Sunday, January 15, 2023

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -34


 


                            দশ

কিছুক্ষণ পর দেবীদাস ট্যাক্সি বের করল। আমি ট্যাক্সির মধ্যে ওর পাশে বসে বাবার চিন্তায় মগ্ন রইলাম। শেষ পর্যন্ত বাবার দেখা পাবো তো! জানি না কত কাল তাকে অনাহারে অনিদ্রায় কাটাতে হয়েছে। যে মানুষ দিনের পর দিন কাধে বন্দুক নিয়ে শিকার করেছেন, সে জমিদার। ধনী পুত্র দুঃখ যে কি বস্তু জানতেন না। দারিদ্র কোন দিন তাকে স্পর্শ করতে পারতো না, তিনি এক মুঠো অন্নের খোঁজে পথে পথে ঘুরে বেড়চ্ছেন। হায়রে বিধাতা কি নির্মম বিচার। শত কষ্ট, যন্ত্রণা, নির্যাতনের মধ্যে আমার মুখে হাসি ফোটানো ইঙ্গিত ছিল দেবীর

কাছে স্থান পাবো বলে কিন্তু বাবার অবস্থা উপলব্ধি করে দুঃখের বোঝা বেড়ে গেলো।

অব্যক্ত বেদনা যে কতখানি আমার অন্তঃস্থল হতে গোঙাতে থাকল, সে সময় এই

বেদনা আমার অন্তস্থলকে ক্ষতবিক্ষত করেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো কোন

শক্তিই ছিল না। হয়তো সে সময় কারো কাছে যদি একথা প্রকাশ করতাম তাহলে

নিশ্চয় সান্ত্বনার তীর হৃদয়ে প্রবেশ করিয়ে উদ্ভ্রান্ত চিত্তকে শান্ত করতাম। কিন্তু সে

সময় কোন প্রাণী আমার কাছে ছিল না। শুধু দেবী ছাড়া।

মুখে কাপড় চাপা দিয়ে ডুকরে ডুকরে কেঁদে চলেছি, মনে হয় আমার বাবা আর ইহ জগতে নেই। কে যেন কানের কাছে এসে বলে গেলো, ওরে হতভাগী মেয়ে, বাবাকে লাথি মেরে সরিয়ে দিয়ে আজ আবার কি লালসায় তাকে ফিরিয়ে আনতে চলেছিস? ভয় নেই, তোর বাবা তোকে বিরক্ত করতে আসবে না। ফুটপাতে লোকের লাথি, গুঁতো পেয়ে জীবন তার অনেক আগে বেরিয়ে গেছে। সে শান্তি পেয়েছে। তার শরীরে এখন শান্তির বাতাস বইছে। উচ্চ স্বরে কেঁদে উঠতেই দেবী গাড়ীটা ব্রেক করল ও তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো - পদ্মা এ ভাবে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। নীচে নেমে এসো, এখানে গাড়ী দাঁড় করিয়ে ঐ ধর্মশালায় খোঁজ নিয়ে আসি। ওখানে অনেক দুঃস্থ পরিবারের লোকবাস করে।

কোন প্রকারে গাড়ী হতে নেমে হাঁটতে শুরু করলাম। বেশী দূর যেতে হলো না, থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। একটু দূরে মিউনিসিপ্যালিটির একটা গাড়ী দাঁড়িয়ে আছে। দুটো লোক ট্রেচার করে একজন মৃত ভিখারীকে ফুটপাত হতে তুলে এনে ঐ গাড়ীতে চড়াচ্ছে। ভিখারীর মুখটা দেখেই আমার সমস্ত দেহ শিউরে উঠল। তিনি আমার বাবা ছাড়া কেউ নন। আর ধৈর্য্য ধরতে না পেরে দৌড়ে গিয়ে বাবার দেহের উপর ঝাঁপয়ে পড়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম। আমায় ক্ষমা করো বাবা। অনেক আশা নিয়ে তোমাকে খোঁজ করতে বেরিয়ে ছিলাম। কিন্তু ভাবিনি আজই তোমার অন্তিম যাত্রা দেখতে পাবো। জীবনে অনেক দুঃখ, কষ্ট সহ্য করেছো। বিশ্বাস করো আমি তোমাকে হারাতে চাইনি বাবা। নিরুপায় হয়ে তোমার হাত ধরে তোমাকে পথ ধরিয়েছিলাম আমি বিশ্বম করতে পারছি না বাবা, এইভাবে তুমি চিরশান্তির রাজ্যে চলে যাবে। উচ্চস্বরে কাদতে থাকলাম।

উঃ ভগবান এই করুন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখবার জন্যই কি প্রস্তুত ছিলাম? বাবা তুমি সারা জীবন দুঃখের সাথে সংগ্রাম করেছো। কিন্তু সংগ্রামে জয়ী হতে পারলে না। তুমি তোমার সমস্ত মায়া মমতা ত্যাগ করে পরলোকে চলেছো।

বাবার বুকে আছড়ে পড়ে কেঁদে চলেছি। দেবীদাস এক সময় জোর পূর্ব্বক ট্যাক্সির ভেতরে বসিয়ে দিলো। তখনও আমি উদগ্রীব হয়ে সীটের উপর উপুড় হয়ে কাঁদতে থাকলাম। কখন যে বাবার মৃত দেহকে ট্রেচার করে নামিয়ে ট্যাক্সির মধ্যে চড়ালো বুঝতে পারিনি। এক সময় দেবীদাস আমাকে জানালো আমরা শ্মশানে এসে উপস্থিত হয়েছি।

বাবার শেষ কৃত্য সমাপন করে বাড়ীতে এলাম, অনেক বেলা বয়ে গেছে। আহারে মন বসলো না। দেবীদাসের শত অনুরোধ উপেক্ষা করে আমি যখন অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করছিলাম, সেই সময় আমার গণ্ড দেশে অশ্রুবন্যা বইতে লাগলো। পর পর তিন দিন ঐভাবে কাটিয়ে ছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে অতীতের অনেক স্মৃতি আমার জীবনে ম্লান হয়ে এলো।

এই তো সংসারের নিয়ম। শোক দুঃখ চিরস্থায়ী নয়। তা যদি চিরস্থায়ী হতো। তাহলে এ জগতে মানুষের মনে এতো দ্রুত পরিবর্তন আসতো না। অবশ্য ভুল যে আমি কতখানি করেছি তা প্রকাশ করা যায় না। শত দুঃখ যন্ত্রণাকে চাপা দিয়ে দেবীর সংসারে প্রবেশ করে আনন্দের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলাম সত্য, কিন্তু এত সহজে পতিতার ঘৃণ্য ও পাপ পঙ্কিল জীবনের আবর্ত হতে সমস্ত কলঙ্ক কালিমা মুছে ফেলে একটা অভিজাত পরিবারে আদরিনী বধূ হয়ে উঠবো সে কথা স্বপ্নেও ভাবিনি।

কেন, পতিতার দোষ কোথায়? পতিতানারী কি নতুন জীবন শুরু করতে, নতুন আশা আকাঙ্খায় ঘর বাঁধতে, বিগত দিনের ঘৃণ্য জীবন হতে নূতন জীবনের সূর্য উঠার স্বপ্ন দেখতে পারে না? জীবনের পথ চলতে অনেকেরই পদস্খলন হয়, কিন্তু সেই স্থলনই কি তার জীবনের পরিপূর্ণতা আনয়নের পথকে মসিলিপ্ত করে দেবে, কখনো না। নারী জীবনের সুপ্ত কামনা বাসনার বীজগুলি অনুকূল পরিবেশের রৌদ্র, জল ও বাতাসে নব জীবনের অঙ্কুরোদগম হয় না?

