Tuesday, March 28, 2023

পশ্চিমবঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্ক এ জেলায় জেলায় কর্মী নিয়োগ || Bandhan Bank Recruitment 2023 || WB Bandhan Bank Recruitment 2023 || Bandhan Bank Job Vacancy 2023


 



 


##রাজ্য জুড়ে বন্ধন ব্যাংকে প্রচুর কর্মী নিয়োগের হবে। বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। তাছাড়া এখানে চাকরি পাওয়া সোজা। শুধু বায়োডাটা ও ডকুমেন্ট জমা মাধ্যমেই আপনার চাকরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। লিখিত পরীক্ষা দিতে হয় না এখানে। সরাসরি নিয়োগ হয়। বর্তমানে বন্ধন ব্যাংকে কর্মীর প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে। তাই নিয়োগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেই এই ব্যাংকে চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, আবেদন পদ্ধতি বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল--




মোট শূন্য পদ - শূন্য পদ কত তা জানানো হয়নি।



কোন কোন পদে নিয়োগ হবে:


বিভিন্ন যোগ্যতায় বিভিন্ন পদ রয়েছে। পদ গুলি হল-

1.Administration
2.Agri Business
3.Analytics/BIU/Corporate Strategy
4.Audit
5.Banking Operations & Customer Services
6.Branch Banking
7.Compliance
8.Corporate Salary
9.Corporate Services
10.Digital Banking
11.Finance & Accounts
12.Housing Finance
13.Human Resources
14.IT
15.Legal/Vigilance
16.Marketing
17.Micro Banking
18.Outdoor Collector
19.Indoor Staff
20.Retail Assets
21.Risk
22.SME & MSME Banking
23.Trade Finance
24.Treasury
25.Wholesale Banking





শিক্ষাগত যোগ্যতা: অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক পাস বা গ্রাজুয়েশন পাস হতে হবে।




বয়স- বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে।




বেতন - মাসিক ১৬,০০০ থেকে ২৪,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে।




কাজের ধরন: এটা একটি পার্মানেন্ট চাকরি। 





আবেদন পদ্ধতি: অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।




কীভাবে আবেদন করবেন :
অনলাইনের মাধ্যমে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে।






গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট-


এই চাকরিতে আবেদনের জন্য যে নথিপত্রগুলির প্রয়োজন সেগুলি হলো-







১) শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র



২)বয়সের প্রমাণপত্র 



৩)নিজের সাক্ষর



৪)বাসস্থানের প্রমাণপত্র



৫)পরিচয়পত্র (আঁধার কার্ড, ভোটার কার্ড)



৬) কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে)



৭) পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র (যদি থাকে)







এছাড়া যদি আরও কিছু জানতে চান আপনাকে অফিসিয়াল নোটিশটি ডাউনলোড (Download) করতে হবে। অফিসিয়াল নোটিশ ডাউনলোডের লিঙ্ক নিম্নে সবার শেষে দেওয়া আছে।







নিয়োগ পদ্ধতি: নিয়োগ করা হবে বায়োটাডেটার উপর ভিত্তি করে । কোনরকমের লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই কেবলমাত্র ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। আপনি যদি ইন্টারভিউয়ে সিলেক্ট হন তাহলে আপনাকে সরাসরি ট্রেনিংয়ের জন্য ডাকা হবে। 






 ট্রেনিংয়ের চান্স পাওয়া মানে কনফার্ম চাকরি পাওয়া। ট্রেনিং শেষে আপনাকে সরাসরি জয়েনিং করানো হবে। 





আবেদন মূল্য: সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন করতে পারবেন।




OFFICIALWEBSITE: 




Apply Now-




________________________________________


চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-



Whatsapp group-

Saturday, March 25, 2023

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -39


 


কি ভাবছো রমা? বিকাশের বিয়েতে আমরা সকলে যাবো। হঠাৎ মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো - না, আমি যাবো না ।


 দেবীর প্রশ্ন কেন যাবে না?

 বললাম, আমি সমাজের কাছে পরিত্যক্তা। বিকাশদের মতো ভদ্র পরিবেশে মিশতে আমার কোনরূপ সংশয় বাধা থাকতো না যদি আমি -

 দেবী ওর কথাকে লুফে বলল, পতিতা না হতে এইতো? তোমার ঘৃণ্য জীবনের স্বরূপ উৎঘাটিত হয়ে যায় সেইটাই ভয়। কোন সভ্রান্ত বংশের ছেলে যদি তোমাদের নোংরা বস্তীতে তাদের কু-অভিপ্রায় চরিতার্থ করতে আসা-যাওয়া করতো, হয়তো তাদের মধ্যে নিমন্ত্রিত কেউ তোমাকে দেখে ফেলে তাহলে বিকাশকে পরে গোপনে অনেক কথা হয়তো শুনতে হতে পারে

 কিন্তু রমা তুমি আমার স্ত্রী কারো ক্ষমতা নেই আমার কাছে তোমাকে অপমানিত করার। তুমি কেন মন থেকে মুছে ফেলতে পারছো না তোমার অতীতকে। আমার প্রতি বিশ্বাস রেখো, আমি তোমাকে স্ত্রীর মর্যাদার থেকে কোনদিন দূরে সরিয়ে দেব না। এমন কি আমার পিতাও যদি তোমাকে স্বীকৃতি না দিয়ে থাকেন তা ও তোমার প্রতি অবিচার করবো না। আমি প্রমাণ করবোই একজন পতিতা, সম্ভ্রান্ত বংশের ও ধনী ব্যবসায়ীর বধূ হতে পারে।

 দৌড়ে গিয়ে দেবীর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। অন্তস্থল হতে কান্নাকে ঠেলে আনতে চাইলো, বহু কষ্টে সংবরণ করে কয়েক ফোঁটা অশ্রু কপেলি দিয়ে ঝরতে শুরু করলো।
ঈশ্বরের কাছে বার বার কামনা করলাম আমরা এই কপোত-কপোতী যেন চিরদিন এই বাহু বন্ধনে আবদ্ধ থাকি।

বিয়ের দিন দেবীর সাথে বিকাশদের বাড়ীতে গিয়ে হাজির হলাম। মানার ভীষণ আনন্দ। বিকাশরা ধনী ব্যক্তি তা আভাসে বুঝতে পারলাম। বিশাল অট্টালিকা বিভিন্ন কারু ও শিল্প কলায় বেষ্টিত। অনেকটা জনকপুরের রাজা জনকের রাজ বাড়ীর মতো। খুবই মনোরম পরিবেশ। বিকাশের মা আমাকে আপন বৌমার মত ভালোবাসতে শুরু করলেন।

