Wednesday, November 9, 2022
উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -26
Tuesday, November 8, 2022
ছোট গল্প - মৃত্যুই শেষ নয় || লেখক - তনিমা সাহা || Written by Tanima Saha || Short story - Mrityuy ses noi
মৃত্যুই শেষ নয়
তনিমা সাহা
সাবিত্রীর হাত-পা গুলো শুষ্কতার জন্য ফেটে গেছে। সেখান থেকে এখন রক্ত বেরোচ্ছে। সাবিত্রীর দুচোখ বেয়ে ঝরে পরছে গরম নোনা জল। তবে যতটা না শারীরিক কষ্টের জন্য সে কাঁদছে, তার চেয়েও বেশি কাঁদছে মনের যাতনার জন্য। আজ দুমাস হয়ে গেল মকবুল নেই। পুরোনো অভ্যেসে বালিশের তলায় হাত দিয়েই জোর চমকে উঠল সাবিত্রী।
ভালবাসার বিয়ে মকবুল আর সাবিত্রীর। গরীব বলেই হয়তো বিধর্মে বিয়ে করতে বেগ পেতে হয় নি তাদের বিশেষ। পয়সাওয়ালাদের তো দেখে কিছু একটা হলেই ইয়া বড়ো বড়ো করে খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে! কিন্তু তাদের বেলায় পরম দয়াময়ের কৃপায় সেসব কিছুই হয় নি। রিক্সা চালাতো মকবুল আর সাবিত্রী তিনটে বাড়ির রান্নার কাজ করত। কোনোরকমে টেনেটুনে ঠিক চলে যেত ওদের সংসার। খুব সুন্দর হাতের কাজ জানতো মকবুল। কিন্তু অভাবের তাড়নায় তার পড়াশোনা বা শিল্প ওইসব দিকে কিছু করা হয়ে ওঠেনি। তবে মকবুলের তাতে কোন আফসোস ছিল না।
সে বলতো, 'জানো তো সাবিত্রী আল্লাহ্ কখনোই সবদিক থেকে আমাদের মারে না। বই পড়া হয়তো বা হয়নি কিন্তু শিল্পকে আমি ছাড়িনি।'
বিবাহবার্ষিকীতে মকবুল বিভিন্ন সাজের জিনিস দিয়ে কখনও ফুলের মতো বা কখনো অন্য কিছুর আকার বানিয়ে উপহার দিত সাবিত্রীকে। সারাবছর সাবিত্রীর তাতে চলে যেত। মকবুল কী করে যেন আগে থেকেই সাবিত্রীর সব প্রয়োজনের কথা বুঝে যেত। সাতটা বছর ধরে যেন আলোর বন্যায় ভাসছিল তারা। প্রথম প্রথম তারা বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কিছুতেই গর্ভধারণ করতে পারছিল না। ডাক্তারের কাছে যেতে তিনি কি যেন বড়োসরো একটা রোগের নাম বললো, আর তার নামের থেকেও বড়ো ছিল চিকিৎসায় খরচের অঙ্ক। স্পষ্টতঃই সাবিত্রী বুঝতে পেরেছিল যে তাদের কখনো বাচ্চা হবে না। খুব কেঁদেছিল তখন সে।
মকবুল তাকে দুবাহুতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, 'আল্লাহ্ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। একদিকে ভালই হয়েছে! আমাদের এই টানাটানির সংসারে যদি সে আসতো তাহলে সত্যিই কি আমরা তার জন্য কিছু করতে পারতাম। তারচেয়ে একটা কাজ করলে হয়! আমরা যদি এক/দুজন পথশিশুর খাওয়াপরার দায়িত্ব নেই তাহলে কেমন হয়। হয়তো খুব বেশি কিছু করতে পারবো না। কিন্তু ওদের একবেলার খাবার, বছরে একবার জামা-কাপড় দিতে পারবো। তাতে তুমি একজনের নয় অনেকজন বাচ্চার মা হতে পারবে।'
সাবিত্রী বলল, 'কিন্তু মকবুল তাহলে তো আমরা কখনও টাকা-পয়সা কিছুই জমাতে পারবো না। যখন আমাদের বয়েস হবে বা ভগবান না করুক যদি আমরা অসুস্থ হয়ে যাই তখন তো আমাদের কাছে চিকিৎসার জন্যও পয়সা থাকবে না। তখন আমাদের কী করে চলবে মকবুল।'
হেসে মকবুল বলেছিল, 'ওসব চিন্তা আল্লাহর উপরই ছেড়ে দাও! যখন উঁনি আমাদের উপায় বলেছেন তখন দেখবে ওই উপায়কে পাওয়ার পথটাও উঁনিই বলে দেবেন।'
মকবুল কখনওই সাবিত্রীকে ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কিছু বলেনি। মকবুল বলতো সবই 'এক শক্তি'। আমরা আমাদের মনের মতো তাকে সাজিয়ে নেই। তাই তাদের ভিন্ন ভিন্ন নাম ভিন্ন ভিন্ন আকার। সাবিত্রী মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল মানুষটির মানসিকতায়। নিজেকে মনে মনে গরীব হওয়ায় ভাগ্যবতী ভাবলো সে। ভাগ্যিস! মকবুলকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিল। আর্থিক ভাবে নির্ধন হলেও মানুষটি মনের দিক থেকে ছিল চরম ধনী। এরজন্য কতবার যে সাবিত্রী নিজের ঠাকুরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তার হিসেব নেই।
