।        আবার হার্টের অসুখে হাইলি সেনসিটিভ সি আর পি র (hsCRP) মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এর মাত্রা বেশী থাকলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।          গর্ভবতী অবস্থায় পরের দিকে এবং জন্মনিরোধক ওষুধ নিলেও রক্তে সি আর পি র মাত্রা বাড়তে পারে।        আবার এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে আঘাত বা পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে।

লেখক তীর্থঙ্কর সুমিত -এর গদ্য

  নদী কথায় ভেসে যায় .....              ( ১) কত জমানো কথা ভেসে যায় নদী বুকে।কেউ খবর রাখেনা।কোনো গল্পের শেষ হয়না। শেষ হয় কথার।ওখানেই শুরু হয় নতুন গল্পের।নতুন থেকে চিরনতুন হতে হতে আটকে যায় চোখ।সেই চোখ থেকে সৃষ্টি হয় এক একটা গঙ্গা,এক একটা পদ্মা।ভালো থাকার লড়াইয়ে জলের স্রোতে ভেসে যায় অব্যাক্ত কত কথার যন্ত্রণা।হয়তো এভাবেই সৃষ্টি হয় কয়েকটা কথা, কয়েকটা চিহ্ন আর এক একটা মরুভূমি...                                                             (২) প্রতিটা দিন কেটে যায় রাতের আঁধার বুকে নিয়ে।কবিরা জন্ম দেয় হাজারো কবিতার।সময়ের সাথে সাথে সময়কে বুকে নিয়ে ফিরে আসে ঢেউ।আজকের প্রশ্ন আগামী কাল পুরনো।নতুন থেকে চিরোনতুনের সন্ধানে আমরা সকলে । কখন যেনো একের পিঠে বহু শূন্য নিয়ে ওজন বাড়াই ।নিজের অচিরেই ফাঁকা হতে হতে কখনো আবার নদীর সাথে মিশে যাই ।গঙ্গা ,পদ্মার বুকে লিখে রাখা এক একটা যন্ত্রণা কত নষ্টা মেয়েকে সতীত্ব দিয়েছে।আর আমি নতুন হতে হতে কখন যেনো ঢেউ এর সন্ধান পেয়েছি ...            (৩) নদীটা রোজ দেখি বয়ে যায় নিজের মতো। হাজার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে নদী বয়ে যায় নিজের গন্তব্য স্থলে।এই গন্ত

লেখক সুজিত চট্টোপাধ্যায় -এর একটি গদ্য তথা রম্য রচনা

  ঘোর কলি হে   এখন আখের গুছোবার জমানা। ভোগকরো, আসক্তি মিটিয়ে নাও। নেতা হও। ক্ষমতা দেখাও। ল্যাং মারো। তোষামোদ করো। কেলেংকারীতে জড়িয়ে যাও। ইডি তলব করুক। দল বদলু হও। ব্রেকিং নিউজ হও।  অনেষ্টি ইজ দ্যা বেষ্ট পলেসি। গুষ্ঠিরপিন্ডি।  বউয়ের অচ্ছেদা, আত্মিয়ের অবহেলা, একদিন জীবন ঘড়ির টিকটিক ষ্টপ। কাঁচের গাড়িতে চিৎ হয়ে শুয়ে, মহাপ্রস্থানের পথে নিশ্চিত যাত্রা।  মরেও কি ছাই রেহাই আছে । যে ক'টা দিন জীবিত ছিলে, তিরস্কার আর তিরস্কার। জীবন তো নয় ধিক্কারের ডাষ্টবিন। ওয়েষ্ট পেপার বক্স। ব্যর্থতার সংগ্রহশালা। সমালোচনার পাত্র।  লাইফ টাইম পার্টনারের নিয়মিত নির্মম কথন,,,,,,,,,  "" সারাটা জীবন শুধু ঘানি টেনে গেল। তেল বেরুলো না এক ছিটেও। বোকার হদ্দ। বুদ্ধি বলে তো ঘিলু তে কিছু ছিল না। খালি জেদ ছিল।  কি? না , অনেষ্টি। অনেষ্টি ধুয়ে জল খাবে? দুরদুর বেঁচে থাকতে বোঝাতে পারলুম না এখন আক্ষেপ করে কি হবে। যাও, ফারনেসে ঢোকো। যতসব।  অনেষ্টির দোহাই দিয়ে আঁটি চুষতে চুষতে লাইফ হেল হয়ে যাবে। নো রিস্ক নো গেইন। কাটমানি যদি না খেলে তবে খেলে কি, ঝিঙেপোস্তো?  স্ক্যান্ডেলিং ছাড়া জীবনের কোনও চার্ম নেই। সমাজে যদি প্রতিষ

