Posts

Showing posts from January, 2022

আমুদে মাছের ঝাল রান্না কিভাবে করবেন || আমুদে মাছের ঝোল রেসিপি || How to cook Amude Fish Recipe || Amude macher jhal Recipe by Saptatirtha Mondal || cooking || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes

Image
  বিভাগ- রান্না টাও শিল্প *আহ্লাদী আমুদে* উপকরণ : আমুদে মাছ 300 গ্রাম, পেঁয়াজশাক 100 গ্রাম, সরষে,আদা টমেটো, মাঝারি সাইজের দুটো পেঁয়াজ সরু করে কুচিয়ে কাটা, ধনেপাতা  এবং দু কোয়া রসুন, একটু বেশি পরিমাণে কাঁচা লঙ্কা এবং সর্বোপরি সরষের তেল।   রান্নার প্রণালী: আমুদে মাছগুলোকে প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার পর নুন, হলুদ মাখিয়ে কড়া করে ভেজে নিতে হবে।  (এইখানে একটা কথা বলে রাখি কড়া করে আমুদে মাছ ভাজা গরম ভাতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। সে ক্ষেত্রে আমুদে মাছগুলোকে আপনারা নুন, লঙ্কাগুঁড়ো অথবা গোলমরিচ মাখিয়ে ভাজতে পারেন)  ভাজা মাছ গুলিকে একটা পাত্রে আলাদা করে তুলে রাখতে হবে।  এরপর কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিতে হবে এবং তেল গরম হয়ে এলে  কুচানো পেঁয়াজ, ধনেপাতা এবং টমেটো কড়াইয়ে দিয়ে দিতে হবে।  পেঁয়াজ একটু ব্রাউন কালারের ভাজা হয়ে গেলে পর তাতে আগে থেকে কুঁচিয়ে রাখা  পেঁয়াজ শাক আমরা দিয়ে দেবো।  এবার অন্য একটা পাত্রের মধ্যে আমরা সরষে,আদা এবং মাত্র দুই কোয়া রসুন নিয়ে সেটি ভালো করে মিক্সার গ্রাইন্ডারে  পেস্ট করে নেব। (রসুনে যাদের খুব গন্ধ লাগে তারা সম্পূর্ণভাবে রসুন বাদ দিতে পারেন)   আম

Photography || Dr Atef kheir

Image
 

Photography || Sohini Shabnam

Image
 

Photography || Nilanjan de

Image
 

Photography || Amit pal

Image
 

রম্যরচনা || ছেলে বেলার প্রথম অভিনয় || সামসুজ জামান

  ছেলে বেলার প্রথম অভিনয়           আমাদের ছেলেবেলায় প্রথম দেখা যে নাটক স্মৃতিতে বেশ মাখামাখি হয়ে আছে তা আমাদের গ্রামেরই এক থিয়েটার। আমাদের জন্মভূমি টোলা - মুসলিম প্রধান গ্রাম হয়েও যাত্রা-থিয়েটার, সংস্কৃতিতে বেশ অগ্রগণ্য এবং ব্যতিক্রমী হিসেবেই উল্লেখের দাবী রাখে।  সেটাই আমার দেখা স্মরণযোগ্য প্রথম শখের থিয়েটার। আবার এই নাটকেই ক্ষণিকের জন্যে হলেও অভিনয়ের খাতিরে আমার প্রথম মঞ্চে পা রাখা। নাটক টি ছিল ডঃ অরুণকুমার দে রচিত – “কার দোষ”? কেন্দ্রিয় চরিত্রে ছিল আমার বড়দা। আর্থিক অনটনে, দৈব দুবিপাকে শেষ পর্যন্ত দৃষ্টিশক্তি হারানো, অন্ধের যষ্ঠি অবলম্বন কারী, নায়করূপী বড়দাকে নিয়ে ভিক্ষা করাই ছিল তখনকার মত আমার মঞ্চে অভিনয়। “তুমি ফিরায়ে দিয়েছ বলে, ফিরে চলে যাই, চলে যাই” – মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত গানটিকে সংযোজিত করা হয়েছিল নাটকের প্রয়োজনে এবং সত্যিই অসাধারণ ভাবে গেয়েওছিল বড়দা। গানের আবেশে দর্শক-শ্রোতার কাছ থেকে উড়ে আসা পয়সা যেন বৃষ্টির মত ঝরছে মঞ্চের ওপর আর চোখের জল মুছতে মুছতে আমি কুড়িয়ে যাচ্ছি সেই পয়সা। একজন ভিখারী যে ভিক্ষা করে এত পয়সা পেতে পারে , নাটক দেখে শুনে সেই আশ্চর্য ব

রম্যরচনা || হিন্দু ধর্মের সবকিছুই যেন প্রতীকী || সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

