Posts

অপরিচিত বিভূতিভূষন - হিমাদ্রি শেখর দাস || Oporichito Bibhutibhushan - Himadri Sekhar Das || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article

    অপরিচিত  বিভূতিভূষন       হিমাদ্রি শেখর দাস   বিভূতিভূষণ শৈশব থেকেই গ্রাম বাংলার সব শ্যামল প্রকৃতিকে নিবিড়ভাবে ভালোবেসে ছিলেন তার সাহিত্যের অন্যতম উপাদান প্রকৃতি প্রেম প্রকৃতি সম্বন্ধে তার একটা পূর্ণ আর সমগ্র অনুভূতি ভালো-মন্দ সুন্দর অসুন্দর আলো অন্ধকার রমণীয়তা ভীষনতা সবকিছু নিয়ে আমাদের মহীয়সী পৃথিবী আর ধরিত্রীমাতার কোলে যে গাছপালা বন অরণ্য নদ নদী পাহাড় পর্বত সমুদ্র আর বনবাসে মানুষ রয়েছে সেই সমস্তের প্রতি তার মনে এক সদা জাগ্রত অনুভূতি আর আনন্দ এক অপর প্রীতিপূর্ণ আর অনুভূতিপূর্ণ পাঠক অনুভব করে। বিভূতিভূষণের অনেক উপন্যাস এবং গল্প সবাই পড়লেও কিছু কাহিনী আমরা জানিনা এই প্রবন্ধে বিভূতিভূষণের অজানা কিছু জানাবো   *সাধারণ জীবনরসিক*    বিভূতিভূষণের ছোটগল্পের বিরাট অংশ জুড়েই রয়েছে বাংলাদেশের গ্রাম্য জনপদ আর বাঙালি ঘরোয়া জীবনের চিত্র। এই গ্রাম্য, অনাদৃত, অস্পৃশ্য, অনভিজাত ব্রাত্যজনেরা কোন সাজগোজ ছাড়া  ধূলিমলিন পায়ে উঠে এসেছেন তার গল্প- উপন্যাসে।  তাই তারা এত জীবন্ত, অকৃত্রিম, আন্তরিক। বিভূতিভূষণ তার গ্রামের লোকজনের সঙ্গে খুব আন্তরিকভাবে মিশতেন, তারাও কখনও বিভূতিভূষণকে পর মনে করেনি। জী

স্বাধীনতা উত্তর বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ প্রসঙ্গ - তুষার ভট্টাচাৰ্য || Sadhinota uttar Bangla sahityae deshbhagh prasanga - Tushar Bhattacharjee || প্রবন্ধ || নিবন্ধ || Article

স্বাধীনতা উত্তর বাংলা সাহিত্যে দেশভাগ প্রসঙ্গ              তুষার ভট্টাচাৰ্য ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগের পর ( বাংলা এবং পাঞ্জাবকে খণ্ডিত করে ) দেশভাগের করুণ কাহিনী তেমন ভাবে বাংলা সাহিত্যে খুব বেশি উঠে আসেনি l দেশভাগের কারণে পূর্ব বাংলা থেকে প্রায় এককোটি বাঙালি ছিন্নমূল উদ্বাস্তু ( হিন্দু ) নিজেদের অনিচ্ছাসত্বেও ভিটে মাটির মায়াত্যাগ করে এপারের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন l তাঁদের নাম দেওয়া হয়েছিল -বাঙাল, রিফিউজি,জার্মান পার্টি, সমুন্দির পুত, সার্কাসের জন্তু প্রভৃতি ব্যাঙ্গার্থক শব্দে বিশেষিত করে l সেই সময়ে স্থানীয় মানুষরা ভীষণ অনুকম্পার চোখে দেখতেন পূর্ববঙ্গ থেকে আগত উদ্বাস্তুদের l এবং বিরূপ মনোভাবও পোষণ করতেন l এইরকম মনোভাবের উল্লেখ পাওয়া যায় ' রিফিউজিরা এমনিতেই বড় নোংরা, এক ঘরে গাদাগাদি করে থাকে, শোওয়ার ঘরে উনুন জ্বেলে রান্না করে ( অর্জুন উপন্যাস - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ) l ' বাঙাল নাকি তুই? কী ভাষা হাউ মাউ খাঁউ ( মাধব ও তার পারিপাশ্বিক ( শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ) l  এই প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে সর্বস্ব হারানো বাঙালি উদ্বাস্তু মানুষদের জীবনের দুঃখ, যন্ত্রনা,

শরৎ রানী - মৌসুমী সিনহা ব্যানার্জ্জী || Sarat rani - Mousumi sinha Banerjee || kobita || Poetry || কবিতা || বাংলা কবিতা || poem || Bengali poetry || Bengali poem

  শরৎ রানী   মৌসুমী সিনহা ব্যানার্জ্জী শিউলি ফোটার বার্তা এল অলির গানে গানে, শাপলা শালুক ডাক দিয়ে যায় শরৎ রানীর কানে। কাশফুলেরা মাথা দোলায় শুভ্র হাসির মেলা, তুলো মেঘের ফাঁকে ফাঁকে সোনা রোদের খেলা। সোনালী ধান মাঠ ভরেছে, শিশির ভেজা ঘাসে গঙ্গা ফড়িং নেচে বেড়ায় ধানের শীষে শীষে।  আগমনীর সুর শোনা যায় আকাশ বাতাস জুড়ে, মা এসেছেন বাপের বাড়ি সিংহের পিঠে চড়ে। অসুর দানব যেথায় যত নেই যাদের কিছু লাজ, চুলের মুঠি ধরে তাদের বিনাশ করবে মা আজ।

