Wednesday, July 3, 2024

অলকানন্দার একদিন - গায়ত্রী ভট্টাচার্য্য || oloknondar ekdin - Gayatri Bhattacharya || Short Story || ছোট গল্প

  অলকানন্দার একদিন 

           গায়ত্রী ভট্টাচার্য্য 


অলকানন্দা পাশ ফিরতে গিয়ে চাদরটা টেনে নিল। শীত শীত করছিল,চাদরখানা গায়ে দিয়ে আরাম পেল।অগ্রহায়ণ মাসের শেষ,একটু একটু করে শীত জাঁকিয়ে বসছে।ভোরের দিকে ঘুম এনজয় করার মতো,শীতকালে তা আরও উপভোগ্য।


জানালার কাঁচ দিয়ে মিঠে রোদের ছোঁয়ায় অলকানন্দার ঘুম ভাঙ্গলো।

কিছুক্ষণ পর বাগানে এল অলকানন্দা,তার প্রিয় সাদা কাশ্মীরী কাজ করা শালটা গায়ে চাপিয়ে।এই শালটা তার সহকর্মীদের দেওয়া রিটায়ারমেন্টের উপহার,দেখতে ভীষণ সুন্দর। 

বাগানের একটা কোনে এসে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো, যেখানে সেই গোলাপ গাছটা,যেটা তার একমাত্র মেয়ে জাহ্নবী লাগিয়েছিল,অলকানন্দার কোনো এক জন্মদিনে।গাছটা আদরে যত্নে খুব তাড়াতাড়িই বেড়ে উঠেছিল,কিন্তু এতদিনে একটাও ফুল ফোটেনি!অলকানন্দার বাগানের মালী কেবলই বলে,

“—মা ঠাকরুণ,এই গোলাপ গাছটায় কোনোদিন ফুল ফুটবে না,এ অন্য ধরণের গাছ,দিদিমনি যে কি গাছ বসিয়েছিল!এই গাছ আমি কেটে দিতে পারি, আপনি যদি অনুমতি করেন।”

অলকানন্দা বারণ করে।জাহ্নবী বহুদিন হলো দেশ ছাড়া,ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকে,মাঝে দু বার এসেছিল।

ঘুম থেকে উঠে রোজ একবার গোলাপ গাছটাকে স্পর্শ করে আত্মজাকে অনুভব করে, এই তার বহু বছরের অভ্যাস।

আজ ভীষনই আশ্চর্য হয়ে গেল, যখন দেখলো গাছটাতে একটা ফুল ফুটেছে!ফুল ফুটেছে,কি সুন্দর মেরুন লাল রঙের।কখন কুঁড়ি এসেছিল!সে খেয়াল করেনি তো!!গাছটার ভেতরের দিকে ফুলটা ফুটেছে,তাই কুঁড়ি আসাটা নজরে পড়েনি।কতদিন যে এমন একটি লাল গোলাপ ফোটার আশায় ছিল।আজকের এই বিশেষ দিনে অলকানন্দার মনটা খুশীতে ভরপুর হয়ে গেল।


প্রেসারটা বোধহয় গোলমাল করছে অলকানন্দার।প্রাতরাশ সেরে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিল,ফেরার পথে ডাক্তারের কাছে যাবে।

ডাক্তারবাবু চেক আপ করে অলকানন্দাকে বললেন, 

“—ম্যাডাম,বয়স বাড়ছে, একা থাকেন, একটু সাবধানে থাকুন।“

অলকানন্দার বয়স এখন তেষট্টি,শিক্ষকতার জীবন থেকে অবসর নিয়েছে প্রায় তিন বছর হলো। একাই থাকতে হয় তাকে।

ডাক্তারবাবুর চেম্বার থেকে বেরোতে যাবে,একজন বৃদ্ধা অলকানন্দার চেয়ে বয়সে বোধহয় অনেকটাই বড়,শীতে জবুথবু হয়ে বসে আছেন,গায়ে না আছে কোনো চাদর অথবা সোয়েটার!কম্পাউন্ডার বাবুকে বললেন,

“—কি করি বাবা,ছেলেমেয়েরা এই বুড়ো মাকে দেখে না।“ 

অলকানন্দার চোখ অশ্রসিক্ত হয়ে গেল,একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার গায়ের কাশ্মীরী শালখানা বৃদ্ধার গায়ে চাপিয়ে দিল। বৃদ্ধার চোখেমুখে খুশী উপচে পড়লো,অলকানন্দার দিকে হাত তুলে বললেন, 

“—ভালো থেকো মা,ঈশ্বর তোমার সব কষ্ট দূর করুন।“ 

চেম্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে রাস্তার বিপরীত দিকে চোখ পড়ে গেল তার,... আরে সৈকত না! সৈকত এখানে! দূর সে কেন হবে !! অলকানন্দার মনের ভুল।কোনোভাবেই সৈকতের এখানে থাকার কথা নয়!


 রান্নাটা জমিয়ে করল অলকানন্দা, যে পদগুলো তার পছন্দের,মিহি চালের ভাত,বেগুন ভর্তা,পুনকো শাক পোস্ত,ইলিশ ভাপা,ধোঁকার ডালনা। আজকের দিনটা তার পছন্দের রান্না দিয়ে সাজিয়ে সেলিব্রেট করতে ইচ্ছে করলো।মাঝে মাঝে নিজের ইচ্ছেগুলোকে দাম দিতে হয়,নিজেকে ভালোবাসতে হয়।

 খাওয়া দাওয়ার পর আবার বাগানে এলো অলকানন্দা।অগোচরে ফুটে ওঠা লাল গোলাপের আকর্ষণ তার মনকে উথালপাথাল করে দিচ্ছে, গোলাপটার দিকে তাকিয়ে বললো, 

“—কি দুষ্টু এতদিন পর আমার কাছে আসার সময় হলো!”

