Sunday, July 21, 2024

গ্রামীণ ডাক সেবক (GDS) নিয়োগ 2024 || WB GDS recruitment 2024 || Post office peon recruitment 2024 || https://indiapostgdsonline.in/

 




গ্রামীণ ডাক সেবক (GDS) নিয়োগ 2024 || WB GDS recruitment 2024 || Post office peon recruitment 2024 || https://indiapostgdsonline.in/






রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাজ্যে আবার বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। আবার নিয়োগ হতে চলেছে গ্রামীণ ডাক সেবক তথা GDS পদে। বিজ্ঞপ্তি টি ইতিমধ্যে Indian post এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব এছাড়া সরকারি ভাবে নতুন কি কি সুযোগ দেওয়া হবে‌ তা নীচে আলোচনা করা হল।




মোট শূন্যপদ - 44,228 টি ( সমগ্র দেশে)। পশ্চিমবঙ্গে শূন্য পদ - প্রায় 4000 টি।



কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে - 


(1) ব্র্যাঞ্চ পোষ্ট মাস্টার (BPM)


(2) অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্র্যাঞ্চ পোষ্ট মাস্টার (ABPM)


(3) ডাক সেবক তথা পিওন 



পদ অনুযায়ী কাজ -

(1) ব্র্যাঞ্চ পোষ্ট মাস্টার (BPM) - পোস্ট অফিস ও ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের যাবতীয় অফলাইন ও অনলাইন লেনদেন সংক্রান্ত কাজ করতে হবে। পোস্টাল পরিষেবা ও পণ্য, ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের পরিষেবা, কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া, পোস্ট অফিসের অধীন গ্রাম বা, পঞ্চায়েত এলাকার ব্যবসার পরিমাণ বাড়ানো, বিভিন্ন জায়গায় মেলার আয়োজন করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলা ও

বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জনপ্রিয়তা বাড়ানো। রেকর্ড দেখা, চিঠি পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা। সেইসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার ও ডাক সেবকদের কাজের তদারকি করা ইত্যাদি।


(2) অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্র্যাঞ্চ পোষ্ট মাস্টার (ABPM) -

পোস্টাল পরিষেবা যেমন, ডাকটিকিট, খাম ইত্যাদি বিক্রি করা। বাড়ি বাড়ি চিঠি ও পার্সেল পৌঁছে দেওয়া। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের টাকা জমা নেওয়া ও দেওয়া। পোেস্ট অফিসের অধীন গ্রাম বা, পঞ্চায়েত এলাকার ব্যবসার পরিমাণ বাড়ানো, বিভিন্ন জায়গায় মেলার আয়োজন করা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলা ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জনপ্রিয়তা বাড়ানো। রেকর্ড দেখা, চিঠি পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা।



(3) ডাক সেবক তথা পিওন - 

ডাক সেবকরা সাব পোস্ট অফিস ও হেড পোস্ট অফিসের মতো জায়গায় নিযুক্ত হবেন। চিঠি পৌঁছে দেওয়া, ডাকটিকিট, খাম ইত্যাদি বিক্রি করা। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের টাকা জমা নেওয়া ও দেওয়া। পোেস্ট মাস্টারের নির্দেশে অন্যান্য কাজ করতে হবে। রেলওয়ে মেল সার্ভিসের সর্টিং অফিসে কাজ করতে হবে। মেল ব্যাগের আদানপ্রদান, ব্যাগ নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজ করতে হবে। এছাড়াও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করতে হবে।





বেতন- 


(1) BPM - 12,000 -29,380 টাকা


(2) ABPM ও peon - 10,000 - 24,470 টাকা






বয়সসীমা- ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হবে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন। যেমন তফসিলরা ৫বছর, ওবিসি রা ৩ বছর, প্রতিবন্ধীরা ১০ বছর।








শিক্ষাগত যোগ্যতা - 


শুধু মাত্র মাধ্যমিক পাশ করে থাকলেই আপনি এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


 

বিশেষ যোগ্যতা -


আবেদনকারীকে অবশ্যই সাইকেল চালাতে জানতে হবে। তবে বাইক কিংবা স্কুটি চালানো প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এর সাথে চাকরিপ্রার্থীদের স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে, বুঝতে এবং লিখতে জানতে হবে।




