Monday, November 29, 2021

কবি আবদুস সালাম -এর একটি কবিতা

 কৌশল বিষয়ক



সভ্যতার রকেটে চড়ে বিষ্ফোরণের কবিতা লিখি

ছন্নছাড়া শব্দগুলো অনাথ হলে আনকোরা ইতিহাস শিখি


দীর্ঘ পথের অনুভূতি ছুঁয়ে যায় হৃদয় কথা

বিবেকের ক্ষয়িষ্ঞু সূর্য ছায়া ফেললে মরমী বাতাসে বাজে তা


সভ্যতার পঙ্কিল অভিমান ডিগবাজি খায় অনাদরে

বিষাক্ত রক্ত কনিকা জাগে,ব্যস্তানুপাতিক ইতিহাসের গহবরে


ইতিহাসের ঐতিহ্য পাল্টে যায় দহনের বেড়াজালে

জন্ম দাগ ধূসর হয় প্রয়োগশালার কূটচালে

রক্তে মিশে অবিশ্বাস, লাজুক নগর আজ ভাঙনের কবলে

মোহময় অন্ধকার তাকিয়ে আছে , জাতিতত্বের বেড়াজালে।

কবি জয়িতা চট্টোপাধ্যায় -এর একটি কবিতা

 নদীহীন



যে শহরে এনেছ ফেলে সেই শহরে কোনো নদী নেই

প্রতিদিন হা হা শব্দে নদী খুঁজেছি

তবুও লিখিনি কোনও নৌকার কবিতা

ভিজতে চেয়েছি প্রতিবর্ষায় থৈ থৈ হাঁটু জলে

ভাসিয়েছি আমার কাগজের নৌকা

দমকা বাতাস এলোমেলো করে দেয় আমায়

উল্টোনো নৌকাকে সোজা করে ঠেলে দিই

নদীহীন শহরের খাঁ খাঁ বুক

ওকেই আমি আপন করে নিই।

কবি মিঠুন রায় -এর একটি কবিতা

 রোজনামচা 



কথাটা হয়তো অনেক আগেই বলার প্রয়োজন ছিল

কিন্তু বলতে পারিনি।

যদিবা নিজের স্বার্থে আঘাত আসে,তার জন‍্য

তবে কি আমিও ঘৃণ‍্য পশুর মতো হয়ে গেছি

না,ভেতরের মানুষটা এখনো যে জেগে আছে।

তাইতো এখনো রাত জেগে লিখে রাখি দৈনন্দিনের রোজনামচা 

ভোরবেলায় বাউলের একতারার সুরে গেয়ে উঠি মানবতার গান।

কবি মিলি দাস -এর একটি কবিতা

 পরাজয় সুখ



সান্ধ্য সরণির আলোটা জ্বলেছে

সরোদ ঘুমিয়ে আজও,

এ কোন ব্যথা বাজে বুকে তার?

চেতনার রঙে ঢাকে লাজও।


ক্লান্ত প্রিয় মুখ ইশারায়

গোপনে সংযত দৃষ্টি

হাজারো যুদ্ধ চলেছে

তবুও কেন অনাসৃষ্টি?


বোঝেনি আকাশের মুখ ভার

দিয়েছে যা ছিল শরীরে

কিসের মালা আজও গাঁথছো?

জ্যোৎস্না চলে গেছে বহুদূরে।


ভেবেছ ভাঙবে অনুভূতি

অক্ষর মিশে যাবে স্রোতে

এখনো অভিমান হয় প্রিয়

দুঃখ টা যায়নি তো মোটে।


পুড়তে নেই কোন বিশ্বাসে

রাখতে নেই মনে আশা

গোলাপ ফুঁটেছে মরুভূমিতে

বিবেকশূন্য খেলা পাশা।


এখনও লোভ জাগে দুচোখে

আগুনে চমকে ওঠে বুক

নেশার ঝাপসা এ দুনিয়ায়

এ কোন পরাজয় সুখ।

কবি সুমিত্রা পাল -এর একটি কবিতা

 মৃত্যুর হাতছানি




মৃত্যু, তুমি হাতছানি দাও কেন বারবার ?

আগেও ডেকেছো কত, তাও মানিনি হার।

যতই ডাকো হারবে তুমি, করব বাঁচার লড়াই,

থাকবেই ঘাত প্রতিঘাত, তাকে না ডরাই।

চলার পথ তো কঠিন হবেই ,পাই না ভয়,

সব বাধা সরে গিয়ে একদিন হবেই জয়।

মৃত্যু তুমি কেন বারবার কড়া নাড়ো দ্বারে?