  হিন্দু ধর্মের সবকিছুই যেন প্রতীকী         আমাদের অর্থাৎ মানুষ দের জন্ম থেকেই যা কিছু আচরণ সবটাই কিছু আলাদা আচরণ মানে প্রতীকী হিসেবে ধরা হয়।       শিশুর জন্মের পরই মাতৃদুগ্ধ বা বুকের দুধ খাওয়ানোর মধ্যেই প্রতীকী দেখা যায়। মা তার সন্তান কে দুধ পান করানোর সময় যদি মনে খারাপ চিন্তা পোষণ করে ছেলে বা সন্তান ( ঠাকুর) সেই দুধ পান করতে চায়না। আবার যদি মা ঈশ্বর চিন্তা বা ভালো চিন্তা করে তাহলে সন্তান সেই দুধ ঈশ্বরের আশীর্বাদ ভেবে নিঃশেষ করে। অতএব প্রথমেই সৎ চিন্তার প্রতীকী।           কৃষ্ণ কে দুধ পান  করাতে পুতনা নামে রাক্ষসী মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রে দুধ পান করাতে গিয়েও বিফল  হয়েছে বা পারেনি বরং বিশ্রীভাবে মারা গেছে।  অথচ মা যশোদা যখন কৃষ্ণকে দুধ পান করাতে চেয়েছেন তখন  বালক কৃষ্ণ গোপাল হয়ে তৃপ্তি করে দুধ পান করেছেন। অতএব চাই সৎ চিন্তার এবং সৎভাবে নিজেকে মেলে ধরার প্রতীকী ব্যবহার। সনাতন হিন্দু ধর্মের মধ্যে তাই যা কিছু নিহিত আছে তা সবই প্রতীকী।     ঠাকুর জগন্নাথ দেবের যে মূর্তি দেখি সেও তো প্রতীকী। অর্থাৎ ঠাকুর মানে ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। তাই তাঁর চোখ কান হাত পা না থাকলেও তিনি সর্বভূতে  স

রম্যরচনা || বেহালা টু বেনারস || সুজিত চট্টোপাধ্যায়

  বেহালা টু বেনারস বেহালা টু বেনারস। এটাকি পাশের পাড়া, যাবো বললেই অমনি হুট ক`রে যাওয়া যায় ? সবেতে বাড়াবাড়ি ।  ছেলে কুন্তলের মেজাজি মার্কা কথা শুনেও বিনয় বাবু বিনীত সুরে বললেন ,,  আহা,,রাগ করছিস কেন ? এমন কিছু বিদেশবিভুঁই তো নয় । বেনারস। প্লেনে মাত্র কিছুক্ষণের ব্যাপার। ফস ক`রে চলে যাবো।  টাকা একটু বেশি খরচ হবে , এ ই যা,,   তা যাক। টাকা বড়কথা নয়। আসলে আমার আর তর সইছে না।  শিগগির শিগগির যেতে হবে রে।  নারায়নী দেবী এতক্ষণ চুপ করেই ছিলেন , এবার তিনি ঝলসে ওঠে বললেন,,,  তর সইছে না ,  ফস ক`রে চলে যাবো,, আহা রে,, কী সখ,,  খালি নিজেরটা বোঝে। আরও যে মানুষ আছে , তারও যে ইচ্ছে অনিচ্ছে থাকতে পারে সে দিকে তাকাবার ফুরসৎ নেই ওনার।  বিনয় বাবু বুঝলেন , টার্গেট তিনিই।  তাই খানিকটা অবাক হয়েই বললেন,, মানে,, এ কথার মানে কী?  নারায়নী দেবী সে কথায় পাত্তা না দিয়ে ছেলে কুন্তলের দিকে এগিয়ে গিয়ে তার নাকের কাছে তর্জনী তুলে তর্জন ক`রে বললেন,,, খবরদার যদি প্লেনের টিকিট কেটেছিস, দেখিস আমি কী করি। যাওয়া ঘুচিয়ে দেবো।  বিনয় বাবুর অবাক হবার ঘোর কাটছে না। বললেন ,, আরে বাবা ব্যাপারটা কী ? প্লেনে কী হয়েছে ? অসু

নিবন্ধ || স্কুলছুট আটকাতে রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি || বরুণ রায়

  স্কুলছুট আটকাতে রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি শিক্ষাকে পড়ুয়াদের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। পাড়ায় পাড়ায় পড়ুয়াদের কাছে স্কুলের ইমেজ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। স্কুল প্রাঙ্গনে নয়,খোলা মাঠ কিংবা খোলামেলা এলাকায় কমিউনিটি শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য। 24 শে জানুয়ারি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী মাননীয় ব্রাত্য বসু। করোনাকালে প্রায় দু'বছর স্কুল বন্ধ। প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা কার্যত ঘরবন্দি তাদের কাছে স্কুলের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। শিক্ষক ,পার্শ্বশিক্ষক শিক্ষা সহায়করা ক্লাস নেবেন এই 'পাড়ায় শিক্ষালয় 'কর্মসূচিতে। অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবা বা আর্থিক অভাব অনটনের জন্য অনেক পড়ুয়াই অনলাইন ক্লাসে সুবিধা নিতে পারছিল না। তাদের কথা মাথায় রেখেই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।