তিনি আমাকে বললেন, তুমি আসাতে আমার অনেক কাজ হালকা হবে। তুমি বিশ্রাম নিয়ে আমার সাথে কাজে মনোনিবেশ কর মা।

আমি বিশ্রাম না নিয়ে বিকাশের মা অর্থাৎ মাসীমার সাথে কাজ করতে থাকলাম। বৌমা, বৌমা করে অতীষ্ট করে তুললেন। মনে হলো তার ভালোবাসা পেয়ে আমার গ্লানি কিছুক্ষণের জন্য তলানিতে গিয়ে ঠেকালো। মাসীমার বৌমা ডাক শুনে পরম তৃপ্তিতে আমার মন ভরে গেলো সত্য, কিন্তু ভয় হচ্ছে যতদিন না পর্যন্ত দেবীদাস আমার সিঁথি সিঁদুরে রঞ্জিত না করে ততদিন পর্যন্ত আমার মনে ভয় ও সন্দেহ দূর হচ্ছে না।

তিনি বললেন, এ তোমাদের কেমন ধারা বৌমা, এতো রূপ, এতো সুন্দর তোমার চেহেরা, মুখের শ্রী, আর সিঁথিতে সিঁদুর নাওনি কেন বৌমা। আজ কালের বিবাহিতা মেয়েরা মাথায় ঘোমটাও নিতে জানে না। সিঁদুর সিদুর ও যে কেন নেয় না ভাবতে পারি না। এসো আমার সাথে। এই শুভদিনে তোমার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বিবাহ উৎসবের মাঙ্গলিক ক্রিয়া কর্মগুলি তুমি পবিত্র ভাবে সম্পন্ন করবে।

মাসীমা কোনরূপ দ্বিধা না করে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে গেলেন ড্রেসিং টেবিলের কাছে। লাল টকটকে সিঁদুর রাঙ্গিয়ে দিতে উদ্যত হলেন আমার সিঁথিকে। আমি কোন প্রকারে বাধা দিয়ে সিঁদুরের কৌটাটা হাতে নিয়ে বললাম, আমাকে দিন আমি নিচ্ছি।

তিনি জানেন না আমি তখনও পর্যন্ত দেবীর বিবাহিত স্ত্রী নই। বিবাহের অনুষ্ঠান তখনও বাকী ছিল। বিকাশ তার মার নিকট পরিচয় দিয়েছ দেবী আমাকে বিয়ে করেছে। এ অবস্থায় সিঁথিতে সিঁদুর কি করেই বা নিই। এ সম্ভব নয়, সিঁদুরের কৌটা হাতে নিয়ে ভাবছি কি করবো। এই সময় আমি মর্মে মর্মে অনুভব করলাম সিঁথি সিঁদুর বিহীন অবস্থায় বিবাহ উৎসবে আসা মহা ভুল হয়েছে।
যাক ঈশ্বর রক্ষে করলেন। বিকাশের বোন অনিতা মাসীমাকে কোন কাজের জন্য ডেকে নিয়ে গেল। বিলম্ব না করে দৌড়ে গিয়ে একেবারে বাড়ীর উপর তলায় এসে।। উপস্থিত হলাম। বুকের ভেতরটা টনটন করে উঠল। হঠাৎ দেখি দেবী উপর তলায় একটা চেয়ারে বসে সিগারেট খাচ্ছে।

আমি ততক্ষণাৎ ওর কাজ গিয়ে বললাম, আমাকে রক্ষা কর দেবী। প্রথমতঃ দেবী ওর ব্যাকুলতা দেখে হক চকিয়ে গেল। বলে উঠল, কি ব্যাপার এতো হাঁপাচ্ছো কেন? কি হয়েছে তোমার?

আমার এখানে থাকা চলবে না। কারণ মাসীমা আমার সিঁথিতে সিঁদুর নেই বলে - দেবী এই পর্যন্ত শুনে হো হো করে হেসে বলল, এই জন্য তোমার এতো ভয় ? তোমার সিঁথিতে সিঁদুর নেই বলে বোকা বোকা করবেন এইতো

ঠিক তাই ।

চলো আমার সাথে।

কোথায় যাবো সিঁদুরের খোঁজে। হাতের কৌটটা দেখিয়ে বললাম, এই নাও সিঁদুর। দেবীদাস হাত বাড়িয়ে সিঁদুরের কৌটাটা হাতে নিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়ে বাম হাত দিয়ে বন্ধন কার আমার সিঁথিকে সিঁদুর দিয়ে বৈঠক মন্ত্র উচ্চারণ করল, “যদিং হৃদয়ং মম। তদিং হৃদয়ং তব।” তিন বার সিঁদুর দিতে দিতে এই মন্ত্রখানি তিনবার উচ্চারণ করলো।

আর একথাও বলল, আজ এই শুভদিনে আকাশ-বাতাস ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ও প্রজাপতি ঋষিকে সাক্ষী রেখে তোমার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে তোমাকে স্ত্রীরূপে গ্রহণ করলাম। আমাদের দুটি হৃদয় যেন এক হয়ে সুখী হতে পারি।

দেবী আমার মাথায় ঘোমটা টেনে দিতেই ওর চরণ ছুঁয়ে প্রণাম করলাম। মন যে আমার কতখানি হালকা হলো তা নিজেই অনুভব করলাম। মনে হলো কোন প্রবিষ্ট অগ্নিশলাকা আমার বুক থেকে বেরিয়ে এলো আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

দেবী বলে উঠল, বিকাশের শুভদিনে আমাদের শুভদিনের কাজটাও সমাপ্ত হলো। মন্ত্র উচ্চারণ করে বা জ্বলন্ত অগ্নিকে সাক্ষী রেখে বিবাহ উৎসবের বাহ্যিক অড়ম্বরটাই জীবনের বড় কথা নয়। হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের বিনিময় হলো সুস্থ জীবন যাত্রার লক্ষণ। যাও মাসীমাকে প্রণাম করবে।

দেবীর কাছ হতে সরে গিয়ে আয়নার সামনে এসে বার বার লাল টকটকে সিঁথিটা দেখতে থাকলাম। তবুও খেদ মিটল না।

হঠাৎ মাসীমার ডাকে আমি চমকে উঠলাম। তিনি বললেন এখনো তোমার সিঁদুর নেওয়া হয়নি?
সত্যিই দেরী হলো মাসীমা চলুন।

