Friday, August 2, 2024

শৃংখলা - সত্যেন্দ্রনাথ পাইন || Srinkhola - Satyendranath pain || Article || Essay || প্রবন্ধ || নিবন্ধ

 শৃংখলা

    সত্যেন্দ্রনাথ পাইন

 ‌‌ 


 শৃংখলা একটা মশলা। যা দিয়ে নতুন বসন্তে নতুন করে সাহিত্যের নবজীবনের লক্ষণ প্রস্ফুটিত হয়।।

   শৃংখলা শিখতে হয়। সেটা একেবারে গোড়ায় পরিবারের মধ্যেই আত্মপ্রকাশ করে। আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকেও শৃংখলা জন্মগ্রহণ করে।

সেই শৃংখলা, বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যদি না থাকে তাহলে সৈন্য বাহিনী যেমন ছন্নছাড়া তেমনি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো শৃংখলা। সেটা ভুললে চলবে না।

   শৃংখলাবদ্ধ প্রাণী হিসেবে আমরা মানুষ কে বেছে নিয়েছি। সেই মানুষ যদি শৃংখলা বদ্ধ না হয় তাহলে কিসের সমঝোতা এবং কিসের সমাজের মধ্যে প্রয়োজনীয়তা? আমরা তাই শৃংখলাবদ্ধ‌ হয়ে যদি না চলি তবে পদে পদে বিপদ মাথা চাড়া দেবেই।

   আমাদের দেশে শৃংখলা বাহিনীর মধ্যে নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনীর নাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

   বিশাল ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে আজাদ বাহিনী যে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল সেটা শৃংখলার ই প্রকৃষ্ট উদাহরণ নয় কি! আমরা বর্তমানে যে পরিমান উচ্ছৃঙ্খল আচরণের প্রকাশ লক্ষ্য করছি সেটা আমাদের নৈতিক পরাজয় বলেই মেনে নিতে হবে।।।

     বর্তমানে শৃংখলা শিখতে গিয়ে আমরা যেটা করছি তা মোটেও গ্রহণযোগ্য কি? ।-।। আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের মধ্যে বিরাট অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে এ ব্যাপারে।

    আমাদের মধ্যে সর্বদাই একটা অসহনীয় উচ্ছৃঙ্খল আচরণের প্রকাশ লক্ষ্যিত হচ্ছে। । শৃংখলা রক্ষা কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। কেন, কিসের প্রয়োজনে?..

   বিদ্যালয়ে যে শৃংখলা ছিল এখন সেটাতেও বড়ই ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু কেন?

  শৃংখলা বাহিনীর মধ্যেও যেন শৃংখলার অভাব! যে শাসক সেই শোষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ।...

    আমিও নিজেই যেন শৃংখলা হীন হয়ে পড়েছি।

যে ছেলেমেয়েদের আমাকে রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত ঠিক মতো করছে না-- এই অজুহাতে। এটাও সুলক্ষণ নয় নিশ্চিত। তবুও নিজের গুণাবলী প্রকাশ‌ না করে ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে সেটা কি শৃংখলাহীনতা বোঝায় না!

 মানুষের মনে আমার সম্বন্ধে যতটুকু সহানুভূতি প্রকাশ পায় সেটা পরক্ষণেই হাসির খোরাক হয় নাকি ! 

 অতএব সেটা সর্বতোভাবে বর্জনীয়।

       মশাল টা জ্বালিয়ে রাখতে জানতে ‌হয়। আমাদের ভারতীয় দের মধ্যে সে দুঃসাহসী টিনটিন আছে বলেই আমাদের সুশৃঙ্খল হবার বাসনা। বিবেকানন্দ ‌বোধহয় জানতেন আমাদের ভাষাটার মধ্যে দ্বিধা - দ্বন্দের মেঘটাকে সরাতে পারলেই হবে আমাদের সাহিত্যের প্রতি , সমাজের ‌প্রতি ন্যায্য অধিকার এবং সুন্দর সুশৃঙ্খল মানবজাতির ভবিষ্যত ।

আমাদের বিবেকানন্দ আজ আর বেঁচে ‌নেই। আছে ‌তাঁর অমোঘ বারতা। আমরা শৃংখলা বদ্ধ হলেই ঘটবে মহাপ্রলয় ।