দেবীদাসের ঘনিষ্ট সান্নিধ্যে এসে আমার তমসাচ্ছন্ন জীবন রৌদ্র করোজ্বল এবং ভাস্কর হয়ে উঠলো। দেবীদাসের দ্যুতিহীন কুঞ্জটি দুটি বিহগের কলকাকলীতে মুখরিত হয়ে উঠলো। আমি না ওর কত আপন গৃহিনী।
অবশ্য আমি যে তার নিজের গৃহিনী নই তা অকপটে স্বীকার করবো। দেবী আমাকে আদরী মাসীর কবল হতে মুক্ত করেছে। এমনকি তার ছন্নছাড়া জীবনের জীবন সাথীরূপে নির্বাচিত করার অভিলাষ প্রকাশ করেছে। অবশ্য প্রথম দর্শনেই দেবীদাসকে আমি ভালোবেসে ফেলেছিলাম ও যেদিন ময়নার অসুখ সারাবার জন্য ময়নার কাছে প্রথম মা ডাক শুনেছিলাম সেদিন হৃদয়ের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিলো।

মা হারা ময়নার মুখ হতে সেদিন “মা” ডাক শুনে আমার অন্তরের বদ্ধ দরজায় মাতৃত্বের আবেদন জোর করে আঘাত দিয়েছিলো সেদিনই আমি আমার অজ্ঞাতসারে ময়নার মাতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছিলাম।

ও সব চিন্তায় যখন মগ্ন ছিলাম ময়নার ডাকে নিজেকে ফিরে পেলাম। মা আমায় হরলিক্স দেবে না?

ময়নাকে বুকে জড়িয়ে কয়েকবার চুমু খেয়ে বললাম, তোমার হরলিক্স খাবার সময় হয়েছে তা আমার মনেই ছিল না। চল তোমাকে হরলিক্স করে দিই।

ময়নাকে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেবীদাসের গাড়ীর শব্দ পেলাম। ময়নাকে কোলে নিয়ে দেবীদাসের আগমনের প্রতীক্ষায় থাকলাম।

দেবীদাস কাছে এসে ময়নার চিবুক ধরে বলল, আমার কোলে এসো মামনি।

সর্বদা কি মায়ের কোলে চড়ে থাকতে হয় ?

দেবীর কোলে ময়নাকে চড়িয়ে দুই গ্লাস হরলিক্স তৈরী করে ওদের দিলাম। ময়না হরলিক্স শেষ করে বাপির কোল থেকে নেমে এসে পুনরায় খেলাতে মন দিলো। ময়নার দৃষ্টির বাইরে চলে গেলে পর দেবী আমাকে কাছে টানলো।

আমি বাধা দিয়ে বললাম, করো কি, এই প্রকাশ্যে দিবালোকে এভাবে কি প্রণয়িনীর নিকট প্রেম নিবেদন করে ?

কি বললে তুমি আমার প্রণয়িনী

তা নয়তো কি?

বুঝতে পেরেছি তোমার অভিমান কি। সত্যি আমার ভীষণ ভূল হয়েছে। তা ছাড়া কাজের চাপে একেবারে সময় করতে পারছি না। আমাকে এক মাস সময় দাও, সুশীলবাবু এলেই নির্বিঘ্নে রেজিষ্টারী করে শুভকার্য সমাধা করবো। আমার ভালবাসা কোনদিনই তাচ্ছিল্য ভেবো না। দেবী আর অমানুষ নয় পদ্মা।

না? নামে আর ডেকো না। পদ্মা আর বেঁচে নেই। পদ্ম হয়ে তোমার জীবন সরোবরে বিকশিত হয়ে থাকতে চাই না। পদ্মের পাপড়ি এখন শুকিয়ে গেছে। ঝরে পড়ে গেছে সে। ও নামে আর ডেকো না। আমি তোমার প্রিয়তমা রমা।

তোমাকে এবার রমা বলে ডাকবো। আর কখনো 'ঝরা পদ্ম পাপড়িকে কুড়িয়ে এনে মালা গেঁথে রাখবো না। তোমাকে রমা রুপেই আমার হৃদয় রাজ্যে অভিষিক্ত করবো।

চলো অনেক বেলা হয়ে গেছে, তোমার স্নানের ব্যবস্থা করি। স্নান ঘরে প্রবেশ করলাম। আমি এ বাড়ীতে আসার পর তার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রী আমাকে যোগাড় দিতে হয়। বাড়ীর চাকর / চাকরাণী সব ব্যাপারে মাথা ঘামায় না। যতদিন দেবীর কাছে থাকবে। দেবতার মতো দেবীকে পূজা করবো। কারণ, তাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে মনে করেছি। তবে জানি না করে আমার সীমান্তে সিঁন্দুর দেবে।

নানা ছলা, কলা, হাসি ঠাট্টার মধ্যে দেবীর স্নান শেষ হলো। অতি যত্ন সহকারে ভোজনের পরিচর্যা করলাম প্রতিদিনের ন্যায়। তারপর বিশ্রামের ব্যবস্থা। রাত্রেও তার যাতে কোনরূপ কোন দিক দিয়ে অসুবিধা না হয় সে দিকেও সজাগ থাকি সর্ব৷৷ এইভাবে দিন অতিবাহিত হতে থাকে।

Thursday, January 5, 2023

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -33


 

ঐ ঘরের মধ্যে দিয়ে ল্যাবরেটার রুমের রাস্তা। সদর দরজায় না গিয়ে চৌবের নির্দেশ মতো অন্ধকারে গা ঢাকা দিয়ে জানালার কাচ ফাটিয়ে ভেতরে প্রবেশ করল। ভেতরে আলো জ্বলছে তবে জোরালো নয় অবশ্য ঐ আলোতে কাজ করতে কোনরূপ বাধা আসবে না। কলেজের নাড়ীনক্ষত্র দেবীর নখদর্পণে। সুতরাং E.C.G. মেসিন কোথায় কি অবস্থায় থাকে সব তার জানার মধ্যে।


ধীরে ধীরে মেসিনটার দিকে এগিয়ে চলল। হাতে উদ্যত রিভলবার। কোন জন প্রাণী নেই বলে মনে হলো, তাছাড়া এ সময়ে কারো থাকার কথা নয়। মেসিনটার কাছে পৌঁছে হাত দুটো প্রসারিত করেও মেসিনটা স্পর্শ করতে পারল না। কত বড় অন্যায় করতে চলেছে সে। একটা প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে হাজার হাজার ছাত্রদের অসুবিধার কারণ সৃষ্টি করছে। কিন্তু একটু পরেই বাধা বিঘ্নকে অতিক্রম করে তার কার্য সাধনে উদ্যত হলো।

হঠাৎ কে যেন তাকে বলে উঠল, নিজেকে বাঁচাবার চেষ্টা কর বৎস। অকালে মরবার চেষ্টা করো না। দেশের কত মানুষ কত অন্যায় করছে, তুমিই বা করবে না। কেন ?

পারল না ধৈর্য্য ধরতে, দুই হাত প্রসারিত করে E.C.G. মেসিনকে নিয়ে অতি সতর্কে বাইরে বেরুতে গিয়ে উপস্থিত হলো সুমন্তর সামনে। মনে হয় পাশের রুমে কোন কাজে ব্যস্ত ছিলো। পরে কাজ শেষ করে কোন দরকারে ল্যাবরেটরি রুমে আসছিলো। সে কখনো কল্পনা করেনি সেই মুহুর্তে সুমন্ত তার সম্মুখে হাজির হবে। তাকে দেখে হকচকিয়ে গিয়ে বলল সুমন্ত। দেবীদাস তুমি! একি E.C.G. মেসিনটা কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?

কোন কথা বলার অভিপ্রায় তার নেই। উদ্যত পিস্তল তখন সক্রিয় হতে চলেছে। বিশেষ করে তার হিংস্রতা আরোও বেড়ে গেলো তার সঙ্গে পুরাতন শত্রুতার কথাগুলো মনে উদয় হতে। কারণ তার প্রিয়তমা মুকুলকে তার কাছ হতে ছিনিয়ে নিয়েছে। এই সুযোগে ওকে দুনিয়া হতে বিদায় দেওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়। আর একদিকে পথের কাঁটাকে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ নতুবা মূর্খের কাজ হবে। উদ্যত পিস্তল ততক্ষণাৎ গর্জে উঠল। সুমন্ত মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। ততক্ষণাৎ ওখান হতে কেটে পড়ল দেবীদাস। তারপর- তারপর এক গরীবের সন্তান পৃথিবী হতে চির বিদায় গ্রহণ করল।

তখন একটিবার ভাবিনি পদ্মা, আমি কত বড় সর্বনাশ করেছিলাম। আমার অপরাধের মার্জনা হয় না। পদ্মা, আমি তোমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছি, তোমাদের যা সর্বনাশ করেছি, মর্মে মর্মে তা অনুভব করছি, সেইজন্য আমি তোমাদের কাছে শাস্তি চাইছি, আমাকে শাস্তি দাও পদ্মা, আমাকে শাস্তি দাও! দেবীদাস ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকল

থাকতে পারলাম না ওর কথা শুনে। ডুকরে ডুকরে আমিও কাঁদতে থাকলাম। দেবীদাস বেশ কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর পুনরায় বলতে শুরু করল। কিন্তু ঐ মহানুভব বন্ধুটি পুলিশের কাছে প্রকাশ করেনি আমি তাকে খুন করেছি। বরং সে পুলিশের কাছে প্রকাশ করেছিল ওর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় ।

সুমন্ত আমাকে ক্ষমা করলেও ভগবান কিন্তু শাস্তি দিতে ছাড়লেন না। আমার স্ত্রী আমাকে সন্দেহ করেছিল আমি খুনী। কারণ E.C.G. মেসিন নিয়ে সেদিন কোন প্রকারে আড্ডাতে পৌঁছুতে পারিনি। বাড়ীতে উঠতে গিয়ে চন্দ্রার কাছে ধরা পড়েছিলাম। তারপর পেপারে পরদিন সকালে বড় হরফে লেখা, “মেডিকেল কলেজের E.C.G. মেসিন যে ব্যক্তি অপহরণ করেছে, যদি কেউ তার সন্ধান দিয়ে থাকেন, তাহলে তাকে পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। এর সঙ্গে আরো ঘোষণা ছিল, মেডিকেল ছাত্র সুমন্তর হত্যাকারীকে যে ব্যক্তি ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।”

পুলিশ সন্দেহবশতঃ - গ্রেফতার করে আমাকে মৃত্যুপথযাত্রী সুমন্তর নিকট হাসপাতালে হাজির করল। কিন্তু সুমন্ত আমাকে দেখে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি করল সে তার হত্যাকারীকে চেনে না। পুলিশ কাল বিলম্ব না করে আমাকে বেকসুর মুক্তি দিল। সুমন্তর মহানুভবতায় আমি সে যাত্রা রক্ষা পেলাম সত্য, কিন্তু বাড়ীতে এসে যে দৃশ্য দেখলাম তাতে মনে হলো সুমন্ত রেহাই দিলেও ভগবান আমাকে সহজে রেহাই দেবে না।

বাড়ীতে স্ত্রীর আত্মহত্যা দেখে আমি গভীরভাবে বিচলিত হয়ে পড়লাম। তার আত্মহত্যার একমাত্র কারণ, আমার স্ত্রী ধারণা করে নিয়েছিল সুমন্তর হত্যাকারী আমি। সেইজন্য আমার ভবিষ্যৎ শাস্তি ও অপমানের দূর্বিসহ বেদনা সহ্য করতে পারবে না বলেই আত্মহত্যা ছাড়া তার গত্যন্তর ছিল না।

দেবী কয়েক সেকেন্ড নীরব থাকার পর বলল, আমার সাজানো বাগান শুকিয়ে গেল। বিশষ করে মুকুলের কথায় আরো অতীষ্ট হয়ে উঠলাম। সুমন্ত তাকে সংক্ষেপে বলে গেছে মৃত্যুর পূর্বে দেবী যেন এবার প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। সে জন্য ওকে ক্ষমা করে চললাম।

মুকুল দাঁত চেপে বলেছিল, সুমন্তদার হত্যাকারী তার পরিচিত। ইচ্ছে করলে সে যে কোন সময় আসামীকে যোগ্য শাস্তি দেবার মত ক্ষমতা রাখতো। তবে সুমন্তর কথামত সে কাজ করে চলেছে। দেবীদাসের সন্দেহ থাকলেও মুকুল ও সুমন্তের মধ্যে ভাই বোনের স্নেহ মধুর সম্পর্ক ছিল।

ও কথা শুনে আমি নিজেকে আরো জর্জরিত করেছিলাম। আমি অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরা ছিলাম পদ্মা। তুমি ই পাপিষ্ঠ, অপরাধী মানুষটাকে ক্ষমা না করে এই শয়তান। দেবীদাসকে খুন করে তোমার দাদার মৃত্যুর প্রতিশোধ নাও। দেবীদাস দেওয়ালে ঠেস দিয়ে বালকের মতো কাঁদতে থাকল। এরপর...

 এরপর নিজেকে সংযত করতে না পেরে বহুকষ্টে চোখের জল মুছে, ব্যথিত বুকে কিছু বলার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তার আগে এই কথা বারংবার মনের দুয়ারে আঘাত করল, অতীতকে ভুলবার চেষ্টা করছিস পদ্মা? দাদার মৃত্যুর প্রতিশোধ কি নিবি না? না? অনিবচনিয় মানসিক যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলাম। নিষ্পাপ ময়নার মুখখানি স্মরণ করে আমার প্রতিহিংসার আগুন নিভে গেল।

 সংযমের বল্লাকে দৃঢ় মুষ্টিতে চেপে ধরে দেবীদাসের দৃষ্টির বাইরে চলে আসতেই বাবার কথা আমার মনকে তীব্র ভাবে নাড়া দিল। বাবাকে শহরময় খোঁজ করে বের করতে হবে। বাবাকে বাঁচাতেই হবে। এই অভিশপ্ত শহরে আর থাকব না। বাবার সাথে গ্রামেই ফির যাবো। অপেক্ষা না করে অনেকদূর এগিয়ে এসেছি, এমন সময় দেবীদাসের। ডাকে কোন সাড়া না দিয়ে এগিয়ে চলেছি, দেবীদাস দৌড়ে এসে আমার পথ আগলে বলল, তুমি যেও না পদ্মা, আমাকে শাস্তি না দিয়ে তুমি যেতে পারো না। আমি অনেক অপরাধের অপরাধী। আমাকে কি নতুন করে বিশ্বাস করতে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যুর হাত হতে রক্ষে করে অপার মাতৃ স্নেহ দিয়ে মা হারার বেদনাকে মন থেকে মুছে দিয়েছো, তখন এই সময় ময়নাকে ছেড়ে যেও না। উভয়ের প্রচেষ্টায় বাবাকে এই মহানগরীর ভিড়ের মধ্য হতেও যেকোন উপায়ে খোঁজ করে বের করবই।

 তার মুখ দিয়ে একথা শুনে তার মলিন মুখ পানে তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। দ্রুত পায়ে এগিয়ে দেবীদাসের বুকে আছড়ে পড়লাম। দাদার হত্যাকারী জেনেও ওর বুকে মুখ রেখে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে থাকলাম। দেবীদাসের চোখ ফেটে জল বেরুতে থাকল।

 কান্না ভেজা গলায় বলল, আমি তোমাকে ভালোবাসি পদ্মা। এ ভালোবাসা ক্ষণভঙ্গ র নয় মনে রাখবে। এই ভালোবাসা চিরন্তন ও শাশ্বত। তুমি আবার অন্ধকার জীবনকে এবার আলো দেখাবে। জীবনের সংকট ও দুর্যোগ মুহুর্তে তুমি দান করবে আমার মনে শক্তিশালী প্রেম। ধীরে ধীরে ওর বুক হতে মাথা তুলে ওকে প্রণাম করলাম। এরপর দেবীদাস ও আমি বাবার খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম।

Saturday, December 31, 2022

মাধ্যমিক পাশে প্রচুর পরিমাণে বনদপ্তরে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ || Forest Department Group-C and Group-D Recruitment 2022 || বনদপ্তরে কর্মী নিয়োগ


 


পশ্চিমবঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ভারতীয় ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে মাধ্যমিক পাস, উচ্চ মাধ্যমিক পাস যোগ্যতায় কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে। তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব। 




নিয়োগকারী দপ্তর ও শূন্যপদ গুলির নাম:-



• Multi Tasking Staff


• Lower Division Clerk


• Forest Guard 


• Steno Grade II


• Store Keeper


• Driver Ordinary Grade


• Technician (Field/ Lab Research)


• Technician ( Maintenance)


• Technical Assistant (Para Medical)





শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নির্ধারিত বয়সসীমা:-



উপরিউক্ত শূন্যপদ গুলিতে চাকরির জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে যে পদের ক্ষেত্রে যে ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা দরকার সেগুলি হল-



 Multi Tasking Staff-


 মাধ্যমিক পাস। এছাড়াও ৩ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

 বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।




Lower Division Clerk-


এই পদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে কম্পিউটার বা টাইপ রাইটারে মিনিটে ৩৫ টি ইংরেজি শব্দ ও ৩০ টি বাংলা শব্দ টাইপ করার দক্ষতা থাকতে হবে।


 বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছর। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।



Forest Guard -


এই পদের জন্য সায়েন্স বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে। এছাড়াও পুরুষ আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ৪ ঘন্টায় ২৫ কিমি পথ হাঁটার ক্ষমতা থাকতে হবে। এবং পুরুষ আবেদনকারীদের উচ্চতা হতে হবে অন্তত পক্ষে ১৬৫ সেমি। এবং ছাতির মাপ হতে হবে না ফুলিয়ে ৭৯ সেমি এবং ফুলিয়ে ৮৪ সেমি। এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ ঘন্টায় ১৪ কিমি পথ হাঁটার ক্ষমতা থাকতে হবে। উচ্চতা হতে হবে অন্তত পক্ষে ১৫০ সেমি। এবং ছাতির মাপ হতে হবে না ফুলিয়ে ৭৪ সেমি এবং ফুলিয়ে ৭৯ সেমি।


  বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছর। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।



Steno Grade II-


এই পদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকতে হবে। এছাড়াও কম্পিউটার কোর্সের সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং কম্পিউটারে মিনিটে ৮০ টি ইংরেজি ও হিন্দি শব্দ টাইপ করার দক্ষতা থাকতে হবে। 

 বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


Store Keeper-


এই পদের জন্য আপনাকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে থাকতে হবে। 


বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছর। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।



Driver Ordinary Grade-


মাধ্যমিক পাস করলেই এই পদে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও একটি valid ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। সঙ্গে থাকতে হবে ৩ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা। 


বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছর। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন 



    এছাড়াও আরও যে সব শূন্যপদ গুলি রয়েছে সেগুলির সন্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে আমাদের বিজ্ঞপ্তির নীচে দেওয়া অফিসিয়াল নোটিফিকেশন লেখাটিতে ক্লিক করে নোটিফিকেশন টিকে ডাউনলোড করে সেখান থেকে পড়ে জেনে নিন।



আবেদন পদ্ধতি:-


শুধু মাত্র অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। পদ্ধতিগুলো নীচে আলোচনা করা হল-


১) প্রথমে আমাদের প্রতিবেদনের শেষে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লেখাটিতে সরাসরি ক্লিক করে অথবা google search box এ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট fri.icfre.gov.in লিখে search করতে হবে।




২) এরপর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে Apply now Option এ ক্লিক করে সবার আগে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে হবে।




৩) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি User Id ও Password দেওয়া হবে সেটি দিয়ে Login করতে হবে।


৪) এরপর এই দপ্তরে নিয়োগের আবেদন পত্রটি আসবে সেখানে আপনার নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেন্ডার, বয়স, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, একটি বৈধ ইমেল আইডি ও ফোন নাম্বার ইত্যাদি টাইপ করে এবং যে পদের জন্য আবেদন করছেন সেটিকে Select করে Ok করতে হবে।


৫) সেই সঙ্গে সিগনেচারের স্থানে আগে থেকে করে রাখা একটি সিগনেচার এবং এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটোর ছবি তুলে স্ক্যান করে দিতে হবে।


৬) এরপর একে একে যে যে পদের জন্য আবেদন করতে চান সেই পদের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত ডকুমেন্টস সহ অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর ছবি তুলে স্ক্যান করে দিতে হবে।


৭) এরপর আবেদন মূল্য হিসেবে জেনারেল ও OBC ক্যাটাগরির প্রার্থীরা ১,৫০০ টাকা করে এবং SC, ST, PWD এবং মহিলা প্রার্থীরা ৭০০ টাকা করে অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিলেই অ্যাপ্লিকেশান Done।


৮) সবশেষে এই অ্যাপ্লিকেশান ফর্মের একটি প্রিন্ট আউট বের করে নিজেদের কাছে রেখে দেবেন। ইন্টারভিউ এর দিন এটি কাজে লাগতে পারে।




গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস:-


১) বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বা বার্থ সার্টিফিকেট।


২) আধার কার্ড ।


৩) প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কসীট ও সার্টিফিকেট।


৪) কাস্ট সার্টিফিকেট।


৫) নির্দিষ্ট পদের ওয়ার্ক এক্সপিরিয়েন্স সার্টিফিকেট।


৬) কম্পিউটার কোর্সের সার্টিফিকেট।


৭) Driver পদের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।


৮) এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো।



নির্বাচন প্রক্রিয়া:-


সবার প্রথমে হবে একটি ১০০ নম্বরের কম্পিউটার বেসড পরীক্ষা। এতে যারা যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা অর্থাৎ একটি ৫০ নম্বরের ডেসক্রিপটিভ টাইপ লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে। এখানে ও যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদেরকে শর্টলিস্ট করে একটি স্কিল টেস্ট এবং ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হবে। সব কিছুতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বাছাই করে জয়েনিং লেটার পাঠিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।



আবেদন করার শেষ তারিখ:-


আবেদন শুরু - ২০/১২/২০২২ 

আবেদন শেষ - ২৯/০১/২০২৩





OFFICIAL NOTICE: 

Click here 🔴


APPLY NOW: 

Click here 🔴

___________________________________________


চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন





Telegram group-

Click here 🔴






Whatsapp group-

Click here 🔴



Thursday, December 29, 2022

বিশ্ব ও ভারতের প্রথম ব্যাক্তিত্ব || General Knowledge part -1 || Gk Bengali part -1 || All 1st Person Name List in Bengali

 



১.প্রথম ও শেষ গভর্নর জেনারেল :-  লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং ও রাজা গোপালাচারী।

 

২.প্রথম ভাইসরয়  :- লর্ড ক্যানিং।


৩.স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল :- লর্ড মাউন্টব্যাটেন।


৪.স্বাধীন ভারতের শেষ এবং ভারতীয় গভর্নর জেনারেল :- চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী।


৫.প্রথম রাষ্ট্রপতি :-  ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ।


৬.প্রথম উপরাষ্ট্রপতি :- ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান।


৭. প্রথম প্রধানমন্ত্রী :- পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু।


৮. প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী :- সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।


৯. প্রথম নির্বাচন কমিশনার:- সুকুমার কুমার সেন।


১০. লোকসভার প্রথম অধ্যক্ষ:- জি.ভি. মাভালঙ্কার ।


১১.সুপ্রীম কোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি :- জাস্টিস হীরালাল জে কানাইয়া।


১২. রাজ্যসভার প্রথম অধ্যক্ষ :- ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান।

 

১৩.স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় কমান্ডার ইন চিফ :- জেনারেল কে.এম.কারিয়াপ্পা।


১৪.প্রথম ফিল্ড মার্শাল :- এস.এইচ.এফ.জে. মানেকশ।


১৫.প্রথম আই সি এস অফিসার :- সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।


১৬. প্রথম ভারতীয় এভারেস্ট জয়ী :-তেনজিং নোরগে।


১৭.এভারেস্ট,উত্তরমেরু ও দক্ষিণ মেরু জয় করেছেন :- সত্যব্রত দাম।


১৮.প্রথম ভারতীয় ইংলিশ চানেল অতিক্রম করেন :- মিহির সেন।


১৯. প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী :- রাকেশ শর্মা।


২০. প্রথম হাইকোর্টের বিচারপতি :- শম্ভুনাথ পন্ডিত।


২১. প্রথম ব্যারিস্টার :- জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর।


২২. প্রথম গ্রাজুয়েট :-   বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও  যদুনাথ সরকার।


২৩.প্রথম ভাইসরয় এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলেন সদস্য :- এস.পি. সিনহা।


২৪.প্রথম ব্রিটিশ পর্ণমেণ্টের সদস্য :- দাদাভাই নুরুজি।


২৫. প্রথম অস্কফোর্ডের ভারতীয় অধ্যাপক :-ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ।


২৬.প্রথম ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট :-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।


২৭.প্রথম ভাইসব চ্যান্সেলর :- স্যার গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়।


২৮.প্রথম লন্ডনে রয়েল আর্টিস্ট সভার সদস্য :- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। 


২৯.প্রথম ব্যঙ্গচিত্র ভারতীয় শিল্পী :-গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর ।