তার কথার জবাব দিল গোলাপটা,হাওয়ায় নিজেকে দুলিয়ে যেন অলকানন্দার সুরে সুর মেলালো।

ডাইনিং রুম থেকে তার স্মার্ট ফোনের রিং বেজে উঠলো। লাঞ্চের পর ফোনটা ডাইনিং টেবিলেই রেখে এসেছিল।এই পড়ন্ত দুপুরে কে আবার ফোন করলো! ভাবতে ভাবতে ডাইনিং হলে এসে মুঠোফোনটা হাতে নিল অলকানন্দা। 

জাহ্নবীর ফোন!সচরাচর সে ফোন করে না,মাঝে সাঝে মেসেজ পাঠিয়ে মায়ের খবর নেয়,ব্যাস দায়িত্ব শেষ।  

…..জাহ্নবী .... অনেক কষ্টে তাকে বড়ো করে তুলেছে অলকানন্দা। সে যখন মাত্র আট বছরের তখন তার বাবা সন্দীপন ছেড়ে চলে যায়। অলকানন্দা একাই মা এবং বাবার দায়িত্ব পালন করেছে।পড়াশোনায় জাহ্নবীর অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ছিল,ছোট্ট থেকেই, সেদিক থেকে তার বাবার ধাত পেয়েছিল।সেই জাহ্নবী বড়ো হয়ে পি.এইচ. ডি. করতে গেল সুদূর বিদেশে, ক্যালিফোর্নিয়ায়।গবেষণা শেষ করে দেশে ফিরে অধ্যাপনা করবে এই ছিল জাহ্নবীর লক্ষ্য।কিন্তু সে দেশে আর ফিরে এলো না। তার গাইড স্যারকে ভালোবেসে বিয়ে করে ফেললো। স্যারের আন্ডারে গবেষণা করতে গিয়ে অনুভব করলো সে নাকি তার মধ্যবয়সী স্যারকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। সেই মার্কিন অধ্যাপক মার্কোস নাকি জাহ্নবীকে ভালোবাসার অর্থ বুঝিয়েছে,তার আগে জাহ্নবী ভালোবাসার প্রকৃত মানে বুঝতোই না!ফলস্বরূপ জাহ্নবীর চেয়ে বছর কুড়ি বড়ো মার্কোস আর প্রায় জাহ্নবীর বয়সী দুই সন্তান নিয়ে এখন ভরপুর সংসারী।পুরো ব্যাপারটাই অলকানন্দার অজানা ছিল,বিয়ের পর জানিয়েছিল জাহ্নবী।দেশে ফিরে আসা অথবা মায়ের কাছে থাকা তার কাছে অবান্তর।

ফোনটা ধরে হ্যালো বলতেই ওপার থেকে জাহ্নবী বললো, 

“—হ্যাপি অ্যানিভার্সারি মা ।“ 


 হ্যাপি !! যে মানুষ,জাহ্নবীর বাবা প্রায় তিরিশ বছর আগে অলকানন্দাকে ধোঁকা দিয়ে তারই এক কলিগকে নিয়ে সুখের ঘর বেঁধেছিল। অলকানন্দার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই ডাক্তার সন্দীপন চ্যাটার্জি অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিল,অলকানন্দা ঘুণাক্ষরেও টের পায় নি। 

সেদিনটা ছিল তাদের দশ বছরের বিবাহবার্ষিকী,সন্দীপন ঘুম থেকে উঠে একটা প্লাটিনামে হীরে বসানো আংটি গিফ্ট করেছিল অলকানন্দাকে।বলেছিল তার চেম্বার থেকে ফিরতে দেরী হবে,অলকানন্দা যেন তার জন্য ওয়েট না করে। একটু বেশী রাত হয়ে যাওয়ায়,উৎকন্ঠায় অলকানন্দা ছুটে গিয়েছিল সন্দীপনের চেম্বারে।গিয়ে যা দেখে তাতে সে স্তব্ধ হয়ে যায়। চেম্বারের ঠিক পাশের ঘরে সন্দীপন তার সঙ্গীনীর সঙ্গে ….।”

গোটা শরীর ঘৃণায় রি রি করে ওঠে। তার ভালোবাসার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা!পরে পরেই ডিভোর্স দিয়ে দেয় অলকানন্দা।সে এই কারণে সন্দীপনকে ঘৃণা করেনি যে,তাকে ছেড়ে অন্য নারীর প্রতি আসক্ত ছিল, এই কারণে যে তার বিশ্বাস ও ভালোবাসার সঙ্গে প্রতারণা করেছিল।জীবনে এক নারীকে নিয়েই যে সন্তুষ্ট থাকতে হবে এমন কোনো মানে নেই। কিন্তু অলকানন্দার অগোচরে বেড়ে ওঠা সন্দীপনের এই অবৈধ সম্পর্ক মন থেকে মেনে নেওয়া তার পক্ষে বেদনাদায়ক ছিল।

“—কেমন আছো সোনা?“ দীর্ঘক্ষণ নীরব থেকে অলকানন্দা বললো।

“—ভালো আছি মা,তোমাকে ফোন করে উঠতে পারি না,জানোই তো খুব ব্যস্ত থাকি,তাছাড়া আমার যখন সময় হয়,তোমাদের তখন মাঝ রাত। আজ তোমার আর বাপির অ্যানিভার্সারি তাই …।”

“—হ্যাঁ ঠিক বলেছো,তোমার আমার টাইম ম্যাচ করে না,আজ আমার কাছে বিশেষ দিন,আমাদের বিয়েটা আজকের দিনেই হয়েছিল কিনা,যদিও আজকের দিনেই চরম আঘাতটাও পেয়েছিলাম।যাকগে তোমরা কেমন আছো?”