নিয়োগ প্রক্রিয়া-


শুধু মাত্র মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেরিট লিস্ট তৈরি হবে। কোনোরকম লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ দিতে হবে না।



আবেদন প্রক্রিয়া -

নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ গিয়ে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 



আবেদন ফি -

সাধারণ প্রার্থীদের জন্য 100 টাকা। সংরক্ষিত প্রার্থী এবং মহিলাদের কোনো আবেদন ফি লাগবে না।






গুরুত্বপূর্ণ তারিখ-


আবেদন করা শেষ তারিখ হল 5/08/2024।



অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -

Click here 🔴

Wednesday, July 17, 2024

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024

 



মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024



রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাজ্যে আবার বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। নিয়োগ টি হবে জল জীবন মিশন প্রকল্পে।সমগ্র দেশে চালু হয়েছে জল জীবন মিশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই কর্মী নিয়োগটি হতে চলেছে । তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব এছাড়া সরকারি ভাবে নতুন কি কি সুযোগ দেওয়া হবে‌ তা নীচে আলোচনা করা হল।

  


সংস্থাটির নাম - ন্যাশনাল হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া।



প্রকল্পটির নাম - কেন্দ্রীয় জল জীবন মিশন প্রকল্প।


এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য - সমগ্র দেশজুড়ে প্রতিটি গ্রাম এবং শহরে পানীয় জল পৌঁছানোর জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় জলের ট্যাংকি তৈরি করে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে।



নিযুক্ত কর্মীদের কাজ - মূলত জলের ট্যাংকি গুলির দেখাশোনা করা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই প্রকল্পে নিয়োজিত করা হবে কর্মীদের।


শূন্য পদের সংখ্যা – বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তিনশোর বেশি কর্মীকে নিয়োগ করা হবে জল জীবন মিশন প্রকল্পে।



শিক্ষাগত যোগ্যতা- কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে নূন্যতম মাধ্যমিক পাস করে থাকলেই হবে।



বয়স- চাকরিপ্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক।


বেতন কাঠামো – নিযুক্ত কর্মীদের প্রতিমাসে ৮০০০ টাকা থেকে ১২০০০ টাকা বেতন দেওয়া হবে।




আবেদন পদ্ধতি –


১) সবার প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে ভিজিট করে নিজের নাম ঠিকানা থেকে শুরু করে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সের প্রমাণপত্র এবং সিভি সহ রেজিস্ট্রেশন করে রাখুন। 


২) তারপর ফর্মটি পূরণ করার জন্য যা কিছু তথ্য প্রয়োজন সেই সমস্ত তথ্য দিয়ে অনলাইনে ফর্মটি পূরণ করে ফেলুন।


৩) এরপর সমস্ত নথিপত্র আপলোড করার পর সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন।



নিয়োগ প্রক্রিয়া - এই জল জীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় জল ট্যাংকি দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য জন্য কর্মী নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে কোনরকম লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না আবেদনকারীদের। শুধুমাত্র ইন্টারভিউ এবং ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সকল কর্মীদের নিয়োগ করা হবে এই প্রকল্পে। ইতিমধ্যে আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে। কোনোরূপ আবেদন মূল্য লাগছে না। আবেদন করার আগে অবশ্যই অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড করে নেবেন। 

Tuesday, July 16, 2024

এরা কারা - বিশ্বনাথ দাস || Era Kara - Biswanath Das || পর্ব - ১০ || part - 10 || Era Kara part 10 || Novel - Era Kara || Era Kara by Biswanath Das || উপন্যাস - এরা কারা


 


