Posts

একটা খাস্তা কঙ্কাল - প্রদীপ কুমার দে || Ekta khasta konkal - Pradip Kumar de || Short Story || ছোটগল্প

  একটা খাস্তা কঙ্কাল         প্রদীপ কুমার দে  সন্ধ্যাবেলায় লোডশেডিং হয়ে গেল। প্যান্ট জামা গায়ে সেঁটে বেড়িয়ে পড়লাম। হঠাৎই যেন সব কালো অন্ধকারে মুড়ে গেল। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কয়েক পা এগিয়েছি, পিছন থেকে ডাক এলো, -- কি প্রদীপবাবু রাগ করেছেন ? ঘুরে দেখি পিছনে কাকের মতো চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে নিলয়দা। উনি আমার প্রতিবেশী এবং লেখালেখি করার সুবাদে ঘনিষ্ঠ। কিন্তু ওনার ব্যবহার এযাবৎ আমাকে ভীষণই পীড়া দিত তাই এড়িয়ে চলতাম। একবছর ধরে এড়িয়ে চলছি ওনাকে আর অবশ্যই উনিও আমাকে। উনি পিছুডাক দিয়েছেন, আমি উত্তর দিয়েই দিলাম, -- এ বয়সে আর রাগ? -- তাহলে চলেন না আমার ঘরে, বসে আমি আর আপনি মিলে কবিতা আর গল্প পাঠ করি ? -- এই লোডশেডিং অন্ধকারে আলো কোথায় পাবেন? -- আপনার সাথে অনেকদিন পর দেখা হল তাই জানেন না, আমি একটা এমার্জেন্সি লাইট কিনেছি। অসুবিধা হবে না।  -- কি বলেন ? এমার্জেন্সি আলো? তাতে কি হবে? -- প্রচুর আলো। কোন অসুবিধা হবে না, বলছি তো। নচেৎ অন্ধকারে কোথায় যাবেন? কথাগুলো বলে দাঁত বার করে হাসলো নিলয়দা। চললাম ওনার সাথে। ঘুটঘুটে অন্ধকার কাটিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম। উনি ঘরে আমাকে নিয়ে ঢূকেই দরজায় চিটকানি দিয়ে দিল

প্রণয় পাশা - তপন তরফদার || Pronoy pasa - Tapan Tarafdar || Short Story || ছোটগল্প

    প্রণয় পাশা               তপন তরফদার  তাস পাশা সবই সর্ব নাশা। তাস খেলা সর্বনাশা কেন। কারণ সময়ের অপব্যবহার করার অন্যতম উপকরন এই তাস। তাস আবার জুয়া খেলার খেলায় মাথা গলিয়ে লাগাম ছাড়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সবাই ইশারায় তিন পাত্তি খে লতে চায়। পাশা যে সর্বনাশের খেলা, বাড়ির বৌকেও বাজি রেখেছে তা সবাই জানে। প্রণয় ও এক রকমের হাইভোল্টেজের খেলা তাই সমাজে এই প্রণয় পাশাকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে ও থাকবে। এই প্রণয় পাশা খেলায় প্রণয়ীরা প্রণোদিত হয়ে অনেক অনেক এগিয়ে গেছে।        যুগের পরিবর্তন হয়েছে, মেয়েরা স্বাবলম্বী হতে চায় এবং হচ্ছেও। মুক্ত বাজারে ক্রেতারা তাদের পচ্ছন্দসই দোকানের থেকে মাল খরিদ করতে পারে, সেরকমই বিক্রেতাও তার পছ্ন্দের দাম ক্রেতা অনুযায়ী ঠিক করে। বাজারে চালু আছে ছেলরাই মেয়েদের পিছনে ঘুরঘুর করে।এটি এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি একজন সুর্দশন সুপুরুষ। আমি বুঝতে পারি কেষ্টর কোনো দোষ ছিলনা। অনেকে মনে করে কেষ্ট বাঁশী বাজিয়ে রাধিকাদের ঘর থেকে ফুসলে আনতো।বাজে কথা, সত্যের অপলাপ করা হয়। ঘরে সম্পুর্ন অসত্য কথা বলে মিথ্যাচার করে কলসিতে জল ভরার ছুতো করে কেষ্টর সঙ্গে ফষ্টিনষ্

বিনির সৌর খোঁজ - মনোরঞ্জন ঘোষাল || Binir Soura kojh - Monoronjon Ghosal || Short Story || ছোটগল্প

  বিনির সৌর খোঁজ   মনোরঞ্জন ঘোষাল ডোমস শুধু আমাকে মেরে ফেলার প্লান করেছিল এমনটা নয়। সে আমার গবেষণাকে অসম্মান করেছে। তাই আমার গবেষণাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন‍্য জেদ খানিকটা সে আমার বাড়িয়েই দিয়েছে। তার মত গবেষকদের মুখে ঝামা ঘসে দিতে আমি আবার আমার গবেষণা ভীত্তিক খোঁজ শুরু করলাম। আগে তো চাঁদের দিকে তাকিয়ে জীবের দর্শন পেয়ে ছিলাম। সেই কথা বিজ্ঞানী মহলে জানিয়ে দিয়েছি। এবারে সূর্যের দিকে একবার নজর দেব বলে মনে করছি। প্রখর আলোর জন‍্য তার দিকে তো তাকানো যায় না। তার জন‍্য এক বিশেষ ব‍্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিকে মাইক্রোস্কোপিক দূরবিক্ষন যন্ত্রটি এখন আমার কাছে একটা মস্ত বড় হাতিয়ার। যেমনটি ছিল গ‍্যালিলিয়ের। তবে এটি গ‍্যালিলিওর টেলিস্কোপের থেকে অনেক উন্নত। আসলে আমি এটিতে অত‍্যাধুনিক প্রযুক্তি ব‍্যবহার করেছি। আমি এক বিশেষ প্রকার লেন্স ব‍্যবহার করেছি এই যন্ত্রে। যেটি সাধারণ লেন্সের কার্যকারিতা বহু গুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই পদ্ধতি টিও আমার নিজস্ব। এক বিশেষ সংকর লেন্স। লেন্সের কাঁচের সঙ্গে বিশেষ ধাতুর একটা শতকরা ভাগ মিশ্রিত করলে তার স্বচ্ছতার কোন পরিবর্তন ঘটে না। মানে কাঁচটি ঘোলাটে হয়ে যায় না। সেই কাঁচ দিয়ে