লেখিকা রোকেয়া ইসলাম -এর একটি গল্প

  কুকুরের কান্না     ইদানীং বেশিরভাগ রাতেই এমন হচ্ছে পারভীনের। ভয়ংকর স্বপ্নে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙে গেলে স্বপ্নের ভয়াবহ রেশটা থেকে যায়। দুচিন্তায় আজানা আশংকায় বুক কেঁপে কেঁপে ওঠে।  বিছানা থেকে নেমে লাইট জ্বালাতে গিয়েও থেমে হাতটা নামিয়ে বাথরুমে ঢোকে। কমোডে বসে পড়ে থপ করে। অনেকক্ষণ ধরে জল বিয়োগ করে।  বাথরুম থেকে বেরুতে গিয়েও বেশিনের কাছে যায়। হ্যান্ড ওয়াশ নিয়ে কলটা ছেড়ে দেয়। হাতে পানির ফোটা নিয়ে পানির কল বন্ধ করে ইচ্ছেমত ফেনা তুলে। কবজি ছাড়িয়ে কনুই অবধি ফেনা নিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলে।  বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। কাপড় শুকানোর তারে ঝুলছে তোয়ালে। হাত দুখান মুছে নেয়।  চামড়া টান টান লাগছে। একটু লোসন বা গ্লিসারিন জাতীয় কিছু মাখতে হবে।  আনুমানেই এতোদিনের চেনা ঘরে ঢুকে বোতল খুলে পরিমাণ মত লোসন নিয়ে হাতে মাখাতে মাখাতে আবার বারান্দায় এসে দাঁড়ায়।  এতোক্ষণ নিজেকে ব্যস্ত রাখলো। মনটা সরাতে চেষ্টা করলো। তবুও মনের ভেতরের দুচিন্তা একটুও কমে না। ভেতরের ভয় জমে শক্ত হয়ে বসে গেছে। নিচের রাস্তার দিকে তাকাতেই ভেতরটা কেঁপে ওঠে। মিরপুর বাজারের ব্যাস্ত রাস্তা এটা। এখন সারাদিন ফাঁকা পড়ে থাকে। নেতিয়ে পড়ে থাকা রাস্তার দিক

লেখক রানা জামান -এর একটি গল্প

  চাল খবরটা শুনে হতভম্ভ না হলেও চিন্তিত হলো খানিকটা জুবায়ের। একে একে পাঁচ স্থান থেকে পাঁচটি মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ওর দলের পাঁচ সদস্যের বোন ওরা। সম্ভবত ওর দলকে বাগে নেবার জন্যই এই অপহরণ। ওর দলে মোট সদস্য নয় জন। তার মানে আরো চারজনকেও যে কোন সময় অপহরণ করা হতে পারে। অপহরণের পর এখনো কোনরকম যোগাযোগ করেনি অপহরণকারীরা ওদের পরিবারের কারো সাথে। বাকি চারজনকে অপহরণ করার আগেই কিছু একটা করতে হবে যাতে দুষ্কৃতকারীদের আড্ডাস্থান সনাক্ত করা যায়। কী করা যায়? কী করা যায়? ধারণাটা মাথায় আসতেই খুশিতে একটা লাফ দিয়ে জিভে কামড় দিয়ে গেলো দাঁড়িয়ে। টোকা মারছে মাথায় অন্যকোন ধারণা আসে কিনা। বিকল্প কোনো ধারণা আসছে না মাথায়। বুঝতে পারলো ঐ ধারণা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে সামনে। কাঁপা হাতে স্বরের কম্পন যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করে ফোন করলো সহোদরা রেবেকাকে। রেবেকা বড়ভাই-এর কথামতো কাজ করতে হয়ে গেলো রাজি। অস্থির হয়ে নিজ অফিসকক্ষে পায়চারি করতে লাগলো জুবায়ের। কিছুক্ষণ পর সহযোগী কামাল অফিসকক্ষে ঢুকলো একটা পোটলা হাতে। কামাল পোটলা থেকে রেবেকার পরনের কাপড় বের করে বললো, এই কাপড়-ই রেবেকার পরনে ছিলো। ও এই কাপড় ছেড়ে নাহিদার ড্রেস পরে বেরিয়ে