।। চার।।


স্বরুপ বাবু কনিকাদের বাড়ীতে বিদায় নিয়ে আপন বাড়ীর উদ্দেশ্যে পা বাড়াতেই কনিকার চোখ জলে ভরে গেল। কি আশা নিয়ে সে এসেছিলো। তার মুখখানি দেখে তার হৃদয় ফেটে যাচ্ছিল। নিদারুন ব্যাথায় নিজেকে কাইল করার মতো ক্ষমতা নেই। প্রেমের অঙ্কুর জন্ম নিতে শুরু করেছিল অচিরেই বিনাশ হলো। কনিকা ভাবতে পারেনি এই ধরনের ঘটনা তার কর্ন গোচর হবে। কোন উপন্যাস বা গল্পে কদাচিৎ কোনদিন এই ঘটনা চোখে পড়েনি। কিন্তু এ যে কতখানি বাস্তবতা তা বুঝতে পারলে,। কনিকার মনে উদয় হলো ঈশ্বর এই ধরনের ঘটনা ঘটালেন কেন? কেন ঈশ্বর তার প্রতি বিরুপ হলেন। কেন অমাবস্যায় ঘিরে এলো তার জীবনের পট ভূমিকা। আশালতাদির ট্রাজিডি জীবনের সাথে তার জীবন মিলে গেল। অবশ্য কনিকার অঙ্কুর বিনাশ আর আশালতাদির ভালোবাসার নাটকে তৃতীয় অংকে কুয়াসায় ফিরে গেল। আশাদি চিরন্তনকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। দুটি হৃদয় যেন একই বাঁধা হয়েছিল। বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছিল এদের প্রেম চিরন্তর শ্বাশত, কেউ ছিন্ন করতে পারবে না। কিন্তু ওর জীবন হতে চিরন্তন যে কপূরের মতো উবে যাবে কোন কল্পনা করতে পারেনি। চিরন্তনকে অনেক জায়গায় শহর, নগর, গ্রাম গঞ্জের, হাসপাতাল নাসিংহোম ইত্যাদি প্রচুর খোঁজা খুজি করেছিল ওর বন্ধু বান্ধবরা কোন হদিস পায়নি। আশালতাদিকে শুধু হতাশ আমন্ত্রনে জর্জরিত করছে। মাঝে মাঝে আশাদি চোখের জলে ভাসতে থাকে। তবে আশাদি প্রতিজ্ঞা করেছে চিরন্তনকে খোঁজ করে বের করবেই।


হঠাৎ আশালতাদির মোবাইলে রিং হতেই তার চমক ভাঙ্গলো রিসিভ করলো- আমি আশালতাদি বলছি, কনিকা বললো-


বলো।


-কনিকা, স্বরুপ আজকে তোদের বাড়ী গিয়েছিল?


-হ্যাঁ


- ঠিক আছে তোর সাথে পরে কথা বললো। আজ রাত্রে তোদের বাড়ী যাবো। ঠিক আছে। তবে মনে রাখবি তোকে একটা মারাত্মক সারপ্রাইজ দেবো। এখন রাখছি, প্রয়োজনে ফোন করবি। আমি এখন আমার চেম্বারে আছি। একটা গুরুত্ব পূর্ণ পেসেন্ট দেখছি। কনিকা ওকে বিরক্ত করলো না।


বিনামূল্যে চিকিৎসা, আশালতার চেম্বার। আশালতা পারটাইমে এই চেম্বারে সময় কাটিয়ে দেয়। সে কাজের মধ্যে থাকতে ভালো বাসে বিশেষ করে ভুলে থাকতে চায় তার দুঃখকে।


বিকেল বেলা, সন্ধ্যে প্রায় আগত, মনে হয় আজ তার পেমেন্ট আসবে না। কারন চারিদিকে মেঘটা ঘন কালো আকারে জমাট হয়েছে। মনে হচ্ছে একটু পরে বৃষ্টি নামতে পারে। হঠাৎ এক মহিলা আশালতার পাদুটো ধরে বললো, আমাকে বাঁচান মিসটার। আশালতা ততক্ষনাৎ ওর হাত দুটো ধরে বললো এত উতলা হবেন না। আপনি স্থির হয়ে বসুন আমি আপনার কথা শুনবো। মহিলা বললো। চোখ মুখ ঘামে ভর্তি। নিজের কাপড়ের খুঁট দিয়ে মুছে বললো- আমার খুব বিপদ বলুন, কোথা থেকে আপনি আসছেন? মহিলা দ্বীর কন্ঠে বললেন - আমার নাম ময়না বারুই বাড়ী আমার চেতলাপুর। দামোদর নদীর পাড়ে। আমার খুব বিপদ।


আশালতা শান্ত স্বরে বললো, এবার বলুন আপনার জন্য কি করতে পারি। ময়না নীরব থাকে। তার মুখ ফুটতে চাইছে না পুনরায় বললো আশালতা, কি হেলি মুখকে গাম আঁঠা চিটিয়ে রাখেেলন কেন? ময়না ধমক পেয়ে মৃদু স্বরে বললো-


-আমার মনে হচ্ছে আমি মা হতে চলেছি। আশালতা অবাক চোখে বললো,


- হোয়াট! একি বলছেন আপনি, আপনার তো বিধবার বেশ।


সে জন্য আমার আরো ভয়।


- আপনার এতো সাহস হলো কি করে?