 বিবেকানন্দ ‌বোধহয় ভুল করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন আমাদের নৈতিকতা এবং অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি র আস্বাদ পাবার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট তথ্য ও‌ শৃঙ্খলতা বোধ।। আমাদের সেই হেন শৃঙ্খলা আজ ভেঙে খানখান। ক্লান্ত‌শিশু যেমন মায়ের বুকে ঘুমিয়ে পড়ে কিছু না জেনে , না বুঝে এ- ও‌ যেন সেই রকম। আমাদের শৃংখলার বড়ই এখন অভাব। স্বামীজীর কথায় কান দিয়ে যদি আপামর জনগণ শৃংখলাবদ্ধ হয় সেটা বড়ই মঙ্গলের হবে । আমরা পেয়েছি সিস্টার নিবেদিতা কে। তিনিই স্বামীজীর বানী প্রচার ‌করে‌ বস্তিতে বস্তিতে আগুন জালিয়ে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় যে‌ শৃঙ্খলার জন্য দরবার করেছেন সেটাই শিক্ষনীয় বিষয় নয় কি! আমাদের সাহিত্য আঙিনা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আমাদের পরনির্ভরতার গ্লানি।

এসময় আমাদের আরও বেশি সুশৃঙ্খল হতে হবে, পাঁচিল টপকে পদ্ম চক্ষু উন্মোচিত করে মুখে প্রশান্তির জন্য স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে হবে।লাঠি , মুগুরের দরকার নেই , দরকার আছে নিরবচ্ছিন্ন অধ্যাবসায়। এবং মুক্তির জন্য শৃংখলাবদ্ধতার কর্মযজ্ঞ।। আমাদের মননে আইরিশ বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। 

   আমাদের মধ্যে সর্বদাই স্বাধীনতা আন্দোলনের মুখে "মৃদু" আর্তনাদ ধ্বনিত হয়নি। হয়েছে শৃংখলা বাহিনীর একটা সুমহান আদর্শ।!

   আমাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে " অনুশীলন সমিতির" পূর্নিমার চাঁদের আলো।। মহাধ্যানে মহাযোগী হয়ে যেতে শৃংখলা রক্ষা করতে হবেই হবে।। আমাদের মধ্যে আছে শ্যামসুধা তরঙ্গিনী, কালী সুধা তরঙ্গিনী উপস্থিতি তৈরি করার। নির্বাহিত হবে যেখানে বিরাট তপস্যায় তুষ্ট করার স্বামীজীর অমোঘ বাণী।

 আমাদের মধ্যে সর্বদাই অতীত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে সদলবলে বক্তৃতার বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার প্রবণতা।। তাঁর জন্য শৃংখলা খুবই জরুরি। আমাদের আয়ু বেশী নয়,। সেই অল্প আয়ুর মধ্যেই আমাদের দিন ফুরিয়ে আসছে মনে করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলিয়ে না দিয়ে আসুন না সবাই মিলে একজোট হয়ে শৃংখলাপরায়ন হই।।

  আমাদের সমাজ ও সাহিত্যের উন্নতি হবেই হবে। আমাদের শ্রীরামকৃষ্ণমুখী হয়ে স্বামীজীর সহিত একাত্ম হতে হবে।। স্বামীজীর নির্দেশ মেনে চলতে শৃংখলা পরায়ন হয়ে প্রজ্বলিত দীপশিখা নিয়ে চলতে হবে দূর পানে সন্তানকে অভয়বাণী শোনাতে। যিনি যতবড় ই হোন না কেন শৃংখলা তাঁকে মানতেই হবে। ব্যাংক ম্যানেজার, স্কুলশিক্ষক, প্রফেসর বা সাংসদ, বিধায়ক যিনিই হোন।।

শৃংখলা একটা সুনির্দিষ্ট তথ্যসম্বলিত কর্মস্থলে নিয়ত প্রাণিত করে। কাল রাতে আমি যদি আর না বাঁচি এই ভাবনায় ভাবিত হয়ে শৃংখলা পরায়ন হয়ে প্রজ্বলিত দীপশিখা নিয়ে এগোতে হবে। তবেই হয়তো মিলবে মুক্তির আস্বাদ। স্বামীজীর চিরনিদ্রায় শায়িত। আমরা সত্যিই কি সেই শিক্ষা নিয়ে চলতে পারছি!!!! নতুন স্বামীজী আর হয়তো আসবেন না। কিন্তু আমরা কি সত্যিই তাঁকে দর্শনে পেতে চাই! তাহলে শৃংখলা অবশ্যই চাই।

    অতএব শৃংখলা খুবই জরুরি।

  পড়ে উত্তর দেবেন আশা করি।

Manasi - Md Mazharul Abedin || English poem || English poetry

 Manasi

Md Mazharul Abedin 




Manasi,you are the most beautiful flower of the garden,

Protected you are,encircled by an illusion fence.