লেখক আশীষ কুণ্ডু -এর একটি গল্প

হরেনের রোজনামচা  হরেন ঘোষ,ওরফে হরু, গলায় সুর আছে, টিকালো নাক, রং ফর্সা,তামাটে হয়ে গেছে রোদে পুড়ে জলে ভিজে। বৈশাখের সকাল।রোদ্দুর বেশ চড়া। হালকা চালে, 'এসো হে বৈশাখ,এসো, এসো,'গাইতে গাইতে খাড়া নাকের অহংকার নিয়ে বুক চিতিয়ে চলেছে হরেন।পাড়ার বখাটেরা উপেক্ষায় হরেনকে " নাকু" বলেও ডাকে। ছাতি তার চওড়া নয়,তবু ব্যক্তিত্বে মাত্রা আনতে হাত দুটো কাঁধ থেকে দূরত্বে ছড়িয়ে চলে সে। হরেন চলেছে বাজার, ঢোলাজামায় বেশ একটা বিস্তার নিয়ে ,তখনই ছন্দপতন। একেবারে নাকের ডগায় ফাজিল চড়াইয়ের পুরীষ।অগ্নিশর্মা হয়ে পক্ষীকুলের উদ্দেশ্যে গালিটা ছিটকে বেরোনোর মুহূর্তে- হরু, নিজেকে সামলে নাক পুঁছে, চরম বিরক্তিতে রুমাল ছুঁড়ে ফেললো  নালায়।  মুখ কুঁচকে বাড়িতে ঢুকতেই,বৌয়ের খপ্পরে- "কি হোলো পাওনাদার বুঝি?” ‘ন-নাঃ’-এখন আবার ফিরিস্তি চাইবে বোসের বেটী , কি জ্বালা',মনে মনে এইসব ভাবনার মধ্যেই আড়চোখে হরেন দেখে তনিমা নজর রাখছে। এই ভঙ্গির তাৎপর্য জানে হরেন, ভয়ে পেটের ভিতর গুড়গুড়।কোনোমতে টয়লেটে ঢুকে হাঁফ ছাড়ে। বাইরে তনিমার তর্জন গর্জন শুরু হয়েছে। ভিতরে জল চালিয়ে দেয় হরেন, আর শুনতে হবে না ফাটা কাঁসরের শব্দ - বৌয়ের

কবি তাপস মাইতি -এর একটি কবিতা

  যে পথে         যে পথে হাঁটি আর এখানেই  নিরুপম চুল  বকের পাখনার মতো ওড়ে নিরুপমার ---- সে আমার বন্ধু । তারপর দুপুরের হ্রেষা রোদে  তার ছবি এবং বোকাটে দেহ ,  মরা মেঘের ভেতর উড়তে উড়তে  আমাকে ছোঁয় । যেখানে সুরভিত চোখ  তার মাগুর মাছের মতো আমাকে দেখে  আর নীলাভ শূন্যে হাসে ,  খিল খিল বাদামি ঠোঁটে । আমি তো পথে , তাই  সে আজ আমার দিকে  ভীমরুলের চোখ করে  তার রঙিন মনের ডানা ঝাপটায় ।

কবি বন্যা গুপ্ত -এর একটি কবিতা

  আলোকবর্তিকা মন ভিজে আছে বদ্ধ জীবনের দায়বদ্ধতার বহনে। হাত বাড়িয়ে আছে মনের বাহুমূল পথের মরূদ্বানে। দিগন্তের পটরেখা বলাকার মাঝে ছায়া যুদ্ধ। অবসরের কলোরব কিন্তু জীবনে ভরা মলমাসের সমারোহ। স্বপ্ন বোঝাই বিগত দিনের ছবিগুলো... পাখনা মেলে ইচ্ছে ডানা অহংকারের স্রোতে ভাসে একান্তে। একলা খুশীর অভিযানে পাহাড়ী ঝর্ণা  দুরন্ত বর্ষার উচ্ছ্বলতায়... কখনো সমুদ্রের নাবিক হয়ে অজানার সন্ধান এর মাঝে বাস্তবের অনুপ্রাসে আশার প্রদীপদানি হৃদয়ে প্রতীক্ষার তিতিক্ষায়....