পূর্ণিমা - ঐশ্বর্য্য কৃষ্ণ রায়হান || Purnima - Aiswarya krishna Rayhan || kobita || Poetry || কবিতা || বাংলা কবিতা || poem || Bengali poetry || Bengali poem

  পূর্ণিমা             ঐশ্বর্য্য কৃষ্ণ রায়হান সময় ফুরোচ্ছে শুধু, বৃষ্টি অবিরাম। অনেক দিন তো হলো, ভালোবাসি বলো। দুপুর রৌদ্রে সহস্র শতাব্দী আগে স্থির অরণ্যের মত চুপ ছিলে। আজ পূর্ণিমা, তুমি নেই তাই জোনাকিরা জ্বালে না আলো। বাড়িগুলির আলো বিলীন দ্রুত গভীর রাত আর নিদ্রাহীন চোখ। জঙ্গলজুড়ে কান্নার শব্দ নামে। বৃষ্টি মত গায়ে, পাতায় জমে যাবে।

যখন শরৎ - সুব্রত ভট্টাচার্য্য || Jokhon Sorot - Subrata Bhattacharya || kobita || Poetry || কবিতা || বাংলা কবিতা || poem || Bengali poetry || Bengali poem

  যখন শরৎ   সুব্রত ভট্টাচার্য্য               কাশের বনে লাগলে পড়ে দোলা মন-বাউল হঠাৎ গেয়ে ওঠে, নীল আকাশে ভাসলে পড়ে ভেলা খুশি'রা সব কেমনে যেন' জোটে। যতই দুঃখ যতই ব্যথা থাকনা এ'মন জুড়ে, তবুও সে লুকানো এক কথা বলতে চায় মধুর কোনো সুরে! শিউলি বুঝি বুঝতে পারে তা' তাইতো সে খিলখিলিয়ে হাসে, এত' দিনের গোপন কবিতা ছড়িয়ে দেয় হাওয়ার সুবাসে। তুমিই শুধু বুঝতে পারোনা মনখারাপি কালো বাদল মেঘে, প্রস্ফুটিত সে' এক যন্ত্রণা প্রেমিক মনের অবুঝ আবেগে!

দু-চোখ - শতাব্দী চক্রবর্তী || Du-chock - Satabdi chakraborty || kobita || Poetry || কবিতা || বাংলা কবিতা || poem || Bengali poetry || Bengali poem

  দু-চোখ শতাব্দী চক্রবর্তী সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে চন্দ্রভুক অমাবস্যা এই মুহূর্তে আমার চোখ যেন গান্ধারীর একটা ঘেউ গা ঘেঁষে দাঁড়াল অন্ধকারে সেই যেন অন্ধের যষ্টি। সেই উলঙ্গ পাগলিটাকে শোনা যায় বুড়িগঙ্গার ঘাটের দিকে দেখেছি তাকে, এ পাড়ায় নতুন প্রবঞ্চনা কাকে বলে ভালো মতো জানে সে, অন্ধকার কাকে বলে তাও। আমার মাথার উপরে চাঁদ নেই থাক থাক অমাবস্যা ঝুলে আছে নারকেলের পাতার মতো হাতছানি দেয়  কেবল দুটো চোখ আছে আমার চাঁদ সূর্যের বিচার করার আলোও আছে কত শত উলঙ্গকে দেখারও "হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হল, পার করো আমারে" ঐ তো, গাইছে গঙ্গার মতো পাড় ভাঙা গলায় উলঙ্গ পাগলিটা আ মার দু-চোখ কত কিছুই দেখে ফেলে এমন অন্ধকারেও

শ্রমের গন্ধ - নাসির ওয়াদেন || Sramer gondho - Nasir Oaaden || kobita || Poetry || কবিতা || বাংলা কবিতা || poem || Bengali poetry || Bengali poem

  শ্রমের গন্ধ   নাসির ওয়াদেন সময়কে ছুঁতে গিয়ে খুঁজে পাই মাঠ পোড়া উজান বাতাসের গন্ধ নাড়া-পোড়া ধানগাছে শিয়ালের পায়ের ছাপ ধানের সময় এসেছে,উঠবে গেরস্থের উঠোনে মাঠ থেকে ধান আসে গাড়ি গাড়ি, জিন-শ্রমিকের মাথায় বিড়ির আগুন খামারে রাতের গন্ধ, শিশির নামে বরফ আগুনে হাত-পা সেঁকে নেয় মধু বাগদির ব্যাটা, মালিকের মাথায় এক বিঘেয় কত ধান ফলে সাঁঝতারা মাথার উপর দিয়ে হেঁটে যায় ভোরের মোরগ ডাকার আগেই বিছানার ওম রেখে মাঠে যায় জিন-শ্রমিকের দল দুটো ধানের জন্যই তো মাগ-ছেলে ছেড়ে আসা ঘুম নেই, রাত ভর সোনালি ধানের শীষে সূর্যকে খোঁজা