Saturday, November 5, 2022

Special General Knowledge part -1 || October Current affairs in Bengali pdf download || RRb NTPC Gk || RRb group d Gk || Wbp si Gk || Wbp Constable gk || General Knowledge || Special Gk & current affairs Part - 1



   Special General Knowledge part -1


1) মাও সে তুং এর উক্তিটি হল ‘Let a hundred flowers bloom'। 



 2) সুভাষচন্দ্র বসু পদত্যাগের পরে রাজেন্দ্রপ্রসাদ কংগ্রেসের সভাপতি হয়।

 3) লর্ড কর্ণওয়ালিশ ভারতের পুলিশিব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। 

 4) ১৮৭৬ সালে সুরেন্দ্রনাথ কর্তৃক ‘ভারতসভা' স্থাপিত হয়। 

5) মহাত্মা গান্ধি বলেছিলেন, 'অস্পৃশ্যতা, মানুষ ও সমাজের বিরুদ্ধে চরম অপরাধ'।

 6) জে পি নিয়োগী প্রথম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

 7) ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম ফাঁসিতে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম মোহবনি গ্রামে।

 8) ভি ডি সাভারকার বলেছিলেন ‘সিপাহি বিদ্রোহ’ হল জাতীয় স্বাধীনতার একটি পরিকল্পিত যুদ্ধ।

 9)আমির খসরু বলেছেন, 'ভারতীয় সঙ্গীত' শুধু মানুষকে নয়, প্রাণিদেরও মুগ্ধ করে। 


10)ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণকেন্দ্রটি থুম্বাতে তৈরি হয়েছিল।

11) ইউনিট ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার সদর দপ্তরটি মুম্বইতে অবস্থিত।

 12) দাদাভাই নৌরজি ‘মহান বৃদ্ধ' নামে পরিচিত।


13) জয়নাল আবেদিন কে ‘কাশ্মীরের আকবর' বলা হয়।

 14) কিপলিং বলেছিলেন, 'East is East and West is
 West and twain shall never meet'. 

15) নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর ছদ্মনাম ‘ফাদার মার্টিন’।

16) ভারতের প্রথম অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর হলেন গুলজারিলাল নন্দ।

 17) বাংলার প্রথম নির্বাচিত রাজা হলেন গোপাল (৭৫০ খ্রিস্টাব্দ)।

 18) ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়। 

19) অরবিন্দ ঘোষ Life Divine, দিব্যজ্ঞান গ্রন্থটি লেখেন।

 20) SI পদ্ধতিতে তাপমাত্রার একক কেলভিন।

 21) ভিকাজি রুস্তমজি কামাকে ভারতীয় বিপ্লববাদের জননী বলা হয়।

 22) ১৯৪৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বম্বে তলোয়ার জাহাজে "নৌবিদ্রোহ প্রথম হয়েছিল।


23) ক্যানসার রোগের অপর নাম 'Big C’. & ADH হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস বা শর্করাবিহীন বহুমূত্র রোগ হয়।

24) ‘গদর' শব্দের অর্থ হল বিপ্লব।



25) আমাদের চোখে উল্টো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় রেটিনায়। 

 26) গ্যাসের আয়তন গ্যাসটির চাপের সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতে পরিবর্তিত হয়। & PV = RT সমীকরণটি মেনে চলে যে গ্যাসগুলি তাদের আদর্শ গ্যাস বলে।

 
27) বয়েলের সূত্রের গাণিতিক রূপ হল PV = = K.I & সিগারেটের লাইটারে বিউটেন গ্যাস থাকে।

 28) LPG হল বিউটেন, প্রোপেন এর মিশ্রণ।

 29) কোনও মৌলের একটি পরমাণু একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর চেয়ে যতগুণ ভারি, সেই সংখ্যাটিকে ওই মৌলের পারমাণবিক গুরুত্ব বলে।

 30) পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহিলা রাজ্যপালের নাম হল শ্রীমতী পদ্মজা নাইডু।

 
31) ভারত সরকারের আইন বিষয়ক সর্বোচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তির নাম হল অ্যাটর্নি জেনারেল।


32) ভারতের প্রথম মহিলা স্পিকারের নাম হল শ্রীমতী
শানোদেবী (হরিয়ানা)।


33) ১৯৯২ সালে সত্যজিৎ রায় ‘ভারতরত্ন উপাধি পান। & সবুজ বর্ণের আলোকে সালোক সংশ্লেষ বন্ধ হয়।

 
34) ১৪৯২ খ্রিঃ কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন।

35) ভারতের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয় জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদ দ্বারা।


36) বয়েলের সূত্র হল - নির্দিষ্ট উয়তায় কোনও নির্দিষ্ট ভরের


37) একটি তরলের ফোঁটা গোলাকৃতি হওয়ার কারণ হল পৃষ্ঠটান।

 
38) জোনাকির আলো দেখা যায় লুসিফোরিন রাসায়নিক পদার্থ থাকার জন্য।

 39)যে সমস্ত সৌররশ্মি বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত না করে মহাশূন্যে প্রতিফলিত ও বিচ্ছুরিত হয় তাকে অ্যালবেডো বলে।

 40) সমুদ্রপথের দূরত্ব মাপা হয় নট এককের সাহায্যে। & বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয় আয়নোস্ফিয়ার স্তরে।

 41) ব্যারোমিটারের পারদস্তম্ভের উচ্চতা হঠাৎ কমে গেলে ঝড় এর পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

 42) ‘চিনুক বায়ু আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রকি পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়।


43) স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি হলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ।

 44) ধর্মপাল বিক্রমশীলা মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। > আলাউদ্দিন খিলজি প্রথম রেশনব্যবস্থা চালু করেন।

 45) ‘হুমায়ুন' কথাটির অর্থ হল সৌভাগ্যবান ।

 46) বেবাদল খাঁ ময়ূর সিংহাসন নির্মাণ করেন।

 47) শাহজাহান এর রাজত্বকালে ‘মুঘল সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ' (Golden Age of the Mughals) বলা হয়। 

48) রঞ্জিত সিংহ এবং ইংরেজদের মধ্যে ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে অমৃতসর সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।

 49) ভারতের গভীরতম বন্দরটির নাম হল বিশাখাপত্তনম।

50) ভারতের উচ্চতম শহর হল লে বা লেহ।

 51) ভারতের শুল্কমুক্ত বন্দর হল কান্ডালা (গুজরাট)। & লিংসি লা ও ইউল লা গিরিপথ ভুটান ও তিব্বত এই দুটি স্থানের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করছে।

 52) এশিয়ার বৃহত্তম লৌহ-ইস্পাত কারখানা হল জাপানের ইয়াওটা উটা ।

 53) নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সবচেয়ে বেশি।

 54) ভারতের সর্বোচ্চ সড়কপথ হল খারদুং লা ।

 55) ভারতের ক্ষুদ্রতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র হল মালদ্বীপ (ভূটান দ্বিতীয়)।

 56) অনিষিক্ত ডিম্বাশয় থেকে বীজবিহীন ফল সৃষ্টি হওয়াকে পারথেনোকার্পি বলে।

 57) ইথিলিন হরমোন ফল পাকাতে সাহায্য করে।

 58) অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোশ থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়।

59) অগ্ন্যাশয়ের আলফা কোশ থেকে গ্লুকাগন নিঃসৃত হয়।

 60) প্রতি 100 ml. রক্তে শর্করার স্বাভাবিক পরিমাণ হল 80-120 mg. I

 61) রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধিকে হাইপারগ্লাইসিমিয়া বলে।

 62) রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়াকে হাইপোগ্লাইসিমিয়া বলে।

 63) রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধিজনিত রোগকে ডায়াবেটিস মেলিটাস বলে।


64) সূর্য থেকে যে শক্তি বা উত্তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছয় তাকে ইনসোলেশন বা সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলে। 

65) কুয়াশার খুবই ক্ষুদ্রাকৃতি জলকণাগুলিকে ফগ বলে।

 66) শীতপ্রধান স্থানে শিশির বিন্দুগুলি ঠান্ডায় জমাট বেঁধে কঠিন হলে তাকে তুহিন বলে।

 67) আকাশে সর্বোচ্চস্তরের মেঘের নাম সিরাস।

 68) বায়ুর গতিবেগের একক হল নট।

 69) The Commonwealth-এর আসল নাম হল The British Commonwealth of Nations 

70) ১৯২৬ সালে কমনওয়েলথ গঠিত হয়।

 71) বর্তমানে কমনওয়েলথ দেশের সদস্যসংখ্যা হল ৫৪টি।

 72) কমনওয়েলথ সদর দপ্তর হল লণ্ডনে। 

73) কমনওয়েলথ-এর প্রতীকী প্রধান হলেন ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ।

 74) রাষ্ট্রসংঘের পর বিশ্বের বৃহত্তম জোট হল NAM। 

75) ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দাং-এ NAM এর আত্মপ্রকাশ হয়।