“—ভীষণ ভালো,মার্কোস আমাকে চোখে হারায়, এখন দুজনে মিলেই গবেষণার কাজ করছি। আর বাচ্চারা আমার বন্ধু।”

“—তুমি ভালো আছো,এর চেয়ে আমার আর কি চাওয়ার থাকতে পারে।“

ফোন রেখে দিয়ে অলকানন্দা খুশী মনে স্বগতোক্তি করলো, 

“—নাই বা আসতে পারলো আমার কাছে,জাহ্নবী তার মনের মানুষের কাছে সুখে আছে, আনন্দে আছে এই ঢের। অলকানন্দা এর চেয়ে বেশি কিছু চায় না, তবে তাদের সম্পর্কের বিষয় অলকানন্দার কাছে গোপন রেখেছিল কেন আজও তার কাছে বোধগম্য নয়।


কলিং বেলটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমটা ভেঙে গেল অলকানন্দার,কখন বসে বসেই সোফায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল বুঝতে পারে নি।ধড়মড়িয়ে উঠে সদর দরজা খুলে দেখলো এক ক্যুরিয়ার বয়! 


পার্সেলটা খুলতেই ভারী অবাক হয়ে গেল, সন্দীপন পাঠিয়েছে….!আর ভেতরে একটা চিরকুট, তাতে লেখা …”নন্দা ক্ষমা কোরো, আমার পাঠানো উপহার গ্রহণ কোরো,প্লিজ প্লিজ।”

বসার ঘরে এসে আবার সোফায় বসলো অলকানন্দা, ঘুমটা সবে ধরেছিল,ভেঙে যাওয়ার কারণে আলসেমি ভাবটা ছিল।আনমনে প্যাকেটটা নাড়াচাড়া করছিল, কি আছে এখানে!এতোদিন পর কেনই বা সন্দীপন কিছু পাঠালো! এই কথা ভাবতে ভাবতে সৈকতের মুখটা ভেসে উঠলো অলকানন্দার। আজ সকাল থেকেই তার কথাটা কেবলই মনে চলে আসছে, …..সৈকত, একটা উথালপাথাল করা নাম অলকানন্দার জীবনে, তার কথা মনে এলে এক অনির্বচনীয় আনন্দে হৃদয় পূর্ণ হয়ে যায়, এই বয়সেও শরীরে শিহরণ জাগে।

খুব মনে পড়ছে,অলকানন্দা তখন পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই , তাদের প্রতিষ্ঠানে জয়েন করেছিল বছর পঁয়ত্রিশের সৈকত। উদ্যমী টগবগে যুবক, সারাক্ষণই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। সেই সুবাদে অলকানন্দার সঙ্গে প্রচুর মিল।

একদিন লক্ষ্য করলো সৈকত অপলক দৃষ্টিতে অলকানন্দার দিকে চেয়ে রয়েছে! বারবার ঐ একই বিষয় তার নজরে পড়ছিল! অলকানন্দাও সৈকতের দৃষ্টিকে বোঝবার চেষ্টা করতে থাকলো,তারপর কখন যে অগোচরে সৈকতের মুগ্ধ দুই চোখের দৃষ্টিতে নিজেকে আবদ্ধ করে ফেলেছিল টেরই পায়নি ।


কিন্তু অলকানন্দার মনে হতো ,এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। তবুও হয়ে যায়,মনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সৈকতের উপস্থিতি অলকানন্দার মনকে আনন্দ সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যেতো।তার নিস্তরঙ্গ জীবনে সৈকত যেন পালতোলা নৌকা,সেই পাল তোলা নৌকায় করে মন ভেসে যেতে চায় দূরে,বহুদূরে।

“--আচ্ছা সৈকতেরও কি ঐরকম কিছু উপলব্ধি হয়!” নিজেকেই প্রশ্নগুলো করে।

 একদিন বর্ষার সন্ধ্যায় কাঁপিয়ে জ্বর এলো অলকানন্দার,বাড়ী ফেরার পথে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিল সেইজন্য বোধহয়।পরিণাম ক দিন তাকে প্রতিষ্ঠানে ছুটি নিতে হলো।দু দিন হয়ে গেলে সৈকত তাকে ফোন করে বলেছিল,

“—ম্যাডাম,আসছেন না কেন!”


আরেকবার এক অনভিপ্রেত কারণে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল অলকানন্দা,তার মনে হয়েছিল তার পাশে কেউ নেই। সেই সময় সৈকত সবার অলক্ষ্যে অলকানন্দার হাতে হাত রেখে বলেছিল,

“—আমি আছি তো।”

  বেশ কয়েক বছর পর সৈকত অনেক দূরে একটি শহরে চলে যায়,আস্তে আস্তে কালের নিয়মে উভয়ের মধ্যে যোগাযোগ থাকে না।


সন্ধ্যা বেলায় চা নিয়ে বসতেই আবার কলিং বেল বেজে উঠল।এই সময় কে এল!অলকানন্দা দরজা খুলতেই বিস্মিত হয়ে গেল,সৈকত! 

“—আপনি!”

“—কেন আসতে নেই ম্যাডাম!!”

“—তা কেন, আসুন আসুন।”

কিছুক্ষণ পর দুজনের চা খাওয়া শেষ হলে সৈকত তার হাতের প্যাকেটটা খুলে একটা কাশ্মীরী শাল আস্তে আস্তে অলকানন্দার গায়ে জড়িয়ে দিল,শালটা দেখতে অনেকটা আগেরটার মতো!তাহলে অলকানন্দা সকালে ঠিকই দেখেছিল! 

কি জানি কি মনে হতে,অলকানন্দা তার দু হাত দিয়ে সৈকতের দুই গাল স্পর্শ করে বললো, 

“—কি দুষ্টু,এতদিন পর আমার কথা মনে পড়লো!”

