ডাকাতিয়া বাঁশি - সঞ্জীব সেন || গল্প - Story || ছোটগল্প - Short story

 ডাকাতিয়া বাঁশি

   সঞ্জীব সেন





কৃষ্ণ কদম গাছের নিচে এসে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকল ।মন ভালো নেই। কতদিন রাধার সাথে দেখা হয় নি । কৃষ্ণ রাধা বিরহে কাতর। মনমরা। রাধা কি আসবে না কি আসবে না! বসন্ত বাতাস বইছে গাছে গাছে। ফুল ফুটেছে। গাছে গাছে কচি পাতায় ভরে গেছে। পশু পাখিরা সব তাদের প্রেমিক প্রেমিকার সাথে মিলনে কাতর। কৃষ্ণ তার কোমরে গোঁজা মোহনবাঁশিটি বার করল তারপর তাতে সুর দিল । এ যে-সে বাঁশি তো নয় এ ডাকাতিয়া বাঁশি।‌কিন্তু রাধা ঠিক করে নিয়েছে সে আর সেই বাঁশির সুর কখনো শুনবে না । ডাকাতিয়া বাঁশির সুর কানের ভিতর দিয়ে মরমে এসে ধাক্কা মারে তখন মন কেমন যেন উথাল পাতাল হয়ে যায় । তাই আজ কৃষ্ণের কোনো দুষ্টুমিতে কান দেবেনা । রাধা বেশী করে কাজে মন দিল কিন্তু তারও মন‌ যে পড়ে আছে কৃষ্ণের ভাবনায় । রাধা উদ্ভিন্ন যৌবনা নারী। ঊর্ধাঙ্গে চোলি নিম্নাঙ্গে ঘাগড়া পরেছে । লেসে জড়ির কাজ। ওড়নাটা পাশে রাখা। রাধার মনোজগতে দারুণ ব্যথা।‌ কৃষ্ণ তার থোরাই কেয়ার করে । রাধা অনেকবার বলেছে আমি তোমাকে কতবার বলেছি কৃষ্ণ , আমি তোমার সম্পর্কে কে হই জানো না,আমাদের এই মিলন উচিৎ নয়। কৃষ্ণ ততো ছেলেমানুষীর মত জোর করেছে । রাধা ঠোঁট কামড়ে বলেছে খুব শখ না । উল্টে তারই হৃদয় দংশন‌ হয়েছে। ওড়ানা পাশে রেখে ঘরের কাজে ব্যস্ত রয়েছে । কৃষ্ণের মুখে তার রূপের অনেক প্রশংসা শুনেছে । কানে কানে বলেছিল। কৃষ্ণের বুকে মাথা রেখে শুনেছে আর লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠেছে । বুকের ভিতর তোলপার করেছে । শ্বাস ফুলেছে । সেই শ্বাস কৃষ্ণের বুকে গিয়ে মিশেছে। আয়নায় নিজেকে দেখে মিলিয়ে নেয় কৃষ্ণের বলা কথা গুলো। কথাগুলো কী সত্যিই না শুধুই মনগড়া । বুকের থেকে খসে পড়েছে ওড়না । রাধা তার উন্নত স্তনের দিকে তাকাল সত্যিই কী সুমেরু পর্বতকে বঞ্চিত করে শোভিত হয়েছে তার এই কুচযুগ। কোমরে হাত রাখল সিংহের কাছে থেকে চুরি করেছে শোভিত হয়েছে এই কোমর । আর নিতম্ব যেন তাম্বুরা বাদ্য হরণ করে তৈরী হয়েছে! রাধা প্রথমে লজ্জা পেল তারপর আহ্লাদিত