একদিন এমনই পথশিশুদের খাওয়ানোর সময় কোথা থেকে এক বেপরোয়া লড়ি এসে চোখের সামনে রাস্তায় পিষে দিল মকবুলকে। সাবিত্রীর গোটা জীবনটা যেন সেখানেই শেষ হয়ে গেল। কতবার ভেবেছিল নিজেকে শেষ করে মকবুলের কাছে চলে যাবে। কিন্তু তখনই পথশিশুগুলোর মুখ ভেসে উঠতো তার চোখের সামনে। আজকাল তো তার মনে হয় মকবুল যেন তার আশেপাশেই কোথাও আছে। মকবুলের মনটা খুব শৈল্পিক ছিল। যখন কথা বলতো তখন যেমন গুছিয়ে বলতো তেমনই সব জিনিসকে জায়গামতো গুছিয়ে রাখতো যাতে হাত দিলেই পাওয়া যায়। যেমন গরমের সময় পাঁচবাড়ির কাজ করতে করতে বেশি জলঘাঁটার জন্যে সাবিত্রীর সারা পায়ে হাজা হতো। তখন মকবুল একটা হাজার মলম নিয়ম করে সাবিত্রীর মাথার বালিশের নিচে রাখতো যাতে সাবিত্রী হাত দিলেই পেয়ে যায়। শীতকালে তার জায়গায় স্থান নিত বোরোলিন। বিয়ে হওয়া ইস্তক এই নিয়মই চলে আসছে।
আজ ফিরতে বড্ড রাত হয়ে গেছে সাবিত্রীর। যে পথশিশুগুলোকে সাবিত্রীরা দেখাশোনা করতো তারমধ্যে বুলবুলি হল সবচেয়ে ছোটো। বুলবুলিটা আজ হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রান্নার কাজগুলো শেষ করেই বুলবুলিকে নিয়ে ছুটেছিল ডাক্তারের কাছে। সব সেরে ফিরতে ফিরতে বেশ রাত হয়ে গেছে তাই। রাত বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় মাতালদের আনাগোনাও বেড়ে গেছে। জোরে পা চালিয়ে হাঁটছে সাবিত্রী। এই তো এই মোড়টা পেরোলেই ওর বাড়ির রাস্তাটা পড়বে। মোড়টা একটু অন্ধকার-অন্ধকার মতো! একটু ভয়ও করছে সাবিত্রীর। মোড়ের সামনে আসতেই হঠাৎ অন্ধকার ফুঁড়ে তিনটে লোক বেরিয়ে এল। আপাদমস্তক টলছে তাদের। গা থেকে ভুরভুরিয়ে মদের গন্ধ বেরোচ্ছে। সাবিত্রীর বমি পেয়ে গেল ওই দুর্গন্ধ শুঁকে। সেটা দেখে তিনজনের একজন খ্যানখ্যানে গলায় বলল, 'আরেব্বাস! ফুলটুসি…. এতো রাতে কোথায় যাচ্ছো। শরীরটা তো খারাপ মনে হচ্ছে। একটু এগিয়ে দেবো নাকি বাড়ি পর্যন্ত।'
সাবিত্রী গলায় জোর এনে বলল, 'পথ ছাড়ো! নইলে...ভাল হবে না বলে দিচ্ছি।'
আরেরজন বলল, 'এই, এই ছেড়ে দে...ছেড়ে দে...নইলে এক্ষুনি 'হালুম' করে উঠবে রে', বলে তিনজনই বিচ্ছিরি ভাবে হাসতে লাগল।
তৃতীয়জন ধমকের স্বরে বলল, 'আমরা যাকে ধরি তাকে যে অত সহজে ছাড়িনা ফুলটুসি! ভালয় ভালয় মেনে যাও। নইলে তোমারই কষ্ট বেশি হবে।'
কথাটা বলে আরেক চোট তারা হেসে উঠল। হাতের খালি মদের বোতলগুলো ফেলে দিয়ে এবার ওরা তিনজন সাবিত্রীর দিকে পায়ে পায়ে এগোল।
সাবিত্রী আবার ধমকে উঠল, 'ভাল হবে না বলছি! পেছনে যা! যেতে দে আমায়।'
প্রথমজন সাবিত্রীর শাড়িতে ধরে টান দিলে দ্বিতীয় জন সাবিত্রীর পড়নের ব্লাউজটাতে টান মারতে যেতেই হঠাৎই চোখমুখ বিকৃত করে কাটা কলাগাছের মতো ধপ্ করে রাস্তায় পড়ে গেল। লোকটি চিৎকার করে এলোপাথাড়ি হাত-পা ছুড়তে লাগল। কিছুপরেই তার চোখ মুখ ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এল। প্রথম জন এই দৃশ্য দেখে মারাত্মক চমকে সাবিত্রীর শাড়ি ছেড়ে কেমন একটা স্থবিরের মতো দাঁড়িয়ে পড়ল। তৃতীয়জন এইসব দেখে ক্রমাগত চিৎকার করতে লাগল, 'এই পল্টু, এই টনি..কি হল রে তোদের! কথা বলছিস না কেন?'
বলতে বলতে সে তার স্থবির হয়ে যাওয়া সাথীর কাঁধে হাত দিতেই সঙ্গে সঙ্গে স্থবির লোকটি ভষ্মে পরিনত হয়ে গেল। তৃতীয়জন এইবার প্রচণ্ড আক্রোশে সাবিত্রীর দিকে তেড়ে আসতেই কোথা থেকে এক ঘূর্ণি বাতাস এসে তৃতীয় লোকটিকে উড়িয়ে নিয়ে চলে গেল। সাবিত্রী এই সমস্তকিছু দেখে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। একটু পর হঠাৎই অন্ধকার মোড়টা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং রাস্তার ধুলোরাশি সরে গিয়ে সেখানে কিছু শব্দ ফুটে উঠল…
'ভয় পেয়ো না সাবিত্রী….আমি মকবুল। আমি থাকতে তোমার কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবে না। জীবিত থাকা অবস্থায় যেমন করে তোমায় আগলে রাখতাম মৃত্যুর পরেও তেমনি তোমায় আগলে রাখবো। তারপর যখন সময় হবে তখন দুজনের দেখা হবে মৃত্যুর ওপারে। মৃত্যুই শেষ নয় সবকিছুর.. সাবিত্রী আমি অপেক্ষা করবো তোমার জন্যে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত তোমার পাশে থাকবো আমি…..এভাবেই।'
এবার সাবিত্রীর কাছে সবকিছু স্পষ্ট হল। কিকরে বালিশের তলায় বোরোলিন আসলো বা কেনই তার চারপাশে মকবুলের উপস্থিতি মনে হত। সেসব কিছুর উত্তর তার ক্রন্দনরত ঠোঁটে হাসি হয়ে ফুটে উঠল।
ছোট গল্প - ব্রাত্য জীবন || লেখক - মিঠুন মুখার্জী || Written by Mithun Mukherjee || Short story - Bratto jibon
ব্রাত্য জীবন
Saturday, November 5, 2022