মৃদু হেসে সৈকত বললো, 

“— আপনার কাছে অনেকবার আসতে চেষ্টা করেছি কিন্তু বাধ্যবাধকতার কারণে আসতে পারি নি, আজ সকালে আপনাকে দেখলাম,আপনি আগের মতোই আছেন,সেরকমই অপরূপা,যাঁর দুই চোখের অতলান্ত গভীরতা আমার হৃদয়কে উথালপাথাল করে দেয়। অগোচরে গড়ে ওঠা সম্পর্কের টানে এতদিন পর হলেও আমি এসেছি আপনার সঙ্গে দেখা করতে। এটাই হয়তো আমার আসার উপযুক্ত সময়।”

এক অপার প্রাপ্তিতে অলকানন্দার সারা হৃদয় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠলো।


কত বছর পর এত সুখী হলো অলকানন্দা! আর কোনো দুঃখ নেই, নেই কোনোও ক্ষোভ।যদিও অনেক আগে থেকেই এই ক্ষতগুলোকে মন থেকে মুছে দিয়েছিল।তবুও আজ যেন ঈশ্বর দরাজ হস্তে অলকানন্দাকে খুশী দান করেছেন।সন্দীপনের পাঠানো পার্সেলে যে উপহার গুলি ছিল,তা ফেরত দিতে চাইলেও পারবে না।ছিল স্কুলের রি-ইউনিয়নে ব্যাচের বন্ধুদের সঙ্গে তোলা তাদের দুজনের একটি ছবি এবং অলকানন্দাকে লেখা সন্দীপনের প্রথম চিঠি।


অনেক ডাকাডাকি, অনেক চেষ্টার পর দরজা ভেঙ্গে অলকানন্দার প্রতিবেশীরা এবং কাজের মেয়ে দেখলো অলকানন্দা তার বিছানায় কাশ্মীরী শাল ঢাকা নিয়ে পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে রয়েছে,বুকের কাছে দুই হাত দিয়ে ধরে রয়েছে একটি বাঁধানো ফোটোগ্রাফ আর একটি পুরানো চিঠি।

                    

                     -

পুনঃ মূষিক ভবঃ - পার্থ প্রতিম দাস || Puno musiko vobho - Partho protima das || অনুগল্প || short story

     পুনঃ মূষিক ভবঃ

                      পার্থ প্রতিম দাস 


 এস এস সি পরীক্ষার মাধ্যমে সন্দীপ ক্লার্কের চাকরী পায় আসানসোলে। খবরটা পেতেই সন্দীপের মা বাবা ভীষন খুশি হয়। গ্রামের বাড়ি বাড়ি মিস্টি দিয়ে আসে। সন্দীপের মা বাবা পরিকল্পনা করতে থাকে, কি ভাবে ধুমধাম করে ছেলের বিয়ে দিবে। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিবে। 

     গ্রীষ্মের এক ভোরে সন্দীপের জন্য মেয়ে দেখতে যাওয়ার জন্য সন্দীপের মা বাবা তৈরী হচ্ছে। এমন সময় ফোন আসে। সন্দীপের বন্ধু কল করেছে। সন্দীপের বাবা কলটা রিসিভ করলো। সন্দীপের বন্ধু বলল, "হ্যালো কাকাবাবু, সন্দীপ এই মাত্র মন্দিরে বিয়ে করেছে।"

     কথাটা শুনে সন্দীপের বাবা তাড়াতাড়ি সন্দীপের মাকে ফোনটা দিয়ে বলল, "দেখো দেখো, খোকার কান্ড দেখো।"

    সন্দীপের মা ফোনটা ধরে আর সন্দীপের বাবা লোক লজ্জার কথা মনে করে মাথায় হাত দিয়ে মেঝেতে বসে পড়লো। সন্দীপের মা বলল, "হ্যালো, সন্দীপকে ফোনটা দে।"সন্দীপ ফোনটা ধরে মায়ের কথা না শুনে, অনেক কথা বলে গেল, "তোমাদের চিন্তা করতে হবে না। আমরা তোমাদের ঘাড়ে বসে খেতে যাচ্ছি না। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে মন না চাইলে যোগাযোগ রাখতে হবে না।"

    সন্দীপ তৎক্ষণাৎ ফোনটা কেটে দেয়। সন্দীপের মা হাঁউমাউ করে কেঁদে উঠলো। জলভরা কন্ঠে বলতে থাকে, "ছেলেকে এত কষ্ট করে মানুষ করে যদি এই প্রতিফল পেতে হয়, তাহলে এমন ছেলেকে আমি কখনো পেটে ধরতাম না।"সন্দীপের বাবা নীরব হয়ে শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে। 

    তারপর থেকে সন্দীপ তার মা বাবার খোঁজ নিতে আসে না। এক কানাকড়ি টাকাও দেয় না। করোনায় সন্দীপের বাবা ভীষন অসুস্থ হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়। তখনো সন্দীপ খবর পেয়ে ও একবারের জন্য তার বাবাকে দেখতে আসেনি। 

     হঠাৎ SSC পরীক্ষার পুরো প্যানেল বাতিল করলো কোলকাতা হাইকোর্ট। তাতে সবার সাথে সন্দীপের চাকরী চলে গেল। 

     রাতে ভীষন গরমে সন্দীপের বাবা ঘুমাতে পারেনি। তাই ভোর ভোর দর্জা খুলে রাস্তার দিকে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছে। দেখে গেটের সামনে সন্দীপ আর তার বউ। সন্দীপের কোলে সন্দীপের একটা পুঁচকে ছেলে। আর পাশে দুটো বড় বড় সুটকেস। 


তেনারা তখনও ছিলেন - তপন তরফদার || Tenara tokhono chilen - Tapan Tarapdar || গল্প || Story || shorts story || ছোট গল্প