- বিশ্বাস করুন আমি মোটেই রাজী ছিলাম না। আমার সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। ডীও ম্যাশাই চায়। কা


-ঠিক আছে, আমার কাছে সেই প্রতারনার কথা বা ঘটনা প্রকাশ করুন। যদি আপনি নির্দোষী হন তাহলে আমি আপনাকে বাঁচাবই। ময়না দ্বিতীয় উক্তি না করে ততার ঘটনা ঘটে যাওয়ার কথা স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করলো।


দামোদর নদীর তীরে বিশাল মাথা উঁচু করে পরপর কয়েকটা চিমনি দাঁড়িয়ে আছে। ওর ভেতর দিয়ে গল গল করে গাঢ় আলকাতরার মতো কালো ধোঁয়া সর্বদাই বেরুচ্ছে। ঐ কারখানার বিশাল নাম। হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মস্থানের খ্যাতনামা জায়গা। কারখানার শ্রমিকরা, উচ্চপদস্থের, নিম্নপদের অফিসার ছাড়া ঠিকাদার কর্মী খুব সুখী। কারখানার মাইনেতে সুন্দর ভাবে তাদের দিন কেটে যায়। এই কারখানার ছয় নাম্বার মেসিনের হেড মিস্ত্রী হলো গজানন মোড়ল। নাম করা মিস্ত্রী। হঠাৎ তার কালাজ্বর হওয়াতে তাকে মৃত্যুবরন করতে হলো। কেউ ভাবতে পারেন নি গজানন মিস্ত্রীকে অকালে চলে যেতে হবে। কিন্তু বিধাতার লেখা কেউ খন্ডন করতে পারে না। একটি সাত বৎসরের সন্তান, চার বৎসরের কন্যাকে রেখে গেলেন। পত্নী ময়না ভাবতে পারে নি তাদের সকল কে অথৈই জলে ভাসিয়ে পর পারে রাস্তা ধরে নেবে। সংসার অভাবে ঘনিয়ে এলো। জমানো টাকা দিয়ে গজানন বাবু শ্রাদ্ধাদি কাজ সম্পন্ন হলো ঠিক কথা, কিন্তু অভাব ঘরের মধ্যে বাসা বাঁধলো। অনটন আর অনটন। প্রায় দিন ছেলে মেয়েদুটোর মুখে এক মুঠো অন্ন তুলে দিতে পারতো না। একদিন গজানন বাবুর ছেলে চয়ন ক্ষিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে পারুল মাসীর দোকান হতে পাউরুটি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। পারুল মাসী ওকে মারতে শুরু করে। সেই সময় ঐ দোকানে ঐ অঞ্চলের একজন নামী নেতা, হিড়িম্বর পরম বন্ধু অর্থাৎ এক ডালের দুটি ফুল তারা। অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী হিড়িম্ব হাজরার অনুগতির মিছিলে তিনি হাঁটেন। প্রতিটি পদক্ষেপ সীমা নির্ধারক ছিলেন। কারখানার ইউনিয়নের একজন সদস্য ছিল। পারুল মাসী কে ধমকে দিলো- কি করছো পারুল, একটা পাউরুটির জন্য ছেলেটাকে মারছো কেন? এই নাও তোমার পাউরুটির দাম। ঢল ঢলে পকেট থেকে একটা পাঁচ টাকার নোট বের করে পারুল মাসীর হাতে দিল। পারুল মাসী ছোঁ মেরে পাঁচটাকার নোটটা হাতে নিয়ে দু টাকা কেটে ডমনা ঘোষের হাতে তিন টাকা ফেরত দিল। এখানে খেলা শেষ নয়। ডমনা, ছেলেটাকে বললো, চুরি করতে কে বলেছে? জানো এর ফল কি? তোমার নাম কি, তোমার বাড়ী কোথায়? ছেলেটি উত্তর দিল ওর নাম চয়ন, এই পাড়াতেই থাকে। ডমনা বললো- তাহলে চুরি করলে কেন? ছেলেটি বললো, - আজবধি দুদিন পেটে দানা পানি পড়ে নি, খুব খিদে পেয়েছিল তাই ঐ মাসীর কাছে একটা পাউরুটি চেয়েছিলাম। বলেছিলাম পরে পয়সা দোব। আমার কথা শুনলো না বলে চুরি করতে বাধ্য হলাম। ডমনা বললো,


