Posts

Showing posts from February, 2023

ফেব্রুয়ারি সংখ্যা ২০২৩ || February Sonkha 2023

Image
  যে মাতৃভাষার জন্য একসময় আন্দোলন গড়ে তুলতে পিছ পা হন নি, নিজের মাতৃভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যারা নিজেদের জীবন বলিদান দিতেও পিছপা হয় নি, এই মাতৃভাষার জন্য আজ আমরা নিজের অস্তিত্বকে জানতে পারি, তাই তাদের বলিদান আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলা ভাষা আমার মা, আমার মাতৃভাষাতে আমার অস্তিত্ব নিহিত। তাই আপনাদের পাশে পেতে চাই, আন্দোলিত হোক ছন্দে ছন্দে আপনার লেখনী শক্তির আদলে।      আমাদের ওয়েবসাইট ম্যাগাজিন (ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা) তার ই একটি রূপক । লিখুন, লেখাকে ভালোবাসুন। পাঠক এর চরম সীমায় পৌছে যান।                                           ধন্যবাদান্তে               World Sahitya Adda সম্পাদকীয় বিভাগ ___________________________________________ ___________________________________________ বি দ্র - সকল লেখকবৃন্দদের জানানো হচ্ছে আপনারা আপনার লেখার লিংক গুলো পাবেন পরপর। যারা  মোবাইল ফোন থেকে সাইট খুলছেন তারা এই পেজে নীচের দিকে View Web version নামে একটি অপশন আছে সেটি ক্লিক করুন তাহলে ডানদিকে সম্পূর্ণ লেখাগুলোর লিংক পেয়ে যাবেন। আর যারা কম্পিউটার ব্যবহার করছেন তারা সরাসরি ডানদিকে

বিদ্রোহী কবি নজরুল - সামসুজ জামান || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article Writing

           বিদ্রোহী কবি নজরুল                   সামসুজ জামান ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা একবার একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জানতে যাওয়া হয়েছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? ৩০ দিনের উপর চালানো পরিসংখ্যানে দেখা যায় শ্রোতাদের মনোনীত শ্রেষ্ঠ কুড়িজন বাঙালির তালিকায় তৃতীয় স্থানে এসেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। মানবতার কবি এবং অসাম্প্রদায়িক কবি হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। নজরুল ইসলামের জন্ম পশ্চিমবাংলার সংযুক্ত বর্ধমান জেলার আসানসোলের কাছে চুরুলিয়া গ্রামে। বাংলা হিসেবে ১৩০৬ সালের ১১ই জ্যৈষ্ঠ , মঙ্গলবার আর ইংরেজি ২৪ শে মে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ এবং মায়ের নাম জাহিদা খাতুন। বাবা ফকির আহমদ স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম এবং একটি মাজারের খাদেম ছিলেন। খুবই দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই নজরুলের প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ হয়েছিল মাদ্রাসায়। কষ্টের হাত ধরে জন্ম বলে তাঁর ডাক নাম ছিল দুখু মিয়াঁ। আর খুব ছোটবেলায় বাবার মৃত্যু হয় বলে ছোটবেলা থেকেই অর্থের রোজগারের ব্যবস্থা তাকে করতে হয়েছে। তাই বেশি পড়াশোনা সম্ভব হয়নি। জীবিকার কারণে চায়ের দোকানে রুটির কারখানায় বা কারো বাড়ির খানসামা

মিথ্যে কথার শিল্পী - সৌরভ মুখার্জী || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article Writing

  মিথ্যে কথার শিল্পী   সৌরভ মুখার্জী    আইফেল টাওয়ার কিনবেন? সস্তায় বিক্রি আছে! বিশ্বাস হল না তো? না হওয়ারই কথা, কারণ আমি ভিক্টর লাস্টিগ নই। ভিক্টর লাস্টিগ এই কথাটাকেই এমনভাবে বলতেন যে আপনারা বিশ্বাস করতে বাধ্য হতেন। তিনি ছিলেন মিথ্যে কথার শিল্পী, যিনি জালিয়াতিকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।   আর হ্যাঁ, লোকজনকে টুপি পরিয়ে সত্যি সত্যিই তিনি ফ্রান্সের জাতীয় সম্পদ আইফেল টাওয়ারকে বেচে দিয়েছিলেন। তাও, একবার নয়, দু-দু'বার।   ভিক্টর লাস্টিগের (Victor Lustig) জন্ম হাঙ্গেরিতে। জীবনকাহিনী বিশদে বলছি না। তবে পড়াশোনায় তিনি ছিলেন তুখোড় আর স্কুলে অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছাত্র হিসেবে নাম করেছিলেন। পড়াশোনা প্যারিসে। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় ভাষায় চৌকস। সঙ্গে বেশভূষা আদবকায়দা সবেতেই চোখে পড়ার মত স্মার্ট। এগুলো সবই তাঁর জালিয়াতি শিল্পের অঙ্গ। উনিশ বছর বয়স থেকে জুয়া খেলায় জোচ্চুরি করে হাত পাকান। তারপর ফ্রান্স থেকে নিউ-ইয়র্ক যাওয়ার (ট্রান্স-আটলান্টিক লাইনার্স) জাহাজকে তাঁর শিল্পের প্রথম ক্যানভাস বানিয়ে নেন।   ফ্রান্স থেকে আটলান্টিক পেরিয়ে এই জাহাজে যাতায়াত করত মূলতঃ উচ্চবিত্ত ফরাসি ও আমেরিকানরা। লাস্টিগ তাদের ট

