Posts

ছোট গল্প - দরজার পাশে || লেখক - রোহিত দাস || Written by Rohit Das || Short story - Dorjar pase

Image
দরজার পাশে   রোহিত দাস   সাহিত্য বিষয়টা চিরকালই‌ আমার কাছে বিরক্তিকর। তবে আজ হঠাৎ করে এভাবে খাতা কলম নিয়ে যে আকারনে তা নয়। বিগত কয়েক মাসে আমি যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, সত্যি-মিথ্যে, ভালো-মন্দের যুদ্ধের মাঝে এসে পড়েছি তা আমকে এই কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এতদিন মনের কথা শুনে আসা আমি পড়েছি আজ মাথার কোটি কোটি প্রশ্নের জালে। এই ঘটনার শুরু প্রায় আট মাস আগে। গত বছর বাবার আদেশে এম.এ কমপ্লিট করে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থায় চাকরির জন্য ছুটেও যখন কোন ফল হলো না, তখন বাবার অবাধ্য হয়ে নিজের গিটারিস্ট হবার লক্ষ্যে এগিয়ে গেলাম। এই নিয়ে বাবা বেশ রাগারাগি করলেও একপ্রকার জোর করেই করি। কলেজ শুরুর সময় যে দলের সঙ্গে পারফর্ম করতাম তারা এককথাতে রাজি হয়ে গেল আমায় দলে নিতে। আসলে গিটারে আমার হাত চিরকালই ভালো, এটা বাবাও অস্বীকার করতে পারবেন না। বেশ নাম করেছে এরই মধ্যে আমার দল। বছরের শেষ তখন, বেশ কিছু জায়গা থেকে শো এর ডাক পায় আমারা। কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু টাকা জোগাড় করে একবারে বাবার হাতে তুলে দেবো ভেবে একের পর এক জমজমাট শো‌ করতে লাগলাম। রাত করে বাড়ি ফেরা আর শো করতে একটু হলেও নেশা করা হয় ব

উপন্যাস - পদ্মাবধূ || বিশ্বনাথ দাস || Padmabadhu by Biswanath Das || Fiction - Padmabadhu Part -26

Image
  আমি দৌড়ে এসে শ্যামলীদিকে জাপটে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলাম। অসহ্য জ্বালা কোন প্রকারে দমন করতে পারলাম না। শ্যামলীদির চোখ দুটো জলে ভরে এলো। বহু কষ্টে অস্ফুট গলায় বলল, আর পারলাম না রে তোর বাবাকে বাঁচাতে। তোর কাছেও থাকার দিন ফুরিয়ে এলো। ভালোভাবে থাকিস। বাবাকে নিজের পরিচয় দে, বাকী জীবন আর ফুটপাতে কাটাতে দিস না। আসি রে।  শ্যামলীদি চলে যেতে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে কাঁদতে থাকলাম। একি করলে ঠাকুর, তুমি কি সদা সর্বদাই নির্দয়? এই পতিতার কান্না তোমার হৃদয়ের রুদ্ধ দুয়ারে কি আঘাত করতে পারে না? অসহায় নারীর দীর্ঘশ্বাস, চোখের জল এমনি করেই কি ব্যর্থ হবে? না, ঈশ্বরকে ডেকে কোন লাভ নেই।  শ্যামলীদিকে আমার কাছ হতে ছিনিয়ে নিয়ে গেলো, ওকে আর কেউ ফিরিয়ে আনতে পারবে না। এবার আমাকেও মরতে হবে। হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তির শিকার হতে হবে ও লাঞ্ছনায় জীবন কাটাতে হবে।  আমিও থানাতে যাবো, গিয়ে বলবো, আমিও তো এই দুঃকর্মে শ্যামলীদিকে পরিপূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছি। সেজন্য আমি কি অপরাধী নই? শ্যামলীদির সঙ্গে একই কারাবাস গ্রহণ করব। হঠাৎ কাসার বাসন পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেলাম, তাকিয়ে দেখি বাবা এগিয়ে আসছেন দরজার দিকে। কয়েক মুহুর্

ছোট গল্প - মৃত্যুই শেষ নয় || লেখক - তনিমা সাহা || Written by Tanima Saha || Short story - Mrityuy ses noi