তোমার বাবা কি করেন?


বাবা তিন মাস আগে মারা গেছেন, ঐ কারখানাতে কাজ করতো।


তোমার বাবার নাম কি?


গজানন মোড়ল।


-তুমি গজানন মোড়লের ছেলে! তুমি হয়তো জানোনা, তোমার বাবা আমাদের পাশের ডিপামেন্টে কাজ করতো। তোমার বাবা একজন নাম করা মিস্ত্রী ছিল। তোমাদের বাড়ীতে কে কে আছে? শয়তান, বলুন আর চরিত্রহীন বলুন কোন কিছুর গন্ধ পেতে চাইছেন গন্যমান্য ভদ্রলোক শ্রীমান ডমনা ঘোষ। এদের চরিত্র বিশ্লেষন করা যায় না। পাতার পর পাতা এদের চরিত্র এর ব্যাখা করা যায়। বাড়ীতে কেকে আছে বললে না। চয়ন নম্র কণ্ঠে বললো, মা, আমি আর আমার ছোট বোন দীপালি, ডমনা বললো,- চল তোমাদের বাড়ীতে যাই। তোমার মা কেমন আছে খবর নিয়ে আসি। ডমনা ওদের বাড়ীর দিকে রওনা হোক চয়নের সাথে। ডমনাবাবু হলেন সমাজ সেবক, উপকারী বন্ধু, দেখা যাক এই পরিবারে প্রবেশ করে তিনি কি উপকার টি করছেন। ডমনা কোনদিন গজানন মোড়লের বাড়ী আসে নি। তাই ময়না কে কোন দিন চোখে দেখে নি। ময়না একজন পূর্ন যুবতী মেয়ে। এক পলক দেখেই ওর ভেতরটা যেন শির শির করে উঠলো। মেয়েটার যেমন শরীরের বাঁধন, যেন পান পাতার মত মুখ, পটলচেরা চোখ, গায়ের রং দুধে আলতায় মিশ্রন। বিশেষ করে ঐ যে ঠোঁটের নীচে একটা কালো তিল ওটাতে তার মুখের ফেস একে বারে লাবন্যময়ী। যে কোন পুরুষের মন হরন হতে বেশী সেময় লাগবে না। ময়নার মুখ পানে কতক্ষন যে তাকিয়ে ছিল ডমনা তা জানে না, চয়নের ডাকে তার তন্দ্রা কেটে গিয়ে লজ্জায় পড়লো। চয়ন বললো- জেঠু চা খাবে? ভমনা বললো,


- না চয়ন আজ চা খাবো না। তোমাদের একটা হিল্লে না করা পর্যন্ত্য তোমাদের


বাড়ীতে কিছু খাবো না। চয়ন ওর মাকে বললো, মা জেঠু চা খাবে না। ময়নার পানে তাকিয়ে বললে, তুমি চয়নের মা?


- হ্যাঁ, আমি হতভাগী সেই মা, যে মা দুটো ছেলে মেয়ের মুখে এক মুঠো অন্ন তুলো দিতে পারে না। তাদের মুখপানে তাকাতে পারা যায় না। তবে আপনি কি ভমনদা? ডমনা ব্যাকুল স্বরে বললো,


- হ্যাঁ আমি ডমনাদা। গজানন ভালো মিস্ত্রি ছিলো। কিন্তু ঈশ্বর এতো তাড়াতাড়ি ওকে সংসার থেকে বিদায় করবেন কেউ ভাবতে পারিনি। তবে ময়না একটা কথা মনে রাখবে, মানুষ কখনো চিরস্থায়ী নয়, তবে অকালে চলে গেলে বুকে বড় আঘাত হানে। তবে ভয় পেওনা, আমি তো মার পাশে আছি, থাকবো। জানি না আমার নিয়ে গজাননের কাছে আমার বর্ননা শুনে থাকবে। তবুও বলছি আমি কারখানার একজন নামী নেতা। ময়না ওর কথাকে কেড়ে নিয়ে বললো, -আমি রাজুদার কাছে শুনেছি আপনার কথা। যদি কোন প্রকারে একটা যে কোন কাজ করে দিতেন তাহলে দুটো বাচ্চার মুখে কিছু আহারের ব্যবস্থা করতে পারতাম। আপনি কি একটা দুস্থ পরিবারকে মৃত্যুর কবল হতে বাঁচাতে পারেন না? একটা ঝঞ্ঝা বিদ্ধস্ত দরিদ্র পরিবারকে অন্ধকারাছন্ন হতে আলোতে আনতে পারবেন না। ওকথা শুনে ডমনার কুন্ড যেন ধীরে ধীরে উৎতপ্ত হতে থাকলো। এইতো সুযোগ ময়নাকে- না থাক এতো তাড়াতাড়ি করে মনকে উতলা করা উচিত হবে না। ধীরে ধীরে ময়নাকে নিজের করে নিতে হবে। ডমনা ঐসব নানা কেত্তনের কথা চিন্তা করে তেপান্তরের মাঠে হাজির হয়েছিলো। ময়নার ডাকে নিজের তন্দ্রাকে কাটিয়ে তুললো- আপনি কাজের ব্যাপারে চিন্তা করছেন?


- তুমি ঠিক কথা বলছো। তোমার এই দারিদ্র পরিবারটিকে আর্থিক অন্বেষণের কোন পথ খোলা নেই আমি বুঝতে পারছি। আমি আরো অনুভব করছি তুমি তোমার জীবনে পঙ্কিলতার আর্বতে ঘুর পাক খাচ্ছে। তুমি তো জানো ময়না এই বর্তমান যুগে মানুষ বড় জঘন্য হয়ে গেছে। সর্বত্র বিষাক্ত নিঃশ্বাস সমাজে রন্ধে রন্ধে প্রবেশ করে পশুত্বের পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে। সাবাস ডমনা ঘোষ সাবাস। এই সুন্দর ডাইলগ কি করে মুখ থেকে বের হলো এটাই আমাদের ভাবিয়ে তুললো। আচ্ছা দেখা যাক কত ভালো কাজ করছেন আমাদের ডমনা ঘোষ। তবে একটা কথা বলে রাখছি, ভূতের মুখে রাম নাম। ময়নাকে গভীর আশ্বাস দিয়ে বললো- তুমি চিন্তা করোনা ময়না আমি কথা দিচ্ছি কোন না কোন ব্যবস্থা করবই। এতো দিন পার্টী করছি তোমার একটা কাজ করতে পারবো না? আজ আর এখানে থাকার সময় হচ্ছে না। আমাকে ডিউটি যেতে হবে। এক কাজ করো, ভমনা ঘোষ কামিজের পকেট থেকে কড় কড়ে দশটার নোট কুড়িটা ময়নার হাতে দিয়ে বললো, - এই টাকা গুলো রাখ, তোমার ছেলে মেয়েদের মুখপানে তাকিয়ে দিলাম। ময়নাকে অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও নিতে হলো। ময়না জানে, এই ধুরন্ধর পৃথিবীতে এমন একটা মানুষ পাবেন না যে বিনা স্বার্থে মানুষের কাজ করে। ময়না কথাখানি মন্দ বলে নি। যুগ অনুপাতে কথাখানি যথেষ্ট সত্যতা আছে। ভমনা এক সময় বললো, তাহলে আজ বিদায় নি। পরে সময় সুযোগ পেলে আসবো। তবে যাবার সময় একটা কথা বলে যাই, বিপদে তোমার পাশে আছি। ডমনাবাবু প্রস্থান করলেন।'

_____________________________________


পর্ব - ৯ পড়তে -

click here 🔴

Thursday, July 11, 2024

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job


 