 তেনারা তখনও ছিলেন

              তপন তরফদার



অনেকেরই মনে হতে পারে হ্যাল্যুশন পার্টি সবে শুরু হয়েছে যাকে আধুনিক সভ্যতার ফল বলে মনে করেন। বিশেষ করে ম্যাককামি ম্যানর যিনি ভয়ের বাড়ি তৈরি করে ইদানিং বিখ্যাত হয়েছেন। ওই ভয়ের বাড়ির বৈশিষ্ট্য হলো বাড়ির রন্ধে রন্ধে ভয় পাওয়নোর ব্যবস্থা করা আছে। মনে রাখতে হবে ওই বাড়িতে ঢুকতে গেলে ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিতে হবে, প্রমাণ করতে হবে যে তিনি সবদিক থেকে সুস্থ। এই বাড়িটা আমেরিকার টেনিসোতে। পৃথিবীর এখন হব থেকে ভয়ংকর ভয়ের বাড়ি বা ভুতুড়ে বাড়ি। তবে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় “তেনারা তখনও ছিলেন “।


        মানুষ ভয় পেলেও ওই পুরোনো আমল থেকেই ভুতের গল্পগুজব বলে, শোনে। মানুষ অভ্যাসের দাস এটা পুরানো কথা। এই যুগে আমরা ভাবতেই পারিনা বেশ কিছু মানুষ একজনের মুখের দিকে তাকিয়ে চোখ গোল গোল করে কান খাড়া করে ঘন্টার পর ঘন্টা শুনে যেত যা এখন বিস্ময়কর, অবিশ্বাস্য। বেশ কিছুকাল আগের কথা তখনকার দিনে গ্রামের বয়স্ক মাতব্বররা চন্ডীমন্ডপে গল্পের আসর বসাতো। সেই সময়ে আনন্দে অবসর কাটাবার সহজ সরল খরচা বিহীন মজলিস এই গল্পকথনের আসর। প্রায় সবাই ভিড় ক'রে উৎসুক হয়ে গল্প শুনতো। এই আসরে মাতব্বরি বজায় রাখতে মাতব্বররা ঘরে তৈরি বিভিন্ন পদের উপাদেয় খাবার। যেমন-চিচুয়া, ধূপি, ক্ষীর, পাকান, চাপড়া ইত্যাদি। তাল থেকে বড়া, ,তালরুটি ইত্যাদি বিতরণ করতো।


           সেদিনটা ছিল লক্ষ্মী পুজোর পরের দিন। আকাশের চাঁদ একেবারেই রুপোর থালার মতো। চাঁদের জ্যোৎস্না, চারিদিকে মায়াবী পরিবেশ তৈরি করেছে। আজকে গল্প বলতে পাশের ফুলিয়া গ্রাম থেকে একজন আসবে। সে নাকি খুব ভালো গল্প বলে সবাইকে বুঁদ করে রাখে। খবরটা গ্রামে চাওড় হয়ে যাওয়ার ফলে গ্রামে একটা হইচই পড়ে যায়। সন্ধ্যা সবে হয়েছে লোকজন আসতে শুরু করেছে। সব থেকে বড় বিস্ময়কর ব্যপার বড়দের হাত ধ'রে কয়েকজন কিশোর ছেলেরাও এসেছে। সবার বসার জায়গা করা হয়েছে। মোড়ল সাহেব নিজে তদারকি করছেন। আজকের বিশেষ অনুষ্ঠানে সবাই যাতে মোড়লের নজরে আসে মড়োলগিরি বজায় রাখতে নিজেই মুড়ির সাথে তালশাঁস খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। চন্ডীমন্ডপটা একবার ঘুরে দেখে গেলেন, সব ঠিকঠাক আছে । এই বিশেষ অনুষ্ঠানে এই গ্রামের দুজন ও গল্প বলবে। যার ফলে সবাই ধরে নিয়েছে বকলমে এটি একটি প্রতিযোগিতা হবে। যার জন্য এত আয়োজন সেই আসেনি। দর্শকদের মধ্যে একটা ফিস ফিসানি ও বেটা ভয় পেয়ে আসেনি। মোড়ল বেশ বিনীত গলায় বললেন, ফুলিয়া গ্রামের পাঁচকড়ি পায়ড়া আসলেই শুরু হবে আজকের আসর।

        অবশেষে উপস্থিত হল পাঁচকড়ি। মাথায় জটা, শনের মতো দাড়ি গোপ মেয়েদের চুলের বিনুনির মতো কায়দা করে বিনুনী করা একজন লোক। বয়স আনুমানিক কত হবে বোঝা যাচ্ছে না। লম্বাটে গড়ন। ওকে দেখেই সকলের মনে একটা অন্যরকম অনুভূতি হল। সবাই ব্যাকুল হয়ে পড়লো তাঁর মুখ থেকে গল্প শোনার জন্য। কিন্তু এখনই নয়। কারণ আজকের আসরের কেন্দ্রবিন্দু ওই পাঁচকড়ি পায়ড়া ওর গল্প আগে হয়ে গেলে আসরটা আর জমবে না। সবাই তাই এখানকার লোকেরাই প্রথমে গল্প বলতে শুরু করলো। কিছুক্ষণ পর ফিসফাস শুরু হল। তারপর কথা বলাবলি।