76) বর্তমানে NAM-এর সদস্যসংখ্যা হল ১১টি। ১২০

77) ১৯৬১ সালে পূর্বতন যুগোশ্লাভিয়ার বেলগ্রেডে NAM-এর প্রথম শীর্ষ সম্মেলন হয়।

78) ভারতবর্ষে ১৯৮৩ সালে, নয়াদিল্লিতে প্রথম NAM-এর শীর্ষ সম্মেলন হয়।

79) ১৯৬৭ সালের ৪ আগস্ট, ব্যাংকক-এ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনস (ASEAN) গঠিত হয়।

 80) রাশিয়া, ১৯৯৮ সালে যোগ দিয়ে G-7-এর নাম G-8 হয়।

81) ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (INTERPOL) ১৯২৩ সালে প্যারিসে গঠিত হয়।

 82) রেডক্রস তিনবার (১৯১৭, ১৯৪৪ এবং ১৯৬৩ সালে) নোবেল শান্তি পুরস্কার পায়।

 83) আকবরের তরবারির নাম সংগ্রাম। & জে এইচ ডুনান্ট, ১৮৮৬ সালে রেডক্রস গঠন করেন।

84) রেডক্রস-এর সদর দপ্তর হল জেনিভা।

85) শিবাজির তরবারির নাম ভবানী।

 86) 'March of the Volunteers' - চিন দেশের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন।

 87) হল্যান্ড / নেদারল্যান্ড দেশের সরকারি নথির নাম 'অরেঞ্জবুক'।

 88) 'Long live our beloved king'-সৌদি আরব দেশের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন।

 89) Where Art thou—আত্মজীবনীটি মকবুল ফিদা হুসেন।

90) Being Myself - আত্মজীবনীটি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা এর লেখা।




       Current affairs October (part -1)


1) সম্প্রতি সাহিত্যে ২০২২ নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন ফ্রান্সের লেখিকা Annie Ernaux


 2) ২০২২ সেপ্টেম্বর মাসে মহিলা বিভাগে ICC Player of the Month হলেন ভারতের হারমানপ্রীত কৌর

 
 3) World Cotton Day পালন করা হয় ৭ই অক্টোবর; এবছরের থিম হলো-“Weaving a better future for cotton"

 4) Devendra Lal Memorial Medal 2022 জিতলেন ড. রক্সি কল

 9) সম্প্রতি সমাজ সেবার জন্য "সেবা রত্ন সম্মান" পেলেন রতন টাটা



10) World Mental Health Day পালন করা হয় ১০ই অক্টোবর; এবছরের থিম হলো-"Make mental health and well-being for all a global priority "

 11) আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবস পালন করা হয় ১১ই অক্টোবর; এবছরের থিম হলো- "Our time is now – Our rights, Our future"

 12) World Arthritis Day পালন করা হয় ১২ই অক্টোবর; এবছরের থিম হলো-“It's in your hands, take action

13) World Standards Day পালন করা হয় ১৪ই অক্টোবর; এবছরের থিম হলো- " Shared Vision for a Better World"

 14) এ.পি. জে আব্দুল কালামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে World Students' Day পালন করা হয় ১৫ই অক্টোবর


15) ষষ্ঠবার ভারতের সবথেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহরের তকমা পেল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর

16) ৩২তম বিহারী পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন লেখক মাধব হাদা

17)  সম্প্রতি পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ২০২২ পাচ্ছেন Alain Aspect, John F. Clauser 4 Anton Zeilinger

18) সম্প্রতি UNHCR Nansen Refugee Award পেলেন জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর Angela Merkel 

19) ইলেকশন কমিশনের দ্বারা "ন্যাশনাল আইকন" হিসাবে ঘোষিত হলেন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী

 20) Indian Ordinance Factory-এর ডিরেক্টর জেনারেল পদে নিযুক্ত হলেন সঞ্জীব কিশোর

 21) রসায়ন বিজ্ঞানে ২০২২ নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন Carolyn Bertozzi, Morten Meldal 4 Barry Sharpless

 22) কানাডাতে Global India Award জিতলেন অনিল

 আগারবাল

23) World Animal Day পালন করা হয় ৪ঠা অক্টোবর; এবছরের থিম হলো - "A Shared Planet "


 24) ভারতীয় বায়ুসেনা দিবস পালন করা হয় প্রতি বছর ৮ই অক্টোবর



25) SASTRA Ramanujan Prize for 2022 পাচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর Yunqing Tang

26) World Post Day পালন করা হয় ৯ই অক্টোবর; এবছরের থিম হলো - " Post for Planet "

 27) ২০২২ সেপ্টেম্বর মাসে পুরুষ বিভাগে ICC Player of the Month হলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান

 28) বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয় ৫ই অক্টোবর; এবছরের থিম হলো- "The Transformation of Education Begins with Teachers"


____________________________________________

সম্পূর্ণ পিডিএফ পেতে নীচে দেওয়া লিংক টি ক্লিক করুন -👇👇👇


Friday, November 4, 2022

রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ || বেতন ২৫ হাজার টাকা || WB health department Recruitment 2022


 


আবার নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে আমাদের রাজ্যে। অনেক গুলো পদে নিয়োগ করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এখানে চাকরি পেতে দিতে হবে না লিখিত পরীক্ষা। শুধু ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। এটি একটি চুক্তিভিত্তিক পদ। কোন কোন পদে নিয়োগ হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, মোট শূন্য পদ, আবেদন পদ্ধতি, নিয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে আলোচনা করা হল -



পদের নাম - 


নার্সিং স্টাফ

কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট



মোট শূন্যপদ - এখানে মোট ৮টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।



শিক্ষাগত যোগ্যতা - এখানে আবেদনের করতে হলে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে GNM নার্সিং কোর্স করতে হবে এবং কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া আবশ্যক।



বয়সসীমা - 

 প্রতিটি প্রার্থীর বয়সসীমা অবশ্যই ২১-৪০ বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।



বেতন - 

নার্সিং স্টাফ পদে মাসিক বেতন দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে মাসিক বেতন দেওয়া হবে ১৩ হাজার টাকা। 



কীভাবে আবেদন করবেন - 

এখানে শুধু মাত্র অফলাইনে ফর্ম জমা হবে। প্রয়োজনীয় নথি-সহ আবেদনপত্র নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে। 





আবেদন পাঠানোর ঠিকানা -


Office of the Chief Medical Officer of Health, MNK Road, Old Outdoor Campus, Kamarpotty More, Rampurhat, Dist-Birbhum, Pin-731224, W.B



আবেদনের শেষ দিন -

১৯ নভেম্বর এর মধ্যে আপনাকে আবেদন পত্র জমা করতে হবে।



 

কীভাবে নিয়োগ হবে -

এখানে চাকরি পেতে গেলে কোনরকম লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না। শুধু মাত্র ইন্টারভিউ দিয়ে এবং সবশেষে নথি পত্র যাচাই করে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে।



কোথায় নিয়োগ হবে -

বীরভূমের রামপুরহাটের হেলথ অফিসে নিয়োগ হবে।



Official Website-


Click here 🔴

Wednesday, November 2, 2022

ছোট গল্প - বাস্তবিক রূপকথা || লেখক - কল্যাণ সেনগুপ্ত || Written by Kalyan Sengupta || Short story - Bastobik rupkotha


 


বাস্তবিক রূপকথা

কল্যাণ সেনগুপ্ত 




কালো সালোয়ার কামিজ পড়া মেয়েটি তিন গলির সঙ্গমে দাড়িয়ে, খোঁজার দৃষ্টি নিয়ে এদিক ওদিক চাইলে ।তারপর আবার ডানদিকে ঘুরে হনহন করে এগুতে লাগল। আমার কাজ ওনাকে ফলো করা । গুটিগুটি চলেছি দূরত্ব রেখে.

উত্তর কলকাতার গলি। ভাল করে আলো ঢোকেনা। এখন সন্ধ্যে সাত টা। মাঝে মাঝে কিছু জানলার এক ফালি আলো পড়ে আছে পথ দেখার জন্যে। তারপর আবার আলো আঁধারি। এরকম গলিতে কেন যে কর্পোরেশন ঠিকমত আলো দেয়না কে জানে। কোনো সময় দুই বাড়ির মাঝ খানের নর্দমা বা জমি ছিল এখন এক ফালি রাস্তা হয়ছে। এখানে রিক্সাও যায় না। কিছুদূর পরপরই তিন মাথা চার মাথার জংশন।

ডানদিকে এগিয়ে হঠাৎ মেয়েটি উধাও। এদিকওদিক চাইছি হঠাৎ পিঠে টোকা ।

পিছন ফিরে বুক টা ধড়াস করে উঠল। সামনে কালো সালোয়ার পড়া মেয়েটি দাড়িয়ে। চোখে চোখ রেখে। মুখে তাচ্ছিল্য ভাব। মুখ বেঁকিয়ে দাঁত চিপে বললে " কিছু পেলেন?

