Sunday, September 26, 2021

কবি মুহাম্মদ বায়েজিদ আলী -এর একটি কবিতা

 সংকেত



নগদ দেনমোহর;

তবু সংকেত!

উকিল বাড়ি সন্ধান...

আর ক'টা দিন। ভালোবাসায় রাঙিয়ে তুলো,

আগামী দিন...

হ্যালো! মুঠোফোন।


কবি অমিত পাল -এর একটি কবিতা

 তুমি পাল্টাবে না

                       


তোমরা তো দেখছি নতুন ভাবে সারি বেঁধেছ৷

পিঁপড়েরাও তোমাদের দেখে লজ্জা পাবে৷

হাতে হাতে ধর্মধ্বজা----

লাল, সবুজ, গেরুয়ার সমুদ্র সফেন৷

তোমরা নিজেদের ডিম্ব গুলি রক্ষা করতে চাও----

পিঁপড়ের বংশধর সব৷


আমি জানি একথা----

তুমি থামবে না ধমকানিতে৷

জয়গান গেয়ে যাও নিজ পেটের ভাত রক্ষার্থে----

বোকামিতে হোক বা ছলচাতুরীতে৷


আমি জানি তুমি থামবে না৷ গর্জে উঠবে বারবার৷

তোমার তো সম্পদ-প্রভাব প্রতিপত্তির প্রতি

একটা নিগূঢ় লালসা আছে---- একথা আমি জানি৷

তুমি চিৎকার করছ নিজের জন্য৷

কিন্তু তোমার সঙ্গীরা...

টিফিন পেলেই তৃপ্ত পাশে থাকা গিরগিটি----

একথা তুমি জানো?


আমি জানি তুমি থামবে না৷ অনশনে বসবে৷

কিন্তু তোমার সভা-সমাবেশের ভবিষ্যত কি?

সে কথা প্রত্যুত্তরে বলো আমায়...

কবি উদয়ন চক্রবর্তী -এর একটি কবিতা

 আলবিদা

  



শরীরের ঘাম যখন বৃষ্টি আবদার করে

আকাশের বাউন্ডুলে মেঘও কেঁদে 

নিজেকে হালকা করতে চায় লজ্জাহীন।

এসো এটা আমি জানি তুমিও জানো কোথায় কোন কোণায় ঘাপটি মেরে

লুকিয়ে থাকে ভালোবাসার ঘুন পোকা

যদিও সে জানাও সম্পূর্ণ নয় এ যাত্রা পথে।

কোথায় কোথায় স্পিড ব্রেকার তৈরি হয়

সময়ের অন্তরালে যাপনের ইতিহাসের পাতায় কোনো যতি চিন্হ না রেখে সে ধূসর 

রেখা চিত্র এক অতি বাস্তব ছবি এঁকে ফেলে।

আমি সেই প্রজাপ্রতি কে খুঁজে মরি যে আমাকে পৌঁছে দিতে পারে এক নৈসর্গিক 

দিগন্তের শেষ প্রান্তে যেখানে লেখা আছে আলবিদা।

কাটা ঘুড়ির গন্তব্য হীন বিষণ্ন যাত্রাপথে

বোঝা যায়না যখন উল্লাস আর উন্মাদনা 

নেচে বেড়ায় ময়ূরের মতো পেখম তুলে।

সময় যোগ বিয়োগ করে ঠিক ভাগশেষের

উত্তর মিলিয়ে দেয়।

কবি সুব্রত মিত্র -এর একটি কবিতা

 ললাট লিখন




বৃক্ষ তলে বসে আছি।চিল কাক উড়ে যায়।

তারা বাসা ছেড়ে ছুটে এসে আমাকে তারায়,

আমি নির্ভাবনায় আছি,

তবু মরি বাঁচিবার আশায়। 


পড়ে রয় মন এই বনে;নাহি যেতে চায় লোকালয়ে

আজকে লোকালয়ে নেই আর মানুষের আশ্রয়

সেথা হয় সর্বদা হিংস্রতায় রক্ত ক্ষয়, 


এই জঙ্গল হয় উৎকৃষ্ট মঙ্গল

এখানে ছদ্মের বেশ নেই

স্বভাবজাত জালিয়াতির রেশ নেই,

এখানে মুক্তির আহবানে সারা দিই দিন রাত

আহা বেশ বেশ কি চমৎকার আমার বরাত। 


অহংবোধ করিয়াছি রোধ

নিজের অজান্তে যাহা ছিল অপরাধ হয় যেন শোধ;

