Friday, February 4, 2022

RRb NTPC Main Exam date 2022 || rrb kolkata || Rrb NTPC result || rrb kolkata ntpc main exam 2022 || NTPC RESULT 2022

 



রেলের এনটিপিসি ফল প্রকাশ হয়েছে ১৪ই জনুয়ারি , মেন পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে




রেলের non-technical পপুলার ক্যাটাগরি (NTPC) এর প্রথম পর্যায়ের যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তার ফল প্রকাশ হয়েছে 14 ই জানুয়ারি।


  কলকাতা, মালদা, শিলিগুড়ি সহ সারা ভারতের বিভিন্ন রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি নাম্বার ০১/২০১৯ এর non-technical পপুলার ক্যাটেগরির প্রথম পর্যায়ের সফল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল দেখতে এই ওয়েবসাইটে---

www.RRB Kolkata.gov.in

ক্লিক করতে হবে। ওয়েবসাইটে সফলদের তালিকা পাওয়া যাবে।




প্রথম পর্যায়ের সফল প্রার্থীরা দ্বিতীয় পর্যায়ের 14 থেকে 18 ফেব্রুয়ারির মধ্যে কম্পিউটার বেসড টেস্ট পরীক্ষায় বসতে পারবে। পরীক্ষা শুরুর 10 দিন আগে থেকে মনোনীত প্রার্থীদের এসএমএস বা ই-মেইল করে পরীক্ষার তারিখ ও এডমিট কার্ড ডাউনলোড সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে।



পরীক্ষার্থীরা ই এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে থেকে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে।



লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন হবে সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের স্থানীয় ভাষায়, হিন্দি, ইংরেজি ও উর্দুতে।


এই পদে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল 1 কোটি 26 লক্ষ প্রার্থী।


__________________________________________________



সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন---

https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/01/bsk-new-recruitment-2022-wb-govt-jobs.html


______________________________________________


বিজ্ঞাপন-



Thursday, February 3, 2022

সুজির খাস্তা বিস্কুট কিভাবে বানাবেন || How to make Sujir khasta Biscuit || Recipe - Sujir khasta Biscuit by Saptatirtha Mondal || cooking || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes


 

বিভাগ- রান্না টাও শিল্প


 


*সুজির খাস্তা বিস্কুট*



  উপকরণ : ময়দা,সুজি, চিনি বেকিং পাউডার এলাচগুঁড়ো, নুন, সাদা তেল।


  প্রণালী :  প্রথমেই করায় গ্যাসের উপর বসিয়ে আমরা তাতে কিছু পরিমাণ সাদা তেল গরম হতে দেবো। এরপর একটি পাত্রে ময়দা এবং সুজির পরিমাণ 2 :1 অনুপাতে নিতে হতে হবে। অর্থাৎ যদি দু কাপ ময়দা নেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে এক কাপ সুজি দিতে হবে।

 ময়দা, সুজি, হাফ চামচ বেকিং পাউডার এবং এক চামচ নুন, এক চামচ চিনি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। চিনি অত্যাবশ্যকীয় নয় যার দিতে ইচ্ছা করবেনা সে তিনি স্কিপ করতে পারেন। চিনি দিলে নোনতা এবং মিষ্টি দুটো স্বাদ ই পাওয়া যায় । খেয়াল রাখতে হবে আমাদের এই উপকরণগুলি যত ভালোভাবে আমরা মিশিয়ে নিতে পারব সুজির বিস্কুট ততটাই মুচমুচে এবং খাস্তা  হবে।

  এই শুকনো মিশ্রণ এর উপর গরম হওয়া তেল এর কিছু পরিমাণ চামচে করে তুলে নিয়ে আমরা ময়েন হিসাবে ব্যবহার করব। এবং খুব ভালোভাবে সমস্ত উপকরণ গুলি গরম তেলের সাথে মেখে নেব এমনভাবে মাখতে হবে মুঠো করে ধরলে যেন একটা দলা পাকানো যায়, এবং সাথে সাথে  সেটা ভেঙে ফেলা যায়।

  তারপর কিছু পরিমান জল দিয়ে গোটা মিশ্রণটা

 মেখে নেব।

 এরপর সেই মিশ্রনটিকে যে যেমন খুশি গোল বা চৌকো আকারে গড়ে নেব।


 পরবর্তী ধাপে কড়াইয়ে বেশি পরিমাণ সাদা তেল গরম হতে দেবো। হাই ফিল্মে তেল গরম করতে হবে,তেল ভালোভাবে গরম হয়ে যাওয়ার পর গ্যাসের ফ্লেম  কমিয়ে সুজির বিস্কুট গুলো পরপর ভাজতে হবে।

*প্রথম শর্ত সুজির বিস্কুট গুলিকে ডুবোতেলে ভাজতে হবে*


• *দ্বিতীয় শর্ত বিস্কুট গুলি কম  আঁচে ভাজতে হবে*

  হাই ফ্লেমে সুজির বিস্কুট যদি ভাজি তাহলে কিন্তু বিস্কুটের রং কালচে হয়ে যেতে পারে, পুড়েও যেতে পারে  এবং ভেতরটা কাঁচা থাকবে।


এরপর ভাজা বিস্কিট গুলিকে আমরা একটি পাত্রে তুলে নেব যদি পারেন বিস্কুট গুলি তোলার সময় আপনারা টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে পারেন। পরিবেশনের সময় গরম চায়ের সঙ্গে এটি পরিবেশন করা যায় এবং বাচ্চাদের টিফিনের এই রেসিপিটি তৈরী করে দেবেন তারা ভীষণ মজা করে খাবে।

_____________________________________________



সম্পূর্ণ রেসিপি টি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-

https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/02/how-to-cook-reshmi-katla-recipe-reshmi.html


__________________________________________________

বিজ্ঞাপন-



Wednesday, February 2, 2022

রেশমি কাতলা রান্না কিভাবে করবেন || রেশমি কাতলা রেসিপি || How to cook Reshmi katla Recipe || Reshmi katla Recipe by Saptatirtha Mondal || cooking Fish || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes


 

বিভাগ- রান্না টাও শিল্প


*রেশমি কাতলা*



উপকরণ : পরিমান মত বড় সাইজের কাতলা মাছের পিস নিতে হবে। অবশ্যই এটা নিজেদের পরিবারের সদস্যসংখ্যা হিসেব করে নিতে হবে।