So many flowers bloomed here but I never cared them,

None but to you I stare at with sexual lust.

So many flowers bloomed with full spring spirit,

Filled with their fragrance bees buzz on them.

Only you could not be touched in pollen mating

I, your bee,have come, come,let's have a close meet.

Open your petals,have a lustful look

Let me unfold my wings and sit on you to suck honey.

I am too restless, forward your lips for me.

Let me give touch-complacency and enjoy great happiness.

I am continuing flying over you,allow me to sit!

Don't be so shy,open your petals.

SP Manasi, you are the spring bloom blended with attracting colour.

Hurry up,if Spring passes,you will commit a great mistake.

If your Spring doesn't get the touch of a bee

Why did you bloom?- my he

art questions thee.

Khudiram Basu, In The Memory Of The Eldest Sister ,Aparupadevi - Samir Kumar Dutta || English poem || English poetry

 Khudiram Basu, In The Memory Of The Eldest Sister ,Aparupadevi

      

           Samir Kumar Dutta

           


The boy had given me peace not even a moment.

He is not my son ,like my child,

My youngest brother ,

I was the eldest sister, just like his mother.


All the male children of my mother died soon after their birth,

At last I bought him from my mother with the fragments of rice,

Since then he had become my son by the name Khudiram .


Registering his name in a revolutionary party without thinking of his future

He plunged into the mission of saving his motherland from the British ,

Late at night secretly having his dinner in the cow shed

He would go into hiding in the darkness of night

Throwing dust into the eyes of the British police .


It remained unknown to him whether his motherland would have been free 

Because he passed away untimely by mistakenly killing an innocent British,

He mistakenly killed an innocent British

But the British knowingly killed him to take revenge

By giving him a capital punishment ,

He was hanged and became a martyr.

At the time of hanging standing on the gallows

He gallantly uttered 

'BANDE MATARAM.'


Nobody cares for remembering his birthday

because of not being a big gun,

But sacrificing death is always memorable and heart rending 

So, knocks on every door,

Exceptional is only the scaffold in Muzaffarpur jail,

His glorious indwelling spirit is worshipped with love and respect.


The coming of khudiram after several deaths

Was for the life to be devoted to the service of motherland

And so he came and so he departed without saying,

The immortal son of the Bengali mother remains martyr

The first martyr of Bengal,my childlike brother of pride, patriot and valorous Khudiram.

       'BONDE MATARAM '

সুহাগ আলার মাঝে - চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী || Suhag Alarm Majhe - Chiranjit vandari || আঞ্চলিক কবিতা || Regional Poem || Regional poetry || কবিতা || Kobita || poems || poetry