Special General Knowledge part -1 || October Current affairs in Bengali pdf download || RRb NTPC Gk || RRb group d Gk || Wbp si Gk || Wbp Constable gk || General Knowledge || Special Gk & current affairs Part - 1
1) মাও সে তুং এর উক্তিটি হল ‘Let a hundred flowers bloom'।
Friday, November 4, 2022
রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ || বেতন ২৫ হাজার টাকা || WB health department Recruitment 2022
আবার নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে আমাদের রাজ্যে। অনেক গুলো পদে নিয়োগ করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এখানে চাকরি পেতে দিতে হবে না লিখিত পরীক্ষা। শুধু ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। এটি একটি চুক্তিভিত্তিক পদ। কোন কোন পদে নিয়োগ হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, মোট শূন্য পদ, আবেদন পদ্ধতি, নিয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে আলোচনা করা হল -
পদের নাম -
নার্সিং স্টাফ
কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট
মোট শূন্যপদ - এখানে মোট ৮টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা - এখানে আবেদনের করতে হলে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে GNM নার্সিং কোর্স করতে হবে এবং কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া আবশ্যক।
বয়সসীমা -
প্রতিটি প্রার্থীর বয়সসীমা অবশ্যই ২১-৪০ বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।
বেতন -
নার্সিং স্টাফ পদে মাসিক বেতন দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে মাসিক বেতন দেওয়া হবে ১৩ হাজার টাকা।
কীভাবে আবেদন করবেন -
এখানে শুধু মাত্র অফলাইনে ফর্ম জমা হবে। প্রয়োজনীয় নথি-সহ আবেদনপত্র নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে।
আবেদন পাঠানোর ঠিকানা -
Office of the Chief Medical Officer of Health, MNK Road, Old Outdoor Campus, Kamarpotty More, Rampurhat, Dist-Birbhum, Pin-731224, W.B
আবেদনের শেষ দিন -
১৯ নভেম্বর এর মধ্যে আপনাকে আবেদন পত্র জমা করতে হবে।
কীভাবে নিয়োগ হবে -
এখানে চাকরি পেতে গেলে কোনরকম লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না। শুধু মাত্র ইন্টারভিউ দিয়ে এবং সবশেষে নথি পত্র যাচাই করে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে।
কোথায় নিয়োগ হবে -
বীরভূমের রামপুরহাটের হেলথ অফিসে নিয়োগ হবে।
Official Website-
Wednesday, November 2, 2022
ছোট গল্প - বাস্তবিক রূপকথা || লেখক - কল্যাণ সেনগুপ্ত || Written by Kalyan Sengupta || Short story - Bastobik rupkotha
বাস্তবিক রূপকথা
কল্যাণ সেনগুপ্ত
কালো সালোয়ার কামিজ পড়া মেয়েটি তিন গলির সঙ্গমে দাড়িয়ে, খোঁজার দৃষ্টি নিয়ে এদিক ওদিক চাইলে ।তারপর আবার ডানদিকে ঘুরে হনহন করে এগুতে লাগল। আমার কাজ ওনাকে ফলো করা । গুটিগুটি চলেছি দূরত্ব রেখে.
উত্তর কলকাতার গলি। ভাল করে আলো ঢোকেনা। এখন সন্ধ্যে সাত টা। মাঝে মাঝে কিছু জানলার এক ফালি আলো পড়ে আছে পথ দেখার জন্যে। তারপর আবার আলো আঁধারি। এরকম গলিতে কেন যে কর্পোরেশন ঠিকমত আলো দেয়না কে জানে। কোনো সময় দুই বাড়ির মাঝ খানের নর্দমা বা জমি ছিল এখন এক ফালি রাস্তা হয়ছে। এখানে রিক্সাও যায় না। কিছুদূর পরপরই তিন মাথা চার মাথার জংশন।
ডানদিকে এগিয়ে হঠাৎ মেয়েটি উধাও। এদিকওদিক চাইছি হঠাৎ পিঠে টোকা ।
পিছন ফিরে বুক টা ধড়াস করে উঠল। সামনে কালো সালোয়ার পড়া মেয়েটি দাড়িয়ে। চোখে চোখ রেখে। মুখে তাচ্ছিল্য ভাব। মুখ বেঁকিয়ে দাঁত চিপে বললে " কিছু পেলেন?
একেবারে হোঁচট খাবার মত অবস্থা। একজন সুন্দরী রাস্তায় এরকম প্রশ করছে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল "এ্যাঁ, আজ্ঞে? আমাকে বলছেন?"
মুচকি মুচকি হাসি ঠোঁটের রেখে বলে " বলছি আজ সারাদিন পিছন পিছন ঘুরে কিছু পেলেন ?"
হাতে নাতে ধরা পড়ে গেছি। কিন্তু মহিলা ঝকঝকে , দারুন সুন্দরী। আধ অন্ধকারে ও বোঝা যাচ্ছে খুবই ফর্সা। চোখ দুটি বড় বড় বেশ নরম চাহনি। ছিপছিপে গড়ন। বেশ সপ্রতিভ।
থত মত খেয়ে বললাম " কি যা তা বলছেন? অদ্ভুত , কে বলেছে আপনাকে অনুসরণ করছি? আমি এদিক দিয়ে শিয়ালদা শর্ট কাট করছিলাম।
হাসিটা লেগে থাকে, " পিছু নেন নি তো?"