 প্রথমে মাছ  পরিষ্কার জলে ভালো করে ধুয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে ঘন্টাখানেক ।

 আনুষঙ্গিক উপকরণ হিসেবে লাগবে দুটো বড় সাইজের পেঁয়াজ, আদা, চার কোয়া রসুন, কাজুবাদাম, চারমগজ, টকদই এবং গোটা গরম মসলা যেমন [এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ] কিছু পরিমাণ ধনেপাতা আর সর্বোপরি বড় বড় কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা ।


  রান্নার প্রণালী : প্রথমে কড়াইয়ে সরষের তেল দেওয়ার পর তেল গরম হয়ে গেলে বড় সাইজের কাতলা মাছ গুলি একে একে কড়াইয়ে দিয়ে  বাদামি  রং ধরলে ভেজে তুলে নিতে হবে।

( ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে গ্যাসের ফ্লেম টা থাকবে যাতে মাছগুলো খুব একটা কম ভাজা না হয় আবার যাতে খুব কড়া লালচে না হয় )


 এরপর আমাদের মিক্সার গ্রাইন্ডার মেশিন এ আদা, রসুন কাজুবাদাম, চারমগজ কাঁচালঙ্কা(দুটি ) , দুটো এলাচ একটা দারচিনি কাঠ এবং দুটো লবঙ্গ  ভালো করে পেস্ট করে নিতে হবে।


 পরবর্তী ধাপে আমরা পুনরায় কড়াইয়ে কিছু পরিমাণ সরষের তেল গরম হতে দেব। এবং তাতে সরু সরু করে কুঁচিয়ে  রাখা পেঁয়াজ  বেরেস্তার মতন ভেজে নেবো।

এরপরে যে মসলার পেস্ট বানিয়ে রেখেছি সেটি কড়াইয়ে দিয়ে  ভাল ভাবে কষাতে হবে।

 মশলা কষানোর  মিনিট পাঁচেক বাদে দু চামট সচ টক দই তাতে আমরা দিয়ে দেব এবং পরিমাণমতো নুন হলুদ তাতে অ্যাড করব যদি কেউ রান্নায় চিনি ব্যবহার করেন সে হাফ চামচ চিনি দিতে পারেন।



  (অবশ্যই বাচ্চাদের কথা ভেবে যে যেমন ঝাল খায় ঠিক সেই মত ঝাল দেওয়াটাই শ্রেয়)।


 ভালোভাবে মসলা কষানো শেষ হলে পরে আমরা কিছু পরিমান জল তাতে যোগ করব।


 পরবর্তীতে মিনিট পাঁচেক পরে জল এবং মসলা ভালোভাবে মিশে গ্রেভি তৈরি হয়ে গেলে তাতে ধীরে ধীরে ভেজে রাখা মাছগুলি দিয়ে দেব।


  রেশমি কাতলা তৈরি প্রায় শেষের দিকে এরপরে সমস্ত রেসিপিটি কড়াইয়ে গরম অবস্থায়  2 মিনিট মতো সময় নিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে এবং তাতে আগে থেকে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা এবং ধনেপাতা উপর থেকে মিশিয়ে দেব,

 তারপরে আমরা গ্যাস বন্ধ করে করাই একটি পাত্র ঢাকা দিয়ে রাখব যতক্ষণ না পর্যন্ত রান্নাটা ঠিকঠাক ভাবে সেট হয়  গ্যাস বন্ধ করে দেব।


 রেশমি কাতলা আইটেম আমাদের অলরেডি তৈরি গরম ভাতে পরিবেশনের জন্য এক্কেবারে রেডি।




হেলথ টিপস:


*কাতলা মাছ স্বাদু জলের মাছ এবং ভীষণ উপকারী মাছ আমাদের শরীরের বায়ু-পিত্ত এবং কফ এই তিনটির পরিমাণ কাতলা মাছ কমায় এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে*


  দ্বিতীয়তঃ কাতলা মাছের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখের দৃষ্টিশক্তি ভীষণভাবে বাড়ায়।


  *আজকের ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব,টিভি, মোবাইল ইত্যাদির ব্যবহার দিনে দিনে বেড়ে চলেছে,সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এইগুলি আমাদের নিত্যসঙ্গী কিন্তু এর পাশাপাশি উপকারিতা হিসাবে যদি কাতলা মাছের রেসিপি সপ্তাহে তিন দিন রাখা যায় তাহলে তার উপকার অনস্বীকার্য*


  *আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর পুষ্টি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মস্তিষ্ক সহ শরীরের বিভিন্ন কোষের প্রাচীর অর্থাৎ সেল মেমব্রেন গঠন করতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এই কাতলা মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি আসিড এবং ভিটামিন থাকে যা আমাদের প্রত্যেকের দেহ কোষ এবং মস্তিষ্কের কোষ গঠনে আলাদা আলাদা ভাবে উপকারী*

________________________________________________


বিজ্ঞাপন-



Tuesday, February 1, 2022

উচ্চ মাধ্যমিক পাশে সরকারি হাসপাতালে নার্সিং কোর্সে 10000 আসনে ভর্তি || GNM nursing course || WB Nursing course Recruitment 2022


 


উচ্চ মাধ্যমিক পাশে সরকারি হাসপাতালে নার্সিং কোর্সে 10000 আসনে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি:




রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অধীন বিভিন্ন নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে 10000 সিটে ( এ. এন. এম.) ও (জি. এন. এম.) কোর্সে  ভর্তির এন্ট্রান্স পরীক্ষার দরখাস্ত নেওয়া  শুরু হয়েছে।

এই দুই কোর্সে ভর্তির জন্য' জয়েন্ট এন্ট্রান্স টেস্ট 'নেওয়া হবে। এই টেস্টে সফল হলে মেধাতালিকা তৈরি হবে তারপর ইন্টারভিউ ও কাউন্সেলিং।

প্রার্থী বাছাই করবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ত্রন্স বোর্ড।


(এ .এন. এম. ) কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে 40% নম্বর পেয়ে যে কোন শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণীরা আবেদন করতে পারবেন। উচ্চমাধ্যমিকে ইংরেজি বিষয়ে 40 শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

 প্রার্থীদের বাংলা ভাষায় সাবলীল হতে হবে।বাংলা ভাষা লিখতে ও পড়তে পাড়া দরকার। দু'বছরের ট্রেনিং। স্টাইপেন্ড প্রতিমাসে 500 টাকা।