নিবন্ধ || ভারতে ডিজিটাল শিক্ষা || শিবাশিস মুখোপাধ্যায়

  ভারতে ডিজিটাল শিক্ষা এই ডিজিটাল যুগে, অনেক শিক্ষার্থী ধীরে ধীরে প্রকৌশলের পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ভাষা এবং প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম সহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন ডিজিটাল কোর্সের দিকে ঝুঁকছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে, সারা বিশ্বে ডিজিটালভাবে অসংখ্য কোর্স উপলব্ধ রয়েছে। ডিজিটাল লার্নিং হল একটি উন্নত প্রযুক্তিগত মাধ্যম যা শিক্ষার্থীদের প্রচুর নমনীয়তা প্রদান করে, যা তাদের সময়সূচী এবং সময়সূচী নিয়ে চিন্তা না করে যেকোন সময় তাদের নিজস্ব সুবিধাজনক গতিতে যেকোনো স্থান থেকে অধ্যয়ন করতে দেয়। এটি শিক্ষার্থীদের তারা কী শিখতে চায় এবং কী না তা অনুসরণ করতে দেয়। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সম্প্রসারণ শিক্ষা প্রদান ও উপলব্ধি পদ্ধতিতে নতুন পরিবর্তন আনছে। শিক্ষার ডিজিটালাইজেশনের সাথে সাথে শিক্ষা কার্যক্রমের আউটরিচ দিন দিন আরও উন্নত হচ্ছে। ডিজিটাল শিক্ষা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী উভয়কেই শেখানোর, শেখার এবং বেড়ে উঠার নতুন সুযোগ প্রদান করছে যার ফলে সামগ্রিক শিক্ষার প্রক্রিয়ার উন্নতি হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তি-সহায়তা শিক্ষার সরঞ্জামগুলি গ্রহণের ফলে স্কুল এবং কলেজগুলিতে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। ইন্টারনেট

গল্প || খেয়া || রঞ্জিত মল্লিক

  খেয়া              আজ থেকে বছর দশেক আগে, ঠিক এইখানেই, আবৃত্তি, হাসনুহানার গাছটা পুঁতেছিল। তখন আবৃত্তি ষোড়শী, এখন...! থাক সে কথা।             খুব ছোটবেলা থেকেই সুন্দর আবৃত্তি ক'রতো ব'লে, স্কুলে গ্রামে ওই নামেই পরিচিতা ছিল। শুভঙ্কর তখন খেয়ার মাঝি। স্কুলে পড়াশোনা না করলেও কথায় কথায় কেমন মনহারানো গান বাঁধত', ভাটিয়ালী.....। আবৃত্তি তখন চতুর্দশীর ভরা নদী। শুভঙ্করের ঘাটেই থিতু হ'তে চেয়েছিল! কিন্ত কীভাবে যেন সব এলোমেলো হয়ে গেল! আজ আবৃত্তি বড় একা। স্মৃতির টানেই ফিরে এসেছে দেখার আশায়...           "আরে... হাসনুহানার নিচে কুঁড়েঘরটা তো ওখানে ছিল না বা থাকার কথা নয়!" নিজের মনেই কথাগুলো বলে উঠল।              কুঁড়েঘরটা ওখানে দেখে আবৃত্তি একটু অবাকই হল। একপা দুপা করে গাছটার কাছে এসে কুঁড়েঘরটা ভাল করে দেখল। পরম মমতায় আদরের হাসনুহানা গাছটা যেন ওকে কাছে ডেকে জড়িয়ে ধরে কিছু বলছে। আর কথাগুলো যেন কুঁড়েঘরের দরজা, দেওয়াল ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করছে।             আবৃত্তির চোখের কোণ বেয়ে নামছে ভরা কোটাল। কোটালের তীব্র স্রোত ওকে নিয়ে চলেছে দূর অতীতে।                                 "

অনুগল্প || নাম শুনেছ || সিদ্ধার্থ সিংহ

  নাম শুনেছ বউ চা দিতে আসতেই স্বামী বলল, সোনা, তুমি রাজা দশরথের নাম শুনেছ? বউ বলল, হ্যাঁ, শুনব না কেন? স্বামী বলল, ওনার তো তিনটে বউ ছিল। তা হলে আমি আরও দুটো বিয়ে করতে পারি? সঙ্গে সঙ্গে বউ বলল, তুমি দ্রৌপদীর নাম শুনেছ?

Poem || STILL LOVES YOU || Kunal Roy

  STILL LOVES YOU Once in a wet evening, They met, Stifled smile, Soft vision, Wove a dream, Of- Staying together!! The autumn set in, The Goddess arrived, Delight spread across the sky and breeze, And "You"- Faraway, Or in someone's arm, Or on the divine zone! He put up in the top floor, Window opened, Held a mug of brewing coffee, Hedonism spread outside, Solitude in the inner realm, Love lives in trust, Emotion lives in breath, He and his beloved stay, Faraway, Where the earth and sky meet, Still - Love is immortal there!

কবিতা || আকাশ || নবকুমার

আকাশ   খাদানের ভেতরে আকাশ নেই আকাশের জন্য ব্যাকুল হই - হয়তো নীলাকাশে ফুটেছে খই কিংবা মেঘে মেঘে বৃষ্টি জল জানি না কিছুই - শুধুই অতল--অতল--। যেমন বুঝতে পারি না তোমার আকাশ কখন রৌদ্র কখন মেঘ কখন হাওয়া আনে মনের আবেগ বুঝতে পারিনা বলেই কবিতাগুলি কব্ তে হয়ে যায়-- সাধারণ মানুষ ,বলি সোজাসুজি-- দিনমান আকাশ না দেখলেও খাদানে নিমীল আকাশ খুঁজি -।