সরু গলি। দুয়েকজন তাকাতে তাকাতে গেল।বললাম "না "।
"পিছু নিয়ে কোন লাভ নেই। আপনি যা জানলে খুশি হতেন সেটা আপনি পাবেন না"। একটু দম নিয়ে বললে "ঠিক আছে আপনি এগোন"। বলে হাত দিয়ে আমাকে এগিয়ে যাবার অনুরোধ করে। এরপর আর পিছু নেওয়া যাবে না অন্ধকার গলিতে কোনো অচেনা মহিলা এরকম বললে। কাল বিশুদার সঙ্গে আগে দেখা করে এই ধরা পড়া যাওয়াটা বলতে হবে। হুড়মুড় করে হেঁটে শিয়ালদা গিয়ে বাসে উঠে পড়লাম।
বিশু দা বললে " তুই একটা গবেট। মাধুরী রায় খুব চালাক মেয়ে তোকে আগেই বলেছি না। ওর বাবা আমাকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। জানতে পারলে তুলকালাম করবে বাড়িতে"। একটু থেমে বললে "তুই আর যাস না আমি অন্য কাউকে পাঠাবো"। তারপর কি ভেবে বললে " এবার যখন পিছন নিবি তখন নিজেকে লুকিয়ে চলবি।অনেকটা দূরত্ব রেখে চলবি। কোথায় কোথায় যায় শুধু খবর চাই।বিশুদার কথা মত মুখে মাস্ক আর টুপি পড়ে নিয়েছি। আয়নায় নিজেকে দেখেও চিনতে পারছিনা।বেশ হেমেন রায় এর ডিটেকটিভ মনে হচ্ছে। সকাল থেকে বাড়ির সামনে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পা ব্যথা । অবশেষে মাধুরী রায় বেরোলে। আজ দেখতে আরো সুন্দরী লাগছে। সাধারণ একটা সাদা শাড়িতে লাল সুতির ডুরে শাড়িতে সঙ্গে লাল হাতা ব্লাউজ। কপালে লাল বড় টিপ।গলায় মনে হচ্ছে কালো পাথরের মালা। লম্বা,ছিপছিপে চেহারা। হেঁটে যাচ্ছে সোজা হয়ে। আজ তিনদিন হয়ে গেল আমি পিছু নিয়েছি। প্রথম চাকরি তাই পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার নেই। উনি সারাদিন কোথায় কোথায় যাচ্ছে সেটা জানা এবং বস কে জানানো আমার কাজ। বাবার পাখি শিকারের টুপি সঙ্গে মাস্ক আজ আমাকে চেনার কোনো বাপের সাধ্য নেই।
প্রথম একটা ফুলের দোকানে দাড়ালে। কিছু রজনীগন্ধা ফুল কিনে রিক্সা নিয়ে চলল। আমার বাইক ও পিছু পিছু। শ্যামবাজারের একটি গলিতে ঢুকলে ।
দুপুর গড়িয়েছে। এখনও বেরোন নি।গাছ ধরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাতে পিঁপড়ের কামড় খাচ্ছি। সাত সকালে একটা মধ্যবিত্ত এলাকায় কেউ টুপি আর মাস্ক পড়ে গাছ তলায় দাঁড়িয়ে দেখে পাগল ছাগল ভেবে লোকজন তাকাতে তাকাতে যাচ্ছে।দুপুর হয়ে এল সামনের একটা রেস্টুরেন্ট এ টোস্ট আর অমলেট খেতে ঢুকেছি।সব মুখ নীচু করে পাউরুটি তে কামড় বসিয়েছি। আচমকা সামনের সিটে ধপাস করে ব্যাগ টা রেখে কে একজন বললে " বসতে পারি? মুখ টা তুলে দেখি। ওরে বাপস, এত সেই। মুখে মুচকি মুচকি হাসি। বললে " তাড়াতাড়ি টুপি আর মাস্ক টা পড়ে ফেলুন নাহলে আমি চিনে ফেলতে পারি"।
এরকম অপদস্ত হব ভাবিনি। পাউরুটি মুখে চেয়ে আছি। একদম হাতে নাতে ধরা পড়ে হেসে ফেললাম " খাবার সময? "
মাধুরী রায় ও হাসলে খিলখিল করে , কিন্তু সেটা সারা মুখে চোখে ছড়িয়ে গেল ।চারিদিকের লোক জন একবার মুখ তুলে তাকালে। গলা নামিয়ে বললে " আমাকে কে ফলো করছে সেটাতো আমাকেই খেয়াল রাখতে হবে ? বলুন? "
এর উত্তর আমি কি করে দেই? চেয়ে আছি।সামনে নুনের কৌটো টো নাড়িয়ে চারিয়ে বললে" এখন তো আপনার থেকে আমার দায়িত্ব বেশি"।
দেখলাম হাসলে চোখ দুটো ই হাসতে থাকে ।ছোট্ট একটা টোল পরে দুই গালে। পাউরুটি খাওয়া অর্ধেক হয়ে পরে আছে। নিজেকেই গালি দিতে ইচ্ছে করছে। বললাম " কি করে জানলেন আমি এখানে টিফিন করছি? কেউ কি আপনাকে বলেছে?"
এবার তার মুখে হাত চেপে শরীর কাঁপিয়ে হাসি উঠলে ওঠে। বেশ কিছুক্ষন হেসে একটু থেমে বললে " এ তো খুব সোজা। আমি যে বাড়িতে ঢুকেছিলাম সেখানে আমি তো বেশ কিছুক্ষন ছিলাম। তার মানে আপনি ছিলেন দাড়িয়ে কষ্ট করে। দুপুর হয়ে এল। এখন কাছাকাছি খাওয়াদাওয়া সেরে আমার ওপর নজর রাখতে এই রেস্টুরেন্ট টাই আছে। সুতরাং খুব চান্স এখানেই আছেন ভেবেই ঢুকে পড়েছি। তবে এইরকম প্রশ্ন আপনার থেকে একদম আশা করিনি"।
মেয়েটি বেশ বুদ্ধিমতি। দেখি আর কি বলে।
বললে " আপনার দ্বারা এসব কাজ হবে না । বাবা আপনাকে না বুঝেই নিয়োগ করেছে। আপনি ভালো ডিটেকটিভ হতেই পারবেন না কোনোদিন"।
এ লাইনে অপমান গায়ে মাখতে নেই । ওর বাবা আমাকে নিয়োগ করেনি। করেছে আমার বস শ্যামল সান্যাল কে। ঝাঁঝালো স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম " কেন বলছেন ?"