হল । তখনই কৃষ্ণের সেই ডাকাতিয়া বাঁশির সুর মরমে এসে বলল যমুনা পুলিনে কদম গাছের তলায় কানু অপেক্ষা করছে। রাধা ভাবল কী করে বেরুবে আজ বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই । পিসিশাশুড়ি আর দুই ননদ‌ সারাক্ষণ নজরে রাখছে । এদিকে মোহনবাঁশির সুর সারা দেহমনে ঝংকার তুলছে ।এইভাবে কিয়ৎক্ষণ কাটলো।তারপর এক ঘরা জল‌ কাত করে ফেলে দিয়ে পিসিশাশুড়িকে কে বলল‌ আমি যমুনায় চললাম জল‌ ফুরিয়ে গেছে। তাড়াহুড়োয় ওড়না নিতে ভুলে গেল। ছুট লাগালো কী অমোঘ আকর্ষণে।‌পথের মধ্যে সখী ধরল সাজিয়ে দিল ফুলের সাজে। ‌মথুরাহাট থেকে ফেরার পথে সখী সাজি নিয়ে ফিরছিল তখনই তার রাধার সাথে দেখা। রাধার মৃনালভূজে ফুলের অঙ্গদ পরাতে পরাতে চপল হাসি দিয়ে বলল ‘তুই তো গেলি ' হাসির দমকে তার ওড়না খসল। তখনই রাধার খেয়াল‌ হল সে ওড়না নেই নি । বলল ‘ছাড় তো মুখপুড়ি'।রাধা আজ সুন্দর সেজেছে।কন্ঠহার এমন ভাবে রেখেছে যাতে বক্ষযুগলের সাথে দুলতে পারে মৃদুছন্দে।রাধা দেখল কৃষ্ণ ঊর্ধাকাশের দিকে চেয়ে শুয়ে আছে ।রাধা চুড়ির শব্দে মন ভাঙার চেষ্টা করল । কৃষ্ণ ঘুরে দেখল রাধাকে দারুণ লাগছে ফুলের সাজে। কৃষ্ণ উঠে বসল পুলকে ঘনঘন নিঃশ্বাস পড়ল। কৃষ্ণ বলল ‘সত্যিই তুমি না মায়া !'রাধার হাত ধরল ঘন হল সেই আহ্বানে যতটা প্রেম ছিল তার চেয়ে বেশি জোর ছিল। রাধা জানতো এই জোর উপেক্ষা করা তার পক্ষেও সম্ভব নয়। রাধার অন্তর ভিজে উঠল । রাধা আজ বাধা দিল না যেন নিজেই চাইছে সমস্ত বাধা সম্ভ্রম ভেঙ্গে যাক আর নিজেকে দূরে রাখতে পারবে না। কৃষ্ণ প্রথমে চক্ষু মেলে দেখল তারপর প্রাণভরে আবৃত করল । রাধা বলল ‘তুমি খুব দুষ্টু ’এটা যে তার মনের কথা নয় মুখের কথা । আজ মন যা চাইছে তাই করবে । কৃষ্ণের গলা জড়িয়ে ধরলো তারপরে প্রবল আবেগে অধর গ্রীবা চুম্বন করতে লাগলো আর কৃষ্ণ! এক করে ফুলের আবরন সরিয়ে প্রতিদান দিল চুম্বনে বক্ষোদেশ থেকে সর্বাঙ্গে। তখনই তার মোহনবাঁশিটি পড়ে গেল আর পড়তে পড়তে কদম তলা তারপর সেখান হতে পড়তে পড়তে কোথায় হারিয়ে গেল । কৃষ্ণের খেয়াল পড়লো না । তারপর মোহনবাঁশিটি দ্বাপর থেকে কলিযুগের সীমায় ঢুকে মোহিন্দ্র দত্ত লেনের এক ফ্লাট বাড়ির ছাদে এসে পড়লো।