কবিতা || আধুনিক যুগ || অভিজিৎ দত্ত

  আধুনিক যুগ  আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে রাজপুত্র সিদ্ধার্থ, রাজকীয় সুখ ছেড়ে পথে বেরিয়েছিলেন কীসের জন্যে? নানক, চৈতন্য, কবীর, মীরাবাঈ  ঈশ্বরের নামগান প্রচার করেছিলেন  কীসের জন্যে? বিংশ শতাব্দীতে বিপ্লবী অরবিন্দ  কারাবাসের পর পরিণত হয়েছিলেন  যোগীতে, কীসের জন্যে? বিবেকানন্দ অনেক কষ্ট সহ্য করে আমেরিকায় গিয়েছিলেন ধর্মপ্রচারে কীসের জন্যে? সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম, ভগৎসিং সহ অসংখ্য বিপ্লবী প্রাণ দিয়েছিলেন  দেশের জন্য, কীসের জন্যে? অথচ স্বাধীনত্তোর পরবর্তী ভারতে বর্তমান সময়ে,কী দেখছি সমাজে? চুরি,দূর্নীতি,ধাপ্পা, ফাঁকিতে সব লিপ্ত  ভোগবাদ,অপসংস্কৃতিতে মত্ত দেশপ্রেম গেছে ঘুচে  স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মন থেকে ফেলেছে মুছে। এ কোন ভারতবর্ষ? আজকের আধুনিক ভারতের প্রজন্ম  কখনও কী ভেবেছো অগ্রজদের আত্মত্যাগের কথা? পড়েছো বা জেনেছো ভারতের  বিপ্লবীদের ও মহাপুরুষদের কথা? আজকে কেন দেশে এত হানাহানি ধর্ম নিয়ে লড়াই, হিংসা ও রাহাযানি? আসলে আধুনিক যুগে উন্নতি  হয়েছে উপরে,উপরে,হয়নি ভেতরে অথচ ভেতরের উন্নতিটাই তো আসল  যেটার ছিল খুব দরকার  যার অভাবে দেশ অন্ধকার।  সমাজ গঠনের মূল কাজটাই  আজ হচ্ছে অবহেলিত  শিক্ষার

কবিতা || কালো পুরুষের স্তনে মাংসাশী সংখ্যা ঝুলে আছে || নিমাই জানা

  কালো পুরুষের স্তনে মাংসাশী সংখ্যা ঝুলে আছে পাগলা গারদ এর ভেতরে থাকা উলম্ব মানুষগুলোর ভেতরে জেগে থাকা স্বাভাবিক সংখ্যার কোনও দেশ থাকে না কৃমি কীটেরা ইলেকট্রন আর হাওয়ার ভাত পোড়া খেতে খেতে হারিয়ে যাবে প্রাচীন দাহক্ষেত্রের কাছে আজ জমাট শীতকালে দীর্ঘ রাতের প্রয়োজন বৃহত্তম সংখ্যার মতো, এসো হে মহেশ্বর তরল পানীয় নিয়ে একটি সরাইখানার নীল আলোতে নিচু হয়ে কুড়িয়েনি তরল কিছু কাঁচের টুকরো আর চানা মশলার ভিস্কোসিটি ভ্যাজাইন আমি একাই তিনজনের পাঞ্জাবি পরে আছি , তিনজন আর কেউ নয় আমি, ব্রহ্মা আর আমার বাবার বাবা আমাদের তিনজনের জিওল ঠোঁট আছে সুনীতির মতো সব আবৃত ভগ্নাংশ গুলোই ঠিক বারোটার পর জেগে ওঠে সূক্ষ্মকোণী থাকা গোলাপের পাপড়ির দেহে , পচন সংক্রান্তঃ সাপ থেকে বের করি জরায়ুজ এসপেরা ফার্ণ আর স্তনবৃন্তের কৃষ্ণাঙ্গ ,  গভীর ক্ষেত্রফলগুলো বিটুমিনাস রঙের গলায় তুলসী কাঠের মালা নিয়ে দাঁড়িয়েছে আম গাছের তলায় এখানে সকল ব্রাহ্মণের মতো রাত্রিকেই পুজো করে উবু হয়ে বসে আমি ফার্নের তলপেট ভালোবাসি জিঘাংসা তরোয়ালে ইবন বতুতা কতবার সিরোসিস অফ লিভার ভুগেছে অথচ কোনদিন মদ্যপ কামিনী ফুল আমাকে চাঁপাতলায় নিয়ে যায়

কবিতা || এই মানুষ সেই মানুষ || মহীতোষ গায়েন

  এই মানুষ সেই মানুষ সেই মানুষ এই মানুষ মৃত্যু হলেই শেষ... সেই মানুষ এই মানুষে তবু হিংসা বিদ্বেষ, এই মানুষ সেই মানুষ আগে ছিল ভালো সেই মানুষ এই মানুষ বিনা স্বার্থে কালো। সেই মানুষ পাল্টে গিয়ে এই মানুষ হয়... এই মানুষের হিংসা ঈর্ষা চিতাতে অক্ষয়, তবুও মানুষ শান্তি পায় ঝগড়া বিবাদে... ভালোবাসা খুন হয় অহংকারে জেদে। তবুও মানুষ প্রেমে পড়ে আশা নিয়েই বাঁচে ছাপোষাদের স্বপ্ন পোড়ে বিত্তশালীর আঁচে, এই মানুষ সেই মানুষ লোভ লালসায় মরে মহামানব পূজিত হন সারা বিশ্ব ঘরে ঘরে।