কবি আবদুস সালাম -এর একটি কবিতা

  অলক্ষুণে সম্পর্কের উঠোন আজ স্যাঁতস্যেঁতে বিবর্ণ ঢেউ উঁকি মারে জলের ছায়ায় অসমতল স্নেহগুলো ভেজালের বারান্দায় সেঁকে নেয় ভরসা সময়ের শ্যাওলা জমেছে নিস্তব্ধতার ঘাটে পিচ্ছিল উপত্যকায় শুনি মৃত্যুর পদধ্বনি ব্যর্থ দহন চিত্র খুঁজে পায় খাজুরাহের গায়ে নৈরাশ্যের চরে বাসা বেঁধেছে ডাহুক নৈঃশব্দের চিল উড়ে চলেছে স্যাঁতস্যাঁতে আকাশে প্রচ্ছদহীন অলক্ষুণে বারান্দায় জমা হয় নৃশংস অন্ধকার

কবি তুলসীদাস বিদ -এর একটি কবিতা

  ফিরে দেখো     বাঙালিরা ফিরে দেখো          বাংলার কত রূপ। দেখে দেখে মনে রেখো        বাঙালিরা নিশ্চুপ। বদলের পালা গান             উল্টিয়ে বদলা। হাড়ে হাড়ে বুঝে যান       বহুরূপী বাংলা। ভুলে গেলে চলবে না          অতীতের কটা দিন। বাঙালিরা মানবে না            বড় ছোট অতিদীন। জবাবের ভাষা গুলো    বড় এলোমেলো। খড় কুটো দিয়ে জ্বালো          গরিবের চুলো । ঝাঁটা মারো বড় মুখে          বেকারীরা বাংলার। অপমানে মুখ ঢেকে              ধূলো মুছো চশমার। বাংলার রাজ রাণী           মিথ্যার মাষ্টার। শ্রী ময় বাংলার            কালিমাখা গৌরব। চট্কানো ফুলের            থাকে নাকি সৌরভ। বাঙালিরা ফিরে দেখো            চোখ খুলে বারবার। যত দেখো ততো শেখো       কত শ্রী বাংলার।। ফিরে দেখো    তুলসীদাস বিদ বাঙালিরা ফিরে দেখো          বাংলার কত রূপ। দেখে দেখে মনে রেখো        বাঙালিরা নিশ্চুপ। বদলের পালা গান             উল্টিয়ে বদলা। হাড়ে হাড়ে বুঝে যান       বহুরূপী বাংলা। ভুলে গেলে চলবে না          অতীতের কটা দিন। বাঙালিরা মানবে না            বড় ছোট অতিদীন। জবাবের ভাষা গুলো    বড় এলোমেলো। খড় কুটো দিয়ে জ্বালো  

কবি নবকুমার -এর একটি কবিতা

  ঘরের পর্দাটা দুলছে  ঘরের পর্দাটা দুলছে--- পর্দার ওপারে কে আছে জানি না - কোন আওয়াজও পাচ্ছি না । আমি দাঁড়িয়ে আছি দরোজার সামনে একটা শালগাছের ছায়ায়  আমার চারদিকে বেষ্টন ক'টি বাচ্চা শশক । একেকবার মনে হচ্ছে পর্দাটা একটু ফাঁক করে দেখি আবার থমকে যাই । যাকে চেয়েছি যদি না পাই ! তাহলে এক কালো আকাশ বুকে নিয়ে  হেঁটে যেতে হবে সারাটা জীবন । এখন তো চলছে ভাঙনের পালা - রাষ্ট্র ভাঙছে,যৌথ পরিবার কবেই ছত্রাখান ভাঙছে সমাজ ,মানুষের আচরণ,মানবিকতা  সব--সব--- যদি সেও ভেঙে যায় অস্বাভাবিক নয় । তবু যে যেখানে আছে থাক যেমনটি স্থির আমার মনে  একথা ভেবেই সময় পেরিয়ে যাবে দু'দিনের জীবনে--

কবি মহীতোষ গায়েন -এর একটি কবিতা

  সম্পর্ক বয়স যত বাড়ছে বুকের উপরের পাথর সরে যাচ্ছে,সরছে মাটি,গাছ,লতাপাতা; আলোকবর্ষ দূরত্বে চলে যাচ্ছে সম্পর্ক। সব সূত্র,রীতিনীতি,বোঝাপড়া ব‍্যবধানের হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে সংসার-সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার আগেই একবার সতর্ক হয়ে যাও। বয়স বাড়ছে লাউ ডগার মত,উপত্যকায় বাসা বাঁধছে কামনা বাসনার ক্ষয়িষ্ণু বীজ, সম্পর্কের সলতেগুলো পাকাচ্ছে তালগোল।   আকাশে চাঁদ উঠেছে,সমস্ত তারা,নক্ষত্র সম্পর্কের ফাটল দিয়ে ঢুকে দখল নিতে তৎপর,জীবনের রণক্ষেত্রে যুদ্ধের আবহ। ভোরের সূর্য ঢেকে যাচ্ছে বিভেদের মেঘে; জীবনের গাছে বাহারি ফুল,প্রচণ্ড ঝড়ের পূর্বাভাস,শেষ হওয়ার আগে এসো আরো একবার সম্পর্কের সাতপাকে বাঁধা পড়ি।