Image
  মৃত্যুই শেষ নয় তনিমা সাহা সাবিত্রীর হাত-পা গুলো শুষ্কতার জন্য ফেটে গেছে। সেখান থেকে এখন রক্ত বেরোচ্ছে। সাবিত্রীর দুচোখ বেয়ে ঝরে পরছে গরম নোনা জল। তবে যতটা না শারীরিক কষ্টের জন্য সে কাঁদছে, তার চেয়েও বেশি কাঁদছে মনের যাতনার জন্য। আজ দুমাস হয়ে গেল মকবুল নেই। পুরোনো অভ্যেসে বালিশের তলায় হাত দিয়েই জোর চমকে উঠল সাবিত্রী। ভালবাসার বিয়ে মকবুল আর সাবিত্রীর। গরীব বলেই হয়তো বিধর্মে বিয়ে করতে বেগ পেতে হয় নি তাদের বিশেষ। পয়সাওয়ালাদের তো দেখে কিছু একটা হলেই ইয়া বড়ো বড়ো করে খবর ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে! কিন্তু তাদের বেলায় পরম দয়াময়ের কৃপায় সেসব কিছুই হয় নি। রিক্সা চালাতো মকবুল আর সাবিত্রী তিনটে বাড়ির রান্নার কাজ করত। কোনোরকমে টেনেটুনে ঠিক চলে যেত ওদের সংসার। খুব সুন্দর হাতের কাজ জানতো মকবুল। কিন্তু অভাবের তাড়নায় তার পড়াশোনা বা শিল্প ওইসব দিকে কিছু করা হয়ে ওঠেনি। তবে মকবুলের তাতে কোন আফসোস ছিল না।  সে বলতো, 'জানো তো সাবিত্রী আল্লাহ্ কখনোই সবদিক থেকে আমাদের মারে না। বই পড়া হয়তো বা হয়নি কিন্তু শিল্পকে আমি ছাড়িনি।'  বিবাহবার্ষিকীতে মকবুল বিভিন্ন সাজের জিনিস দিয়ে কখনও ফুলের মতো বা কখনো অন্য কিছুর আকা

ছোট গল্প - ব্রাত্য জীবন || লেখক - মিঠুন মুখার্জী || Written by Mithun Mukherjee || Short story - Bratto jibon

Image
  ব্রাত্য জীবন                   মিঠুন মুখার্জী সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মালেই সবার কপালে সুখ থাকে না। ছয় ষষ্ঠীতে ভাগ্যদেবতা যা লেখার লিখে দেয়, তাকে কেউ খন্ডন করতে পারে না। কলকাতা শহরের মস্তবড় এক ব্যবসায়ী দীপঙ্কর রায়ের দুই ছেলের পরে এক মেয়ে। ছেলে পছন্দ হলেও মেয়ে সন্তান তার একদম পছন্দ নয়। বছর পাঁচেক আগে তাঁর সহধর্মিনী আরও এক সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সেই সন্তানটি ছিল তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত। বাবা এই খবর পাওয়ার পর পন করেন এই সন্তানের মুখ সে জীবনে দেখবে না। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন অনাথ আশ্রমে এই সন্তানটিকে চুপিচুপি দিয়ে আসবেন। কথায় যা, কাজেও তাই। সকলের অমত থাকা সত্বেও মায়ের নাড়ি ছেঁড়া ধন নিয়ে যাওয়া হয়। সন্তান যেমনই হোক মায়ের কাছে সে সন্তানই হয়। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা একজন মা ছাড়া কেউ বুঝতে পারেন না।               আজ সেই তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানটি পাঁচ বছরে পড়েছে। অনাথ ছেলেমেয়েদের মাঝখানে পিতা-মাতা থাকা সত্ত্বেও অনাথের মতো মানুষ হতে হয় তাকে। এই অপরাধ কার? এদিকে অনাথ আশ্রমে তার নাম হয় বৃন্দাবনী। তার দুই দাদা যথাক্রমে অরুময় ও রাধেময়, এবং দিদির নাম শ্যামা।অরুময় ও রা

Special General Knowledge part -1 || October Current affairs in Bengali pdf download || RRb NTPC Gk || RRb group d Gk || Wbp si Gk || Wbp Constable gk || General Knowledge || Special Gk & current affairs Part - 1