শ্রোতাদের গল্পমুখী করতেই পারলেন না। গল্প শেষ করার আগেই তাঁকে আসর গোটাতে হলো।


             পরের জনের জন্য মোড়ল অনেক ভালো ভালো কথা বলে এর গল্প শুনতে বলল। গ্রামের দ্বিতীয় জন শুরু করলেন গল্প। এবার মানুষ হইচই করছে না। গল্প বলিয়ে ভাবলেন মানুষ মনযোগ সহকারে শুনছে। কিন্তু না। এই গল্প আসলে ও আগেই এখানেই বলেছে। রাতও একটু হয়েছে। এক এক করে শ্রোতারা ঘুমিয়ে পড়ছিল। তাই নিস্তব্ধতা বিরাজ করছিল আসরে। মোড়ল ব্যাপার টা বুঝতে পেরে গল্প বলিয়ের হাত চেপে ধ'রে ঈশারায় বন্ধ করার ইঙ্গিত দিলেন। মোড়লের ইশারা না মানলে পড়ে বিপদে পড়তে হবে বুঝেই ও তাড়াহুড়ো ক'রে,”আমার গল্প ফুড়ালো, নটে গাছটি মুড়ালো” বলে শেষ করল।


 


মোড়ল এবার পাঁচকড়ি পয়ড়াকে সাবার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়ে বললেন, আমার গ্রামের বসবাসকারিগন, আপনারা মন দিয়ে উনার গল্প শুনে যেন আমাদের গ্রামের সুনাম বজায় রাখবেন সবাই।


           পাঁচকড়ি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের গল্পগুজব করে পাকাপোক্ত হয়ে গেছে ও বুঝে গেছে কিভাবে শুরু করতে হয়। কিভাবে কি কথা বললে লোকের আগ্রহ হবে তা রপ্ত করেছে। এখন ভয়পাওয়নার গল্প অর্থাৎ ভূত বা অশরীর গল্প সবাই শুনতে চায়।


    জটায় হাত বুলিয়ে ঝুলন্ত শনের দড়ির মতো দাড়িগুলোতে বিনুনীর মতো পাকাতে পাকাতে বলল,,' আপনারা কি জানন, আপনাদের গ্রামের আদি কথা? মোড়োল মশাই আপনি জানেন। মোড়ল ঘাবড়ে যায়। কি বললে ভালো হয় ভেবে পায়না। পাঁচকড়ি নিজেই বলে আমার দাদুর দাদুর নাম ছিল এককড়ি, তার ছেলের নাম দুকড়ি এই ভাবে কড়ি বাড়তে বাড়তে আমি পাঁচকড়ি । আমাদের প্রথম পুরুষ এককড়ি এই অঞ্চলের অনেক গ্রামের জন্মগত নাড়ি নক্ষত্র জানতেন। এই ইতিহাস আমারই বংশপরস্পরায় জানি এবং সবাইকে জানাতে চাই। সবাই মন দিয়ে শুনুন।একটা কথা, যারা ঘুমোতে চান দয়া করে বাড়িতে গিয়ে ঘুমান। যারা ভয় পান তারা এই গল্প না শুনে বাড়ি চলে যান। মোক্ষম এই কথা শুনে যারা ঢুলুঢুলু করছিল তারা চোখে একটু ভাপ দিয়ে সজাগ হয়ে বসলো। আর সকলের সামনে ভীতু কেউই হতে চায়না তাই সবাই বসেই থাকলো গল্প শোনার জন্য।


            পাঁচকড়ি গলার স্বরটা জোরালো করে বলতে শুরু করলো, -এই গ্রামে একটি মাত্র পাড়া ছিল। বাকি সব রাস্তার দু-ধারে বন জঙ্গল। দিন দুপুরে খেঁকশিয়াল, হায়না চ'রে বেড়াত। সুযোগ পেলেই গরুর বাচ্চা, ছাগল মুরগি খেয়ে ফেলত। রাত্রি বেলায় বাড়ত দৌরাত্ম্য। মা'য়ের কোল থেকে শিশুকেও ছিনিয়ে নিত। গ্রামের মাঝখানে যেখানে এখন স্কুল , ওইখানেই পাশাপাশি ছিল দুটি গাছ। একটা আশ্যওড়া আর একটা বেলগাছ। দুটো গাছই চোখে পড়ার মতো। আশেপাশে বাড়ি ঘর তেমন ছিল না। তার কিছুটা দুরে সদ্য দু-একটি চালাঘর সবে গজিয়ে উঠেছে।। চালাঘরের লোকেরা দেখেছে আশওড়া গাছে পেত্নী আর বেলগাছে ব্রম্ভদত্যি বাস করতো। পেত্নি ভাব করতে চাইলেও ব্রহ্মদৈত্য বলতো বেজাতের মেয়ের সঙ্গে কখনোই ঘর বাঁধবোনা। পেত্নি মনের দুঃখে ওই বেলগাছের ডালেই গলায় দড়ি দিয়ে আবার মরে ছিল। আশেপাশের লোকেরা লাশটি দেখেছিল।


             শ্রোতাদের গা শিউরে উঠল। কথা বন্ধ সবার। কেউ কেউ তো দরদর করে ঘামছিল। ভয় পেয়েছে কিন্তু প্রকাশ করতে পারছেনা। সবাই ভীতু বলবে হৃদ স্পন্দন বেড়ে গেছে তাও কেওই নড়াচড়া করছেনা। 

      

         পাঁচকড়ি বুঝে গেল তার কথা লোকে গিলছে এবার ফিসফিস স্বরে ভৌতিক গলায় বলতে লাগলো একটা ঘটনা বলি যেটা আপনারা মনে রাখবেন। 

Mitra, Where are you? - Bhaskar Sinha || English Story || English short story

 Mitra, Where are you?

        Bhaskar Sinha



I never thought I'd fall in love again. Most say that after a heartbreak, but I wasn't heartbroken, cynical, or even sad. I was simply someone who had once felt a love so profound that when I lost it, I believed it was irreplaceable. But life is long, and now, at 22, I feel stirrings of something deep and unfamiliar.


I've always been level-headed, nearly acing my courses, presentable in appearance, serious about my life and career. My friends joked about puppy love, but how could I ignore her charm? Her grace, her cheer, the lively conversations held through her expressive eyes captivated me since childhood. Her presence was fluid, her aura luminous—she was my dream girl, my goddess, the star that lit up my youthful sky. The twinkle in her eyes mesmerized me; her smile left me speechless, hypnotized as if by a magician’s spell.