কবি চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী -এর একটি কবিতা

  হোক না পথ কঠিন নৌকা চলে হেলে দুলে শ্রাবণ নদীর জলে গান জুড়েছে ময়না টিয়ে সুরের তালে তালে। আমন ধানে ক্ষেত ভরেছে শরৎ মেঘের ভেলা খেলতে পুতুল উঠোন মাঝে দুপুর হলো বেলা। আমরা কি সব পুতুল জীবন খেলছি সুতোর টানে হাজার স্বপ্ন বুকের মাঝে চেয়ে আশার পানে। বাঁচতে হবে বাঁচতে হবে হোক না পথ কঠিন জীবন নৌকা বাইতে বাইতে করবো জীবন রঙিন।

কবি ইমরান শাহ্ -এর একটি কবিতা

  নীলকন্ঠ স্মৃতির দেয়ালজুড়ে চৌমুখী বাতাস বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছে অবিরত এখন আকাশ আর শাদা হয় না কেন যেন! শরীরসমাজ বয়ে বেড়াই আকাশলীনা পথ ধরে, কিনারা পাইনি অক্টোপাসের মায়াবি থাবা এড়াতে পারি না সমগ্রঃ বলপ্রয়োগে। সে যদি মিলে যায় হৃদপিণ্ড কেটে অর্ঘ্য দেবো তবু তারে চাই, সবকিছুর বিনিময় আমৃত্যু; কিভাবে পাবো? শ্বেতহস্তী পুষবো মনের অন্দরে তেমন গোয়ালী নই হয়তো তাই বিড়াল পুষি, তার কাছে কিছু শিখবো বোলে।  অমৃতের স্বাদ ভুলে গেছি, গতশোচনা করে যাই শুধু; আমরণ তাই গিলে চলেছি বিষ ভরা আহান-রস।  না-হয় ধরণী তুমি দ্বিধা হও, নতুবা মুক্তি দাও এমন সোনার মনুষ্য জীবন বাঁচাতে বাতলে দাও পথ।

কবি মুহাম্মদ বায়েজিদ আলী -এর একটি কবিতা

  সংকেত নগদ দেনমোহর; তবু সংকেত! উকিল বাড়ি সন্ধান... আর ক'টা দিন। ভালোবাসায় রাঙিয়ে তুলো, আগামী দিন... হ্যালো! মুঠোফোন।

কবি অমিত পাল -এর একটি কবিতা

  তুমি পাল্টাবে না                         তোমরা তো দেখছি নতুন ভাবে সারি বেঁধেছ৷ পিঁপড়েরাও তোমাদের দেখে লজ্জা পাবে৷ হাতে হাতে ধর্মধ্বজা---- লাল, সবুজ, গেরুয়ার সমুদ্র সফেন৷ তোমরা নিজেদের ডিম্ব গুলি রক্ষা করতে চাও---- পিঁপড়ের বংশধর সব৷ আমি জানি একথা---- তুমি থামবে না ধমকানিতে৷ জয়গান গেয়ে যাও নিজ পেটের ভাত রক্ষার্থে---- বোকামিতে হোক বা ছলচাতুরীতে৷ আমি জানি তুমি থামবে না৷ গর্জে উঠবে বারবার৷ তোমার তো সম্পদ-প্রভাব প্রতিপত্তির প্রতি একটা নিগূঢ় লালসা আছে---- একথা আমি জানি৷ তুমি চিৎকার করছ নিজের জন্য৷ কিন্তু তোমার সঙ্গীরা... টিফিন পেলেই তৃপ্ত পাশে থাকা গিরগিটি---- একথা তুমি জানো? আমি জানি তুমি থামবে না৷ অনশনে বসবে৷ কিন্তু তোমার সভা-সমাবেশের ভবিষ্যত কি? সে কথা প্রত্যুত্তরে বলো আমায়...