একেবারে হোঁচট খাবার মত অবস্থা। একজন সুন্দরী রাস্তায় এরকম প্রশ করছে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল "এ্যাঁ, আজ্ঞে? আমাকে বলছেন?"

মুচকি মুচকি হাসি ঠোঁটের রেখে বলে " বলছি আজ সারাদিন পিছন পিছন ঘুরে কিছু পেলেন ?"

হাতে নাতে ধরা পড়ে গেছি। কিন্তু মহিলা ঝকঝকে , দারুন সুন্দরী। আধ অন্ধকারে ও বোঝা যাচ্ছে খুবই ফর্সা। চোখ দুটি বড় বড় বেশ নরম চাহনি। ছিপছিপে গড়ন। বেশ সপ্রতিভ।

থত মত খেয়ে বললাম " কি যা তা বলছেন? অদ্ভুত , কে বলেছে আপনাকে অনুসরণ করছি? আমি এদিক দিয়ে শিয়ালদা শর্ট কাট করছিলাম।

হাসিটা লেগে থাকে, " পিছু নেন নি তো?"

সরু গলি। দুয়েকজন তাকাতে তাকাতে গেল।বললাম "না "।

"পিছু নিয়ে কোন লাভ নেই। আপনি যা জানলে খুশি হতেন সেটা আপনি পাবেন না"। একটু দম নিয়ে বললে "ঠিক আছে আপনি এগোন"। বলে হাত দিয়ে আমাকে এগিয়ে যাবার অনুরোধ করে। এরপর আর পিছু নেওয়া যাবে না অন্ধকার গলিতে কোনো অচেনা মহিলা এরকম বললে। কাল বিশুদার সঙ্গে আগে দেখা করে এই ধরা পড়া যাওয়াটা বলতে হবে। হুড়মুড় করে হেঁটে শিয়ালদা গিয়ে বাসে উঠে পড়লাম।

বিশু দা বললে " তুই একটা গবেট। মাধুরী রায় খুব চালাক মেয়ে তোকে আগেই বলেছি না। ওর বাবা আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। জানতে পারলে তুলকালাম করবে বাড়িতে"। একটু থেমে বললে "তুই আর যাস না আমি অন্য কাউকে পাঠাবো"। তারপর কি ভেবে বললে " এবার যখন পিছন নিবি তখন নিজেকে লুকিয়ে চলবি।অনেকটা দূরত্ব রেখে চলবি। কোথায় কোথায় যায় শুধু খবর চাই।বিশুদার কথা মত মুখে মাস্ক আর টুপি পড়ে নিয়েছি। আয়নায় নিজেকে দেখেও চিনতে পারছিনা।বেশ হেমেন রায় এর ডিটেকটিভ মনে হচ্ছে। সকাল থেকে বাড়ির সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পা ব্যথা । অবশেষে মাধুরী রায় বেরোলে। আজ দেখতে আরো সুন্দরী লাগছে। সাধারণ একটা সাদা শাড়িতে লাল সুতির ডুরে শাড়িতে সঙ্গে লাল হাতা ব্লাউজ। কপালে লাল বড় টিপ।গলায় মনে হচ্ছে কালো পাথরের মালা। লম্বা,ছিপছিপে চেহারা। হেঁটে যাচ্ছে সোজা হয়ে। আজ তিনদিন হয়ে গেল আমি পিছু নিয়েছি। প্রথম চাকরি তাই পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার নেই। উনি সারাদিন কোথায় কোথায় যাচ্ছে সেটা জানা এবং বস কে জানানো আমার কাজ। বাবার পাখি শিকারের টুপি সঙ্গে মাস্ক আজ আমাকে চেনার কোনো বাপের সাধ্য নেই।

প্রথম একটা ফুলের দোকানে দাড়ালে। কিছু রজনীগন্ধা ফুল কিনে রিক্সা নিয়ে চলল। আমার বাইক ও পিছু পিছু। শ্যামবাজারের একটি গলিতে ঢুকলে ।


দুপুর গড়িয়েছে। এখনও বেরোন নি।গাছ ধরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাতে পিঁপড়ের কামড় খাচ্ছি। সাত সকালে একটা মধ্যবিত্ত এলাকায় কেউ টুপি আর মাস্ক পড়ে গাছ তলায় দাঁড়িয়ে দেখে পাগল ছাগল ভেবে লোকজন তাকাতে তাকাতে যাচ্ছে।দুপুর হয়ে এল সামনের একটা রেস্টুরেন্ট এ টোস্ট আর অমলেট খেতে ঢুকেছি।সব মুখ নীচু করে পাউরুটি তে কামড় বসিয়েছি। আচমকা সামনের সিটে ধপাস করে ব্যাগ টা রেখে কে একজন বললে " বসতে পারি? মুখ টা তুলে দেখি। ওরে বাপস, এত সেই। মুখে মুচকি মুচকি হাসি। বললে " তাড়াতাড়ি টুপি আর মাস্ক টা পড়ে ফেলুন নাহলে আমি চিনে ফেলতে পারি"।

এরকম অপদস্ত হব ভাবিনি। পাউরুটি মুখে চেয়ে আছি। একদম হাতে নাতে ধরা পড়ে হেসে ফেললাম " খাবার সময? "

মাধুরী রায় ও হাসলে খিলখিল করে , কিন্তু সেটা সারা মুখে চোখে ছড়িয়ে গেল ।চারিদিকের লোক জন একবার মুখ তুলে তাকালে। গলা নামিয়ে বললে " আমাকে কে ফলো করছে সেটাতো আমাকেই খেয়াল রাখতে হবে ? বলুন? "

এর উত্তর আমি কি করে দেই? চেয়ে আছি।সামনে নুনের কৌটো টো নাড়িয়ে চারিয়ে বললে" এখন তো আপনার থেকে আমার দায়িত্ব বেশি"।

দেখলাম হাসলে চোখ দুটো ই হাসতে থাকে ।ছোট্ট একটা টোল পরে দুই গালে। পাউরুটি খাওয়া অর্ধেক হয়ে পরে আছে। নিজেকেই গালি দিতে ইচ্ছে করছে। বললাম " কি করে জানলেন আমি এখানে টিফিন করছি? কেউ কি আপনাকে বলেছে?"

এবার তার মুখে হাত চেপে শরীর কাঁপিয়ে হাসি উঠলে ওঠে। বেশ কিছুক্ষন হেসে একটু থেমে বললে " এ তো খুব সোজা। আমি যে বাড়িতে ঢুকেছিলাম সেখানে আমি তো বেশ কিছুক্ষন ছিলাম। তার মানে আপনি ছিলেন দাড়িয়ে কষ্ট করে। দুপুর হয়ে এল। এখন কাছাকাছি খাওয়াদাওয়া সেরে আমার ওপর নজর রাখতে এই রেস্টুরেন্ট টাই আছে। সুতরাং খুব চান্স এখানেই আছেন ভেবেই ঢুকে পড়েছি। তবে এইরকম প্রশ্ন আপনার থেকে একদম আশা করিনি"।

মেয়েটি বেশ বুদ্ধিমতি। দেখি আর কি বলে।

বললে " আপনার দ্বারা এসব কাজ হবে না । বাবা আপনাকে না বুঝেই নিয়োগ করেছে। আপনি ভালো ডিটেকটিভ হতেই পারবেন না কোনোদিন"।

এ লাইনে অপমান গায়ে মাখতে নেই । ওর বাবা আমাকে নিয়োগ করেনি। করেছে আমার বস শ্যামল সান্যাল কে। ঝাঁঝালো স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম " কেন বলছেন ?"

প্রথমত " আমার খবর নেবার কথা আপনার। আর আমাকেই জিজ্ঞাসা করছেন? বলব নাকি বাবা কে ? আমাকেই চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে আপনাকে"।

ভীষণ রাগ হল। বললাম " আমার কাজ আমাকে করতে দিন । আপনার কাছ থেকে জ্ঞান আমি শুনতে চাইনা। আর কোনো প্রমাণ আছে যে আমি আপনাকে ফলো করছি?একটা রেস্টুরেন্ট তে বসে খাচ্ছি আর আপনি এসে হামলা করছেন।"

"আচ্ছা ,আচ্ছা" হাত তুলে একটু সমঝোতার স্বরে বলে " ঠিক আছে, ঠিক আছে । আপনি আমাকে ফলো করছেন না। শুধু বার বার দেখা হয়ে যাচ্ছে এই যা। কি বলেন ? "

দুকান গরম হলেও মাথা গরম করলে চলবে না। অসম্ভব ধুরন্ধর মেয়ে। ঠাণ্ডা গলায় বললে " দু চাপ চা বলুন, আর আপনার সঙ্গে আমার কথা আছে"।

বেয়াড়া সামনেই দাঁড়িয়ে । দু কাপ চা বলতেই ।মাধুরী বলে ওঠে " শুনুন , আমার একটা প্রপোজাল আছে"।

আমি খাওয়া শুরু করি । আপনার কোনো প্রপোজাল আমার শুনবার দরকার নেই।

মুখের হাসি যেন লেগেই আছে। বললে " আমি জানি বাবা কত দিচ্ছে আপনাকে ।

আমি চুপ করে রইলাম। শপথ ভঙ্গ করতে পারবো না।

সে ছাড়নেওয়ালা নেহি। আমিও আপনাকে আমিও নিয়োগ করতে চাই । বাবা যা দেয় তার থেকে বেশি আপনাকে আমি দেব।

মানে? অদ্ভুত , কেন আপনার নিয়োগ আমি নেব? আমি একটা চাকরি করি ।আর সেটাই করব।

ঠাণ্ডা গলায় বললে 'নেবেন । একশোবার নেবেন । আপনার এই চাকরিটি বজায় রাখতেই নেবেন"।

"কিরকম? ঠাট্টা করছে? ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। আমার খাওয়া শেষ । ভাবছি উঠি কি করে।

মাধুরী উদাস হয়ে বললে " ধরে নিন আপনি ছাড়াও আমাকে কেউ ফলো করছে। সে সত্যি আমার ক্ষতি করতে চায়। এটা জানার পর আপনি পারবেন শুধু ফলো করতে? তারা যদি আমার ক্ষতি করে দেয় তাহলে আপনার চাকরিটা থাকবে ?