অক্ষর চলে গেছে বহুদূর

বাক্যের সন্ধানীরা অবাক্যের মাঝে আছে পড়ে,

বাধ্যবাধকতায় করি যাপন বেদনা মধুর মিদুর। 


শিকড় উপড়ে ফেলা যন্ত্রণার বিদ্রোহ কল্পনায়

যাতনার শিকার হয়েও, মরে গিয়েও, মরছি না।

মরে যেতে চাই, তবুও মায়া না হারাই।

পঙ্কিল চৌচিল অনাবিল তাহাদের করেছিল সবল

আমি আগেও ছিলাম আজও আছি,আমি খুব দুর্বল।

কবি সত্যেন্দ্রনাথ পাইন -এর একটি কবিতা

 কিনলে একটা পাহাড়



আমি কিনবো একটা পাহাড়

শত্রুদের মুখে পড়বে ছাই। 


আমি দাঁড়াব পাহাড়ের এই পাড়ে

ওরা যাবে সেথায় হারিয়ে। 


পারবে না আমায় আটকাতে

বড় জোর ব্যঙ্গ করবে নাহয় শিস দিতে


ভাসবে ঝাউবনে সাগরের জলে

কিংবা বাধ্য হবে সব ভুলে


কত মাটি কত খাদ যাচাই করতে

 আমি কিনলে একটা পাহাড়

ওরা যাবে যেখানে বেড়াতে।

কবি তৈমুর খান -এর একটি কবিতা

 সম্পাদক 

  



পাত্তা দেবে না কেউ , কাছাকাছি গেলে 

মুখ ফিরিয়ে নেবে , কথাও বলবে না 

শুধু নীরবে বাইরে যাওয়ার ইংগিত 


পাত্তা দেবে না কেউ 

                 যে রকমই সম্পাদক হোক 


তার কাছে দেবার মতো আলো যদি নাও থাকে 

সুখ দুঃখ বাক্য বিনিময়ে কিছুই ভাগ করা যাবে না 

ডিঙানো যাবে না তার ঘরের সীমানা 


এইখানে রাত হলে রাস্তায় বসে বসে কাঁদো 


এইখানে আগুনে পুড়লে যন্ত্রণায় নিজেকে ঢাকো 


গাছের ছায়ায় বসে দ্যাখো , কত পাখি ডাকে 


ভিজে যাও বৃষ্টিতে বর্ষায় মেঘে —


এইখানে একমনে লেখা আর না - লেখার ভিড় 

পাতায় পাতায় মেঘে কল্পনার নীড় 

আনন্দে নিরানন্দে ক্রমে কথা হোক 

লেখা আর না - লেখাদের নিজেই সম্পাদক ।

১১তম সংখ্যার সম্পাদকীয়

 

   

                                   অঙ্কন শিল্পী- মৌসুমী চন্দ্র



সম্পাদকীয়



নদীর মত বয়ে যাওয়া ভাষাশৈলী কে বুঝতে হলে প্রয়োজন সমুদ্র সুলভ মন। কারণ একটাই নদীর শেষ ঠিকানা সমুদ্র। আজ এগারোতম সংখ্যা প্রকাশিত হল। এতদিন লিখছেন, পড়ছেন আমাদের ব্লগ ম্যাগাজিন। পাশে আছি আমরা পরস্পরের কাছে। ভালোবেসে পড়ুন পত্রিকা। লেখা গুলি হৃদয়ে অন্তর্নিহিত করে তাৎপর্য বুঝতে শিখুন। জানান প্রতিটি লেখার মন্তব্য। তাই আমাদের ওয়েবসাইট ম্যাগাজিনে লেখা পাঠান, অন্যের লেখাকে গুরুত্ব দিয়ে পড়ুন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। পড়তে থাকুন আমাদের পত্রিকা।