কবিতা || বীরশ্বর বিবেকানন্দ || মঞ্জুলা বর

  বীরশ্বর বিবেকানন্দ হে বীর মহান যোগী আজও সবাই স্মরণ করে  সদাই মোরা তোমার বাণী রাখি হৃদয় ঘরে, গর্জে ওঠে সকল যুবক তোমার বাণী শুনে আসবে কবে মানব চেতন সবাই প্রহর গুনে। ভারতবর্ষে সকল গ্লানি দূর করিতে গেলে দেশে দেশে ভাষণ দিলে জ্ঞানের আলো জ্বেলে, সবার মনে বিবেক জাগাও হাজার কষ্ট সয়ে ভালোবাসা অর্ঘ্য পেলে সবার পাশে রয়ে। জ্ঞানের দিশা শুধু ঢেলে বিশ্ব মানব হলে  ধরাধামে সবাই আজও তোমার কথা বলে, স্বার্থত‍্যাগী মহান যোগী বিশ্বমানবই তুমি  তোমার জন‍্য ধন‍্য হলো আমার ভারত ভূমি। সবার তরে জ্বেলেছিলেন হাজার জ্ঞানের আলো   মুগ্ধ চিত্তে চেয়ে ছিলেন সদাই সবার ভালো,  কঠোর শ্রমে মানব সেবা সদাই করেছিলেন   যুবক দলের মনের ঘরে সাহস ভরে দিলেন। তোমার বাণী সদাই শুনে সকল মানব জাগে অমর হয়ে সদা রবে হৃদে দোলা লাগে ,   সকল যুবা জাগলে পরে আসবে শান্তি ফিরে হাসি ফুটবে মধুর ভবে সবুজ আঁচল ঘিরে।

কবিতা || আলাদা পৃথিবী || দিলীপ কুমার মধু

  আলাদা পৃথিবী পৃথিবীর সব লোক যখন এক হয়ে ক্যারাম খেলে-- আমি তখন ফ্যান চালিয়ে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমোই । দেশের লোক যখন বাঁধ ভেঙে জলের তলে বসে স্বপ্ন দেখতে চায় আমি তখন গোটা একটা বই লিখে রাতারাতি সাহিত্যিক হয়ে যাই । ঘরের লোক যখন ভালোবাসার বন্ধনে আগলে রাখে আমাকে আমি তখন শুকতারা টির দিকে তাকিয়ে সস্তা দামের একটা টর্চ কিনি ।

কবিতা || নারী ও রজঃস্বলা || চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী

  নারী ও রজঃস্বলা প্রিয়জনের হাতে প্রহৃত স্নেহা ক্ষতদাগকে জেনেছে নিয়তির বিধান বলে,নিয়ম ভাঙতে পারেনি আধুনিকা। যে হাত জ্বালায় উনোন শাকে দেয় রসুন ফোড়ন অশোউচ হলে পায় না ছুঁতে ঈশ্বরের বেদীমূল। আমি মেলাতে অঙ্ক ভাঙতে বিস্ময় ঘোর গিন্নিকে বলি,এঁকে দাও একে দাও আলপনা, দেখি,তেমনি রয়েছে সতেজ সবুজ তুলসী পাতা। আসলে,গুটির ভেতর পিউপার দশা সেতো রঙিন প্রজাপতির পূর্বাভাস, নারী রজঃস্বলা না হলে হ্যাঁ,পিতৃত্ব কোন আশায় বাঁধতে ঘর? প্রিয় যাপন সুতোয়।

কবিতা || মহৎ || পাভেল রহমান

  মহৎ খ্যাতির জন্যে সবাই যেখানে কুপথে করিল গমন সেখানে তুমি হে মহৎ, সুপথ করিলে চয়ন। মহৎ, তুমি সর্বক্ষণ হয়ত শুধুই পাচ্ছ কাঁদন তবু যেই- ই নেয় তোমার শরণ সেইই পায় শম, ইহা কি কম!ইহাই তোমার পুরস্কার! ধরা হতে নভে তবে তবে তবে তোমারই জয়- জয়কার!

কবিতা || অশরীরি প্রেম || নমিতা বসু

  অশরীরি প্রেম  ঝোড়ো হাওয়া  হয়তো বিকেল, কি এসে যায়  রাস্তা আছেই । ঝাপটা বৃষ্টি  গুমোট ভীষণ , থমকে শব্দ, আলো তো কাছেই । পাতারা উড়ছে  ধুলোর ঘুরছে , গাছ কি পড়বে? মজাটা জমবে । একটা তো রাত  বারোটা ঘন্টা, নিশ্চিহ্ন শকুন  ভাবি সূর্য টা ।

কবিতা || আলোকে || আশীষ কুন্ডু

  আলোকে কেন জানি মনে হচ্ছে আলোকপথে  আমার মুক্তি লেখা আছে অধরা তবে তাই হোক, আলোক বিন্দুবৎ একটু তাপের সঞ্চার হোক না মনে! দীপ্যমান এ সময় লক্ষিত হোক আলো সেকেন্ডে চলে যাবে দূর কিছু অন্ধকার রাত বিভাজিত সন্দেহ পড়ে থাক মগজের কোষে ! অনুরণিত হোক হৃদয়ের অজস্র স্বপ্ন ক্ষেতে যে জীবন সৃষ্টির মহালগ্নে  সম্ভাবনার মঞ্জিল ছিল বীজসুপ্ত তবে তাই হোক, আলোকপথে বিন্দু।

কবিতা || আমি সুভাষ বলছি || সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