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job



রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাজ্যে আবার বিপুল সংখ্যক টাটা কোম্পানিতে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। নিয়োগ টি হবে টাটা স্টিল সেক্টরে। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব এছাড়া সরকারি ভাবে নতুন কি কি সুযোগ দেওয়া হবে‌ তা নীচে আলোচনা করা হল।



পদের নাম : টাটা স্টিল সেক্টরে বিভিন্ন শূন্য পদে কর্মী নিয়োগ শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদনের নীচে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তির লিংক দেওয়া আছে সেখানে ক্লিক করলেই সমস্ত পদের নাম দেখতে পাবেন।


মোট শূন্যপদ : মোট ৬০০০টি কর্মী নিয়োগ হবে।


বেতন সীমা : এখানে প্রতিটি চাকরি প্রার্থীকে প্রতি মাসে ২৪৫০০ টাকা বেতন দেওয়া হবে এবং সর্বোচ্চ বেতন পাবেন ৬৮-৩০০ টাকা‌। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ।


শিক্ষাগত যোগ্যতা : এখানে বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন ধরনের যোগ্যতা লাগবে। তাই কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম মাধ্যমিক অথবা উচ্চমাধ্যমিক অথবা এর উচ্চতার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও পদ অনুসারে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।



আবেদন পদ্ধতি : চাকরি প্রার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সর্বপ্রথম নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক ক্লিক করে ভিসিট করবেন। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন ।এরপর নির্দিষ্ট পদ সিলেক্ট করে সঠিকভাবে ফর্মটি পূরণ করুন। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য স্ক্যান করে আপলোড করবেন। সবশেষে ফর্মটি পূনরায় যাচাই করবেন তারপর সাবমিট করবেন।


নিয়োগ প্রক্রিয়া : চাকরিপ্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবেনা। সরাসরি ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবেএবং এর পাশাপাশি প্রার্থীর বয়স ও যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন হবে।


আবেদন শেষ তারিখ : আগামী ০৮/০৮/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত আবেদনকারীরা অনলাইন এ আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 



নোটিফিকেশন লিংক -

click here 🔴





অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -


Click here 🔴


TATA Steel Job Recruitment 2024 || Tata Steel Company Recruitment for 6000 Vacancies || TATA company job


 

TATA Steel Job Recruitment 2024 || Tata Steel Company Recruitment for 6000 Vacancies || TATA company job



 Good news for state job aspirants. So far the central and state job recruitment was stopped. But now the wait of West Bengal job aspirants is about to end. A large number of Tata companies are going to recruit workers in the state again. The recruitment will be in Tata Steel Sector. So this is a golden opportunity for all the job aspirants who are currently waiting for government jobs. What posts will be appointed, how much monthly salary will be given, what is the age limit, what educational qualification will be required and how to apply will be known from below.



 Post Name: Tata Steel Sector has started recruitment for various vacant posts. Click on the official notification link below this report to see all the post names.


 Total Vacancies: Total 6000 employees will be recruited.


 Salary Limit: Here every job aspirant will be paid Rs 24500 per month and maximum salary will be Rs 68-300. There are also various facilities.


 Educational Qualification : Here different qualifications are required for different posts. Therefore, even if you have a minimum secondary or higher secondary education qualification from a recognized institution, you will get the opportunity to apply according to the post.



 Application Procedure: Job aspirants will have the opportunity to apply through online only. First visit the official website link given below. Then register. Then select the specific post and fill the form correctly. Then scan and upload the required information. Finally recheck the form and then submit.


 Recruitment Process: Candidates will not have to give written test. The recruitment process will be done through direct interview and besides this the selection of the candidates will be done based on the age and qualification of the candidate.


 Application Last Date: Applicants will get an opportunity to apply online till 08/08/2024. 