৩০.ভারতের মাটিতে প্রথম শহীদ :- মঙ্গল পান্ডে।


৩১.বিদেশের মাটিতে প্রথম শহীদ :- মদনলাল ধিংড়া।


৩২.প্রথম ভারতীয় নোবেল পুরস্কার প্রাপক :-  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


৩৩.প্রথম ভারতীয় অস্কার পুরস্কার প্রাপক :-সত্যজিৎ রায়


৩৪.প্রথম ভারতীয় পরমবীর চক্র পুরস্কার প্রাপক :- মেজর সোমনাথ শর্মা।


৩৫.প্রথম ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপক :- ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ।


৩৬.প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক :- জি.শঙ্কর কুরুপ।


৩৭.প্রথম দাদাসাহেব পুরস্কার প্রাপক :-শ্রী বি.এন.সরকার ।


৩৮. প্রথম ভারতের বাইরে অভিনয় করে:-শিশির কুমার ভাঙ্গুড়ী।


৩৯. প্রথম ভারতের বাইরে নৃত্যকলা প্রদর্শন করেন:-উদয় শংকর।


৪০. প্রথম ইংরেজি ভাষায় কবিতা লেখেন :-মাইকেল মধুসুদন দত্ত।


৪১. প্রথম বিলেতযাত্রী:-রাজা রামমোহন রায়।


৪২. প্রথম আন্তর্জাতি বিচারালয়ের বিচারপতি:-ডঃ নগেন্দ্র সিং।


৪৩. প্রথম ম্যাগসাসাই পুরস্কার প্রাপক:-আচার্য বিনোভাভাবে।


৪৪. প্রথম রাষ্ট্রপতি :- শ্রীমতি প্রতিভা দেবী সিং পাটেল ।


৪৫. প্রথম রাজ্যপাল :-  শ্রীমতি সরোজিনী নাইডু।


৪৬. প্রথম প্রধানমন্ত্রী :- শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী।


৪৭. প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী :-শ্রীমতী রাজকুমারী অমৃতা কাউর


৪৮. প্রথম মুখ্যমন্ত্রী :- শ্রীমতি সুচেতা কৃপালিনী।


৪৯. প্রথম রাষ্ট্রমন্ত্রী :- শ্রীমতী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত।


৫০. সুপ্রিম কোর্টের প্রথম বিচারপতি :-জাস্টিন মীর সাহেব ফতেমাৰিবি


৫১. প্রথম হাইকোর্টের বিচারপতি :-আন্নাচন্ডী।


৫২. প্রথম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি :-জাস্টিস লীলা শেঠ।


৫৩. প্রথম রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার সভাপতি :-শ্রীমতী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত।


৫৪. প্রথম আই .এ .এস. অফিসার :-আন্না রাজম জর্জ।


৫৫. প্রথম আই. পি. এস. অফিসার :-কিরণ বেদী।


৫৬. প্রথম এভারেস্ট জয়ী :-বাছন্দ্ৰী পাল ।


৫৭. প্রথম ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন :-আরতি সাহা।


৫৮. প্রথম ভারতীয় নোবেল পুরস্কার প্রাপক :-মাদার টেরেসা।


৫৯. প্রথম ভারতীয় অস্কার পুরস্কার প্রাপক :-ভানু আথাইয়া।


৬০.প্রথম ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপক :-শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী।


৬১. প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার প্রাপক :-শ্রীমতী আশাপূর্ণা দেবী।


৬২. প্রথম দাদাসাহেব পুরস্কার প্রাপক :-শ্রীমতী দেবিকা রানি।


৬৩. প্রথম নির্বাচন কমিশনার :-শ্রীমতী ভি. এস. রমাদেবী।


৬৪. প্রথম মিস ওয়ার্ল্ড :-রিতা ফারিয়া।


৬৫.প্রথম মিস ইউনিভার্স :-সুস্মিতা সেন।


৬৬.প্রথম মহাকাশচারী :-ডঃ কল্পনা চাও। 


৬৭. প্রথম কংগ্রেস সভাপতি :-অ্যানি বেসান্ত। 


৬৮.প্রথম সংগীত শিল্পী যিনি পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন ভর করেছেন :- শুভলক্ষ্মী।


৬৯.প্রথম চিত্রকর :-সুননী দেবী। 


৭০.প্রথম অভিনেত্রী যিনি পদ্মশ্রী ও রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছিলেন :-নার্গিস দত্ত।


৭১.প্রথম রাষ্ট্রদূত :-শ্রীমতী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত।


৭২.প্রথম নোবেল পুরস্কা:-রবীন্দ্রনার ঠাকুর।


৭৩.প্রথম জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান :-তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।


৭৪.প্রথম ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পান :-অমিতাভ চৌধুরী।


৭৫.প্রথম অস্কার পুরস্কার পান :-সত্যজিৎ রায়।


৭৬.প্রথম বিলাজকারী :-রাজা রামমোহন রায়


৭৭.প্রথম তিব্বতে বৌদ্ধপ্রচারক :-অতীশ দীপঙ্কর।


৭৮.প্রথম বি. এ. পাশ :- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও যদুনাথ বসু।


৭৯. প্রথম আই সি এস হন :-সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।


৮০. প্রথম ইঞ্জিনিয়ার :-নীলমনি মিএ ।


৮১.প্রথম ‘লড' উপাধি পান :-স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।


৮২. প্রথম জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি :-উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।


৮৩. প্রথম প্রাদেশিক গভনর :-লর্ড সত্যেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ।


৮৪. প্রথম জাতীয় অধ্যাপক :-সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর।--


৮৫. প্রথম নৌবাহিনীর প্রধান :- অ্যাডমিরাল এ. কে.ব্যানার্জী।


৮৬. প্রথম স্থল বাহিনীর প্রধান :- জে, জয়ন্ত চৌধুরী।


৮৭. প্রথম বিমান বাহিনীর প্রধান :- এয়ার মার্শাল সুব্রত মুখার্জী।


৮৮. প্রথম হাইকোর্টের বিচারপতি :- রমাপ্রসাদ রায়।


৮৯. প্রথম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি :- স্যার রমেশ চন্দ্র মিত্র।


৯০. প্রথম কলকাতার মেয়র :-চিত্তরঞ্জন দাস ।



৯১. প্রথম শেরিফ :-দিগম্বর মিত্র।


৯২. প্রথম এম. আর. সি. পি. পরীক্ষায় প্রথম হন :-ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়।


৯৩. প্রথম বিদেশে ধর্ম প্রচার করেন :-স্বামী বিবেকানন্দ।


৯৪. প্রথম স্যার উপাধী পান :-চন্দ্রমাধব শেষে।


৯৫. প্রথম ব্রতচারী সংঘ প্রতিষ্ঠাকরেন :- গুরুসদয় দত্ত।


৯৬. প্রথম আই. সি .এস পদ ত্যাগ করেন :-সুভাষচন্দ্র বসু।


৯৭. প্রথম 'নাইট' উপাধি ত্যাগ করেন :-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।


৯৮. প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক :-মাইকেল মধুসূদন দত্ত।


৯৯.প্রথম হিমালয়ের উচ্চতা মাপনকারী :- রাধানাথ শিকদার


১০০. প্রথম সাইকেলে ভ্রমণ :- রামনাথ বিশ্বাস।


_______________________________________


Pdf download link -

Click here 🔴


রাজ্যে প্রচুর ভলেন্টিয়ার কর্মী নিয়োগ || WB Volenteer Recruitment 2022-23 || Para Legal Volunteers Recruitment 2022-23


 


আমাদের রাজ্যে চাকরি প্রার্থীদের জন্য আবার নতুন সুখবর। নিয়োগ হতে চলেছে ভলেন্টিয়ার পদে।  অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের রাজ্যের যে কোনো জেলার প্রার্থীরা এখানে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। 
তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব। 




Employment No- 83/DLSA

পদের নাম- Para Legal Volunteers


মোট শূন্যপদ- ৪৫ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা- উচ্চমাধ্যমিক পাশ।


বয়স- প্রার্থীর বয়স ১৮ বছরের উপরে হওয়া আবশ্যক। 


বেতন- দৈনিক বেতন ৫০০/- টাকা।



শূন্যপদের বিন্যাস-
 Bankura Sadar Sub Division– Bankura Sadar- 10, Bankura I- 1, Bankura II-2, Barjora-2, Chhatna-2, Gangajalghati-2, Mejia-2, Onda-2, Saltro-2, Khatra Sub Division- Khatra-2, Indpur-1, Hirbandh-1, Ranibandh-1, Raipur-1, Sarenga-1, Simlapal-1, Taldangra-1, Bishnupur Sub Division- Bishnupur-3, Indas-1, Joypur-1, Patrasayer-1, Kotulpur-1, Sonamukhi-1




আবেদন পদ্ধতি- 
এখানে আপনি অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। নিচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিটি ডাউনলোড করে আবেদন পত্রটি প্রিন্ট আউট বের করে নেবেন। সম্পূর্ণ আবেদন পত্র টি সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র, বায়োডাটা, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংযুক্ত করে একটি মুখ বন্ধ খামে ভরে নির্দিষ্ট ঠিকানায় আবেদনপত্র জমা করতে হবে।



আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ঠিকানা- 
The Chairman, District Legal Service Authority, Bankura, Address- ADR Building, District Judge Court Compound, Bankura, Pin- 722101.