কোরিয়ান কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপরেখা - শংকর ব্রহ্ম || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article Writing

 কো রিয়ান কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপরেখা শংকর ব্রহ্ম               কোরিয়াকে 'সন্ন্যাসীর দেশ' বলা হয়ে থাকলেও, বর্তমানে কোরিয়ো কবিদের ভাষায় তাকে 'কবিতার দেশ' বলা হয়ে থাকে।            প্রথমদিকে ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তিতে কোরিয়ো কবিদের বিকাশ ঘটলেও, প্রথম বা দ্বিতীয় এবং একাদশ চান্দ্রমাসে লন্ঠন ও ফসল কাটার উৎসবকে কেন্দ্র করে কবিতা বিস্তার লাভ করেছে। কোরিয়ান ভাষার প্রাচীনতম কাব্যগ্রন্থটি কিউন ইয়ো (균여, 均 如) রচিত "দশটি ব্রত সমান্তভরের গান", এটি কবির মৃত্যুর এক শতাব্দী পরেও ১০৭৫ অবধি ছিল। কোরিয়ার প্রিয় কাব্য রীতি 'সিজো' প্রায়শই একাদশ শতাব্দীর সিওনবি বিদ্বানদের কাছে পাওয়া যায়, তবে এর শিকড়গুলিও এখনও পূর্বের রূপগুলির মতোই রয়েছে। 'সিজো' ঘরানার আদিতম রূপে বেঁচে থাকা কবিতাটি চতুর্থ শতাব্দীর।          'হায়াঙ্গা' কবিতা বলতে বোঝায় বহিরাগত কোরিয়ান কবিতা যা 'হানজা' ব্যবহার করে কোরিয়ান শব্দগুলি প্রতিলিপি করে (ইডু পদ্ধতির অনুরূপ, প্রতিলিপির হায়ঙ্গা স্টাইলকে বলা হয় (hyangch'al) এবং ইউনিফাইড সিলার সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য। এটি কবিতার প্রথম স্বতন্ত্

Photography - Sikha Sengupta

Image
  ছবি পরিচিতি  1,2 নং বর্ধমান নবাবহাটের 108টি শিবমন্দির 3, 4,5 নং দরিয়াপুর ডোকরা গ্রামে ডোকরা শিল্প 5 নং গুসকরার কাছেই ওরগ্রাম ফরেষ্ট 6 নং দরিয়াপুর ডোকরা গ্রামে আমাদের মহিলাদের টিম। (যদিও এটি মেয়েদের একদিনের বেড়ানোর কাহিনী, এর মধ্যে আমরা গিয়েছিলাম হস্তশিল্পের ডোকরা গ্রাম দরিয়াপুরে।)      মহিলাদের একদিনের শীতকালীন ভ্রমণে ডোকরার হস্তশিল্প গ্রাম দরিয়াপুরে যাওয়া।                       __________  অনেক দিনের পরিকল্পনা শেষে আমাদের 50 জনের মহিলাদের গ্রুপ, গত 19শে ডিসেম্বর 2021 একদিনের জন্যে সংসারের দায়দায়িত্ব থেকে ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম দু'টো ট্রাভেলার গাড়িতে গ্রামের মুক্ত বাতাস নিতে। আমরা যাব বর্ধমানের নবাবহাটের 108 শিবমন্দির, দরিয়াপুরের ডোকরা শিল্পগ্রাম ও গুসকরার কাছে ওড়গ্রাম ফরেষ্ট। গড়িয়া, এসপ্লানেড শ্যামবাজার হয়ে গাড়িদুটি চিড়িয়া মোড় এলে আমরা ক'জন চটপট উঠে পড়লাম, এরপর দক্ষিনেশ্বর বালিঘাট থেকে মেয়েরা উঠে 50 জন পুর্ন হতেই গাড়ি হাইওয়ে দিয়ে হু হু করে ছুটতে লাগল। শীতে জানালার কাঁচ নামিয়ে দিয়ে আরামদায়ক গাড়িতে চলল মেয়েদের হাসি গল্প গান। সবার টিফিন ভাগ করে খাওয়া হল।ঘন্টা দুয়েকের মধ্য