  আমি সুভাষ বলছি             হ্যাঁ হ্যাঁ আমি গো আমি  তোমাদের ঘরের ছেলে- সুভাষ শত বিপদেও আমি মাথা নোয়াইনি ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়েছি  মায়ের শিকল ভাঙার ছলে  সে দীর্ঘ ইতিহাস তোমরা যারা স্বাধীনতা পেয়ে খুশি আছো     বলো সত্যি করে--  সত্যিই কি স্বাধীনতা পেয়েছো!  এই স্বাধীনতা কি আমি চেয়েছিলাম এর জন্যই কি আমি ছদ্মবেশে পলায়িত ছিলাম!  আজকের স্বাধীনতা পেয়ে তোমরা দেখছো-- শত শত   চোর গুন্ডা মাফিয়া আর বেইমানি করা লুন্ঠনকারী  বড় বড় নেতাদের যাদের ছবি বড় বড় আইনসভায়, রাস্তার মোড়ে, অফিসে আদালতে।  না না ওদের বিশ্বাস কোরোনা ওরা মুখোশ পরে আছে- ওরা বিশ্বাস ঘাতক  বড় বড় অভিনেতা --- শুধু বড় বড় ভাষনের বন্যা  ওদের ছবি রয়েছে ড্রইং রুমে, রেস্টুরেন্টে নয়তো কোনও মন্দিরের চূড়ায়-: ওরা চায়না শিক্ষা, চায়না প্রকৃত মানুষের অন্তর ওরা ধর্ষক, খুনি, আবার ন্যাকা বিচারক বিচারের বানী ওদের ভয়ে নিভৃতে কাঁদে।       কৈ   আমার ছবি তো চাইনি।           বড় বড়, সভায় তোমরা যাকে সভাপতি পদে বসিয়েছো--  দ্যাখো তার কর্মের ইতিবৃত্ত----- এই স্বাধীনতাই কি আমি চেয়েছিলাম!  এর জন্যই কি আমি রক্ত চেয়ে বলেছিল

কবিতা || নিক্তি || রানা জামান

  নিক্তি   কোনো কোনো বসন্তে অভিজ্ঞ গাছে মুকুল ফোটে না; তাতে রঙধনুর রঙের ভিন্নতা না হলেও মহাজন ক্যালকুলেটর নিয়ে বসে; নিক্তির দিকে থাকে চেয়ে জুয়ারি বিচারপতি; বহু বিবর্তনও ঘটে সরকারি টাকশালে; গোপন গোলায় জমা হতে থাকে দরকারি নিত্য দ্রব্য বাজারের আগুনে পুড়তে থাকে সৎ জেব; চাপে বাঁধটা ভাঙলে নর্দমা ঢুকে হাড়িপাতিলে; ময়লা টাকায় মুঠো ভরলেও নিক্তির কাঁটা বাম দিকে থাকে হেলে।

কবিতা || কূটকাচালী || আবদুস সালাম

  কূটকাচালী চারিদিকে পড়ে আছে অন্ধকারের কথকথা বিষকন্যারা চুমু খায় সভ্যতার মুখে অবাঞ্ছিত দুপুরে ওড়ে ক্লান্ত মৌমাছি রুদ্ধ পৃথিবীর উঠোনে জিরিয়ে নিচ্ছে কাঙ্গালী শুভেচ্ছা কামনাস্রোতে ভেসে যায় অলীক সতীত্ব নিভে যায় ঈশ্বরময় আয়োজনের প্রদীপ সভ্য পাখির ডানা ভাঙে বিপ্লবের মাঠে   সময়ের বারান্দায় জেগে ওঠে মৃত ঘাসের পাঠশালা দিক্ষিত হয় সময়ের পড়ুয়া    জাগরণের মাঠে শয্যা পেতে বসে আছে কুয়াশার ভোর ভালোবাসারা ডুকরে ডুকরে কাঁদে আর কেতন ওড়ে সতী বিজয়ের

কবিতা || শূন্যপথে || সুব্রত মিত্র

  শূন্যপথে                                  পথ চলি একা একা কোথাও দেখি সুন্দর আলোকিত উজ্জ্বল মরীচিকা;           মাঝে মাঝে দেখি খানাখন্দ; দুর্গম প্রস্তর            মাঝে মাঝে দেখি তৈলাক্ত মসৃণ সড়ক         মাঝে মাঝে দেখি অপমানের সুন্দর মোড়ক।                  আমি বিনোদন বিমুখ অসুখ                    আমি যেন সত্যের দর্শক      এখন এই নতুন পৃথিবীর গায়ে নতুন আকাশ          আঁকার স্বপ্ন দেখা বারণ,     নিদারুণ প্রকাশের বাতাসে দেখি উলঙ্গ মহারণ।  এখন আমার বিদ্রুপ আঁকা ছবি নক্ষত্রের প্রত্যায়িত বলয় দেখে।  মহা সঞ্চারের অষ্টধাতুতে মোড়া নবজাগরণের আছি অপেক্ষায়, পৃথিবীর শেষ প্রান্তে পড়ে থাকা মরীচিকার সাথে দেখা করার আছি অপেক্ষায়।  মেঘ-গ্রহের অর্থনীতি;চাঁড়াল মেঘের দুর্নীতি; দেয়নি এনে সভ্য মনোবৃত্তি উদীয়মান পথিকের বেশ ধরে স্বতন্ত্র মরীচিকা দাঁড়ায়ে,          রাক্ষসে দাবানল রয়েছে হাত বাড়ায়ে।  ছুটে ছুটে যাবে তারা; পাবেনা যে.... কোনো কিছু আমিত্বের বহু বাদে বসে আছে তারা সব; করে মাথা উঁচু।