আজ ভোরের গাড়িতে বাড়ির সবার সঙ্গে নয়নারও ছোটমামার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল মামাতো দাদার বিয়েতে ।‌ সেইমত গোছগাছ করেও নিয়েছিল ,শেষ সময়ে এসে ডিসিসন চেঞ্জ করেছে । সে যাবে না, কারণ বাবা মা ওখানকার এক ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক করতে চলেছে । সরকারি চাকুরে হলেও বয়সটা বেশি।‌নয়না বয়স্ক লোকের সাথে বিয়ে করতে পারবে না । বাবা মা কে জানাইনি এখনও । নয়নার পুরো নাম মৃগনয়না । মৃগনয়না নামে যে ডাকত সে রূপঙ্কর ।‌কলেজ ফ্রেন্ড । তারসাথে ভালবাসার বা প্রেমের কোনো সম্পর্ক ছিল না । তবে ভালোলাগত । শুধু তাই না রূপঙ্করের সাথে কথা বলতে সহজ লাগত । আজ মৃগনয়না ঠিক করেছে রূপঙ্করের সাথে দেখা করতে যাবে । কলেজ ছাড়ার পর একবারই দেখা হয় ছিল‌ এক মাল্টিপ্লেক্সে । পাশাপাশি বসে সিনেমাও দেখেছিল। পরিনীতা। তারপর যোগাযোগ নেই । ফোন নম্বর থাকলেও ফোন‌ করা হয় নি। কিন্তু মৃগনয়নার আজ রূপঙ্করের কথাই মনে হল । মহিন্দ্র দত্ত লেনের ফ্লাটবাড়িটির নাম "ঝাউপাতা " রূপঙ্কর এমনটাই বলে ছিল । রূপঙ্কর দুপুরের খাওয়া শেষ করে একটা বই নিয়ে শুয়ে পড়েছিল । সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘ রাধাকৃষ্ণ’। দরজায় বেলের শব্দ শুনতে পেল । রূপঙ্করের মা সামনে একবাড়িতে পুজোর নেমন্তন্ন গেছে তবে কী ফিরে এলো । রূপঙ্কর দরজা খুলে অবাক হলো । শুধু অবাক নয় তার চেয়ে বেশী পুলকিত হলো । মৃগনয়না ! কলেজ ছাড়ার পর একবারই দেখা হয়েছিল । হিসাব করলে দশ বছর পর ‘‚মৃগনয়না তুই, এতদিন পর ’। যদিও পাঁচ বছর আগে সিনেমা হলে দেখা হয়েছিল তখনও ছিপছিপে ছিল আজকে একদম গর্জিয়াস লুকিং তারসাথে ডেঞ্জারাসও। মৃগনয়না বলল কি ভাবছিস , ‘এইখানেই দাঁড় করিয়ে রাখবি'। রূপঙ্কর বলল ‘আয় , সরি’ । ঘরে ঢুকে জানতে পারল রূপঙ্কর এর মা মানে কাকিমা নেই‌ । এই মুহূর্তে এই ফ্লাটে তৃতীয় কেউ নেই। রূপঙ্কর একটু ভীত হয়ে বলল ‘আসার সময় ফ্লাটের কেউ দেখেনি’? ‘দেখেছে তো, একজনকে জিজ্ঞেস করেই তো এলাম । কেন, এনি প্রবলেম!’ মৃগনয়না বলল । রূপঙ্কর বলল ‘ফ্লাট কালচার, বুঝবি না’। রূপঙ্কর বলল বোস ,অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি‌ নিয়েছি, জ্বর’।আজ অনেকটাই ফ্রেশ‌ লাগছে । মৃগনয়না কপাল ছুঁয়ে এমন ভাবে দেখল মনে হবে যেন বিয়ে করা বউ। রূপঙ্কর বলল ‘ও কিছু না সামান্য ই।’ মৃগনয়না খাটের পাশে বসা রূপঙ্কর একটু দূরে বসা হেলান দিয়ে ।‌ মৃগনয়না ফ্যাশান ডিজাইন নিয়ে পড়েছে ব্লাউজের উপরে কাজ করছে। সম্ভবত নিজের ডিজাইন করা ব্লাউজ পরে এসেছে আর শাড়িটি ও দারুণ। রূপঙ্কর তাকিয়ে ছিল । তখন বাইরে যৌবনের দূত হয়ে টিয়া পাখিটি ট্রি ট্রি ,,,করে ডেকে এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তের দিকে উড়ে গেল । আর ওদের ভিতরে কি যেন একটা হল । রূপঙ্কর বলল ‘তোকে কিন্তু হেব্বি লাগছে । এই ব্লাউজের ডিজাইন কি তোর নিজের করা '। মৃগনয়না হাসল কিছু বলল না । দুজনে চুপ ছিল । রূপঙ্কর ভালভাবে দেখছিল মনে মনে ভাবছিল এই বইটায় বর্ণিত রাধার যে রূপ লেখা হয়েছে ঠিক সেই রকমই । দুই লাইন কবিতা মনে পড়ে গেছিল । অনেক দিন আগের। মনিশ ঘটক এর । রূপঙ্কর হাসির ঝলক ঠোঁটে ফুটে উঠেছে ।‘ মৃগনয়না বলল হাসছিস কেন!' রূপঙ্কর বলল ‘ এমনি, ও কিছু নয়।’ মৃগনয়নার কি যে হল । রূপঙ্করের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলল ‘তোকে বলতেই হবে নিশ্চয়ই দুষ্টু কথা ’ । রূপঙ্করের বুকের উপরে মৃগনয়না । ত্রিশ ছুঁয়েছে ওর বয়স। যৌবনের মাইলস্টোন। রূপঙ্কর মৃগনয়নাকে নিচের দিকে নিয়ে নিল । মৃগনয়নার খারাপ লাগছিল না বরং ভালোই লাগছিল নাহলে নিজেকে সরিয়ে নিত । রূপঙ্কর চোখ রাখল বুকের দিকে ক্রেপ সিল্কের শাড়ির ভিতরে স্পষ্ট স্তনদুটি। মেদহীন শরীর । মৃগনয়না শরীরের উপর দারুণ যত্ন নেয় জিমও করে নিশ্চয় । মৃগনয়না বলল কি ‘ভাবছিলি বল’ । রূপঙ্কর বলল বলছি, মৃগনয়নাকে আবার উপড়ে নিয়ে বলল 