প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পাঁচ বছরের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।



(জি.এন.এম)কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকের যে কোন শাখায় 40% নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস ছেলেমেয়েরা আবেদন করতে পারবে। ইংরেজি বিষয় নিয়ে, হেলথকেয়ার সাইন্স নিয়ে ভোকেশনাল শাখায়উচ্চমাধ্যমিক পাশরা মোট অন্তত 40 নম্বর পেয়ে থাকলে আবেদন করা যাবে।

এছাড়াও (এ .এন .এম.) পাশ নম্বর পেয়ে পাস  পাস হিসাবে নাম নথিভুক্ত থাকলেও যোগ্য।


তিন বছরের ট্রেনিং ।এই কোর্সে ভর্তির জন্য ছেলে মেয়ে উভয় প্রার্থীরাই

পশ্চিমবঙ্গে একটানা 5 বছর স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এই কোর্সে ভর্তির জন্য ।


দুই কোর্সেই ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে  17 থেকে 35 বছরের মধ্যে। অর্থাৎ জন্ম তারিখ হবে ৩১-১২- ২০০৫ এর আগে।

কোন প্রার্থী বয়সে ছাড় পাবে না।

এবছরের যারা উচ্চ মাধ্যমিক  পরীক্ষার্থী (ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন) তারাও এই পদে আবেদনের জন্য যোগ্য।

বাংলা ভাষায় যথেষ্ট সাবলীল হতে হবে। বাংলা বলতে লিখতে পাড়ার দক্ষতা থাকতে হবে।

গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা( এ.এন.এম) ও (জি .এন. এম .)কোর্সের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন কিন্তু যারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা নন তারা শুধুমাত্র (জি.এন.এম.) কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট দিতে হবে।


ট্রেনিং শেষে সফল প্রার্থীরা শূন্যপদ অনুযায়ী স্টাফ নার্স পদে চাকরি পেতে পারেন। ট্রেনিং এর শেষে ছয় মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারের স্টাফ নার্স পদে চাকরি পেলে 5 বছর চাকরি করতে বাধ্য থাকতে হবে। আবাসিক কোর্স।


মোট শূন্যপদের মধ্যে তপশিলি জাতির জন্য 22 শতাংশ ,তপশিলি উপজাতির জন্য 6 শতাংশ ,এবং ও.বি.সি' এ'ক্যাটাগরি প্রার্থীদের জন্য 10% ,ও.বি.সি. 'বি'ক্যাটাগরি প্রার্থীদের জন্য 7% ,সিভিল ডিফেন্সের কর্মরতদের জন্য 2.5%  আর অনাথ, দু:স্থ মহিলাদের জন্য 2%আসন সংরক্ষিত থাকবে।


প্রার্থী বাছাই করবে পশ্চিমবঙ্গ জয়েন এন্ট্রান্স বোর্ড।''common entrance test for ANM (R) and GNM course 2022 'এর মাধ্যমে।

এই কম্বাইন্ড টেস্ট হবে 11 জন ও 12 জুন , বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত।


পরীক্ষা হবে এই সব কেন্দ্রে সেন্ট্রাল কোলকাতা, উত্তর কলকাতা, সল্টলেক, নিউ টাউন, পশ্চিম কলকাতা, জিয়াগঞ্জ, মালদা, বসিরহাট, ব্যারাকপুর, অশোকনগর, রঘুনাথগঞ্জ, আসানসোল, গড়বেতা, জয়নগর, কাঁথি, তমলুক, বারুইপুর, বাঁকুড়া,  বর্ধমান, শ্রীরামপুর, ঝাড়গ্রাম, জলপাইগুড়ি, উলুবেড়িয়া, কালিংপং।

বালি,সালকিয়া , উত্তরপাড়া, ডোমজুড়, আরামবাগ, শিলিগুড়ি, বালুরঘাট ।


সময় থাকবে দেড় ঘন্টা। প্রশ্ন হবে ইংরেজী ও বাংলা ভাষায়। উত্তর দিতে হবে ওএমআর সিটে।

এন্ট্রান্স টেস্ট এ পাওয়া নম্বর দেখে চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি হবে। প্রত্যেক প্রার্থীই rank card ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন। তবে সকল প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাবেন না।

এডমিট কার্ড ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।

দরখাস্ত করবেন অনলাইনে ২৮শে জানুয়ারির মধ্যে এই ওয়েবসাইটে--

WWW.wbjeeb.in,

www.wbjeeb.nic.in  



এই জন্য বৈধ একটি ইমেইল আইডি থাকতে হবে।

দরখাস্ত করার আগে পাসপোর্ট মাপের রঙিন ফটো (২০-২০০ কেবির মধ্যে) ও সিগনেচার (২০-২০০ কেবিরর মধ্যে)।

বয়স ,শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাস্ট সার্টিফিকেট , স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট(৫০-৩০০ কেবিরর মধ্যে)। যাবতীয় সার্টিফিকেট পিডিএফ ফরমেটে স্ক্যান করতে হবে। এই সমস্ত প্রমাণপত্র স্ক্যান করে নেবেন।


  প্রথমে ওপরের ওয়েবসাইটে গিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর এপলিকেশন নম্বর ,আইডি ও পাসওয়ার্ড পাবেন। সে টি  নিজের কাছে লিখে রাখবেন। তারপর স্ক্যান করা যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই নাম রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে।

এরপর পরীক্ষার ফি বাবদ 400 টাকা জেনারেল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে আর তপশিলি, ওবিসি, অনার্স দু:স্হ শ্রেণীর প্রার্থীদের জন্য 300 টাকা নেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে জমা দেবেন।

টাকা জমা দেওয়ার পর কনফার্মেশন পেজ ডাউনলোড করে রাখবেন। ও প্রিন্ট করে নেবেন। আরো বিস্তারিত তথ্য পাবেন এই ওয়েবসাইটে-----controller of examination, West Bengal joint entrance examination board, AQ13/1, sector- v,

Salt Lake City, Kolkata--700091 ,

Phone number--18001023781,18003450050,

Email--info@ wbjeeb.in.