কবিতা || দুঃখ শব্দ || জয়িতা চট্টোপাধ্যায়

  দুঃখ শব্দ জানি তুমি ভালোবাসছ না আমি দূরে থেকেও সবটা বুঝতে পারি পুঁতে যাচ্ছে মাটিতে পা বোবা ছেঁকে ধরছে প্রবল সারি সারি ছুটে যাচ্ছি হুরমুরিয়ে ছুটে যাচ্ছি উপায়হীন ভাবে শূন্যতার ভাষা শরীর চায় আদীম স্বভাবে যখন তুমি ফাঁকা পথে পিপাসার মরে যাবে কি আঁকড়ে ধরবে? শব্দের অনুমান মুছে দেবে একবারে বারান্দা দাঁড়িয়ে থাকবে সামনে ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলে, নিঃস্ব কে আরও নিঃস্ব করবে পাগল করবে কাছে এলে, হয়তো তুমিও একদিন হাঁটু গেড়ে বসবে দুঃখ শব্দের কাছে, আমি তো জানি প্রতিটি প্রেমের অসামান্য অপরাধবোধ আছে।

কবিতা || ফিরতে পারি || সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক

  ফিরতে পারি গা-ছাড়া ভাব আগাছা ঘিরে সারাদিনের জবর খবর চোর পালালে তাই বুদ্ধি বাড়ে মগজ-ভর্তি তখন হা-ঘর। ছেঁড়া ছেঁড়া চেতনায় শুদ্ধতাকে হারিয়ে ফেলে আবালবৃদ্ধজন ভোগের বাসায় বাঘের ত্রাসে বোধ ছিল না কখনো আপন। শত্রুরা সব সমবেতভাবে কোমর কষে চালায় হানা ছন্নছাড়ার কান্না ব্যাতিত আর কিছু নেই একটানা। কোণঠাসা হয়ে ঠাসা ঘরে এবার বুঝি জাগছে শোক ফিরতে পারি এক মোচড়ে মুচড়ে দিয়ে দৈন্যালোক।

কবিতা || শীতের কালে হটাৎ বৃষ্টি এসে || চাতক পাখি

  শীতের কালে হটাৎ বৃষ্টি এসে...   আজ যে দেখি হটাৎ করে এক পশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিলো আমায়  জলের ফোঁটায়  সারা গায়। আমি ভাবলুম যা! শীতের দিনে বৃষ্টি ফোঁটা এ যে অকাল বোধন, এক্ষুনি না আবার  ঠান্ডা লেগে যায় । এতো দেখি  যখন তখন  বর্ষা এসে যায়, এযে পিছন ছাড়ার নয়  এটুলির মতো চিপকে থাকে তাই তো লাগে ভয়। এই যে দু দিন রোদ উঠলো ভাবলুম আমি  যাক বাবা বর্ষা বুঝি গেলো, পড়বে এবার শীতের রেশ কিন্ত এযে বর্ষা ঘুরে এলো, হলো আবার শীতের পরাজয়। ডালিয়া টা বেশ  শীতের পরশ পেয়ে  মেলে ছিলো পাপড়ি  মনের সুখে  ছিলো তরতাজা। এখন যে দেখি সেও মুখ থুবড়ে  রয়েছে পড়ে,  যেন বর্ষা এখন  শীতের কাঁধের বোঝা। যতই নাড়ে হয় যে ভারী জোরালো হয় মেঘ, যখন তখন খেয়াল মতন সে যে বাড়ায় গতি বেগ। কখনো বা দেখি ঝির ঝির কখন বা হয় জোরালো , আর মনের মাঝে ঝড় তুলে যায় দিয়ে দেখা আকাশেতে  হয়ে কালো মেঘ।

কবিতা || কাল || অরবিন্দ সরকার

  কাল         জ্যোতিষীর বুজরুকি কালসর্পদোষ, কালের বিপদ দশা যাগযজ্ঞ ক'রে, কালচে পাথর ধাতু পাঁকাল আপোষ, কালের ছোবলে মৃত্যু ধাকাল বিচারে। আজ ব্যবসা নগদে কাল দেবে ধার, ধারের পায়ে প্রণাম বুদ্ধি ব্যবসায়ী, শেয়ালের যুক্তি ঘর কাল হবে সার, কালের গহ্বরে কালো টাকা শয্যাশায়ী। অকাল বোধনে দুগ্গা রামের কাঁকালে, সকাল বিকাল রাত্রি বাঙালি গাজন, পটকা বাজীর শব্দে মরণ নাকালে, তৎকালে কালকে মেলে পাড়ি জ্ঞানীজন। খাদ্যের আকালে কালী জিভ্ রক্তখাকী, লক্ষ্মীর বাহন হবে-কালপেঁচা নাকি?