এ্যাঁ, আমি ছাড়াও কেউ?

এক্সাক্টলি তাই। আসলে আপনি আসাতে আমার একটু সুবিধাই হয়েছে।

যথেষ্ট হয়েছে। মেয়েটি সত্যি ধুরন্ধর। বললাম " আমি আপনার কোনো কাজের ব্যাপারে নেই। ওনার চা খাওয়া হয়ে গিয়েছে। দোকান থেকে বেরিয়ে মাধুরী মুচকি হেসে বললে " এখন আমি বাড়ি যাবো। আজকের মত পিছন পিছন আসার আর দরকার নেই"।

আমি আবার অপমানিত হয়ে উল্টো দিকে চললাম ।

এই ব্যাপারটা বস কে বলা যাবে না। তাহলে আর চাকরি টা থাকবে না। তবে মেয়েটাকে একটা উপযুক্ত শাস্তি ও দেওয়া দরকার। কিন্তু যদি সত্যি আরো কেউ ওর ক্ষতি করতে ওকে ওয়াচ করে থাকে তাহলে তো তাকেও খেয়াল রাখতেই হবে।

পরদিন সকাল দশটা নাগাদ মাধুরী বের হল দেখলাম ।আজ কিন্তু খুব সাধারণ একটা সালোয়ার কামিজ পড়েছে। নরম স্নিগ্ধ চাহনি দেখে মনে হল ভোরের এক মুঠো শিউলি ।ওর মুখটা অদ্ভুত নমনীয় স্নিগ্ধতা। এতটুকু মেকআপ নেই মুখে। এই প্রথম অনুভব করলাম যারা সত্যি সুন্দরী তাদের খুব সাধারণ পোশাকে আর একটা খোঁপা করা চুল আর মেকআপ ছাড়াই বেশি সুন্দরী লাগে। ভিতরের সৌন্দর্য্য অনেক বেশি ফুঁটে বেরোয়। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই এত বুদ্ধিমতি।

দুর থেকে দেখছি ।মুশকিল হল যখনই ওর পিছনে কোনো একজন বা দুজন মানুষ চলে আসছে তখনই মনে হচ্ছে এদের কথাই কি বলতে চেয়েছিল গতকাল? উল্টো ফুটপাতে দাড়িয়ে কতগুলো ছেলে রোয়াকে বসে গল্প করছিল। মাধুরী সামনে দিয়ে হেঁটে যাবার পর ওরাও দেখলাম উঠে গল্প করতে করতে পিছু নিয়েছে। এরাই তাহলে সেই ছেলেগুলো যারা ওকে ফলো করছে। দুটো মোড় ঘোরার পর যখন ভাবছি গিয়ে ওদের সামনে তরোয়াল খুলে বলব হারে,রে,রে,রে , দেখলাম ওরা অন্য রাস্তা ধরেছে। আবার হতাশ হয়ে পড়লাম। মাধুরী কিন্তু সেই রহস্যজনক বাড়িতে আবার ঢুকল একবার বাজার আর মন্দির ঘুরে। তারপর বসেই আছি , বসেই আছি। দুর থেকে দেখি বেরোল। বেড়িয়ে আলতো করে দরজা বন্ধ করে ফুটপাত ধরে হাঁটতে লাগল। দু দুবার পিছন ফিরে সেই পুরনো দোতলা বাড়ির দিকে তাকাল। একটা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। আজ গিয়ে বস যে জানাতেই হবে। যখন ঢুকল হাসি হাসি মুখে তখন হাতে ফুল, মিষ্টি আর বেরোলো বিষণ্ণ মুখে খালি হাতে। নিশ্চই প্রেমিক ঘাপটি মেরে বসে আছে ভিতরে।

পরদিন দাড়িয়ে দাড়িয়ে মেয়েটি চলে যাবার পর।সেই রহস্যময় বাড়িটিতে আলতো করে ঠেলে ঢুকলাম। সামনে একটা উঠোন। সেখানে দুটো তিনটে বাচ্চা ছেলে সাইকেলে বসে।পিছনে বড় কেউ সেটা ঠেলছে। বারান্দায় দুটো ছয় সাত বছরের মেয়ে হাত তালি দিচ্ছে। হাততালি দেওয়াটা আমাদের মত নয় কখনও দুহাতে তালি পড়ছে কখনও হাত সরে গিয়ে তালি আর পড়ছে না। হাসিটাও অকারণ বেশী। যারা সাইকেলের ওপর বসে তাদের হাসির সঙ্গে মাথা টাও দুলছে অকারণ, অতিরিক্ত।

কাকে চান? প্রশ্ন শুনে পিছন ঘুরে দেখি একজন বয়স্ক মহিলা।ওদের দিকে আঙুল তুলে কিছু বলবার আগেই বললে " হ্যা, মেন্টালি

রিটারডেড। কিছু জানতে এসেছেন? ওইদিকে অফিসে ঘর"।

আমি স্তম্ভিত। ঠিক বাড়িতে ঢুকেছি তো? এদিকওদিক চেয়ে বললাম "ভুল হয়ে গেছে। অন্য বাড়িতে ঢুকে পড়েছি।" বলে দৌড়ে বেড়িয়ে এলাম। বাইরে এসে কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইলাম । কেমন একটা বুক মুচড়ে কষ্ট হচ্ছে শরীরে। রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে যে এমন কিছু দেখতে হবে ভাবিনি। এইরকম শিশু যাদের আছে তাদের কি সাংঘাতিক কষ্ট। কিছুই বোঝে না। অদ্ভুত আচরণ। তারপর ই মাথায় খেলল " মেয়েটা কি ধুরন্ধর। ও জানে আমি পিছন পিছন আসবো ঠিক। তাই আমাকে গুলিয়ে দেবার জন্যে ওকে অন্য কেউ অনুসরণ করছে র গল্প ফেঁদেছিল। তাই বলে এই স্কুলে এতক্ষন কি করে কাটায়? রহস্য আরো ঘনিয়ে এল। নিশ্চয় ওর প্রেমিক এখানে আসে বা কাজ করে। আবার যে গিয়ে খোঁজ নেব তার সাহস হচ্ছে না। শিশুগুলোর দিকে তাকাতেও বুক মুচড়ে উঠছে।ফিরে এসে বস কে বললাম ।বস শুনে গম্ভীর হয়ে গেল। বললে " তোকে বলেছিলাম সাংঘাতিক চালাক মেয়ে। তোকে স্রেফ বোকা বানিয়েছে।পুরো গুলিয়ে দিয়েছে। ঠিক আছে আমি দেখি কথা বলি ক্লায়েন্ট এর সাথে। কি বলেন তিনি"


মাধুরী কে অনুসরণ করা বন্ধ হল।আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।রোজ রোজ এই রকম অপদস্থ হওয়া মোটেই হজম হচ্ছিল না। পেট খারাপ না হলেও মন খারাপ লাগত। রোজ মনে হত চাকরি টা ছেড়ে দেই। কিন্তু রোজগারের অর্জন করা টাকা প্রথম পাবো বলে মেনে নিতাম। দিন সাতেক বাদে একদিন বিকেলে বস ডাকলে ঘরে। গিয়ে দেখি উদাস হয়ে বসে। আমাকে দেখেই বললে " তুমি যে মেয়েটির পিছু নিচ্ছিলে তার বাবা আমাদের ফিস মিটিয়ে দেবেন বলেছেন। একটু থেমে বললে " তোমার সময় আছে ? তাহলে বস । ওনার মেয়ের খারাপ ব্যবহারের জন্যে ক্ষমাও চেয়েছেন । বললাম " আর কিছু বলবেন?"