 

 

                                      ধন্যবাদান্তে

                     World sahitya adda সম্পাদকীয়


__________________________________________________


***Advertisement (বিজ্ঞাপন):




##সাঁঝের বেলা' মাসিক অনলাইন ম্যাগাজিনে যে কেউ কবিতা/গল্প পাঠান|
##'সাঁঝের বেলা' সাহিত্য সম্মান' (কবিরত্ন/সাহিত্যরত্ন/সাহিত্যজ্যোতি) পেতে যে কেউ নিজের লেখা সেরা কবিতা/গল্প/প্রবন্ধ/আঁকা ছবি/ভ্রমণ কাহিনী/রম্য রচনা/উপন্যাস/নাটক পাঠান|
##'সাঁঝের বেলা জীবনজ্যোতি সম্মান' পেতে নিজের জীবনী পাঠাতে পারেন|
লেখা পাঠাতে যোগাযোগ করুন- 9999998705

                     -সম্পাদক সাঁঝের বেলা
_______________________________________________________________

বি.দ্র-- বিজ্ঞাপনের সব দায়িত্ব বিজ্ঞাপন দাতার


Saturday, September 25, 2021

১১ তম সংখ্যার সূচিপত্র (২৭জন)

 সম্পূর্ণ সূচিপত্র



বাংলা কবিতা ও ছড়া---


তৈমুর খান, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, সুব্রত মিত্র, উদয়ন চক্রবর্তী, অমিত পাল, মুহাম্মদ বায়েজিদ আলী, ইমরান শাহ্, চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী, মহীতোষ গায়েন, নবকুমার, তুলসীদাস বিদ, আবদুস সালাম, বন্যা গুপ্ত, তাপস মাইতি, 



বাংলা গল্প---


আশীষ কুন্ডু, রানা জামান, রোকেয়া ইসলাম



বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা---

সুজিত চট্টোপাধ্যায়, তীর্থঙ্কর সুমিত



রোগ বিষয়ে আলোচনা---


প্রভাত ভট্টাচার্য



বাংলা ছোট নাটক----


রাজা দেবরায়



ইংরেজি কবিতা--


Soumendra Dutta Bhowmick, Sunanda Mandal

Amit bid.



Photography----


Moushumi chandra



গান---


বদরুদ্দোজা শেখু

Sunday, September 19, 2021

Photography by Moushumi chandra

 


গীতিকার বদরুদ্দোজা শেখু -এর একটি গান

 মনটা আমার 



মনটা আমার দুঃখী ওগো তোমার বিরহে দুখী

দূরত্বে ,তবু সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছো মুখোমুখি।।


বাড়িয়ে রয়েছি হাত 

উদাত্ত দিনরাত

প্রতীক্ষায় শুধু প্রতীক্ষায় শ্বাস প্রশ্বাস ফুঁকি।।


জানিনা কখন আসে 

আলেয়া আমার পাশে

দূরে হাসে, উড়ে যায় বেদনায় লুকোলুকি ।।


হয়তো হবেনা পাওয়া

 হাসি কান্না গান গাওয়া

এ জীবনে , সেই বিচ্ছেদ খেদ হ'য়ে মনে দ্যায় উঁকি।।

Poet Sunanda Mandal's one poem

 Lifeless

     


I'm hungry 

You are hungry 

The world too. 


The whole family in the game of Maran 

In response to the pain. 


His greedy vision 

The tip of the sharpened fruit. 

Even the mournful bullet wounds, Blooming roses.


But with the claim of love 

No one has the courage to move forward. 

Everyone in the hungry,

World is tired, lifeless.

Poet Soumendra Dutta Bhowmick's one poem

 A FORTUNATE LATE



 

Even not at all death touches the mortal body...

Such pity on me throughout the days!

It’s wonder in a motion study,

Who is the secret benign?

Despite piling of Sins in the Note-Book

Time is flowing smoothly very fine!