একসাথে,এক পথে - তাপস বাবু || গল্প - Story || ছোটগল্প - Short story

একসাথে,এক পথে    তাপস বাবু  ঐ যে আর দুজন চলেছে মরুভূমির মাঝ দিয়ে। গন্তব্য হিঙলাজ মাতার মন্দির।একে একে সবাই মরে গেছে এ পথে। কিন্তু ওরা থেমে থাকে নি।ওরা চলেছে একেঅপরের শক্তিকে বড় নিয়ে,একে অপরের ভালোবাসাকে বহন করে,একে অপরের প্রতি টানকে নিয়ে।একে অপরের প্রতি বৈবাহিক সম্পর্ক কে আগলে।আসলে ওরা দম্পতি।গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। একটু জল। কিন্তু জোটে নি।এই বিশাল মরুভূমিতে জলের সন্ধান যে মেলেনি। ওরা আর পাচ্ছে না।ঐ যে পড়ে গেল লোকটা।"জল রেবা জল"অস্ফুট স্বরে কাতর আবেদন লোকটার।রেবারো শরীরের শক্তি শেষ।তার মৃত্যুও আসন্ন ও অবধারিত।তার বুকোও ফেটে যাচ্ছে এক বিন্দু জলের আশায়। তবুও সে সেই অবস্থায় স্বামীর মাথাটা কোলে তুলে নিয়ে তার মুখের উপর ঝুঁকে কান্নায় ভেঙে পড়ল।আর ঐ যে ওর কান্নার দুফোঁটা জল স্বামীর মুখে পড়েছে।শেষ মুহূর্তে কিছুক্ষণের জন্য স্বামীকে নিজের কাছে আগলে রাখা পৃথিবী ছেড়ে যাবার আগেতার দেওয়া দুফোঁটা জলের বিনিময়ে। স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কষ্টে পাশে দাঁড়ানো জীবনের অর্ধাঙ্গিনী রূপে ।ওই যে রেবা ঝুঁকে পড়লো স্বামীর মুখে।সে মারা গেল।আর ঐ যে রেবার স্বামী সেই দুফোঁটা কান্নার জলে রেবার

কালো - শুভদীপ দাস || গল্প - Story || ছোটগল্প - Short story

 কালো শুভদীপ দাস কিছুদিন আগে বিয়ের জন্য রিনা কে দেখতে এসেছিল ছেলেপক্ষ। এর আগে অনেক বারেই সম্বন্ধ এসেছিল তবে কোনো বারেই সেটা বিয়ে অবধি যেতে পারে নি!   দুদিন পর ছেলের মা ফোন করে জানায় এখন তারা তাদের ছেলের বিয়ে দিতে চাইছে না।  প্রতিবারের মতো এবারেও সমন্ধ ভেঙ্গে গেল।  আসলে রিনার গায়ের রং ঘনকালো আর কালো মেয়েদের জায়গা তো লেখকের লেখনীতেই, বাস্তব জগতে তারা সবদিন কোণাতেই পড়ে থাকে ।।                           

বাড়ি বদল - সুমিত মুখার্জী || গল্প - Story || ছোটগল্প - Short story

 বাড়ি বদল           সুমিত মুখার্জী আজ শিশিরের মন খুব খারাপ। শিশির রা আজ তাদের পুরনো বাড়িটা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। মাস খানেক আগে রাতে খাবার টেবিলে বাবা যখন বললেন, আগামী মাসে আমরা নতুন বাড়িতে উঠছি এবং এই বাড়িটা ছেড়ে চলে যাচ্ছি, শিশির তখন নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারেনি । কেউ যে এক বাড়ি বদলে অন্য বাড়ি যেতে পারে সেটা শিশির কখনোই কল্পনা ও করতে পারে না । শিশির ভেবে নিয়েছিল সে কোন দুঃস্বপ্ন দেখছে। তাই নিশ্চিত হবার সে নিজের গায়ে একটা চিমটি কাটলো । একটু ব্যাথার মতো লাগলো তাই শিশির বুঝলো যে তারা সত্যি সত্যিই চলে যাচ্ছে। বাবা অন্য জায়গায় বদলী হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ করেই তাদেরকে অন্য জায়গায় চলে যেতে হচ্ছে। এই বাড়ি টার জন্য শিশির মনে মনে অনেক কষ্ট পেতে লাগলো । হয়তো ছোটবেলা থেকেই শিশির এই বাড়িতেই বড় হয়েছে তাই তার খারাপ লাগাটাও বেশী। এখানকার পথ ঘাট, নদী নালা, এমনকি সব গাছ পালার নামও শিশির জানে। যেসব গাছপালার নাম শিশির জানেনা, সেসব গাছ পালার নতুন নাম শিশির নিজেই রেখেছে আজ বাড়ির কাঁঠাল গাছটাকে ধরে খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে শিশিরের! গত পাঁচ বছরে সে গাছ টিকে নিজের সন্তানের মতোই আদর যত্নে বড় করেছে সে।