বললে "উনি বলেছেন তোমার সময় মত একবার ওনার সঙ্গে দেখা করে এস"।

বাড়িটা বেশ বড় দোতলা। নীচে বসবার ঘরে বসেই ছিলেন কিছু কাগজপত্র সামনে খোলা। মাধুরীর ব্যবহারের জন্যে ক্ষমা চেয়ে বললেন " আপনি কি ওই হোমে গেছিলেন? "

বললাম " একদিন কিছুক্ষনের জন্যে। বেশিক্ষণ দাড়িয়ে দেখতে পারিনি। এত রূঢ় বাস্তব সহ্য করা খুব কঠিন"।

" ঠিক তাই। আমি যে কয়দিন গেছি সেদিন ই রাত্রে ঘুম আসেনি। আমার মত কঠিন লোকের ও ধাতস্থ হতে সময় লেগেছে। আমি চাইনা যেতে কিন্তু ওখানে সুক র স্মৃতি ছড়িয়ে"।

আমি ফ্যাকাসে মুখে চেয়ে আছি দেখে বললেন " বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তাইতো? তাহলে পুরোটাই শুনুন। কিছুদিন যাবত আমার সঙ্গে ঝামেলা করে মেয়ে যখন তখন বেড়িয়ে যাচ্ছিল বাড়ি থেকে। অনেকটা সময় বাইরে কাটিয়ে আসত। অনেক প্রশ্ন করেও উত্তর পাইনি। অবিবাহিত ইয়ং মেয়ে চিন্তা তো হয় কোনো খারাপ সংসর্গে পড়ল কিনা । মেয়ে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। কথা শুনছে না । এইসব বলে খুব রাগারাগি করতাম আর তাই অনেক ভেবে আপনাদের অ্যাপয়েন্ট করি" ।

বললাম " একটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে ।"

"বলুন "

"যেই বললাম মাধুরী অনেক টা সময় অমুক মেন্টালি রিটার ডেড বাচ্চাদের হোমে কাটায়। সঙ্গে সঙ্গে আপনি কেমন মিইয়ে গেলেন"। কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন " আপনাদের বাকি ফিস এর চেক টা নিয়ে যাবেন। তবে আর খোঁজ নেবার দরকার নেই"।

ওনার মুখ দেখে ঠিক বুঝতে পারলাম না। বললাম "কেন স্যার? আমরা কি কিছু ভুল করে ফেলেছি? যা দেখেছি তাই আপনাকে জানিয়েছি"।

মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন " না, না, আপনারা আপনাদের কাজ সঠিক ই করেছেন"।

"তাহলে আপনি কেন এরকম বিষণ্ণ হয়ে যাচ্ছেন?"

কিছুক্ষন চুপ করে মাথা নীচু করে এপাশ ওপাশ চাইলেন ।তারপর ভারী গলায় বললেন " জানেন ,আমার একটি ছেলে নাম ছিল সুকান্ত । মাধুরীর থেকে দু বছরের বড়। কিন্তু জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী নামটা শুনেছেন ?"

বললাম" হ্যা। দেখে এলাম তো তাদের"।আবার শুরু করলেন "প্রথম দিকে অনিতা আর আমি প্রথম খুব ভেঙে পড়েছিলাম। পরে ভাবলাম ভগবান যখন দিয়েছেন তখন তাকে ভালো করে চিকিৎসা করে সুস্থ করার দায়িত্ব ও দিয়েছেন । সেটাই ভালো ভাবে চেষ্টা করি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি ,অনেক তাগা, তাবিজ, মাদুলি করে শেষে ফিজিওথেরাপির ওপরই ভরসা করি। যে হোমটায় আপনি গেছিলেন সেটাতেই নিয়ে যেতাম। মাধুরী ওর ভাইকে ভীষণই ভালোবাসত। যদিও সুকু কোনো কথাই বুঝতে পারত না, তবু মাধুরী বাড়িতে থাকলে ওর সাথেই অনর্গল কথা বলত। ও একটা খেলার পুতুল ছিল। চুল আঁচড়ে দিত, মুখে পাউডার দিয়ে সাজিয়ে দিত। আমরা কিছুই বুঝতে পারতাম না। মাধুর যখনই কোনো দুঃখ হত ভাইকে জড়িয়ে বসে থাকত"।

জিজ্ঞাসা করলাম" এখন সুক কোথায়?"। অসহায় মুখে বললেন "নেই। নমিতা চলে গেল ক্যান্সারে তার ছয় মাসের মধ্যে অরো ও চলে গেল"।

উনি এমন অবলীলায় বললেন যেন অন্য কারুর কথা বলছেন ।আবার শুরু করলেন " নমিতাই ওর সব ছিল। স্নান করানো খাওয়ানো ঘুম পাড়ানো সব ই নমিতা। যখন গেল ওর বয়স সতেরো। বয়েস বেড়েছে কিন্তু মানসিক অবস্থা চার পাঁচ বছরের মত। নমিতা চলে যাবার পর আরো অবুঝ, আরো জেদী হল। কথায় কথায় চিৎকার। অসম্ভব জেধ ।রেগে গেলে খাওয়ানো এক যুদ্ধ। শেষে ব্রেন ক্যান্সার হয়ে চলে গেল। ডাক্তার বলেছিল এরকম বাচ্চা যাদের ওপর ভরসা করে চলে তারা সরে গেলে বাচ্চাদের বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে। নমিতা যাবার পর যত না খালি লেগেছে তার থেকে বেশি খালি হয়ে গেল বাড়ি সুক চলে যাবার পর।বাড়িটা হঠাৎ করে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। তারপর থেকে মাধু আর আমি। বেশ কিছুদিন অনুপস্থিতির বেদনা আর স্তব্ধতার হাহাকার ঘিরে রইল আমাদের। কে কাকে কি বলব? তারপর থেকে আমি বেশি করে আমার বিজনেস এ নিজেকে ডুবিয়ে দেই। বাড়িতে কি হচ্ছে, মাধু কি করছে তার খোঁজ রাখতাম না। পুরোপুরি ব্যবসায়ী মানুষ হলে যা হয় আরকি।

জিজ্ঞাসা করলাম " ও এখনও ওখানে কেন যায়?"

"আমার ওপর অভিমান, দুঃখ সর্বোপরি সুক কে খুঁজতে। আমার ব্যবহারে যখনই মন খারাপ হয়, ওর সুক কে চাই। ওই বাচ্চাগুলোর মধ্যে অরোর ছায়া পায়। ওদের মধ্যে অরো কে খুঁজে পায়। ওদের সাথে সময় কাটিয়ে মন হালকা করে ফেরে। তাই আপনারা যখন বললেন যে ওই হোম টায় যায় তখনই আমার সব দুশ্চিন্তা দুর হয়। এত অবধি বলে চুপ করেন।ঘরে ঢুকে লোকটাকে যত টা কঠিন , গম্ভীর মনেহয়েছিল এখন আর মনে হচ্ছে না। ওনার জন্যে খারাপ ই লাগল। হঠাৎ বললেন "চা খাবেন?"

বললাম" না। উনি বললেন " আপনি খেলে আমিও একটু খাই"।চায়ের কথা চাকর কে ডেকে বলে একটু থেমে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বললেন " আমি তো খুব কঠিন মানুষ আমার কষ্ট কম। আপনাকে এত কিছু বলে ফেললাম কেন না আপনি অনেকটা ই জেনেছেন তাই পুরোটাই জানা উচিত। মাধুর কষ্ট দেখে মনে হয় কঠিন মানুষ, খারাপ মানুষ হলে সাংসারিক দুঃখ কষ্ট টা অনেক কম হয়"।

আমি বললাম "কেন?"

উনি বললেন " বাহ! জানেন না? খারাপ মানুষ, কঠিন মানুষদের যে কোনো কষ্ট থাকতে নেই" । ছলছল করে উঠল নিঃসঙ্গ মানুষ টার চোখ। মুখটা ঘুরিয়ে নিলেন।

আমার আর কিছু জানার ছিল না। মাধুরী যদি ওদের মধ্যে থেকে আনন্দ পায় তাহলে সেই ভালো। বেড়িয়ে রাস্তায় নেমে কিছুটা গিয়ে পিছন ফিরে একবার বাড়িটা দেখতে গিয়ে দেখি দূরে বারান্দায় মাধুরী দাড়িয়ে।এক মাথা ভেজা চুল, একটা হালকা গোলাপি রঙের গাউন পড়া। যেন এই ঘুম থেকে উঠেছে । এক মুখ হাসি লেগে মুখে।দু হাত নেড়ে দেখালে মাস্ক টা পড়ে নিতে। তাইতো! ঘোরের মধ্যে মাস্ক না পড়ে বেড়িয়ে এসেছি রাস্তায়। হেসে হাত নাড়াই।পকেট থেকে মাস্ক বার করে পড়ি। মুখ তুলে দেখি মুখে হাত চেপে খিলখিল করে হাসছে ।বুড়ো আঙ্গুল উঁচিয়ে সমর্থন জানালে। ওত দূরের হাসির ঢেউ হঠাৎ করে ভেসে এসে সারা মন শরীর ভিজিয়ে দিয়ে গেল। উন্মুক্ত বারান্দায় গ্রিলের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলোছায়া পড়েছে মুখে। ওকে কেমন অন্য গ্রহের কেউ মনেহল।



