Sunday, October 31, 2021

কবি পৌষালী সেনগুপ্ত -এর একটি কবিতা

 জয় 



যে কোনো ধর্মযুদ্ধ করবো জয়!

এটাই নিশ্চয়!

যে কোনো শত্রুকে পরাস্ত করতে দৃঢ় নিশ্চ্য়!

যে কোনো রাস্তা নিতে জীবনে নিজের সিদ্ধান্ত!

যে কোনো বিপদে মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবার জেদ!

জীবনের চড়াই উৎরাই সহজেই করব জয়!

আছে বুকের মধ্যে জেদ আর অদম্য লড়াই!

জীবনের লড়াই জিতবোই এটাই দৃঢ় নিশ্চয়!

কবি বিধান সাহা -এর একটি কবিতা

 অসহায়তা

 


কেমন যেন হতাশা

ক্রমশঃ এসে

ঘিরে ধরছে আমায়


আবেগ ঘন স্বপ্নের মোহনা

দিচ্ছে না উঁকি


আরও নতুন চেহারায়

আসছে না এগিয়ে

জীবন যাপনের

মধু মুহূর্ত গুলো


মেলে ধরছে না

ভবিষ্যতের আলোছায়া


কেঁদে উঠছি ক্ষণে ক্ষণে

অসহায়তার বেড়াজালে জড়িয়ে...