'বক্কলশাষনমুক্ত শুভ্র স্তনদ্বয়


সহসা উদ্বেল হলো বক্ষময় ’



আজ মৃগনয়না কী একটু বেশি রোমান্টিক। মৃগনয়না বলল তাই না, চুলগুলো এলোমেলো করে দিল তারপর রূপঙ্করের কপালে চুমু খেল তারপর ঠোঁটে তারপর গালে । রূপঙ্কর প্রতিদানে ঠোঁট গভীর চুমু খেল যেন এর আগে অনেকবার’ চুমু খেয়েছে । মৃগনয়না এবার বলল‘ ছাড় , শাড়িটার কি অবস্থা হলো দেখেছিস’ । মৃগনয়না উঠল বুকের আঁচল অনেক আগেই সরে গেছিল । শুভ্র স্তনদ্বয় প্রকাশিত হয়েছিল শঙ্খের মতো । রূপঙ্কর মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখেছে । মৃগনয়না শাড়িটা ঠিক করবে বলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখল পুরো খুলে নতুন করে পরতে হবে । মৃগনয়না তাই করলো শাড়িখুলে নতুন করে পরল রূপঙ্কর দেখল সেই ছিপছিপে মেয়েটা কি সুন্দরী হয়েছে। ব্লাউজের ডিজাইনটা একদম অন্যরকম । মৃগনয়না বলল একটু ফ্রেশ হতে হবে । ওয়াশ রুম টা কোনদিকে? ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে আয়নার সামনে চুলটা ঠিক করতে করতে বলল‘ কি একটা হয়ে গেল না !’ রূপঙ্কর বলল ছাদে যাবি , দারুণ হাওয়া দিচ্ছে। মৃগনয়নাকে ছাদে নিয়ে গেলেন আর তখনই ছাদের কোনায় মোহনবাঁশিটা খুঁজে পেল । এত সুন্দর একটা বাঁশি কারুর চোখে পরল না । রূপঙ্কর বাঁশিটি হাতে নিল কোন ছোট বেলায় মেলা থেকে বাঁশি কিনে বাজিয়েছিল মানে ফু দিয়েছিল তার থেকে কোন সুর বেরোয়নি ।এই বাঁশিটি একদম অন্যরকম। কারুকাজ করা । মৃগনয়না পশ্চিমপ্রান্তে ছিল । বিকাল হয়ে গেছে । কোকিল ডাকছে । দক্ষিণ দিক দিয়ে হাওয়া দিচ্ছে। রূপঙ্কর বাঁশিতে ঠোঁট রাখল আর সুন্দর সুর বেরিয়ে এলে ।রূপঙ্কর নিজেই অবাক হলো এমন সুন্দর সুর এটা কী বাঁশির কেরামতি না ওর নিজের । মোহন করা সুরটা ভাসতে ভাসতে মৃগনয়নার কান দিয়ে মনের গভীরে মরমে ধাক্কা মারল । মৃগনয়নার কি যেন একটা হলো মৃগনয়না দৌড়ে এসে রূপঙ্কর কে জড়িয়ে ধরলো বাহুবন্ধনে । ভাগ্যিস কেউ দেখেনি মৃগনয়না বলল ‘আমি বাড়ির দেখা ছেলেটাকে বিয়ে করতে পারবো না রূপ, প্লিজ । তুই কিছু একটা কর ’ রূপঙ্কর টি সি এসে সেক্টর ফাইভ এ চাকরি করে । দুই পরিবার চেনে সমস্যা হওয়ার কোনো কারণ নেই।‌রূপঙ্কর এসব নিয়ে ভাবছে না ভাবছে মৃগনয়না রূপ বলে ডেকেছে শুনতে কি ভালো লাগছিল। শুধু তাই না কিছুক্ষণ আগে মৃগনয়না যেভাবে চুমু খেয়েছে আর ও নিজেও । মৃগনয়নার বাহুবন্ধন থেকে আলগা করে মৃগনয়নার কপালে চুমু খেল তারপর ‘বলল তোদের বাড়িতে যাব বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে ।’ কোকিলটা ডাকছে । তখন রূপঙ্করের হাতের মোহন বাঁশি টা অদৃশ্য হয়ে গেল আর মেঘের আড়ালে অস্পষ্ট ময়ূরপুচ্ছ দেখা গেল কিন্তু ওরা কেউ দেখতে পেল না।তখন তারা আলিঙ্গনে আবদ্ধ ।







Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024