ভুত নাকি অদ্ভূত - রিকু দাস || Vut naki Odvut - Riku Das || Short Story || ছোটগল্প

 ভুত নাকি অদ্ভূত

           রিকু দাস


কে ..... কে ওখানে ? কি হলো উওর দিন কে ওখানে? এই বলে সুজিত এগিয়ে যেতে থাকে সামনের আলো আঁধারি তে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়া মুর্তি টার দিকে। সুজিত উপলব্ধি করে সে যতোই এগিয়ে যাচ্ছে ছায়া মুর্তি টিও ততোধিক পিছিয়ে যাচ্ছে একটা সময় সুজিত যখন এসে পৌঁছায় এই সেকেন্ড ফ্লোরের এক দম শেষে তখন সে দেখে কোথায় কেউ তো কোথাও নেই। তবে... তবে কি সে ভুল দেখছিলো? কিন্তু সেটাই বা কি ভাবে সম্ভব এক পলকের জন্য হলেও মেনে নেওয়া যেত কিন্তু। এই সকল নানান চিন্তা করতে করতে সুজিত রুমে যাওয়ার জন্য যখনি পিছনে ঘুরেছে ওমনি একটা অস্ফুট স্বরে চিতকার করে মাটির উপর উল্টো পড়ে যায়।। সুজিত সদ্য কলেজে উঠা এক তরুণ যুবক বয়স সবে কুড়ি , সুঠাম চেহারা, গায়ের রং ফর্সা, তবে ওর সবথেকে আকর্ষণীয় অঙ্গ টি হলো ওর চোখের মণি দুটি হালকা নীলচে রঙ্গের মণী বিশিষ্ট মায়াবী চোখের অধিকারি সে । সুজিত এর বাড়ি  পুরুলিয়ার উঁদা তে সেখানে ভালো কোনো কলেজ না থাকার কারণে সুজিত এর বাড়ির লোকেরা ওকে ভর্তি করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখানের হস্টেলেই তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। আজ সুজিত এই হস্টেলে এসে উঠেছে প্রায় তিন দিন আগে, সুজিত এর রুমটা সেকেন্ড ফ্লোরে এই কয় দিনে সুজিত একটা বিষয় লক্ষ্য করেছে তার রুমের ঠিক দুটো রুম পরে একটা রুম বাইরে থেকে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছে , মনে বেশ একটা কৌতুহল এর সৃষ্টি হয় তার কিন্ত হস্টেলে নতুন হওয়ার কারণে এখনো তেমন ভাবে কারো সাথে বন্ধুত্ব করে উঠতে পারেনি সে তাই তার এই কৌতূহল টা ছাই চাপা আগুন এর মতোই চাপা পড়ে গেছে , তার রুমে সে ছাড়া আরো তিন জন আছে ঠিকই কিন্তু তারা তেমন ভাবে সুজিত কে পাত্তা দেয় না একে তো নতুন ছেলে তার উপর আবার জুনিয়র তাই , আর সুজিত ও ওদের সাথে খুব একটা মেশার চেষ্টা করে না কারন ওরা তিন জনেই বিহারী আর সুজিত হিন্দিতে কথা বলতে পারে না খুব একটা তাই সে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলে। দিনটা ছিলো রবিবার সারাদিন কলেজে কাটিয়ে সন্ধ্যায় হোস্টেলে ফিরে সামান্য কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিচের তলায় যায় আড্ডা দিতে। সুজিত আজ এই হস্টেলে আছে প্রায় পাঁচ দিন নিচের তলার রুমের দুই এক জন এর সাথে বন্ধুত্ব ও হয়েছে ইতিমধ্যে এক জনের নাম রবিন ও অপর জনের নাম ইন্দ্র তো আড্ডা শুরু হলো এই দিক ওই দিকের কথা দিয়ে তার পর আস্তে আস্তে প্রেম , ভালোবাসা , সবশেষে ভুত প্রেত তো রবিন বললো:- আরে কি বলবো তোদের আমাদের গ্ৰামে এক জন মহিলা কে ভুতে ধরে ছিলো তা সে কি বলবো তোদের মহিলা টা উল্টো দিকে হেঁটে একটা সোজা নারকেল গাছের উপরে উঠে গেলো আমার তো সে দৃশ্য দেখেই মাথা খারাপ । এই কথা শুনে ইন্দ্র বললো:- তোর তো এই টুকু দেখেই অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল আমার সাথে যা ঘটে ছিলো তা যদি তোর সাথে ঘটতো তা হলে তো তুই পেন্টে হিসু করে দিতিস। সোন তবে বলি আমাদের গ্ৰামে রাখাল মাঠ বলে একটা যাইগা আছে, তো একদিন অমবস্যার রাতে আমি  মাঠে গিয়েছিলাম আলু পাহাড়া দিতে আমাদের জমিটা হচ্ছে ওই রাখাল মাঠের একদম পাশেই। তখন প্রায় রাত বারোটা বাজে চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার পুরো জমি টা ভালো করে ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরতে যাবো ঠিক এমন সময় আমি দেখলাম আমার থেকে বেশ কিছুটা দূরে কেউ যেনো দাঁড়িয়ে আছে, কতক্ষন অন্ধকারে থাকার কারণে আমার চোখ সয়ে গিয়েছিল তাই একটু ভালো করে তাকাতেই যা দেখলাম তা দেখে তো আমার মাথায় চুল দাঁড়িয়ে গেলো, আমি দেখলাম আমার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে একটা গলাকাটা ভুত সে আমার দিকেই এগিয়ে আসছে আমি তো ভয়ের চোটে দিলাম এক ছুট বাড়িতে এসে দাদুকে যখন সব কিছু বললাম তখন দাদু বললো ওই খানে নাকি একটা গলা কাটা ভুত আছে সে নাকি যাকেই কাছে পায় তার গলা কেটে দেয় তার পর থেকে আমি আর কোনো দিন মাঠে যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ এই আসারে গল্পের পর তিন জন কেন্টিনে গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে আবারো রুমে এসে বসলো । ইন্দ্র বললো:- আচ্ছা সুজিত আজ তো তুই তোর রুমে একা তাই না ? সুজিত বললো:- হ্যাঁ.. ওই ওদের কি যেনো একটা পূজো আজ তাই ওরা তিন জনেই বাড়ি গিয়েছে । রবিন বললো:- তা হলে তুই বরং এক কাজ কর আজ কের রাতটা না হয় আমাদের কাছেই ঘুমিয়ে পর । সুজিত বললো:- আরে না না ওই সবের কোনো প্রয়োজন নেই একটা রাতেরিতো ব্যপার ও ঠিক পেরিয়ে যাবে আচ্ছা তোরা থাক আমি গেলাম কাল আবার সকালে কলেজে যেতে হবে‌ । এই বলে সুজিত নিজের রুমে চলে আসে আসার সময় অবশ্য ইন্দ্র বলেছে কোনো অসুবিধা হলে তাকে ডাকতে ইন্দ্র দের রুমটা নিচের তলায় আর সুজিত এর রুম দোতলায় । রুমে এসে যখন সুজিত বিছানায় শুলো তখন প্রায় সাড়ে দশটা সারাদিন এর ক্লান্তির পর বিছানায় শুয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে মোজ করে টানতে থাকে সুজিত তার পর সিগারেট শেষ করে ঘুমিয়ে পরে । হঠাৎ একটা ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগতেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো সুজিত এর শীত গিয়ে বসন্ত আসেছে ঠিকই কিন্তু এখনো একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব রয়েছে তাই রুমে থাকা সিলিং ফ্যান টা এখন বন্ধয় থাকে কিন্তু এই ঠান্ডা হাওয়া আসছে কোথা থেকে এই ভেবে চোখটা খুলতেই আতংকে ওঠে সুজিত তার বেড টা একদম  দরজার সামনেই সে ঘুম ঘুম চোখে দেখে রুমের দরজা টা হাট করে খোলা আর দরজার ঠিক সামনেই দাঁড়িয়ে আছে একটা মেয়ে মেয়েটির পড়নে একটা সালোয়ার কামিজ ও গলায় একটা উর্না পেঁচানো অবস্থায় রয়েছে কিন্তু এই এতো রাতে বয়েজ হোস্টেলে মেয়ে এলো কোথা থেকে বিছানা থেকে ধরমর করে উঠে হাতের উলটো পিঠ দিয়ে চোখ কচলে আবার সে দিকে তাকাতেই সুজিত আবারো অবাক হলো কোথায় মেয়ে কেউ কোথাও নেই হয়তো মোনের ভুল এই ভেবে সে দরজা টা বন্ধ করে আবারো এসে শুয়ে পড়লো বিছানায় বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো একটা ঠান্ডা বাতাসে সুজিত এর ঘুম ভেংগে গেলো এক রাস বিরক্তির সাথে সুজিত চোখ খুলতেই সে দেখলো সামনের দরজা টা খোলা আর ঠিক আগের বারের মতোই সেখানে দাঁড়িয়ে আছে ওই মেয়েটি সুজিতের ঘুম এক নিমেষেই উড়ে গেলো চোখ কচলে আবার তাকিয়ে দেখলো না এবারে  আর সেই মেয়েটি অদৃশ্য হয়ে যায়নি সে এখনো দাঁড়িয়ে আছে দরজাটার সামনেই। এবার সেই মেয়েটি আস্তে আস্তে দরজার সামনে থেকে সরে গেলো , সুজিত এর মনে এবার একটা কৌতুহল ভড় করলো গুটিগুটি পায়ে বিছানা থেকে নেমে ও দরজার দিকে এগিয়ে গেলো দরজার বাইরে মুখ বাড়াতেই সুজিত দেখলো মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে ওই বন্ধ রুম টির সামনে সুজিত ঘর থেকে বেরিয়ে সেই দিকেই এগিয়ে যেতে যেতে প্রশ্ন করলো:- কে ..... কে ওখানে ? কি হলো উওর দিন কে ওখানে? এই বলে সুজিত এগিয়ে যেতে থাকে সামনের আলো আঁধারি তে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে। সুজিত উপলব্ধি করে সে যতোই এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েটি ততোধিক পিছিয়ে যাচ্ছে একটা সময় সুজিত যখন এসে পৌঁছায় এই সেকেন্ড ফ্লোরের এক দম শেষে তখন সে দেখে কোথায় কেউ তো কোথাও নেই। তবে... তবে কি সে ভুল দেখছিলো? কিন্তু সেটাই বা কি ভাবে সম্ভব এক পলকের জন্য হলেও মেনে নেওয়া যেত কিন্তু। এই সকল নানান চিন্তা করতে করতে সুজিত রুমে যাওয়ার জন্য যখনি পিছনে ঘুরেছে ওমনি একটা অস্ফুট স্বরে চিতকার করে মাটির উপর উল্টে পড়ে যায় সে। সুজিত দেখে সেই মেয়েটি এখন দাঁড়িয়ে আছে ঠিক তার রুমের দরজার সামনে কিন্তু এই মাত্র তো সুজিত ওকে এখানে দেখেছে তা হলে ওই মেয়েটা ওখানে কিভাবে গেলো সুজিত ছুটে যায় তার রুমের দিকে। রুমের দরজার কাছে এসে সুজিত দেখে কোথায় সেই মেয়ে কেউ নেই পিছনে ঘুরে তাকায় কিন্তু না পিছনেও কেউ নেই সুজিত মনে মনে ভাবে:- গেলো কোথায় মেয়েটা? এই মাত্র তো এখানেই ছিলো? হঠাৎ একতলার সিঁড়ি তে ভাড়ি পায়ের শব্দ তার কানে ভেসে আসে কেউ যেনো খুব শব্দ করে সিঁড়ি দিয়ে বার বার উঠছে আর নামছে উঠছে আর নামছে সুজিত এক ছুটে সিঁড়ির কাছে যায় কিন্তু না কোথায় কিছুই তো নেই ঠিক এমন সময় আবারো সেই সিঁড়ি বেয়ে উঠার শব্দ ভেসে আসে তার কানে কিন্তু এবার সেই শব্দ আসছে দোতলার ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি থেকে  সুজিত ছুটে যায় সেখানে কিন্তু না এবারেও সেই একই কেউ যেনো তার সাথে খেলছে সুজিত এবার রুমের দিকে ফিরে আসতে যায় ঠিক এমন সময় ছাদে কারো হেঁটে চলে বেরানোর শব্দ আশে তার কানে সে ছুটে যায় ছাদে। ছাদে গিয়ে সে প্রথমে কাওকে দেখতে পায় না হঠাৎ সে দেখতে পায় মেয়েটি গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে ছাদের একটি কোনার দিকে ছাদে কোনো গাড বা পাঁচিল নেই