প্রথমত " আমার খবর নেবার কথা আপনার। আর আমাকেই জিজ্ঞাসা করছেন? বলব নাকি বাবা কে ? আমাকেই চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে আপনাকে"।
ভীষণ রাগ হল। বললাম " আমার কাজ আমাকে করতে দিন । আপনার কাছ থেকে জ্ঞান আমি শুনতে চাইনা। আর কোনো প্রমাণ আছে যে আমি আপনাকে ফলো করছি?একটা রেস্টুরেন্ট তে বসে খাচ্ছি আর আপনি এসে হামলা করছেন।"
"আচ্ছা ,আচ্ছা" হাত তুলে একটু সমঝোতার স্বরে বলে " ঠিক আছে, ঠিক আছে । আপনি আমাকে ফলো করছেন না। শুধু বার বার দেখা হয়ে যাচ্ছে এই যা। কি বলেন ? "
দুকান গরম হলেও মাথা গরম করলে চলবে না। অসম্ভব ধুরন্ধর মেয়ে। ঠাণ্ডা গলায় বললে " দু চাপ চা বলুন, আর আপনার সঙ্গে আমার কথা আছে"।
বেয়াড়া সামনেই দাঁড়িয়ে । দু কাপ চা বলতেই ।মাধুরী বলে ওঠে " শুনুন , আমার একটা প্রপোজাল আছে"।
আমি খাওয়া শুরু করি । আপনার কোনো প্রপোজাল আমার শুনবার দরকার নেই।
মুখের হাসি যেন লেগেই আছে। বললে " আমি জানি বাবা কত দিচ্ছে আপনাকে ।
আমি চুপ করে রইলাম। শপথ ভঙ্গ করতে পারবো না।
সে ছাড়নেওয়ালা নেহি। আমিও আপনাকে আমিও নিয়োগ করতে চাই । বাবা যা দেয় তার থেকে বেশি আপনাকে আমি দেব।
মানে? অদ্ভুত , কেন আপনার নিয়োগ আমি নেব? আমি একটা চাকরি করি ।আর সেটাই করব।
ঠাণ্ডা গলায় বললে 'নেবেন । একশোবার নেবেন । আপনার এই চাকরিটি বজায় রাখতেই নেবেন"।
"কিরকম? ঠাট্টা করছে? ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। আমার খাওয়া শেষ । ভাবছি উঠি কি করে।
মাধুরী উদাস হয়ে বললে " ধরে নিন আপনি ছাড়াও আমাকে কেউ ফলো করছে। সে সত্যি আমার ক্ষতি করতে চায়। এটা জানার পর আপনি পারবেন শুধু ফলো করতে? তারা যদি আমার ক্ষতি করে দেয় তাহলে আপনার চাকরিটা থাকবে ?
এ্যাঁ, আমি ছাড়াও কেউ?
এক্সাক্টলি তাই। আসলে আপনি আসাতে আমার একটু সুবিধাই হয়েছে।
যথেষ্ট হয়েছে। মেয়েটি সত্যি ধুরন্ধর। বললাম " আমি আপনার কোনো কাজের ব্যাপারে নেই। ওনার চা খাওয়া হয়ে গিয়েছে। দোকান থেকে বেরিয়ে মাধুরী মুচকি হেসে বললে " এখন আমি বাড়ি যাবো। আজকের মত পিছন পিছন আসার আর দরকার নেই"।
আমি আবার অপমানিত হয়ে উল্টো দিকে চললাম ।
এই ব্যাপারটা বস কে বলা যাবে না। তাহলে আর চাকরি টা থাকবে না। তবে মেয়েটাকে একটা উপযুক্ত শাস্তি ও দেওয়া দরকার। কিন্তু যদি সত্যি আরো কেউ ওর ক্ষতি করতে ওকে ওয়াচ করে থাকে তাহলে তো তাকেও খেয়াল রাখতেই হবে।
পরদিন সকাল দশটা নাগাদ মাধুরী বের হল দেখলাম ।আজ কিন্তু খুব সাধারণ একটা সালোয়ার কামিজ পড়েছে। নরম স্নিগ্ধ চাহনি দেখে মনে হল ভোরের এক মুঠো শিউলি ।ওর মুখটা অদ্ভুত নমনীয় স্নিগ্ধতা। এতটুকু মেকআপ নেই মুখে। এই প্রথম অনুভব করলাম যারা সত্যি সুন্দরী তাদের খুব সাধারণ পোশাকে আর একটা খোঁপা করা চুল আর মেকআপ ছাড়াই বেশি সুন্দরী লাগে। ভিতরের সৌন্দর্য্য অনেক বেশি ফুঁটে বেরোয়। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই এত বুদ্ধিমতি।
দুর থেকে দেখছি ।মুশকিল হল যখনই ওর পিছনে কোনো একজন বা দুজন মানুষ চলে আসছে তখনই মনে হচ্ছে এদের কথাই কি বলতে চেয়েছিল গতকাল? উল্টো ফুটপাতে দাড়িয়ে কতগুলো ছেলে রোয়াকে বসে গল্প করছিল। মাধুরী সামনে দিয়ে হেঁটে যাবার পর ওরাও দেখলাম উঠে গল্প করতে করতে পিছু নিয়েছে। এরাই তাহলে সেই ছেলেগুলো যারা ওকে ফলো করছে। দুটো মোড় ঘোরার পর যখন ভাবছি গিয়ে ওদের সামনে তরোয়াল খুলে বলব হারে,রে,রে,রে , দেখলাম ওরা অন্য রাস্তা ধরেছে। আবার হতাশ হয়ে পড়লাম। মাধুরী কিন্তু সেই রহস্যজনক বাড়িতে আবার ঢুকল একবার বাজার আর মন্দির ঘুরে। তারপর বসেই আছি , বসেই আছি। দুর থেকে দেখি বেরোল। বেড়িয়ে আলতো করে দরজা বন্ধ করে ফুটপাত ধরে হাঁটতে লাগল। দু দুবার পিছন ফিরে সেই পুরনো দোতলা বাড়ির দিকে তাকাল। একটা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। আজ গিয়ে বস যে জানাতেই হবে। যখন ঢুকল হাসি হাসি মুখে তখন হাতে ফুল, মিষ্টি আর বেরোলো বিষণ্ণ মুখে খালি হাতে। নিশ্চই প্রেমিক ঘাপটি মেরে বসে আছে ভিতরে।
পরদিন দাড়িয়ে দাড়িয়ে মেয়েটি চলে যাবার পর।সেই রহস্যময় বাড়িটিতে আলতো করে ঠেলে ঢুকলাম। সামনে একটা উঠোন। সেখানে দুটো তিনটে বাচ্চা ছেলে সাইকেলে বসে।পিছনে বড় কেউ সেটা ঠেলছে। বারান্দায় দুটো ছয় সাত বছরের মেয়ে হাত তালি দিচ্ছে। হাততালি দেওয়াটা আমাদের মত নয় কখনও দুহাতে তালি পড়ছে কখনও হাত সরে গিয়ে তালি আর পড়ছে না। হাসিটাও অকারণ বেশী। যারা সাইকেলের ওপর বসে তাদের হাসির সঙ্গে মাথা টাও দুলছে অকারণ, অতিরিক্ত।