কবিতা || সাপ || তৈমুর খান

  সাপ    ভিতরে ভিতরে সবাই সাপ পোষে সুযোগ পেলে নাচায় বাইরে শুধু সাপুড়েকেই দ্যাখে আমারও অনেক সাপ আছে মাঝে মাঝে তারাও গর্জন করে সাবধানে থাকি  কত যে রঙিন ওরা দ্বি-ফলা জিভ বের করে মনের ভিতরে অনেক গর্ত গর্তে গর্তে ওরা বাস করে বাইরে শুধু ঢেউখেলা চুল টেরি কাটা, রঙিন পোশাক সুগন্ধ ছড়ায়, হাসে কোনও কোনও দিন আত্মদংশনের ক্ষত সারাই করি নিজে  কোনও কোনও দিন ঝলসে যাই আত্মদংশনের বিষে।

২৫ তম সংখ্যার সম্পাদকীয়

Image
  সম্পাদকীয়: ফেলে আসা পড়ন্ত বিকেলে যে সমস্ত মায়া লেগে থাকে তা কেবল চোখের দেখা দৃশ্য পট নয়, তাতে আছে সাহিত্য চর্চার উপযুক্ত উপাদান। খাতায় আঁচড় কেটে তেমন ফুটে উঠবে তৈলচিত্র ঠিক তেমনি দুচারটি শব্দ জুড়ে দিলেই হয়ে উঠবে বিশ্ব উদ্ভাসিত কবিতা। তাই দেরি না আপনার কবিত্ব বোধ কে জাগিয়ে তুলুন। পড়তে শিখুন বেশি বেশি। লিখুন তার সাথে সাথেই। আমার আপনার সকলের প্রিয় পত্রিকা world sahitya adda blog magazine আছে আপনার পাশে। এটা শুধু পত্রিকা নয় বিশ্ব দরবারে নিজের রচনা কে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন এর জন্য উপযুক্ত পথিকৃৎ। তাই লিখুন। পড়ুন। আমাদের ওয়েবসাইট ম্যাগাজিন।                         ধন্যবাদান্তে  ‌ world sahitya adda সম্পাদকীয় _______________________________________________ বিজ্ঞাপন: ১) ___________________________________________________ ২) _______________________________________________ ৩) ______________________________________________ ৪) বিজ্ঞাপন এর সব দায়িত্ব বিজ্ঞাপন দাতার

২৫ তম সংখ্যার সূচিপত্র (৩৫ জন)

Image
  সম্পূর্ণ সূচিপত্র: বাংলা কবিতা ও ছড়া--- তৈমুর খান, মহীতোষ গায়েন, অরবিন্দ সরকার, চাতক পাখি, সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, জয়িতা চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মিত্র, আবদুস সালাম, রানা জামান,  সত্যেন্দ্রনাথ পাইন,  আশীষ কুন্ডু, নমিতা বসু, পাভেল রহমান, চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী, দিলীপ কুমার মধু, মঞ্জুলা বর, মহীতোষ গায়েন,  নিমাই জানা,  অভিজিৎ দত্ত , নবকুমার। বাংলা গল্প--- সিদ্ধার্থ সিংহ, রঞ্জিত মল্লিক, ড: রমলা মুখার্জী নিবন্ধ ----- শিবাশিস মুখোপাধ্যায়, বরুণ রায়। বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা--- সুজিত চট্টোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, সামসুজ জামান। Poem---  Kunal Roy, Pavel Rahman. Photography--- Amit pal, Nilanjan de, Moushumi chandra, Sohini Shabnam, Dr Atef kheir. ______________________________ ___ সম্পূর্ণ রেসিপি টি পড়তে নীচের লিংকে ক্লিক করুন--- https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/01/how-to-cook-muri-palong-ghonto-recipe.html

কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সচিবালয়ে ডেপুটি ফিল্ড অফিসার নিয়োগ || Central Government cabinet deputy field officer recruitment 2022 || Government Jobs news

Image
  কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সচিবালয়ে ডেপুটি ফিল্ড অফিসার নিয়োগ:--- কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট সচিবালয় গ্রুপ বি ক্যাটাগরিতে ৩৮ জন ডেপুটি ফিল্ড অফিসার নিয়োগ করা হবে। নিয়োগ করা হবে বার্মিজ, দারি, কাচিন ,রাশিয়ান, সিংহলা , ধীভেহী, বালোচি , ভাসা প্রভৃতি ভাষার জন্য। প্রার্থী বাছাই করা হবে লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। বয়স হতে হবে ০৪/০৩/২২২২  তারিখে 21 থেকে 30 বছরের মধ্যে। মাসিক বেতন:--44 হাজার 900 টাকা। প্রার্থীকে স্নাতক, স্নাতকে  অন্যতম বিষয় হিসাবে উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি ভাষায় শিক্ষা লাভ করে থাকতে হবে। অথবা যে কোন বিষয়ে স্নাতক সঙ্গে উপরে উল্লিখিত যেকোনো একটি ভাষায় দুই বছরের ডিপ্লোমা বা নেটিভ লেভেল প্রফিশিয়েন্সি থাকতে হবে। একটি নির্দিষ্ট বয়ানে দরখাস্ত করতে হবে। দরখাস্তের বয়ান A4 মাপের কাগজের টাইপ করে জমা করতে হবে। ইংরেজির বড় হরফে লিখে দরখাস্ত পূরণ করতে হবে। পূরণ করা দরখাস্তের সাথে প্রার্থীর এক কপি সেল্ফ অ্যাটেস্টেড ফটো, বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথিপত্রের সেল্ফ অ্যাটেস্টেড জেরক্স কপি, কাস্ট এবং ওবিসি সার্টিফিকেটের সেল্ফ অ্যাটেস্ট