Reflecting on it all, it seemed as though a higher power had effortlessly assembled the pieces of our story. With my eyes closed, memories would play: there I was, on a balcony in the summer air, drawn irresistibly to her.


Our college days felt predestined—after classes, we were pulled together as if by a magnetic coil activated. Our relationship was more than platonic; it was a mingling of mind and body, pure and profound. She adored my poetry and songs, and I, her eloquent speeches. Hours would pass as I absorbed her words, each one a pearl. She was also an exceptional painter, and I, her willing muse, began my photography using her as my model.


Life in her parents’ outbuilding stood still; only love seemed permanent, all else secondary. She was madly in love with me. On a stormy day, a dry leaf blew into the bedroom before the windows shut. She picked it up and wrote that the impending rain beckoned us to the forest. There, amid Lord Shiva and Goddess Parvati adorned with forest flowers, the fragrance of wet earth and the slick forest floor beneath us, we were wild, the world around us fading away. All that existed were we, like Adam and Eve, seeking unity. I whispered,


"For God’s sake, hold your tongue, and let me love…"


Then came that eventful night, her cousin unexpectedly staying in the boys’ hostel guest room, igniting a night of turmoil—fire and butter, as my mother would say. The aftermath saw me in a fervent rush to explain, to make sense of the chaos. But despite efforts to sever ties, love found a way back, and all past messages, those fragmented letters and poems, drifted away on the low tides of Kalisayar Lake.


The day I proposed wasn't poetic but raw and real, by a canal as the waters rushed to the sea. Her response was cautious, yet her determination to seek her mother’s counsel echoed my own resolve to not let her go unanswered. I'll never forget our first meaningful, passionate kiss—it was breathtaking.


Yet, running a family required more than passion; compromise was key. As expectations mounted, so did our egos, clashing until I saw my teary-eyed mother and knew something had to give. Then, as Tito arrived and we adopted Riya, the impacts of our struggles on young minds became apparent. Eventually, the realization dawned that we couldn't continue under one roof.


Enter Mitra, like a gentle rain after a harsh summer. Her presence revived my spirit; I began singing again, my life filled with music, drama, and performances. She whispered,


"See you make your way through the crowd and say hello... Little did I know that you are Romeo."


Love, I've learned, isn't planned. It's destiny, perhaps. Mitra had her past struggles—Anrytyo, a constant torment in her life. Yet, when he learned of us, his malice peaked. I encouraged her to break free, and together, we began anew. She not only reignited my creative passions but helped stitch together a sweet home from what remained.


Divorce, however, is messy, especially in India. The courts, the media—it's overwhelming. Yet, through mutual understanding and endless legal meetings, we finalized it. I returned, elated, ready for our future.


But when I arrived, no one was home. Raka, Jan, Mitra—all were gone, unreachable. No trace of them remains, and I am still searching... W

here are you, Mitra?



রাজ্যে নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ || WB ICDS Supervisor Recruitment 2024 || সুপারভাইজার ও হেলপার নতুন নিয়োগ






রাজ্যে নতুন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ || WB ICDS Supervisor Recruitment 2024 || সুপারভাইজার ও হেলপার নতুন নিয়োগ 


রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাজ্যে আবার বিপুল সংখ্যক icds তথা অঙ্গনওয়াড়ি পদে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। সুপারভাইজার ও হেলপার পদে কর্মী নিয়োগ হবে। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব এছাড়া সরকারি ভাবে নতুন কি কি সুযোগ দেওয়া হবে‌ তা নীচে আলোচনা করা হল।




পদের নাম : ১) অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার ২) অঙ্গনওয়াড়ি হেল্পার



মোট শূন্যপদ – মোট ১৩ হাজার শূন্য পদ রয়েছে । যা নিয়োগ করা হবে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে ।


বয়স সীমা : এই পদে আবেদন কারী প্রার্থীদের অবশ্যই ১৮ থেকে ৪২ বছরের বয়সের মধ্যে হতে হবে। এছাড়াও SC,ST,OBC,PWD প্রার্থীরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছাড় পাবেন। 


যোগ্যতা : হেলপার পদের জন্য ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে থাকলেই আবেদন করার সুযোগ পাবেন । সুপারভাইজার পদের জন্য স্বীকৃত কলেজ প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে।



বেতনক্রম : এখানে বিভিন্ন পদের জন্য বিভিন্ন বেতন রয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেতনক্রম রয়েছে। 



আবেদন পদ্ধতি : ১) এখানে আবেদন করতে হলে সর্বপ্রথম চাকরি প্রার্থীদের সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। শুধুমাত্র অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ গিয়ে সর্বপ্রথম প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করে নিতে হবে। তারপর আবেদন করতে হবে।



নিয়োগ প্রক্রিয়া : প্রথমে হবে লিখিত পরীক্ষা। চাকরির প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন করে সরাসরি ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হবে। এর পর মেরিট লিস্ট বের করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।




বিঃ দ্রঃ - এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি খুব শীঘ্রই সরকারি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ প্রকাশিত হবে।



অফিসিয়াল ওয়েবসাইট -


Click here 🔴

Sunday, June 30, 2024

রাজ্যের নতুন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ 2824 || Data Entry Operator Recruitment 2024 || WB Data entry Operator Recruitment 2024 || Data entry Operator Recruitment || Data entry Jobs 2024

 



রাজ্যের নতুন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ 2824 || Data Entry Operator Recruitment 2024 || WB Data entry Operator Recruitment 2024 || Data entry Operator Recruitment 


রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাজ্যে আবার বিপুল সংখ্যক পোস্ট অফিসে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। মাধ্যমিক পাস যোগ্যতায় পোস্ট অফিসে গ্রুপ সি পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব এছাড়া সরকারি ভাবে নতুন কি কি সুযোগ দেওয়া হবে‌ তা নীচে আলোচনা করা হল।