কবি উদয়ন চক্রবর্তী -এর একটি কবিতা

  আলবিদা    শরীরের ঘাম যখন বৃষ্টি আবদার করে আকাশের বাউন্ডুলে মেঘও কেঁদে  নিজেকে হালকা করতে চায় লজ্জাহীন। এসো এটা আমি জানি তুমিও জানো কোথায় কোন কোণায় ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকে ভালোবাসার ঘুন পোকা যদিও সে জানাও সম্পূর্ণ নয় এ যাত্রা পথে। কোথায় কোথায় স্পিড ব্রেকার তৈরি হয় সময়ের অন্তরালে যাপনের ইতিহাসের পাতায় কোনো যতি চিন্হ না রেখে সে ধূসর  রেখা চিত্র এক অতি বাস্তব ছবি এঁকে ফেলে। আমি সেই প্রজাপ্রতি কে খুঁজে মরি যে আমাকে পৌঁছে দিতে পারে এক নৈসর্গিক  দিগন্তের শেষ প্রান্তে যেখানে লেখা আছে আলবিদা। কাটা ঘুড়ির গন্তব্য হীন বিষণ্ন যাত্রাপথে বোঝা যায়না যখন উল্লাস আর উন্মাদনা  নেচে বেড়ায় ময়ূরের মতো পেখম তুলে। সময় যোগ বিয়োগ করে ঠিক ভাগশেষের উত্তর মিলিয়ে দেয়।

কবি সুব্রত মিত্র -এর একটি কবিতা

  ললাট লিখন বৃক্ষ তলে বসে আছি।চিল কাক উড়ে যায়। তারা বাসা ছেড়ে ছুটে এসে আমাকে তারায়, আমি নির্ভাবনায় আছি, তবু মরি বাঁচিবার আশায়।  পড়ে রয় মন এই বনে;নাহি যেতে চায় লোকালয়ে আজকে লোকালয়ে নেই আর মানুষের আশ্রয় সেথা হয় সর্বদা হিংস্রতায় রক্ত ক্ষয়,  এই জঙ্গল হয় উৎকৃষ্ট মঙ্গল এখানে ছদ্মের বেশ নেই স্বভাবজাত জালিয়াতির রেশ নেই, এখানে মুক্তির আহবানে সারা দিই দিন রাত আহা বেশ বেশ কি চমৎকার আমার বরাত।  অহংবোধ করিয়াছি রোধ নিজের অজান্তে যাহা ছিল অপরাধ হয় যেন শোধ; অক্ষর চলে গেছে বহুদূর বাক্যের সন্ধানীরা অবাক্যের মাঝে আছে পড়ে, বাধ্যবাধকতায় করি যাপন বেদনা মধুর মিদুর।  শিকড় উপড়ে ফেলা যন্ত্রণার বিদ্রোহ কল্পনায় যাতনার শিকার হয়েও, মরে গিয়েও, মরছি না। মরে যেতে চাই, তবুও মায়া না হারাই। পঙ্কিল চৌচিল অনাবিল তাহাদের করেছিল সবল আমি আগেও ছিলাম আজও আছি,আমি খুব দুর্বল।

কবি সত্যেন্দ্রনাথ পাইন -এর একটি কবিতা

  কিনলে একটা পাহাড় আমি কিনবো একটা পাহাড় শত্রুদের মুখে পড়বে ছাই।  আমি দাঁড়াব পাহাড়ের এই পাড়ে ওরা যাবে সেথায় হারিয়ে।  পারবে না আমায় আটকাতে বড় জোর ব্যঙ্গ করবে নাহয় শিস দিতে ভাসবে ঝাউবনে সাগরের জলে কিংবা বাধ্য হবে সব ভুলে কত মাটি কত খাদ যাচাই করতে  আমি কিনলে একটা পাহাড় ওরা যাবে যেখানে বেড়াতে।

কবি তৈমুর খান -এর একটি কবিতা

  সম্পাদক      পাত্তা দেবে না কেউ , কাছাকাছি গেলে  মুখ ফিরিয়ে নেবে , কথাও বলবে না  শুধু নীরবে বাইরে যাওয়ার ইংগিত  পাত্তা দেবে না কেউ                   যে রকমই সম্পাদক হোক  তার কাছে দেবার মতো আলো যদি নাও থাকে  সুখ দুঃখ বাক্য বিনিময়ে কিছুই ভাগ করা যাবে না  ডিঙানো যাবে না তার ঘরের সীমানা  এইখানে রাত হলে রাস্তায় বসে বসে কাঁদো  এইখানে আগুনে পুড়লে যন্ত্রণায় নিজেকে ঢাকো  গাছের ছায়ায় বসে দ্যাখো , কত পাখি ডাকে  ভিজে যাও বৃষ্টিতে বর্ষায় মেঘে — এইখানে একমনে লেখা আর না - লেখার ভিড়  পাতায় পাতায় মেঘে কল্পনার নীড়  আনন্দে নিরানন্দে ক্রমে কথা হোক  লেখা আর না - লেখাদের নিজেই সম্পাদক ।