ছেলেবেলা - সত্যেন্দ্রনাথ পাইন || Chelebela - Satyendra nath Paine || ছড়া || Rhyme || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

    ছেলেবেলা         সত্যেন্দ্রনাথ পাইন             বৃষ্টি আমার ফিরিয়ে দিও                   সেই ছোট্টবেলা              তোমায় ভিজে খুনসুটিতে                 কাটতো বিকেলবেলা ।      আজকে আমি দাঁড়িয়ে আছি     শুনতে তোমার গান ভিজে যাওয়া স্বপ্ন দেখতে    মন করে আনচান ।            মায়ের বকুনি বাবার হাত                  আর ভিজে যাওয়া মন           কত আপন ছিল সেসব                   আজ খুঁজি সারাক্ষণ।       আষাঢ় মাসে একবার তুমি         এলে যখন ভাই  দাওনা জুগিয়ে মনের ফসল         পাকুড়তলায় যাই।। বৃষ্টি তুমি বাদল বরষ     ফিরিয়ে দিও অতীত  যখন মোরা পুকুর ঘাটে    করতাম বেসুরো সঙ্গীত।। আজ আমি বড় হয়েছি     কেউ শোনে না কথা তুমি মনে করিয়ে দিও সেই         ক্ষত দিনের ব্যথা ।। ছেলেবেলা তুমি কি গো     নিশ্ছিদ্র আলপনা? আঁকা ছবির শুটিং শুরু     পুতুলের ভেঁপু বাজনা।।

ছেলেবেলার সেকাল একাল - রাসমণি ব্যানার্জী || Chelebelar sekal ekal - Rashmoni Banerjee || ছড়া || Rhyme || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  ছেলেবেলার সেকাল একাল     রাসমণি ব্যানার্জী তখন ছিল ছেলেবেলা  বড় মধুর মধুর এখন সবার ছেলেবেলা  এক চিলতে রোদ্দুর। এখন কচিকাঁচা গুলো লেখা পড়ার সাথে, গেমে মত্ত হয় নিত্য দেখি গভীর রাতে। তখন ছেলেবেলা মানে পড়াশোনা আর দুষ্টুমি এখন ছেলেবেলা মানে শুধুই গোঁয়ারতুমি । তখন ছেলেবেলা মানেই দুটো কঞ্চির অসি  এখন ছেলেবেলা কাটে কম্পিউটার বসি। চু-কিৎ কিৎ লুকোচুরি তখন ছিল বেশ ছেলেবেলা এখন কোথায় সবটা নিরুদ্দেশ।

ভোটের ছড়া - বাসুদেব কুন্ডু || Voter Chora - Basudev kundu || ছড়া || Rhyme || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

  ভোটের ছড়া         বাসুদেব কুন্ডু সবাই এখন ব্যস্ত ভোটে, প্রচারে সোরগোল,,, আসল কথা বলে না কেউ, বাজায় ঢাক-ঢোল আসল কথা কাজের কথা, উন্নয়নের দিশা,, যথা অন্য দেশে যেতে লাগে সেই দেশের ভিসা সবাই কি আজ ধান্দাবাজ! হিংসা নিয়েই বাঁচে? না বুঝলে, আজ চলে এসো, এই কবি'র কাছে।

আম্রপালির বাজার কেমন - দিলীপ কুমার মধু || Amro palir bazar kemon - Dilip Kumar Madhu || ছড়া || Rhyme || Bengali Poem || Poetry || বাংলা কবিতা

    আম্রপালির বাজার কেমন ?             দিলীপ কুমার মধু খুব গরমে খুড়ো একদিন ফলের বাজার যায় আড় চোখেতে তাকায় খুড়ো ডাইনে কিংবা বায়। ফলের মার্কেট গিয়ে বলে-- কই আম্রপালি ? একজন বলে --এই দেখো আম, খাওনা এক ফালি। আরো জনা দশেক বলে-- খুব মিষ্টি আম চেহারা দেখো, আম বেচাতে আমার আছে নাম। কেউ বলছে --এত মিষ্টি মিছরি মনে হবে কেউ বলছে --দুটো ফ্রি, দু কেজি আম নেবে ? ছাদে -গন্ধে অতুলনীয় --আমার আম নাও তেইশ বছর এই মার্কেটে চিনতে আমায় পাও? খুড়ো বলে-- না রে ভাই, আম নেবো না আজ  আম্রপালির বাজার দেখতে ফেলে এলাম কাজ।