Image
    Special General Knowledge part -1 1) মাও সে তুং এর উক্তিটি হল ‘Let a hundred flowers bloom'।   2) সুভাষচন্দ্র বসু পদত্যাগের পরে রাজেন্দ্রপ্রসাদ কংগ্রেসের সভাপতি হয়।  3) লর্ড কর্ণওয়ালিশ ভারতের পুলিশিব্যবস্থার প্রবর্তন করেন।   4) ১৮৭৬ সালে সুরেন্দ্রনাথ কর্তৃক ‘ভারতসভা' স্থাপিত হয়।  5) মহাত্মা গান্ধি বলেছিলেন, 'অস্পৃশ্যতা, মানুষ ও সমাজের বিরুদ্ধে চরম অপরাধ'।  6) জে পি নিয়োগী প্রথম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।  7) ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম ফাঁসিতে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম মোহবনি গ্রামে।  8) ভি ডি সাভারকার বলেছিলেন ‘সিপাহি বিদ্রোহ’ হল জাতীয় স্বাধীনতার একটি পরিকল্পিত যুদ্ধ।  9)আমির খসরু বলেছেন, 'ভারতীয় সঙ্গীত' শুধু মানুষকে নয়, প্রাণিদেরও মুগ্ধ করে।  10)ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণকেন্দ্রটি থুম্বাতে তৈরি হয়েছিল। 11) ইউনিট ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার সদর দপ্তরটি মুম্বইতে অবস্থিত।  12) দাদাভাই নৌরজি ‘মহান বৃদ্ধ' নামে পরিচিত। 13) জয়নাল আবেদিন কে ‘কাশ্মীরের আকবর' বলা হয়।  14) কিপলিং বলেছিলেন, 'East is East and West is  West and twain shal

রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ || বেতন ২৫ হাজার টাকা || WB health department Recruitment 2022

Image
  আবার নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে আমাদের রাজ্যে। অনেক গুলো পদে নিয়োগ করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এখানে চাকরি পেতে দিতে হবে না লিখিত পরীক্ষা। শুধু ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে। এটি একটি চুক্তিভিত্তিক পদ। কোন কোন পদে নিয়োগ হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা, মোট শূন্য পদ, আবেদন পদ্ধতি, নিয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ বিবরণ নীচে আলোচনা করা হল - পদের নাম -  নার্সিং স্টাফ কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট মোট শূন্যপদ - এখানে মোট ৮টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা - এখানে আবেদনের করতে হলে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে GNM নার্সিং কোর্স করতে হবে এবং কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দা হওয়া আবশ্যক। বয়সসীমা -   প্রতিটি প্রার্থীর বয়সসীমা অবশ্যই ২১-৪০ বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক। সংরক্ষিত প্রার্থীরা সরকারি নিয়মে ছাড় পাবেন। বেতন -   নার্সিং স্টাফ পদে মাসিক বেতন দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে মাসিক বেতন দেওয়া হবে ১৩ হাজার টাকা।  কীভাবে আবেদন করবেন -  এখানে শুধু মাত্র অফলাইনে ফর্ম জমা হবে। প্রয়োজনীয় নথি-স

ছোট গল্প - বাস্তবিক রূপকথা || লেখক - কল্যাণ সেনগুপ্ত || Written by Kalyan Sengupta || Short story - Bastobik rupkotha

Image
  বাস্তবিক রূপকথা কল্যাণ সেনগুপ্ত  কালো সালোয়ার কামিজ পড়া মেয়েটি তিন গলির সঙ্গমে দাড়িয়ে, খোঁজার দৃষ্টি নিয়ে এদিক ওদিক চাইলে ।তারপর আবার ডানদিকে ঘুরে হনহন করে এগুতে লাগল। আমার কাজ ওনাকে ফলো করা । গুটিগুটি চলেছি দূরত্ব রেখে. উত্তর কলকাতার গলি। ভাল করে আলো ঢোকেনা। এখন সন্ধ্যে সাত টা। মাঝে মাঝে কিছু জানলার এক ফালি আলো পড়ে আছে পথ দেখার জন্যে। তারপর আবার আলো আঁধারি। এরকম গলিতে কেন যে কর্পোরেশন ঠিকমত আলো দেয়না কে জানে। কোনো সময় দুই বাড়ির মাঝ খানের নর্দমা বা জমি ছিল এখন এক ফালি রাস্তা হয়ছে। এখানে রিক্সাও যায় না। কিছুদূর পরপরই তিন মাথা চার মাথার জংশন। ডানদিকে এগিয়ে হঠাৎ মেয়েটি উধাও। এদিকওদিক চাইছি হঠাৎ পিঠে টোকা । পিছন ফিরে বুক টা ধড়াস করে উঠল। সামনে কালো সালোয়ার পড়া মেয়েটি দাড়িয়ে। চোখে চোখ রেখে। মুখে তাচ্ছিল্য ভাব। মুখ বেঁকিয়ে দাঁত চিপে বললে " কিছু পেলেন? একেবারে হোঁচট খাবার মত অবস্থা। একজন সুন্দরী রাস্তায় এরকম প্রশ করছে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল "এ্যাঁ, আজ্ঞে? আমাকে বলছেন?" মুচকি মুচকি হাসি ঠোঁটের রেখে বলে " বলছি আজ সারাদিন পিছন পিছন ঘুরে কিছু পেলেন ?