১১তম সংখ্যার সম্পাদকীয়

Image
                                          অঙ্কন শিল্পী- মৌসুমী চন্দ্র সম্পাদকীয় নদীর মত বয়ে যাওয়া ভাষাশৈলী কে বুঝতে হলে প্রয়োজন সমুদ্র সুলভ মন। কারণ একটাই নদীর শেষ ঠিকানা সমুদ্র। আজ এগারোতম সংখ্যা প্রকাশিত হল। এতদিন লিখছেন, পড়ছেন আমাদের ব্লগ ম্যাগাজিন। পাশে আছি আমরা পরস্পরের কাছে। ভালোবেসে পড়ুন পত্রিকা। লেখা গুলি হৃদয়ে অন্তর্নিহিত করে তাৎপর্য বুঝতে শিখুন। জানান প্রতিটি লেখার মন্তব্য। তাই আমাদের ওয়েবসাইট ম্যাগাজিনে লেখা পাঠান, অন্যের লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। পড়তে থাকুন আমাদের পত্রিকা।                                           ধন্যবাদান্তে                      World sahitya adda সম্পাদকীয় __________________________________________________ *** Advertisement (বিজ্ঞাপন): ##সাঁঝের বেলা' মাসিক অনলাইন ম্যাগাজিনে যে কেউ কবিতা/গল্প পাঠান| ##'সাঁঝের বেলা' সাহিত্য সম্মান' (কবিরত্ন/সাহিত্যরত্ন/সাহিত্যজ্যোতি) পেতে যে কেউ নিজের লেখা সেরা কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/আঁকা ছবি/ভ্রমণ কাহিনী/রম্য রচনা/উপন্যাস/নাটক পাঠান| ##'সাঁঝের বেলা জীবনজ্যোতি সম্মান

১১ তম সংখ্যার সূচিপত্র (২৭জন)

  সম্পূর্ণ সূচিপত্র বাংলা কবিতা ও ছড়া--- তৈমুর খান, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, সুব্রত মিত্র, উদয়ন চক্রবর্তী, অমিত পাল, মুহাম্মদ বায়েজিদ আলী, ইমরান শাহ্, চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী, মহীতোষ গায়েন, নবকুমার, তুলসীদাস বিদ, আবদুস সালাম, বন্যা গুপ্ত, তাপস মাইতি,  বাংলা গল্প--- আশীষ কুন্ডু, রানা জামান, রোকেয়া ইসলাম বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা--- সুজিত চট্টোপাধ্যায়, তীর্থঙ্কর সুমিত রোগ বিষয়ে আলোচনা--- প্রভাত ভট্টাচার্য বাংলা ছোট নাটক---- রাজা দেবরায় ইংরেজি কবিতা-- Soumendra Dutta Bhowmick, Sunanda Mandal Amit bid. Photography---- Moushumi chandra গান--- বদরুদ্দোজা শেখু

Photography by Moushumi chandra

Image
 

গীতিকার বদরুদ্দোজা শেখু -এর একটি গান

  মনটা আমার  মনটা আমার দুঃখী ওগো তোমার বিরহে দুখী দূরত্বে ,তবু সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছো মুখোমুখি।। বাড়িয়ে রয়েছি হাত  উদাত্ত দিনরাত প্রতীক্ষায় শুধু প্রতীক্ষায় শ্বাস প্রশ্বাস ফুঁকি।। জানিনা কখন আসে  আলেয়া আমার পাশে দূরে হাসে, উড়ে যায় বেদনায় লুকোলুকি ।। হয়তো হবেনা পাওয়া  হাসি কান্না গান গাওয়া এ জীবনে , সেই বিচ্ছেদ খেদ হ'য়ে মনে দ্যায় উঁকি।।

Poet Sunanda Mandal's one poem

  Lifeless       I'm hungry  You are hungry  The world too.  The whole family in the game of Maran  In response to the pain.  His greedy vision  The tip of the sharpened fruit.  Even the mournful bullet wounds, Blooming roses. But with the claim of love  No one has the courage to move forward.  Everyone in the hungry, World is tired, lifeless.