তোমার বিষাক্ত নিঃশ্বাস কেন পিঠে ঘাড়ে?

যাও যাও যাও তুমি, যাও যাও ফিরে।

কেন তুমি জাল বিছাও আমাকে ঘিরে?

কারণে-অকারণে ছল করে ,আসো ঘুম ঘোরে,

দরজায় দিয়েছি খিল, এসোনা আমার ঘরে।

হারবো না তোমার কাছে ,আছে মান হুঁস,

আমি নই মেরুদণ্ডহীন ভীরু কাপুরুষ।

হারিয়ে যাক যতই ,ঠোঁটের কোণে হাঁসি,

তবুও তোমার লোভের থাবায় ঝুলবনা ফাঁসি।

সুখ-দুঃখ দুই ভাই ,থাকে তারা কাছাকাছি,

দুঃখ যদি থাকে, সুখও আসবে পাশাপাশি।

কবি সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক -এর একটি কবিতা

 একুশ শতকের শিশুটি




বাঁধন ভেঙে আসছে ভোর

আলোক-শিশু বাড়ছে গর্ভে

ভ্রূণের বুকে না মেরে লাথি

বরং এসো খুশীতে মাতি।




শুকনো মুখে কাটুক দুদিন

অথবা ঝাঁপাক অনটন

নাচার বসে থাকাই ভালো

যেহেতু দুহাত অনেক কালো।

সব কালি যে যাবেই মুছে

একুশ শতক দুলুক আলোয়

তেমন শিশুর শুনছি হাসি

হৃদয় যখন সর্বনাশী।

Sunday, November 28, 2021

কবি নীতা কবি মুখার্জী -এর একটি কবিতা

 কুচবিহারের রাসমেলা



আমরা যাবো রাস দেখতে কুচবিহারের রাজবাড়ী

পর লো তোরা, পর লো সবাই মিলে হাজার টাকার ঢাকাই শাড়ী।


কতো লোক যে আসবে যাবে ইয়াত্তা তার নাই

হাতে হাতে ধরে থাকবি, একলা যাবি নাই।


মেলা মানেই খুশীর আঁগন, খুশী লুটে নাও

ভালো ভালো জিনিষ কেনো,রকম রকম খাও।


জামাকাপড়, কাঁসার জিনিস, শাল,কম্বল কত

আশেপাশে গাঁয়ের লোকে জুটিয়ে আনে যত।


মেলায় থাকে অনেক মজা থাকে পাঁপড় ভাজা

বড় বড় জিলিপি আর থাকবে ঢাউস খাজা।


চটপটি আর রোলের গন্ধে নাক করে 'ম' 'ম'

নানা রকম আওয়াজেতে কান করে ভঁ ভঁ।


বেলুন আছে খেলনা আছে, তাল পাতারই সেপাই

চোর ধরতে ঘুরছে সেথা বড় বড় সেপাই।


আসুন দাদা দেখুন বলে ডাক দেয় সব দোকান

একটু আলগা দিলেই তারা কাটবে তোমার দু-কান।


বড় বড় দোলনা আছে, আছে ডিস্কো ড‍্যান্সার

আরো অনেক রাইড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সার সার।


চুড়ি, কানের, হাতের বালা, নানান রকম মালা

কচি, বুড়ো সবাই কেনে, পূজোর থালা।


পাথর বাটি, মাটির সরা, নকশা করা বাসন

কেউ বা কেনে ফুলের সাজি, কেউ কিনছে আসন।


দোকানে থাকে বড় বড় জিলিপি, পান্তোয়া, লেডিকেনি

ভাজছে খাজা গরম গরম দিয়ে গাদা চিনি।


রাধাকৃষ্ণের মিলন দিনে সবাই খুশি মনে

সবাই যে যায় দলে দলে ঠাকুরদালান পানে।


হরিনাম, সংকীর্তন, গান-বাজনা চলে

দেশ-বিদেশের শিল্পী এসে জোটে দলে দলে।


রাজার বাড়ী লোকারণ্য মহা -সমাগম

সবার বাড়ী কুটুম্ব আসে বেশী আর কম।


কোচবিহারের রাসের মেলা আমাদেরই গর্ব

তিক্ত-জীবনে খুশী ভরে, দুঃখ কিছু খর্ব।


এসো, একবার সবাই মিলে হরির-ধ্বনি দিই

কৃষ্ণ-চরণ স্মরণ করে মেলার মজা নিই।

কবি মহীতোষ গায়েন -এর একটি কবিতা

 কথোপকথন



শরীর জুড়ে মহুয়া ফুল

শরীর জুড়ে কালো

'ও' মেয়ে তোর শরীরে কি

বিদ্যুৎ চমকালো?