কবি সেখ নজরুল -এর একটি কবিতা

 নীল পদ্ম




হাজারো স্বপ্ন দেখেছি ওই পদ্ম পাড়ে,

অনেক আশা নিয়ে হাজির তোমার মনের দুয়ারে।

সময়ের সন্ধিক্ষণে তোমার সাথে হল দেখা,

মনের মধ্যে তোমার রঙিন ছবি আঁকা।

জীবনের শেষ লগ্নে দিয়েছি হাত বাড়িয়ে,

দিওনা অঙ্কুরে তার বিনাশ ঘটিয়ে।

চিরদিন থাকবে তোমার দিকে আমার টান,

ভালোবেসে যাবো যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ।

পাগল হয়েছি তোমার কাজল কালো চোখে,

তোমায় পাশে নিয়ে থাকবো সারা জীবন সুখে।

হারিয়ে যাবো দুজনে স্বপ্ন সাগরে,

তোমার আমার দেখা হবে ঘুম ভাঙা ভোরে।

হৃদয় কাঁপিয়ে তোলে তোমার ওই গোলাপি ঠোঁটের হাসি,

তোমার ঐ মিষ্টি চোখের চাওনি বড়ই ভালোবাসি।

হঠাৎ দেখা হবে ওই নীল পদ্ম পাড়ে,

মনের উষ্ণতা নিও সিক্ত করে।

কানে কানে বলবো মনের না বলা কথা,

সোহাগের জোয়ারে ভাসবো তোমার কোলে রেখে মাথা।

কবি অভিজিৎ দত্ত -এর একটি কবিতা

 একটি বর্ষণমুখর দিনের কথা




বর্ষণ মুখর দিনে

বসে ভাবি আনমনে

অতীতের কত স্মৃতি, কত কথা

কিছু দেয় আনন্দ, কিছু দেয় ব‍্যাথা।


বর্ষার জলের ধারার মতো

মনে পড়ে যায় কত কথা

ছোটবেলায় বর্ষার সময় 

কতবার খেয়েছি আর আনন্দ করেছি

খিচুড়ি সঙ্গে ইলিশ ভাজা।


বর্ষার জলে সিক্ত ধরিত্রী 

মনে করায় পুরোনো প্রেমিকার কথা

সেও তো একসময় ছিল 

বর্ষার মতো উচ্ছল,তরতাজা।


বর্ষার দিনে কত কিছু জাগে মনে

হারমোনিয়াম নিয়ে শুরু করি গান

প্রাণে দেয় এক অদ্ভুত আরাম।


বর্ষার দিনে কারো,কারো হয় খুব কষ্ট

যাদের নেই ঠিকমতো অন্ন ও বস্ত্র

যাদের নেই ঠিকমতো রোজগার

তারা হয়ে পড়ে বেকার।


বর্ষার দিনে ভালো-মন্দ মিলে

দিন যায় চলে 

একটি বর্ষণ মুখর দিনে

কারো কাটে কষ্টে, কারো আনন্দে।

কবি আশীষ কুন্ডু -এর একটি কবিতা

 বেলাশেষের কবিতা 



বেলা শেষে আকাশ কালো 

তুমি এলে আড়াল থেকে মনভোলা 

বৃষ্টি ভেজা বাতাসে সমুদ্রের গন্ধ

বদ্বীপে মাতলা নদীর সুর বাজে 

সফেন তান্ডবে বিদ্ধ বিদ্যাধরী 

বোধহয় দেখছিলে তুমি গাছেদের দীর্ঘশ্বাস 

কিংবা লুপ্তপ্রায় কোনো সভ্যতার লজ্জাটুকু

বিকেলের ছায়া ঘন হয়ে আসে

এমন সময়হীন সময়ে তোমার অবলোকন 

একটি বর্ণালী রচিত আবহে

বেলা শেষের কবিতা মনে পড়ে গেলো।

কবি নীতা কবি মুখার্জী -এর একটি কবিতা

 মানুষের জন‍্যই ধর্ম

                  



ধর্মের নামে কাটাছেঁড়া করিস, করিস রে হানাহানি

সবার উপরে মানুষ সত‍্য এই কথাটাই মানি

মান, হুঁশ নিয়ে জন্ম নিলাম মাটির ধরনী মাঝে

ভাইয়ের রক্তে বিজয়ী হওয়ার উন্মাদনা কি সাজে?


জগৎ জুড়ে একটাই জাতি, শ্রেষ্ঠ মানুষ জাতি

মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে হিংসার খেলায় মাতি

হিন্দু, মুসলিম, শিখ, ইশাহী, ব্রাহ্মণ, বৌদ্ধ

সব যে তোরা ভাই ভাই, ওরে, কেউ নয় বধ‍্য।


"ঈশ্বর একম্ এব অদ্বিতীয়ম" এই কথাটাই সার

তবে কেন সব ধর্মকে নিয়ে করে শুধু মার মার?