Poet Soumendra Dutta Bhowmick's one poem

  A FORTUNATE LATE   Even not at all death touches the mortal body... Such pity on me throughout the days! It’s wonder in a motion study, Who is the secret benign? Despite piling of Sins in the Note-Book Time is flowing smoothly very fine! Somewhat may be the outcome of honest works Or somewhat due to a holy touch, As if death is afraid of coming nearer Because joy overflows with the doubts much                 Likely may be the weakness                            Kindling the Lamp, With this light the river will flow and flow                  Till the death kisses like the champ.

লেখক ঋদেনদিক মিত্রো এর একটি প্রবন্ধ

  ভুল অর্থনীতি, জুতোর মালা  ও এক লাখ টাকা বাজী     মানুষকে নিচু চিন্তায় আটকে রেখে, তার বুদ্ধির বিনাশ ঘটিয়ে তাকে যত ডিগ্রী, পদ, টাকা ও অন্যন্য সুযোগ দেওয়া হোক না কেন, দেশের কোনো উন্নতিও হবে না, সমাজের কোনো মঙ্গল হবে না, এই সত্য যতদিন না দেশের জনগণ বুঝবে ততদিন দেশ নির্বোধ, আর এই সত্য বুঝে যতদিন না আমাদের রাষ্ট্রীয় ও রাজ্যিয় শাসন ব্যবস্থ্যা --- জনগণকে উন্নত চিন্তা ও উন্নত অভ্যেসে ও নির্লোভ জীবন যাপনে নিয়ে যাবে ততদিন দেশের কোনো উন্নতি হতে পারে না!  কিছু সেতু, রাস্তা, বাড়ি, অফিস, যুদ্ধাস্ত্র, চাকরি, এগুলি আধুনিক করা হলো মানে দেশ উন্নত হয়নি, কারণ মানুষের মনের, স্বভাবের ও অনুভবের উত্তরণ না হলে, বাকি সব উন্নতিগুলি দেশের সম্পদ নষ্ট ও সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়!  এই সত্যের বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়ালে ও আমাকে মিথ্যে বলে প্রমাণ করলে আমি জুতোর মালা পরবো প্রকাশ্যে, ও সেটা ইউটুবে দেখানো হবে, এবং একই সাথে এক লাখ টাকা বাজী, কিন্তু যদি বিরুদ্ধ পক্ষ হেরে যায় আমার কাছে ডিবেটে, তাহলে তাদেরও এটা করতে হবে! সরকার পক্ষের যেকোনো সংস্থা হলে, তারা হেরে গেলে তখন কয়েক কোটি টাকা তারা আমাকে দেবে তারা হেরে গেলে! আছে ক

লেখক তৈমুর খান -এর একটি প্রবন্ধ

  প্রেমে ব্যর্থ কবিই লেখেন সার্থক প্রেমের কবিতা  পৃথিবীর সমস্ত কবিকেই লিখতে হয় ব্যর্থ প্রেমের কবিতা। যদি কোনো কবি প্রেমে ব্যর্থ না হন, তাহলে তিনি কবি হিসেবেও পূর্ণতার স্পর্শ লাভ করতে পারেন না। অর্থাৎ কবি হতে গেলে প্রথম শর্ত তাঁকে প্রেমে ব্যর্থ হতে হবে। কথাগুলো বলেছিলেন বর্ষিয়ান সাহিত্যিক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়। কোন কবি প্রেমে ব্যর্থ হননি? আমরা একজন তরুণও খুঁজে পাইনি সেই কবির নাম। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কাব্যগুলি যেন ব্যর্থ প্রেমেরই ফসল। কোনো না কোনোভাবে কবিরা ব্যর্থ হয়েছেন। কারও প্রেম ছিল নীরব, কারও প্রেম ছিল সরব। বৈষ্ণব সাহিত্য ব্যর্থ প্রেমেরই হাহকার। কবিরা ব্যক্তিজীবনকে লুকিয়ে ফেলেছিলেন রাধাভাবের আড়ালে। রবীন্দ্রনাথ তাই প্রশ্ন করেছিলেন:      "সত্য করে কহ মোরে হে বৈষ্ণব কবি,     কোথা তুমি পেয়েছিলে এই প্রেমচ্ছবি,     কোথা তুমি শিখেছিলে এই প্রেমগান     বিরহ-তাপিত। হেরি কাহার নয়ান,     রাধিকার অশ্রু-আঁখি পড়েছিল মনে?     বিজন বসন্তরাতে মিলনশয়নে     কে তোমারে বেঁধেছিল দুটি বাহুডোরে,     আপনার হৃদয়ের অগাধ সাগরে     রেখেছিল মগ্ন করি! এত প্রেমকথা—     রাধিকার চিত্তদীর্ণ তীব্র ব্যাকুলতা     চ