 আমার সিঁথির দিকে তাকিয়ে বললেন, দ্যাখতো বাছা সিঁদুর নেওয়ার পর লাবণ্যময়ী মায়ের মুখখানি লাবণ্যে ভরিয়ে তুলল। জানো মা সিঁথির সিঁদুরে স্বামীর পরমায়ু বাড়ে। চলো বৌমা তোমাকে কয়েকটা কাজের জন্য ব্যস্ত থাকতে হবে। তিনি আমাকে পাশের রূমে নিয়ে গেলেন।

 বিকেল বেলা বিকাশের বৈঠকখানা ছেলে মেয়েতে কিলবিল করতে থাকলো। কেউ কেউ বিকাশের পাশে বসে অসম্ভব কৌতুকে মেতে আছে। দেবীর মারফৎ জানতে পারলাম ওরা সকলেই বিকাশের বন্ধু । অবশ্য কলেজ গন্ডী সকলেই বেরিয়ে গেছে।

 বিকাশ আমাকে চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলতেই সাদর অভ্যর্থনা করে ওর পাশে বসার জায়গা করে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। যে বাক্যাংশ আমার সর্বদা, বারংবার ব্যক্ত করা উচিত নয়।

 প্রথমতঃ ভয় পেয়েছিলাম, যদি ছেলের মধ্যে কেউ বস্তীর আগত ব্যক্তি হয়ে থাকে। সে ভয় কাটলো। প্রতিটি ছেলে ও মেয়ের সাথে পরিচয় হলো। কিন্তু ওর মধ্যে একটি বিকাশের সমবয়সী ছেলের দৃষ্টি দেখে আমি কেমন যেন হয়ে গেলাম। তার চোখ দুটোকে স্থির করে একইভাবে তাকিয়ে আছে আমার মুখের দিকে। ওর চোখ দেখে মনে হলো আমার মধ্যে কাকে যেন খোঁজ করছে। তবে সে চোখ কোন লালসা বহ্নির নয়।

Sunday, March 19, 2023

প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ যোজনা ২০২৩, ছেলেরা পাবে ৩০,০০০ টাকা এবং মেয়েরা পাবে ৩৬,০০০ টাকা || Pradhanmantri Scholarship Yojana 2023


 


প্রতিটি মানুষের শিক্ষালাভ করা একটি সাংবিধানিক অধিকার। দেশের যে সমস্ত মানুষ শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শুধু মাত্র অর্থাভাবে। তাদের জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নতুন যোজনা তথা নতুন স্কিম চালু করেছেন। শুরু করেছেন নতুন নতুন স্কলারশিপ। এরফলে মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবারের সন্তানরা অর্থাভাবে শিক্ষালাভে বঞ্চিত হবে না। এই স্কলারশিপ যোজনাতে ছেলেরা ৩০,০০০ টাকা এবং মেয়েরা ৩৬,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা প্রতিবছর পেয়ে থাকে। কারা কারা আবেদন করতে পারবেন, এখানে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, নথিপত্র এবং এবং আবেদন করার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে প্রদান করা হয়েছে।


Pradhanmantri Scholarship Yojana 2023
বিষয় সূচী ~


কতো টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হবে?

- এটা একটি কেন্দ্রীয় সরকার এর স্কিম। প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ যোজনা প্রকল্পে ছেলেরা ৩০,০০০ টাকা এবং মেয়েরা ৩৬,০০০ টাকা স্কলারশিপ প্রতিবছর পেয়ে থাকে। অর্থাৎ ছেলেরা প্রতিমাসে পাবে ২৫০০ টাকা এবং মেয়েরা প্রতিমাসে পাবে ৩০০০ টাকা সুবিধা পাবে।
সরাসরি নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ।


কিভাবে আবেদন করবে? (Pradhanmantri
- Scholarship Yojana 2023 Apply Online)
Pradhanmantri Scholarship Yojana 2023 এর জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। যারা এখানে আবেদন করতে চান তাদের সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় সেনা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://ksb.gov.in/ তে যেতে হবে। আবেদন করার সম্পূর্ন পদ্ধতি নিচে কয়েকটি পদক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।


#প্রথমে ksb.gov.in ওয়েবসাইটে যান।
#এরপর রেজিষ্টেশন তে ক্লিক করুন।
#নিজের ফটো আপলোড করুন।
#সমস্ত প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করুন।
#একটি ক্যাপচার আসবে সেটি পূরণ করুন।
#সমস্ত তথ্য যাচাই করে সবশেষে Submit অপশন এতে ক্লিক করুন।



কারা আবেদন করতে পারবেন?

-প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ যোজনা প্রকল্পের অধীনে, কেন্দ্রীয় সৈনিক বোর্ড সচিবালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, প্রাক্তন সৈনিক কল্যাণ বিভাগ, ভারত সরকার তাদের প্রাক্তন সৈনিক, প্রাক্তন কোস্ট গার্ড কর্মীদের সন্তানদের এবং বিধবা হয়ে যাওয়া তাদের স্ত্রীদের জন্য বৃত্তি প্রদান করবে। এবং ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এবং ভারত সরকার একসাথে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী আসাম রাইফেলস নকশাল সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করবে।



আবেদন করার সময়সীমা-

গত বছরের আবেদন গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। এই বছর এখনো আবেদন শুরু হয়নি, আবেদন শুরু হলে গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই নীচে দেওয়া আমাদের টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হোন।


প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ যোজনার নির্বাচন প্রক্রিয়া -

পর্যাপ্ত প্রমাণ ভেরিফাই এর পর নির্বাচন করা হবে। 

প্রধানমন্ত্রী স্কলারশিপ যোজনা এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -

Friday, March 17, 2023

অষ্টম পাশে গ্রুপ ডি, ক্লার্ক ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ, বেতন 16,800/- টাকা || WB Job Recruitment 2023 || Group d, clerk and Data Entry Operator Recruitment 2023


 






রাজ্যে চাকরি প্রার্থীদের জন্য রয়েছে এক বিরাট সুখবর। এবার নিয়োগ হতে চলেছে অষ্টম শ্রেণী পাশে। পদ গুলো হল গ্রুপ ডি, ক্লার্ক ও ডেটা এন্ট্রি অপারেটর।  
তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।



পদের নাম- ডেটা এন্ট্রি অপারেটর

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো শাখায় গ্রাজুয়েট পাশ করে থাকতে হবে। সঙ্গে কম্পিউটার এর কাজে দক্ষ হতে হবে। টাইপ এর দক্ষতা থাকতে হবে।