কাকে চান? প্রশ্ন শুনে পিছন ঘুরে দেখি একজন বয়স্ক মহিলা।ওদের দিকে আঙুল তুলে কিছু বলবার আগেই বললে " হ্যা, মেন্টালি
রিটারডেড। কিছু জানতে এসেছেন? ওইদিকে অফিসে ঘর"।
আমি স্তম্ভিত। ঠিক বাড়িতে ঢুকেছি তো? এদিকওদিক চেয়ে বললাম "ভুল হয়ে গেছে। অন্য বাড়িতে ঢুকে পড়েছি।" বলে দৌড়ে বেড়িয়ে এলাম। বাইরে এসে কিছুক্ষন দাড়িয়ে রইলাম । কেমন একটা বুক মুচড়ে কষ্ট হচ্ছে শরীরে। রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে যে এমন কিছু দেখতে হবে ভাবিনি। এইরকম শিশু যাদের আছে তাদের কি সাংঘাতিক কষ্ট। কিছুই বোঝে না। অদ্ভুত আচরণ। তারপর ই মাথায় খেলল " মেয়েটা কি ধুরন্ধর। ও জানে আমি পিছন পিছন আসবো ঠিক। তাই আমাকে গুলিয়ে দেবার জন্যে ওকে অন্য কেউ অনুসরণ করছে র গল্প ফেঁদেছিল। তাই বলে এই স্কুলে এতক্ষন কি করে কাটায়? রহস্য আরো ঘনিয়ে এল। নিশ্চয় ওর প্রেমিক এখানে আসে বা কাজ করে। আবার যে গিয়ে খোঁজ নেব তার সাহস হচ্ছে না। শিশুগুলোর দিকে তাকাতেও বুক মুচড়ে উঠছে।ফিরে এসে বস কে বললাম ।বস শুনে গম্ভীর হয়ে গেল। বললে " তোকে বলেছিলাম সাংঘাতিক চালাক মেয়ে। তোকে স্রেফ বোকা বানিয়েছে।পুরো গুলিয়ে দিয়েছে। ঠিক আছে আমি দেখি কথা বলি ক্লায়েন্ট এর সাথে। কি বলেন তিনি"
মাধুরী কে অনুসরণ করা বন্ধ হল।আমিও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।রোজ রোজ এই রকম অপদস্থ হওয়া মোটেই হজম হচ্ছিল না। পেট খারাপ না হলেও মন খারাপ লাগত। রোজ মনে হত চাকরি টা ছেড়ে দেই। কিন্তু রোজগারের অর্জন করা টাকা প্রথম পাবো বলে মেনে নিতাম। দিন সাতেক বাদে একদিন বিকেলে বস ডাকলে ঘরে। গিয়ে দেখি উদাস হয়ে বসে। আমাকে দেখেই বললে " তুমি যে মেয়েটির পিছু নিচ্ছিলে তার বাবা আমাদের ফিস মিটিয়ে দেবেন বলেছেন। একটু থেমে বললে " তোমার সময় আছে ? তাহলে বস । ওনার মেয়ের খারাপ ব্যবহারের জন্যে ক্ষমাও চেয়েছেন । বললাম " আর কিছু বলবেন?"
বললে "উনি বলেছেন তোমার সময় মত একবার ওনার সঙ্গে দেখা করে এস"।
বাড়িটা বেশ বড় দোতলা। নীচে বসবার ঘরে বসেই ছিলেন কিছু কাগজপত্র সামনে খোলা। মাধুরীর ব্যবহারের জন্যে ক্ষমা চেয়ে বললেন " আপনি কি ওই হোমে গেছিলেন? "
বললাম " একদিন কিছুক্ষনের জন্যে। বেশিক্ষণ দাড়িয়ে দেখতে পারিনি। এত রূঢ় বাস্তব সহ্য করা খুব কঠিন"।
" ঠিক তাই। আমি যে কয়দিন গেছি সেদিন ই রাত্রে ঘুম আসেনি। আমার মত কঠিন লোকের ও ধাতস্থ হতে সময় লেগেছে। আমি চাইনা যেতে কিন্তু ওখানে সুক র স্মৃতি ছড়িয়ে"।
আমি ফ্যাকাসে মুখে চেয়ে আছি দেখে বললেন " বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তাইতো? তাহলে পুরোটাই শুনুন। কিছুদিন যাবত আমার সঙ্গে ঝামেলা করে মেয়ে যখন তখন বেড়িয়ে যাচ্ছিল বাড়ি থেকে। অনেকটা সময় বাইরে কাটিয়ে আসত। অনেক প্রশ্ন করেও উত্তর পাইনি। অবিবাহিত ইয়ং মেয়ে চিন্তা তো হয় কোনো খারাপ সংসর্গে পড়ল কিনা । মেয়ে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। কথা শুনছে না । এইসব বলে খুব রাগারাগি করতাম আর তাই অনেক ভেবে আপনাদের অ্যাপয়েন্ট করি" ।
বললাম " একটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে ।"
"বলুন "
"যেই বললাম মাধুরী অনেক টা সময় অমুক মেন্টালি রিটার ডেড বাচ্চাদের হোমে কাটায়। সঙ্গে সঙ্গে আপনি কেমন মিইয়ে গেলেন"। কিছুক্ষন চুপ থেকে বললেন " আপনাদের বাকি ফিস এর চেক টা নিয়ে যাবেন। তবে আর খোঁজ নেবার দরকার নেই"।
ওনার মুখ দেখে ঠিক বুঝতে পারলাম না। বললাম "কেন স্যার? আমরা কি কিছু ভুল করে ফেলেছি? যা দেখেছি তাই আপনাকে জানিয়েছি"।
মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন " না, না, আপনারা আপনাদের কাজ সঠিক ই করেছেন"।
"তাহলে আপনি কেন এরকম বিষণ্ণ হয়ে যাচ্ছেন?"
কিছুক্ষন চুপ করে মাথা নীচু করে এপাশ ওপাশ চাইলেন ।তারপর ভারী গলায় বললেন " জানেন ,আমার একটি ছেলে নাম ছিল সুকান্ত । মাধুরীর থেকে দু বছরের বড়। কিন্তু জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী নামটা শুনেছেন ?"