সুজিত মেয়েটির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বললো:- দাঁড়ান.... দাঁড়ান ওদিকে যাবেন না ..... হয়তো সুজিত এর কথা শুনে মেয়েটি দাঁড়ালো কিন্তু মেয়েটি এখন দাঁড়িয়ে আছে ছাদের এক দম শেষে আর এক পাও বাড়ালে সে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাবে মেয়েটি এবার মাথা ঘুরিয়ে সুজিত এর দিকে এক নজর তাঁকালো সুজিত আবারো বললো:- আর এগুবেন না আপনি পড়ে যাবেন। এই বলে সুজিত যখন মেয়েটির একদম  কাছাকাছি চলে এসেছে আর মাত্র কয়েক হাতের দূরত্ব ঠিক এমন সময় মেয়েটি ছাদ থেকে ঝাপিয়ে পড়ল সুজিত একটা অস্ফুট চিতকার করে ছুটে গেলো ছাদের কোনায় গিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলো কিন্তু কিছুই দেখতে পেলো না , কি হচ্ছে এ সব কেনোই বা হচ্ছে আর কে করছে এমনটা তার সাথে এই সব ভাবতে ভাবতে সে রুমের দিকে আস্তে থাকে । রুমে প্রবেশ করেই সে চমকে যায় এ কি এটা তো তার রুম না এটা তো দেখে মনে হচ্ছে কোনো মেয়ের রুম চারিদিকে কেবল মাত্র মেয়েদের ব্যবহারর্য জিনিস পত্রে ঠাসা ঠিক এমন সময় কারেন্ট চলে যায় পুরো রুম অন্ধকারে ভড়ে উঠে এবার সুজিত এর মনে একটু ভয় এর সঞ্চার হয় সে অন্ধকারে হাতরাতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো কারেন্ট আসে রুমের আলো জ্বলে উঠতেই সুজিত একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে যখন সে সামনের দিকে তাকায় তখনি ভয়ে আতঙ্কে চিতকার করে পিছনে ছিটকে পড়ে যায় এ সে কি দেখছে ওই মেয়েটা গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে সিলিং এর সাথে সুজিত এই দৃশ্য দেখে ভয়ের কারনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঠিক এমন সময় আবারো রুমের লাইট অফ হয়ে যায় সুজিত এর চোখে নেমে আসে একরাশ অন্ধকার , অন্ধকারে চোখ সয়ে যেতেই সুজিত আবারো চমকে উঠে এ সে কোথায় এসে পড়েছে চারিদিকে আম গাছ এটাতো হোস্টেলের পিছনের জঙ্গল টা কিন্তু সে এখানে কি ভাবে এলো এই সবই ভাবছে সে হঠাৎ পিছনের দিক থেকে একটা কাঠ ফাটার শব্দ সে শুনতে পাই সে দিকে তাকাতেই সে দেখে একটি চিতা দাউ দাউ করে জ্বলছে আর তার ঠিক উপরে আগুনের লেলিহান শিখায় ঠিক মাঝখানে দাড়িয়ে আছে সেই মেয়েটি ।বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা বিশ্রী কটু গন্ধ মেয়েটির শরীর পুড়ে যাচ্ছে আগুন এর লেলিহান শিখায় আস্তে আস্তে চামড়া মাংস পুড়ছে  এবং সেই মেয়েটি তার দুই হাত বাড়িয়ে যেনো তাকে ডাকছে। এই বিভত্স দৃশ্য আর সহ্য করতে না পেরে ঞ্জান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুজিত কতক্ষন অচেতন ছিলো জানিনা যখন ঞ্জান ফিরলো তখন সুজিত দেখলো ও সুয়ে আছে ওর বিছানাতে সামনের দরজা টা হাট করে খোলা সামনের দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখলো প্রায় তিনটে বাজে সুজিত আর কালবিলম্ব না করে ছুটে যায় নিচের তলায় ইন্দ্রর রুমে রুমের দরজায় জোরে জোরে শব্দ করতে থাকে সে। দরজা ধাক্কানোর শব্দে ঘুম ভেংগে যায় ইন্দ্র ও রবিনের