 সুহাগ আলার মাঝে

       চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী



ল্যা ঠিরকি চড়ছ্যে ব্যালা দ্যা তো মুড়ি বাঁধ্যে 

লাল গামছা ল্যাপট্যে লিব্য পাথর ফুটা কাঁধ্যে।

ঢেলা,ফাবড়া,চাঁদু,কাঁদু মিলে হিঁচত্যে যা ডুবা

সিনিটা লিয়েছে যুতাই উপুর পাড়ার লুবা।

একটুকদু ধরো গ সবুর তাতকে লি গুয়ালটা কাড়্যে

গরু গুলান ভেবাছ্যে বেদম পালে দাও গা ছাড়্যে।

ব্যাবাক কাজ আছে পড়ে উঠোন মাটি জুড়্যে 

ছুঁচ মাটিতে লেপত্যে হবেক কাল উনান গেছে লড়্যে।

ল্যা গ ল্যা আজ ততটা নাই ভাত রাঁধার তাড়া

সেই কত বেলায় আসব্য লাড়ব্য দরজার কড়া।

লাও লাও ধরো বাঁধ্যে দিয়েছি টাটকা ভাজা মুড়ি 

মাছ আনত্যে দিব নাকি সাদা বাঁশের ঝুড়ি।

মশলাটা রাখব্য ভরে শীল নোড়াটায় বাট্যে 

গরম ভাতে চুনোমাছের ঝাল মারব্যে বেদম চাট্যে।

না না লাগবেক নাই চাঁদু দাদা লিয়েছে ডাগর ঝুড়ি 

যাছি তো হুদক্যে পাড়ার সবাই হব জনা কুড়ি।

তুই বরং দ্যা গ যুতাই সাজাই খান কতেক পানের খিলি 

পান চিবাঞ্যে ঠোঁটটা লাল করে যাব কুলি কুলি।

ঠিক আছে গ  দিছি সব বাঁধ্যে লালগামছার খুট্যে 

আনব্যে তুল্যে কুইল্যাখাঁড়া শাক চাঁদ ফিরকির মাঠে।

ডোবাতে থাকল্যে গগলি আনব্যে পলাশ পাতে ভরে

দমে মিঠা খাত্যে লাগে ঝাল ঝাল রাঁধনা করে।

হঁ গ হঁ ইবার দ্যা তো দ্যাখি তোর ঐ ফিচিক হাসি দিয়ে

মনটা ভরি তুর মিঠা মুখের ছিটা চখের পাতায় লিয়ে।

এমন করেই সারাটা জীবন থাকব্য সুহাগ আলার মাঝে

মাদল তালে উঠব্য মাত্যে পিরিত লাচটা লাচ্যে।

স্মৃতিতে শ্রাবণ - বিজন বেপারী || Smritite srabon - Bijon bepari || কবিতা || Kobita || poems || poetry

 স্মৃতিতে শ্রাবণ

      বিজন বেপারী 


শ্রাবণের দিনে খুঁজি শিশুকাল বেলা 

নৌকায় হতো কতো জলকেলি খেলা।

ধানের জমিতে তুলি শাপলার ফুল 

হঠাৎ বর্ষা এসে ভিজে যেতো চুল।

জেলে ভাই ধরে মাছ সাথে গায় গান 

গান শোনে দাদুভাই মুখে খায় পান।

বন্যায় বাড়ে জল ধান গাছ ডোবে 

ছোট ছোট খোকাখুকি তারে শুধু ছোবে।

গাঁয়ের উঠোন ভরে বন্যার জলে 

কতো মাছ খেলা করে নৌকার তলে।

মামা নামে রাত্তিরে ধরবে সে মাছ

দাও দিয়ে কোপ মারে গিয়ে খুব কাছ।

শ্রাবণের পথে পথে জল আর জল

আজ সেই স্মৃতিগুলো করে শুধু ছল!




মরা জোছনার আলো - আবদুস সালাম || Mora jochonar Alo - Abdus Salam || কবিতা || Kobita || poems || poetry

 মরা জোছনার আলো

         আবদুস সালাম


মরা জোছনায় শোভা পায় বিমূঢ় চলাফেরা  

 মেঘেদের জলসাঘরে সেই পুরনো বৃষ্টির ঝমঝম আর নেই  

বৃদ্ধ মননে স্বনির্বন্ধ চলাচল


 মলিন ধুলো মাখা অবসর অপেক্ষায় আছে 

প্রতিবেশীর নগ্ন আস্ফালন না -বেঁচে থাকার রসদ জোগায়

 আবেগী ঘোড়ার খুরে উড়ছে ধূলো  

 অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় ভাঙ্গা আয়নায় দেখি নিজেকে

  বিভৎস নৈতিকতা ঘিরে উল্লাসে মাতে অনৈতিক আস্ফালন   

ফেলে আসা বিচিত্র অভিজ্ঞতার সামনে এসে দাঁড়ায়

  নির্জন পাড়ায় ডেকে ওঠে শেয়াল

বিস্তীর্ণ পরাজয় ঘিরে নৈশব্দ্য দল বাঁধে  


 অনৈতিকতার হাওয়া বুকে নিয়ে দিব্যি আত্মগোপন করে আছে 

স্বার্থপরতা - আনন্দ গোপাল গরাই || Sarthaporota - Ananda gopal garai || কবিতা || Kobita || poems || poetry

 স্বার্থপরতা

 আনন্দ গোপাল গরাই 



স্বার্থঘড়ির কাঁটাটা ঘুরছে টিক্ টিক্ করে

প্রতি পলে প্রতি সেকেন্ডে ভরছে ভাঁড়ার আমার।

তিল তিল করে গড়ে উঠা তিলোত্তমার মতো

গড়েছি আমি টাকার পাহাড়

ওরা যদি ঘোরে থালা হাতে করে

পথে ঘাটে দুয়ারে দুয়ারে

ক্ষতি কী আমার?

ওরা যদি কাঁপে শীতে ফুটপাথে শুয়ে

কীই যায় আসে আমার?

ওরা যদি অনশন করে রাজপথে বসে

আমি তো পারি জলকামান দিয়ে

ভেঙ্গে দিতে ওদের সেই প্রতিবাদের ভাষা!

ওরা যা করে করুক---ওরা যা পারে করুক

নি:শব্দে ভরে তো চলুক স্বার্থের ঝুলিটা আমার।

ওরা সব আবর্জনা

আমি বলীয়ান ---

আমিই তো মহান!