পদের নাম - ক্লার্ক

শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো শাখায় গ্রাজুয়েট পাশ করে থাকতে হবে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষ কর্ম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।


পদের নাম - পিওন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জিডি ট্রেড করার পাশাপাশি ঐ নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষ কর্ম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।


পদের নাম - সাফাইওয়ালা

শিক্ষাগত যোগ্যতা: নুন্যতম যোগ্যতা থাকলেও আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্ম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।


পদের নাম - ড্রাইভার

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণী পাশ। সঙ্গে ভ্যালিড ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কর্ম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।


প্রার্থীর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৫৩ বছর বয়সী প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।



মাসিক বেতন:  সর্বনিম্ন মাসিক 16,800/- টাকা থেকে বেতন ক্রম শুরু হচ্ছে।



আবেদন পদ্ধতি: অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারবেন। নিচে বিস্তারিত পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে।

1. সবার প্রথমে নিয়োগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নিয়োগের আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নিন।

2. আবেদনপত্র তথা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম নিজের যাবতীয় সকল প্রকার তথ্য দিয়ে ভালো করে পূরণ করতে হবে।

3. সেক্ষেত্রে নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, জেন্ডার, ঠিকানা, কাস্ট স্ট্যাটাস ইত্যাদি তথ্য দেবেন।

4. নিজের রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো জুড়ে দিন সঙ্গে একটি সিগনেচার করবেন ফর্মের মধ্যে।

5. সবার শেষে এগুলি সব একটি খামের ভেতর ভরে তা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হবে।


আবেদনের সময়সীমা:  25/03/2023 তারিখের মধ্যে প্রতিটি আবেদন কারী প্রার্থীদের আবেদন পত্র জমা করতে হবে আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদন পত্র নীচে দেওয়া অফিসিয়াল নোটিশ টি ডাউনলোড করলেই পেয়ে যাবেন।


OFFICIAL NOTIFICATION/ APPLICATION FORM: 



______________________________________

চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-





Whatsapp group-


Wednesday, March 15, 2023

পোস্ট অফিসে মাধ্যমিক পাশে গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ, বেতন 19,900 টাকা || Post Office Recruitment 2023


 

পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। পোস্ট তথা ডাক বিভাগের তরফে থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে গ্রুপ সি পদে। আপনারা যদি মাধ্যমিক পাশ করে থাকেন তাহলে এই পদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।



পদের নাম: স্টাফ কার ড্রাইভার পদে নেওয়া হচ্ছে কর্মী

(গ্রুপ সি পোস্ট)।



শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক পাশ করে থাকতে হবে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করতে একটি ভ্যালিড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।



প্রার্থীর বয়সসীমা: 18 থেকে 27 বছর বয়সের প্রার্থীরা চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।





মাসিক বেতন: সর্বনিম্ন 19,900/- টাকা থেকে সর্বোচ্চ 63,200/- টাকা বেতন দেওয়া হবে।



আবেদন পদ্ধতি: শুধু মাত্র অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। সম্পূর্ণ আবেদন পত্র ফিলাপ করে পোস্টের মাধ্যমে আবেদন পত্র জমা করতে পারবেন। নীচে পদ্ধতিগুলো আলোচনা করা হলো-


1. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্ব প্রথমে নিয়োগের অফিসিয়াল আবেদনপত্র ডাউলোড করবেন, তারপর প্রিন্ট করবেন।


2. তারপর সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ করুন।


3. সেক্ষেত্রে নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, জেন্ডার, ঠিকানা, কাস্ট, স্ট্যাটাস ইত্যাদি নানান তথ্য দিতে হবে।


4. অবশ্যই নিজের একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো যুক্ত করুন সঙ্গে ফর্মের মধ্যে একটি সিগনেচার করে দিন।


5. সবার শেষে এগুলি সব একটি খামের ভেতর ভরে তা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হবে।



প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: 

যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট গুলো আবেদন পত্রের সাথে জমা করতে হবে সেগুলো হলো --


1. বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড কিংবা বার্থ সার্টিফিকেট জেরক্স সেলফ আটেস্টেট সহ


2. স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ভোটার কার্ড কিংবা আধার কার্ড জেরক্স সেলফ আটেস্টেট সহ


3. শিক্ষাগত যোগ্যতার ডকুমেন্ট জেরক্স সেলফ আটেস্টেট সহ


4. কাস্ট সার্টিফিকেট


5. ওয়ার্ক এক্সপিরিয়েন্স সার্টিফিকেট (যদি থাকে)


7. রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো এবং সিগনেচার



আবেদনের সময়সীমা: আগামী 31/03/2023 তারিখের মধ্যে আবেদন পত্র জমা করতে হবে প্রতিটি আবেদন কারী প্রার্থীদের। নীচে দেওয়া নির্দিষ্ট ঠিকানায়।




আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: 

The Senior Manager (JAG), Mail Motor Service, No. 37, Greams Road, Chennai - 600006




OFFICIAL NOTIFICATION/ APPLICATION FORM: 

Click here 🔴



OFFICIAL WEBSITE: 

Click here 🔴




Tuesday, March 14, 2023

Silicon Valley Bank: Why It Collapsed and Is It the Beginning of a Banking Crisis? || SVB Update news Today || Silicon Valley Bank Crisis News in English

 





 ##Until a few days ago Silicon Valley Bank was the 16th largest bank in the United States, valued at over $200 billion.

 Silicon Valley Bank (SVB), four decades ago, was well known and trusted for its technical expertise and sound decision making.

 But the current condition of the bank is very deplorable.


 


  ## What happened to Silicon Valley Bank (SVB)?


 As the popular bank for the technology sector, SVB's services were in demand during the boom.


  The year was early 2020, when the bank quickly ushered in a golden period for startups and established tech companies after the business hit during Covid-19, as consumers spent heavily on gadgets and digital services.



 Many large companies used SVB to hold cash that they used for payroll and other business expenses.

 As a result, the deposit flow to the bank increases. The bank invests a large portion of its deposits in various sectors, which other banks usually do.

 But the biggest risk investment was the heavy investment in US government bonds, which are considered by many to be safe havens.



  But bond interest rates always have an inverse relationship; When rates rise, bond prices fall. So when the Federal Reserve began raising rates rapidly to combat inflation, SVB's portfolio of bonds began to lose significant value.


If SVB is able to hold those bonds for several years until they mature, it can recoup its capital. However, as economic conditions worsened last year, with technology companies particularly affected, many bank customers wanted to withdraw their deposits.