__________________________________________________



সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়তে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন-


https://worldsahityaadda.blogspot.com/2021/12/bsk-new-recruitment-2022-wb-govt-jobs.html

Monday, January 31, 2022

আমুদে মাছের ঝাল রান্না কিভাবে করবেন || আমুদে মাছের ঝোল রেসিপি || How to cook Amude Fish Recipe || Amude macher jhal Recipe by Saptatirtha Mondal || cooking || রান্নার রেসিপি || Bengali cooking Recipes


 

বিভাগ- রান্না টাও শিল্প




*আহ্লাদী আমুদে*



উপকরণ : আমুদে মাছ 300 গ্রাম, পেঁয়াজশাক 100 গ্রাম, সরষে,আদা টমেটো, মাঝারি সাইজের দুটো পেঁয়াজ সরু করে কুচিয়ে কাটা, ধনেপাতা  এবং দু কোয়া রসুন, একটু বেশি পরিমাণে কাঁচা লঙ্কা এবং সর্বোপরি সরষের তেল।





  রান্নার প্রণালী: আমুদে মাছগুলোকে প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নেওয়ার পর নুন, হলুদ মাখিয়ে কড়া করে ভেজে নিতে হবে।



 (এইখানে একটা কথা বলে রাখি কড়া করে আমুদে মাছ ভাজা গরম ভাতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। সে ক্ষেত্রে আমুদে মাছগুলোকে আপনারা নুন, লঙ্কাগুঁড়ো অথবা গোলমরিচ মাখিয়ে ভাজতে পারেন)


 ভাজা মাছ গুলিকে একটা পাত্রে আলাদা করে তুলে রাখতে হবে।

 এরপর কড়াইয়ে পরিমাণমতো তেল দিতে হবে এবং তেল গরম হয়ে এলে  কুচানো পেঁয়াজ, ধনেপাতা এবং টমেটো কড়াইয়ে দিয়ে দিতে হবে।

 পেঁয়াজ একটু ব্রাউন কালারের ভাজা হয়ে গেলে পর তাতে আগে থেকে কুঁচিয়ে রাখা  পেঁয়াজ শাক আমরা দিয়ে দেবো।

 এবার অন্য একটা পাত্রের মধ্যে আমরা সরষে,আদা এবং মাত্র দুই কোয়া রসুন নিয়ে সেটি ভালো করে মিক্সার গ্রাইন্ডারে  পেস্ট করে নেব।

(রসুনে যাদের খুব গন্ধ লাগে তারা সম্পূর্ণভাবে রসুন বাদ দিতে পারেন)



  আমাদের পেঁয়াজ শাক অলরেডি ভাজা হয়ে গেছে, এবার সর্ষে আদার পেস্ট টাকে নিয়ে আমরা কড়াইয়ে দিয়ে দেব। এবং মসলা টিকে খুব ভালো করে কষতে হবে। মসলা করা হয়ে গেলে তাতে পরিমাণমতো জল দেবো, এবং জল ফুটতে শুরু করলে আগে থেকে ভেজে রাখা  আমুদে মাছগুলোকে ধীরে ধীরে তাতে দিয়ে দেবো।


 মাছের ঝাল যখন শুকনো হয়ে আসবে তখন আমরা নিজেরাই বুঝতে পারব এবং তাতে বেশ কিছু পরিমাণ কাঁচালঙ্কা দু আধখানা খানা করে চিরে তার মধ্যে দিয়ে দেবো।


  রান্নাটা ভালো করে সেট হওয়ার জন্য মিনিট পনেরো আমরা গরম করাইটা গ্যাসের উপর বসিয়ে রাখবো ঢাকা দিয়ে।


  আজকের রেসিপি *আহ্লাদী আমুদে* পুরোপুরিভাবে তৈরি গরম ভাতে পরিবেশন করার জন্য।


________________________________________________




সম্পূর্ণ রেসিপি টি দেখতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন--


https://worldsahityaadda.blogspot.com/2022/01/how-to-cook-muri-palong-ghonto-recipe.html


______________________________________________

বিজ্ঞাপন-



Sunday, January 30, 2022

Photography || Dr Atef kheir


 

Photography || Sohini Shabnam


 

Photography || Nilanjan de


 

Photography || Amit pal


 

রম্যরচনা || ছেলে বেলার প্রথম অভিনয় || সামসুজ জামান

  ছেলে বেলার প্রথম অভিনয়

         



আমাদের ছেলেবেলায় প্রথম দেখা যে নাটক স্মৃতিতে বেশ মাখামাখি হয়ে আছে তা আমাদের গ্রামেরই এক থিয়েটার। আমাদের জন্মভূমি টোলা - মুসলিম প্রধান গ্রাম হয়েও যাত্রা-থিয়েটার, সংস্কৃতিতে বেশ অগ্রগণ্য এবং ব্যতিক্রমী হিসেবেই উল্লেখের দাবী রাখে। 

সেটাই আমার দেখা স্মরণযোগ্য প্রথম শখের থিয়েটার। আবার এই নাটকেই ক্ষণিকের জন্যে হলেও অভিনয়ের খাতিরে আমার প্রথম মঞ্চে পা রাখা। নাটক টি ছিল ডঃ অরুণকুমার দে রচিত – “কার দোষ”? কেন্দ্রিয় চরিত্রে ছিল আমার বড়দা। আর্থিক অনটনে, দৈব দুবিপাকে শেষ পর্যন্ত দৃষ্টিশক্তি হারানো, অন্ধের যষ্ঠি অবলম্বন কারী, নায়করূপী বড়দাকে নিয়ে ভিক্ষা করাই ছিল তখনকার মত আমার মঞ্চে অভিনয়। “তুমি ফিরায়ে দিয়েছ বলে, ফিরে চলে যাই, চলে যাই” – মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত গানটিকে সংযোজিত করা হয়েছিল নাটকের প্রয়োজনে এবং সত্যিই অসাধারণ ভাবে গেয়েওছিল বড়দা। গানের আবেশে দর্শক-শ্রোতার কাছ থেকে উড়ে আসা পয়সা যেন বৃষ্টির মত ঝরছে মঞ্চের ওপর আর চোখের জল মুছতে মুছতে আমি কুড়িয়ে যাচ্ছি সেই পয়সা। একজন ভিখারী যে ভিক্ষা করে এত পয়সা পেতে পারে , নাটক দেখে শুনে সেই আশ্চর্য বোধ তখন আমার তৈরি হয় এবং বাল্যভাবনা অনুযায়ী ভবিষ্যৎ জীবনে একজন ভিখারী হওয়ার মনোবাঞ্ছাই আমার প্রবল হয়।