রামকৃষ্ণ মন্ত্র দিলেন সব এক জাত মানি

যত মত তত পথ আছে, তাই কোরোনাকো হানাহানি।


মানবিকতার এই সনাতন ধর্ম প্রাচীন, মহান, মহৎ

বিবেকানন্দ দেখালেন ,তাই দেখলো বিশ্বজগৎ

হজরৎ বলো, নানক বলো, বুদ্ধ-তথাগত

অহিংসার পথ দেখালেন তাঁরা, একই ধর্মমত।


একই রূপের দুই নাম হলো আল্লাহ্ ও ঈশ্বর

মানুষের চেয়ে বড়ো কিছু নাই, মানুষই সর্বেশ্বর

মহান সম্রাট আকবর দিলেন নতুন ধর্মমত

দীন-ইলাহীকে কুর্ণিশ করি, পাই জীবনের পথ।

সব ধর্মের এক সার শোনো,শোনো রে মানুষ ভাই

ধর্মকে ধরে রাখতে হলে আগে তো মানুষ চায়।

কবি মহীতোষ গায়েন -এর একটি কবিতা

 আত্মরক্ষার অনুশীলন




কিছু রক্তপাত অথবা শূন্য আস্ফালন

বিক্রি হয়েছে নিজস্ব কণ্ঠ ও স্পন্দন,

বারন্দার রোদ্দুরে বাড়ছে ফুল ও পাতা

সৌরভ বাতাসে ছড়ায় কাঁদে প্রিয়জন।


এবার ভালো ফসল ফলবে বলে আশা

ঝণের বোঝা কমাতে তৎপর হয়ে থাকা,

কণ্ঠে বারুদ জমেছে বিস্ফোরণ হবে না

আগুন হয়ে ছড়াবে বঞ্চিত উপত্যকায়।


ক্ষতস্থান শুকিয়ে মসৃন,সব অচেনা পথ

সামনে আসছে,সামনে আসছে প্রহসন

ও আত্মরক্ষার সূত্র,জীবনের সব অঙ্ক

মেলাতে অস্থি মজ্জায় তীব্র অনুশীলন।


পাখিরা আকাশে গাইছে সম্প্রীতির গান

মাটিতে বাড়ছে ভালোবাসার গাছ,ফুলের

বনে উঁকি দিচ্ছে প্রত‍্যাশার সূর্য,সমস্ত সুখ,

আশা,অধিকার পেতে মানুষ প্রস্তুত হচ্ছে।

কবি তৈমুর খান -এর একটি কবিতা

 সক্রেটিসের শেষ রাত্রি




 বিষের পেয়ালা আজ অমৃত বলে পান করি

 প্রেমিকের রোগা হাতে ছুঁই না তোমাকে

 কে দেবে শুশ্রূষা বলো—

 আমাদের সম্পর্কের সব লাবণ্য ঝরে গেলে?



 চারিদিকে ভেজাগন্ধ পোশাকে-আশাকে

 রোদ্দুরে মাছির মতো উড়ে উড়ে আসি

 কী উৎসবে বেজে ওঠে দিন?

 রাতগুলি স্বপ্নহীন—কে ভাবে কাকে!



 দূরে কোন্ আলেয়ার আলো

 জ্বলে উঠে নিভে যায়—

 শেয়ালের মতো চোখ জ্বলে

 আগুনের হাতে-হাতে উড়ে আসে ছাই।

১৫ তম সংখ্যার সম্পাদকীয়


                                 অঙ্কন শিল্পী-মৌসুমী চন্দ্র

_________________________________________________


সম্পাদকীয়:



নিভৃতে বসে আছি, দেখি কবিতারা ডানা মেলে। মুক্ত হস্তে দ্বার উন্মোচন করে দি। দু-একটি জোনাকি পোকা উঁকি দেয়। ডুকরে ডুকরে কাঁদতে শেখায় মারণ ভ্রমর। আসলে সবগুলো ই কবিতা ও গল্প লেখার উপাদান। ভাবতে বসি আমি কেন আপনারাও এই উপাদান কে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে পাঠ করতে পারেন আমার আপনার সকলের প্রিয় পত্রিকা world Sahitya Adda blog magazine. যেখানে একদিকে প্রতিবাদীর সুর কবির কলমে ফুটে উঠেছে ঠিক অন্যদিকে প্রেমিক কবির কলম গহণ অরণ্য খোঁজে অধীর। আবার একদিকে সমাজ বাস্তবতা যেমন প্রাবন্ধিকের কলমে ফুটে উঠেছে। ঠিক অন্যদিকে গল্প কারের রসময় গল্প পাঠকের হৃদয়ে অতল গভীর কে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাই বলি আপনাদের যদি উপাদান প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের পত্রিকা পড়ুন। পর্যালোচনা করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর থাকুন সাহিত্যে মসগুল।



                         ধন্যবাদান্তে

       World sahitya adda সম্পাদকীয় বিভাগ

______________________________________________________________________________________________________


**Advertisement (বিজ্ঞাপন):


১)




___________________________________________________


২)





Saturday, October 30, 2021

১৫ তম সংখ্যার সূচিপত্র (৫০ জন)

 সম্পূর্ণ সূচিপত্র:




বাংলা কবিতা ও ছড়া---



তৈমুর খান, মহীতোষ গায়েন, আশীষ কুন্ডু, নীতা কবি মুখার্জী, অভিজিৎ দত্ত, সেখ নজরুল, বিধান সাহা, পৌষালী সেনগুপ্ত, নবকুমার, আবদুস সালাম, রানা জামান, সৌমেন্দ্র দত্ত ভৌমিক, সুমন্ত রবিদাস, কমল মন্ডল, মিঠুন রায়, সৌমেন কর্মকার, সোনালী মীর, অরবিন্দ সরকার, আশীষ কুন্ডু, রাজা দেবরায়, মিলি দাস, কাজী রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, অভিজীৎ ঘোষ, তহিদুল ইসলাম, শ্রাবণী মুখার্জী , মঞ্জুলা বর, প্রতীক হালদার, চিরঞ্জিত ভাণ্ডারী, সুমিত্রা পাল, ঋদেনদিক মিত্রো, জয়তী দেওঘরিয়া, অর্চনা দাস।



বাংলা গল্প---

তুলসীদাস বিদ, দীপক কুমার মাইতি, সিদ্ধার্থ সিংহ, রঞ্জিত মল্লিক, অমিত পাল, হর্ষময় মণ্ডল, শ্রাবণী মুখার্জী।


ছোট নাটক--

মায়া বিদ।



প্রবন্ধ---

ভানু শঙ্কর। 



বাংলা গদ্য তথা রম্য রচনা---

রোকেয়া ইসলাম, মৌসুমী চন্দ্র, শ্যামল চক্রবর্ত্তী, সত্যেন্দ্রনাথ পাইন, তীর্থঙ্কর সুমিত, সুজিত চট্টোপাধ্যায়।



Photography---


Moushumi chandra,
Sohini Shabnam,
Riyanka Roy.

Monday, October 25, 2021

Photography by Sohini Shabnam


 




Photography by Moushumi chandra

 


লেখিকা শ্রাবণী মুখার্জী -এর একটি গল্প

 ব্রহ্মময়ী 



বিছানায় শুয়ে শুধু এপাশ ওপাশ করতে লাগলো নীপা । দুচোখের ঘুম কোথায় যেন নিরুদ্দেশ ।ধীরে ধীরে ছটফটানি বাড়তে লাগলো , ভীষণ রকম অস্বস্তিকর হতে হতে ঘেমে রাত্রিবাস ভিজে একসা ।

আস্তে আস্তে উঠে পড়লো , না.... ঘুম আসবে না আর আজ । দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো ,রাতের আকাশে দ্বাদশীর একফালি চাঁদ এর দিকে নজর দিতেই কয়েকটি নিশাচর পাখা ঝাপটাতে ঝাপটাতে উড়ে গেলো । নীপা যেন আর নিজের অসুস্থতা চেপে রাখতে পারছে না ,শিমুল গাছটার নীচে এসে দাঁড়ালো কিছুক্ষণ । বামুনপাড়ার দুর্গামন্দিরের পাশের রাস্তায় কয়েকটি ঘর পেরিয়ে তিলজলা পুকুর টার কথা মাথায় এলো । ছোটো বেলা থেকে শুনে আসছে ওই পুকুরে নাকি কুমির থাকে ,তাই কেউ ভয়ে ওই পুকুরের ধার মাড়ায় না । 

নীপা ক্লান্ত পায়ে গুটি গুটি সেই পুকুরের পাড়েই এসে পৌঁছালো । শ্যাওলা ধরা আধখাওয়া সিড়িটার উপর বসে পড়লো মন্ত্র মুগ্ধের মতো ।কচুরিপানায় ভর্তি পুকুরে বোঝার উপায় নেই কুমির আছে কি নেই । বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ঘড়ি দেখেছিলো ভোর চারটা বাজে । বাবা বলেছিলেন এই সময় টা নাকি বহ্ম্র সময়, এই সময় একান্ত মনে সাধনা করলে ফল পাওয়া যায় ।