  SVB did not have enough cash on hand, and so it began selling some of its bonds at steep losses, scaring away investors and customers.

 Money crisis started in the bank. Currently going bankrupt.


  It only took 48 hours between the time it disclosed that it had sold assets and its collapse.




  Is this the beginning of all banking crises?


  A new concern is expressed by the quick response of the US government in guaranteeing all deposits of bank customers.



  Financial futures, which allow investors to speculate on future price movements, rallied for the US technology sector in response to the guarantees.



  There was concern that if this guarantee was not implemented, SVB account holders would not be able to pay the employees.



  "In terms of sustainability, they avoid supply chain consequences," Moshirian said.



Governments and regulatory bodies around the world, including in the UK and Australia, are examining SVB exposure in their corporate and banking sectors.



  The longer-term question is whether SVB's vulnerability to rising interest rates is paralleled by excess exposure to declining bond prices in other banks.


  According to Moshirian, the banking system is going to be reinvented, noting that people initially felt that there was a sub-prime mortgage crisis. Which led to the global financial crisis.



 To address the risk, the Federal Reserve unveiled a new program that allows banks to borrow funds backed by government securities to meet the needs of deposit customers.



  SVB caters to Silicon Valley, backing startups and other tech companies that may shy away from traditional banks.


  In recent months, the sector has been laying off workers as economic conditions worsen. At a time when they need financial support, one of its biggest supporters has collapsed. So be careful.


 ##Nowadays economist advice to people is that every customer should deposit money in a savings account with government security. Keep the money by judging the current situation of the bank where you are depositing money, their security. If possible, open a savings account in another bank. Remember nothing is guaranteed. On review Indians should keep as much money in different banks as per government security money.

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক: কেন এটি ধসে পড়েছে এবং এটি কি একটি ব্যাংকিং সংকটের সূচনা? || Silicon Valley Bank: Why It Collapsed and Is It the Beginning of a Banking Crisis? || SVB Update news Today || Silicon Valley Bank Crisis News in Bengali

 





##কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 16তম বৃহত্তম ব্যাংক, যার মূল্য $200 বিলিয়নেরও বেশি। 
সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (SVB) চার দশক আগে,  তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিচিত ও ভরসা যোগ্য  ছিল।
কিন্তু ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। 

 

 ## সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (SVB) কি হয়েছে?

প্রযুক্তি খাতের জন্য জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক হিসাবে, অতিমারির সময়ে SVB-এর পরিষেবাগুলির সবথেকে উন্নত মানের চাহিদা ছিল।

 সালটা ছিল 2020, এর গোড়ার দিকে অর্থাৎ কোভিড-19-এর সময় ব্যবসা বাণিজ্যে ধাক্কার পর দ্রুত স্টার্টআপ এবং প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য একটি সুবর্ণ সময়ের পথ এনে দিয়েছিল এই ব্যাংক, কারণ উপভোক্তারা গ্যাজেট এবং ডিজিটাল পরিষেবাগুলিতে প্রচুর ব্যয় করেছিল।


অনেক বড় বড় কোম্পানি SVB কে ব্যবহার করেছিল নগদ অর্থ রাখার জন্য যা তারা পে-রোল এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক খরচের জন্য ব্যবহার করেছিল। 
এর ফলে ব্যাংকে ডিপোজিট প্রবাহ বেড়ে যায়। ব্যাংক আমানতের একটি বড় অংশ বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন খাতে, যা সাধারণত অন্যান্য ব্যাংক করে থাকে। 
তবে সব থেকে বড় ভয়াবহ বিনিয়োগ ছিল মার্কিন সরকারী বন্ডগুলিতে প্রচুর বিনিয়োগ, যা অনেকটাই নিরাপদ বিনিয়োগের স্থান মনে করা হয়।


 কিন্তু বন্ডের সুদের হারের সাথে সবসময় বিপরীত সম্পর্ক রয়েছে; যখন হার বেড়ে যায়, বন্ডের দাম পড়ে। সুতরাং যখন ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় দ্রুত হার বাড়াতে শুরু করে, তখন SVB-এর বন্ডগুলির পোর্টফোলিও উল্লেখযোগ্য মান হারাতে শুরু করে।

যদি SVB সেই বন্ডগুলিকে পরিপূর্ন না হওয়া পর্যন্ত কয়েক বছর ধরে রাখতে সক্ষম হয়, তাহলে এটি তার মূলধন ফিরে পেতে পারে। যাইহোক, গত বছর অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায়, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি বিশেষভাবে প্রভাবিত হওয়ায়, ব্যাংকের অনেক গ্রাহক তাদের জমানো ডিপোজিট তুলে নিতে চাই।

 SVB এর হাতে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ ছিল না, এবং তাই এটি তার কিছু বন্ড খাড়া লোকসানে বিক্রি করতে শুরু করে, বিনিয়োগকারী এবং গ্রাহকদের ভয় দেখায়।
শুরু হয় ব্যাংকে অর্থ সংকট। বর্তমানে দেওলিয়া হয়ে যাচ্ছে।

 এটি প্রকাশ করার সময় যে এটি সম্পদ বিক্রি করেছে এবং এর পতনের মধ্যে মাত্র 48 ঘন্টা সময় লেগেছে।



 এটা কি সমস্ত ব্যাংকিং সংকটের সূচনা?

 ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের সমস্ত ডিপোজিটের গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে একটা নতুন উদ্বেগ প্রকাশ রয়েছে।


 আর্থিক ফিউচার, যা বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যতের দামের গতিবিধি সম্পর্কে অনুমান করতে দেয়, গ্যারান্টিগুলির প্রতিক্রিয়া হিসাবে মার্কিন প্রযুক্তি খাতের জন্য সমাবেশ করেছে৷


 উদ্বেগ ছিল যে এই গ্যারান্টিটি বাস্তবায়িত না হলে, SVB অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা কর্মচারীদের অর্থ প্রদান করতে পারত না।


 "স্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে, তারা সরবরাহ শৃঙ্খলের পরিণতি এড়িয়ে গেছে," মোশিরিয়ান বলেছেন।


 যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বজুড়ে সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি তাদের কর্পোরেট এবং ব্যাঙ্কিং খাতে SVB এক্সপোজার পরীক্ষা করছে৷


 দীর্ঘমেয়াদী প্রশ্ন হল ক্রমবর্ধমান সুদের হারের জন্য SVB-এর দুর্বলতা অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলিতে বন্ডের মূল্য হ্রাসের অতিরিক্ত এক্সপোজারের মাধ্যমে সমান্তরাল কিনা?