 Notification Link -


 click here 🔴




 Official Website -


 Click here 🔴

Sunday, July 7, 2024

মিড ডে মিলে সুপার ভাইজার নিয়োগ || WB Supervisor Recruitment 2024 || WB jobs || Supervisor Recruitment || WB jobs 2024 || ব্লকে ব্লকে ডে মিল প্রকল্পে সুপারভাইজার নিয়োগ


 

মিড ডে মিলে সুপার ভাইজার নিয়োগ || WB Supervisor Recruitment 2024 || WB jobs || Supervisor Recruitment || WB jobs 2024

ব্লকে ব্লকে ডে মিল প্রকল্পে সুপারভাইজার নিয়োগ



রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাজ্যে আবার বিপুল সংখ্যক সুপার ভাইজার নিয়োগ হতে চলেছে মিড ডে মিলের প্রোগ্রাম দেখাশোনার জন্য। পুরুষ ও মহিলা সকল প্রার্থীই এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব এছাড়া সরকারি ভাবে নতুন কি কি সুযোগ দেওয়া হবে‌ তা নীচে আলোচনা করা হল।




পদের নাম : Supervisor (মিড ডে মিলের প্রোগ্রাম দেখাশোনার জন্য)


বেতনক্রম : প্রতি মাসে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সুপারভাইজার পদে ১০,০০০/- হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে


বয়স সীমা : আবেদনকারীর বয়স ০১/০১/২০২৪ তারিখ অনুযায়ী ৬২ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবেই সে এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 



শিক্ষাগত যোগ্যতা : আবেদন কারীকে অন্তত যে কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যে কোনো শাখায় গ্রাজুয়েট হতে হবে, তবেই এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 



আবেদন পদ্ধতি : শুধুমাত্র অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নীচে দেওয়া নোটিফিকেশন লিংক থেকে আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করতে পারবেন। প্রিন্ট আউট হয়ে যাওয়ার পর হাতে-কলমে সুন্দর ফিলাপ করে তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস একত্রিত করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে সরাসরি নির্দিষ্ট ঠিকানায় জমা করতে হবে। 


নিয়োগ প্রক্রিয়া : আবেদনকারী প্রার্থীদের আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউ এর তারিখ দিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এখানে শুধুমাত্র ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। 


আবেদনের শেষ তারিখ : আগামী ১৬-৭-২০২৪ বিকাল ৪ঃ০০ টা পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা করার সুযোগ পাবেন। 


Website Link - 

Click here 🔴



Notification - 

click here 🔴

Thursday, July 4, 2024

জুন সংখ্যা ২০২৪ || June Sonkha 2024 || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

 



সম্পাদকীয়:


যে প্রেম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার উপর গড়ে ওঠে সেই প্রেমের স্থায়িত্বকাল কতটা তা সংশয়ের বস্তু। 'প্রেমে পড়া বারণ কারণ অকারণ' এই কথার মধ্যেই তাৎক্ষণিক প্রেমের ভয়াবহতা লুকিয়ে আছে। আসলে প্রেম একটা আনন্দদায়ক অভিশাপ। প্রেমের মাহাত্ম্য বোঝা সকলের সাধ্য নয়। তবে এটা কেবল কোনো নারীর প্রতি পুরুষের কিংবা কোনো পুরুষের প্রতি নারীর প্রেম ।


 আসলে কিছু প্রেম আছে যা হল সাধণা। প্রেমের সাধণায় যে মত মশগুল সে তত বেশি সন্ন্যাসী ও তান্ত্রিক। আসলে প্রেম হল ছোঁয়াচে। এই প্রেম হল সাহিত্যের প্রতি। সাহিত্য প্রেমিক সাধক হতে ভালোবাসে। আসলে এই সাধণাটা প্রত্যেক মানুষের দরকার। এতে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।


এই সাহিত্যের প্রতি প্রেমের সাধণায় মশগুল থাকার সুযোগ করে দিয়েছে আপনার আমার সকলের প্রিয় পত্রিকা ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা। তাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। সাহিত্যের প্রতি প্রেমের সাধণা করে যান নিরন্তর। ওয়ার্ল্ড সাহিত্য আড্ডা ব্লগ ম্যাগাজিন আপনার পাশে আছে। 


                  ‌ ধন্যবাদান্তে 

                                   সম্পাদকীয় বিভাগ 



____________________________________________


                                 সূচীপত্র 

 

English story - Bhaskar sinha


English poem - Samir Kumar Dutta 


বাংলা কবিতা - সুশান্ত সেন 


বাংলা গল্প - তপন তরফদার, গায়ত্রী ভট্টাচার্য 


প্রবন্ধ - শংকর ব্রহ্ম 



_____________________________________



___________________________________


_____________________________________