আবেদনের শেষ তারিখ- ২০ জানুয়ারি, ২০২৩




Official Notification: 

Official Website:

___________________________________________

চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-





Whatsapp group-


Wednesday, December 28, 2022

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -32


 

বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে দেবীদাস সেদিন ঐ অবস্থায় কোন মতে থাকতে পারল না। বিছানায় শুয়ে সর্বদা ছটপট করতে থাকে। দেহের সমস্ত স্থানে যেন বিছুটির আঘাতে যন্ত্রণা অনুভব করছে। বুঝতে পারল যে, ঐ চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্র হতে নিস্তার পাবার কোন উপায় নেই। অগাধ ধন দৌলত, টাকা কড়ি থাকা সত্বেও যে অভাবনীয় চিন্তা সারা মনকে ক্লান্ত করবে কোন দিন কল্পনা করেননি।


 সারারাত্রি কোন প্রকারে চোখ দুটোকে মুদতে পারল না। এতদিন পরে তার জ্ঞান চক্ষুর উন্মেষ ঘটলো কেন ঐ অগ্নিকুণ্ডে প্রবেশ করেছিল সে? কেন এক নিষিদ্ধ পল্লীতে গিয়ে রাতের পর রাত কাটিয়ে ছিলো? এত সব ভাবলে কোন কাজ হবে না। থেকে এড়িয়ে যাওয়া সহজ নয়।

এক সময় চন্দ্রার মুখপানে তাকিয়ে দেখলো সে জেগে আছে। স্বামীর মনের কণ্ঠ সে বুঝতে পেরেছে তবু ও কোন কিছু বলার শক্তি পায় না। কারণ দেবী তার প্রতি অনেক অন্যায় আচরণ করেছে। ওর কোলে তিন বছরের কচি শিশু ময়না ঘুমাচ্ছে। অবোধ শিশুর পানে তাকাতেই চোখ দুটো ছলছল করে উঠল। কোনদিন একটিবার কোলে নিয়ে আমোদ আল্লাদ করেনি। ভাগ্যহীনার প্রতি সর্বদায়ই কটাক্ষপাত ফেলেছে সন্দেহবশতঃ ওকে আপন মেয়ে নয় বলে ঘৃণার চোখে দেখেছে।

কিন্তু ওদের দুঃখ ক্লেশ দেখে মনটা একেবারে ভেঙ্গে গেলো। নিজেকে স্থির রাখতে পারল না সমস্ত অপরাধের বোঝা এসে উপস্থিত হয়েছে। দেবীদাস চিন্তা করে ময়নাকে একবার কোলে নিয়ে চুমু খাবে একটু আদর করবে। তাই ধৈর্য্য হারিয়ে ওর দিকে হাত দুটো প্রসারিত করতেই বাধা পড়ল। চন্দ্রার সাথে তার চোখ এক হতেই দেখল ওর চোখ দিয়ে যেন আগুনের ফুলকি বেরিয়ে আসছে। কোন প্রকারে একটুক্ষণ ষ্টাচুর মতো দাড়িয়ে থেকে বারান্দায় এসে উপস্থিত হলো। মাথা উঁচু করে ওর সামনের দাঁড়াবার কোন ক্ষমতাই তার নেই। কারণ ওর কাছে সে নানা ভাবে অপরাধী। ওকে কেন্দ্র করে তার ফেলে আসা দিনগুলি তার চোখের সামনে ভাসতে থাকল।

চন্দ্রা কখন যে তার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে বুঝতে পারেনি। সে শান্তস্বরে বলল, তুমি যেমনভাবে ছটপট করছো কেন? আমি কি কোন অপরাধ করেছি? বিশ্বাস করো বাবাকে বারবার নিষেধ করে ছিলাম বাড়ীতে আসতে। সে শুনেনি বলে তার অপরাধ নিওনা। বাবা কথা দিয়েছে, আর কখনো এ বাড়ীতে আসবে না।

চন্দ্রার কথা শুনে তার হৃদয় কেঁদে উঠল। যেমন ক্লান্ত অশ্বের অঙ্গ হতে স্বেদধারা বয়ে যায়, ঠিক তারও সেইরূপ অবস্থা হলো। বলল, বাবা কোথায় গেছেন? - তীর্থে গেছেন।

ও কথা শুনে আরো মুষড়ে পড়ল দেবীদাস। বাবার সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার ক্ষমতা কোনদিনই তার ছিল না। তবু এই বিপদে তার বাবার কাছে নিজেকে সারেন্ডার করতো। তিনি যে কতদিন পর বাড়ীতে ফিরবেন তা তার অজানা নয়। এখন আট হতে দশ মাস তো দেরী হবেই। যে স্ত্রীর সাথে ভালোভাবে কোনদিন কথা বলেনি, যাকে কাছে টানবার ইচ্ছে জাগেনি ; হয়তো মাতাল অবস্থায় বাড়ীতে এসে কয়েকবার কাছে টেনেছিলো, তার মলিন মুখখানি দেখে স্থির থাকতে পারল না।

ওর হাত দুটো ধরে বলল, আমাকে ক্ষমা করো চন্দ্রা, অনেক অবিচার করেছি তোমার প্রতি। মনে হয় সে জন্য ভগবান আজ বিচার করছেন। তুমি তো প্রতিশোধ।
নেবার চেষ্টা করোনি। তাই তোমার হয়ে আরেকজন নিচ্ছেন। তবে বলে রাখছি এই বিপদ হতে কোনদিন যদি রক্ষা পেয়ে থাকি ; তোমার কাছে ফিরে আসবো।

ওখান হতে সরে পড়ার চেষ্টা করতেই সে দেবীর পথ অবরোধ করে বলল, কি এমন বিপদ তোমার, আমি কি তার ঝুঁকি নিতে পারি না।

কোন উত্তর না দিয়ে কোন প্রকারে সরে পড়লো দেবীদাস। শুধু চোখ দুটো তার ছলছল করে উঠল। শেষ পর্যন্ত ওদের আড্ডায় যেতে হলো দেবীদাসকে। ভেবেছিল সুশীল বাবুর সাথে পরামর্শ করবে ওদের আড্ডায় যাবার আগে, কিন্তু পারেনি। হেমন্তবাবু তাঁর উপর ব্যবসার সমস্ত ভার দিয়ে তীর্থে গেছেন। একমাত্র দেবীদাসের অত্যাচারের জন্য তার অশান্তিময় জীবনে কিছুটা শান্তির স্পর্শ লাভের জন্য।

ওদের আড্ডায় পৌঁছতে মিঃ জ্যাকি অর্থাৎ ওদের বস তাকে সাদরে অভ্যর্থনা করলেন। যেন দেবীদাস তার কত কালের পরিচিত। ট্রেনিং শুরু হলো। মদ, মাংস এবং নারীর কোন অভাব ছিল না। যখন যাকে প্রয়োজন সব দিক দিয়ে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে।

এবার দেবীদাসের মধ্যে পশবিক বৃত্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। তার ছন্নছাড়া ও উচ্ছৃঙ্খল জীবনের কি করুন পরিনতি। এই আড্ডাতে এনে চন্দ্রার কথা ভুলে গেল। E.C.G. মেসিন চুরি করার ট্রেনিং হয় প্রতিদিন। রাত্রিতেও এর ব্যতিক্রম হয় না।