 মোশিরিয়ানের মতে ,  ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নতুন ভাবে উপস্থাপন হতে চলেছে, তিনি উল্লেখ করেছেন যে লোকেরা প্রাথমিকভাবে অনুভব করেছিল যে সাব-প্রাইম মর্টগেজ সংকট রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী আর্থিক সঙ্কটের জন্ম দিয়েছে।


ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য, ফেডারেল রিজার্ভ একটি নতুন প্রোগ্রাম উন্মোচন করেছে যা ব্যাংকগুলিকে ডিপোজিট গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সরকারী সিকিউরিটিজ দ্বারা সমর্থিত তহবিল ধার করার সুযোগ দেয়।


 SVB সিলিকন ভ্যালি, ব্যাকিং স্টার্টআপ এবং অন্যান্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য ক্যাটার করেছে যেগুলি ঐতিহ্যবাহী ব্যাঙ্কগুলি থেকে দূরে থাকতে পারে৷

 সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেক্টরটি কর্মী ছাঁটাই করছে। একটি সময়ে তাদের আর্থিক সমর্থন প্রয়োজন, এর অন্যতম বড় সমর্থক ভেঙে পড়েছে। তাই সাবধান হোন।

##বর্তমানে মানুষদের উদ্দেশ্যে অর্থনীতি বিদদের পরামর্শ হল প্রতিটি গ্রাহক সরকারি সিকিউরিটি মেনে একটা সেভিংসে অর্থ ডিপোজিট করুন। যে ব্যাংকে অর্থ ডিপোজিট করছেন তার বর্তমান পরিস্থিতি, তাদের সিকিউরিটি বিচার করে অর্থ রাখুন। পারলে আরও অন্য ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলুন। মনে রাখবেন কোনো কিছুরই ভরসা নেই। পর্যালোচনা করে ভারতীয়দের উচিত সরকারের সিকিউরিটি অর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংকে ততটাই অর্থ রাখুন। 


Friday, March 10, 2023

পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনায় একাধিক পদে কর্মী নিয়োগ, বেতন -18,000 || WB Job Recruitment || WB PMAY-G Job Recruitment 2023


 


 পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। পশ্চিমবঙ্গে এক জেলা শাসক প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কাজের জন্য নতুন কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুসংবাদ। জেলা পরিষদের সরকারি অফিসে চাকরির পোস্টিং দেওয়া হবে সঙ্গে প্রচুর মাসিক বেতনও থাকবে। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।




কী কী পদে নিয়োগ করা হবে :


১- টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট 


২- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর 




কীভাবে আবেদন করবেন : শুধু মাত্র অফলাইনের মাধ্যমে।


অফলাইন আবেদন পত্র পাওয়া যাবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অফিসিয়াল নোটিশ ডাউনলোড করে আবেদন পত্র প্রিন্ট আউট বের করতে হবে। 




আবেদন পত্রের সঙ্গে কী কী ডকুমেন্টস জমা করবেন :


১- মাধ্যমিক এডমিট বা বয়সের প্রমাণ পত্র 


২-শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত ডকুমেন্টস 


৩- পাসপোর্ট সাইজের ছবি 


৪- আধার বা ভোটার কার্ড 


৫- জাতিগত সংশয় পত্র 


৬- অন্যান্য ডকুমেন্টস 





নিচে শূন্য পদ ও আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে সবিস্তারে আলোচনা করা হল -


১- টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট 




শিক্ষাগত যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে চাকরি প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে সিভিল ইন্জিনিয়ারিং পাশ করতে হবে। 




বয়সসীমা : প্রার্থীর বয়স 37 বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক।




নিয়োগ প্রক্রিয়া : প্রথমে হবে লিখিত পরীক্ষা। 

 যদি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় সফল হয় তাহলে ফাইনাল মেরিট লিস্ট তৈরি করে নিয়োগ করা হবে। 




মাসিক বেতন : প্রতিমাসে 18,000 টাকা ।




২- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (Data Entry Operator)



শিক্ষাগত যোগ্যতা : গ্রাজুয়েশন পাশ ( যে কোনো সঙ্গে কমপক্ষে 6 মাসের কম্পিউটার নলেজ থাকতে হবে। এছাড়াও থাকতে হবে টাইপিং দক্ষতা। 





নিয়োগ প্রক্রিয়া : লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ সঙ্গে কম্পিউটার টেস্ট নিয়ে নিয়োগ করা হবে। 




বয়সসীমা : প্রার্থীর বয়স 37 বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক।




মাসিক বেতন : 11,000 টাকা 




আবেদনের শেষ তারিখ : 10-03-2023 




আবেদন পাঠানোর ঠিকানা : Jhargram Zilla Parishad




 Official Notice :  

Click here 🔴




Saturday, March 4, 2023

20,000 টাকা বেতনে পোস্ট অফিসে গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ, যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাশ || Post Office Recruitment 2023 || GDS Recruitment 2023


 


পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। পোস্ট তথা ডাক বিভাগের তরফে থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে গ্রুপ সি পদে। আপনারা যদি অষ্টম শ্রেণী পাশ করে থাকেন তাহলে এই পদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব।




আবেদন পদ্ধতি: শুধু মাত্র অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তার জন্য কয়েকটি ধাপে আবেদন করতে পারবেন। 

1. সবার প্রথমে নিয়োগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে নিয়োগের আবেদনপত্র সংগ্রহ করে নিন।

2. এই আবেদনপত্র তথা অ্যাপ্লিকেশন ফরম্যাট এর ডাইরেক্ট লিঙ্ক নিচে দেওয়া হলো, ডাউনলোড করে বের করে নিন।

3. আপনার নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যেমন নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, জেন্ডার, ঠিকানা, কাস্ট স্ট্যাটাস ইত্যাদি তথ্য দিয়ে পূরণ করুন ফর্মটি।

4. আপনার একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো যুক্ত করুন সঙ্গে ফর্মের মধ্যে নিজের সিগনেচার করে দিন।

5. সবার শেষে এগুলি সব একটি খামের ভেতর ভরে তা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হবে।


প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট: নিয়োগে আবেদনের ক্ষেত্রে যেসব ডকুমেন্ট অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন,

1. বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড কিংবা বার্থ সার্টিফিকেট

2. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার ডকুমেন্ট বিশেষ করে

3. অষ্টম শ্রেণী পাশের মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট

4. স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ভোটার কার্ড কিংবা আধার কার্ড