ঘুম ঘুম চোখে দরজা টা খুলে দিতেই হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢোকে সুজিত । সুজিত রিতিমত হাঁপাচ্ছে ওর এই অবস্থা দেখে ইন্দ্র চিন্তিত কন্ঠে প্রশ্ন করে :- কি হয়েছে সুজিত? তুই এমন হাপাচ্ছিস কেনো ? সুজিত এর গলা শুকিয়ে যাবার ফলে ও কিচ্ছু বলতে পারছে না অতিকষ্টে সে বলে:- জল....... একটু জল রবিন তারাতারি তার জলের বোতল টা  এনে সুজিত এর হাতে দেয়। নিমেষেই বোতল এর সব জল টুকু শেষ করে খালি বোতল টা রবিন কে ফিরিয়ে দিয়ে সুজিত একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে তার পর এতক্ষণ জাবত তার সাথে ঘটে চলা সমস্ত ঘটনা তাদের খুলে বলে কিন্তু ইন্দ্র আর রবিন এর তা বিশ্বাস হয় না তা সুজিত বেশ ভালোই বুঝতে পারে । ইন্দ্র ও রবিন মনে মনে ভাবে হয়তো ভুতের স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েছে তাই তারা সুজিত কে তাদের কাছেই থাকতে বলে । পরের দিন সুজিত ইন্দ্র ও রবিন গিয়ে সিকিউরিটির কাছে সবটা খুলে বললে সিকিউরিটির হরি দা সুজিত কে একটা গালাগালি করে বললো:- সালা এমনি তে তো রাত বারোটা পর্যন্ত এর তার রুমে গিয়ে আড্ডা মারতে পারো আর রাতে কাওকে ডেকে নিতে পারো না একা শোয়ার ওতো শখ কিসের? ইন্দ্র বললো:- কিন্তু ওই মেয়ে...? ইন্দ্র কে থামিয়ে দিয়ে হরি দা বললো:- তোমাদের বলছি আর কাওকে বলবে না ওই যে রুম টা আছে না  ২০৪ ওখানে একটা মেয়ে  উর্না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সুইসাইড করে ছিলো তার বাড়ির লোক তাকে বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে এই বিল্ডিং এর পিছনের আম বাগানে তার অন্তিম সংস্কার করে ছিলো তার পর থেকে অনেকেই ওকে দেখেছে। ইন্দ্র প্রশ্ন করলো:- কিন্তু বয়েজ হস্টেলে মেয়ে কোথা থেকে এলো? হরি দা বললো:- আরে এটা আগে লেডিস হস্টেল ছিলো পরে বয়েজ হোস্টেল হয়েছে। তার পর আমরা রুমে চলে আসি আমার কিছু গোছ গাছ বাকি ছিলো। সকালেই সুজিত তার বাড়িতে টেলিফোন করে জানিয়ে দিয়েছে সে এখানে থাকবে না তার বাড়ির লোক সমস্ত বিষয় টা শুনে তাকে বাড়ি ফিরে আসতে বলে , সব কিছু গোছগাছ করে সুজিত যখন হোস্টেলের মেন গেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এমন সময় কি বেশ মনে করে সে একবার পিছনে ঘুরে তাকালো আর তাকাতেই সে প্রকাশ্ দিবালোকে দেখতে পেলো ছাদের ঠিক এই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে সেই মেয়েটি সেই একই পোশাক তার পড়নে এবং সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তারই দিকে।

Comments

Popular posts from this blog

শারদীয়া সংখ্যা ১৪৩০ || সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র || World Sahitya Adda Sarod sonkha 1430

TATA Steel Job Recruitment 2024 || টাটা স্টিল কোম্পানিতে নতুন করে 6000 শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ || TATA company job

মাধ্যমিক পাশেই ভালো মাইনের চাকরি,জলের ট্যাঙ্কি দেখাশোনার স্থায়ী কাজ || Jal Jeevan Mission Registration 2024