    সারা সন্ধ্যা দেবেশের সাথে ঝগড়া হয়েছে ,নীপা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে যাদের নিয়ে তুমি সন্দেহ করছো তারা শুধু আমার বন্ধু ব্যাস আর কিছু না , দেবেশের মাথায় যেন আজ ভুত চেপেছে কোনোভাবেই মানতে সে রাজী নয় । তোমার সবাই তুমি তে অবস্থান করে লাভ সিম্বল দ্বারা । নীপা বোঝায় লাভ সিম্বল মানে দেখবে লেখা আছে ' খুব ভালো ' '


এমনিতে দেবেশ অতি শান্ত টাইপের ,কোনো কিছুতেই কোনো মাথাব্যথা নেই তার ।খায় দায় নিজের বেসরকারী অফিসে ছোটে , ফিরে সেই রাত্রী বেলা । ঘরের বা বাইরের কোনো চিন্তা করার সময় তার নেই । লকডাউনে তার কাজটা চলে গেলো । অফিস থেকে অনেক কর্মী আবার নিয়োগ হলো কিন্তু দেবেশের কাজটা হলো না । সারাদিন ঘরে বসে বসে মেজাজ টা খারাপ হয়ে থাকে । তাই যতোটা সম্ভব নীপা তাকে আগলিয়ে রাখার চেষ্টা করে ।


আজ তর্ক যখন চরমে উঠলো নীপা বললো দেখো ... অভাবের সংসারে রোজ রোজ তোমার এই প্যান প্যান ভালো লাগে না , আমি সবসময় তোমার সাথে থাকি তোমার কাছে ই আমার সমস্ত সত্বা তবু কেন এরকম প্রতিদিন সন্দেহ করো ? বারবার সন্দেহে সম্মান নষ্ট হয় তখন ই একঝটকায় নীপার হাতটা টেনে সারা শরীর টা দেবেশে বুকের ভিতর ঢুকিয়ে নিলো । ওয়াশিংমেশিনে কাপড় যেমন উল্টে পাল্টে দুমড়ে মুচড়ে জল ঝরায় তেমনি নীপার দেহ নিংড়ে যেন সমস্ত রস একদিনেই পান করতে চায় দেবেশ । কেনো বোঝো না গো তুমি শুধু আমার , শুধু আমার ... আমার তুমি , তোমাতে পূর্ণ আমি ।যখন তোমার কেউ প্রশংসা করে বা তুমি কারো সাথে ভালোভাবে কথা বলো আমার রক্তে আগুন জ্বলে । মাথায় যেন কামারশালের হাতুড়ি। 

নীপাও তার শরীরের সবটা উজাড় করে দেয় দেবেশের কামনার কাছে । দেবেশের কামনা যে তারও চাহিদা ।এই জীবনে তুমি ছাড়া আর কেউ আমার চোখের তারায় ধরা পড়বে না দেব , আমার প্রতি নিশ্বাসে তুমি ,সেটা তুমি জানো ।তবুও কেন বারবার এমন কথা বলো যে হজম করতে কষ্ট হয়। আমাকে কষ্ট দিতে তোমার কষ্ট হয় না ?


প্রতিদিনের এই রুটিন .. দেবেশের মন থেকে কিছুতেই সন্দেহ দুর করতে সক্ষম হয় না নীপা । সন্দেহ সুন্দর সম্পর্কে চিড় ধরাতে একনম্বর হাতিয়ার । একদিন দেবেশ নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে সে বিশ্বাস আছে নীপার কিন্তু ততদিনে .........

হঠাৎ পায়ে কিসের ঝটকা কামড় উঃঃঃঃঃ মা গো .... ভোরের আলো মৃদুল বাতাস বয়ে গেলো ।দুটো কোকিল পালা করে ডেকে চলেছে । সূর্য উঠতেই দেখা গেলো আধখাওয়া সিড়িটার গায়ে ঘষটানো রক্তের দাগ ।