5. কাস্ট সার্টিফিকেট যদি থাকে

6. কোনো ওয়ার্ক এক্সপিরিয়েন্স সার্টিফিকেট যদি থাকে

7. ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি


পদের নাম: গ্রুপ সি লেভেলের পদে নিয়োগ হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে দুই ধরনের পদ রয়েছে। যথা, মোটর ভেহিকেল ইলেকট্রিশিয়ান এবং মোটর ভেহিকেল মেকানিক।


শিক্ষাগত যোগ্যতা: শুধু মাত্র অষ্টম শ্রেণী পাশ করে থাকতে হবে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষ কর্ম অভিজ্ঞতা তথা দক্ষতা থাকা আবশ্যক।


প্রার্থীর বয়সসীমা: আবেদনকারীর বয়স হতে হবে 18 থেকে 30 বছরের মধ্যে। তবেই এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তবে সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


মাসিক বেতন: প্রতিমাসে 19,900/- টাকা বেতন দেওয়া হবে শুরুতে। 


আবেদনের সময়সীমা: আগামী 11 মার্চ, 2023 তারিখের মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নিচে নিয়োগের অফিসিয়াল নোটিফিকেশন এর লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, সেখানেই নিয়োগের আবেদনপত্র এবং আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে।


OFFICIAL NOTIFICATION/ APPLICATION FORMAT: 


OFFICIAL WEBSITE: 


 

Friday, March 3, 2023

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -38


 


আমার মন মেজাজ যে খারাপ তা কদিন ধরে প্রকাশ পাচ্ছে। তথাপি কাজ কর্ম কোন প্রকারে করতাম। দুপুর বেলায় রামায়ণ পাঠ করতাম মনের সুচীতাকে অটুট রাখার জন্য। অনেকে বলেন, 'পাপীরে কোরো না ঘৃণা, ঘৃণা করো পাপে।'


 এই মনোবৃত্তি বিশ্বসংসারে কজনেই বা গ্রহণ যোগ্য মনে করেন। আমি যে পাপী তা দেবীদাস জানে, কিন্তু এই পাপ পথে তো আমি স্বেচ্ছায় আসতে চাইনি। তাহলে আমি কেন পাপী? যারা জোরপূর্ব্বক পাপ কুঞ্জে আমার মতো মেয়েকে নিক্ষেপ করছে তারা কি তাহলে সৎ? আমি হতে পারি পাপী তবে সমাজের চক্ষে। মন আমার অপবিত্র নয়। কিন্তু স্বেচ্ছায় যখন এই পথ গ্রহণ করিনি তখন নিজেকে পাপী বলে মানতে পারবো না। ধর্ম গ্রন্থের বাক্য পালন করে মনকে পবিত্র করার অধিকার আছে। রামায়ন পড়ি প্রতিদিন। শ্যামলীদি অন্তর্ধান করার কয়েক দিন পর পুনরায় রামায়ন পড়তে শুরু করলাম।

 ধীরে ধীরে শ্যামলীদির কথা ভুলতে থাকলাম। দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় ঐশ্বর্য্য ও প্রাচুর্য্যেও বিলাসিতার মধ্যে ডুবে থেকেও ধিকৃত জীবনের ঘৃণ্য কাহিনী স্মরণ করে নিজেকে খুব ছোট বোধ করতাম। এখন আমাদের উভয়ের মানসিক অনৈক্য নেই। সামাজিক নিয়ন্ত্রণে স্বামী-স্ত্রীর যে আদান-প্রদান, আচার-আচরণ তা রেজেষ্টারীর পূর্বেই আমার জীবনের পাণ্ডুলিপিতে লিপিবদ্ধ হলো। অবশ্য সীমান্তে সিঁদুর নেবার পূর্বেই দেবীর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করার অধিকার পেলাম।

 সেদিন ভুলবশতঃ হোক আর ভালোবাসার টানে হোক দেবীর শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেছিলাম। যখন শুনেছিলাম দেবী মাথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, কোন প্রকারে নিজেকে শান্ত করতে পারিনি। তখন মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দেবীর দুই হস্তের মধ্যে কখন বন্দী হয়েছিলাম খেয়াল ছিল না। ওর দুই হস্তের বন্দী থেকে মুক্ত হতে পারিনি।

 এরপর থেকে দেবীকে জীবনসাথী রূপে ছায়ার মতো অনুসরণ করে চলেছি। এরপর যদি আমার জীবনে ভাগ্য বিপর্যয়ের কালো ছায়া নেমে আসে তাহলে সে দোষ আমার অদৃষ্টের। তবে দুঃসহ, শোক, দুঃখ যে উপস্থিত হয়নি তা নয়, বহু উত্থান
পতনের পর এক বারবনিতা সমাজের সুপ্রতিষ্ঠিত রূপে ঠাঁই হয়েছে। কলহাস্য মুখ্য জীবন স্রোত বয়ে যেতে লাগল।

এই সময়ে এক শুভ কার্য্যের নিমন্ত্রণ নিয়ে এলো দেবীর বন্ধু বিকাশ। তাকে কোন দিন দেখিনি। হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠলো। বারান্দায় কপাট খুলতেই নজরে পড়লো এক গৌরবর্ণ মুখশ্রী মন্ডিত তরুণ যুবক। যুবক এক দৃষ্টে আমার মুখপানে তাকিয়ে আছেন। লজ্জায় মুখ নত করে বললাম, কাকে চাইছেন?

সে লজ্জা কাটিয়ে বলল, দেবীকে। দেবী আমার বন্ধু। আমার নাম বিকাশ। কোন ভয় নেই বৌদি আপনার সম্বন্ধে আমি অবিদিত নই ভাববেন না। আমি খুবই খুশী ভেতরে যেতে বলবেন না ?