অস্ত্র কারখানায় গ্রুপ-C পদে চাকরি, কয়েকশো শূন্যপদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ || Army Ordnance Corps Group-C Recruitment 2022


 



ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিচালিত অস্ত্র কারখানা অর্থাৎ Army Ordnance Corps-এ গ্রুপ সি (Group-C) কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ। নিয়োগটি করা হবে ম্যাটেরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে। 


এটিতে অল ইন্ডিয়া ভ্যাকান্সি রয়েছে, তাই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নিচে এই নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য এক এক করে জানানো হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, মোট শূন্য পদ, আবেদন পদ্ধতি, নিয়োগ পদ্ধতি সমস্ত কিছু নীচে আলোচনা করা হল-




নিয়োগ সংস্থা - Army Ordnance Corps (AOC)




চাকরির ধরণ - স্থায়ী সরকারি চাকরি



মোট শূণ্যপদ - 419+ (UR-171, EWS-42, OBC-113, SC-62, ST-31, ESM-41, MSP-20, PwBD-16)


Region অনুযায়ী শূন্যপদ:

Eastern- 10

Western- 120

Northern- 23

Southern- 32

South Western- 23

Central West- 185

Central East- 26

পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের Central East রিজিওনে আবেদন করতে হবে। 


বেতন- 29,200 – 92,300 টাকা




আবেদনের মাধ্যম - অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।


নিয়োগের নোটিশ নম্বর: AOC/CRC/2022/OCT/AOC-01


পদের নাম: ম্যাটেরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Material Assistant)



বয়সসীমা: বয়স 18 থেকে 27 বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছাড় পাবেন।



শিক্ষাগত যোগ্যতা: যে কোনো বিষয়ে গ্রাজুয়েশন পাস করতে হবে। অথবা যেকোনো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট এর ডিপ্লোমা অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা করা থাকতে হবে। 





নিয়োগ প্রক্রিয়া:


লিখিত পরীক্ষা, স্কিল টেস্ট/ফিজিক্যাল এন্ডুরেন্স টেস্ট, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এবং মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করে নিয়োগ করা হবে। 


লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর দিলে 0.25 নম্বর কেটে নেওয়া হবে।

পরীক্ষার জন্য সময়সীমা থাকবে 2 ঘন্টা।  



লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস:


(1) General Intelligence & Reasoning -50

(2) Numeric Aptitude -25

(3) General Awarenes -25

(4) English Language & Comprehension -50


মোট 150 নম্বর।



আবেদন প্রক্রিয়া: 

(1) Army Ordnance Corps (AOC) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে। আবেদন করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো- https://www.aocrecruitment.gov.in/


(2) আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য আবেদন করার ডাইরেক্ট লিংক নিচে দেওয়া হয়েছে। ওই লিংকে ক্লিক করলেই আবেদন করার মেইন পেজ খুলে যাবে।


(3) প্রথমে আবেদনকারীকে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে নতুন একাউন্ট খুলতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে তার নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।


(4) রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে দরকারী তথ্য পূরণ করে লগইন করে নিতে হবে।


(5) লগইন করার পরে আবেদন করার মেন পেজ ওপেন হবে এখানে অনলাইন ফর্মটি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 




গুরুত্বপূর্ণ তারিখ :-


নোটিশ প্রকাশ - 22.10.2022

আবেদন শুরু - 22.10.2022

আবেদন শেষ - 12.11.2022 



Official Website-

Click here 🔴


Notice Download-

Click here 🔴


Apply Now-

Click here 🔴


Tuesday, November 1, 2022

রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে ডাটা ম্যানেজার পদে কর্মী নিয়োগ || WB Kanya shree prokolpo Recruitment 2022 || Data entry Recruitment 2022 || https://purbabardhaman.nic.in/




আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে আবার নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ডাটা ম্যানেজার (Data Manager) পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। নির্দিষ্ট পদে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতায় এখানে ছেলে ও মেয়ে সকলেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 


পুর্ব বর্ধমান জেলার ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর এর অফিস থেকে জারি করা এই চাকরিটি সম্পূর্ণ চুক্তিভিত্তিক। অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


আপনি যদি এখানে আবেদন করতে ইচ্ছুক হন তাহলে নিচের প্রতিবেদনটি বিস্তারিতভাবে পড়ে নিন। এই প্রতিবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বেতন, বয়সসীমা, শূন্যপদ, নিয়োগ পদ্ধতি, আবেদন পদ্ধতি ইত্যাদি নীচে আলোচনা করা হল -





নোটিশ নম্বরঃ E89 /DPMU/KP/PBDN/XII/43


নোটিশ প্রকাশের তারিখঃ 14.10.2022


আবেদনের মাধ্যমঃ অনলাইন ও অফলাইন দুই ভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন।





নিয়োগের তথ্য (Post Details)

পদের নামঃ ব্লক ডাটা ম্যানেজার (Block Data Manager)


বেতনঃ প্রতি মাসে 11,000 টাকা।




শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ গ্রাজুয়েশন পাশ। সঙ্গে থাকতে হবে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের ডিপ্লোমা পাশ । এছাড়াও 1 বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।




বয়সসীমাঃ প্রার্থীর বয়স 21 থেকে 40 বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে বয়সের ছাড় পাবেন।



শূন্যপদঃ 3 টি (কালনা I BDO- 1, গলসি I BDO- 1, আউসগ্রাম I BDO- 1)


নিয়োগ পদ্ধতিঃ

সর্বপ্রথম হবে লিখিত পরীক্ষা। তারপরে কম্পিউটার টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্রার্থীদের বাছাই করে নিয়োগটি সম্পূর্ণ হবে। 






আবেদন পদ্ধতিঃ

এখানে প্রার্থীরা অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই আবেদন করতে পারবেন।


অনলাইনে আবেদন করার জন্য নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে সবার প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপরে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপরে, লগ ইন করে আবেদনপত্রকে সঠিকভাবে পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলি স্ক্যান করে আপলোড করে সাবমিট করতে হবে।


অফলাইনে আবেদন করার জন্য প্রথমে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিটি মোবাইলে অথবা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপরে বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর পেজে থাকা আবেদনপত্রটিকে একটি A4 সাইজের পেপারে প্রিন্ট আউট করে নিতে হবে। তারপরে আবেদন পত্রটিকে সঠিক পূরণ করে এবং তার সঙ্গে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলি জেরক্স ও সেল্ফ এটেস্টেড করে একটি খামে ভর্তি করতে হবে। সবশেষে নিচে উল্লেখিত ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।






অফলাইনে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার ঠিকানাঃ

To the District Magistrate and Collector, District Project Manager Unit, Kanyashree Prakalpa, New Administrative Building, 3rd Floor, Purba Bardhaman.


গুরুত্বপূর্ণ তারিখ-


নোটিশ প্রকাশ - 14.10.2022

আবেদন শুরু - 14.10.2022

আবেদন শেষ - 11.11.2022 




Official Website-

Click here 🔴


Notice Download-

Click here 🔴


Apply Now-

Click here 🔴

Monday, October 31, 2022

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -25


 


আমার মর্মবেদনা অনুভব করে শ্যামলীদি বলল, কোন চিন্তা করিস না, আমি যখন আছি তোর বাবাকে আর পথে পথে ভিক্ষে করতে দেব না। আমার বাসাতে রেখে আমি তাকে সুস্থ করে তুলবো। আমাকে দেখিয়ে দিবি কে তোর বাবা। বিলম্ব না করে শ্যামলীদিকে সাথে নিয়ে হাজির হলাম। বাবা তখন ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে শহরের অভিমুখে।


একজন ধনী পুত্র হয়ে এক মুঠো অন্ন সন্ধানে পথে পথে ভিক্ষে করছে। অদৃষ্টের কি নিষ্ঠুর পরিহাস। তবে কি এ তার কর্মফল ? কেউ উত্তর দেয়নি। বার বার মনকে জিজ্ঞেস করেও কোন উত্তর পাইনি। শুধু দারুণ মর্মবেদনায় আমার অন্তর জ্বলে জ্বলে উঠছিলো। বাণবিদ্ধা হরিণীর মতো আমাকে কাতর করে তুলেছিল। এই স্থানে বাবাকে একটি বারও বাবা বলে ডাকতে পারবো না। মেয়ে বলে পরিচয় দিতে পারবো না। আমার কণ্ঠস্বর তার কানে পৌঁছলে বাবা জানতে পারবেই আমি তার কন্যা রমা।

নোংরা পল্লীতে নোংরা মেয়ে ছাড়া কি ভালো মেয়ে থাকবে? বাবা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে, শ্যামলীদি বাবার কাছে গিয়ে বলল, আপনি ফিরে যাচ্ছেন বাবা?