বললাম" হ্যা। দেখে এলাম তো তাদের"।আবার শুরু করলেন "প্রথম দিকে অনিতা আর আমি প্রথম খুব ভেঙে পড়েছিলাম। পরে ভাবলাম ভগবান যখন দিয়েছেন তখন তাকে ভালো করে চিকিৎসা করে সুস্থ করার দায়িত্ব ও দিয়েছেন । সেটাই ভালো ভাবে চেষ্টা করি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি ,অনেক তাগা, তাবিজ, মাদুলি করে শেষে ফিজিওথেরাপির ওপরই ভরসা করি। যে হোমটায় আপনি গেছিলেন সেটাতেই নিয়ে যেতাম। মাধুরী ওর ভাইকে ভীষণই ভালোবাসত। যদিও সুকু কোনো কথাই বুঝতে পারত না, তবু মাধুরী বাড়িতে থাকলে ওর সাথেই অনর্গল কথা বলত। ও একটা খেলার পুতুল ছিল। চুল আঁচড়ে দিত, মুখে পাউডার দিয়ে সাজিয়ে দিত। আমরা কিছুই বুঝতে পারতাম না। মাধুর যখনই কোনো দুঃখ হত ভাইকে জড়িয়ে বসে থাকত"।
জিজ্ঞাসা করলাম" এখন সুক কোথায়?"। অসহায় মুখে বললেন "নেই। নমিতা চলে গেল ক্যান্সারে তার ছয় মাসের মধ্যে অরো ও চলে গেল"।
উনি এমন অবলীলায় বললেন যেন অন্য কারুর কথা বলছেন ।আবার শুরু করলেন " নমিতাই ওর সব ছিল। স্নান করানো খাওয়ানো ঘুম পাড়ানো সব ই নমিতা। যখন গেল ওর বয়স সতেরো। বয়েস বেড়েছে কিন্তু মানসিক অবস্থা চার পাঁচ বছরের মত। নমিতা চলে যাবার পর আরো অবুঝ, আরো জেদী হল। কথায় কথায় চিৎকার। অসম্ভব জেধ ।রেগে গেলে খাওয়ানো এক যুদ্ধ। শেষে ব্রেন ক্যান্সার হয়ে চলে গেল। ডাক্তার বলেছিল এরকম বাচ্চা যাদের ওপর ভরসা করে চলে তারা সরে গেলে বাচ্চাদের বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে। নমিতা যাবার পর যত না খালি লেগেছে তার থেকে বেশি খালি হয়ে গেল বাড়ি সুক চলে যাবার পর।বাড়িটা হঠাৎ করে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। তারপর থেকে মাধু আর আমি। বেশ কিছুদিন অনুপস্থিতির বেদনা আর স্তব্ধতার হাহাকার ঘিরে রইল আমাদের। কে কাকে কি বলব? তারপর থেকে আমি বেশি করে আমার বিজনেস এ নিজেকে ডুবিয়ে দেই। বাড়িতে কি হচ্ছে, মাধু কি করছে তার খোঁজ রাখতাম না। পুরোপুরি ব্যবসায়ী মানুষ হলে যা হয় আরকি।
জিজ্ঞাসা করলাম " ও এখনও ওখানে কেন যায়?"
"আমার ওপর অভিমান, দুঃখ সর্বোপরি সুক কে খুঁজতে। আমার ব্যবহারে যখনই মন খারাপ হয়, ওর সুক কে চাই। ওই বাচ্চাগুলোর মধ্যে অরোর ছায়া পায়। ওদের মধ্যে অরো কে খুঁজে পায়। ওদের সাথে সময় কাটিয়ে মন হালকা করে ফেরে। তাই আপনারা যখন বললেন যে ওই হোম টায় যায় তখনই আমার সব দুশ্চিন্তা দুর হয়। এত অবধি বলে চুপ করেন।ঘরে ঢুকে লোকটাকে যত টা কঠিন , গম্ভীর মনেহয়েছিল এখন আর মনে হচ্ছে না। ওনার জন্যে খারাপ ই লাগল। হঠাৎ বললেন "চা খাবেন?"
বললাম" না। উনি বললেন " আপনি খেলে আমিও একটু খাই"।চায়ের কথা চাকর কে ডেকে বলে একটু থেমে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বললেন " আমি তো খুব কঠিন মানুষ আমার কষ্ট কম। আপনাকে এত কিছু বলে ফেললাম কেন না আপনি অনেকটা ই জেনেছেন তাই পুরোটাই জানা উচিত। মাধুর কষ্ট দেখে মনে হয় কঠিন মানুষ, খারাপ মানুষ হলে সাংসারিক দুঃখ কষ্ট টা অনেক কম হয়"।
আমি বললাম "কেন?"
উনি বললেন " বাহ! জানেন না? খারাপ মানুষ, কঠিন মানুষদের যে কোনো কষ্ট থাকতে নেই" । ছলছল করে উঠল নিঃসঙ্গ মানুষ টার চোখ। মুখটা ঘুরিয়ে নিলেন।
আমার আর কিছু জানার ছিল না। মাধুরী যদি ওদের মধ্যে থেকে আনন্দ পায় তাহলে সেই ভালো। বেড়িয়ে রাস্তায় নেমে কিছুটা গিয়ে পিছন ফিরে একবার বাড়িটা দেখতে গিয়ে দেখি দূরে বারান্দায় মাধুরী দাড়িয়ে।এক মাথা ভেজা চুল, একটা হালকা গোলাপি রঙের গাউন পড়া। যেন এই ঘুম থেকে উঠেছে । এক মুখ হাসি লেগে মুখে।দু হাত নেড়ে দেখালে মাস্ক টা পড়ে নিতে। তাইতো! ঘোরের মধ্যে মাস্ক না পড়ে বেড়িয়ে এসেছি রাস্তায়। হেসে হাত নাড়াই।পকেট থেকে মাস্ক বার করে পড়ি। মুখ তুলে দেখি মুখে হাত চেপে খিলখিল করে হাসছে ।বুড়ো আঙ্গুল উঁচিয়ে সমর্থন জানালে। ওত দূরের হাসির ঢেউ হঠাৎ করে ভেসে এসে সারা মন শরীর ভিজিয়ে দিয়ে গেল। উন্মুক্ত বারান্দায় গ্রিলের মধ্যে দিয়ে সূর্যের আলোছায়া পড়েছে মুখে। ওকে কেমন অন্য গ্রহের কেউ মনেহল।
অস্ত্র কারখানায় গ্রুপ-C পদে চাকরি, কয়েকশো শূন্যপদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ || Army Ordnance Corps Group-C Recruitment 2022
ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পরিচালিত অস্ত্র কারখানা অর্থাৎ Army Ordnance Corps-এ গ্রুপ সি (Group-C) কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ। নিয়োগটি করা হবে ম্যাটেরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে।
এটিতে অল ইন্ডিয়া ভ্যাকান্সি রয়েছে, তাই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নিচে এই নিয়োগের বিস্তারিত তথ্য এক এক করে জানানো হয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, মোট শূন্য পদ, আবেদন পদ্ধতি, নিয়োগ পদ্ধতি সমস্ত কিছু নীচে আলোচনা করা হল-
নিয়োগ সংস্থা - Army Ordnance Corps (AOC)
চাকরির ধরণ - স্থায়ী সরকারি চাকরি
মোট শূণ্যপদ - 419+ (UR-171, EWS-42, OBC-113, SC-62, ST-31, ESM-41, MSP-20, PwBD-16)
Region অনুযায়ী শূন্যপদ:
Eastern- 10
Western- 120
Northern- 23
Southern- 32
South Western- 23
Central West- 185
Central East- 26
পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের Central East রিজিওনে আবেদন করতে হবে।
বেতন- 29,200 – 92,300 টাকা
আবেদনের মাধ্যম - অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
নিয়োগের নোটিশ নম্বর: AOC/CRC/2022/OCT/AOC-01
পদের নাম: ম্যাটেরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Material Assistant)