দরিদ্র্যতা - সৌমেন দেবনাথ || গল্প - Story || ছোটগল্প - Short story

 দরিদ্র্যতা সৌমেন দেবনাথ  পল্লবের হাতের লেখা খুবই সুন্দর। লিখলে মনে হয় না হাতের লেখা, মনে হয় যেন কম্পিউটারে টাইপ করা। তবে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই বলে বানান ভুল করে ফেলে। একারণে খসড়া করে নেয় আগে, দেখে দেখে লেখে। নির্ভুল লেখা আর চমৎকার লেখার কারণে প্রত্যেক দোকানদার তার হাত দিয়েই দোকানের নাম ঠিকানা লিখে নিয়েছেন। হাতে তার রংতুলি নাচে, আর শব্দের পর শব্দ বসে। লেখার নিচে ছোট্ট করে লিখে দেয়-পল্লব আর্ট। কম্পিউটারেও দক্ষ পল্লব। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা যাদের কম থাকে, তারা আবার হাতের কাজে চৌকস হয়। কম্পিউটারের স্ক্রিনে তাকিয়ে গান-বাজনা দেখা তার কাজ না। সে কম্পিউটারের সামনে বসে বসে কাজ শিখেছে। তার কম্পিউটার চালানো দেখলে কেউ বলবে না তার সার্টিফিকেট নেই। এডোবি ফটোশপের কাজ খুব ভালো জানে। দক্ষ দুটি হাতের অনেক মূল্য। সুরুচি কালার ওয়ার্ল্ডে কাজ পেলো সে। ফটোশপের কাজ। সারাদিন কাজের চাপ। একের পর এক একেকজন আসেন, আর তাদের কাজ করে দেয় সে। বলা লাগে না, নিজের থেকেই চমৎকার করে কালার করে দেয় ব্যানারের লেখাতে। সরকারি লোক আসেন, সরকারি দলের লোক আসেন, বিরোধী দলের লোক আসেন, সমাজসেবী দলের লোক আসেন, বড়ো বড়ো ব্যবসায়ীরা আসেন, ক

সহচরী - সঙ্ঘমিত্রা রায় || গল্প - Story || ছোটগল্প - Short story

 সহচরী       সঙ্ঘমিত্রা রায়                                             এক       শ্বশুরবাড়ীতে এসেই মধুরিমা বুঝতে পারে তার পিসিশাশুড়ী বসুধার ভূমিকা এখানে কাজের লোকের মতো ! বসুধা সারাক্ষণ সবার ফাই -ফরমাশ খাটে মন জুগিয়ে চলে ।        একুশ বছরে একবছরের মেয়ে বাসবীকে নিয়ে বিধবা হওয়া বসুধাকে যখন শশুর বাড়ীর লোকেরা তাড়িয়ে দিয়েছিল তখন বাপের বাড়ীতে আসে বসুধা । বাবা তখন নেই তার মা বাসনা দেবীর সংসারে কোন আধিপত্য নেই সংসার তখন ভাইয়ের বৌদের দখলে । বড় বৌদি আল্পনা বলেছিলেন ,” দেখ ঠাকুরঝি তোমাদের দুজনকে রাখতে অনেক খরচ লাগবে ।তুমি তো কানাকড়িও নিয়ে আসনি ।তবে এখানে থাকতে হলে তোমাকে খেটে পুষিয়ে দিতে হবে নইলে তোমাকে রাখা সম্ভব নয় তুমি অন্য কোথাও চলে যাও !”    “ না না বড় বৌদি বল আমাকে কি করতে হবে আমি করব ।তবু তোমরা আমাকে তাড়িয়ে দিও না।“  “ বেশ আমি কাজের লোককে ছেড়ে দিচ্ছি তুমি এখন থেকে ঘরের সব কাজ করবে দুজন মানুষের খরচা নেহাত কম নয় ।“  “ ঠিক আছে বৌদি আমি এখন থেকে ঘরের সব কাজ করব । “     সেই থেকে বসুধা সংসারের সব কাজ করে আসছে । বসুধার বাবা অমিয় বসাকের ভালো ব্যবসা ছিল । তিনি খুব লোভী প্রকৃতি