কে বাবা বলে ডাকলে মা? তবে কি রমা? না-না এ রমার কণ্ঠস্বর নয়। আর এই নোংরা পাড়ায় রমা আসবে কেন? রমা ভালো চাকরি পেয়েছে। কিন্তু হতভাগী মা আমার কোথায় যে আছে জানি না। তুমি কে?

আমাকে আপনার মেয়ের মতো মনে করবেন। অনেক দিন হলো বাবাকে হারিয়েছি। তারপর ভাবলাম আপনিই আমার বাবা, কারণ আপনাকে দেখতে আমার বাবার মতো। সেই মুখ, চোখ, সেই নাক একই রকম দেখতে যেন। তাই -

তোমার বাবাকে কি হারিয়ে ফেলেছো মা?

হ্যাঁ, বাবা পাগল হয় আমাদের সকলকে ছেড়ে কোথায় যে চলে গেছেন আজও পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। আপনার সাথে যখন আমার বাবার অনেকখানি সাদৃশ্য আছে সেজন্য আপনাকেই বাবা বলে মেনে নেব। আপনি কি আমাকে মেয়ে বলে মেনে নিতে পারবেন না।

কিন্তু এই নোংরা পল্লীতে

ভাগ্য এখানে টেনে এনেছে বাবা। আপনি আমার বাসায় চলুন, আপনি ক্লান্ত অবসন্ন, আপনার বিশ্রামের দরকার। সময় হলে আমার দুঃখের কথা শোনাবো। অশুচি, অপবিত্র বলে ঘৃণা করবেন না ।

ও কথা কেন বলছো মা। বাবা কি মেয়েকে কখনো ঘৃণা করতে পারে ? হ্যাঁ, মা আমি তোমার সাথে যাবো। আমার ভীষণ ক্ষিদে পেয়েছে, কিছু খেতে দেবে মা? জানো মা গত দু'দিন থেকে আমি অভুক্ত আছি।

আমার সাথে আসুন সব ব্যবস্থা হবে। বাবার অভুক্ত থাকার কথা শুনে আমি একরকম মুখ চাপা দিয়ে কেঁদে উঠলাম। নিজেকে সান্ত্বনা দেবার ভাষা খুঁজে পেলাম না। আমার কান্না শুনে বাবা বলে উঠলেন, কে কাঁদছে মা?

ও আমারই বোন। বাবা ওকে ভীষণ ভালোবাসতেন। আসুন আমার সাথে, বাড়ীতে গিয়ে পরিচয় হবে। শ্যামলীদি বাবার হাত ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলো বাসার দিকে। আমি মুখে কাপড় গুঁজে কাঁদতে কাঁদতে পিছনে চললাম। কি দুর্ভাগ্য আমার। বাবাকে কাছে পেয়েও বাবার নিকট আমার পরিচয় দেবার মতো মুখ নেই। যদি তিনি দৃষ্টিশক্তি না হারাতেন তাহলে আমি কি করতাম? তবে কি বাবাকে উপেক্ষা করে চলে যেতাম? মানসিক যন্ত্রণাকে কোন প্রকারে চাপা দিতে না পেরে ঘরের ভেতরে গিয়ে তক্তাপোষের উপর উপুড় হয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকলাম। শ্যামলীদি আমার পিঠে ঘা মারলো। তবুও আমার মন মানলো না। কাটা ছাগলের মতো ছটপট করতে থাকলাম। শ্যামলীদি দ্বিতীয়বার ধমক দিতে নিজেকে একটু শান্ত করলাম। ধীরে ধীরে দরজার কাছে এগিয়ে এসে এক দৃষ্টে বাবার মুখপানে তাকিয়ে বার বার ঠাকুরদার কথা মনে পড়তে থাকল। কত আদর যত্ন করে বাবাকে মানুষ করেছিলেন। আজ তার এই দুর্দশা। আর মেয়ে বারবণিতা। যে পাপের বোঝা মাথায় বয়ে চলেছি তার ঘৃণ্য ইতিহাস প্রকাশ করে বাবার এই দুর্বলচিত্তে শোকানল প্রজ্বলিত করতে চাই না। হয়তো আমার পরিচয় জানতে পারলে মানসিক স্থৈর্য্য রাখতে পারবেন না ।

শ্যামলীদি খাবারের ব্যবস্থা করল। খাবার মুখে তুলে বললেন, বহুদিন পর আজ মেয়ের ডাক শুনলাম মা। তোমার মতো আমারও একটি মেয়ে ছিল। বড় আদর যত্ন করতো। কিন্তু এই কলকাতাতে চাকুরি করতে এসে আর ফিরে গেলো না। জানো মা, এই মহানগরীর জনস্রোতে কোথায় যে হারিয়ে গেছে জানতে পারিনি। চোখের দৃষ্টিকে হারিয়ে আমি আবার নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছি। এই কলকাতা শহরে ছেলে ও মেয়ে দুজনকে হারিয়ে ফেললাম। আমার নিকট এই কলকাতা মহানগরী এক বিভীষিকা। ওদের চিন্তায় এই আমার অবস্থা। আমার মনে হয় নিশ্চয়ই এ আমার পূর্ব জন্মের পাপ।

শ্যামলীদি বলল, আগে খেয়ে নিন তারপর আপনার কথা শুনবো। বাবা কথা না বলে মুখে খাবার তুললেন। একটু পর হঠাৎ কাশি আরম্ভ হলো। পরপর দুদিন অনাহারে থেকে ওর ভেতরটা শুকিয়ে গেছে। কাশি থামছে না। এক সময় কাশির সাথে এক ঝলক রক্ত বেরুতেই চমকে উঠলাম। তবে কি বাবার টি.বি. হয়েছে।

শ্যামলীদি দৌড়ে এসে বাবাকে ধরলো। চাপ চাপ তাজা রক্ত মুখ দিয়ে অনর্গল বেরুতে লাগলো। শ্যামলীদিকে অতি ধীর কণ্ঠে বললাম, বাবার একি অবস্থা দিদি? আমি যে সহ্য করতে পারছি না।

কোন ভয় নেই, আমি যখন আছি সব ব্যবস্থা হবে। তুই এক কাজ কর, বাবার

দিকে নজর রাখ আমি ডাক্তার ডাকছি। বাবা বললেন, ডাক্তার ডাকতে হবে না মা। আমার টি.বি. হয়েছে। আগে কয়েক বারই মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। আমার মেয়ের অনুসন্ধানে দীর্ঘকাল অনাহারে, অনিদ্রায় যত্রতত্র খুঁজেছি। যার ফলেই আমাকে দুরারোগ্য ব্যাধির কবলে পড়তে হয়েছে। আমার যাবার দিন ঘনিয়ে এসেছে মা।

তুমি অস্থির হয়ো না। এই মানুষটাকে শেষ হতে দাও। আমার বেঁচে থেকে কি

লাভ ?

শ্যামলীদি আমার কাঁধে হাত রেখে জানিয়ে দিলো ঘাবড়াবার কিছু নেই। আমি ডাক্তার নিয়ে আসছি। বিলম্ব না করে শ্যামলীদি দরজার দিকে এগিয়ে যেতেই দুজন পুলিশ ইন্সপেকটর ও চারজন কনস্টেবল এসে শ্যামলীদির পথ অবরোধ করে বললেন, এখানে শ্যামলী চৌধুরী কার নাম?

কি দরকার তার সাথে ?

আমরা জানতে চাইছি, দুজনের মধ্যে কার নাম শ্যামলী চৌধুরী? শ্যামলীদি একটু চিন্তা করে বলল, আমি শ্যামলী চৌধুরী। এবার বলুন কি প্রয়োজন ? আপনাকে গ্রেপ্তার করতে এসেছি।

কারণ?

আপনি খুনী।

খুনি ?