বয়সসীমা: বয়স 18 থেকে 27 বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছাড় পাবেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যে কোনো বিষয়ে গ্রাজুয়েশন পাস করতে হবে। অথবা যেকোনো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট এর ডিপ্লোমা অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিপ্লোমা করা থাকতে হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া:
লিখিত পরীক্ষা, স্কিল টেস্ট/ফিজিক্যাল এন্ডুরেন্স টেস্ট, ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এবং মেডিকেল টেস্টের মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করে নিয়োগ করা হবে।
লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে একটি প্রশ্নের ভুল উত্তর দিলে 0.25 নম্বর কেটে নেওয়া হবে।
পরীক্ষার জন্য সময়সীমা থাকবে 2 ঘন্টা।
লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস:
(1) General Intelligence & Reasoning -50
(2) Numeric Aptitude -25
(3) General Awarenes -25
(4) English Language & Comprehension -50
মোট 150 নম্বর।
আবেদন প্রক্রিয়া:
(1) Army Ordnance Corps (AOC) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে। আবেদন করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হলো- https://www.aocrecruitment.gov.in/
(2) আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য আবেদন করার ডাইরেক্ট লিংক নিচে দেওয়া হয়েছে। ওই লিংকে ক্লিক করলেই আবেদন করার মেইন পেজ খুলে যাবে।
(3) প্রথমে আবেদনকারীকে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে নতুন একাউন্ট খুলতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে তার নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি তথ্য পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
(4) রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে দরকারী তথ্য পূরণ করে লগইন করে নিতে হবে।
(5) লগইন করার পরে আবেদন করার মেন পেজ ওপেন হবে এখানে অনলাইন ফর্মটি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ :-
নোটিশ প্রকাশ - 22.10.2022
আবেদন শুরু - 22.10.2022
আবেদন শেষ - 12.11.2022
Official Website-
Notice Download-
Apply Now-
Tuesday, November 1, 2022
রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে ডাটা ম্যানেজার পদে কর্মী নিয়োগ || WB Kanya shree prokolpo Recruitment 2022 || Data entry Recruitment 2022 || https://purbabardhaman.nic.in/
আমাদের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে আবার নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে ডাটা ম্যানেজার (Data Manager) পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। নির্দিষ্ট পদে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতায় এখানে ছেলে ও মেয়ে সকলেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
পুর্ব বর্ধমান জেলার ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর এর অফিস থেকে জারি করা এই চাকরিটি সম্পূর্ণ চুক্তিভিত্তিক। অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
আপনি যদি এখানে আবেদন করতে ইচ্ছুক হন তাহলে নিচের প্রতিবেদনটি বিস্তারিতভাবে পড়ে নিন। এই প্রতিবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বেতন, বয়সসীমা, শূন্যপদ, নিয়োগ পদ্ধতি, আবেদন পদ্ধতি ইত্যাদি নীচে আলোচনা করা হল -
নোটিশ নম্বরঃ E89 /DPMU/KP/PBDN/XII/43
নোটিশ প্রকাশের তারিখঃ 14.10.2022
আবেদনের মাধ্যমঃ অনলাইন ও অফলাইন দুই ভাবেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
নিয়োগের তথ্য (Post Details)
পদের নামঃ ব্লক ডাটা ম্যানেজার (Block Data Manager)
বেতনঃ প্রতি মাসে 11,000 টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ গ্রাজুয়েশন পাশ। সঙ্গে থাকতে হবে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের ডিপ্লোমা পাশ । এছাড়াও 1 বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়সসীমাঃ প্রার্থীর বয়স 21 থেকে 40 বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে বয়সের ছাড় পাবেন।
শূন্যপদঃ 3 টি (কালনা I BDO- 1, গলসি I BDO- 1, আউসগ্রাম I BDO- 1)
নিয়োগ পদ্ধতিঃ
সর্বপ্রথম হবে লিখিত পরীক্ষা। তারপরে কম্পিউটার টেস্ট ও ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্রার্থীদের বাছাই করে নিয়োগটি সম্পূর্ণ হবে।
আবেদন পদ্ধতিঃ
এখানে প্রার্থীরা অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে সবার প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপরে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপরে, লগ ইন করে আবেদনপত্রকে সঠিকভাবে পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলি স্ক্যান করে আপলোড করে সাবমিট করতে হবে।
অফলাইনে আবেদন করার জন্য প্রথমে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিটি মোবাইলে অথবা কম্পিউটারে ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপরে বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর পেজে থাকা আবেদনপত্রটিকে একটি A4 সাইজের পেপারে প্রিন্ট আউট করে নিতে হবে। তারপরে আবেদন পত্রটিকে সঠিক পূরণ করে এবং তার সঙ্গে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রগুলি জেরক্স ও সেল্ফ এটেস্টেড করে একটি খামে ভর্তি করতে হবে। সবশেষে নিচে উল্লেখিত ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।
অফলাইনে আবেদন পত্র জমা দেওয়ার ঠিকানাঃ
To the District Magistrate and Collector, District Project Manager Unit, Kanyashree Prakalpa, New Administrative Building, 3rd Floor, Purba Bardhaman.
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ-
নোটিশ প্রকাশ - 14.10.2022
আবেদন শুরু - 14.10.2022
আবেদন শেষ - 11.11.2022
Official Website-
Notice Download-
Apply Now-