পরবর্তী জীবনে সেই মনোবাঞ্ছা নেহাতই হাস্যকর বিষয় হিসাবে পরিগণিত হলেও প্রথম দেখা এবং অংশ নেওয়া সেই থিয়েটারের কথা কখনও ভোলা যায় না।

                          

রম্যরচনা || হিন্দু ধর্মের সবকিছুই যেন প্রতীকী || সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

  হিন্দু ধর্মের সবকিছুই যেন প্রতীকী




        আমাদের অর্থাৎ মানুষ দের জন্ম থেকেই যা কিছু আচরণ সবটাই কিছু আলাদা আচরণ মানে প্রতীকী হিসেবে ধরা হয়। 

     শিশুর জন্মের পরই মাতৃদুগ্ধ বা বুকের দুধ খাওয়ানোর মধ্যেই প্রতীকী দেখা যায়। মা তার সন্তান কে দুধ পান করানোর সময় যদি মনে খারাপ চিন্তা পোষণ করে ছেলে বা সন্তান ( ঠাকুর) সেই দুধ পান করতে চায়না। আবার যদি মা ঈশ্বর চিন্তা বা ভালো চিন্তা করে তাহলে সন্তান সেই দুধ ঈশ্বরের আশীর্বাদ ভেবে নিঃশেষ করে। অতএব প্রথমেই সৎ চিন্তার প্রতীকী।     

     কৃষ্ণ কে দুধ পান  করাতে পুতনা নামে রাক্ষসী মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রে দুধ পান করাতে গিয়েও বিফল  হয়েছে বা পারেনি বরং বিশ্রীভাবে মারা গেছে।  অথচ মা যশোদা যখন কৃষ্ণকে দুধ পান করাতে চেয়েছেন তখন  বালক কৃষ্ণ গোপাল হয়ে তৃপ্তি করে দুধ পান করেছেন। অতএব চাই সৎ চিন্তার এবং সৎভাবে নিজেকে মেলে ধরার প্রতীকী ব্যবহার। সনাতন হিন্দু ধর্মের মধ্যে তাই যা কিছু নিহিত আছে তা সবই প্রতীকী। 

   ঠাকুর জগন্নাথ দেবের যে মূর্তি দেখি সেও তো প্রতীকী। অর্থাৎ ঠাকুর মানে ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান। তাই তাঁর চোখ কান হাত পা না থাকলেও তিনি সর্বভূতে  সর্বত্র  বিরাজমান আছেন বুঝি। নাই বা থাকলো কোনো বাহ্যিক আকার। 

    মৃত্যুর পরে আমাদের লোকাচার দেখলে দেখবো সেখানেও যত আচরণ সবই প্রতীকী।   শ্মশান চিতায় আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে ও সেই আচার বিচার। যখন দেহটি চিতার আগুনে পুড়ে শেষ হবে তার আগে আমরা কেউ না কেউ মাটির কলসি করে (একটা ফুটো রেখে) চিতা প্রদক্ষিণ করি। বোঝাতে চাই ফুটোর মধ্যে দিয়ে যে জল বেরিয়ে যাচ্ছে তা উক্ত ব্যক্তির কর্মফল। সেই ব্যক্তি এখানেই সব কর্মফল শেষ করে যাচ্ছে। আবার, মুখাগ্নি কেন?  উক্ত মৃত ব্যক্তি আর আহার গ্রহণ করবেন না তাই বোঝায়।ঠাকুরের চিন্তা বা সৎ চিন্তার থেকে শুরু করে আমাদের আচরণ সর্বদা মার্জিত হোক্। আবার ব্যবসায় মিথ্যে বলে লোক ঠকিয়ে রোজগার করা পয়সায় নিবেদিত ফলমূল  ঠাকুর গ্রহণ করেন না। যেমন একটা ভিখারি কে যদি এক কলসি মোহরও দেয়া হয় ঘৃণা ভরে তাহলে সেটায় অহমিকা প্রকাশ হয় মাত্র---ভিখারি নিয়ে তৃপ্ত হয়না। কিন্তু তুচ্ছ(!) ৫ টাকা দিয়েও যদি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং সৎ চিন্তার মধ্যে দিয়ে দেয়া হয় তাহলেই ভিখারি সন্তুষ্ট হয়-- সহজেই যেটা অনুধাবন করলেই বোঝা যাবে ব্যাপারটা। 

   অতএব হে মানবূল, আমি তুচ্ছ এক মানুষ হয়ে আমার অনুমিত ভাবনার প্রকাশ করলাম মাত্র। আপনারা বিচার করবেন।

   আমার আচরণ পরম ঠাকুর রামকৃষ্ণ নয় তবে সত্যেন্দ্রনাথ হয়ে বললামঃ। দেখুন জগতের মঙ্গলের জন্য আমরা প্রত্যেকেই কী কী করতে পারি। মনুষ্যত্ব যেন আমাদের আচরণের কারণে দগ্ধ নাহয়: সনাতন হিন্দু ধর্ম যেন ধ্বংস নাহয়। 

 অতএব অতঃপর দেখা যাচ্ছে আমরা হিন্দু ধর্মের এক একজন পরিত্রাতা না হলেও পরিমিতি বোধে অবিচল থাকার চেষ্টা করবো- এই হোক অঙ্গীকার।

রম্যরচনা || বেহালা টু বেনারস || সুজিত চট্টোপাধ্যায়

  বেহালা টু বেনারস



বেহালা টু বেনারস। এটাকি পাশের পাড়া, যাবো বললেই অমনি হুট ক`রে যাওয়া যায় ? সবেতে বাড়াবাড়ি । 

ছেলে কুন্তলের মেজাজি মার্কা কথা শুনেও বিনয় বাবু বিনীত সুরে বললেন ,, 

আহা,,রাগ করছিস কেন ? এমন কিছু বিদেশবিভুঁই তো নয় । বেনারস। প্লেনে মাত্র কিছুক্ষণের ব্যাপার। ফস ক`রে চলে যাবো। 

টাকা একটু বেশি খরচ হবে , এ ই যা,,

  তা যাক। টাকা বড়কথা নয়। আসলে আমার আর তর সইছে না। 

শিগগির শিগগির যেতে হবে রে। 

নারায়নী দেবী এতক্ষণ চুপ করেই ছিলেন , এবার তিনি ঝলসে ওঠে বললেন,,, 

তর সইছে না , 

ফস ক`রে চলে যাবো,, আহা রে,, কী সখ,, 

খালি নিজেরটা বোঝে। আরও যে মানুষ আছে , তারও যে ইচ্ছে অনিচ্ছে থাকতে পারে সে দিকে তাকাবার ফুরসৎ নেই ওনার। 

বিনয় বাবু বুঝলেন , টার্গেট তিনিই। 

তাই খানিকটা অবাক হয়েই বললেন,, মানে,, এ কথার মানে কী? 