শরীর জুড়ে কাশফুল তোর

শরীর জুড়ে আলো

'ও' ছেলে তোর সন্ধ্যেবেলার

চরিত্র কি ভালো?

কবি তৈমুর খান -এর একটি কবিতা

 জলগান




কৌতুক জলের কাছে বিজ্ঞাপিত হই

বিম্বিত ছায়ার হাসি মিশে যায় জলে 

জলও হাসে, জলের ঔরসে

আত্মজনেষু মায়া জন্মায় অন্তরালে

জীবন সত্যের কাছে অন্ধ বাউল 

দ্যাখে শুধু জলোচ্ছ্বাস, নত অন্ধকার 

চারপাশে ভিক্ষার দেওয়াল দেওয়া ঘর

ঘরে ঘরে মুণ্ডুহীন ধড়, নিঃস্ব করতল

হাততালি তোলে ঢেউ, ভেজা অভিমান

দুপুরও ভেঙে যায়, নৌকায় প্রজ্ঞা পার হয়

কতদূর এসে তারপর জেগে ওঠে মূর্খ হৃদয়

বাঁশ ও বাঁশির কাছে তবু জল ভেজা জলগান  

১৮ তম সংখ্যার সম্পাদকীয়



                        অঙ্কন শিল্পী- মৌসুমী চন্দ্র



সম্পাদকীয়:



মানসিক উত্তেজনায় বিকারগ্রস্থ মানুষের হৃদয় থেকে কবিতা বের হতে পারে। ভাববার বিষয় তার কাছে প্রেম ও আছে আবার বেকারত্বের আর্তনাদ আছে। তাই কবিতার কাঁচামাল হিসেবে এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে! এক আকাশ ভাষান্তরে জর্জরিত না করে একটি গাছের পাতা গুণতে থাকার সমান শব্দ প্রয়োগে কবিতা গুচ্ছ হয়ে ওঠে আরও বেশি উজ্জ্বল এবং বেদনাদায়ক। ভালোবাসার আর অন্তর্নিহিত আর্তনাদ বলেও একটি কথা আছে। সেই নিয়ে কবি মন আরও বেশি উৎসুক। তাই লিখুন নতুন নতুন প্রেম। ভালোবাসার নরম ও বেদনাদায়ক চাদরে ভরে উঠুক আমাদের সকলের প্রিয় পত্রিকা World Sahitya Adda. ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। পাশে থাকুন আমাদের।




                                           ধন্যবাদান্তে

                                 world sahitya adda

______________________________________________

##Advertisement (বিজ্ঞাপন):

১)



___________________________________________________


২)



বইটি সরাসরি পেতে-- 6291121319

___________________________________________________


৩)




##উত্তরপাড়া,সিঙ্গুর এবং কোলকাতার বেহালায় এছাড়াও যে কোনো প্রান্ত থেকেই যেকোনো ক্লাসই অনলাইনে করতে পারবেন। 

এছাড়া কেউ যদি সরাসরি অফলাইন এ ভর্তি হতে চান যোগাযোগ করুন এই নাম্বারে-- 9330924937

________________________________________________


৪)





___________________________________________________


**বি.দ্র- বিজ্ঞাপন এর সব দায়িত্ব বিজ্ঞাপন দাতার।

Saturday, November 27, 2021

১৮ তম সংখ্যার সূচিপত্র ( ৩২ জন)

 সম্পূর্ণ সূচিপত্র:




বাংলা কবিতা ও ছড়া---


তৈমুর খান, মহীতোষ গায়েন, নীতা কবি মুখার্জী, সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, সুমিত্রা পাল, মিলি দাস, মিঠুন রায়, জয়িতা চট্টোপাধ্যায়, আবদুস সালাম, সৈয়দ শীষমহাম্মদ, অরবিন্দ সরকার, উদয়ন চক্রবর্তী, ইব্রাহিম সেখ, শেখ নজরুল, বিধান সাহা, অভিজীৎ ঘোষ, চাঁদ রায়। 


বাংলা গল্প---


আশীষ কুন্ডু, রানা জামান, আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস, 
সিদ্ধার্থ সিংহ, অমিত পাল, উম্মেসা খাতুন।



প্রবন্ধ----

সত্যেন্দ্রনাথ পাইন



বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা---


অরবিন্দ সরকার, সুজিত চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্ত্তী।



ইংরেজি কবিতা--

Sunanda Mandal, Namita Basu
Pavel Rahman


Photography---


Moushumi chandra, 
Sohini Shabnam.