Somewhat may be the outcome of honest works

Or somewhat due to a holy touch,

As if death is afraid of coming nearer

Because joy overflows with the doubts much

                Likely may be the weakness

                           Kindling the Lamp,

With this light the river will flow and flow

                 Till the death kisses like the champ.

লেখক ঋদেনদিক মিত্রো এর একটি প্রবন্ধ

 ভুল অর্থনীতি, জুতোর মালা  ও এক লাখ টাকা বাজী 

 


মানুষকে নিচু চিন্তায় আটকে রেখে, তার বুদ্ধির বিনাশ ঘটিয়ে তাকে যত ডিগ্রী, পদ, টাকা ও অন্যন্য সুযোগ দেওয়া হোক না কেন, দেশের কোনো উন্নতিও হবে না, সমাজের কোনো মঙ্গল হবে না, এই সত্য যতদিন না দেশের জনগণ বুঝবে ততদিন দেশ নির্বোধ, আর এই সত্য বুঝে যতদিন না আমাদের রাষ্ট্রীয় ও রাজ্যিয় শাসন ব্যবস্থ্যা --- জনগণকে উন্নত চিন্তা ও উন্নত অভ্যেসে ও নির্লোভ জীবন যাপনে নিয়ে যাবে ততদিন দেশের কোনো উন্নতি হতে পারে না! 


কিছু সেতু, রাস্তা, বাড়ি, অফিস, যুদ্ধাস্ত্র, চাকরি, এগুলি আধুনিক করা হলো মানে দেশ উন্নত হয়নি, কারণ মানুষের মনের, স্বভাবের ও অনুভবের উত্তরণ না হলে, বাকি সব উন্নতিগুলি দেশের সম্পদ নষ্ট ও সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়! 


এই সত্যের বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়ালে ও আমাকে মিথ্যে বলে প্রমাণ করলে আমি জুতোর মালা পরবো প্রকাশ্যে, ও সেটা ইউটুবে দেখানো হবে, এবং একই সাথে এক লাখ টাকা বাজী, কিন্তু যদি বিরুদ্ধ পক্ষ হেরে যায় আমার কাছে ডিবেটে, তাহলে তাদেরও এটা করতে হবে! সরকার পক্ষের যেকোনো সংস্থা হলে, তারা হেরে গেলে তখন কয়েক কোটি টাকা তারা আমাকে দেবে তারা হেরে গেলে!


আছে কেউ এই দেশে, এই বিশ্বে, এই কথাগুলিকে মিথ্যে প্রমাণ করতে? তাঁকে আমন্ত্রণ করি!


যে-জনগনের এখনো এই বিষয়ে অনুভব তৈরী হয়নি, তাদের শিক্ষা, ডিগ্রী কেড়ে নেওয়া দরকার, তাদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া দরকার, তাদের সন্তান জন্ম দেবার অধিকার কেড়ে নেওয়া দরকার, তাদের উৎসব অনুষ্ঠানের অধিকার কেড়ে নেওয়া দরকার, কারণ তাদের বংশধরগুলোও তাদের মত ক্ষতিকারক জীব হবে !


কারণ নির্বোধ বা সংকীর্ণ স্বার্থপরদের হাতে সম্পদ, ডিগ্রী ও পদ থাকা মানে সভ্যতার সর্বনাশ ! 


দেশ ও বিশ্বকে সুস্থ করে তোলার জন্য আমার এই প্রক্রিয়া ও চিন্তা! 


উন্নত হওয়া ও উন্নত করার উদ্দেশ্যকে যদি অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয় তাহলে যারা এটা করবে তারাই অপরাধী, আমি নই!


পৃথিবীতে এতো সমাজ চেতনার গ্রন্থ, দর্শনের গ্রন্থ সেগুলিতে কী আছে?  


উপযুক্ত অর্থে সেগুলিতে কিছুই ছিলোনা, ছিল কেবল রচনার কৌশল, আর সঠিক সত্যকে ফাঁকি দেবার পন্থা পদ্ধতি, কিংবা আবছা সত্য, তাই সভ্যতাটা ক্রমশ বর্বর হচ্ছে দিন-দিন!