আসুন ভেতরে। বিকাশ ভেতরে প্রবেশ করে ওকে বৈঠকখানায় বসিয়ে লৌকিতা করার জন্য রান্না ঘরে হাজির হলাম। অল্প সময়ের মধ্যে জলযোগের ব্যবস্থা করে ওর কাছে হাজির হয়ে বললাম, এগুলো তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন ভাই, তারপর আপনার সাথে গল্প করবো।

বিকাশ খোস মেজাজে বলল, আপনি যথাসময়ে জলযোগের ব্যবস্থা করেছেন নইলে ক্ষিদের জ্বালায় কষ্ট পেতাম। কিন্তু এতো খাবার আমি খেতে পারবো না বৌদি, আপনাকে ভাগ বসাতে হবে। বারবার আপত্তি করা স্বত্ত্বে কোন কথা শুনলো না। সরল, সহজ ও সংবেদনশীল বলে মনে হলো।

আমার মনে যে ভয় ছিলো তা কেটে যাওয়াতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওর সাথে গল্প করতে মজে গেলাম। আমার অতীত জীবনের পদস্খলনে কিছু সান্ত্বনা দিয়েছিল। বিশেষ করে দাদা যে ওর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও উপকারী বন্ধু ছিল তা অকপটে স্বীকার করলেন।

বিকাশ বললেন, আপনার দাদা যেভাবে ডাক্তারী পড়ছিলো তা কোন দিন জানতে পারিনি। দারিদ্রের মধ্যে সংগ্রাম করে অন্ধকার জীবন হতে নব দিগন্তের সূর্য উদয়ের প্রতিক্ষায় ছিলে তা জানতাম না। বৌদি একথা কি সত্য ?

উত্তর দেবার আগে চোখ ফেটে জল বেরিয়ে এলো। গোপনে সামলে মাথা নেড়ে বললাম, দেবী যা বলেছে মিথ্যে নয়।

বিকাশ ওকথা শোনার পর কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর বলল, আমি কোন দিন কল্পনা করিনি সুমন্তকে অকালে মরে যেতে হবে। কার দোষ দেবেন, নিষ্ঠুর নিয়তি তার প্রতি অবিচার করে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলো। দেবীর দোষ দিয়ে কি লাভ, তার অকাল মৃত্যু হেতু স্বরূপ। আফশোষ করবেন না বৌদি। কোন ভয় নেই বৌদি। আমি ও আমাদের পরিবারের লোক সকলেই আপনাকে ভালোবাসি।

তাছাড়া এও অনুরোধ করছি দেবীর প্রতি কোনরূপ অবিশ্বাসের ছায়া ফেলবেন
না। খাদ মুক্ত সোনা অগ্নি দহনে পরিশুদ্ধ হয়। আমি মৌন থেকে ওর কথাগুলো শুনছিলাম। কখন যে দেবী আমার পিছনে হাজির হয়েছে জানতে পারিনি। আমার চোখ দুটো চাপা দিতেই বুঝতে পারলাম দেবী ছাড়া কেউ নয়। মরনা স্কুলে গেছে। দেবী কে বললাম, এই হাড়ো না? দেখতে পাচ্ছ না কে সামনে বসে আছে?

দেবী বললে, ও আমার শত্রু নয় যে বিদ্রুপ করবে। হাত সরালো, বিকাশ কখন এলি ?

প্রায় ত্রিশ মিনিটস্। তোর অফিসে গিয়েছিলাম, ওখানে না পাওয়ার জন্য বাড়ীতে আসতে বাধ্য হাম। তাছাড়া নতুন বৌদিকে দেখার প্রবল বাসনা ছিল তাই লুকিয়ে দেখতে এলাম। কিরে রাগ করলি বুঝি?

দেবীদাস বলল, তোর বিয়ের খবর ? আমি সে সময় বললাম, আপনারা গল্প করুন আমি চায়ের ব্যবস্থা করি। আমি পিছন ফিরতেই বিকাশ বলল, চা তো খাবই, তার আগে আপনাকে একটা

ভাষা চেঞ্জ করতে হবে। আমি প্রথমতঃ বুঝতে পারিনি, তাই একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। বললাম, কোন অন্যায় করলাম বুঝি ?

নিশ্চয় অন্যায় করছো। এবার আপনি না করে তুমি দিয়ে কথা বলতে হবে। ঠিক আছে এরপর তুমি বলেই কথা বলবো।

রান্না ঘরে হাজির হলাম। বিকাশ বৌদি বলে আমাকে অলংকারে ভূষিত করেছে। তাহলে সে আমার ঠাকুরপো। গার্হস্থ্য জীবনের আত্মীয়তার বন্ধন নিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম। কিসের চিন্তা সে কথা বারংবার প্রকাশ করা নিরর্থক। শুধু এইটুকু জানবো আমি ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছি আমার স্বপ্নকে, আমার নারী মনের আশার আলোকে উজ্জ্বল করতে।

চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হলাম ওদের সামনে। বিকাশ চায়ের কাপ হাতে ধরে বলল, সামনের মাসের ৯ তারিখে আমার বিয়ে, বারবার মা বলেছেন তোমাকে হাজির হতেই হবে। না গিয়ে থাকলে আমার সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না। লজ্জা ঘৃণা সব কিছু ত্যাগ করে তোমাকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে বৌদি।

প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আমি তোমার সাথে পরিচয় করবো না। কিন্তু আমার পরিবারের একজন আমার চক্ষুর অন্ধকারাচ্ছন্নকে আলোকিত করলেন। আমাদের বাড়ীতে গিয়ে বুঝতে পারবে। আমি কোনরূপ যেন আঘাত না পেয়ে থাকি।

দেবী এই কার্ডটা নে, এই কার্ড দিয়ে তোকে নিমন্ত্রণ করা হলো। এখানে আর
ওয়েট করবো না ভাই। পিসিমারা শ্যামবাজার থাকে। তোমরা সকলে যেও বৌদি আসি কেমন?

 বিকাশ বিদায় নিল । আমি ওর পিছন পানে তাকিয়ে এক স্বপ্ন রাজ্যে গিয়ে হাজির হলাম । আমি যাব না আমার সিদ্ধান্ত। আমার মত মেয়ে কি ঐ পরিবেশে যেতে পারে। কারণ আমার পিছনের ইতিহাস আমি বিস্মৃত হইনি। তখনও পর্যন্ত আমার মনের মধ্যে হীনমন্যতা ভাব চলছিল। যাকে বলে Inferiority complex |

 মৌন হয়ে অবনত মস্তকে দাঁড়িয়ে ভাবছি ওকথা। বিকাশের আরেকটা কথা আমার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকলো। বিকাশ যাবার সময় এই কথা বলে গেল। জানো বৌদি এই দুনিয়ায় একই চেহারার মানুষ ভিন্ন ভিন্ন মাতৃ জঠরে জন্ম গ্রহণ করে তা আমার জানা ছিল না। অপরূপ মিল তোমার। কেউ বলতে পারবে না চন্দ্রা বৌদির সাথে কোন বিষয়ে অমিল আছে। কে চন্দ্রাদির বাবা! যদি দেবীকে বলে, হঠাৎ দেবীর ডাকে ভাবনা বাধা পড়লো।