নারায়নী দেবী সে কথায় পাত্তা না দিয়ে ছেলে কুন্তলের দিকে এগিয়ে গিয়ে তার নাকের কাছে তর্জনী তুলে তর্জন ক`রে বললেন,,, খবরদার যদি প্লেনের টিকিট কেটেছিস, দেখিস আমি কী করি। যাওয়া ঘুচিয়ে দেবো। 

বিনয় বাবুর অবাক হবার ঘোর কাটছে না। বললেন ,, আরে বাবা ব্যাপারটা কী ? প্লেনে কী হয়েছে ? অসুবিধে কী? 

নারায়নী আরও ক্ষেপে গিয়ে বললেন,,,, 

ন্যাকামি হচ্ছে ? যেন কিচ্ছুটি জানেনা । আমি হার্টের রুগী । ডাক্তার আমাকে নাগরদোলা চড়তে মানা করেছিল , মনে নেই? 

বিনয় বাবু চোখ কপালে তুলে বললেন ,,, 

বোঝো ঠ্যালা । তারপর নিজের কপালে চটাস ক`রে চাপর মেরে বললেন , 

কী সর্বনাশ,, নাগরদোলার সঙ্গে প্লেনের কী সম্পর্ক রে বাবা ! 

নারায়নী ঘুসি পাকানো হাত তুখোড় বিপ্লবীর মতো আকাশে ছুঁড়ে বললেন,,, 

অবশ্যই সম্পর্ক আছে। ডাক্তার বলেছে নাগরদোলা চড়বেন না,,, এর মানে কী ? 

বিনয় বাবু ভ্যাবাচেকা খেয়ে চোখ গোলগোল ক`রে বললেন,,, কী ? 

নারায়নী দেবী দাপটে উত্তর দিলেন,,, 

মানে,, মাটি থেকে আকাশে , আকাশ থেকে মাটিতে ঘুরপাক খাওয়া যাবে না। নাগরদোলা চড়াও যা, প্লেনে চাপাও তা , একই। মাটি আকাশ , আকাশ মাটি । আমি নেই। আকাশে দম আটকে মরতে চাই না। যা হবার মাটিতে হোক। এই মাটিতে জনম আমার , যেন এই মাটিতেই মরি।

বিনয় বাবু শুধরে দিতে উচ্চারণ করলেন ,,,

ওটা মাটি নয়,, দেশ। 

নারায়নী হারবার পাত্রী নয় , বললেন,,  

হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক আছে। দেশ। আরেবাবা দেশ আর মাটি একই। দেশের মাটি। দেশ মাটি , মাটি দেশ। বুঝেছ ? 

এবার হিটলার ভঙ্গিতে কোমরে হাত রেখে বললেন ,,, 

দ্যাখো , বেশি চালাকি করবার দরকার নেই। খালি কথা ঘোরানোর ধান্দা । 

তারপরেই ছেলের দিকে ঘুরে , তাকে সাক্ষী রাখার মতো ক`রে বললেন ,,, 

কুনু ( কুন্তলের ডাক নাম ) তুই বল , ডাক্তারের কথা অমান্য করা কি উচিৎ ? হার্টের ব্যাপার । কিছু কি বলা যায় , যদি একটা খারাপ কিছু হয়ে যায় ? তখন তোদেরই তো হ্যাপা পোহাতে হবে বল,,। 

হাসপাতাল,, ঘর,, হাসপাতাল,, ঘর,,, টাকার শ্রাদ্ধ , অশেষ ভোগান্তি ,,,, 

বিনয় বাবু আর বিনয় রাখতে পারলেন না। চিৎকার ক`রে বললেন ,, 

মূর্খতার একটা সীমা পরিসীমা থাকা উচিৎ । ডাক্তারের পরামর্শ । নিকুচি করেছে ডাক্তারের । ডাক্তার না ছাই। পরামর্শ তো তোমার হোমিওপ্যাথি হেঁপো মামার। উনি নাকি ডাক্তার ! দূর দূর,,, হোমিওপ্যাথি আবার ডাক্তার । 

আগুনে ঘৃতাহুতি । রণং মূর্তি । 

এই,, খবরদার বলেদিচ্ছি, মামা তুলে কথা বলবে না। 

ডাক্তার ইজ ডাক্তার । হোমিওপ্যাথি বলে হ্যালাফ্যালা করবেনা একদম। 

> একশোবার করবো । বেশ করবো। আমিও হাজারটা হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম গড়গড় করে বলে যেতে পারি। ডাক্তারি ফলাচ্ছে। 

বুড়িধারি মেয়েকে বলছে ,, নাগরদোলা চাপবে না , আইসক্রিম ছোঁবে না , ফুচকা খাবে না। ডাক্তার হয়েছে,, দূর দূর,, সামান্য একটুখানি সুগার বেড়ে গিয়েছিল সারাতে পারেনি ,, আবার বড়ো বড়ো কথা । 

>সামান্য একটুখানি ? কি মিথ্যুক রে,,। দ্যাখ দ্যাখ কুনু,, তোর বাবা কিরকম মিথ্যেবাদী দ্যাখ একবার। চারশো পাঁচশো সুগার নাকি একটুখানি ! 