একদিন স্থির হলো দেবীদাসকে এবার কাজে নামতে হবে, যে কাজের জন্য তাকে আনা হয়েছে এখন সে কাজ করার সক্ষম হয়েছে। মিষ্টার জ্যাকি বললেন, শুনিয়ে দেবদাস বাবু, হামলোগ চোর, ডাকু, স্মাগলার হতে পারি, লেকিন হামাদের দিল বহুত উঁচা আছে। হাপনি এ বাত ইয়াদ রাখবেন না হাপনাকে জিন্দেগী ভর হামারা সাথ থাকতে হোবে। হাপনার কাম হাসিল হলে পর হাপনি এখান হতে খালাস পাইবেন লেকিন এক শর্ত মে, যদি বেইমানি করবেন এই দুনিয়া হতে হট যাইবেন। মিষ্টার চৌবে দেবদাস বাবুকে সমঝে দিন ক্যায়সে কাম হাসিল হোবে। জরুরি কামমে হামি বাহার যাচ্ছি।

মিষ্টার চৌবে শেষবারের মতো ডিরেকশান দিলেন। ও পরের পর কাজ বাতলে দিলেন। তাড়াহুড়ো করবার কোন প্রয়োজন নেই, তবে সর্বদা মনে রাখতে হবে কাজের সময় যদি কেউ বাধা দিতে আসে তাহলে প্রয়োজন হলে জীবন নাশও করতে হবে। তাতে ভাই, বন্ধু আত্মীয় পরিজন যে কোন ব্যক্তি হোক না কেন। একটা পিস্তুল তার হাতে তুলে দিলেন। অবশ্য কাজ শেষ হলে ওটা ফেরৎ দেবার নির্দ্দেশ রইলো। বারবার সতর্ক করে দিলেন দেবীর কাজে যেন কোনরূপ বাধা না পড়ে।

পর দিন সন্ধ্যের সময় দেবীর অভিযান শুরু হলো। থমথমে কালো অন্ধকারে বুকচিরে এগিয়ে চলেছে কলেজের ল্যাবরেটরি রুমের দিকে। আকণ্ঠ মদ পান করেছে।
তবুও চলতে চলতে পা কাঁপছে না দেহ তার পরিশ্রান্ত হচ্ছে না। দেবী স্বচ্ছন্দে হেঁটে চলেছে। ল্যাবরেটরি রুমের পাশে কয়েকটা ছোট ছোট ঘর সময় বিশেষে ও গুলো নিয়ে মেডিকেল ছাত্রদের মধ্যে গবেষণা হয়ে থাকে।

Monday, December 26, 2022

13404 শূন্য পদে রাজ্যের স্কুলে স্কুলে প্রচুর গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি ও নন টিচিং স্টাফ নিয়োগ || School Group-D Group-C Non Teaching Staff Recruitment || West Bengal jobs 2023 || WB job 2023


 


পশ্চিমবঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। বহুদিন স্কুল কলেজের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। প্রকাশিত হয়েছে নতুন চাকরি বিজ্ঞপ্তি। সমগ্র রাজ্য তথা সারা দেশের সকল ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক পাস বেকার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি বিশাল বড় সুখবর। আর সেটি হল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা প্রতিটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় গুলিতে বিভিন্ন ধরনের গ্ৰুপ 'সি' সহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক পদে কর্মী নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এখানে মোট ১৩ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ হতে চলেছে, যা অফিসিয়াল নোটিফিকেশনে জানানো হয়েছে। আর যেহেতু সমগ্র দেশ জুড়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে তাই সমগ্র দেশের যে কোনো জায়গা থেকে ন্যুনতম উচ্চমাধ্যমিক পাস যোগ্যতার ছেলে মেয়ে উভয় বেকার চাকরিপ্রার্থীরা এখানে চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব। 




নিয়োগকারী সংস্থা ও শূন্যপদ গুলির নাম:-

কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে কোন কোন পদে নিয়োগ হবে তার একটি তালিকা দেওয়া হল-

• Stenographer Grade II
• Assistant Commissioner
• Senior Secretariat Assistant
• Assistant Section Officer
• Post Graduate Teacher
• Finance Officer
• Librarian
• Primary Teacher (Music)
• Trained Graduate Teacher
• Assistant Engineer (Civil)
• Principal
• Vice Principal
• Junior Secretariat Assistant



শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স ও বেতনের পরিমাণ:-

উপরিউক্ত শূন্যপদ গুলিতে চাকরির জন্য আবেদন করতে হলে যে ক্ষেত্রে যে ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন সেগুলি হল-


Stenographer Grade II-

উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এছাড়াও কম্পিউটারে টাইপ করার ক্ষেত্রে মিনিটে ৫০ টি ইংরেজি শব্দ ও ৬৫ টি হিন্দি শব্দ টাইপ করার দক্ষতা থাকতে হবে। 
আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছর। 
সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।
Ex-Serviceman এ রা ৩-১০ বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন। 
বেতন দেওয়া হবে প্রতিমাসে ২৫,৫০০-৮১,১০০ টাকা।

Junior Secretariat Assistant-

উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এছাড়াও কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং কম্পিউটারে মিনিটে ৩৫ টি ইংরেজি শব্দ এবং ৩০ টি বাংলা শব্দ টাইপ করার দক্ষতা থাকা আবশ্যক। 

 এখানে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮-২৭ বছর। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।
Ex-Serviceman এ রা ৩-১০ বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন। 
বেতন দেওয়া হবে প্রতিমাসে ১৯,৯০০-৬৩,২০০ টাকা।



Librarian-

 Library Science এ ব্যাচেলার ডিগ্ৰি Complete করে থাকতে হবে। সঙ্গে Library Science এ ১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স ও Complete করে থাকতে হবে। ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় কাজ করার জ্ঞান থাকতে হবে এবং কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে। 

এখানে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮-৩৫ বছর। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।
Ex-Serviceman এ রা ৩-১০ বছর পর্যন্ত বয়সের ছাড় পাবেন।

বেতন দেওয়া হবে প্রতিমাসে ৪৪,৯০০-১,৪২,৪০০ টাকা। 


Primary Teacher(Music)-

 কমপক্ষে ৫০% নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এছাড়াও কোনো সরকারি কলেজ থেকে Music নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্ৰি Complete করে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে কম্পিউটার নলেজ ও হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় কাজ করার জ্ঞান থাকতে হবে।

 এখানে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।
বেতন দেওয়া হবে প্রতিমাসে ৩৫,৪০০-১,১২,৪০০ টাকা।



     বাকি যে সমস্ত পদে আবেদন চলছে তার সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি পড়তে নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ ক্লিক করুন।


আবেদন পদ্ধতি:- 
শুধুমাত্র অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।
আর তার জন্য যা যা করতে হবে সেগুলি হল-

১) সর্বপ্রথম এই বিজ্ঞপ্তির নীচে দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লেখাটিতে ক্লিক করে অথবা মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে browser open করে search box এ এই দপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.kvsangathan.nic.in লিখে search করতে হবে।
২) এরপর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট Open হলে সেখান আগে নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন Complete করতে হবে।
৩) রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে আপনাকে একটি বৈধ ইমেল আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে সেটি দিয়ে Login করতে হবে।
৪) এরপর এই দপ্তরে চাকরির জন্য আবেদন করার অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম টি আসবে সেখানে আপনার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, অভিভাবকের নাম, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জেন্ডার, বয়স, ঠিকানা, আধার নম্বর, একটি বৈধ ইমেল আইডি ও ফোন নাম্বার ইত্যাদি লিখে ফর্ম টিকে ফিলাপ করে ফেলতে হবে।
৫) এবং এরপর আপনার recent তোলা এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো ও আপনার নিজের করা একটি সিগনেচারের ছবি তুলে স্ক্যান করে ফর্মের মধ্যে সঠিক স্থান অনুযায়ী আপলোড করে দিতে হবে।
৬) এরপর আপনার নিজের যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার ডকুমেন্টস সহ অন্যান্য সব ডকুমেন্টস গুলির ছবি তুলে স্ক্যান করে ফর্মের নির্দিষ্ট স্থানে আপলোড করে দিন।
৭) এরপর আবেদন মূল্য হিসেবে জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থীরা যে যে পদের জন্য আবেদন করবেন সেই পদ অনুযায়ী কত টাকা করে আবেদন মূল্য দিতে হবে তা আবেদন করার আগে অফিসিয়াল নোটিফিকেশন থেকে জেনে নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে জমা করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই আপনার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শেষ। তবে সংরক্ষিত শ্রেনীর প্রার্থী ও মহিলা প্রার্থীদের কোনো রকম আবেদন মূল্য দিতে হবে না।
৭) সবশেষে এই অ্যাপ্লিকেশান ফর্মের সাদা A4 সাইজ পেপারে একটি প্রিন্ট আউট বের করে নিজের কাছে যত্ন করে রেখে দেবেন।



গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট:-
যেসমস্ত ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে নীচে আলোচনা করা হল -

১) বয়সের প্রমানপত্র হিসেবে মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বা বার্থ সার্টিফিকেট।
২) দেশের এবং রাজ্যের স্থায়ী নাগরিকত্বের প্রমান হিসেবে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড।
৩) সমস্ত শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কসীট ও সার্টিফিকেট।
৪) এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটো।
৫) ওয়ার্ক এক্সপিরিয়েন্স সার্টিফিকেট।
৬) কাস্ট সার্টিফিকেট যদি থাকে।
 


নির্বাচন পদ্ধতি:-
এখানে চাকরির জন্য প্রথমে নেওয়া হবে কম্পিউটার  বেসড পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের নাম একটি শর্টলিস্ট করে সেই অনুযায়ী ইন্টারভিউ লেটার পাঠিয়ে ইন্টারভিউ ও ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন এর জন্য ডাকা হবে। 
সব শেষে যারা পাস করবেন তাদের জয়েনিং লেটার পাঠিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।


আবেদন করার সময় সীমা:-
আবেদন শুরু -  ৫/১২/২০২২
আবেদন শেষ - ২৬/১২/২০২২ রাত ১২টা


OFFICIAL NOTICE:

OFFICIAL WEBSITE: 


APPLY NOW: 

______________________________________________
চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-





Whatsapp group-



Sunday, December 25, 2022

রাজ্যে রূপশ্রী প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ, বেতন ১৫ হাজার টাকা || Rupashree Prakalpa Work Recruitment in Purulia || Rupashree Prakalpa Work Recruitment 2022-23



পশ্চিমবঙ্গের চাকরি প্রার্থীদের জন্য সুখবর। রাজ্যে চালু হওয়া রূপশ্রী প্রকল্প, এই প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো এই নিয়োগটি পুরুলিয়া জেলার ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের অধীনে করা হবে। আপনারা অবশ্যই জানেন রুপশ্রী প্রকল্প রাজ্য সরকারের অধীনস্ত একটি প্রকল্প। যা মুখ্য মন্ত্রী দ্বারা পরিচালিত হয়।

তাই বর্তমানে যেসমস্ত চাকরি প্রার্থী সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, মাসিক বেতন কত দেওয়া হবে, বয়সসীমা কত থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে তা নিচে থেকে পরপর জেনে নেব। 




পদের নাম:  একাউন্টেন্ট (Accountant)


মাসিক বেতন:  প্রতি মাসে 15 হাজার টাকা আপনাকে বেতন দেওয়া হবে।


বয়সসীমা:  আবেদনকারীর বয়স 18 থেকে 40 বছরের মধ্যে থাকতে হবে। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।



শিক্ষাগত যোগ্যতা: 

কমার্স বিষয়ে অনার্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন পাস করতে হবে।
কম্পিউটারে MS Office Package এর কাজের জ্ঞান লাভ করতে হবে। 
সেইসাথে স্পিড শীট, ট্যালি এবং প্রেজেন্টেশন প্যাকেজ এর কাজের জ্ঞান লাভ করতে হবে। 


শূন্যপদ: 
3 টি (UR-1, SC-1, ST-1) 

নিয়োগ প্রক্রিয়া: 
প্রথমে হবে লিখিত পরীক্ষা, তারপর হবে কম্পিউটার টেস্ট এবং সব শেষে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাই করে নিয়োগ করা হবে। 

লিখিত পরীক্ষা– 50 নম্বর 
কম্পিউটার টেস্ট– 40 নম্বর 
মৌখিক পরীক্ষা (Viva Voce)– 10 নম্বর


লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস: 
অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস দেওয়া রয়েছে। নিচের দেওয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংকে ক্লিক করে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি ডাউনলোড করে এই বিষয়ে দেখে নিতে পারবেন। 


আবেদন প্রক্রিয়া: 
পুরুলিয়া জেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (purulia.gov.in) থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য আবেদন করার অফিসিয়াল লিঙ্ক নিচে দেওয়া রয়েছে। ওই লিংকে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন করা যাবে। 


গুরুত্বপূর্ণ তারিখ (Important Dates) 

নোটিশ প্রকাশ - 15.12.2022
আবেদন শুরু -         15.12.2022
আবেদন শেষ -  30.12.2022



গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কগুলি (Important Links)  👇👇

Official Website -

Official notice -


Apply Now -


______________________________________________
চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-





Whatsapp group-

Friday, December 23, 2022

WB Water and Irrigation Department Recruitment 2022 || পশ্চিমবঙ্গে জল সেচ দফতরে নতুন নিয়োগ || আবেদন চলবে ২৭ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত || সেচ ও জল দফতরে কর্মী নিয়োগ


 


রাজ্য বাসীর কাছে নতুন সুখবর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ ও জলদপ্তর নতুন নিয়োগ এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল। এই নিয়োগ টি পশ্চিমবঙ্গের পাবলিক সার্ভিস কমিশন (WBPSC) দ্বারা  সম্পন্ন করা হবে।

আমাদের রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকেই চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন। এই চাকরির বিশেষ যোগ্যতা থাকলে তবেই এই চাকরির জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তাই কোন কোন পদে নিয়োগ করা হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক কি লাগবে, কিভাবে আবেদন করতে হবে, বেতন কত পাওয়া যাবে ইত্যাদি বিষয়ে নিচে থেকে এক এক করে দেখে নিন। 



বিজ্ঞপ্তি নম্বর: 15/2022

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ: 03.12.2022

আবেদনের মাধ্যম: সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।


সম্পূর্ণ তথ্য:-

পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল (Assistant Engineer, Mechanical and Electrical) 

মাসিক বেতন:  56,100-1,44,300 টাকা। 

বয়সসীমা: এই পদে আবেদনকারীর বয়স 36 বছরের কম হতে হবে। বয়সের হিসাব করতে হবে 01.01.2022 তারিখ অনুযায়ী। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন।


শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইউনিভার্সিটি থেকে মেকানিক্যাল অথবা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডিগ্রী থাকতে হবে। সেই সাথে এক বছরের পোস্ট গ্রাজুয়েট প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং অথবা রিসার্চ এর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

শূন্যপদ: 16 টি 

আবেদন প্রক্রিয়া: 
(1) পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ WBPSC এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইন ছাড়া অন্য কোন উপায়ে আবেদন করা যাবে না।

(2) তাই যোগ্য এবং ইচ্ছুক চাকরি প্রার্থীকে প্রথমেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।

(3) রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে লগইন ডিটেলস ফিল করে লগইন করতে হবে। এরপর আবেদনের মেইন পেজ খুলবে।

(4) এখানে আবেদনকারীকে তার নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্যান্য দরকারি তথ্যগুলি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।

(5) অনলাইন ফর্ম পূরণ করা হয়ে গেলে সবশেষে আবেদন ফি জমা করে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ফাইনাল সাবমিট করার আগে তথ্যগুলি ঠিকঠাক দেওয়া হয়েছে কিনা একবার মিলিয়ে নেওয়া ভালো। 


আবেদন ফি: 
আবেদন ফি বাবদ 210 টাকা অনলাইনের মাধ্যমে পে করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষিত প্রার্থী তথা SC, ST, PwD শ্রেণীদের ক্ষেত্রে আবেদন ফি লাগবে না। 


গুরুত্বপূর্ণ তারিখ (Important Dates) 

নোটিশ প্রকাশ - 03.12.2022
আবেদন শুরু -  06.12.2022
আবেদন শেষ - 27.12.2022


গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্কগুলি (Important Links)  👇👇

Official Website -

Official notice -

Apply Now -

_______________________________________

চাকরি সংক্রান্ত আপডেট পেতে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন




Telegram group-





Whatsapp group-