নিয়োগকারী সংস্থা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অধীনস্থ জেলা লেভেলে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এর অধীনে এই নিয়োগটি হবে।


পদ – ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (DEO)


শিক্ষাগত যোগ্যতা: যে কোনো স্বীকৃত স্কুল বোর্ড কিংবা সংস্থা থেকে ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক পাশ,তবে এটি বিজ্ঞান শাখার ওপর।


সঙ্গে থাকতে হবে কম্পিউটার কাজের দক্ষতা এবং টাইপিং এর দক্ষতা ।



প্রার্থীর বয়সসীমা: আবেদনকারীর বয়স হতে হবে 18-28 বছরের মধ্যে।



মাসিক বেতন: এই পদে চাকরি প্রার্থীর শুরুতে মাসিক বেতন 18,000/- টাকা ।


নিয়োগ প্রক্রিয়া: লিখিত পরীক্ষা কিংবা টাইপ টেস্ট, একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন, এক্সপেরিয়েন্স এবং ইন্টারভিউ ইত্যাদির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করা হবে।


আবেদন পদ্ধতি: শুধুমাত্র অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নীচে সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়া হল।


1. নীচে দেওয়া নোটিফিকেশন লিংক থেকে নিয়োগের আবেদনপত্র অর্থাৎ অ্যাপ্লিকেশন ফরম্যাট সংগ্রহ করুন। ওখানে আরো ও বিস্তৃত আলোচনা করা আছে।


2. নিজের সম্পূর্ণ ডিটেইলস তথা নাম, জন্মতারিখ, অভিভাবকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল, , বয়স, জেন্ডার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য দিয়ে সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ করুন।


3. পাসপোর্ট সাইজের একটি রঙিন ফটো যোগ করুন এবং ফর্মের নিচে ডানদিকে নিজের সিগনেচার করবেন।


4. ফর্মের সাথে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এর জেরক্স এবং সেই ডকুমেন্টস গুলোতে অবশ্যই সেল্ফ আটেস্টেট করে দেবে।


5. আবেদন পত্র সহ এই ডকুমেন্টস গুলো একসাথে যুক্ত করে একটি খামের ভেতর ভরে তা নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হবে পোস্ট অফিস বা কুরিয়ার করে। আপনি নিজে গিয়েও জমা করে আসতে পারেন।



আবেদনের সময়সীমা: প্রতিটা চাকরি প্রার্থী আগামী 05/07/2024 তারিখের পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পারবেন। অর্থাৎ ঐ নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে আপনার আবেদন পত্র নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছাতে হবে। তাই বন্ধুরা দেরি না করে আজই আবেদন করে ফেলুন।



ইন্টারভিউ তারিখ : আগামী 10/07/2024 তারিখে অর্থাৎ আগামী জুন মাসের 10 তারিখে বুধবার বেলা 11 টাই ইন্টারভিউ শুরু হবে। তাই বন্ধুরা সবাই প্রস্তুত হয়ে নাও। খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়োগ টি সম্পন্ন হবে।



নোটিফিকেশন লিংক -

Download notification



Official website -


Click here 🔴


Friday, June 28, 2024

পোস্ট অফিসে মাধ্যমিক পাশে নতুন কর্মী নিয়োগ || Post Office Recruitment 2024 || Post Office Group C Recruitment 2024 ||। Gds Requirements 2024 || গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগ ২০২৪


 


পোস্ট অফিসে মাধ্যমিক পাশে নতুন কর্মী নিয়োগ || Post Office Recruitment 2024 || Post Office Group C Recruitment 2024 



রাজ্যের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। এতদিন কেন্দ্রীয় ও রাজ্যে চাকরি নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। রাজ্যে আবার বিপুল সংখ্যক পোস্ট অফিসে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। মাধ্যমিক পাস যোগ্যতায় পোস্ট অফিসে গ্রুপ সি পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব এছাড়া সরকারি ভাবে নতুন কি কি সুযোগ দেওয়া হবে‌ তা নীচে আলোচনা করা হল।


পদের নাম : নতুন স্টাফ এবং গাড়ি চালক তথা ড্রাইভার (অর্ডিনারি গ্রেড) সহ বিভিন্ন পদে কর্মী নেওয়া হবে। 



বয়স সীমা : আগ্রহী আবেদন কারীর বয়স হবে সর্বোচ্চ ৫৬ বছরের মধ্যে । তবেই এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।



বেতন : বিভিন্ন পদে বিভিন্ন রকম বেতন উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পোস্ট অফিসে সরকারি সুযোগ-সুবিধা মত প্রতি মাসে বেতন প্রদান করা হবে। 



শিক্ষাগত যোগ্যতা : ন্যূনতম মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতা থাকলেই ড্রাইভার পদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন তবে এর পাশাপাশি প্রার্থীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে এবং তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।


আবেদন পদ্ধতি : সম্পূর্ণ অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নীচে দেওয়া নোটিফিকেশন লিংক থেকে সর্বপ্রথম বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড করে নেবেন । ঐ বিজ্ঞপ্তি নিচে আবেদন পত্রটি রয়েছে। আবেদন পত্রটি সঠিকভাবে ফিলাপ করে তার সঙ্গে যাবতীয় ডকুমেন্টস কে যুক্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে নির্দিষ্ট ঠিকানায় মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে।


আবেদনের শেষ তারিখ – আগামী ৩১ শে জুলাই ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ।


বিঃ দ্রঃ - নিয়োগ পদ্ধতি ও অন্যান্য বিবরণ নোটিশে পেয়ে যাবেন।



নোটিফিকেশন লিংক - 


Download Notification