এইবার মোক্ষম যুক্তির ঠ্যালায় , বিনয় বাবু চুপসে গিয়ে চুপ ক`রে গেলেন । সত্যিই তাই। দুবেলা ইনসুলিন নিতে হয়। খাওয়ার খুব ঝামেলা। এটা বাদ , সেটা বাদ। যাচ্ছেতাই জীবন। সবচেয়ে মুশকিল হলো , ডাক্তার যেগুলো খেতে বারন করেছে , সেই গুলোই বেশী ক`রে খেতে ইচ্ছে করে। অথচ উপায় নেই। নারায়নীর ত্রিনয়ন এড়িয়ে কিচ্ছুটি করার উপায় নেই । সর্বক্ষণ নজরদারি চালু আছে। আর সেই কারণেই স্ত্রী এখন স্বামীর চক্ষুশূল। অথচ তাকে ছাড়া চলে না। এ এক মহা গেড়ো। কাছে থাকলেও জ্বালা , না থাকলে মহাজ্বালা। 

কুনু,, আমি বলছি ,, এক্ষুনি যা, বেনারসের টিকিট নিয়ে আয় , প্লেনেই যাবো। 

বিদ্রোহিণী নারায়নী ঝংকার দিয়ে বললেন ,, 

কখনোই নয়। তুই ট্রেনের টিকিট নিয়ে আয়। সারারাত কুউউ ঝিক ঝিক ক`রে শুয়ে শুয়ে দুলতে দুলতে যাবো , আহঃ কী মজা ,, যা কুনু বেরিয়ে পড়। দেরী হয়ে গেলে টিকিট ফুরিয়ে যাবে বাবা। আর শোন ভালো কথা,, আজকের ট্রেন যদি না পাওয়া যায় , কালকের নিবি,, যা যা বেরিয়ে পড়,,।

বিনয় বাবু শেষ চেষ্টা করার জন্যে বললেন ,, 

আমার কিন্তু কোমরে স্পন্ডালাইটিস আছে । সারারাতের ট্রেনের ঝাঁকুনি তে যদি ব্যাথা বেড়ে যায় , দেখাবো তখন মজা । 

নারায়নী মুখ ভেংচে বললেন,,,,, ওরে আমার স্পন্ডালাইটিস রে। বয়সকালে অমন ব্যাথা সকলেরই হয়।ও জিনিস যাবার নয়। চিরসঙ্গী স্পন্ডালাইটিস । 

__ কেন , তোমার ডাক্তার মামা কে বলোনা,, ঐ সর্বরোগ হরণকারী সাদা সাদা ঝাঁজালো গুলি গুলি মহৌষধি সাপ্লাই দিক। 

কুন্তলের এসব দেখা অভ্যেস আছে। সারাদিন , সারারাতেও এর মীমাংসা হবে না। তাই ঠান্ডা গলায় বললো৷,, 

তোমরা আগে নিজেদের মধ্যে ফয়সালা ক`রে নাও , কী করবে,,, তারপর আমাকে বোলো। 

কুন্তল চলে গেল। 


বিনয় বাবুদের একমাত্র মেয়ে ইন্দ্রাণীর বিয়ে হয়েছে বেনারস এ। গতকাল রাতে জামাই ফোন ক`রে সুসংবাদটি দিয়েছে। 

ইনুর (ইন্দ্রাণীর আদুরে নাম ) মেয়ে হয়েছে । এইমাত্র। 

সেই সংবাদ শোনা মাত্রই বিনয় বাবু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন তিনি যাবেন বেনারস। নাতনীর মুখ দেখবেন। সুতরাং নারায়নীও গোঁ ধরলেন , তিনিও যাবেন। 

মেয়ের তিন মাসের গর্ভাবস্থায় গিয়েছিলেন। সেবার অবিশ্যি ছেলেও সঙ্গে ছিল। ট্রেনেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সেবার অবস্থা ছিল অন্যরকম। হার্ট কিংবা সুগার নামক কোনও রোগ বালাই ছিলনা। হঠাৎই এই ছ মাসের ভেতর কেমন যেন সব গোলমাল হয়ে গেল। মেয়েটার অতদূরে বিয়ে হবার কারণেই হয়তো। কি আর করা। ভালো মনমতো সুপাত্র পেলে , বাবা-মা এমন স্যাকরিফাইস তো করেই থাকেন। নতুন কথা কিছু নয়। তবু , মন মানে না। সেই পুরনো কথা মনে পড়ে। স্নেহ অতি বিষম বস্তু । 

এ যাতনা মেয়ের বাবা মায়ের একান্ত পাওনা।


জয় হলো তোমার ভোলা । কার সাধ্য তোমায় হারাবে। 

নাহ,,, এক্ষেত্রে ভোলার জয় হয়নি। বরঞ্চ উল্টোটাই হলো। জায়া র জয় জয়কার । 

পরের দিনই রাতের ট্রেনে জায়গা পাওয়া গেল। তবে এ সি তে নয়। সেসব অনেক আগেই নো ভ্যাকান্সি হয়ে বসে আছে। অগত্যা সেকেন্ড ক্লাস। 

সেকেন্ড ক্লাস , থ্রি টায়ার । একটা আপার, একটা মিডল বার্থ।

নারায়নী ব্যাজার মুখে বললেন ,,, 

হ্যাঁরে কুনু,,, এই নিচে একখানা পেলিনা, এতখানি ওপরে ওঠা , ওফঃ,, কী যন্ত্রণা বলো দেখি। 

এইতো ফাঁক পাওয়া গেছে। আরকি ছাড়া যায়। লোপ্পা ক্যাচ। বিনয় বাবু কথাটা টুক করে লুফে নিয়ে বললেন ,, 

এখন এসব কথা আসছে কেন ? আমার কথা তো তখন তেতো লেগেছিল , এবার কী মনেমনে আক্ষেপ হচ্ছে ? নাও, এবার গাছে চড়া প্রাকটিস করো। 

নারায়নী চুপ করে রইলেন বটে , কিন্তু তার চোখ মুখের চেহারায় অতৃপ্তির ছায়া স্পষ্ট । 


কুন্তল বাবাকে ওপরে , আর মাকে মিডল সিটে শোবার পরামর্শ দিলো। বিনয় তৎক্ষনাৎ সেই প্রস্তাব খারিজ ক`রে বললেন,, 

অসম্ভব , আমি সুগার পেসেন্ট । বারবার উঠতে হয়। আমার লোয়ার হলেই ভালো হতো। যাক , হয়নি যখন , ঐ মিডিল দিয়েই চালিয়ে নেব। 

এবার ভোলার জয় হলো। অকাট্য যুক্তি। জজে মানবে। সুতরাং হাঁচড়পাঁচড় ক`রে নারায়নী মগডালে চড়ে গেলেন। 

চড়ে গেলেন নাকি চড়িয়ে দেওয়া হলো। 

কুন্তল বয়সের তুলনায় লম্বা বেশি। সিক্স ফুট প্লাস। সে মা কে খানিকটা বাস্কেট বল খেলায় ঝুরিতে বল ফেলে গোল করার ঢং-এ টং য়ে তুলে দিয়ে বাবার উদ্দেশ্যে বললো,, 