হ্যাঁ। এই চাবুকাটা চিনতে পারছেন? এই চাবুকের বাঁটে আপনার নাম লেখা আছে। তাছাড়া শিবাজী সিং এর একটা লোক ধরা পড়েছে। সে আপনার নাম বলেছে। চলুন বিলম্ব করবেন না।

Post Office Recruitment 2022 || মাধ্যমিক পাশে 25,000 টাকা বেতনে ভারতীয় পোস্ট অফিসে বিপুল পরিমাণে কর্মী নিয়োগ || Post Office Group-D Recruitment 2022


 




মাধ্যমিক পাশ করা থাকলেই সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের ডাকঘরে D Group কর্মী নিয়োগীকরণ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বৃহত্তম সুখবর। লিখিত পরীক্ষা ব‍্যবস্থা নেই , সরাসরি সাক্ষাৎকারের স্থানে পৌঁছে সাক্ষাৎকার দিয়ে চাক‍রি পেয়ে যাবেন। পশ্চিমবঙ্গবাসী ও মাধ্যমিক পাশ করলেই এখানে চাকরি পেয়ে যাবেন। মহিলা পুরুষ সকলেই আবেদন করতে পারেন। চাকরিতে উৎসাহীদের জন‍্য বিস্তারিত তথ‍্য নিম্নরূপ ---- 


সারা ভারতের যে কোনো প্রান্তের নুন্যতম মাধ্যমিক পাস নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল বেকার চাকরিপ্রার্থীরা এখানে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নীচে এই নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হল।
শূন্যপদ গুলির নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স সীমা নীচে আলোচনা করা হল -



Postal Assistant/ Sorting Assistant- 

এই পদে আবেদনের জন্য  স্বীকৃত বোর্ড থেকে নুন্যতম উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে হবে। সঙ্গে লাগবে ৬০ দিনের বেসিক কম্পিউটার কোর্সের সার্টিফিকেট। তবে যারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক লেভেলে মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশানে নিয়ে লেখাপড়া করেছেন তাদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের মার্কসীটেই কাজ হবে।  আলাদা কোনো সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই। এই পদে চাকরির জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই শারীরিক ভাবে পুরোপুরি সক্ষম হতে হবে অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। এবং সেই সঙ্গে খেলাধুলাতে পারদর্শী হতে হবে। এই পদে ১৮-২৭ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে। তবে SC, ST, OBC এবং PWD শ্রেনীর প্রার্থীরা নিয়মানুযায়ী ৩-১৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন। এবং Ex-Serviceman এ রা ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এখানে বেতন পাবেন প্রতি মাসে ২৫,০০০-৮১,০০০ টাকা।



Postman/Mailguard- 

এই পদে আবেদনের জন্য স্বীকৃত বোর্ড থেকে নুন্যতম উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে হবে। সঙ্গে লাগবে ৬০ দিনের বেসিক কম্পিউটার কোর্সের সার্টিফিকেট। তবে যারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক লেভেলে মডার্ন কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশানে নিয়ে লেখাপড়া করেছেন তাদের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের মার্কসীটেই কাজ হবে। আলাদা কোনো সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই।  এই পদের জন্য আবেদন করার জন্য চাকরিপ্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক ভাবে পুরোপুরি সক্ষম হতে হবে অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। এবং সেই সঙ্গে খেলাধুলায় পারদর্শী হতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই 2/3/4 Wheeler চালাতে জানতে হবে। এবং অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। এই পদে আবেদন করতে হলে বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছর। তবে SC, ST, OBC এবং PWD প্রার্থীরা নিয়মানুযায়ী ৩-১৫ বছর বয়স পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন। এবং Ex-Serviceman এ রা ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এই পদে বেতন দেওয়া হবে ২১,৭০০-৬৯,১০০ টাকা।


Multi Tasking staff- 

এই পদে আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্বীকৃত বোর্ড থেকে নুন্যতম মাধ্যমিক পাস করতে হবে। এবং সেই সঙ্গে স্থানীয় ভাষায় অর্থাৎ গুজরাটি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে এবং মাধ্যমিক লেভেলে গুজরাটি ভাষা বিষয় হিসেবে থাকতে হবে। এবং খেলাধুলায় পারদর্শী হতে হবে।  এই পদে আবেদন করতে হলে আপনার বয়স ১৮-২৫ বছরের মধ্যে‌ হতে হবে ‌‌। তবে SC, ST, OBC এবং PWD শ্রেনীর প্রার্থীরা নিয়মানুযায়ী ৩-১৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন। এবং Ex-Serviceman এ রা ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এই পদে বেতন দেওয়া হবে প্রতি মাসে ১৮০০০-৫৬,৯০০ টাকা।




আবেদন পদ্ধতি:- এই দপ্তরে চাকরির জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এবং এর জন্য যা যা করতে হবে সেগুলি হল-

১) সর্বপ্রথম অফিসিয়াল ওয়েবসাইট dopsportsrecruitment.in এ যেতে হবে।

২) সেখানে গিয়ে Apply now Option এ ক্লিক করে আপনার নিজের যাবতীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন।

৩) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আপনাকে একটি User Id ও Password দেওয়া হবে সেটি দিয়ে Login করারর পর একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের ফর্ম আসবে সেখানে আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেন্ডার, বয়স, ঠিকানা, আধার নম্বর, একটি বৈধ ইমেল আইডি ও ফোন নাম্বার ইত্যাদি লিখে ফর্ম টিকে ফিলাপ করে ফেলুন।

৪) এরপর আপনার নিজের একটি পাসপোর্ট সাইজের ফটো স্ক্যান করে ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করে দিন এবং সিগনেচারের জায়গায় একটি সিগনেচার স্ক্যান করে আপলোড করে দিন।

৫) সবশেষে আপনার নিজের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান করে ফর্মের সঙ্গে যুক্ত করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার অ্যাপ্লিকেশন হয়ে যাবে।


প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:- আবেদন পত্রের সঙ্গে যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে সেগুলি হল-

১) বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড।

২) আধার কার্ড।

৩) সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার ডকুমেন্ট।

৪) কম্পিউটার কোর্সের সার্টিফিকেট।

৫) ড্রাইভিং লাইসেন্স।

৬) সমস্ত খেলাধুলা সম্পর্কিত সার্টিফিকেট।

৭) কাস্ট সার্টিফিকেট।


নির্বাচন পদ্ধতি:- আবেদনকারীদের অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট ভিত্তিক একটি মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে। এই মেরিট লিস্ট দেখতে  পাবেন অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। এই লিস্টে যাদের নাম থাকবে তাদেরকে ই-মেইল করে বা স্পীড পোস্টের মাধ্যমে ইন্টারভিউ লেটার পাঠিয়ে ইন্টারভিউ ও স্কিল টেস্ট এবং ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হবে। সব শেষে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের ডেকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট পদে ট্রেনিং করিয়ে ট্রেনিং শেষে সরাসরি চাকরিতে স্থায়ীপদে নিয়োগ করা হবে। 


আবেদন করার গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:- গত ২৩/১০/২০২২ তারিখ থেকে আবেদন শুরু এবং এই আবেদন চলবে আগামী ২২/১১/২০২২ তারিখ পর্যন্ত। 

OFFICIAL NOTICE: 

OFFICIAL WEBSTE: 


Friday, October 28, 2022

ইনফোসিস কোম্পানিতে কয়েক হাজার কর্মী নিয়োগ || মাসিক বেতন 24,500 টাকা || Infosys Work From Home Job 2022


 


সমগ্র ভারতের একটি অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি হল ইনফোসিস লিমিটেড (Infosys Limited)। বর্তমান বিজ্ঞপ্তি তে এই কোম্পানিতে প্রচুর সংখ্যক শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। নিয়োগ এর সব থেকে ভালো খবর হল, এটি বাড়ি থেকেই করা যাবে অর্থাৎ এই কাজটি Work from Home অনুযায়ী করানো হবে। অর্থাৎ যারা বাড়িতে থেকেই কাজ করতে ইচ্ছুক তারা এই কাজটির জন্য আবেদন করতে পারেন। 


সমগ্র ভারত তথা আমাদের রাজ্যের অন্তর্গত সমস্ত জেলা থেকে ছেলে এবং মেয়ে সকল চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সরাসরি ইনফোসিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


 এই নিয়োগ সংক্রান্ত বয়সসীমা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বেতন, শূন্যপদ, নিয়োগ পদ্ধতি, আবেদন পদ্ধতি সহ সমস্ত বিস্তারিত তথ্য নীচে আলোচনা করা হল-



নিয়োগের তথ্য (Post Details)


পদের নামঃ ইন্টার্নশিপ (Internship) 


বেতনঃ 24,500 থেকে 34,700 টাকা বেতন দেওয়া হবে। 


শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ গ্র্যাজুয়েশন পাশ (Graduation Pass)।



বয়সসীমাঃ সর্বনিম্ন 18 বছর হতে হবে। এছাড়া সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন সংরক্ষিত প্রার্থীরা।


মোট শূন্যপদঃ সর্বমোট 1000 এরও বেশি।



চাকরির ধরনঃ ফুল টাইম পার্মানেন্ট চাকরি 


নিয়োগ পদ্ধতিঃ

সর্বপ্রথম প্রার্থীদের একটি পারসোনাল ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ইন্টারভিউ উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে এই পদে নিয়োগ করা হবে ‌।




আবেদন পদ্ধতিঃ


ইনফোসিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রথমে গিয়ে নিজের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।


তারপর আইভি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।


আবেদন পত্র পূরণ করার সময় প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলো স্ক্যান করে আপলোড করে নিতে হবে।


এরপরে ফাইনাল সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।


গুরুত্বপূর্ণ তারিখ (Important Dates) :


নোটিশ প্রকাশ - 15.10.2022

আবেদন শুরু - 15.10.2022

আবেদন শেষ - 18.11.2022 



Official Website -

Click here 🔴



Apply Now -

Click here 🔴