সাবধানে নামিয়ে নিও। ওখান থেকে পড়লে আর দেখতে হবে না। দেখো,, কেলেংকারী বাধিও না। 

বিনয় বাবু ছেলেকে আস্বস্ত ক`রে বললেন,, 

না না । চিন্তা নেই । 

জামাই কে হোয়াটসঅ্যাপ ক`রে কোচ নাম্বার , সিট নাম্বার সব দিয়ে দিয়েছি। সেই এসে শাশুড়ি কে পাঁজাকোলা ক`রে নামিয়ে দেবে। কোনও চিন্তা নেই। 

ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে আসছে। কুন্তল এ যাত্রায় যাবে না। ওর ফাইনাল ইয়ার পরিক্ষা আছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র। ও ফিরে গেল। গাড়ি ছেড়ে দিলো। 


মাঝরাত্তির হবে তখন। অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে উর্ধশ্বাসে ট্রেন ছুটে চলেছে গন্তব্যে। কামরার সাদা আলো গুলো সব নিভিয়ে দিয়ে যাত্রীরা ঘুমোচ্ছে। নীল বাতির আবছা আলোয় কামরার এমাথা থেকে ওমাথা যেন মৃত্যুপুরী। 

আপার বাঙ্কে নারায়নী নাক ডাকছে। বিনয় বাবু মনে মনে গজরাচ্ছেন ,,, আশ্চর্য মহিলা যাহোক। এই দুলুনি খেতে খেতে কেমন নাক ডাকছে,,, 

ওফ্ফ বলিহারি যাই বটে,,। 

এই আক্ষেপের কারণ আছে।

 সব্বাই ঘুমোচ্ছে , শুধু ওনার চোখে ঘুম নেই । এই নিয়ে বার পাঁচেক মিডল বার্থ থেকে নেমেছেন আর উঠেছেন। 

ওনার সিটের নিচেই লোয়ার বার্থের যাত্রী ওনার এই বারংবার ওঠা নামায় যথেষ্ট বিরক্ত। তিনি আবার অবাঙালি। কিছুক্ষণ পরেই আবারও বিনয় বাবু নিচে নামলেন। এবার সেই অবাঙালি যাত্রী বিরক্ত স্বরে হিন্দি তে বললেন ,,, 

বারবার উপর নিচ কর রহে হেঁ আপ , কেয়া বাত হ্যায় জী। চ্যায়েন নেহি হ্যায় কা,,! 

বিনয় বাবুর হিন্দি তেমন আসেনা। তাই চ্যায়েন শব্দের অর্থ বুঝতে পারলেন না। 

তিনি সরল মনে প্রায় কাঁদোকাঁদো হয়ে পরিস্কার বাংলায় বললেন ,,, 

না না,, চেন তো আছে কিন্তু খুলছেনা। 

বিচ্ছিরি ভাবে আটকে গেছে । তারপর অনুনয় ক`রে বললেন ,, 

আপনি একটু হেল্প করতে পারেন ? আর যে পারছি না। 

ভদ্রলোক , জয় রামজি কী, ব`লে পাশ ফিরে শুলেন। 

হঠাৎ চোখ গেল ওপরে। নারায়নী উঠে বসে ড্যাবড্যাব ক`রে তাকিয়ে আছে। বিনয় বাবু অসহায় গলায় বললেন,,, 

এয়ারহস্টেস রা এব্যাপারে যথেষ্ট এক্সপার্ট। 

নারায়নী কোনও কথা না বলে গুটিগুটি ওপর থেকে নিচে নেমে আসার চেষ্টা করলেন। তাই দেখে বিনয় বাবু হা হা ক`রে বললেন,,,,,, 

আরে আরে করছো কী,,, পড়ে যাবে যে,,, 

কে কার কথা শোনে। নারায়নী তার জেদ বজায় রাখবেই। বিশেষ ক`রে ঐ এয়ারহস্টেস শোনার পরেই তার মাথায় আগুন জ্বলে গেছে । শয়তান ব্যাটাছেলে , সারাটা জীবন ধরে যার সেবা নিয়ে গেল , সে কিছু নয়,,,? বিমানসেবিকা ? বেইমান। 

যে ভয় করা হচ্ছিল ঠিক সেটাই ঘটে গেল এবার । নামতে গিয়ে বেসামাল হয়ে একেবারে গড়িয়ে গেলেন। 

বিনয় বাবু কোন রকমে দুহাত বাড়িয়ে জাপটে ধরতে গেলেন। কিন্তু পারলেন না। দুজনেই জরামরি করে ধরাস ক`রে মেঝেতে পরলেন। 

নারায়নী মা গোওও বলে আর্তনাদ করে উঠলেন। বিনয় বাবু হতবুদ্ধি হয়ে মেঝেতে ঠ্যাং ছড়িয়ে বসে অনুভব করলেন , তার শরীর থেকে গরম জলস্রোত বেরিয়ে এসে তার প্যান্ট ভিজিয়ে দিচ্ছে । 


সকালে বেনারস ষ্টেশনে জামাই বাবাজী এলেন বটে কিন্তু শাশুড়ী কে আর ওপর থেকে পেড়ে আনতে হলোনা । কেননা তিনি নিজে থেকেই খসে পরেছেন। আর খসে পরেছে নারায়নীর দুপাটি বাঁধানো দাঁত। সিটের নিচ থেকে অবিরাম হেসে চলেছে।  

নিবন্ধ || স্কুলছুট আটকাতে রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি || বরুণ রায়

 স্কুলছুট আটকাতে রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি




শিক্ষাকে পড়ুয়াদের হাতের নাগালে পৌঁছে দিতে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর। পাড়ায় পাড়ায় পড়ুয়াদের কাছে স্কুলের ইমেজ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। স্কুল প্রাঙ্গনে নয়,খোলা মাঠ কিংবা খোলামেলা এলাকায় কমিউনিটি শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য। 24 শে জানুয়ারি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী মাননীয় ব্রাত্য বসু।

করোনাকালে প্রায় দু'বছর স্কুল বন্ধ। প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা কার্যত ঘরবন্দি তাদের কাছে স্কুলের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। শিক্ষক ,পার্শ্বশিক্ষক শিক্ষা সহায়করা ক্লাস নেবেন এই 'পাড়ায় শিক্ষালয় 'কর্মসূচিতে।

অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবা বা আর্থিক অভাব অনটনের জন্য অনেক পড়ুয়াই অনলাইন ক্লাসে সুবিধা নিতে পারছিল না। তাদের কথা মাথায় রেখেই এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।